Tag: hindu temple

hindu temple

  • Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী, বর্বরোচিত অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যাননি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারাও (Hindu women in Bangladesh)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের ওপর ব্যপক অত্যাচার চলছে। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মত অভিযোগও উঠেছে। 

    হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    এই চরম অস্থিরতার সময় বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলেছে এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্যাতিতারা। ৮ অগাস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা (Hindu women in Bangladesh) তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ”ওরা তলোয়ার ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। বাড়ি থেকে সব নিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য, আমাদের কাছে যা ছিল সবই দিয়েছি।” আরেক মহিলা বলেন, ”রাতে, ওরা এসেছিল। আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমি লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে ধরে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করি। সে সময় তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওরা তাঁর গলা কেটে ফেলতে চেয়েছিল। ওকে বাঁচানোর জন্য আমরা আমাদের সব সোনার গয়না দিয়ে দিয়েছি।”     

    অন্যদিকে, তৃতীয় আরেক মহিলা (Hindu women in Bangladesh) অনুরূপ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ”আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। তখনই ওরা এসেছিল। ওদের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওরা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছিল, ‘আমাদের পঞ্চাশ জন লোক তোমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে, তোমার পালানোর কোনও পথ নেই।’ এরপর ওরা সবকিছু লুট করেছে। আমাকে ধরে বিছানায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে হয় আমাকে রেহাই দাও অথবা আমাকে মেরে ফেলো। এরপর ওরা আমাকে কান্না থামানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কাছে যা কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল সব দিতে বলেছিল ওরা। নিজের প্রাণ বাঁচাতে তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার সমস্ত গয়না ওদের দিয়ে দিয়েছিলাম। সেসব নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় ওরা।” 

    হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত, ভাঙচুর মন্দিরে (Bangladesh Crisis)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। অশান্তির সঙ্গে সঙ্গে এবার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভিযোগ ও উঠতে শুরু করেছে। হিন্দু মহিলাদের নির্যাতনের পাশাপাশি জলছে সংখ্যালঘুদের ঘর। একাধিক মন্দিরে ও হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করে, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দিরও।  

    জানা গিয়েছে, নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কলাপাড়া, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরের একাধিক মন্দিরে ভাঙচুর (Bangladesh Crisis) করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনি শহরের দুর্গামন্দির, দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দির সহ আরও পাঁচটি মন্দির, যেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং নেত্রকোনা শহরে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায় জগন্নাথ বিগ্রহ। একইসঙ্গে যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনার একাধিক বাড়িঘরে হামলা চলেছে। 

    এমনকী, দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। যশোরে অন্তত ৫০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট, ডাকাতির মতো ঘটনার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িগুলিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানে ভাঙচুর করে মালপত্র লুট করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করতে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনা। 

    ভারত আসতে চাইছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা

    এদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার (Bangladesh Crisis) পরেই আতঙ্কে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বহু বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর।  বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে শরণার্থীরা জানান, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    কী জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক?   

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, গোটা বিষয়গুলি সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটা না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ রয়েছে। আইন ও সরকারের দায়িত্ব হল সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে। এটা সেই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য দরকার। বৃহত্তরক্ষেত্রে এটা দরকার। 

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বলেন, ”কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে তার প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের সেখানে সরকার বদলের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রতিবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। এবার সে দেশেই উঠল হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই আবহেই চলতি মাসে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম রুশ দেশে পা রাখতে চলেছেন মোদি।

    জোরালো হিন্দু মন্দিরের দাবি (India Russia Relation)

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পরেও এটাই তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। এসব দিক থেকে দেখতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের রাশিয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এহেন সফরের আগেই উঠল রাশিয়ায় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি। ইন্ডিয়ান বিজনেস অ্যালায়েন্সের সভাপতি স্যামি কোতওয়ানি রাশিয়ার মস্কোয় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট শাসিত হলেও, রাশিয়া ঐতিহ্যগতভাবে অর্থডক্স চার্চের জন্য পরিচিত। দেশটির সিংহভাগ বাসিন্দাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিন্দুদের সংখ্যাও। সেই জন্যই জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি।

    রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল গীতা!

    ভারতীয় জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র এসআইটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোয় মন্দির নির্মাণ হলে সেটি কেবল যে রাশিয়ার রাজধানীকেই সমৃদ্ধ করবে তা নয়, মজবুত করবে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককেও। এক সময় রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ভগবদ গীতা। মস্কোয় ইসকনের কৃষ্ণ মন্দিরও ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার এই মন্দিরটি শহর কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। এরপর মস্কোভা নদী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ভারতের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। তার পর থেকে ক্রমেই মজবুত হয়েছে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জেরেই এবার মস্কোয় হিন্দু মন্দির গড়ার দাবি উঠেছে।

    আর পড়ুন: “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    রাশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় রাশিয়ায় চলছিল পেরেস্ত্রৈকা। এই সময়ই বদলে যার রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তনের ঢেউ গিয়ে লাগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। এই সময়ই নানা কাজে এ দেশে আসেন হিন্দুরা। তাঁরাই দাবি তুলেছেন হিন্দু মন্দিরের (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি তো এখনও ঢের দেরি। নয় নয় করে আরও ২৮ টা দিন। কিন্তু সোমবার অযোধ্যায় (Ram Mandir) পা রাখতেই মনে হল, উৎসব শুরুই হয়ে গেছে। পুণ্যভূমির সর্বত্র শুধু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। দোকানে, বাড়ির দেওয়ালে, এমনকী বাড়ির দরজাতেও। বুঝতে অসুবিধা হল না, গোটা অয্যোধ্যা এখন রামচন্দ্রময়। জলে, স্থলে, আকাশে, বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই ধ্বনি, ‘জয় শ্রীরাম’। আগের অযোধ্যার সঙ্গে ফারাকও বিস্তর। ২২ জানুয়ারির সেই শুভ মুহূর্তটা যত এগিয়ে আসছে, কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। কারণ, প্রশাসনও জানে, ক’টা দিন পরই গোটা বিশ্ব হয়ে উঠবে অযোধ্যামুখী। তাঁদের আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই।

    রামের ঘরে ফেরা (Ram Mandir)

    ২৮টা দিন অয্যোধ্যাবাসীর কাছে অবশ্য কিছু নয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, তাঁদের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পুরাতন বাড়ি, সব জায়গায় চলছে সংস্কার। আমার মতো অযোধ্যায় পা রেখে যে কারও মনে হতেই পারে, হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অযোধ্যা (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে পার্ক, সর্বত্রই ছাপ সনাতন সংস্কৃতির। দোকানের দরজাতেও লেখা ‘জয় শ্রীরাম’। দেদার বিক্রি হচ্ছে রামচন্দ্র-হনুমানের ছবি আঁকা গৈরিক পতাকা। এ যেন সত্যিই রামের ঘরে ফেরা।

    ভগবান রাম যেন সবার (Ram Mandir)

    এখানকার মানুষ একটা বিষয় নিয়ে বেজায় খুশি। তা হল, এ শুধু রামের ঘরে ফেরাই নয়, অযোধ্যার (Ram Mandir) অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন আসছে। রামসীতা-হনুমানের মূর্তি তৈরি করেন জনৈক সন্তোষ শর্মা। তাঁর চোখেমুখে যেন খুশি ঝরে পড়ছে। তাই প্রতিবেদককে অকপটেই বলে দিলেন, ‘‘আগের থেকে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’’ রামনগরীতে ঢোকার মুখে দিব্য কুণ্ড জলাশয় বাঁধানোর কাজ চলছে। দেখলাম, সেটাও প্রায় শেষের দিকে। শ্রমিকরা বললেন, ‘‘গত ১ বছর ধরেই চলছে কাজ। আর কয়েক দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ প্রশাসনও নিরাপত্তার নিরিখে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই পথের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল পুলিশি ব্যারিকেড। বুঝলাম, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামনগরী। অযোধ্যার অলি-গলি-তস্য গলি চষে বেড়িয়ে দেখলাম, কমবেশি সব বাড়ির ছাদেই উড়ছে শ্রীরামের ছবি বসানো পতাকা। কোনও ধনী-দরিদ্র ভাগ নেই। ভগবান রাম যেন সবার হয়ে উঠেছেন।

    ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা (Ram Mandir)

    ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট দাখিল করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, রামের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অযোধ্যার রাস্তাঘাট, পার্ক, জলাশয়, দোকান, বাড়ির ছাদ সবেতেই দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্রকে। সন্ধ্যায় পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর ধারে ভক্ত সমাগমই বলে দিচ্ছে আধ্যাত্মিক ভূমির (Ram Mandir) মাহাত্ম্য। জানা গেল, এখানে রোজই চলে সরযূ আরতি। চলতি বছরের দীপাবলি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় লেজার শো। গোটা রামায়ণকে লাইট শো-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সরযূ আরতির পরে দেখানো হয়। অযোধ্যা কি বদলে গিয়েছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন শুনে সরযূ-আরতি সমিতির সভাপতি মহারাজ শশীরকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে তো কেউই অযোধ্যা আসতেন না। দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে দেখাও যেত না। কারণ সবাই ভীত ছিলেন কখন ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে! তখন অযোধ্যার প্রতি সবাই ছিলেন একেবারেই উদাস। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, যার অবদান, কৃতিত্ব অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির। বদলেছে অযোধ্যা। পাঁচশো বছর পরে নগরী ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: জৈন মন্দির বলে পরিচিত, তবুও ভৈরবনাথ জ্ঞানে পুজো করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা!

    Purulia: জৈন মন্দির বলে পরিচিত, তবুও ভৈরবনাথ জ্ঞানে পুজো করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন হল পাকবিড়রা মন্দির (Purulia)। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এক প্রত্নস্থল এই পাকবিড়রা মন্দির। প্রকৃতপক্ষে পাকবিড়রার এই জৈন মন্দিরটি তিনটি মন্দির নিয়ে গড়া। নবম এবং দশম শতাব্দী থেকেই মন্দিরটির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এখানকার একটি স্মৃতি ফলকে তার উল্লেখ পাওয়া যায়।

    শিল্পশৈলীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ (Purulia)

    এখানকার অধিকাংশ ভাস্কর্যই বেশ উঁচু। তার মধ্যে শীতলনাথ মূর্তিটি প্রায় সাড়ে সাত ফুট এবং পদ্মপ্রভা মূর্তিটি প্রায় ৮ ফুট উঁচু। এখানে রয়েছে জৈন তীর্থঙ্কর ধর্মাচরণ, মহাবীর, রিষভনাথ, সম্ভবনাথ, চন্দ্রপ্রভা প্রভৃতি ভাষ্কর্য। যদিও এটি মূলত একটি জৈন মন্দির বলেই পরিচিত, তবুও এখানকার পদ্মপ্রভা মন্দিরটিকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভৈরবনাথ জ্ঞানে বিশ্বাস এবং পুজো করেন। এছাড়াও পাকবিড়রা মন্দিরে (Purulia) রয়েছে দেবি অম্বিকা, পদ্মাবতী প্রভৃতি ভাস্কর্য। মন্দিরের মোল্ডিং এবং প্রাচীরের কুলুঙ্গী এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। প্রধান মন্দিরে রয়েছে প্রাথমিক কক্ষ এবং পবিত্র স্থান, কঞ্চি মন্দির, আটজন তীর্থঙ্করের ভাস্কর্য। সব মিলিয়ে মন্দিরটি যেন প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং শিল্পশৈলীর এক অনন্য দক্ষতা ও নিপুণতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

    যাবেন কীভাবে? (Purulia)

    যাতায়াত-পাকবিড়রা যাওয়া যায় পুরুলিয়া থেকেও। পুরুলিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। আর এখান থেকে তুলনামূলক ভাবে কাছে হয় পুরুলিয়ারই আর এক দারুণ সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান “ফুটিয়ারি ড্যাম”। দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিমি। যেতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে রাস্তা হবে এই রকম “ফুটিয়ারি-হুড়া-লালপুর-বাগদা-দাদখা-পুঞ্চা রোড-পাকবিড়রা।” আর কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস (Purulia) প্রভৃতি ট্রেনে পুরুলিয়া এসে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে পাকবিড়রা মন্দির।

    থাকা খাওয়া-ফুটিয়ারি থেকে ঘুরে আসতে চাইলে থাকতে পারেন “ফুটিয়ারি রিট্রিট”-এ । ফোন-৯০৫১১৬৬৫৬৩। আর পুরুলিয়ায় থাকতে চাইলে এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দুর্গা পুজোতেই দুবাইয়ে (Dubai) বসবাসকারী হিন্দুরা পেলেন বড় উপহার। মধ্যপ্রাচ্যে এই বিশাল মন্দিরটি ৫ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান চিনকে কূটনৈতিকভাবে (Diplomatically) চাপে রাখতে ও মধ্যপ্রাচ্যের (Middle east) দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট ভারত। এমত পরিস্থিতিতে ভারতের (India) দিকেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates)। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই এই মন্দির নির্মানের কাজ শুরু হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্দিরটির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্করও  এই মন্দিরটির পরিদর্শন করে এসেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    দুবাইয়ে বসবাসকারী হিন্দুরা জানিয়েছেন, এই মন্দিরের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চান তাঁরা। এর পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। দুবাইয়ের জেবেলি আলি (Jebel ali) গ্রামে বিশাল এই মন্দিরটি উদ্বোধন করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল-নাহিয়ান এবং দুবাইয়ে স্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুধী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রীও এই মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার বার্তা দিয়েছেন। জেবেল আলীর ‘উপাসনা গ্রামে'(Worship Village) খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সাতটি গির্জা, শিখদের গুরুদুয়ারা সহ হিন্দুদের এই নতুন মন্দির মিলিয়ে মোট নয়টি ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে। এই উপাসনা গ্রামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একত্রে তাদের ধার্মিক এবং আধ্যাত্মিকতার উৎসব পালন করতে পারবেন।এই মন্দিরটির মূল আকর্ষণ বিন্দু হল দেবতাদের মূর্তির সংখ্যা। কোনও নির্দিষ্ট দেবতা নন, ১৬টি ভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। মন্দির নির্মাতার মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। আরব আমিরশাহী বসবাস করেন প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয়। এই মন্দির উদ্বোধনের ফলে হিন্দুদের দীর্ঘদিনের উপাসনালয়ের অভাব পূরণ হল।

    [tw]


    [/tw]

    ৭০ হাজার বর্গফুট এলাকার উপর এই মন্দিরটি বানাতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা)। মন্দিরের আদল, দেওয়ালের নকশা (Design) লক্ষ করলে দেখা যায়, এখানে রয়েছে আরব এবং হিন্দু সংস্কৃতির মেলবন্ধন । সাদা মার্বেলের তৈরি এই মন্দিরের সঙ্গে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।মন্দিরের তলায় দু’টি বেসমেন্ট ছাড়াও আরও দুই তলা জুড়ে মন্দির বানানো হয়েছে।একসঙ্গে ১০০০ থেকে ১২০০ দর্শনার্থী (Visitors) এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এই মন্দিরে আলাদা ভাবে শেখানো হবে ভরতনাট্যম এবং গীতা পাঠ। জনসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পর ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে। ভিড় এড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুক করে মন্দিরে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্বোধনের খবর আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন কট্টরপন্থীরা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে হিন্দু মন্দির নির্মান করা হল কেন? প্রশ্ন তুলছেন ইসলামের গোঁড়াপন্থীরা। এই নিয়ে হুমকির সুর শোনা গিয়েছে আমিরশাহীর বিখ্যাত সাহিত্যিক আবদুল্লা আলমাদির গলায়। “ভারতে যখন মুসলিমরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন বিপুল অর্থ ব্যয় করে দুবাইতে হিন্দু মন্দির তৈরি করা হল কেন?” প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও তাঁর এই অভিযোগ মানতে নারাজ আরব আমিরশাহী সরকার প্রশাসন।

    [tw]


    [/tw]

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতে সবথেকে বেশী পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে থাকে। পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণের অর্থ  ফেরত চাইছে  আরব আমিরশাহী সরকার। জন্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের ক্ষেত্রে ভারতকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরা। আবার এরই মধ্যে হিন্দু মন্দির তৈরি করে আমিরশাহীতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মন জিতেছে আমিরশাহী সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
  • Hindu Temple: হিন্দু মন্দিরে কর চাপানোর সিদ্ধান্ত কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের, আন্দোলনের ঘোষণা বিজেপির

    Hindu Temple: হিন্দু মন্দিরে কর চাপানোর সিদ্ধান্ত কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের, আন্দোলনের ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে বিতর্কে কংগ্রেস সরকার। সে রাজ্যের সরকার বিধানসভায় ‘কর্নাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং দাতব্য সংস্থা বিল’ পাস করিয়েছে। এরফলে কর বসতে চলেছে হিন্দু মন্দিরগুলিতে (Hindu Temple)। কংগ্রেস সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘হিন্দু বিরোধী’ হিসাবেও আখ্যা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র হিন্দু মন্দির ও হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতেই (Hindu Temple) কর বসানোর এমন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বছরে ১ কোটির বেশি অনুদান পাওয়া মন্দিরগুলিতে ১০ শতাংশ কর

    কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সরকার বিধানসভায় যে বিল পাশ করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পাওয়া মন্দির এবং অন্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অন্যদিকে ১০ লাখ থেকে  ১ কোটি টাকা বার্ষিক আয় যে মন্দিরগুলির (Hindu Temple), সেখানে করের হার হবে ৫ শতাংশ। এমনিতেই বেশ কয়েকটি সমীক্ষা অনুযায়ী কর্নাটকে লোকসভা ভোটে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সে রাজ্যে বিজেপির পক্ষে হাওয়া আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কী বলছেন কর্নাটক বিজেপির সভাপতি?

    কর্নাটকের রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিজয়েন্দ্র এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ধারাবাহিক ভাবে হিন্দুবিরোধী নীতি গ্রহণ করছে। এ বার হিন্দু মন্দিরের অনুদানের দিকেও কুটিল দৃষ্টি দিয়েছে।’’ ভগবানের উদ্দেশে ভক্তরা যা দান করেন, তাতে কীভাবে কর বসাতে পারে সরকার? এমন প্রশ্নও তুলেছেন সে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের প্রধান। হিন্দু ভক্তদের (Hindu Temple) নিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে, ভক্তদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এভাবেই প্রতারণা করছে কংগ্রেস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) প্রথম হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার বসন্ত পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আবু ধাবির হিন্দু মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান স্বামী ব্রমহ্মভিহরিদাস। মন্দিরের উদ্বোধনের পর ভগবান স্বামী নারায়ণের কাছে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আরতিতেও অংশ নেন তিনি। প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় তাঁকে। 

    মন্দিরের নানা কথা

    বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রাচীন বিভিন্ন মন্দিরের আদল একত্রিত করে এই মন্দির বানানো হয়েছে। চাপ, তাপ, সিসমিক মুভমেন্ট মাপার জন্য মন্দিরের প্রত্যেক স্তরে রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির সেন্সর। সেই সেন্সর সব সময় তথ্য পাঠাবে। এই এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ। তার থেকে মন্দিরকে সুরক্ষিত করতেই নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই মন্দির তৈরিতে কোনও ধাতুর ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। রাজস্থান থেকে ২০ হাজার টন পাথর আবুধাবিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সাল থেকেই এই মন্দির তৈরির কাজ চলছিল। 

    কী বললেন মন্দির

    ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এই মন্দিরের। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই শুরু হয় মন্দিরের নির্মাণ কাজ। মন্দির উদ্বোধনের সময় মোদিকে বলেন, ”আমার কাছে বিএপিএস মন্দির ভারতের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার প্রতিফলন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আপনাদের দূরদৃষ্টি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া এটা হওয়াই সম্ভব ছিল না। আমাদের প্রথম বৈঠকের দিনই আমি একটা সাধারণ অনুরোধ করেছিলাম যদি এই বিষয়ে কিছু করা যায়। এবং আপনারা তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন। আমাকে বলা হয়েছিল যেখানেই আপনার আঙুল রাখবেন সেটাই আপনার হবে।”

    আবুধাবির এই মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বাপস বিশ্বের ১২০০টি হিন্দু মন্দিরে আরতির আয়োজন করেছিল। আবুধাবিতে মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানেও আরতি করেছেন তিনি। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই অনুষ্ঠানেও হাজিরা ভারতের একঝাঁক তারকা। আবু ধাবির হিন্দু মন্দির উদ্বোধনে পৌঁছে গিয়েছে অভিনেতা অক্ষয় কুমরা, বিবেক ওবেরয়, সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    PM Modi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে আবু ধাবির সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দিরের। বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিন এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মন্দিরের মাধ্যমেই আমিরশাহী ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও দুদেশের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে, বলে মনে করছে আবুধাবির প্রবাসী ভারতীয়রা।    

    মোদির হাতেই উদ্বোধন

    ২ দিনের সফরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরকারি সফরে রওনা দিচ্ছেন৷ ২০১৫ সাল থেকে এই নিয়ে তাঁর সপ্তম এবং গত আট মাসে তৃতীয় সফর৷ আগামী কাল, ১৪ তারিখ এই মন্দির উদ্বোধন করা হবে। তার আগে, আজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ অল নাহয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট করার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কবে থেকে খুলবে মন্দির

    ১৪ তারিখ রাজধানীতে বিএপিএস হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার নতুন মন্দির। চলতি মাসে উদ্বোধন হয়ে গেলেও ১ মার্চ থেকে জনসাধারণের জন্য দরজা খোলা হবে এই মন্দিরের। কমপ্লেক্সের ভিতর দর্শনার্থীদের জন্য জায়গা, প্রার্থনা করার জায়গা, প্রদর্শনীর জায়গা, বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার জায়গা, বাগান, ফুড কোর্ট, বইয়ের দোকান এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে ভারতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রদূত আবদুল নাসির অল শালী বলেন, ‘এই মন্দিরের উদ্বোধন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। ভারত এবং আরব আমিরশাহী সহিষ্ণুতা এবং স্বকীয়তার মূল্য নিয়ে চলে। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এই দুই দেশ। এই মন্দির সেই সম্পর্ক আরও অটুট করে তুলবে।’

    মধ্যপ্রাচ্যের ভারতীয় সম্প্রদায়ের স্বপ্ন

    আবু মুরেই খা অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটি মধ্যপ্রাচ্যে হিন্দুদের প্রথম উপাসনাস্থল। এই ধর্মীয়স্থানটি সাজিয়ে তুলতে বহু হিন্দু স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।  এই উপসনাস্থলটি মধ্যপ্রাচ্যের ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটা স্বপ্ন। যা পূরণ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আবু ধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০১৫ এই মন্দির নির্মাণের জন্য ১৩.৫ একর জমি দান করেছিলেন। এর পর ২০১৯ সালে আরও ১৩.৫ একর জমি দেওয়া হয় মন্দিরের জন্য। সব মিলিয়ে মোট ২৭ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই উপাসনাস্থলটি। গত মাসেই আমিরশাহীতে নিযুক্ত ভারত রাষ্ট্রদূত মন্দিরটি পরিদর্শনে যান। নির্মাণকাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে ন। মোট ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল আকারের মন্দিরটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Khalistan: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

    Khalistan: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan)। ভাঙচুর করা হল আস্ত একটা মন্দির। দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হল খালিস্তানের দাবি সম্বলিত পোস্টার। ঘটনাস্থল সেই কানাডা। এনিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত চারটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করল খালিস্তানপন্থীরা।

    মন্দিরে হামলা

    কানাডার সারে এলাকায় রয়েছে লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির। ব্রিটিশ কলম্বিয়া এলাকায় যে ক’টি পুরনো হিন্দু মন্দির রয়েছে, এই মন্দিরটি তার অন্যতম। শনিবার রাতে এই মন্দির ভাঙচুর করে খালিস্তানপন্থীরা। ভারত-বিরোধী স্লোগানও দিতে থাকে। সারে প্রশাসনের দাবি, খালিস্তানপন্থীরা লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরের দেওয়ালে খালিস্তানের দাবিতে পোস্টার সাঁটায়। জুনের ১৮ তারিখে মৃত্যু হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের। খালিস্তান (Khalistan) টাইগার ফোর্সের মাথা ছিলেন এই নিজ্জর। কানাডিয়ান আর্ম অফ শিখস ফর জাস্টিসেরও প্রধান ছিলেন তিনি। ১৮ জুন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তিনি। এই ঘটনায় ভারতের হাত দেখছে খালিস্তানপন্থীরা।  

    খালিস্তানপন্থীদের পোস্টার

    ওই ঘটনায় ভারতের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা, তা জানতে কানাডা সরকারকে তদন্ত করার অনুরোধও করেছে খালিস্তানপন্থীরা। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ওই রাতে মুখোশ পরা দুজন মন্দিরের দেওয়াল ও গেটে পোস্টার সাঁটাচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে স্বামী নারায়ণের মন্দিরে ভাঙচুর চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরটি রয়েছে ওন্টারিও এলাকায়। মিশিসুয়াগা এলাকায় একটি রাম মন্দিরেও হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। সেটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। জানুয়ারি মাসে ব্রাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরের দেওয়াল বিকৃত করা হয়। ভারত-বিরোধী স্লোগানে ভরিয়ে দেওয়া হয় মন্দিরের দেওয়াল।

    আরও পড়ুুন: “আমরা দেশের জন্য বাঁচি, কেউ থামাতে পারবে না”, গুজরাটের অনুষ্ঠানে বললেন শাহ

    কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan) বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। কেবল কানাডা নয়, আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডেও ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় খালিস্তানপন্থীদের। কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারত। সে দেশে খালিস্তানপন্থীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে নয়াদিল্লি। যদিও ভারতের দাবি নস্যাৎ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “কানাডা সব সময় সন্ত্রাসবাদের (Khalistan) বিরুদ্ধে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তো বটেই, বিদেশেও মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি (Khalistani) আন্দোলন। নিরন্তর নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু মন্দিরগুলিকে (Hindu Temples)। খালিস্তানিদের এই আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন, যে কোনও ধরনের হিংসা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করে আমেরিকা। তিনি বলেন, আমেরিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হল ধর্মীয় বহুত্ববাদ। নেড প্রাইস বলেন, যারা এর উল্টো কার্যকলাপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরও নিন্দা করে।

    নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন…

    অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানিরা। এদিন সে প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র (Ned Price) বলেন, হিংসার যে কোনও ধরনের রূপেরই আমরা নিন্দা করি। হিংসার হুমকি দেওয়ারও নিন্দা করি। যে কোনও ধরনের হিংসা, জঙ্গি কার্যকলাপেরও নিন্দা করি। তিনি বলেন, আমেরিকা এমন একটি দেশ যাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ রয়েছে। এরই একটি হল, ধর্মীয় বহুত্ববাদ। সব ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীলতাও রয়েছে। যাঁরা কোনও ধর্মপথের অনুসারীও নন, তাঁদেরও আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন, যাঁরা এর উল্টো পথের যাত্রী, তাঁদের আমরা নিন্দা করি।

    কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে গৌরী শঙ্করের মন্দির। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে ওই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় কেউ বা কারা। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। দূতাবাসের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, ব্রাম্পটনের গৌরী শঙ্করের মন্দির ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই মন্দিরের দেওয়ালে যে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছিল, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। মন্দির ভাঙচুরের এই ঘৃণ্য ঘটনা কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। কানাডা সরকারের কাছে আমরা এ ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছি।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    কেবল কানাডা নয়, অস্ট্রেলিয়ায়ও একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিপন্থীরা। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্কে থাকা হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ২৩ জানুয়ারি। মন্দিরের দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। অস্ট্রেলিয়ারই ক্যারাম ডাউনে শিব বিষ্ণুর মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে খালিস্তানিরা। সেখানেও মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত বিরোধী স্লোগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share