Tag: hindu

hindu

  • Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিরুদ্ধে। মুসলমানদের রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার পার্টির। সেখানেই রামনবমীর (Ram Navami) উৎসব পালন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, মাত্র কয়েকদিন আগেই একই ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়েছিল?

    রামনবমী পালনের অনুমতি নয় (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি নোট জারি করে জানানো হয়, “উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।” প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে হিংসা রোধে ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে অপসারণ করেছেন। তাই আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য উপাচার্যের পদ। সেই যুক্তি দেখিয়েই হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অন্য আয়োজকরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে একে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব বলে অভিযোগ করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি।

    রামনবমী পালন হবেই!

    রামনবমী উৎসব পালনের অন্যতম প্রধান আয়োজক সোমসূর্য ব্যানার্জি বলেন, “আমরা এ বছর ক্যাম্পাসের ভেতরেই রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবার প্রথমে অনুমতি মিললেও, পরে প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি চেয়েছি। কোনও অবস্থায়ই পিছু হটব না।” তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে আমরা কেন রামনবমী পালন করতে পারব না? আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। যদি কেউ আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তার মোকাবিলা করব।” প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করার অভিযোগও করেন সোমসূর্য। তিনি বলেন, “প্রশাসনের দুটি সম্প্রদায়ের জন্য দুটি আলাদা নিয়ম কেন? আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা থাকা উচিত। উৎসব পালনের অধিকার সকলেরই থাকা প্রয়োজন (Jadavpur University)।

    বাধা এসএফআই-ও

    হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী (Ram Navami) পালন করতে উদ্যোগী হলেও, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইও। সংগঠনের তরফে এক সদস্য বলেন, “এবিভিপি এই অনুষ্ঠানের পিছনে আছে। তবে আমরা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে রামনবমী পালন করতে দেব না। আমরা বাইরের লোকদের প্রবেশ করতেও দেব না। ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করতে দেব না।” এসএফআইয়ের এই বক্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হিন্দু ছাত্ররা এসএফআই এবং অন্যান্য বামপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের ধর্মীয় অধিকার দমন করার অভিযোগ তুলেছে। যদিও তারা অন্য ধর্মের উৎসব পালনকে সমর্থন করছে। হিন্দু ছাত্র সংঘের এক নেতা বলেন, “এটি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের পুরানো ভণ্ডামি। তারা মুখে সমন্বয়ের কথা বলে, কিন্তু হিন্দু উৎসব বন্ধ করতে যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারে।”

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার ট্রাস্টি বোর্ডের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সিংহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বামপন্থীদের ঘাঁটি হিসেবে চিত্রিত করা হয়, কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। এদের উন্নতি বা অগ্রগতিতে কোন আগ্রহ নেই। এদের একমাত্র লক্ষ্য হল অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং তাদের মতাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোনও কণ্ঠস্বরকে দমন করা। আমরা আর তাদের শর্ত চাপিয়ে দিতে দেব না। আমরা (Jadavpur University) প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মোকাবিলা করব।” গত কয়েক মাসে নানা সময় অশান্ত হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মার্চ মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সফরের (Ram Navami) সময়ও ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়। মন্ত্রীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীকে ঘেরাও করার পাশাপাশি তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এর পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে।

    এখানেও সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি‍!

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রামনবমী পালনের জন্য ছাত্রদের দেওয়া অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন। ১৫ এপ্রিল অনুমতি দেওয়া হলেও, ঠিক তার পরের দিনই কোনও কারণ না দর্শিয়েই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। অভিযোগ, সেবারও উৎসব পালনে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। উৎসব বন্ধের দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছিল (Ram Navami)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির সেই ধারা। সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ইফতার পার্টির আয়োজনের। আর সেই একই কারণে (Jadavpur University) বাধা দেওয়া হচ্ছে রামনবমী (Ram Navami) পালনে।

  • PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মুখোমুখি বৈঠক হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। তাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হল পার্শ্ববৈঠক।

    বৈঠকে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের রাশ নেয় ইউনূস প্রশাসন। তারপর এই প্রথম হল মোদি-ইউনূস বৈঠক। বৃহস্পতিবার বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার। সেই সময়ও দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার হয় মুখোমুখি বৈঠক। ব্যাংককের শিংরিলা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু দয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতের কাছে একাধিকবার আর্জি জানানো হয়েছিল। প্রথমে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী। শেষমেশ অনেক অনুরোধ করায় রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী নিয়ে হল আলোচনা?

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাত্কার সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘মোদি বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত ভারতের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন। বিদেশ সচিব জানান, বৈঠকে ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থনের কথাও ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সীমান্ত আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ নিয়েও আলোচনা করেন।’’

    এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী। দীর্ঘ সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এদিনের বৈঠকে ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে মিস্রি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি শুধু বলেন, এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না, এবং আগেই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছ থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছে (PM Modi)।

  • Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মহিলাদের এয়োতির চিহ্ন মুছে ফেলতে বলছে পুলিশ! শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Mothabari Allegations)! কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে হিন্দু মহিলাদের! হিন্দু মহিলাদের (NCW) এমনই অভিযোগে তপ্ত মোথাবাড়ি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানান, তাঁদের কাছে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। মহিলা কমিশন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষবৃক্ষে এবার ফল ধরতে শুরু করেছে! ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের রেশ আছড়ে পড়েছে এবার বাংলার মোথাবাড়িতেও। এমনই আবহে আজ, সোমবার রেড রোডে ইদের নমাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, “কেউ গোলমাল পাকাতে এলে মনে রাখবেন, দিদি আছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দিদির এহেন মন্তব্য যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাংক অটুট রাখা, তা পরিষ্কার। এই মুসলমানদের ভোটের জেরেই এ রাজ্যে টানা ১৪ বছর ধরে চলছে দিদি-রাজ!

    শাঁখা-পলা খুলে ফেলার নিদান (Mothabari Allegations)

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে মালদার মোথাবাড়িতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় ৬১ জনকে। ইদ এবং রামনবমীর আবহে প্রমাদ গোণে প্রশাসন। বিশাল বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। তাঁর হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের রশি। এই পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মোথাবাড়ির হিন্দু মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ হিন্দু মহিলাদের বলছে শাঁখা-পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ, রাতের বেলায় লুকিয়ে থেকে অত্যাচার করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ঢিল। সভানেত্রীর অভিযোগ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    শুধু হিন্দুদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে!

    মোথাবাড়িতে (Mothabari Allegations) যে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই হিন্দু বলে অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম শিবিরের আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে অপর সম্প্রদায়ের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “মালদার মোথাবাড়ি ঘটনা: পুলিশের নিরপেক্ষতা কোথায়? মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বিচার ব্যবস্থা একতরফা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করছে, আমি সেই তালিকায় তথাকথিত দুধ দেওয়া গরুদের দেখতে ব্যর্থ। মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ জাতের গরুর দুধ পান করেন, কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা কেন তাদের আগ্রাসনের শিকার হবেন?”

    হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক!

    তিনি আরও লিখেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা, অ্যাডভোকেট রিঙ্কি চ্যাটার্জির প্রোফাইল থেকে আমি পেয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু সম্প্রদায় পক্ষপাতদুষ্ট নীতির শিকার হয়েছে। যারা ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে দোকান ভাঙচুর করেছে, এবং হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ ভোট ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি লেখেন, এই ঘটনাটি আরও একবার হাইলাইট করে যে পশ্চিমবঙ্গের আইন (NCW) প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের (Mothabari Allegations) প্রতি অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এমনকী যখন হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, তখন অপরাধীদের বদলে গ্রেফতার করা হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরই। প্রশাসন কি তাহলে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখে? এই বৈষম্যমূলক অবস্থান কি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত? আর এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের নতুন বাস্তবতা?”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য

    একটি খবরের চ্যানেলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মোথাবাড়িতে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে। সেই প্রতিবেদনের ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তরুণজ্যোতি। এরই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা মারাত্মক অভিযোগ। হিন্দু মহিলারা শাখা পলা পরতে পারবেন না?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জাতীয় মহিলা কমিশনের উচিত এই বিষয়টা দেখা এবং ওখানে টিম পাঠিয়ে বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করা’’ গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী-নেতার পোস্টটি শেয়ার করে অর্চনা মজুমদার লেখেন, “জাতীয় মহিলা কমিশন মালদার মোথাবাড়ি থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়ে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। একটি দল ৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ন্যায়বিচার আমাদের অগ্রাধিকার (Mothabari Allegations)।”

    এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় রুজু হয়েছে ১৯টি মামলা। গ্রেফতার (NCW) করা হয়েছে ৬১ জনকে। এলাকায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা (Mothabari Allegations)।

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal Unrest)। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল ঘরবাড়ি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা জনতার। অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার পরেও নেভেনি অশান্তির আগুন। যার জেরে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন সাংবাদিক-সহ দুজনের। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিংকুনের কান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নেপালে রাজতন্ত্র (Nepal Unrest)

    হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশ নেপাল। এক সময় দেশটিতে ছিল রাজতন্ত্র। বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত ছিল দেশটি। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। ঘুচে যায় হিন্দু রাষ্ট্রের তকমাও। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছেন নেপালের নাগরিকরা। শুক্রবার সেই আন্দোলনই ব্যাপক আকার ধারণ করে। যার বলি হলেন দুজন।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

    জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ

    তার জেরেই বেঁধে যায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে জনতা। বিক্ষোভ দমনে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তার পরেও আন্দোলনকারীদের দমন করতে না পেরে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। অশান্তি এড়াতে কাঠমাণ্ডুজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ বাণেশ্বর এলাকায় যাওয়ার পথে বহু তরুণকে আটক করে পুলিশ (Nepal Unrest)।

    মিছিলে যোগী আদিত্যনাথের ছবিও

    এদিন আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন ‘নেপাল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘দেশে রাজতন্ত্র ফিরে আসুক’। এই দাবিতে টিংকুনে এলাকায় পথে নামেন হাজার হাজার রাজতন্ত্র সমর্থক। নেপালের জাতীয় পতাকা ও দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি হাতে ‘রাজা আসুন, দেশ বাঁচান’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই’ – স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে জ্ঞানেন্দ্রর পাশাপাশি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও তুলে ধরেছিলেন অনেকে। জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই সময় কয়েকটি এলাকায় কাউকে রাস্তায় বেরতে দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছিল শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার অশান্তির পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০ জনকে (Nepal Unrest)।

    রাজতন্ত্রের অবসান

    ২০০৮ সালে সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে অবসান ঘটে নেপালের ২৪০ বছরের পুরানো রাজতন্ত্রের। হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল পরিণত হয় ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। এর ঠিক সতের বছর পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ একটি ভিডিও বার্তা দেন। নেপালে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানান জনগণের কাছে। তার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে রাজতন্ত্রের সমর্থক দলগুলি। গত ৯ মার্চ জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থনে বিশাল মিছিল হয় নেপালে।জানা গিয়েছে, এদিনের এই প্রতিবাদ নেতৃত্বে ছিল নাওয়ারাজ সুবেদীর নেতৃত্বাধীন যৌথ আন্দোলন কমিটি। এছাড়াও, রাজেন্দ্র লিংডেনের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক দল (আরপিপি)-ও এই আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, যা ব্যাপকভাবে রাজতন্ত্রপন্থী দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করে। গত কয়েক মাসে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর প্রতি সমর্থন বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এদিন ব্যাপক অশান্তি হয় নেপালে।

    এদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার)-এর প্রধান পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডর হুঁশিয়ারি, রাজতন্ত্রের বাহিনীরা যেন স্বাধীনচেতা নেপালবাসী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বল না ভাবে। রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ যেন ফের একই ভুল না করেন (Nepal Unrest)।

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খ্রিষ্টান, শিখ, হিন্দু বা আহমদিয়াদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindu) প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সংখ্যালঘু সমাজের নারী বা বাচ্চা মেয়েরা পর্যন্ত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রতিনিয়ত খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হওয়ার কারণে তাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলে পাক-সরকার ও প্রশাসনের মদতেই। বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চরম অত্যাচার এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

    নানা প্রতিবেদনে উঠে আসছে নির্যাতন প্রসঙ্গ

    সংসদে বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানান, বহু প্রতিবেদনে পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Attacks on Hindu) বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, অপহরণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনা উঠে আসছে। এর ফলে ওয়াঘার ওপারের লোকেরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে সিং বলেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে এমন ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে হিন্দুদের অপহরণ, ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’’

    পাকিস্তান থেকে এসে ভারতে বসবাস

    এছাড়াও, সংসদে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের (Attacks on Hindu) বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না। সিং জানান, ‘‘পাকিস্তানের অনেক হিন্দু সদস্য ভারতীয় ভিসার জন্য ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন। এই আবেদনগুলি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া করা হয়। কিছু হিন্দু যাঁরা বৈধ ভিসায় ভারত এসেছে, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানে ফিরে যাননি।’’ তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থী যারা স্থায়ী বসবাস এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার (LTV) অধিকারী হতে পারেন, যা বিদ্যমান আইনী ব্যবস্থার অধীনে।

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

LinkedIn
Share