Tag: INDEPENDENCE DAY

INDEPENDENCE DAY

  • Har Ghar Tiranga: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Har Ghar Tiranga: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগে সকলকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ছবি হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আজ ২ আগস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২ অগস্ট পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াজির জন্মদিন। তিনিই আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেছিলেন। তাঁর প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই।” সকলেই যেন এই কাজে এগিয়ে আসেন, আহ্বান মোদির।

    স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকীতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ এর অংশ হিসেবে এবছর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে। আসুন আমরা আমাদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই।’ গত রবিবার তাঁর ‘মন কি বাত’ রেডিও সম্প্রচারে মোদি জনগণকে ২ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে জাতীয় পতাকার ছবি রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই মতোই এদিন নিজের প্রোফাইল পিকচার বদলান মোদি। 

    I pay homage to the great Pingali Venkayya on his birth anniversary. Our nation will forever be indebted to him for his efforts of giving us the Tricolour, which we are very proud of. Taking strength and inspiration from the Tricolour, may we keep working for national progress.

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আজাদি কি অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানের আওতায় একটি বিশেষ আন্দোলন হচ্ছে– হর ঘর তিরঙ্গা। এই বিষয়ে আমার একটি পরামর্শ রয়েছে। প্রত্যেকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তিরঙ্গা লাগানো হোক। এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা হোক।” প্রধানমন্ত্রীর মতোই প্রোফাইল পিকচারে তেরঙ্গা ব্যবহার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

  • Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন। রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি।

    এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।.

    ৩১ জুলাই বিপ্লবী উধম সিংয়ের মৃত্যুদিন। এদিন শুরুতেই পাঞ্জাবের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। উধম সিংয়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। মোদি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ইতিমধ্যেই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষে দেশের পঁচাত্তরটি রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ভারতীয় রেল যে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক রেলস্টেশন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, এই জুলাই মাসে কেন্দ্র ও ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অত্যন্ত মনোগ্রাহী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেলওয়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করাই এর লক্ষ্য।

    করোনা যুদ্ধে আয়ুষ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুর্বেদ ও ভারতীয় চিকিৎসার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই কারণেই আয়ুষ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ শুরু হচ্ছে।

    পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়া সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের অভিনন্দনও জানান। সাফল্য কামনা করেন চলতি কমনওয়েল্থ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও। বক্তব্যের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবারের স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করেছেন, তা আমাকে লিখে জানান।

    আরও পড়ুন : ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

  • NIA Targets Terror: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি!  আতঙ্ক রাজধানীতে

    NIA Targets Terror: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি! আতঙ্ক রাজধানীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের এক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির বাটলা হাউসে তল্লাশি চালিয়ে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (National Investigation Agency)। ১৫ অগাস্টের আগে এভাবে  রাজধানীতে আইএস (IS) মডিউলের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃতের নাম মহসিন আহমেদ।

    এনআইএ জানিয়েছে,অভিযুক্ত পটনার বাসিন্দা হলেও, বর্তমানে তিনি বাটলা হাউস অঞ্চলেই বাড়িভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। অভিযুক্ত মহসিনের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে এবং দেশের নানা প্রান্তে ইসলামিক স্টেটসের শাখা বিস্তার ও মতাদর্শ প্রচারের তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে।  এনআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত মহসিনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেশের নানা প্রান্তে, ইসলামিক স্টেটস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন মানুষের থেকে অর্থসংগ্রহ করে সিরিয়ায় ও অন্যত্র পাঠাত অভিযুক্ত। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটত বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    এনআইএ জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মহসিন আহমেদ (২২)। সে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহসিনের ঘরে তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছে এনআইএ। বাড়িতে তল্লাশির পর আইএসআইএস-এর অনলাইন এবং অন-গ্রাউন্ড কার্যকলাপ সম্পর্কিত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও মহসিনের পরিবারের দাবি, সমস্ত অভিযোগই অসত্য। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মহসিনের বাবা রেলে কর্মরত। তিন বোনও রয়েছেন। 

    স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশ জুড়ে আইএস জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই আবহে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই এনআইএ কর্ণাটকে আইএসআইএস হ্যান্ডলারদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে খবর,  স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজধানী দিল্লি (Delhi) এবং জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) হামলা চালাতে পারে আইএস-র সহযোগী নতুন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘লস্কর-ই-খালসা’ (Lashkar-e-Khalsa)। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, বিশেষভাবে ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাতে লস্কর-ই-খালসা গঠন করেছে আইএস। সংগঠনে যোগ দিয়েছে আফগান যোদ্ধারাও।

  • INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। বৃহস্পতিবার এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। তার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indigenously built) তৈরি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে চলেছে নৌসেনা। এদিন বিক্রান্তকে নৌসেনার হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited) বা সিএসএল (CSL)। একাধিক ট্রায়ালের (Trial) পর নির্মাণ সংস্থার তরফে এই রণতরী  তুলে দেওয়া হল নৌসেনার হাতে। 

    [tw]


    [/tw]

    কোচিন শিপইয়ার্ড জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ৪৫ হাজার টন। সর্বোচ্চ ২৮ নট (Knot) গতিতে ছুটতে পারে এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier)। এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই যুদ্ধ জাহাজ হাতে পাওয়ার পর এদিন ট্যুইট বার্তায় ভারতীয় নৌসেনা জানায়, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিমানবাহী রণতরী হাতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজ চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগর (Indo Pacific region) এবং ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন করা হতে পারে এই রণতরী। এখানে থাকবে মিগ-২৯কে (Mig-29K) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft)। এছাড়াও এই রণতরীতে থাকবে কামোভ-৩১ (Kamov-31), এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল কপ্টার  এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter)। এর প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • SSKM Hospital: ‘উত্তোলন’ না ‘উন্মোচন’, প্রবল বিতর্কে নয়া নির্দেশিকা এসএসকেএমের 

    SSKM Hospital: ‘উত্তোলন’ না ‘উন্মোচন’, প্রবল বিতর্কে নয়া নির্দেশিকা এসএসকেএমের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বিতর্কের জেরে ফের নয়া নির্দেশিকা জারি এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) কর্তৃপক্ষের। স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) পতাকা উন্মোচনের (Flag Unfurled) কথা বলা হয়েছিল পুরানো নির্দেশিকায়। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কারণ প্রথা মেনে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন (Flag Hoist) করতে হয়। বিতর্কের জেরে জারি হয় নয়া নির্দেশিকা। সেখানেই বলা হয়েছে পতাকা উত্তোলনের কথা।  

    রীতি অনুযায়ী, যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন একটি দণ্ডের নীচে জাতীয় পতাকা বাঁধা থাকে। পরে তা দণ্ডের শীর্ষে উত্তোলন করা হয়। যা আসলে স্বাধীনতা অর্জনের দ্যোতক হিসাবে ধরা হয়। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উন্মোচিত করা হয়। সেদিন দণ্ডের শীর্ষেই গোটানো থাকে জাতীয় পতাকা। সেটি উন্মোচন করা হয় মাত্র। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় দেশে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নন। ১৯৫০-এ ২৬ জানুয়ারি শপথ নেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাই সেদিন পতাকা উন্মোচন করেন তিনি।

    রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। পালিত হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিও। ফি বারের মতো এবারও দেশের সর্বত্র মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন সেখানে ১৫ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় পতাকা উত্তোলনের(flag hoisting) কথা বলা হয়নি। বরং পতাকা উন্মোচিত(flag unfurled) হবে বলে জানানো হয়েছিল। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়। তার পরেই ইতি পড়ে বিতর্কে। একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই ‘ভুল’ করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।  

     

  • Covid 19: স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    Covid 19: স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সামনেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে সামিল হবে গোটা দেশ। কিন্তু তার আগেই গোটা দেশকে কোভিড (Covid 19) নিয়ে সাবধান করল কেন্দ্র। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে যাতে কোনওভাবেই একসঙ্গে বেশি মানুষ একত্রিত (Gathering) না হন, সেদিকে রাজ্যগুলিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্য়ে জনবহুল জায়গায় যাতে কেউ না যান, সেই অনুরোধও জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ যাতে কোনওভাবেই করোনা সংক্রমণকে প্রভাবিত না করে সে দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড নিয়ম বিধিও প্রত্য়েককে মানতে হবে বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।  

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের    

     

    দিল্লিতে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। সম্প্রতি ওমিক্রনের BA 2.75 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে রাজধানীতে। দিল্লিতে যে ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওমিক্রনের আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় BA 2.75 ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এই নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। 

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের

    দিল্লিতে (Delhi) ফের মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। মাস্ক না পরে কেউ জনবহুল জায়গায় গেলে, ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে। দিল্লির পাশপাশি কর্ণাটকেও কোভিড সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। করোনা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।  

  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Modi I-Day Speech: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    Modi I-Day Speech: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে (76th Independence Day) দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ((Narendra Modi) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে কী বলবেন, সেদিকেই তাকিয়েছিল পুরো দেশবাসী। ফলে দেখা গিয়েছে লাল কেল্লা থেকে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও ইউটিউবে (Youtube) ট্রেন্ডিং-এ রয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তা এতই যে তাঁর ভিডিও এবারে ট্রেন্ডিং-এ চলে এসেছে। এবারের স্বাধীনতা দিবস প্রত্যেকবারের তুলনায় একটু আলাদা ভাবেই উদযাপন করা হয়েছে। এবারের স্বাধীনতা দিবসে কী কী হতে চলেছে, তার জন্যও অপেক্ষা করছিল গোটা দেশবাসী।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লায় (Red Fort) নবমবারের জন্য জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ও তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রায় ৮৩ মিনিট ধরে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলনের ভিডিও ও তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়ার সেই ভিডিও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লিস্টের প্রথমে ছিল। তাঁকে গার্ড অনার দেওয়ার ভিডিওটিতে মঙ্গলবারের সন্ধ্যে পর্যন্ত ২০ মিলিয়ন ভিউ এসেছে। অন্যদিকে পতাকা উত্তোলনের ভিডিওতে ৪.৪ মিলিয়নের মত ভিউ এসেছে। সাধারণত, কোনও সিনেমা, গান ইউটিউবের ট্রেন্ডিং লিস্টে থাকে। কিন্তু এবারে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও ট্রেন্ডিং-এ আসায় বোঝাই যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো বিশ্ব জুড়ে মোদির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ৫ কোটিরও বেশি সেলফি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’-র ওয়েবসাইটে, দাবি কেন্দ্রের

    এছাড়াও দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর আয়োজন করা হয়েছে। আর এরই ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচির আয়োজন করেছে কেন্দ্র সরকার। তার একটি অংশ ছিল ‘হর ঘর তেরঙ্গা’। যেখানে জাতীয় পতাকা নিয়ে সেলফি (Selfie) বা ছবি ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ওয়েবসাইটে (website) আপলোড (Upload) করার জন্য আহ্বান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেখা গিয়েছে, এই আহ্বানেও বিপুল সাড়া পড়েছে। এই উদযাপনের ঝলক দেখার জন্যও পুরো বিশ্ববাসী অপেক্ষা করে ছিল।

    এছাড়াও মোদির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার ভিডিও প্রথম ছটি ট্রেন্ডিং ভিডিও-এর মধ্যে ছিল। এদিন তাঁর ভাষণে দেশের নারীশক্তির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও আগামী ২৫ বছরে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

     

  • Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    Aamir Khan: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আসাম সফর পিছিয়ে দিলেন আমির খান, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। বহু প্রতীক্ষার পরে শেষপর্যন্ত ১১ অগাস্ট মুক্তি পেল আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha)। আর এই সূত্রেই তাঁর আসাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁর আসাম সফর স্থগিত করা হয়। এবং তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে বিনোদন জগৎ থেকে রাজনৈতিক মহলে।

    ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই ছবিটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। কয়েক বছর আগের এক সাক্ষাৎকারে দেশ নিয়ে এক মন্তব্য করাতেই আজ তাঁর সিনেমাকে বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা। ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন খোদ অভিনেতা তথা বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। এরই মধ্যে আমিরের আসাম সফর পিছিয়ে দিল নিজেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আসাম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) অনুরোধে সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের পর পর্যন্ত। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন তা নিয়েই কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “আমার ছবি বয়কট করবেন না”, নেটিজেনদের অনুরোধ আমির খানের

    সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন থেকে নজর যাতে সরে না যায় সবার, তাই আমিরকে অসম সফর পিছোতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান এই বিশেষ সময়ে দেশবাসীর সমস্ত ফোকাস শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ঘিরেই থাকুক।

    মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমির খান এখানে আসতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে সেই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের ফোকাস যাতে অন্য দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমি তাঁকে ১৫ অগাস্টের পরে আসতে অনুরোধ করেছি। স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গার ওপর থেকে নজর সরুক, তা আমরা চাই না।” তিনি আরও বলেছেন যে “নিয়মিতভাবে খানের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ রয়েছে এবং আমি যখনই তাঁকে আসার জন্য বলব তখনই তিনি আসবেন। তবে সেই তারিখ পরে নিশ্চিত করব।“

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে বন্যায় বিধ্বস্ত আসামকে রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আমির খান। তিনি এই রাজ্যে শেষ এসেছিলেন ১০ বছর আগে। সেই সময়ে উত্তরের তেজপুরে থেকেছিলেন।

  • Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন!  আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর হয়ে আলিপুর বোমা মামলা লড়ার সময়ে সওয়াল-জবাবের সূত্রে আদালতে দাঁড়িয়ে শ্রী অরবিন্দকে ‘জাতীয়তাবাদের দ্রষ্টা এবং দেশপ্রেমের কবি’ (prophet of nationalism and poet of patriotism) বলে চিহ্নিত করেছিলেন! সত্যই শ্রী অরবিন্দ ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম নাম। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ১৮৭২ সালের ১৫ অগাস্ট কলকাতায় তাঁর জন্ম হয়। মা স্বর্ণলতাদেবী রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ তৎকালীন বাংলার রংপুর জেলার জেলা সার্জন। বাবা সন্তানদের ভারতীয় প্রভাবমুক্ত এক সম্পূর্ণ ইংরেজি ধরনে শিক্ষাদানের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো ১৮৭৭ সালে দুই অগ্রজ মনমোহন এবং বিনয়ভূষণ-সহ অরবিন্দকে দার্জিলিংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পাঠান। পরে ইংল্যান্ড। কিন্তু কৈশোর-উত্তীর্ণ অরবিন্দের মনে তখন ভারতমাতার আহ্বান। ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি, ভারতে ফিরে বারোদায় স্টেস সার্ভিসে যোগ দিলেন অরবিন্দ। এখানেই তিনি ভারত-সংস্কৃতির উপর গভীর অধ্যয়ন শুরু করেন। শেখেন সংস্কৃত, হিন্দি, বাংলা। বরোদাতেই তাঁর সাহিত্য-প্রতিভারও উন্মেষ। বারোদা থেকেই তাঁর প্রথম কাব্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়।

    ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে বরোদার চাকরি ছেড়ে তিনি বাংলায় আসেন। তৎকালীন ভারতে সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদী মতবাদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ভারতীয় যুব সমাজকে নিজের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমে বিপ্লবী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজ  শুরু করেন অরবিন্দ। দেশমাতৃকার মুক্তিই তখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। অরবিন্দ জাতীয়তাবাদকে ধর্মের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।  দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ততদিনে বিপ্লবী গুপ্ত সংগঠনগুলির নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। গীতার নিষ্কাম কর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি তরুণ সমাজকে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।  ১৯০৮-এ আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ১৯০৯ সালে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান অরবিন্দ। কিন্তু জেলে থাকার সময়ই তাঁর রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আধ্যাত্মিকার সংস্পর্শ ঘটে। নিভৃত কারাবাসেই তিনি নারায়ণের দর্শন পান। তাঁর জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়। আধ্যাত্মিকতার টানেই তিনি ১৯১০-এ রাজনীতি ত্যাগ করে পুদুচেরি চলে যান। বিপ্লবী অরবিন্দ পরিণত হন ‘ঋষি অরবিন্দে’।

    আরও পড়ুন: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে

    পুদুচেরিতেই আশ্রম স্থাপন করে যোগসাধনার মাধ্যমে জীবনদর্শন পরিবর্তনের পথ বেছে নেন তিনি। পুদুচেরিতে এক নতুন শিক্ষাপদ্ধতির সূচনা করেন ঋষি অরবিন্দ। সমাজদর্শন নিয়ে তাঁর অভিমত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও খুব প্রাসঙ্গিক। শ্রী অরবিন্দ তাঁর সময়ের প্রচলিত শিক্ষার বিরুদ্ধা-চরণ করেন। তিনি  শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে, সমাজের চাহিদা মিটিয়ে  আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যাওার কথা বলেন। তাঁর মতে শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য একটি শিশুর সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটান। শ্রী অরবিন্দ বলেন যে নৈতিক এবং মানসিক বিকাশ ছাড়া মানসিক উন্নয়ন মানব অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাঁর লেখা থেকে আমরা তাঁর জীবন দর্শন ও শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল: Essays on the Gita, The Foundations of Indian Culture, The Life Divine (১৯৩৯), Savitri (১৯৫০), Mother India, The Significance of Indian Art, Lights on Yoga, A System of National Education, The Renaissance in India!

    দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর, তাঁর বয়স তখন প্রায় আটাত্তর। ১৯৫০ এর ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হঠাৎ করে চলে গেলেন যোগী অরবিন্দ। পাঁঁচ দিন পর তার দেহ সমাধিস্থ করা হয় পুদুচেরিতে তাঁর আশ্রমের এক গাছতলায়। যে গাছের ফুল আজও ঝরে পড়ে তার সমাধির ওপর। আর এক পুরাতন বটগাছ যেভাবে তার শাখা-প্রশাখা দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই অরবিন্দের লেখনি, তাঁর আদর্শ , তাঁর চিন্তাধারা ভারতের আগামী প্রজন্মের ধারক ও বাহক হয়ে ওঠে। 

LinkedIn
Share