Tag: Gaza

Gaza

  • Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ফের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict)। ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইজরায়েলি হানায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশু এবং মহিলাও। গাজার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গাজার মাটিতে বেলাগাম বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল।

    হত হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক

    ট্রাম্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল (Israel Palestine Conflict)। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেইমতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। যার জেরেই এই হামলা। মঙ্গলবার কাকভোরে গাজায় বিমান হামলায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের অবশ্য দাবি, গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিই গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক মেহমুদ আবু ওয়াতফার মৃত্যু হয়েছে।

    কোথায় কোথায় হামলা চালাল ইজরায়েল

    ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict) প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলিতে তারা হামলা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনেই এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি বাহিনীর। বস্তুত, গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। তার আগেই গাজার মাটিতে হামলা চালিয়ে বসল ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে আকাশপথে গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল। কয়েকঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে বহু। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজা, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস এবং রাফাহ সহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোররাতে। মুহুর্মুহু গোলাবারুদ বর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গাজার সাধারণ মানুষেরা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

  • Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Gaza) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইজরায়েলের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে। এই প্রস্তাবের আওতায় পুরো রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকতে চলেছে। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধবিরতি রমজান মাস এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার (Israel) উৎসব পর্যন্ত বহাল থাকবে।

    চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ

    এর আগে চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবে হয়নি। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন বন্দিবিনিময় পর্ব সম্পন্ন হয় দুই দেশের মধ্যে। নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় (Israel) এখনও পর্যন্ত ২৭ জন জীবিত বন্দী আছে এবং ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত (Israel)

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যেদিন ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই জীবিত ও মৃত বন্দীদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষে যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে বাকি বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি পরিকল্পনা, যা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দাবি ইজরায়েল সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে, তবে হামাস বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল যুদ্ধ।

  • Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে (Hamas) চরম হুঁশিয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সাফ জানিয়ে দিলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সব কিছু ভেঙে পড়বে।

    হামাসের অত্যাচার! (Donald Trump)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চলেছে গাজার মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের। সম্প্রতি ৪২ দিনের যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতি পর্বে অল্প অল্প করে হামাস মুক্তি দিচ্ছে বন্দিদের। যাঁদের এই জঙ্গি গোষ্ঠী মুক্তি দিচ্ছে, তাঁরা যে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বন্দিদশা পর্বে, তা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্তরা। এহেন আবহে এল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরে হুঁশিয়ারি।

    চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    সোমবার ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া হয়—আমি মনে করি এটি একটি উপযুক্ত সময়—তাহলে আমি বলব, যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন এবং সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ুক।” খানিক থেমে তিনি বলেন, “তবে আমি আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি। ইজরায়েল এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।”  ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি গাজা কেনার এবং মালিকানা নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের এটি পুনর্গঠনের বিষয়ে, আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে এর কিছু অংশ গড়ে তোলার দায়িত্ব দিতে পারি। অন্যরা আমাদের তত্ত্বাবধানে এটি করতে পারে। কিন্তু আমরা এর মালিকানা নেওয়া, এটি দখলে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে ফিরে আসতে না পারে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে আসার মতো কিছুই নেই। এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হবে।”

    প্রসঙ্গত, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র সোমবারই এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া, যা আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত ছিল, তা পরবর্তী ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময় পুনরায় (Hamas) শুরু করা ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর প্রতিশ্রুতি মেনে চলা এবং বিগত কয়েক সপ্তাহের দায়বদ্ধতা পূরণের ওপর নির্ভর করছে (Donald Trump)।

  • Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের হাতে বন্দি (Thai Captives) ছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়। শেষমেশ ঘুঁচল বন্দিদশা। রবিবার গাজা (Gaza) থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ থাই নাগরিক। এদিন সকালে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক থায়েন্না, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, সারুসাক রুমনাও এবং বান্নাওয়াত সায়েথাওকে তাঁদের স্বাগত জানান পরিবারের সদস্যরা।

    থাই নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন (Thai Captives)

    এক বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরায় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। দেশের মাটিতে পা রাখার পর পংসাক বলেন, “জন্মস্থানে ফিরতে পেরে আমরা সকলেই গভীরভাবে মুগ্ধ। আমি আর কী বলব জানি না। আমরা সবাই সত্যিই কৃতজ্ঞ।” ছেলেকে আর বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চান না সোমবুন। উত্তর থাইল্যান্ডের নান প্রদেশের এই প্রৌঢ় বলেন, “আমি আর আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাব না।”

    বন্দিদশা ঘুঁচল

    গত মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের এই পাঁচজন। টানা ১৫ মাস ধরে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজারায়েলের সঙ্গে গাজার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ। পরে স্বাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেই চুক্তির কারণেই বন্দিদশা ঘুঁচল হামাসের হাতে বন্দি থাকা এই পাঁচ থাই নাগরিকেরও। থাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা বন্দিদের ফিরিয়ে এনেছেন ইজরায়েল থেকে। নাগরিকরা দেশে ফিরে আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। বলেন, “এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত … তাঁরা তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। এটি (Thai Captives) তারই ফল।”

    প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “দেশের পাঁচ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় আমরা উল্লসিত। ধন্যবাদ ইজরায়েল, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাদের জন্যই আমাদের দেশের নাগরিকদের বন্দিদশা ঘুঁচল।” জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডে ফেরা পাঁচ নাগরিকই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সরকার আগামী কয়েক মাস ধরে তাঁদের ওপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তাই এই নজরদারি।

    ইজরায়েলে কাজের খোঁজে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন সব মিলিয়ে মোট ৩১জন থাই নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের বন্দি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেই। গত মে মাসে বন্দি দশায়ই মৃত্যু হয় দুজনের (Gaza)। পাঁচজন ফিরলেন দেশে। থাই প্রশাসনের আশা, বাকিদেরও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে (Thai Captives)।

  • Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    Israel: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস (Israel) গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৩ বন্দির নাম প্রকাশ করেছে। হামাস জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্টিনীয়দের যুদ্ধকে বন্ধ করতে তিন জন বন্দি ইজরায়েল মহিলা নাগরিককে হস্তান্তর করা হবে। অপর দিকে ইহুদি সেনার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে নামের তালিকা পেয়েছে তারা। ফলে এই ঘোষণা স্পষ্ট করে যে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির পথ এবার আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এই বন্দি হস্তান্তর স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৮.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

    তিন বন্দি ইহুদী নারীর নাম কী?

    হামাসের সশস্ত্র শাখার কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু অবেদা রবিবার বলেন, “বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে আমরা আজকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাদের মুক্ত করা হবে তাদের নাম হল রোমি গনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) এবং ডোরন স্টেইন ব্রেচার।” অপর দিকে যুদ্ধ বিরতির পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল (Israel) গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি ১০ জন প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন মোট ২৫ জন। আগে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে হামাস বন্দিদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় কোনও রকম যুদ্ধ বিরতি করা হবে না। যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যত সময় পর্যন্ত মুক্তি প্রাপ্ত তালিকা হামাস প্রকাশ করছে না করছে। ফলে ইজরায়েল কতটা নমনীয় হয় তাই এখন দেখার।

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হবে তাই দেখার

    তবে হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নাম প্রকাশ এবং হস্তান্তর করতে সমস্যা হচ্ছে। অপর দিকে আলজাজিরার স্টেফানি ডেকার জর্ডনের রাজধানী আম্মান থেকে একটি রিপোর্ট করে বলেছিল যে ইজরায়েল (Israel) এবং হামাসের উপর আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধকে শেষ করার চাপ তৈরি হয়েছে। এখন গাজায় (Gaza) যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ কীভাবে সম্পন্ন হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে আন্তর্জাতিক গবেষকরা মনে করছেন বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। উভয় পক্ষ একে অপরের অবস্থানে কঠোর ভাবে স্থির। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা আশাবাদী এবং বন্দিদের নাম দ্রুত প্রকাশ করে কাজ করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি পশ্চিম এশিয়ায়। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণা করল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল ও লেবানন সমর্থিত হিজবুল্লা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ যদিও হামাসও একই পথে হাঁটবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ নেই এই চুক্তিপত্রে৷

    যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

    প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার, ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। আপাতত হিজবুল্লার উপরে হামলা (Israel Hezbollah Ceasefire) চালাবে না ইজরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, তা নির্ভর করছে লেবাননে কী হচ্ছে, তার উপরে। যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। লেবাননের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ মধ্যস্থতা করেছেন। যুদ্ধবিরতিতে একাধিক শর্ত রেখেছে ইজরায়েল। 

    কেন যুদ্ধবিরতি

    হঠাৎ যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণার পিছনে তিনটি কারণ ব্যাখা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ইরানের হুমকিতে মনোনিবেশ করা। দ্বিতীয়ত, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য সময় দেওয়া এবং তৃতীয়ত, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকেই হামাস হিজবুল্লার উপরে নির্ভর করেছে। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে হামাসকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়াই লক্ষ্য ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইজরায়েলের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাও হাবিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়া পরিকাঠামোগুলি পুনর্গঠনে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি (Israel) বায়ুসেনার। এখনও পর্যন্ত জাবালিয়া অঞ্চলে ১৩ জন শিশু-সহ মৃত ৩০। খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। গাজা (Gaza) প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল উত্তর গাজাই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এই এলাকার তাফায় স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

    উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না (Israel)

    জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার (Gaza) বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইহুদি সেনা। গাজা প্রশাসনের উদ্ধারকারী বাহিনীর দাবি, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলির কাছে সাহায্য বা উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রচুর বাড়ি-ঘর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়ে চলেছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারও দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপর রবিবার ভোর থেকেই ফের ইজরায়েলি বায়ুসেনা নতুন করে হামলার ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইহুদি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

    হামাস গোপন ডেরা বানিয়ে রেখেছে

    আবার ইজরায়েলি (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টার্গেট করা হয়েছে জাবালিয়াকে। ওই এলাকায় হামাস জঙ্গিরা গোপন ডেরা বানিয়ে রেখে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক খবর মিলতেই গাজার (Gaza) জাবালিয়াতে আক্রমণ শুরু করে বায়ু সেনা। তবে উত্তর গাজায় কোনও রকম ভাবেই উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালাতে পারছে না। উদ্ধারকারী বাহিনীদের বক্তব্য, লাগাতার আক্রমণের ফলে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এই হামলা শুধু উত্তর গাজাতেই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    আলোচনা চালানো সম্ভব নয়

    উল্লেখ্য ইজরায়েল (Israel) এবং গাজার (Gaza) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল কাতারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি উভয় পক্ষের। ১০ দিন আগেই দু’পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কাতারের পক্ষ থেকে। কিন্তু আপাতত সেই দিকে কোনও সদর্থক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ যদি সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ না করে, তাহলে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    Israel Defence Forces: আল জাজিরার ছয়জন সাংবাদিকের হামাস যোগ! প্রমাণ রয়েছে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল জাজিরার (Al Jazeera) ছয় জন সাংবাদিককে জঙ্গি সংগঠন হামাসের সদস্য বলে দাবি করল ইজরায়েল (Israel Defence Forces)। এরা প্যালেস্টাইনের ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি ইজারায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF)। আইডিএফ দাবি করে, গাজায় পাওয়া গোয়েন্দা নথি থেকে এর প্রমাণ মেলে। প্রাপ্ত নথিগুলি প্রমাণ করে এই ছয় সাংবাদিকের সঙ্গে হামাসের সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। ইজরায়েলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

    আইডিএফের অভিমত

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) ট্যুইট বার্তায় জানায়, “গাজায় পাওয়া নথির মধ্যে রয়েছে হামাস কর্মীদের তালিকা, প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকা, ফোন ডিরেক্টরি এবং সন্ত্রাসীদের জন্য বেতন সংক্রান্ত নথি। এই নথিগুলি হামাসের জঙ্গিদের সঙ্গে কাতারি আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের যুক্ত থাকার প্রমাণ।” ছয় সাংবাদিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে ইজরায়েল। এরা হলেন, আনাস জামাল মাহমুদ আল-শরিফ, আলা আব্দুল আজিজ মহম্মদ সালামা, হোসাম বাসেল আবদুল করিম শাবাত, আশরাফ সামি আহসৌর সারাজ, ইসমাইল ফরিদ মহম্মদ আবু আমর, এবং তালাল মাহমুদ আবদুল রহমান আরুকি।

    সাংবাদিকদের জঙ্গি-যোগ

    আইডিএফ (Israel Defence Forces) আরও জানায় যে আনাস আল-শরিফ ছিলেন হামাসের নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের নুখবা ফোর্স কোম্পানির একজন রকেট লঞ্চিং স্কোয়াড প্রধান। আলা সালামা ছিলেন ইসলামিক জিহাদের শাবুরা ব্যাটালিয়নের প্রচার ইউনিটের ডেপুটি প্রধান। শাবাত ছিলেন হামাসের বেইত হানুন ব্যাটালিয়নের একজন স্নাইপার, আশরাফ সারাজ ছিলেন ইসলামিক জিহাদের বুরেইজ ব্যাটালিয়নের সদস্য। আবু আমর ছিলেন ইস্ট খান ইউনিস ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ কোম্পানির কমান্ডার, এবং আবদুল রহমান আরুকি ছিলেন নুসাইরাত ব্যাটালিয়নের একজন টিম কমান্ডার। ইসমাইল আবু আমর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইজরায়েলের একটি অভিযানে আহত হন। তখনও আল জাজিরা তার জঙ্গি সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। 

    অভিযোগ অস্বীকার

    ইজরায়েলের (Israel Defence Forces) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আল জাজিরা (Al Jazeera)। এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের তরফে বলা হয়, যুদ্ধের বাস্তবাতাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে ইজরায়েল, তাই এই অভিযোগ। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে আল জাজিরা হামাসপন্থী প্রচার চালাচ্ছে এই অভিযোগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ইজরায়েলে এই মিডিয়া নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে ইজরায়েল সরকার রামাল্লার পশ্চিম তীরে অবস্থিত আল জাজিরা ব্যুরোও বন্ধ করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Netanyahu: ‘চরম মূল্য দিতে হবে’! খুনের চেষ্টা হতেই হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর, ফের শুরু হামলা

    Netanyahu: ‘চরম মূল্য দিতে হবে’! খুনের চেষ্টা হতেই হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর, ফের শুরু হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে (Netanyahu) খুনের চেষ্টা! তাঁর বাসভবনে ড্রোন হামলা করা হয়। এর পরেই জঙ্গি নিকেশের অভিযান আরও তীব্র করল ইজরায়েল। জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাকে (Hezbollah) হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতানিয়াহু আরও ঘোষণা করেছেন, যারাই তাঁদের (ইজরায়েল) ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলা যখন হয়, ঘটনাক্রমে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী।

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu)  ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘ইরানের যে এজেন্ট (হিজবুল্লা) আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বলতে চাই, খুব বড় ভুল করছেন আপনারা। এর ফল ভুগতে হবে। শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’’

    হুঁশিয়ারি ইরানকে

    একই সঙ্গে ইরানকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু (Netanyahu) । তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘হিজবুল্লা (Hezbollah), হামাস এবং হুথিদের নিয়ে যে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে ইরান, তার জবাব দিচ্ছে ইজরায়েল। শত্রুদের বিরুদ্ধে এই লড়াই জারি থাকবে। যদি কেউ ইজরায়েলের নাগরিকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার পরিণাম হবে ভয়ানক।’’ নেতানিয়াহুর (Netanyahu)  সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লেবানন এবং গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইজরায়েল।

    অভিযান চলবে গাজায়

    নেতানিয়াহু আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, সন্ত্রাস দমনে গাজাতে তাদের অভিযান চলবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারে গাজার জনগণের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে, ইজরায়েলের বীর সৈন্যরা এই কাজ সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু এখানেই গাজা যুদ্ধ সমাপ্ত হচ্ছে না।’’ এরপরেই তিনি গাজার জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘‘হামাস আত্মসমর্পণ করলেই গাজা যুদ্ধ সমাপ্ত হবে।’’

    অ্যাকশন মোডে ইজরায়েল

    নেতানিয়াহুকে খুনের চেষ্টা হতেই দক্ষিণ বেইরুটে হিজবুল্লার বেশ কয়েকটি ডেরায় হামলা চালিয়ে সেগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল, এমনটাই দাবি তাদের সেনার। তাদের আরও দাবি, হিজবুল্লার একাধিক অস্ত্রভান্ডার এবং তাদের কমান্ড সেন্টারও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, গাজাতে শনিবার থেকে হামলা আরও জোরাল করেছে ইজরায়েল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas Conflict: হামাসের ডেরা থেকে শানি লুক-সহ তিন ইজরায়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার

    Israel Hamas Conflict: হামাসের ডেরা থেকে শানি লুক-সহ তিন ইজরায়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ গাজায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কয়েকটি ভূগর্ভস্থ ডেরায় অভিযান চালিয়ে শনিবার তিন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করল ইজরায়েলি (Israel Hamas Conflict) সেনা। উদ্ধার হওয়া তিনটি দেহ শানি লুক, অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজা লাগোয়া এলাকায় নোভা উৎসব চলাকালীন ওই তিন জন-সহ ২৫২জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত সে দিনই ওই তিনজনকে হত্যা করে দেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। শানি লুকের (Shani Louk) অপহরণের ফুটেজ, তার খুলির একটি টুকরো শনাক্ত করার পর মৃত্যু সম্পর্কে আগেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। তবে অন্যরা বেঁচে থাকতে পারেন এই আশা ছিল নিহতদের পরিবারের।

    ইজরায়েলের অভিযান

    গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারা বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল ইজরায়েলে থাকা বিদেশিদেরও। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও অনেকেই এখনও বন্দি। গাজ়ায় ইজরায়েলি সেনার ‘গ্রাউন্ড অপারেশনের’ মুখে তাঁদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তেল আভিবের অভিযোগ। ইজরায়েলি সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনটি দেহ শানি লুক (Shani Louk) , অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হগারি জানিয়েছেন,দেহগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

    নির্মম হত্যালীলা

    নোভা উৎসব চলাকালীন ইজরায়েলে (Israel Hamas Conflict) হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এছাড়া ২৫২ জনকে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শানি লুকের (Shani Louk) অপহরণের নির্মম ফুটেজ আগেই ভাইরাল হয়। হামাসের হাতে এখনও প্রায় ১২৫ জন পণবন্দি রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শনিবার বলেন, ‘‘এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। সমস্ত পণবন্দিকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনব। যাঁরা জীবিত রয়েছেন এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, সকলকেই।’’

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কে শানি লুক

    প্রাণ চঞ্চল জার্মান-ইজরায়েলি ট্যাটু শিল্পী ছিলেন শানি লুক (Shani Louk)। নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শানি। ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হগারি জানিয়েছেন, উৎসবের মধ্যে হামাস হামলা চালালে পালানোর চেষ্টা করেন ২৩ বছরের ওই তরুণী। তখনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ ট্রাকের পিছনে চাপিয়ে টেনে হিঁচড়ে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যাওয়া হয়। অক্টোবরে ওই ঘটনার কয়েক দিন পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে শানির অর্ধনগ্ন দেহটি একটি পিক-আপ ট্রাকের পিছনে ঝুলিয়ে গাজার মধ্য দিয়ে প্যারেড করা হচ্ছে। শানির পরিবার, তাঁর ড্রেডলক এবং স্বতন্ত্র ট্যাটু থেকে তাঁকে শনাক্ত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share