Tag: INDEPENDENCE DAY

INDEPENDENCE DAY

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল ১৮ অগাস্ট! তিনদিন পর কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) এবং মুর্শিদাবাদের একটি বড় অংশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৮ অগাস্ট। এবারও নদিয়ার শান্তিপুরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ১৮ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তোলেন সেখানকার মানুষ। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন তিনদিন পর জাতীয় পতাকা উঠল এই জেলায়, তা ব্যাখ্যা করেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নদিয়া (Nadia), কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ পড়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে। সাংসদ তথা পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্রর প্রচেষ্টায় তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজেশ্বরী দেবী, পণ্ডিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে দরবার করেছিলেন। স্বাধীন ভারতের সদ্য ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তাঁরা দেখা করে সমস্ত বিষয়টি জানান। নবদ্বীপ, শান্তিপুর সহ শ্রীচেতন্য মহাপ্রভু এবং বৈষ্ণবকূলচূড়ামণি অদ্বৈত আচার্যের স্মৃতি বিজড়িত নদিয়া জেলাকে ভারতের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে না পারলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়টিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের বিষয়টি বলা হয়। এরপর ১৭ অগাস্ট রাতে ঘোষণা করা হয়, এই বিস্তীর্ণ এলাকাগুলি ভারতের। ১৫ অগাস্ট সেই সময়কার পাকিস্তানের মুসলিম লিগের পতাকা উঠেছিল। কিন্তু, মাত্র তিনদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়বার আবারও কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দুই পতাকা সুরক্ষিত রয়েছে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি সংগ্রহশালায়।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

    ১০ বছর আগে শান্তিপুরের (Nadia) বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে কাজ করা অমিতাভ মৈত্র বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এই অন্তর্ভুক্তি দিবস পালন করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। যদিও শান্তিপুরের বিশিষ্টজনদের সহযোগিতায় জটিলতা কাটে। এরপর থেকে ভারতভুক্তি হিসেবে শান্তিপুরে ১৮ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এদিনের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মঠ, উদ্যাপন কমিটির অমিতাভ মৈত্র, রজত প্রামাণিক, সঞ্জিত কাষ্ঠ, বিশ্বজিৎ রায় সহ বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘটনার প্রসঙ্গে উঠে আসে আলোচনায়। উদ্যোক্তারা বলেন, যদি সেই সময় পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই উদ্যোগ গ্রহণ না করতেন, তাহলে আজ আমাদের পরিস্থিতিও ওই ভয়াবহতার মধ্যে দিয়েই কাটত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s tallest flagpole: পাকিস্তানের চেয়েও উঁচু, আটারি সীমান্তে উড়বে ভারতের ৪১৮ ফুট উচ্চতার তেরঙ্গা

    India’s tallest flagpole: পাকিস্তানের চেয়েও উঁচু, আটারি সীমান্তে উড়বে ভারতের ৪১৮ ফুট উচ্চতার তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চলবে পতাকা উত্তোলন। তবে দেশের সবচেয়ে উঁচু পতাকাটি (India’s tallest flagpole) উড়বে আটারি সীমান্তে (Attari Border)। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার আটারিতে দেশের সবচেয়ে উঁচু এই জাতীয় পতাকাটির উদ্বোধন করেছিলেন।  

    আগে কী হয়েছিল? (India’s tallest flagpole)

    এর আগে আটারি সীমান্তে ২০১৭ সালে ৩.৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ভারতের পতাকা স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর পাকিস্তান ওয়াঘা চেক পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৪০০ ফুট পতাকা উত্তোলন করেছিল। কিন্তু ভারত আবার আটারি সীমান্তেই (Attari Border) পাকিস্তানের তুলনায় আরও উঁচু পতাকা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের নতুন পতাকাটি পাকিস্তানের তুলনায় আরও ১৮ ফুট লম্বা। অর্থাৎ ভারতের এই ৪১৮ ফুট উঁচু পতাকাটিই দেশের সবচেয়ে উঁচু পতাকা হিসেবে উত্তোলন করা হবে। 

    এর আগে আটারি সীমান্ত এলকায় যে জায়গায় ভারতীয় পতাকাটি (India’s tallest flagpole) ছিল, বিল্ডিংয়ের উচ্চতার জন্য সে সময় কুজকাওয়াজ দেখতে আসা দর্শকরা ঠিক মতো ভারতীয় পতাকাটি দেখতে পেতেন না। তবে নতুন পতাকা প্রতিস্থাপনের পর সকল দর্শকেরাই খুব ভালো ভাবে দেশের তেরঙ্গাটি দেখতে পান। ফলে  নতুন এই পতাকা স্থাপনের সিদ্ধান্তে, ভারতীয়রা খুশি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ কর্তা। উল্লেখ্য, এর আগে দেশের সবচেয়ে বড় পতাকাটি ছিল কর্নাটকের বেলগাউম ফোর্টে। যার উচ্চতা ছিল ৩৬১ ফুট।

    উল্লেখ্য, এর আগে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরেই প্রথমবার উপত্যকা সফরে গিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে, আটারি সীমান্তে উঁচু ভারতীয় পতাকা স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Independence Day: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় কী করবেন আর কী করবেন না? জানুন বিধি

    Independence Day: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় কী করবেন আর কী করবেন না? জানুন বিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের থিম হল বিকশিত ভারত বা উন্নত ভারত। স্বাধীনতা দিবস মানে অনুষ্ঠান-উৎসব, নাচ-গানের মাধ্যমে দেশের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করা। দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবাদের এক আলাদা পরিবেশ দেখা যায় রাজধানী দিল্লি থেকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও। বাড়ি থেকে ক্লাব, সর্বত্র দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নাগরিকরা। বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও কর্মসূচি নিয়েছে হর ঘর তিরঙ্গার, এর মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন পতাকা উত্তোলন করার।

    দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা (Independence Day)

    পতাকা উত্তোলন (Independence Day) তো সর্বত্রই হবে, কিন্তু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার বিষয়ে, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, রয়েছে সেই ব্যাপারে নির্দেশিকাও। দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মাবলী বেঁধে দিয়েছে এবিষয়ে। এই দুই বিধিতেই শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। এমন ভাবে তা তুলতে হবে যেন তা কোনওভাবেই মাটিতে স্পর্শ না করে বা কখনও জাতীয় পতাকাকে কেউ যেন পোশাক হিসেবে ব্যবহার না করেন।

    কী কী করতে হবে? 

    – ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার (Independence Day) ২ নং ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের অধিকার রয়েছে তাঁর বাড়ি, ব্যবসায়িক জায়গায় অথবা কর্মস্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার।

    – যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিদিন জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করতে পারে। 

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রদের শপথ বাক্য পাঠ করানোরও কথা বলা হয়েছে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় মনে রাখতে হবে যে এই পতাকা আমাদের দেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক।

    – জাতীয় পতাকা কোনওভাবেই উল্টো করে উত্তোলন করা যাবে না, সর্বদাই গেরুয়া অংশ ওপরে থাকবে এবং সবুজ অংশ নীচে থাকবে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় অথবা নামিয়ে নেওয়ার সময় সর্বদাই স্যালুট করতে হবে।

    – জাতীয় পতাকা সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে।

    কী কী করা যাবে না

    – কোনও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না, কাপড় হিসেবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিল ক্লথ, রুমাল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।

    – সূর্যাস্তের পরে তিরঙ্গা নামিয়ে নিতে হবে।

    – জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও অবস্থাতেই অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, এতে পা দেওয়া যাবে না, ইচ্ছাকৃতভাবে মাটিতে বা মেঝেতে স্পর্শ করানো যাবে না।

    – ফুল-মালা বা অন্য কোন বস্তু জাতীয় পতাকার ওপরে রাখা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকা ফেস্টুন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

    – নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকার ওপর কোনও ধরনের স্লোগান বা নকশা আঁকা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Independence Day: আজ ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের থিম কী? দিল্লিতে কত অতিথি আমন্ত্রিত?

    Independence Day: আজ ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের থিম কী? দিল্লিতে কত অতিথি আমন্ত্রিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার দেশবাসী মেতে উঠবেন ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে (Independence Day)। দেশের ইতিহাসে এক অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য দিন হল ১৫ অগাস্ট। অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনের বলিদানের পরেই আসে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে দেশের অগ্রগতিরও পর্যালোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকেও তুলে ধরা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। দশকের পর দশক ধরে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে উন্নত হয়েছে তার ওপর আলোচনা করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

    চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) থিম

    চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) থিম হল, বিকশিত ভারত যার আক্ষরিক অর্থ, উন্নত ভারত। সরকারের এই নীতির মাধ্যমে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার। প্রসঙ্গত, ২০৪৭ সালেই দেশ পা দেবে তার ১০০তম স্বাধীনতা দিবসে। প্রতি বছরের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী এবছরও স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে দিল্লির লালকেল্লায়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

    কোথায় দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণ

    দেশের জনগণের গর্ব ও ঐক্যর প্রতীক হল জাতীয় পতাকা। আজ বৃহস্পতিবার ঠিক সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসবে দেশের অগ্রগতি ও উন্নতির কথা। কোথায় কোথায় দেখতে পাবেন প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ভাষণ? কেন্দ্রের তরফ থেকে তারও তালিকা দেওয়া হয়েছে। দূরদর্শনে তো দেখা যাবে। এর পাশাপাশি ইউটিউবের মাধ্যমেও দেখতে পাবেন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর সরাসরি সম্প্রচার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক্স হ্যান্ডেলেও দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদির ভাষণ।

    চার হাজার বিশেষ অতিথি থাকছেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে

    বৃহস্পতিবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকাও নেহাত কম নয়। জানা গিয়েছে, চার হাজার বিশেষ অতিথি থাকছেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে (Independence Day)। সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যাঁদেরকে বাছা হয়েছে। লালকেল্লার অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দেশের কৃষক-যুব-মহিলা-গরিব সমাজের প্রতিনিধিরাও।

    কৃষি ও কৃষক কল্যাণ ক্ষেত্র থেকে হাজির থাকছেন ১,০০০ জন

    যুব বিষয়ক ক্ষেত্র থেকে ৬০০

    নারী ও শিশু কল্যাণ ক্ষেত্র থেকে ৩০০

    পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন থেকে ৩০০

    উপজাতিদের থেকে ৩০০

    স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা থেকে ২০০

    সীমান্ত সড়ক সংস্থা/প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে ২০০

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ থেকে ১৫০

    ক্রীড়া জগৎ থেকে ১৫০

    নীতি আয়োগ থেকে ১,২০০
     

    এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের হর ঘর তিরঙ্গা প্রচার অভিযানও চলছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসে বাড়ির ছাদে পতাকা উত্তোলন করার বিষয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই পালিত হবে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষে প্রতিবারের মত দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরই ফাঁকে ভারতের প্যারিস অলিম্পিক্স দলের (Paris Olympics contingent) সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দলটির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিটের সম্পূর্ণ দল উপস্থিত থাকবে। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, যে সব ক্রীড়াবিদরা এবছরের প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে ছ-ছটি পদক এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে,  একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়া ভিনেশ ফোগাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি এবং কুস্তিগীরের পরিস্থিতির পাশে থেকে ট্যুইট করে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা মোদির 

    উল্লেখ্য, এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১০টি পদক জেতার। তবে খেলা শেষে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ৬টি পদক, এর মধ্যে ১টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার হাত ধরেই এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে একমাত্র রুপোর পদক এসেছে। আর অন্যদিকে মনু ভাকেরের হাত ধরে দু’দুটি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্টল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এবং পরে সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্টল মিশ্র দল ইভেন্টে আরও একটি পদক যেতেন। এছাড়াও টেবিল টেনিসে মানিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। ভারতের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলেছেন, ”সমস্ত ক্রীড়াবিদ (Paris Olympics contingent) তাদের সেরাটা দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ভারতীয় তাদের জন্য গর্বিত। আমাদের ক্রীড়া নায়কদের তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    Narendra Modi: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন পরই দেশজুড়ে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উদ্যোগে যুব, নারী, দরিদ্র ও কৃষকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যুব এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক থেকে কয়েকশো জনের তালিকা তৈরি করে সকলকে লাল কেল্লায় উপস্থিত থাকার  আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    অতিথি তালিকায় কারা রয়েছেন? (Narendra Modi)  

    জুন মাসে তৃতীয়বার পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর বারাণসীতে তাঁর প্রথম সফরের সময় কৃষক, যুবক, মহিলা এবং দরিদ্রদের “উন্নত ভারতের চারটি স্তম্ভ” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে কৃষক, যুবক, মহিলা এবং দরিদ্র— এই চার শ্রেণির ওপর জোর দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার ৪ হাজার বেশি বিশেষ অতিথির তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছেন তাঁরা। লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে পরিবারের একজন করে সদস্যসহ বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, অতিথিদের ১১টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে  ১ হাজার জন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের রয়েছেন। যুব বিষয়ক বিভাগ থেকে ৬০০ জন এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ থেকে ৩০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়়া, পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন (প্রতিটি ৩০০ জন), উপজাতি বিষয়ক (৩৫০), স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থা/ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (প্রতিটি ২০০), স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ এবং খেলাধূলা (১৫০ জন প্রতিটি)। এছাড়াও নীতি আয়োগ বিভাগের ১২০০ জন বিশেষ অতিথি রয়েছেন। বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে পাঠানো হয়েছে। ১৫০ জন নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। “মেরি মাটি মেরা দেশ” প্রকল্পের অধীনে ৪০০ এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক, “মাই-ভারত” স্কিমের ১০০ জন উপভোক্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী স্কুলের ছাত্ররা তালিকায় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন

    একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলের প্রায় ১৫০ জন ছাত্র, ১০০ জন আদিবাসী কারিগর এবং বন-ধন-বিকাশ যোজনার সদস্য এবং ৫০ জন আদিবাসী উদ্যোক্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সমস্ত বিশেষ অতিথি ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে আসবেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে থাকার সময় কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দিল্লির লালকেল্লায় বক্তব্য রাখবেন। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ১১ বার স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) বক্তব্য রাখবেন। চলতি বছরের ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হয়। দেখা যায়, ফের ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ জোট। এরপরেই ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। তখনই তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ডকেও স্পর্শ করেন।

    নেহরু ও ইন্দিরার পরেই ১১ বার ভাষণ দেবেন মোদি (PM Modi) 

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু টানা তিনবার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জওহরলাল নেহরু ১৭ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবসে। অন্যদিকে, ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এবং তার পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি অবশ্য টানা তিনবার ক্ষমতায় ফেরেননি। ইন্দিরা গান্ধী ১৬ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপরেই স্থান পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তিনি লালকেল্লা থেকে ১১ বার বক্তৃতা করবেন জাতির উদ্দেশে। অর্থাৎ নেহরু, ইন্দিরার পরেই তিনি হচ্ছেন এদিক থেকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ 

    লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পরেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, যিনি ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য দিয়েছেন। গতবারই মনমোহনের রেকর্ড স্পর্শ করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে পরাস্ত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরের স্বাধীনতা দিবসে তিনি প্রথমবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তাঁর সেই লালকেল্লার ভাষণে তিনি স্বচ্ছ ভারত এবং জনধন অ্যাকাউন্টের মতো নতুন কর্মসূচিরও ঘোষণা করেন।

    স্বাধীনতা দিবসে গড়ে ৮২ মিনিট ভাষণ দেন মোদি (PM Modi)

    স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদি, অন্য যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর থেকে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন। তথ্য বলছে, এর আগে দশবার স্বাধীনতা দিবসে তিনি গড়ে ৮২ মিনিট করে বক্তৃতা করেছেন। নরেন্দ্র মোদির পরে স্থান রয়েছে আই কে গুজরালের। ১৯৯৭ সালে লালকেল্লায় (Independence Day) তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন ৭১ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গড় ৮২ মিনিট বক্তব্য দিলেও, ২০১৭ সালে তিনি ভাষণ দেন ৫৫ মিনিট। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রেখেছিলেন ৯৪ মিনিট। ১৯৪৭ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জহরলাল নেহরু বক্তব্য রেখেছিলেন ২৪ মিনিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • August Kranti Day: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    August Kranti Day: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৪২। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (Second World War) চলছে। হিটলারের জার্মানি এবং তার সহযোগী দেশগুলি যুদ্ধজয়ের বিচারে সাফল্যের শীর্ষে। সবে সোভিয়েতের উপর হামলা করেছে অক্ষসেনা। টালমাটাল হচ্ছে ব্রিটিশরা। ঠিক সেই সময়েই ভারতেও তুঙ্গে উঠল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ (Indian National Movement)। অগাস্ট ক্রান্তি দিবস (August Kranti Day), যা কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট (Quit India Movement) দিবস নামে পরিচিত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পর্ব। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুরু হয়। এখনও প্রতিবছর পালিত হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস। স্মরণ করা হয় ওই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য নাম জানা-না জানা মানুষদের। শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁদের ত্যাগের প্রতিও। এই বছর, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের ৮২তম বার্ষিকী উদযাপন করছে দেশ।

    ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি

    ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার পর ব্রিটিশ শাসনের প্রতি ভারতীয়দের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ থেকে কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের (Quit India Movement) উৎপত্তি হয়। ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট, তৎকলীন বোম্বেতে (অধূনা মুম্বই) অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে কুইট ইন্ডিয়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ডাক দেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। মহাত্মা গান্ধীর “করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে” স্লোগানকে সম্বল করেই শুরু হয়েছিল ভারতজোড়া এই অহিংস আন্দোলন। 

    আন্দোলনের বিস্তার

    ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য নির্বিশেষে এই আন্দোলনে (August Kranti Day) যোগ দিয়েছিলেন প্রায় সকলে। আইন অমান্য, মিছিল, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-ধর্মঘট সম্বল করেই দেশের নানা প্রান্তে ঢল নেমেছিল স্বাধীনতাকামী ভারতবাসীর। নেতারা গ্রেফতার হলেও স্বাধীনতাকামী যে কোনও ভারতীয় এই আন্দোলনে নামবেন এবং নেত্বত্ব দেবেন এমন সিদ্ধান্তই পাশ হয়েছিল কংগ্রেসের বোম্বে অধিবেশনে। ৯ অগাস্টই গ্রেফতার হয়ে যান কংগ্রেসের প্রথম সারির সকল নেতা। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, আবুল কালাম আজাদ-সহ প্রায় সকলেই গ্রেফতার হয়ে যান। তারপরেও চলেছে আন্দোলন। তার কদিনের মধ্যেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলন। অধিকাংশ এলাকাতেই সেই অর্থে স্থানীয় নেতৃত্ব বা কোনওরকম নেতৃত্ব ছাড়াই আন্দোলন গড়ে ওঠে। 

    পরাধীন ভারতে স্বাধীন সরকার

    ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (Quit India Movement) আঁচ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের পটভূমিতেই পরাধীন ভারতে প্রথম গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের স্বাধীন সরকার। বাংলার তমলুকেই প্রথম গড়ে ওঠে স্বাধীন সরকার। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন বা অগাস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতবর্ষের নানা জায়গায় মহাভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন সরকার গঠিত হয়। ভারতবর্ষের বেশ কিছু জায়গায় স্বাধীন জাতীয় সরকার গঠিত হয়। মহারাষ্ট্রের সাতারা, উত্তরপ্রদেশের বলিয়া ও বাংলার বুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমায় গঠিত হয় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। 

    কঠোর দমন নীতি

    প্রথম থেকেই এই আন্দোলন (August Kranti Day) দমাতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছিল ব্রিটিশরা (British Rule in India)। শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন জিরো আওয়ার’। শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল, জেলে গিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন বাংলার নারী-পুরুষও। আন্দোলন চলাকালীন তমলুকে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরা। প্রবল অত্যাচারের কারণেই হয়ত ১৯৪৪ সালে সেই অর্থে গতি হারায় এই আন্দোলন। কিন্তু ততদিনে স্বাধীনতা আন্দোলন তার সর্বোচ্চ গতি পেয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছোট বালুকণার মধ্যেও অসীমের স্পর্শ পেতেন, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা কবিগুরুকে

    আন্তর্জাতিক স্তরে প্রভাব

    আন্তর্জাতিক স্তরে, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের (August Kranti Day) প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ব্রিটিশ রাজের শেষ কটা বছরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন। ব্রিটিশদের হাত থেকে যে মুক্তি মেলা সম্ভব, সেই বিশ্বাস এবং তার জন্য লড়াই করার জেদ আপামর ভারতবাসীর মনে গেঁথে দেওয়ার জন্য ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে। এর কয়েক বছর পরেই ১৯৪৭ সালে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বাধীনতা পায় ভারত। তবে সইতে হয় দেশভাগের যন্ত্রণা। যা আজও ভারতীয়দের মনে এক গভীর ক্ষত। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন এখনও দেখে আসমুদ্র হিমাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share