Tag: Gaza

Gaza

  • Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও প্রবল সংঘর্ষ চলছে প্যালেস্তাইনের গাজা শহরে। হামাস নির্মূল করতে অভিযানের পরিসর আরও বাড়াল ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। লক্ষ্যভিত্তিক বিমান হামলার পাশাপাশি ইজরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি সশস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারী গোলাবর্ষণ করছে। এখনও গাজা শহরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ রয়েছেন। নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

    সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য (Israel)

    এদিকে, ইজরায়েল তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য পেল। তারা জানিয়ে দিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট বিমান হামলায় হত্যা করা হয়েছে হামাস নেতা (Hamas Commander) মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়েরকে। এই আবু আল-খায়েরকে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হামাসের সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোর পক্ষে এক বিরাট ক্ষতি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আইডিএফের সাফ কথা

    আইডিএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া, একই সঙ্গে অসামরিক মানুষের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানো। এই উদ্দেশ্যেই ইজরায়েল গাজা শহরের বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাঁদের আল-রাশিদ রোড ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এটিই একমাত্র নিরাপদ পথ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য খোলা একটি অস্থায়ী মানবিক করিডর দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটি (Israel)।

    অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন রয়েই গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজের জন্য কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চেয়েছেন। প্রস্তাবিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৩০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আধুনিক যানবাহন এবং ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য। ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্যাকেজ সাহায্য প্রমাণ করে যে, ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে থাকা অবস্থায়ও ইজরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার অটল (Hamas Commander)। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যাঁরা সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য নিরাপদ পথ এখনও খোলা রয়েছে (Israel)।

  • Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার গাজা শহরে (Gaza City) স্থল অভিযান চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েলের (Israel) নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, গাজা শহর থেকে হামাসকে একেবারে নির্মূল করতে চালানো হচ্ছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের ভারী ট্যাংকগুলি গাজা শহরে ঢুকে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর রেসিডেন্সিয়াল ও সিভিলিয়ন টাওয়ার। এই টাওয়ারগুলিতেই হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। যুদ্ধে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি না হয়, তাই গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসের কোনও নিরাপত্তা নেই। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের রক্ষে নেই।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel)

    ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলছে যুদ্ধ। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে তা উঠে গিয়ে ফের শুরু হয় সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার আলোচনার পরেও ক্রমশই ঘোর হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Israel)। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইজরায়েল কাতারে হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। খতম হয় পাঁচজন হামাস জঙ্গি। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পশ্চিম অংশে একটি ১৬ তলা ভবনও আক্রমণ করে। এটি গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন। ইজরায়েলের দাবি, এটি একটি জঙ্গি ঘাঁটি। এক ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ হাজার হামাস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ-এর কথায়, ‘জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপহৃতদের মুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

    কী বলছেন ট্রাম্প

    এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এবং আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে ওরা এটা করবে না।” প্রসঙ্গত, বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইজরায়েলের স্থলভাগে অভিযান চালানোর খবরে হামাসের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়েছি যে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হামাস বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি আশা করি, হামাসের নেতারা বুঝতে পারবে তারা কী বিপদে পড়ছে যদি তারা এমন কাজ করে। এটি একটি (Gaza City) মানবতাবিরোধী অপরাধ। এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও (Israel)!”

  • Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে গাজায় ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas)। এবার তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর আগেই তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ আবু জামা (Hamas) জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে গাজা থেকে পালিয়ে যান। তিনি সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান রয়েছে, এবং সেখানেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

    হামাসের এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন

    জানা গেছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের (Hamas) এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন। ওই নেতা গোপনে জাল পাসপোর্ট, জাল চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেন। এমনকি, তুরস্কে (Turkey) বিয়ের আয়োজনও সেই নেতা-ই করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে তাঁর স্ত্রী এর আগেই গাজা ছেড়ে রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেন, এবং পরে সেখান থেকে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তুরস্কে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে সামার মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ছিলেন সিনওয়ারের থেকে প্রায় ১৮ বছর ছোট। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার চিহ্নিত করা হয়

    প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি গাজায় হামাসের (Hamas) প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে তিনি সংগঠনের প্রধান হন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধের আবহে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার, তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ (Hamas) এবং তাঁদের সন্তানরা খান ইউনুসের একটি সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পালানোর সময় সামার মোহাম্মদের হাতে ছিল একটি মূল্যবান ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডব্যাগ, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।

  • Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী সোমবার ভোররাতে প্যালেস্টাইনমুখী একটি নৌকাকে আটক করে। নৌকাটিতে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফরাসি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসানসহ আরও ১২ জন। ‘ম্যাডলিন’ নামের ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকাটি ৬ জুন সিসিলি থেকে রওনা হয় এবং প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল।

    কেন আটক

    ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নৌকাটিতে থাকা সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের পানীয় জল ও খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ইজরায়েলি নৌবাহিনী প্রথমে ম্যাডলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জাহাজটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাস যাতে অস্ত্র আমদানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ অবরোধ চলছে। সেই অবরোধ ভাঙতে কাউকে অনুমতি দেবে না ইজরায়েল। এদিকে সেই অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার মিশন নিয়ে ইতালির সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ। গাজা ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করাও এই যাত্রার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ইজরায়েল পুরো উদ্যোগটিকে “মিডিয়া প্ররোচনা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যে পরিমাণ ত্রাণ ওই নৌকায় ছিল, তা দিয়ে একটা ট্রাকও ভরত না। তাদের স্পষ্ট কথা, ত্রাণ পৌঁছতে হলে ইজরায়েলের নির্ধারিত রুট দিয়েই পাঠাতে হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল

    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় চলমান মানবিক সংকটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর আগেও প্যালেস্তাইনমুখী একটি নৌকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই ইজরায়েল ও মিশর অঞ্চলটিতে কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘ধীরে ধীরে ওই নৌকা ইজরায়েলের দিকে এগোচ্ছিল। নৌকায় থাকা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের শীঘ্রই নিজেদের দেশে ফেরানো হবে। আপাতত ওঁদের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ!’’ ওই নৌকায় থাকা সকলকে শুকনো খাবার এবং জলও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক।

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) গাজায় অভিযানকে আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে গাজাতে ইজরায়েলের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতেই এক ভিডিও বার্তা জারি করা হয়। সেখানেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্প নেই। শুধু আমাদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যতক্ষণ না আমরা জিতছি ততক্ষণ।’’

    হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ নয় (Benjamin Netanyahu)

    এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি এখন হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী যে সমস্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেটাকে অসম্মান জানানো হবে। অসম্মান জানানো হবে আমাদের সেই সমস্ত বীরদের প্রতিও, যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছেন এবং তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন।’’

    হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত

    ইজরায়েরেল প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) আরও জানান, রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ও হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার,সম্প্রতি ইজরায়েল মধস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান হবে।

    ইজরায়েলের হামলায় ৫২ জন নিহত, দাবি  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার

    এদিকে গত শনিবার দিনভর ইজরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসির এক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনারা।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সেই শুরু। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে যুদ্ধ।

  • Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে (Hamas) অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের (Mahmud Abbas)। শনিবার আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন তাদের ইসলামিস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাতাহ মুখপাত্র মুনথের আল-হায়েক গাজা থেকে এক বার্তায় বলেন, “হামাসকে গাজা, এর শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।”

    ফাতাহ মুখপাত্রের অনুরোধ (Mahmud Abbas)

    তিনি হামাসকে শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে বলেছেন যে যদি তারা গাজায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী লড়াইয়ে প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা দখল করে। পরবর্তী কালে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও, তা ব্যর্থ হয়।

    প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় ইজরায়েলে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামাসের ডেরায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হামাস বারবার বলেছে, যুদ্ধ শেষ হলে তারা গাজায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। যদিও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় তারা (Mahmud Abbas)।

    হামাস মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, যদিও চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।” তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হামাস যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য পেশাদার ও প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বাধীন কমিটি গঠনে মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

    আব্বাস বলেন, ওই কমিটিকে রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্তাইন অথরিটিকে রিপোর্ট করতে হবে, যা তাঁর মতে গাজা শাসনের একমাত্র বৈধ সত্তা, কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, ইজরায়েল মঙ্গলবার ফের বিমান হানা শুরু (Hamas) করে। তার পরের দিন শুরু হয় স্থল অভিযান (Mahmud Abbas)।

  • Israel: যুদ্ধ বিরতি বিশ বাঁও জলে! হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল

    Israel: যুদ্ধ বিরতি বিশ বাঁও জলে! হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় (Gaza) ফের একবার জোরালো হামলা ইজরায়েলের (Israel)। গত মঙ্গলবারই গাজার মাটিতে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালাল ইজরায়েল। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ আপাতত জলে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্যালেস্তাইনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ইজরায়েলি হামলায় চারশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। তবে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) দাবি, সন্ত্রাসীদের ওপরেই তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

    ২০টিরও বেশি যুদ্ধ বিমানে এয়ার স্ট্রাইক (Israel)

    সূত্রের খবর, হামলায় গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তারপরেই বন্ধ ছিল হামলা। এরপরে গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় এয়ার স্ট্রাইক চালাল ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ২০টিরও বেশি ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধবিমান গাজা, রাফাহ সহ অন্যত্র হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে নিহতদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু। এরমধ্যে ২৮ জন নারী রয়েছেন।

    আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরেই এই হামলা! দাবি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের

    আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরেই মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ভয়ঙ্কর হামলা চালায় ইজরায়েল। এই দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। আমেরিকান ফক্স নিউজকে লেভিট জানিয়েছেন, গাজায় হামলা করার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করেন ইজরায়েলি প্রতিনিধিরা। এইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্টই করে দিয়েছেন হামাস, হুথি, ইরান — যারা শুধু ইজরায়েলেই নয়, আমেরিকাতেও সন্ত্রাস পাকাতে চায়, তাদের মূল্য চোকাতে হবে, তাদের উপর নরক বর্ষিত হবে।” উল্লেখ্য, হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, নয়তো তাদের উপর ‘নরক বর্ষিত’ হবে, এই হুঁশিয়ারি দিতে আগেই শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পকে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে প্রথম হামলা চালায় হামাস। তখন থেকেই শুরু হয় যুদ্ধ।

  • Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ফের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict)। ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইজরায়েলি হানায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশু এবং মহিলাও। গাজার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গাজার মাটিতে বেলাগাম বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল।

    হত হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক

    ট্রাম্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল (Israel Palestine Conflict)। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেইমতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। যার জেরেই এই হামলা। মঙ্গলবার কাকভোরে গাজায় বিমান হামলায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের অবশ্য দাবি, গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিই গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক মেহমুদ আবু ওয়াতফার মৃত্যু হয়েছে।

    কোথায় কোথায় হামলা চালাল ইজরায়েল

    ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict) প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলিতে তারা হামলা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনেই এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি বাহিনীর। বস্তুত, গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। তার আগেই গাজার মাটিতে হামলা চালিয়ে বসল ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে আকাশপথে গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল। কয়েকঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে বহু। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজা, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস এবং রাফাহ সহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোররাতে। মুহুর্মুহু গোলাবারুদ বর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গাজার সাধারণ মানুষেরা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

  • Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Gaza) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইজরায়েলের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে। এই প্রস্তাবের আওতায় পুরো রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকতে চলেছে। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধবিরতি রমজান মাস এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার (Israel) উৎসব পর্যন্ত বহাল থাকবে।

    চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ

    এর আগে চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবে হয়নি। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন বন্দিবিনিময় পর্ব সম্পন্ন হয় দুই দেশের মধ্যে। নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় (Israel) এখনও পর্যন্ত ২৭ জন জীবিত বন্দী আছে এবং ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত (Israel)

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যেদিন ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই জীবিত ও মৃত বন্দীদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষে যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে বাকি বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি পরিকল্পনা, যা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দাবি ইজরায়েল সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে, তবে হামাস বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল যুদ্ধ।

  • Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে (Hamas) চরম হুঁশিয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সাফ জানিয়ে দিলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সব কিছু ভেঙে পড়বে।

    হামাসের অত্যাচার! (Donald Trump)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চলেছে গাজার মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের। সম্প্রতি ৪২ দিনের যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতি পর্বে অল্প অল্প করে হামাস মুক্তি দিচ্ছে বন্দিদের। যাঁদের এই জঙ্গি গোষ্ঠী মুক্তি দিচ্ছে, তাঁরা যে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বন্দিদশা পর্বে, তা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্তরা। এহেন আবহে এল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরে হুঁশিয়ারি।

    চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    সোমবার ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া হয়—আমি মনে করি এটি একটি উপযুক্ত সময়—তাহলে আমি বলব, যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন এবং সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ুক।” খানিক থেমে তিনি বলেন, “তবে আমি আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি। ইজরায়েল এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।”  ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি গাজা কেনার এবং মালিকানা নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের এটি পুনর্গঠনের বিষয়ে, আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে এর কিছু অংশ গড়ে তোলার দায়িত্ব দিতে পারি। অন্যরা আমাদের তত্ত্বাবধানে এটি করতে পারে। কিন্তু আমরা এর মালিকানা নেওয়া, এটি দখলে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে ফিরে আসতে না পারে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে আসার মতো কিছুই নেই। এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হবে।”

    প্রসঙ্গত, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র সোমবারই এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া, যা আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত ছিল, তা পরবর্তী ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময় পুনরায় (Hamas) শুরু করা ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর প্রতিশ্রুতি মেনে চলা এবং বিগত কয়েক সপ্তাহের দায়বদ্ধতা পূরণের ওপর নির্ভর করছে (Donald Trump)।

LinkedIn
Share