Tag: Howrah

Howrah

  • Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর শান্তিপূর্ণ রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালিয়ে ছিল বহিরাগতরা। বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর পরই দুবারই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলে হামলা চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল হাওড়া শহর। আর এসবের জন্য রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার হাওড়া শহরের জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা। অনুমতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল গত দুবছর? (Ram Navami)

    ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। শিবপুরের পিএম বস্তি এবং চওড়া বস্তি এলাকায় শোভাযাত্রা এগোনোর সময় পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জি টি রোডের দু পাশে একাধিক দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালানোর ঘটনা ঘটে। একাধিক বাইক এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। গতবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য পুলিশের তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ হাতে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে অন্য পদ্ধতি নিয়েছে হাওড়া পুলিশ।

    শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনে আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। প্রতিবছরের মতো এবারেও শিবপুর কাজীপাড়ার কাছে নরসিংহ মন্দির থেকে জি টি রোড হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অঞ্জনি পুত্রসেনা এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। এ ব্যাপারে গত দুমাস ধরে তারা হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আগের রুটের তাদের লিখিত কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা জিটি রোড দিয়ে না গিয়ে ফরশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন দুশো জন অংশগ্রহণকারী ও চল্লিশ জন ভলান্টিয়ার ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না শোভাযাত্রায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    আরও পড়ুন: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

     বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়ার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, প্রতি বছর যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, সেই রুট দিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami) অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। আসলে মাত্র দুশো মিটার রাস্তায় ঝামেলা হয়। অথচ সেখানে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ পুলিশ। উল্টে তাদের শোভাযাত্রায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেই পুলিশ ও সরকার এই নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁদের ফরশোর রোড দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যেতে বলছে। কিন্তু ওই রোড পুরোপুরি ফাঁকা। তাই তারা ওই রোড দিয়ে যাবেন না। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রশাসন এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে কেউ হাইকোর্টে যেতে পারেন। তবে গত দুবছর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে তার আশা বিচারপতিরাও গোটা ঘটনা বিবেচনা করে দেখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথমদফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এই আবহে জেলায় জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে। ২০০১ সালে ভোটে জিতে জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক হন বিমান চক্রবর্তী। তাঁরই ছেলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনিকেত চক্রবর্তী শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে।

    বিজেপি এবার ভাল ফল করবে (Howrah)

    শনিবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া হসপিটাল মাঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি বিজেপিতে যোগ দেন অনিকেত। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দল যেভাবে কাজ করতে বলবে, সেভাবেই কাজ করব। ছোট থেকে জগৎবল্লভপুর কেন্দ্র দেখে এসেছি। বাবাকে বিধায়ক দেখেছি, সভাপতি হিসাবে থাকতে দেখেছি। আমিও দীর্ঘদিন দায়িত্ব নিয়ে পদে থেকে কাজ করেছি। শ্রীরামপুর লোকসভার সার্বিক ফল নিয়ে বলার যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে করি না। তবে, এটুকু বলতে পারি জগৎবল্লভপুরের ১৭টা অঞ্চলে বিজেপি কোনওদিন যে ফল করেনি তা এবার করবে।”

    আরও পড়ুন: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জগৎবল্লভপুর (Howrah) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রঞ্জন কুণ্ডু বলেন, “জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল একটা অটুট পরিবার। এখানে মাদার, মহিলা, যুব, সব একসঙ্গে রয়েছে। আর যিনি দল ছেড়েছেন বলে শুনছি তাঁকে নিয়ে বলার কিছু নেই। তিনি জগৎবল্লভপুরের তৃণমূলের এক সময়ের সদস্য ছিলেন। বছর দুই হয়ে গেল তিনি রাজনীতি থেকে এক প্রকার বিদায় নিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছে বিজেপিতে গেলে কিছু পাওয়ার আছে, তাই গিয়েছেন। বিশেষ কিছু এ নিয়ে বলার নেই। ফলে, তৃণমূলের বড় কেউ বিজেপিতে যোগ দেন নি।  আর ৫০০ জনের বেশি যোগদানের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক জায়গায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার

    Howrah: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক জায়গায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বাংলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে জিআরপি উদ্ধার করেছে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অপর দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে নাকা চেকিং করে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ভোটের আগে পুলিশের উদ্যোগে উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    হাওড়ায় উদ্ধার বিপুল টাকা (Howrah)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাউন নিউ দিল্লি হাওড়া (Howrah) রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় জিআরপি পুলিশ। প্রথমে সন্দেহের কারণে ৬ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। তবে এই ৫০ লাখ টাকা কোন কারণে বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি পাঁশকুড়ায়। বাকি চারজন লখনৌয়ের বাসিন্দা। এই টাকার কোনও বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি। ধৃতদের নাম হল বিশ্বনাথ জানা (৩৮ ), সৌমেন জানা (২৯), সৈয়দ আসিফ (৫৩), জিসান খান মিরাজ (৩৪), মুদিত রাষ্ট্রগী (৪২ ), মোহম্মদ দানের (২৯)। তবে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসা করার জন্য টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও কোন ব্যবসা এবং কী ব্যবসা, সেসব বিষয় জানাতে পারেনি ধৃতেরা।

    কোলাঘাট থেকে উদ্ধার টাকা

    হাওড়ার (Howrah) পাশাপাশি নাকা চেকিং করে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকায় একটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে প্রাইভেট গাড়িকে আটকানো হয়। এরপর গাড়ির তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কোথা থেকে, কোন উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা সন্ধনানের চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কোলাঘাট বিডিও-কে খবর দেওয়া হয়েছে। এরপর আয়কর দফতরে খবর দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের বিডিও অফিসে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাকা উদ্ধারের খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।    

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: কে অর্জুন পুরস্কার পেল, ভোটে গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলীয় কোন্দলে প্রসূনকে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: কে অর্জুন পুরস্কার পেল, ভোটে গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলীয় কোন্দলে প্রসূনকে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার দলের বিধায়ক কটাক্ষ করে বললেন, “কে অর্জুন কিংবা কৃষ্ণ পুরস্কার পেল তা ভোটে কোনও বিষয় নয়।” উল্লেখ্য দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৯ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রসূন। ফলে এই নিয়ে দলীয় কোন্দলে ফের শোরগোল পড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। চরম অস্বস্তিতে দল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Howrah)?

    হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরি বলেন, “যে ভাবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে একজন কাউন্সিলরকে বিধায়ক হওয়ার টোপ দিচ্ছেন তা ঠিক কাজ নয়। দরকার হলে  লোকসভার ভোটের পর সুজাতা দত্তকে কাউন্সিলরের টিকিটের জন্য প্রস্তাব দিতে পারতেন। কিন্তু প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করা উচিত ছিল না। দলীয় কর্মীদের মানসিক ভাবে আহত করা হয়েছে।” এরপর আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যদি ১০ শতাংশ কর্মীকে খুশি করতে গিয়ে ৯০ শতাংশ কর্মী ভোটের সময় বসে যান, তাহলে কী হবে?”

    প্রসূন কী বলেছিলেন?

    হাওড়ার (Howrah) সালকিয়ায় এক বসন্ত উৎসবে যোগদান করে উত্তর হাওড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অশোক ঘোষের মেয়ে সুজাতা দত্তকে দেখে বলেছিলেন, “ও খুব ভালো কাজ করছে। ও কাউন্সিলর হোক। তারপর এমএলএ হবে।” প্রসূনের এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই বিক্ষুব্ধ হন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরি। হাওড়ায় তিনবারের সাংসদ হলেন প্রসূন। চতুর্থ বারের প্রার্থী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মমতার ভাই বাবুন। ভাইয়ের সঙ্গে দিদি সম্পর্ক ছেদ করলে, নিজে বাবুন নির্দল হয়ে হাওড়ায় লড়াই করবেন বলে জনিয়েছিলেন। আপাতত ভাই বোনের লড়াই থেমে গেলেও দলীয় কোন্দল থামছে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যে সম্পাদক বলেন, “হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূল সাংসদ তিনবার নির্বাচিত হলেও কোনও কাজ করেননি। আর তাই কাউকে কাউন্সিলর বা কাউকে এমএলএ করে দিতে চাইছেন। মানুষের উন্নয়ন বা কাজের প্রতিশ্রুতি নেই। কেবল টোপ দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল বলেই সম্ভব। বিজেপি এখানে জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘হাওড়া স্টেশনে তোলাবাজি করেন তৃণমূল বিধায়ক’, সরব প্রাক্তন কাউন্সিলর

    Howrah: ‘হাওড়া স্টেশনে তোলাবাজি করেন তৃণমূল বিধায়ক’, সরব প্রাক্তন কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই হামলার শিকার হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার (Howrah)১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য  ছড়িয়ে পড়েছে। ভোটের মুখে শাসকদলের অন্দরে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন লক্ষ্মী সাহানি। তবে, ভোট না হওয়ায় আপাতত হাওড়া পুরনিগম প্রশাসক চালাচ্ছেন। বুধবার উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার মাছ বাজার এলাকায় প্রাক্তন কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলররা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে মারামারি করতে দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন।

    আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর কী বললেন?

    তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানির বক্তব্য, “এখানে অসামাজিক কাজ করে। ১০ বছর ধরে আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গৌতম চৌধুরী বিধায়ক হওয়ার পর হাওড়া স্টেশন এলাকায় যেতেই পারি না। এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম। ওখানে অন্যায়ভাবে টাকা তোলা হয়। পায়খানা, বাথরুমের পয়সা গৌতম চৌধুরী খান। আজ আমি বলেছি বলে মারতে বলেছে। উত্তর হাওড়ার বিধায়কের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি করেন তিনি। লক্ষ্মীর স্বামী সন্তোষ সাহানিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি কোনও অন্যায়কে মেনে নিই না। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় আমরা কেউ জড়িত নই। আমার নাম কেন জড়ালো তা বুঝতে পারছি না। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে মেয়ে বউয়ের এসব মারামারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করার অপরাধে মা ও তাঁর প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করল হাওড়া জেলা আদালত। মঙ্গলবার হাওড়া (Howrah) জেলা আদালতের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী শিশুপুত্রকে হত্যা করা ও প্রমাণ লোপাট করার অপরাধে তার মা হাসিনা সুলতানা ও তার প্রেমিক ভান্নুর শা-কে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।

    নৃশংসভাবে শিশুকে খুন, ব্যাগে করে ফলকনামায় (Howrah)

    সরকার পক্ষের তরফে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ঘটনার সুত্রপাত অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায়। সেখানকার টেনালী থানার রাইস মিল কলোনিতে মা রশিদা বিবির-র কাছে দেড় বছরের ছেলে সেখ জিশান আহমেদকে নিয়ে থাকতেন হাসিনা সুলতানা। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে, ছোট্টবেলার প্রেমিক ভান্নুর শায়ের হাত ধরে হায়দরাবাদে ওঠেন তাঁরা। দেড় বছরের জিসানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু, সন্তানের সামনে প্রেমিকের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করা যাচ্ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে দুধের শিশুকে খুন করার ছক কষেন তাঁরা। ২০১৬ সালে ২২ জানুয়ারি রাতে দেড় বছরের সন্তানকে মা আর তাঁর প্রেমিক মিলে একপাতা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেঘোর করে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করেন। পরে, ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে রেখে সেকেন্দ্রাবাদে ফলকনামা এক্সপ্রেসে রেখে আসেন। ২৪ তারিখ ফলকনামা এক্সপ্রেস এসে পৌঁছায় হাওড়া স্টেশনে। নিয়ম মোতাবেক ট্রেন পরীক্ষা ও পরিষ্কার করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে সিটের নীচে রাখা ব্যাগটি। ব্যাগটি খোলা হলে উদ্ধার হয় একটি অজ্ঞাতপরিচয় বাচ্চার মৃতদেহ। যার শরীরে ১২টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাওড়া (Howrah) জিআরপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

    ব্যাগের সূত্র ধরে তদন্ত

    তদন্ত চলাকালীন পুলিশের নজরে আসে অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার জারি করা লুক-আউট নোটিশটি। ব্যাগের সূত্র ধরেই মৃত শিশুটির ছবি নিয়ে পুলিশ রওনা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় যে, মৃত ও নোটিশে, একই শিশুর ছবি। খুঁজে বার করা হয় শিশুটির বাবা শেখ রিয়াজকেও। সেও শিশুটিকে নিজের ছেলে বলে সনাক্ত করে। পুলিশ এরপর শিশুটির দিদা, মিসিং ডায়েরি করা রোশন বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, দেখানো হয় মৃত শিশুটির ছবি। তিনিও শিশুটিকে সনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে দেখা যায় শিশুটির মা হাসিনা তার মায়ের বাড়িতে ফিরে এসেছে। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনি পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। হাসিনাকে নিয়ে পুলিশ পাড়ি দেয় ভান্নুর এর বাড়ির উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনিও পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। দুজনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ আইন মোতাবেক হাওড়া আদালতে হাজির করে।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    হাওড়ার (Howrah) সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, দেড় বছরের অসহায় সন্তানকে যেভাবে নৃশংসভাবে দুজনে মিলে হত্যা করেছে এবং তার পরে খুব ঠান্ডা মাথায় উভয়ে মিলে ট্রেনে করে সন্তানের মৃতদেহ ভিনরাজ্যে পাচার করেছে, তা সত্যই বিরলের মধ্যে বিরলতম। সরকারপক্ষের তরফ থেকে এই মামলাতে সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ ফাঁসির সাজা শোনানোর প্রার্থনা আদালতের কাছে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মধ্যে গহন অরণ্যের অনুভূতি দিতে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Botanical Garden) তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম অরণ্য। এবার এই জাতীয় উদ্যানে তৈরি করা হল খাওয়ার যোগ্য বুনোফল গাছের আলাদা বিভাগ বা বাগান, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ওয়াইল্ড এডিবল ফ্রুট, অর্থাৎ যেসব ফল চাষ না করে সরাসরি বন থেকে সংগ্রহ করা হয় খাওয়ার জন্য। এই ধরনের গাছ দ্রুত কমে যাচ্ছে বলেই গত কয়েক বছরে দু্ষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে ফলসার মতো ফল। বোট্যানিক্যাল গার্ডেনে এই বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নমিতা প্রসাদ। বোট্যানিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের একবিশংতি বিভাগে (ডিভিশন নম্বর XXI) এটি চালু হয়।

    বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন (Botanical Garden)

    আমলকি, জামরুলের মতো অনেক ফলই এদেশে সেভাবে চাষ হয় না। বন থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ধরনের ফলগাছের বিভাগ উদ্বোধন করে বোট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর ডক্টর দেবেন্দ্র সিং বলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীন সংস্থা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা, খাওয়ার উপযুক্ত বুনোফল বিভাগের সাহায্যে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি বোঝানো হবে, এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখতে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের মতো বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। এইসব গাছের অস্তিত্ব এখন ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা রেকর্ড করা, এখনও এই ধরনের গাছের যত প্রজাতি টিকে রয়েছে সেগুলি সংরক্ষণ করার দিকে বনমন্ত্রক নজর দিচ্ছে। কারণ ক্রমাগত বন সাফ করে বসতি গড়া ও কৃষিজমির আয়তন বৃদ্ধি হচ্ছে বলে বন্য গাছগাছালির অস্তিত্বও ক্রমেই সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বিচারে গাছকাটা তো আছেই। তাছাড়া বাস্তুতন্ত্রে এইসব গাছের ভূমিকা এবং এদের সংরক্ষণ এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওটা এইসব গাছ এবং এইসব পরিবেশে বসবাসকারী মানুষজনের এইসব গাছ সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবে যেসব জ্ঞান  রয়েছে, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সেসব কাজে লাগানোও উদ্দেশ্য। তাছাড়া গবেষণার জন্য (Botanical Garden) প্রয়োজনীয় রিসোর্স দেওয়ারও বন্দোবস্ত হয়েছে।

    গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা (Botanical Garden)

    জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন হচ্ছে, সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এইসব গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা করেন নমিতা প্রসাদ। তিনি নিজে এখানে একটি কমলালেবু গাছ রোপন করেন। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশক ডঃ এ এ মাও বলেন, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য খাদ্যের উপযোগী উদ্ভিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইসব গাছ থেকে আমরা পুষ্টি ও ওষুধ পাই। তাছাড়া আমাদের কৃষ্টির সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে এইসব গাছের সঙ্কট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিন তিনি একটি ফলসা গাচের চারা পোঁতেন। এছাড়াও বসানো হয় বনজাম, পিয়াল, বহুবারা, আঁশফল, কেন্দু, জলপাই, পানিয়ালা, তমাল, খিরনি, ভল্লাত সহ বিভিন্ন গাছের চারা অনুষ্ঠানে বরিষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন (Botanical Garden) ডঃ মানস ভৌমিক, ডঃ সি মুরুগান, ডঃ প্রতিভা গুপ্ত, ডঃ জে জয়ন্তী, ডঃ কণাদ দাস প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    Howrah: সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ায়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়েছিলেন। আশা ছিল উন্নয়ন করবেন। কিন্তু, জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্য শেখ খলিল স্বমূর্তি ধারণ করেছেন। উন্নয়ন তো দূরের কথা, এলাকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনের ব্যবহার করা দিঘি ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) পাঁচলার দিঘির পাড় এলাকায়। সন্দেশখালির মতো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা গর্জে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) পাঁচলায় ৩৬০ বিঘা এলাকা জুড়ে দিঘিটি রয়েছে। এই দিঘির ওপর ভর করেই আশপাশের এলাকায় চাষবাস হয়। কারণ, আশেপাশের তিন ফসলি জমির চাষবাস থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত জলের সরবরাহ এই দিঘি থেকেই করা হয়। সেই দিঘি বুজিয়ে দিলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। দিঘির জলই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় খলিলের গুন্ডাবাহিনী গ্রামের মহিলাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এমনকী মহিলা ও বৃদ্ধাদের মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় শাড়ি-ব্লাউজ। দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাঁদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। পাশপাশি এলাকার মহিলা ও পুরুষদের মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার বলেন, রবিবার তৃণমূল নেতা খলিল এসে আমার চাষের জমি নষ্ট করে দিয়ে গেছে। দিঘি থেকে জল নিতে পারছি না। সারা বছর আমাদের সব কাজ এই দিঘির জল দিয়েই করতে হয়। এই অবস্থায় বড় সমস্যাতে পড়েছি আমরা। মহিলাদের ওপর তৃণমূল বাহিনী নির্যাতন করায় সোমবার হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় মহিলারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পাঁচলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই দিঘি ভরাট বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিও জানান বাসিন্দারা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: দিঘার পর হাওড়া! রেল লাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা

    Howrah: দিঘার পর হাওড়া! রেল লাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় হোটেল দেখে দেওয়ার নামে বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে এক তরণী পর্যটককে গণ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের এক নাবালিকার গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটল হাওড়ার (Howrah)  উলুবেড়িয়া এলাকায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা পলাকত। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জামাইবাবুর সঙ্গে হাওড়়ার (Howrah) উলুবেড়িয়া স্টেশনে দেখা করতে এসেছিল নির্যাতিতা নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সাক্ষাতের পর রেললাইন ধরে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী কিশোরীকে রাস্তা আটকায়। আশপাশে কেউ না থাকায় দুষ্কৃতীরা তাকে টেনে নিয়ে যায়। এরপরই গণধর্ষণ করে। রেল লাইনের পাশে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় রেললাইনের ধারেই পড়ে থাকে সে। এর ঘণ্টাখানেক পর নাবালিকার জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে যায় সে। সেখানে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। রাতেই উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাতেই পুলিশ তদন্তে নেমে এক যুবককে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ও জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করে ফিরছিল। জামাইবাবু বাইরে থাকেন। ও ডেকেছিল বলে গিয়েছিল। জামাইবাবুর সঙ্গে কথা বলে ফিরছিল। রেল লাইনের পাশে একটি অন্ধকার জায়গায় পাঁচ-ছ’জন ধরে ওকে ধর্ষণ করেছে। এমনকী ওর হাতের মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন এসআরপি খড়গপুরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সহ একধিক পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা জানিয়েছেন, গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। খড়গপুরের সুপারিন্টেনডেন্ট অফ রেলপুলিশ দেবশ্রী সান্যাল বলেন, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share