Tag: hindu

hindu

  • India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের! রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় (India Canada Relation) খালিস্তানপন্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ পথে নামেন। এদিনের (Justin Trudeau) প্রতিবাদ মিছিলে বেশ কিছু শিখকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যে খালিস্তানিদের তোল্লাই দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই একজোট হয়েছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু ও শিখরা।

    হিন্দু জাগরণ! (India Canada Relation)

    এদিন প্রতিবাদীদের একদল যখন রাস্তা অবরোধ করছিলেন, তখন অন্যদল খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এদিনের এই প্রতিবাদ-যাত্রার আয়োজক ছিল উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংগঠন কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ ইন নর্থ আমেরিকা। এই প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষ্যই ছিল, খালিস্তানিদের অযৌক্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় ঐক্য ও সাহসিকতার বার্তা দেওয়া। কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক ধরনের (India Canada Relation) জাগরণ। আগে কখনও হাজারে হাজারে হিন্দু এমনভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেনি। খালিস্তানপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। আর হিন্দুরা সংগঠিত হয়ে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে।” তিনি জানান, এদিন সব সম্প্রদায়ের মানুষই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি হিন্দু সভা মন্দিরে ছিলাম। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইরানি সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও পিল পুলিশের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন।” সাংবাদিক মোচা বেজিরগান জানান, খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। সড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্রাম্পটন। এদিনের প্রতিবাদে হিন্দু এবং শিখ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেন। পিল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন প্রতিবাদীরা।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবাদী বলেন, “শিখরা আমাদের ভাই। খালিস্তানপন্থীরা শিখ নয়। আমার শিখ বন্ধু ও ভাইয়েরা আছেন এবং তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি চাই (Justin Trudeau) কানাডাবাসী এটি জানুক।” তিনি বলেন, “একটি মন্দিরে আক্রমণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। আমরা একত্র এবং ঐক্যবদ্ধ (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার (Attack On Hindu Temple) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন (S Jaishankar) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সোমবারের ঘটনাটি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কানাডায় চরমপন্থী শক্তির জন্য রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।”

    ভারতের উদ্বেগ (S Jaishankar)

    অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের সরকারি মুখপাত্রের বিবৃতি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গতকালের উদ্বেগের প্রকাশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। এতে বোঝা উচিত যে আমরা এই বিষয়ে কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্করের বক্তৃতায় উঠে এসেছে ভারত এবং কানাডার মধ্যে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলার নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের প্রসঙ্গও। জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডা নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছে। তাই ভারতের কাছে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “আমায় আপনারা তিনটি মন্তব্য করার সুযোগ দিন। এক, কানাডা প্রায়ই কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে থাকে। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা কানাডার দিকে তাকাই, তখন আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য যে তারা আমাদের কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তৃতীয়ত, মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাগুলি এবং তাদের ভিডিওগুলি দেখুন। আজকের দিনে, কানাডায় রাজনৈতিক পরিসরে যে পরিমাণ জায়গা চরমপন্থী শক্তিরা পাচ্ছে, তা ভিডিওগুলি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “ভারত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত এই বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনাও করেছে।”

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে (Attack On Hindu Temple) চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)।  কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Attack On Hindu Temple) নিন্দা করেন ইন্দ্রেশ। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ? (Indresh Kumar)

    এর পরেই ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএসের এই নেতা বলেন, “বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় এই ঘটনার নিন্দা করবে।” ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার মন্দিরে আক্রমণটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অমানবিক। আমি নিশ্চিত যে কেবলমাত্র ভারতের শিখ সম্প্রদায়ই নয়, বরং গোটা বিশ্ব এই ঘটনার নিন্দা করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে। তিনি বলেন, ধর্মের সুরক্ষার জন্যই খালসার সৃষ্টি হয়েছিল, ধর্মের ক্ষতি করার জন্য নয়।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে মার পুণ্যার্থীদের

    রবিবার কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও রেয়াত করেনি তারা। ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একদল মানুষ। এদের (Indresh Kumar) মধ্যে কানাডার এক পুলিশকর্মীও ছিলেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় ওই পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, কানাডার ওই মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ঘটনার (Attack On Hindu Temple) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে (Indresh Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) হিন্দু মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন খালিস্তানপন্থীরা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মীও। খালিস্তানপন্থীদের হলুদ পতাকা হাতে বিক্ষোভ-আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে (India Canada Relation)। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কানাডা প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড (India Canada Relation)

    প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে জোরদার চর্চা হয়েছে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে কানাডা প্রশাসন। সাসপেন্ডেড পুলিশ কর্মীর নাম হরিন্দর সোহি। কানাডার পিল অঞ্চলে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোহিকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন পিল অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড চিন।

    মন্দিরে হামলায় ছিলেন ওই পুলিশ কর্মীও!

    রবিবার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কয়েকজন পুণ্যার্থী। ওই সময় মন্দিরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল খালিস্তানপন্থী সংগঠনের ঝান্ডা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মারধর করা হয় পুণ্যার্থীদের। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে সোহিকে। খালিস্তানপন্থী পতাকা হাতে (India Canada Relation) তিনিও ছিলেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। এর পরেই চাপে পড়ে যায় ট্রুডো সরকার। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পিল রিজিওনাল পুলিশ।

    ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেন, “প্রার্থনাস্থলের সামনে যাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়, তা নিয়ে সিটি কাউন্সিলে শীঘ্রই প্রস্তাব পেশ করা হবে। শহরের সলিসিটরদের বিষয়টি পর্যালোচনা করতেও বলা হয়েছে।” আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে (Canada) এ সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ওই ঘটনার নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষা করার জন্য জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    সমালোচনা বিদেশ মন্ত্রকেরও

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (PM Modi)।” তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, যারা হিংসায় জড়িত ছিল, তাদের বিচার করা হবে। আমরা কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” কানাডার মাটিতে এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    বিদেশ মন্ত্রকের আগে ওট্টোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফেও ব্রাম্পটনের ওই হিন্দু মন্দিরে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হাই কমিশন বলেছে, স্থানীয় সহ-সংগঠকদের পূর্ণ সহযোগিতায় আমাদের কনস্যুলেটগুলির নিয়মিত কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটানো অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ভারতীয় নাগরিক-সহ সকল আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবিতেই এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। ভারত বিরোধী উপাদানগুলির এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমাদের কনস্যুলেট ভারতীয় ও কানাডিয়ান আবেদনকারীদের হাজারটিরও বেশি লাইফ সার্টিফিকেট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি মাসেই ভ্যাঙ্কুভার ও সারেতে একই ধরনের শিবিরেরে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই (PM Modi) শিবিরগুলিতেও ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছিল (Canada) খালিস্তানপন্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, চাপে পড়ে নিন্দামন্দ করলেন ট্রুডো!

    Justin Trudeau: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, চাপে পড়ে নিন্দামন্দ করলেন ট্রুডো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে ট্রুডো (Justin Trudeau) বিরোধী ক্ষোভ। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরাতে গোপন ভোটের দাবি তুলেছেন তাঁরই দল লিবারেল পার্টির বেশ কয়েকজন সাংসদ। দলের অন্দরে বিদ্রোহের জেরে ট্রুডো যখন প্রায় কোণঠাসা, তখনই ফের হামলা হল কানাডার হিন্দু মন্দিরে (Attack On Hindus)। এই দফায় মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের ওপর হামলাও চালায় খালিস্তানপন্থীরা। এর পরেই (পড়ুন চাপে পড়ে) ঘটনার নিন্দা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরের এই ঘটনা ‘মেনে নেওয়া যায় না’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

    ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Justin Trudeau) 

    ব্রাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়। তার পরেই হিন্দু ফোরাম কানাডা এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনাটির পুরো ভিডিও শেয়ার করে। ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী হাতে হলুদ ঝান্ডা নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে গন্ডগোল করছে। কয়েকজনকে আবার লাঠি হাতে ভক্তদের মারধর করতেও দেখা গিয়েছে। ফোরাম লিখেছে, খুবই বিরক্তিকর ছবি। ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে ভক্তদের ওপর হামলা চালিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। এটা মেনে (Justin Trudeau) নেওয়া যায় না।”

    কী বললেন কানাডিয়ান সাংসদ 

    এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য লিখেছেন, “কানাডায় খালিস্তানি চরমপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু কানাডিয়ান ভক্তদের ওপর খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ দেখিয়ে দিল কানাডায় খালিস্তান সহিংস চরমপন্থা কতটা গভীর ও নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে। আমি ভাবতে শুরু করেছি যে এই রিপোর্টের কিছু সত্যতা রয়েছে যে কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়াও খালিস্তানপন্থীরা কার্যকরভাবে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিতে অনুপ্রবেশ করেছে। কানাডায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে খালিস্তানি চরমপন্থীরা অবাধে মুক্ত হচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য হিন্দু-কানাডিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদেরও জবাবদিহি করতে হবে।”

    ট্রুডোর ভোলবদল! 

    প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রুডো লিখেছেন, “ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে আজকের হিংসার ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি কানাডিয়ানের নিজস্ব ধর্ম (Attack On Hindus) পালন করার অধিকার স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে রয়েছে (Justin Trudeau)।”

     

  • Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) হিন্দুরা (Hindus)! দ্রুত ঝাড়েবংশে বাড়ছে সে রাজ্যের মুসলমানরা। বদলে যাচ্ছে হিমাচলপ্রদেশের জনবিন্যাস। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে সে রাজ্যের হিন্দুরা। অগত্যা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা গড়ে তুলেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রাও করেছিলেন হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা। তাঁরা সরব হয়েছিলেন রাজ্যে গজিয়ে ওঠা অবৈধ মসজিদ-মাজারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলমানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের হিন্দুরা। তাঁরা শুরু করেছেন ‘সেভ হিমাচল’ আন্দোলন। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের এই প্রতিবাদ শুধু অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা মসজিদ-মাজারের বিরুদ্ধে নয়, এটা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার লড়াই, যা তাঁদের পূর্বপুরুষরা সহস্রাব্দ ধরে সুরক্ষিত করেছেন।

    ইসলামিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদ (Hindus)

    হিমাচলপ্রদেশে, বিশেষত সিমলায়, হিমাচলি হিন্দু সম্প্রদায় রাজ্যটিকে ইসলামিকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই অশান্তি শুরু হয় তখন, যখন দেখা যায় ৮৮ জন মুসলিম বিক্রেতার মধ্যে ৪৬ জনেরই আধার কার্ডে একই জন্মতারিখ রয়েছে। এর পরেই পরিচয় জালিয়াতির সন্দেহ জোরালো হয়। পরে জানা যায়, সমস্ত বিক্রেতাই বহিরাগত। ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। এ খবর চাউর হতেই ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন হিমাচলিরা (Hindus)। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ভয়ে বিক্রেতাদের পরিচয়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। কীভাবে তারা এ রাজ্যে প্রবেশ করল, তাও জানতে চান তাঁরা।

    মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    বছরের পর বছর ধরে হিমাচলিরা অবৈধ নির্মাণ, বিশেষত মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এটা সাংস্কৃতিক অবক্ষয় এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। উত্তেজনা চরমে ওঠে ৩০ অগাস্ট, মালিয়ানা অঞ্চলে একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার পর। এখানে  মুসলিম যুবকদের একটি দল হিন্দু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে। মুসলমানদের হামলায় গুরুতর জখম হন বিক্রম সিং নামে এক ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পরেই এলাকায় গজিয়ে ওঠা একটি অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে চড়া হয় প্রতিবাদের সুর।

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি

    মসজিদটির মালিকানা দাবি করে ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি, বিরোধের সূত্রপাত মূলত মসজিদ ভবন সম্প্রসারণ নিয়ে। তবে স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ, মসজিদের তিনতলা বর্ধিত অংশ-সহ কিছু অবৈধ নির্মাণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মান্ডি এবং কুল্লু-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে (Hindus)। কুল্লুতে, খাদি ও গ্রাম শিল্প বোর্ডের জমিতে নির্মিত একটি অবৈধ জামা মসজিদ ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকেই রয়েছে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে। 

    হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি

    রাজ্যের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণগুলি বহিরাগতদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক নানা অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত। এরা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিবাদকারীদের মতে, সমস্যার মূল হল এই অবৈধ নির্মাণ এবং রাজ্যের জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকি। কেবল শিমলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার হিমাচলি (Himachal Pradesh) হিন্দুরাও অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষেও কুল্লুতে অবৈধ মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবিতে গর্জে উঠেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি।

    হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রা

    জানা গিয়েছে, কুল্লুতে হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রার সময় হিন্দু প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সামান্য সংঘর্ষও হয়েছিল। বহু মহিলা গেরুয়া পতাকা ও ট্র্যাডিশনাল বাদ্যযন্ত্র সহযোগে হনুমান মন্দির থেকে আখড়া মসজিদ পর্যন্ত মিছিল করেন (Hindus)। আন্দোলনকারীরা কুল্লুর অবৈধ মসজিদ ভাঙার দাবি জানিয়েছেন। যদিও রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, রাজ্যের কোনও মসজিদই অবৈধ নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর কুল্লু জেলা কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, আখাড়া বাজার মসজিদটি অবৈধ নয়, তবে মসজিদের রেকর্ডকৃত এলাকা ও প্রকৃত এলাকার মধ্যে প্রায় ১৫০ বর্গমিটারের পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯০-১৯৯১ সালে একতলা মসজিদটি নির্মাণের পর ২০১৭ সালে তা চারতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, যা অনুমোদিত ম্যাপের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি হিন্দু সংগঠনগুলির।

    হিন্দুদের প্রতিবাদ

    সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে সিমলার একটি মসজিদের অংশ সরানোর দাবিতেও হয় আন্দোলন। একই ধরনের প্রতিবাদ হয় মান্ডিতেও। আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে চাপ দিতে তারা রাস্তা অবরোধের মতো আন্দোলনের পথও অবলম্বন করেছেন। প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের হিন্দুরা।

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    এই মিছিলেই ছিলেন এক বয়স্ক ব্যক্তিও। তিনি বলেন, “ওয়াক্‌ফ বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের জমি অধিগ্রহণ করছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না?” হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, তাঁরা যেন হিন্দু স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখেন। বাংলাদেশে কীভাবে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন এবং সুরক্ষাও যে তারা পাচ্ছে, তাও জানান তিনি।

    ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’

    এদিকে, সম্প্রতি ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’ একটি অবৈধভাবে নির্মিত ও সম্প্রসারিত সোলান মাজার চিহ্নিত করেছে। এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবিতে গভর্নরকে পিটিশনও জমা দিয়েছে তারা।হিমাচলপ্রদেশের সমাজকর্মী কামাল গৌতম অবৈধ দখল থেকে পাহাড়ি রাজ্যকে মুক্ত করার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই কারণে মুসলমান জঙ্গিরা তাঁকে টার্গেটও করেছিল। তা সত্ত্বেও হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের অবস্থানে অটল। অন্যদিকে, হিমাচলি প্রতিবেশীদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তরাখণ্ডের হিন্দুরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরাও অবৈধ মসজিদ ধ্বংসের দাবি জানান। মিছিলের আয়োজন করেছিল উত্তরাখণ্ডের হিন্দু সংগঠনগুলো। এই মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার হিন্দু।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে এবং গদি আঁকড়ে থাকতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে মুসলমানদের তোল্লাই দিয়ে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই বিষময় ফল ফলতে শুরু করেছে। ভারতে যে হারে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে হয়তো অচিরেও এ দেশে বাংলাদেশের মতোই হিন্দুরা হয়ে পড়বেন সংখ্যালঘু। সেদিন যে এ দেশেও (Himachal Pradesh) বাংলাদেশের মতো ঘটবে না, হলফ করে তা বলতে পারে (Hindus) কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    RSS: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। সমাজে হিন্দু ঐক্য অপরিহার্য, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়।” কথাগুলি বললেন আরএসএস-এর (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। তিনি বলেন, “জাতি ও মতবাদের ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।” অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠক শেষ হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই আরএসএস কর্তা। সেখানেই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    পঞ্চ পরিবর্তন (RSS)

    দত্তাত্রেয় বলেন, “অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকে আমরা সংঘ ও সংঘ প্রাণিত সংগঠনগুলি তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে যে কাজ করেছে, তার পর্যালোচনা করেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। সংঘের শতবর্ষ পূর্তি সম্প্রসারণ পরিকল্পনারও পর্যালোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বৈঠকে সমাজের মঙ্গলের জন্য ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সামাজিক রূপান্তরের জন্য পাঁচটি মূল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলি হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন (পরিবারের শিক্ষাদান), পরিবেশ, ‘স্বর’ (আত্মনির্ভরতা)এর ওপর গুরুত্ব এবং নাগরিকদের কর্তব্য। এই অনুশীলনগুলি শুধুমাত্র স্বয়ংসেবকদেরই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও অনুসরণ করা উচিত। তবেই আমরা অন্যদের এগুলি অনুসরণ করতে উৎসাহিত করতে পারব।”

    কলেবর বাড়ছে আরএসএস-এর

    দেশে যে ক্রমেই আরএসএস-এর (RSS) কলেবর বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে দত্তাত্রেয়র বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার গোটা দেশে আমাদের শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬টি। বর্তমানে ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। চলতি বছর নয়া শাখা যুক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫টি। ‘সাপ্তাহিক মিলন’-এর সংখ্যা ২৯,০৮৪-এ পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় ৩,১৪৭টি বেশি। মাসে একবার অনুষ্ঠিত ‘মাসিক সংঘ মণ্ডলী’ এখন ১১,৩৮২-এ পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭৫০টি বেশি। এখন আমাদের মোট ১,০১,৪৩৮টি ইউনিট রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    তিনি বলেন, “এটি আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষাপটে আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।” দত্তাত্রেয় বলেন, “প্রতিনিধি সভা পর্যন্ত আগামী চার মাসে আমরা এই সংখ্যাগুলি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা আলোচনা করেছি, উন্নয়ন শুধু পরিমাণগত নয়, গুণগতও হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “সমাজের সঙ্কট বা দুর্দশার সময় সংঘের স্বয়ংসেবকরা সব সময় এগিয়ে আসেন, যা প্রশংসনীয়। আজকাল, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনেক ব্যক্তি ও সংস্থাও সহযোগিতা করে। আমরা তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করি। স্বয়ংসেবকরা এ বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন।”

    উদাহরণ দিয়ে দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale) বলেন, “জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর নদীতে বন্যা হয়েছিল। সেখানে স্বয়ংসেবকরা ২৫ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছিলেন। জীবন বাঁচিয়েছিলেন। খাদ্যও সরবরাহ করেছেন। পুরীতে বন্যার সময় তাঁরা ৪০ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন (RSS)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ভাঙতে দেবেন না হিন্দুরা। প্রশাসনও পণ করেছে মন্দির ভাঙবেই। শেষমেশ এক প্রকার জোর করেই মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) ডিএমকে (DMK) সরকার। প্রতিবাদকারী হিন্দুরা দাঁড়িয়ে দেখলেন, এই সেদিনও যে মন্দিরে তিনবার করে পুজো হত, প্রশাসনের আর্থমুভারের ধাক্কায় সেই মন্দিরই পরিণত হল কিছু রাবিশে! রাজ্য সরকারের হিন্দু-বিরোধী মনোভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় হিন্দুরা।

    ভাঙা হল দুই মন্দির (DMK)

    পোল্লাচি ও মন্দির নগরী মাদুরাইতে ছিল যথাক্রমে শক্তি বিনায়গর মন্দির ও কল্যাণ বিনায়গর মন্দির। মন্দির দুটিতেই প্রতিদিন তিনবার করে পুজো হত। স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করেই সেই মন্দির দুটি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। পোল্লাচি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ছিল শক্তি বিনায়গর মন্দির। অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরটি। এলাকায় একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    প্রশাসনের দাবি, রেলস্টেশনে ঢোকার মুখে থাকায় মন্দিরটি যানজটের কারণ হচ্ছিল। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে সেটি। হিন্দু মুন্নানি সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্দিরটি এলাকায় রয়েছে দীর্ঘদিন। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রশাসনও আগাম তাঁদের মন্দির ভাঙার বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাঁদের দাবি, মন্দিরটি তাঁদের দৈনিক ধর্মীয় আচার-আচরণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা শিবকুমার। তিনি হিন্দু মন্নানির প্রতিনিধিও। তিনি বলেন (DMK), “মন্দির ভাঙা হবে শুনে আমরা প্যালাক্কাড় রেলওয়ে ডিভিশন ও পোল্লাচি সাব কালেক্টরের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। মন্দিরটি ভাঙা হয়েছে চতুর্থীর দিন। তিথির দিক থেকে দিনটি অতি পবিত্র। এদিন বিশেষ পুজো হত ওই মন্দিরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মন্দিরটির গুরুত্ব অপরিসীম।”

    মন্দির ভাঙা হল মাদুরাইয়েও

    তিনি বলেন, “মন্দিরটির কারণে যানজট হচ্ছে বলে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।” তিনি জানান, হিন্দু মুন্নানী ছাড়াও মন্দির বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল ভারতীয় হনুমান সেনা, বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্র এবং অন্যান্য স্থানীয় কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তাদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ভেঙে ফেলা হয় মন্দির। মন্দির ভাঙা হয়েছে মাদুরাইয়েও। সেখানকার সন্নিধি রাস্তায় অবস্থিত কল্যাণ বিনায়গর মন্দিরটি ভেঙে ফেলেছেন স্থানীয় প্রশাসন। মন্দিরটি ছিল তিরুপারানকুন্দ্রম মুরগান মন্দিরের কাছে। ভগবান মুরগানের ছয় আবাসের একটি এটি। এই মন্দিরটিও স্থানীয়দের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে একজোট হন স্থানীয়রা। সব বাধা উপেক্ষা করেই ভগবানের আবাসস্থলটি ভেঙে ধূলিস্যাৎ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন (Tamilnadu)।

    পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    দুটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ হিন্দু মন্দিরগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে। উন্নয়নের স্বার্থেও সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানগুলি ভাঙার দুঃসাহস তারা দেখাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, এলাকারই একটি জায়গায় মসজিদ ভাঙতে গিয়েছিল প্রশাসন। স্থানীয়দের বাধায় খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হওয়া সত্ত্বেও, সেটি দিব্যি রয়েছে। অথচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দু’দুটো মন্দির।

    ভাঙা হয়নি মসজিদ

    অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল চেন্নাইয়ে মসজিদ-ই-হিদায়া মসজিদ। জুন মাসে সেটি ভাঙতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল প্রশাসনের আধিকারিকদের। স্থানীয় মুসলমানদের প্রতিবাদের কাছে নতি স্বীকার করে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। অথচ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। স্থানীয়দের দাবি (DMK), তা সত্ত্বেও স্থানীয় মুসলমান সংগঠনের নেতৃত্ব ও মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে মসজিদ বাঁচিয়েও কীভাবে উন্নয়নের রাস্তা খোঁজা হয়েছিল, তা এলাকাবাসী জানেন। হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, হিন্দুদের মন্দির ভাঙার ক্ষেত্রে এসব কিছু করা হয় না প্রশাসনের তরফে।

    হিন্দুদের দাবি

    হিন্দু মুন্নানি নেতাদের দাবি, প্রশাসনের এই পক্ষপাতিত্বের ছাপ সর্বত্র স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, ড্রাভিডিয়ান মডেল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরে ২৫০টিরও বেশি মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে নির্মিত হলেও প্রশাসনের ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পায় মসজিদ এবং গির্জা। আদালতের নির্দেশ থাকলেও, সেগুলি ভাঙা হয় না। অথচ নির্বিচারে ধ্বংস করা হয় হিন্দু মন্দির।

    আরও পড়ুন: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    প্রসঙ্গত, গত বছরই (DMK) সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি এক জনসভায় বলেছিলেন, “দেখুন, কিছু জিনিসের বিরোধিতা করা যায় না। এটা একেবারে শেষ করে দিতে হয়। আমরা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, মশা, করোনার বিরোধিতা করতে পারি না। আমাদের এগুলো তাড়াতে হয়। সেই কারণেই আমাদের তাড়াতে হবে সনাতন ধর্মকে। ওই সনাতন ধর্মের আপত্তি না করে একে তাড়ানো দরকার।”

    পর পর দু’দুটো মন্দির ভেঙে, সেই প্রক্রিয়াই কি শুরু করল তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সরকার (DMK)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia) চত্বর সাজানো হয়েছিল সুদৃশ্য রঙিন রঙ্গোলিতে। সেই সঙ্গে জ্বালানো হয়েছিল নয়নাভিরাম দিয়া। দীপাবলি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তার আগে আনন্দ করছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। রাষ্ট্রীয় কলা মঞ্চের ব্যানারে আয়োজন করা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানের। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জ্যোতির্ময় ২০২৪’।

    ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’! (Jamia Millia Islamia)

    সাংস্কৃতিক এই অনুষ্ঠানে শিল্পীরা গাইছিলেন গান। রঙ্গোলি প্রতিযোগিতাও হচ্ছিল। জ্বালানো হয়েছিল হাজারো দিয়া। অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যখন আনন্দে আত্মহারা, তখনই কাটল তাল। হঠাৎই ইসলামিক স্লোগান (Islamic Slogans) দিতে থাকেন কয়েকজন ছাত্র। প্রতিবাদ জানান অনু্ষ্ঠানের। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘নারা-ই-তকবীর’, ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’। ঘটনাটিকে দ্রুত মোবাইল বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কয়েকজন ছাত্র। দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, হিন্দু-মুসলমানের সংঘর্ষ হচ্ছে। ঘটনার সময় হিন্দুরা দিতে থাকেন ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’।

    জামিয়া মিলিয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    হিন্দু উৎসবের বিরোধিতার সাক্ষী এর আগেও হয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ হোলি উৎসব পালন করছিলেন। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রঙ্গোৎসব’। আয়োজন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আচমকাই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় নেমে পড়েন কয়েকজন ছাত্র। শুরু হয় অশান্তি। সেই সময় এক্স হ্যান্ডেলে এক ছাত্র লিখেছিলেন, “সহিহ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কাফেরদের উৎসবে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয়। ভারতে হিন্দুরা যখন শুধু গরু খাওয়ার কারণে মুসলমানদের অত্যাচার করছে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, তখনও আপনি তাদের সঙ্গে উৎসব পালন করতে চান?” ইসলামে হিন্দুদের উৎসব (Jamia Millia Islamia) পালন করা হারাম বলে বিবেচিত হয়। তার জেরে এই বিশ্ববিদ্যালেয় নানা সময় হিন্দুদের উৎসব পালনের বিরোধিতা করেছে পড়ুয়াদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    হনুমান জয়ন্তী পালন, রাম নবমী উৎসব এবং নবরাত্রি উৎসব কিংবা সরস্বতী পুজো, সব সময়ই অশান্তি পাকিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ভাঙচুর, ইটের টুকরো ছোড়া, এসব ঘটনাও ঘটেছে। প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ক্যাম্পাসে স্লোগানও আগে দিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল পড়ুয়া হামাসের সমর্থনে (Islamic Slogans) ব্যাজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও এসেছিলেন (Jamia Millia Islamia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share