Tag: hindu

hindu

  • Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসলামি মৌলবাদীরা, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য হিন্দু সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। দুর্গাপুজো যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীগুলির হুমকি এবং জুলুমবাজি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ৫ অগাস্ট, ছাত্র আন্দোলনের নামে চক্রান্ত করে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনার শাসন কায়েম হলেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

    চাঁদা না দিলে হামলা হবে (Bangladesh)

    সম্পত্তি লুট, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পর উগ্র মুসলমানরা এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উৎসবকে টার্গেট করেছে। দেশের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে চাঁদাবাজির শিকার করা হচ্ছে। এই বছর দুর্গাপুজো করতে ইচ্ছুক যে কোনও পুজো কমিটিকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ছেলে এসে চাঁদার চিঠি দিয়ে গিয়েছে আমাদের ‘বীনাপানি’ নামক দুর্গাপুজো কমিটিকে। এমন চিঠি আরও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও পেয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বাংলায় লেখা, পুজো কমিটিগুলি যদি চাঁদা না দিয়ে অনুষ্ঠান করে, তাহলে হামলার শিকার হতে হবে। বাংলাদেশের সুপরিচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেসবুক পেজ ‘অগ্নিবীর’-এও চাঁদাবাজির হুমকির কথা স্বীকার করেছে। চাঁদার টাকা না দিলে সরকার, পুলিশ এমনকী সেনাবাহিনীর কাছ থেকেও নিরাপত্তাও মিলবে না। শুধু তাই নয়। চিঠিতে পুজো কমিটির সদস্যদের পরিবারকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে মৌলবাদীরা।

    উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালাচ্ছে

    হিন্দু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) কার্যত জামাত শিবির, বিএনপি এবং জেএমবি-সহ একাধিক জেহাদি সংগঠনের দ্বারা সংঘটিত হামলা ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গণতান্ত্রিক সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন না থাকায় বাংলাদেশের হিন্দু সংস্কৃতি, ধর্ম, পুজো এবং সম্পত্তির উপর উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja) তাই মন্দির, মানুষ, পরিবার, ব্যবসা, সম্পত্তি এবং মূর্তিকে টার্গেট করছে দুষ্কৃতীরা। ফলে, গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাপারের সমগ্র হিন্দু সমাজ।

    আরও পড়ুনঃ হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্য়েই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পুজো করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র মুসলমানরা প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভাঙচুরের কাজ করে থাকে। হিন্দুদের রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুরা ন্যায় বিচার কোনও সময় সেই দেশে পায়নি। তবে প্রতিবেশী এই দেশে সাম্প্রতি ক্ষমতার লড়াই এবং জামাতের মতো উগ্র ইসলামপন্থীদের উত্থান, হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা হিন্দু সম্প্রদায় এখন আতঙ্কিত। যদিও চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, সিলেট, গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Illegal Mosque: অবৈধ মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ কংগ্রেস সরকারের, ক্ষোভ সিমলায়

    Illegal Mosque: অবৈধ মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ কংগ্রেস সরকারের, ক্ষোভ সিমলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা আমাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রতি শুক্রবার যখন তালিবানের মতো প্রচুর মানুষ রাস্তায় জুম্মার নমাজে জড়ো হন, তখন আমাদের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়।” কথাগুলি বললেন সিমলার সানজাউলি এলাকার এক হিন্দু (Hindu) বাসিন্দা। এই এলাকায় অবৈধভাবে একটি মসজিদ (Illegal Mosque) নির্মাণ করা হচ্ছে। বেআইনি এই নির্মাণের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন স্থানীয় হিন্দুরা। স্থানীয়দের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে কংগ্রেস প্রশাসন। ১১ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার পরে কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় হিন্দুরা।

    কী বলছেন স্থানীয়রা (Illegal Mosque)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্থানীয় এক হিন্দু (Hindu) মহিলা বলেন, “ওরা অন্য রাজ্য থেকে এখানে এসেছে। আমরা জানি না তাদের মধ্যে কেউ অন্য রাজ্যে কোনও অপরাধ করে এখানে পালিয়ে এসেছে কিনা।” তিনি বলেন, “জুম্মাবারে দেড় থেকে দুহাজার মুসলমান নমাজ আদায়ের জন্য এখানে জড়ো হয়। রাস্তার ওপর বসে নমাজ পড়ে।” তিনি বলেন, “কোভিডের সময় ওরা অবৈধভাবে মসজিদটা (Illegal Mosque) নির্মাণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে দখল করছে স্থানীয় বাজার। আমরা দেখছি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, সাহারানপুর থেকে এখানে লোকজন আসছে। স্থানীয়দের কাউকে দেখিনি।” তিনি বলেন, “সরকার বলছে, ১৯০ জনের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। তাহলে এত মানুষ আসছে কোথা থেকে?” ওই মহিলা বলেন, “স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত তাদের বিষয়ে তথ্য যাচাই করা।”

    প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ কংগ্রেসের

    বেআইনি মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন স্থানীয় হিন্দুরা। অভিযাগ, শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকাতে লাঠিচার্জ করে কংগ্রস-শাসিত হিমাচল প্রদেশের পুলিশ। তার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদেরই একজন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নারী ও হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জ করল। হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করে সানজাউলির দিকে যাচ্ছিল। সুখু সরকারের পুলিশ লাঠিচার্জ করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    স্থানীয় আর এক হিন্দু মহিলা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে সানজাউলিতে রয়েছি। তখন মসজিদটি ছিল একতলা। মসজিদ থাকলেও, কেউ দেখভাল করেনি। সেখানে শিশুরা খেলাধুলো করত। নয়ের দশকের পর এখানে আসেন সেলিম দর্জি। তারপর থেকে মসজিদ নির্মাণে গতি আসে।” তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের দাবি তাদের জমিতে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। আর সরকার বলছে জমিটি তাদের।” অবিলম্বে মসজিদের (Illegal Mosque) বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা (Hindu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নেপালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি, Vishva Hindu Parishad  Nepal) ২০০০ হিন্দুকে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ধর্মান্তরের শিকার হওয়া হিন্দুদের আর একবার নিজের ধর্মে ফিরিয়ে এনে সামজিক ভারসাম্যকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি। নিজের ধর্মে ফিরিয়ে পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার আবহে, সনাতন ধর্মের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিকে আর একবার পুনর্ব্যক্ত করেছে ভিএইচপি নেপাল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হাজার হাজার খ্রিস্টানকেও হিন্দু ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিপথগামী এই ব্যক্তিদের পুনরায় একত্রিত করতে এবং তাঁদের মধ্যে সনাতনী আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করতে একটি হিন্দু আচার অনুষ্ঠানও এদিন পালিত হয়েছে। যাঁরা নিজের ধর্মে ফিরলেন, তাঁরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

    বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের প্রত্যাবর্তন (Nepal Ghar Wapsi)

    নেপাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জাতীয় সংগঠন সম্পাদক, জাতীয় সভাপতি এবং অনেক সমাজকর্মী সম্মিলিত ভাবে এই ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণকারীরা নিজের ইচ্ছায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে সকল নারী ও পুরুষেরর মুখে আনন্দ, হর্ষ এবং উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে, ধর্মান্তরের শিকার ভীম পরাজুলি বলেন, “সনাতন ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে রূপান্তরের জন্য প্রচুর প্রলোভন এবং আর্থিক সহযোগিতার কথা বলা হত। আর ঠিক সেই আবহের মধ্যে পড়ে গভীর ধর্মীয় মেরুকরণের শিকার হয় মানুষ। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে গোটা ষড়যন্ত্রের কুপ্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পারেন সকলেই। যাঁরা অজ্ঞতার কারণে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমরাও ছিলাম। এখন স্বেচ্ছায় আমরা সনাতন ধর্মকে স্বীকার করেছি এবং হিন্দু ধর্মও আমাদের স্বাগত জানিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    হনুমান চাল্লিশা দিয়ে বরণ করা হয়

    নেপালের সুনসারি, মোরাং এবং অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় স্বধর্মে (Nepal Ghar Wapsi) ফিরে আসতে শুরু করেছেন। এদিন যজ্ঞের পর সকল প্রত্যাবর্তনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় হনুমান চালিশা। ফলে মূল বিশ্বাসের শিকড় অন্বেষণ ও স্মরণ করার কাজ সহজ হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে খজরানা গণেশ মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের আটজন ব্যক্তি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। একই ভাবে ঝাড়খণ্ডেও ১৫০ জন মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জানানো হয়েছে, সকলকেই সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান, বিধি-নিয়ম মেনে সনাতন ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) কবিনগর পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যেখানে ৫৫ বছর বয়সি সুশীলকুমার শর্মা, ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ব্রেনওয়াশ করে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Convert Islam) করার চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত সুশীল কুমারের স্ত্রীর সহকর্মী হলেন অভিযুক্ত ফয়সাল খান। নিজের অভিযোগপত্রে, সুশীল শর্মা আরও জানিয়েছেন যে ফয়সাল খান জোরপূর্বক এই ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুশীলের স্ত্রী (Convert Islam)

    ওই এফআইআর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সুশীল শর্মার স্ত্রী ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলা বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষিকা এবং বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখানেই কম্পিউটার শেখাতেন অভিযুক্ত ফয়সাল। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সুশীল শর্মার স্ত্রী হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান এবং তাঁকে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দপুরানে, এই জায়গা ফয়সালের (Convert Islam) বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।

    সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন (Convert Islam)

    এরপর হঠাৎই একদিন বাড়িতে সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, শাঁখা-সিঁদুর-টিপ এই সমস্ত কিছু আর তিনি পরছিলেন না। এতেই সন্দেহ জাগে। এরপরেই  পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীল শর্মা। সুশীল শর্মা অভিযোগ তুলেছেন যে ফয়সাল শেখ তাঁর স্ত্রীকে প্রলোভন (Ghaziabad) দেয় রাজকোটের একটি স্কুলে মোটা মাইনের চাকরিরও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমানবিকতা চূড়ান্ত নিদর্শন! অকুস্থল সেই বাংলাদেশ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral Video) ছিছিক্কার হিন্দু সমাজে। বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশের একটা বড় অংশ। এমনই এক বানভাসি এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে এক মৌলবী। হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক হিন্দু বালক। তার গলা থেকে পৈতের সুতো কেটে ফেলে দিল সেই মৌলবী (Bangladesh Crisis)। তার পরেই দেওয়া হল ত্রাণসামগ্রী। বাংলাদেশের নোয়াখালি এলাকার ভিডিও। অবশ্য ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম

    মৌলবীর কীর্তি (Bangladesh Crisis)

    হিন্দুর ছেলে পৈতে ছিঁড়ে দিলেও, মৌলবীর মাথায় রয়েছে টুপি, দাড়িও। তার সঙ্গে আরও দুই তরুণকে দেখা যাচ্ছে। বালকটির কাছে এসে তারা দাঁড়াল। এর পরেই মৌলবী তার পৈতে ছিঁড়ে দিল। তার সঙ্গী যুবক হাতে ধরিয়ে দিল প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকা ত্রাণসামগ্রী। ত্রাণসামগ্রী হাতে নিয়ে বালকটি মৌলবীকে বলছে, তার পৈতে ফিরিয়ে দিতে। অন্য এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ছেলেটি যদি ফের পৈতে পরে, তাহলে সে মন্দ ভাগ্যের শিকার হবে। তার জীবনে নেমে আসবে অভিশাপ। মৌলবীর সঙ্গী অন্য যুবকটি আবার বালকটিকে হুমকি দিচ্ছি, পৈতে ফেরত চাইলে সে ত্রাণসামগ্রী পাবে না। ওই দুই (Bangladesh Crisis) যুবক তাকে ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলে। পরে গুডবাই জানিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে বলে যায়, “যাও, যাও আশা করি তুমি সুখী, এবার গুডবাই বলো।”

    হিন্দুমেধ যজ্ঞ

    সংরক্ষণকে ঘিরে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তারই আঁচ এসে লাগে সে দেশের হিন্দুদের গায়ে। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ৬৫০-এরও বেশি হিন্দুকে। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দু মহিলাদের। ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে সে দেশের সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে। মুসলমান দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে হিন্দুদের মন্দির। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর হিন্দুদের ওপর অত্যাচার আরও চরমে ওঠে। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ হল, বাংলাদেশি হিন্দুরা হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। হিন্দু বিতাড়নও আর একটা কারণ। হিন্দুদের তাড়িয়ে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় মৌলবাদীরা (Viral Video)। তার জেরেই বাংলাদেশে হয়েছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির মেয়েকে অশ্লীল টেক্সট পাঠানোর প্রতিবাদ করায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এক হিন্দু তরুণীর বাড়িতে গিয়ে শ’চারেক মুসলমান (Muslims Attack Hindus) হুমকি দিচ্ছে, “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব (বাংলাদেশ বানা দেঙ্গে)”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুমকিই প্রমাণ করে ভারতে মুসলমানদের বাড়বাড়ন্ত।

    হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ 

    ফেরা যাক খবরে। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে এক হিন্দু তরুণীকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছিল মুজাম্মেল নামে এক মুসলমান যুবক। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পরেই শ’চারেক মুসলমান হামলা চালায় ওই হিন্দু তরুণীর বাড়িতে (Muslims Attack Hindus)। তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এই সময়ই হেনস্থাকারীরা তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দেওয়ার। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয় বাংলাদেশে। সেই আবহে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ অত্যাচার করা হয়। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বহু হিন্দু মহিলাকে। অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    বাড়ি বিক্রির হিড়িক

    বিজনোরের এই ঘটনার পরে ওই মহল্লায় বাড়ি বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদস্বরূপ, হিন্দুরা জানিয়ে দেয়, তাঁরা ওই মহল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বহু বাড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘হাউস ফর সেল’ লেখা বোর্ড। তবে, দ্রুত পদক্ষেপ করে যোগীর পুলিশ (Muslims Attack Hindus)। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তাই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেলকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনোরের চাঁদপুরের সারাই রফি মহল্লার মহম্মদ মুজাম্মেল এলাকারই এক হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠায়। ঘটনাটি ওই তরুণী তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পর ওই তরুণীর এক আত্মীয় মুজাম্মেলকে ভয়েস মেসেজ পাঠায়। ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মুসলমনরা। শুধু তা-ই নয়, এর পর তিন থেকে চারশো মুসলমান হামলা চালায় ওই তরুণীর বাড়িতে। হুমকি দেওয়া হয় বাংলাদেশ বানানোর।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    এ কোন সকাল!

    এই সময় প্রতিবাদ করেন স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু। অভিযোগ, তাঁদের ওপরও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জখম হন কয়েকজন। এক মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করে মুসলমানরা। ভয়ে বাড়ি-ঘরদোর বিক্রি করে মহল্লা ছেড়ে অন্য চলে যেতে চাইছেন সেখানকার হিন্দুরা (Muslims Attack Hindus)।

    উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা ভয়াবহ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। তবে বাংলায় মাস কয়েক আগেই এমন হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরকে। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি দু’ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে তোমাদের (হিন্দুদের!) ডুবিয়ে না দিই, রাজনীতি ছেড়ে দেব। শক্তিপুরে আপনাদের লোককে থাকতে দেব না। মনে রাখবেন, এখানে আপনারা ৩০ শতাংশ, আমরা ৭০ শতাংশ।”

    এ কোন সকাল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ, ইসলামি রাষ্ট্রই ভবিষ্যৎ?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ, ইসলামি রাষ্ট্রই ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র! তবে মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) চিরকালই হয়ে আসছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Violence Against Hindus)। যে দেশে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দেশের সাহায্যেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সূর্য দেখে বাংলাদেশ। আর সেই দেশেই প্রায়ই হয়েছে হিন্দুমেধ যজ্ঞ। কারণ ছাড়াই যখন তখন নির্বিচারে চলেছে হিন্দু-হত্যা।

    ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান (Bangladesh Crisis)

    এখন যেটা বাংলাদেশ, ব্রিটিশ জমানায় সেটা ছিল অখণ্ড ভারতে। দেশভাগের পর মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশ চলে যায় অখণ্ড পাকিস্তানে। ভারতের সহায়তায়  একাত্তরে স্বাধীনতার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতের প্রতি, আরও স্পষ্ট করে বললে হিন্দুদের প্রতি কখনওই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি অকৃতজ্ঞের (নিন্দুকরা বলে) দল! তাই মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান ওঠে বাংলাদেশেও।

    ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক

    যে দেশের মানুষ এত অকৃতজ্ঞ (?), সে ‘দেশে’ (দেশ বলা যায় না কারণ তখনও স্বাধীন হয়নি বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড। স্বাধীন হয়নি ভারতও) হিন্দু নিধন চলছে সেই ১৯৪৬ সাল থেকে। ভারত স্বাধীন হতে তখনও বছরখানেক বাকি। ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’ ঘোষণা করে মুসলিম লিগ কাউন্সিল। মুসলমানদের জন্য নিজস্ব একটা দেশের জন্য ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু এবং হিন্দু নেতাদের আতঙ্কিত করা। কলকাতার তৎকালীন মেয়র এসএন উসমান এবং কলকাতা মুসলিম লিগের সেক্রটারি লিফলেট বিলি করেন। তাতে লেখেন, ‘কাফের, তোদের ধ্বংসের আর দেরি নেই। সার্বিক হত্যাকাণ্ড ঘটবে।’

    আরও পড়ুন: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    হিন্দু-হিংসার সেই শুরু

    এর পরেই শুরু হয় হিংসা। হিন্দু-হিংসার সেই শুরু। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় হিন্দুদের। কলকাতার বিভিন্ন পকেটে নির্বিচারে চলে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। অধুনা বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ব্যাপক গণহত্যা হয়। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, অপহরণ, লুট-রাহাজানি কী হয়নি অশান্তির সেই সময়। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে হিন্দুদের জমি-জমা। চোদ্দ পুরুষের ভিটে ছেড়ে এক বস্ত্রে স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের নিয়ে নোয়াখালি ছেড়ে এপারে চলে এসেছেন বহু হিন্দু। যাঁরা কোনওক্রমে ভিটে আঁকড়ে পড়েছিলেন, তাঁদের অবস্থা কহতব্য নয়। হিংসার এই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল মুসলমান অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায়। যার জেরে বেঘোরে প্রাণ যায় হাজার হাজার নিরীহ হিন্দুর (Bangladesh Crisis)।

    পূর্ব পাকিস্তানে সেনা অভিযান

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারতে ওঠে (Violence Against Hindus) স্বাধীনতার সূর্য। এদিনই মধ্যরাতে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন পাকিস্তানও। তার ঢের আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সীমানা তৈরির কাজ। এই সময়ই ঠিক হয়, মুসলিম অধ্যুষিত অধুনা বাংলাদেশ চলে যাবে পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্না ঢাকায় সিভিক রিসেপশনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, কেবল উর্দু। প্রতিবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবি তোলেন তারা। তার জেরে পূর্ব পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালায় পাকিস্তান সরকার।

    ফের গণহত্যা

    ফের গণহত্যা হয় ১৯৭১ সালে। এবার পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা দাবি করে পূর্ব পাকিস্তান। এই সময়ও নির্বিচারে চলে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এই সময় ব্যাপক হিন্দু হত্যা হয়। হিন্দু মা-বোনেদের ধর্ষণ এবং অপহরণ করা হয়। এবারও চলে লুটতরাজ। আবারও ভিটে ছাড়া হন বাংলাদেশি হিন্দুদের একটা বড় অংশ। ১৯৯২ সালে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ। তার জেরে বাংলাদেশে ফের শুরু হয় হিন্দু হত্যা। এবারও কয়েকশো হিন্দুকে হত্যা করা হয়। ঢাকায় ভোলানাথ গিরি আশ্রমে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চালানো হয় লুটপাট। হিন্দু মালিকানাধীন সোনার গয়নার দোকানেও লুটতরাজ চালায় দুষ্কৃতীরা। ১৯৯৩ সালের ৭ ডিসেম্বর হামলা হয় ইতিহাসখ্যাত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এদিনই লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হামলা চালায় হাজার পাঁচেক মুসলমান।এখানেই হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ বনাম ইন্ডিয়া এ-র ম্যাচ। ঘটনার জেরে ভন্ডুল হয়ে যায় ম্যাচ।

    সাম্প্রতিক হিংসা

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে। তার আগেও হিন্দুদের বহু বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। খুলনা ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়। বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামি লিগের সমর্থক। তাই সাম্প্রতিক অতীতে সে দেশে যে হিংসা হয়েছে, তার বলি হয়েছেন ৬৫০জন হিন্দু। অন্তত রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। হিন্দুদের হাজারের বেশি মন্দির ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হাজারো মহিলা শিকার হয়েছেন যৌন নির্যাতনের (Bangladesh Crisis)।

    কমছে হিন্দু

    ১৯৪০ সালে বাংলাদেশে হিন্দু ছিল মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। কমতে কমতে সেটাই এখন দাঁড়িয়েছে ৮.৯৬ শতাংশে (২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী)। যেভাবে হিন্দু নিধন চলছে, তাতে অচিরেই হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বিপদ হবে ভারতেরই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দু শূন্য বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আক্ষিরক (Violence Against Hindus) অর্থেই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম (Hindu Scripture Classes)। এই ধর্মের বহু গ্রন্থে পাঠ দেওয়া হয়েছে জীবন চর্যার, জীবন দর্শনের। সনাতনীরা এই দর্শন জানেন। জানেন না বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ। তাঁরাও যাতে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে খুঁজে নিতে পারেন জীবন চর্যার মণিমুক্তো, তাই পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। আজ্ঞে হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডেই (New Zealand) চালু হয়েছে এই শিক্ষার আসর।

    কী শেখানো হয়? (New Zealand) 

    সে দেশের রোটোরুয়ায় হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ফি রবিরার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ক্লাস। ক্লাস করেন সাত থেকে সত্তর – সবাই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কেউই অংশ নিতে পারেন এই ক্লাসে। শেখানো হয় সংস্কৃত শ্লোক এবং মন্ত্র। সহজ সরল ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেগুলোর অর্থও। হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে জীবন চর্যার যে পাঠ রয়েছে, তাও দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে যাঁরাই আগ্রহী, তাঁরাই যোগ দিতে পারেন এই ক্লাসে। প্রথম ক্লাস হয়েছে ২১ জুলাই, গুরু পূর্ণিমার দিন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী (New Zealand), দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। তাই এই দিনেই শুরু হয়েছে প্রথম ক্লাস।

    শিক্ষক পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

    ক্লাস করাচ্ছেন ঈশ্বরী বিদ্যা নামে একজন। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ক্লাস রুমে তিনিই নিয়ে আসেন সিন্ধু ছেঁচে মুক্তো। জন পল কলেজে অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের পাঠও দেন ঈশ্বরী। বলেন, “আমার মা ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের সংস্কৃত শেখাতেন। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সংস্কৃত শ্লোক-মন্ত্র। এই জ্ঞানটাই আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চাই।”

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    নিউজিল্যান্ডের হিন্দু কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট গুনা মাগেসান বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই এই জাতীয় একটা ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। ক্লাস শুরুর পরে দেখলাম অনেকেই হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি, নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য শহরেও আমরা এটাকে ছড়িয়ে দেব।” নিউজিল্যান্ডের আগে এমন ক্লাস শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকেও। সেখানকার বিভিন্ন মন্দির এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্বের পাঠ দিতে এমন ক্লাসের আয়োজন করে। ব্রিটেনেও হিন্দুত্ব শিক্ষার ক্লাস হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে লন্ডনেও। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে (New Zealand)। বিশেষত, যাঁরা প্রবাসী ভারতীয়, তাঁদের মধ্যে। বিশ্বের যত দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে, ততই প্রসার হবে হিন্দু ধর্মের। সনাতন ধর্ম (Hindu Scripture Classes) সুরক্ষিত থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Love Jihad: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    Love Jihad: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লাভ জিহাদের ঘটনা। ঘটনাস্থল আবারও সেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। চিত্রনাট্যও মোটামুটি এক। ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে (Love Jihad) ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ দুই মুসলমান তরুণের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের খোদা এবং ক্রসিং রিপাবলিক এলাকার ঘটনা।

    অক্ষয় ‘সেজে’ প্রতারণা

    ক্রসিং রিপাবলিক এলাকার এক যুবতীর অভিযোগ, ২০১৫ সালে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় জনৈক অক্ষয়ের। সেই সময় তিনি পড়তেন লখনউ কলেজে। অক্ষয় বি টেকের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল। মুসলমান পরিচয় গোপন করতে সে নিয়মিত যেত মন্দির দর্শনে। হাতে পরত কালভা (সুতোর তৈরি তাগা, পবিত্র বস্তু বলে মানেন হিন্দুরা)। প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হলে অক্ষয় ওই তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ভালোবাসার মোহে অন্ধ হয়ে তাতেই রাজি হন ওই তরুণী। এর পর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অক্ষয় তাঁকে লখনউয়ের একটি হোটেলে ডেকে পাঠায়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর ওই তরুণীকে একটি স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা করে দেয় অক্ষয় নামধারী ওই মুসলমান যুবক। পরে তিনি জানতে পারেন স্কুলটি আদতে মুসলমানদের একটি প্রতিষ্ঠান।  

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    ওই যুবতীর অভিযোগ, অক্ষয় নিয়মিত কোকেন, কেমিক্যাল কোক সেবন করে। তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর খাবারে গর্ভনিরোধক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হত। তাই প্রত্যেক বারই তাঁর গর্ভপাত হয়ে যেত। পরে একদিন ওই যুবতী জানতে পারেন, অক্ষয় বলে যাঁকে তিনি ভালোবাসেন, সে আসলে মহম্মদ ফয়জান। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় বলেও অভিযোগ।

    সমীর সেজে প্রতারণা

    দ্বিতীয় ঘটনাটি খোদা এলাকার। এ ক্ষেত্রে এক মুসলমান যুবক নিজেকে সমীর বলে পরিচয় দেয় (Love Jihad)। এখানেও পাছে মুসলিম পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়, তাই সে সব সময় তিলক পরে থাকত। হাতে পরত কালভা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলাপ হয় তরুণীর সঙ্গে। মার্চের ১৫ তারিখে বাড়িতে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে তরুণীটি জানতে পারেন, সমীর বলে যে পরিচয় যুবকটি দিয়েছিল, সেটি ভুয়ো। যুবকটি আসলে মুসলমান (Uttar Pradesh)। সমীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Love Jihad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “ধর্মনিরপেক্ষ, অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কী করে?” প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির

    Bangladesh Crisis: “ধর্মনিরপেক্ষ, অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কী করে?” প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বারবার হিংসার শিকার হন হিন্দুরা। এর বীজ লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবিধানেই। এমনই মত প্রকাশ করলেন বাংলাদশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সুরেন্দ্রকুমার সিনহা। তাঁর মতে একটি রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হলে কী করে তার রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম হয়? তিনি বলেন, “আপনার (সংবিধানে) ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে কিন্তু আপনি ইসলামকেও রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রেখে দেবেন—দুটো বিষয় তো একসঙ্গে চলতে পারে না।” তাঁর মতে, বাংলাদেশকে সেক্যুলার হতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। 

    সত্যিই কি ধর্মনিরপেক্ষ(Bangladesh Crisis) 

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)  প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সুরেন্দ্রকুমার সিনহার মতে, শেখ হাসিনার একটি পদক্ষেপেই হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের সময় দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল এক মৌলিক বিষয়। তবে, ১৯৮৮ সালে সামরিক শাসক এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এরশাদের বিদায়ের পরও দীর্ঘদিন বাংলাদেশের পরিচয় মুসলিম দেশই ছিল। এই সময় খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা দুজনেই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংবিধান ফের সংশোধন করে বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক বিষয় হিসেবে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তবে, একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবেই থাকবে।

    সুরক্ষিত হিন্দুরা!

    হাসিনা সরকারের আকস্মিক পতনের পর, বাংলাদেশে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu) ওপর অত্যাচার চলছে। সম্প্রতি হিন্দুদের উপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা। ইসকন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন। সেখানে তিনি জানান, বাংলাদেশে হিংসা, ঘৃণা বা সংঘাতের কোনও স্থান নেই। হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই বাস করেন। বৈঠকে ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ই উপদেষ্টাকে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানান। পাশাপাশি আট দফা দাবিও পেশ করা হয়। তাতে সংখ্যালঘু সুরক্ষায় নতুন আইন তৈরি, সংখ্যালঘু সেল তৈরি, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং মন্দিরের জন্য সরকারি সুরক্ষার  দাবি জানানো হয়েছে। তবে, সরকার হিন্দুদের সুরক্ষায় যতই আশ্বাস বাণী শোনাক, সাধারণ মানুষ কিন্তু অন্য কথাই বলছেন। বাংলাদেশের হিন্দুদের অভিযোগ, নিরাপত্তার বদলে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। 

    রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবি 

    বাংলাদেশে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu) উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, “রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে আমরা ইসলামকে রাখব এবং সেই সঙ্গে বলব আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। এটা একসঙ্গে চলতে পারে না। বাংলাদেশকে সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ দেশে পরিণত করতে চাইলে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে হবে। আপনার ধর্মনিরপেক্ষতাও থাকবে, কিন্তু সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলা হবে, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।” আর এই দুই নৌকোয় পা দিয়ে চলা বন্ধ না হলে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারও বন্ধ হবে না বলে মত তাঁর। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এখনও পর্যন্ত একমাত্র হিন্দু, যিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। তবে, ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে হাসিনা সরকারের বিবাদ বেধেছিল। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায় নিয়ে তাঁকে পদত্যগ করতে হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    সম্পত্তি আইন নিয়ে প্রশ্ন

    বাংলাদেশের সম্পত্তি আইন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এতে হিন্দুদের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সম্পত্তি আইনের মতো আইন থাকতে পারে না। এই আইনের বলে হিন্দুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। একইভাবে, হিন্দু মন্দির পরিচালনার জন্য আলাদা আইন থাকতে পারে না। যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং সাম্য বজায় থাকে, তবেই বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে থাকবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share