Tag: India

India

  • India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলাতে (India Name Change) চলেছে বলে খবর। ‘ইন্ডিয়া’র বদলে এবার দেশের নাম হতে চলেছে ‘ভারত’। এ নিয়ে চটে লাল বিরোধীদের একাংশ। এহেন আবহে মঙ্গলবার ইন্ধন জোগাল অমিতাভ বচ্চনের একটি ট্যুইট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারতমাতা কী জয়।” অমিতাভের এহেন পোস্টের জেরে চড়ছে জল্পনার পারদ। নেটিজেনদের একাংশের মতে, দেশের নাম নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়েই অমিতাভের এই পোস্ট। দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।

    ‘ইন্ডিয়া’র দাবি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’। এই সংগঠনের সদস্য একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি, তাঁদের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ায় দেশের নাম বদলের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “বিজেপি-বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া বলেই কি দেশের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে?”  দেশের নাম বদলের (India Name Change) প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    তিনি বলেন, “আজ তো ইন্ডিয়ার নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি২০-এর লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?” প্রসঙ্গত, অমিতাভ-পত্নী জয়া বচ্চন ‘ইন্ডিয়া’র নেত্রী। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এহেন আবহে অমিতাভের পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    সহবাগের ট্যুইট 

    দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার বীরেন্দ্র সহবাগও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের দেশের (India Name Change) আসল নাম ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নাম ফিরিয়ে আনার সময় এসে গিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দেশের নাম এমন হওয়া উচিত, যা আমাদের গর্বিত করবে। আমরা ভারতীয়। ইন্ডিয়া নাম ব্রিটিশদের দেওয়া। আমাদের আসল নাম ভারত। আমি বিসিসিআই এবং জয় শাহকে অনুরোধ করছি যাতে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জার্সিতে ভারত লেখা থাকে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। মঙ্গলবার রাজস্থানের এক জনসভায় তাঁকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (BJP)। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে।” উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলটরা চুপ কেন সে প্রশ্নও তোলেন রাজনাথ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দেশ তাঁদের ক্ষমা করবে না।”

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা শাহের

    উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “গত দু দিন ধরে ইন্ডিয়া জোট সনাতন ধর্মকে অপমান করছে। রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতারা এসব বলছেন। এর আগে মনমোহন সিং বলেছিলেন বাজেটের প্রথম অধিকার সংখ্যালঘুদের। কিন্তু আমরা (BJP) বলছি, বাজেটের প্রথম অধিকার গরিব, উপজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের। কংগ্রেস বলছে মোদি যদি জেতেন, তাহলে সনাতন দেশ শাসন করবে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, লস্কর-ই-তৈবার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।” 

    এদিকে, উদয়নিধির শিরচ্ছেদ করতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অযোধ্যার তপস্বী ছাউনি মন্দিরের মহন্ত পরমহংস দাস। তিনি জানান, সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কু-মন্তব্য করা উদয়নিধি স্ট্যালিনের শিরচ্ছেদ যে করতে পারবে, তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    বিহারে দায়ের মামলা 

    অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ও তাঁর ছেলে উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের মুজফ্ফরপুর সিভিল কোর্টে। সোমবার সুনীল কুমার ঝা নামে এক আইনজীবী ওই মামলা করে। আদালতে দায়ের করা মামলায় সুনীল লিখেছেন, উদয়নিধির ওই মন্তব্যের ফলে হিন্দু ও সনাতন ধর্মকে যাঁরা মানেন এমন কোটি কোটি মানুষের (BJP) ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। রাজনৈতিক লাভের আশায় তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে এই মামলার।

     

  • Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    Republic of Bharat: সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম, ইন্ডিয়া হবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গা থেকে মুছে যেতে চলেছে ঔপনিবেশিকতার তকমা! সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই বদলে যাচ্ছে দেশের নাম (Republic of Bharat)! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই একথা জানা গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে হচ্ছে ‘ভারত’। ইংরেজ শাসনের আগে দেশের নাম ছিল ভারতবর্ষ। নয়া নাম হতে চলেছে ভারত। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেখানেই দেশের নাম বদলে যাচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।

    জি২০ সম্মেলন

    ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দু’ দিনের জি২০ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিলি করা হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (Republic of Bharat)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

    তিনি লিখেছেন, “তাহলে খবরটা সত্যি ছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজের একটি নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া লেখা নেই। যা সাধারণভাবে থাকার কথা। বদলে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত (Republic of Bharat)। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “সংসদের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া হল ইউনিয়ন অফ স্টেটস । কিন্তু, এবার এই ইউনিয়ন অফ স্টেটস ধ্বংসের মুখে।”

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস

    পাল্টা পোস্ট করে কংগ্রেসের জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার প্রবর্তকরা কেন ভারত মাতা কি জয় নিয়ে আপত্তি করেন? কংগ্রেসের না দেশের প্রতি সম্মান রয়েছে, না এরা সংসদকে সম্মান করে। না সংসদের ধারাগুলি মেনে চলে। একটি পরিবারের প্রশংসা করেই এদের দিন কেটে যায়। গোটা দেশে এখন এই পরিবার ও এই দলের দেশদ্রোহী এবং সংসদ বিরোধী কার্যকলাপ সকলের সামনে চলে এসেছে।”

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ট্যুইটারে (অধুনা এক্স  হ্যান্ডেল) লিখেছেন “রিপাবলিক অফ ভারত (Republic of Bharat)। আমাদের সভ্যতা সাহসের সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে অব্যাহত ভারত-চিন বিবাদ। অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Tunnels) নিজের দেশের ভূখণ্ড দাবি করে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে ড্রাগনের দেশ। যদিও ভারত বরাবরই বলে আসছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল

    অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বেজিং যখন মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করছে, ঠিক তখনই অরুণাচল প্রদেশে টানেলের উদ্বোধন করতে চলেছে ভারত। চলতি মাসেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই টানেলের দ্বার। অরুণাচল প্রদেশের এই টানেলটির নাম সেলা টানেল। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল। এই জোড়া ট্যানেল রয়েছে ১৩ হাজার ফিট উচ্চতায়। এই টানেলটি চালু হয়ে গেলে তাওয়াং অঞ্চলে দ্রুত সেনা এবং সমর সরঞ্জাম পাঠানো যাবে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই খুলে যাবে এই যমজ টানেল।

    বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন

    কিছুদিন আগেই উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে ভারত জানতে পেরেছে, সীমান্তে (Arunachal Tunnels) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন। সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এলাকায় আগেভাগেই অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করেছে বেজিং। যুদ্ধ শুরু হলে বেজিং যাতে কোনওভাবেই বাড়তি সুবিধা না পায়, তাই দ্রুত টানেলের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে মজবুত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই টানেলের (Arunachal Tunnels) শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। বালিপাড়া চারদুয়ার তাওয়াং সড়কের ওপরই গড়ে উঠছে এই টানেল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হল উত্তরপূ্র্বের নচিপুর টানেল। এই টানেলের সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের অনায়াস যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। এক আধিকারিকের মতে, পাঁচশো মিটার দীর্ঘ এই টানেল রয়েছে ৫ হাজার ৭০০ ফিট উচ্চতায়। পশ্চিম কেমাংয়ের বিসিটি সড়কের ওপর গড়ে উঠেছে এই টানেল। আগামী সপ্তাহেই উদ্বোধন হবে এই টানেলের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের মানচিত্রের একটি নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশ ও পূর্ব লাদাখকে চিনের অংশ হিসেবে দাবি করেছে বেজিং। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এহেন আবহে জোড়া টানেল উদ্বোধন করে ড্রাগনের দেশকে মুখের মতো দিতে চাইছে মোদির ভারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বাধীনতার শতবর্ষের মধ্যেই একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত। সেই ভারতে দুর্নীতি থাকবে না, জাতিভেদ প্রথা থাকবে না, থাকবে না সাম্প্রদায়িকতাবাদও।” রবিবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনের সাক্ষাৎকারে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে জি-২০ সম্মেলনের প্রসঙ্গও।

    ভবিষ্যতের রোডম্যাপ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গী সারা বিশ্ব ভবিষ্যতের রোডম্যাপ হিসেবে দেখছে। তারা একে কেবল ধারণা হিসেবে বিবেচনা করছে না। বিশ্বের জিডিপি-কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গী বদলে হচ্ছে মানব-কেন্দ্রিক। এই যে রূপান্তর, ভারত তাতে একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।” তামাম বিশ্বে যে ক্রমেই ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভারত সম্পর্কে বদলাচ্ছে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গীও।

    উচ্চাকাঙ্খী মানুষের দেশ

    তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতকে দেখা হত এক বিলিয়ন না খেতে পাওয়া মানুষের দেশ হিসেবে। আর আজ বিশ্ব ভারতকে দেখে এক বিলিয়ন উচ্চাকাঙ্খী এবং দুই বিলিয়ন দক্ষ মানুষের দেশ হিসেবে।” আগামী কয়েক দশকে ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সুফল কুড়োবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ ভারতবাসীর কাছে একটা সুযোগ এসেছে। সেটা হল বৃদ্ধির ভিত্তিস্থাপন। যা করলে আগামী হাজার বছর ধরে স্মরণে রাখবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।” তিনি বলেন, “এক সময় যাকে স্রেফ একটা বাজার হিসেবে গণ্য করত বিশ্ব, আজ তাকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা অংশ বলে মনে করে।”

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির, তীব্র প্রতিক্রিয়া শাহের

    এদিনের সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের সস্তা রাজনীতির সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দায়িত্বজ্ঞানহীন আর্থিক নীতি এবং সস্তা জনপ্রিয়তার সাহায্যে সাময়িক রাজনৈতিক ফয়দা তোলা যেতে পারে, কিন্তু সামজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তা দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ফল দেয় না।” বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগের সরকারগুলো দিল্লির বাইরে ভিন রাজ্যে গিয়ে বিশ্ব সম্মেলন করার সাহস দেখাত না।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি বৈঠক হয়েছে জি ২০ সম্মেলনের। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জি ২০-এর বসুধৈব কুটুম্বকম কেবল একটি স্লোগান নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক নৈতিকতাও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India vs Pakistan: শাহিন-সাইন! বৃষ্টি-বিঘ্নিত ভারত পাকিস্তান ম্যাচে আফ্রিদির দাপটে চাপে রোহিতরা

    India vs Pakistan: শাহিন-সাইন! বৃষ্টি-বিঘ্নিত ভারত পাকিস্তান ম্যাচে আফ্রিদির দাপটে চাপে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইনিং শাহিন! পর পর দু’ওভারে ফিরিয়ে দিলেন ভারতের অন্যতম দুই সেরা ব্যাটারকে। রোহিত-বিরাট ফিরতেই চাপে ভারত। বৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে নির্ধারিত সময়ে টস করতে নামলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও পাকিস্তান ক্যাপটেন বাবর আজম। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিলেন রোহিত। কারণ বৃষ্টিতে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটতে পারে পরের দিকে। তাই বড় রান তুলে রাখলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে সুবিধা পাবে টিম ইন্ডিয়া। এশিয়া কাপে ভারতের এটা প্রথম ম্যাচ। পাকিস্তান (India vs Pakistan) জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে। বাবরের সেঞ্চুরিতে ভর করে নেপালকে বশ মানিয়েছিল তারা।

    চাপে ভারত

    তবে ম্যাচ শুরু হতেই চার ওভারের মাথায় বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হতে পারে। সেটাই হল। মাত্র ৪.২ ওভার খেলা হওয়ার পরেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। ভারত তখন বিনা উইকেটে ১৫ রান তোলে। বৃষ্টি থামতেই তাল কাটে ভারতের ব্যাটিংয়ে। শাহিনের বলে বোল্ড হন রোহিত। খেলা শুরু হতেই আউট হয়ে যান ভারত অধিনায়ক। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতে পর পর দুটো বলে আউট সুইং করিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। পরের বলটি ইনসুইং করেন। তাতে বোল্ড হলেন রোহিত। এরপর স্টাম্পের বাইরে থেকে বল উইকেটে টেনে আনলেন বিরাট। শাহিন পর পর দু’ওভারে ফিরিয়ে দিলেন রোহিত আর কোহলিকে। হ্যারিস রউফের বলে পুল করতে গিয়ে আউট হলেন শ্রেয়স আয়ার। 

    বিশ্বকাপের মহড়া

    এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) মূলত বিশ্বকাপের মহড়া। এই টুর্নামেন্টে অনেকেই দল গুছিয়ে নিতে চাইছে। চার নম্বর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ভারতীয় (India vs Pakistan) টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যাথা নতুন নয়। বিশেষ করে চার নম্বর নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ম্যাচে বিরাট কোহলির উপর চার নম্বরের দায়িত্ব দিল দল। যা বেশ বড় চমক। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করলেন শুভমান গিল। সিনিয়র দলের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম পাক ম্যাচ। তিন নম্বরে নামবেন ঈশান কিষান। পাঁচে নামবেন শ্রেয়স আইয়ার। অল রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া আছেন দলে।

    বোলিংয়ে আছে চমক। ব্যাটিং শক্তিশালী করতে সামির বদলে শারদুলকে খেলানো হয়েছে বুমরাহ ও সিরাজের সঙ্গে। স্পিনার কুলদীপ যাদব। টসে জিতে রোহিত বলেন, ‘‘বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। নিজেদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দলের ছেলেদের ফেলতে চাই।’’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে তাঁদের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। রোহিত বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলেছি। তার পরে বেঙ্গালুরুতে শিবির হয়েছে আমাদের। সেখানে প্রস্ততি ভাল হয়েছে। দলের ক্রিকেটারেরা মাঠে নামার জন্য তৈরি। নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে ওরা।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র।” ফের একবার দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, সমস্ত ভারতীয় হিন্দু ও ভারত হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। শুক্রবার নাগপুরে ‘তরুণ ভারত’ নামে একটি দৈনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মত পোষণ করেন ভাগবত।

    হিন্দুস্তানের অর্থ

    সরসংঘচালক বলেন, “হিন্দুস্তান মানে হচ্ছে হিন্দু রাষ্ট্র। আর এটা ধ্রুব সত্য। সেই কারণে বর্তমানে যাঁরা দেশে বসবাস করেন, তাঁদের আমি হিন্দু বলে মনে করি। এঁরা সকলেই হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এঁদের পূর্বসূরিরাও হিন্দু ছিলেন। বিশ্বজুড়ে হিন্দুত্বের কদর বেড়েছে।” ভাগবত বলেন, “কিছু মানুষ এটা বুঝতে পেরেছেন। অনেকে আবার বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। এর কারণ তাঁদের অভ্যাস এবং স্বার্থপরতা। আবার কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বুঝতে পারছেন না কিংবা ভুলে গিয়েছেন।” স্বদেশি, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন ভাগবত।

    হিন্দুত্বের কদর বাড়ছে

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের নিজস্ব আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে ন্যায্যভাবে এবং সত্যের ভিত্তিতে কোনও কাজ করা উচিত। আমাদের আদর্শের মতো সারা বিশ্বে আর কিছু নেই। এর বিকল্পও নেই। সবাই এটা বুঝতে পেরেছে। কেউ এটা স্বীকার করে, কেউ করে না।” আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা সেই ১৯২৫ সাল থেকেই বলে আসছি যে ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকেই হিন্দু। যারা ভারতকে তাদের মাতৃভূমি বলে মনে করে এবং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করে, তারা সকলেই হিন্দু।”

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ব নিয়ে ভাগবতের (Mohan Bhagwat) এই দাবি এই প্রথম নয়। গত বছর নভেম্বর মাসেও ছত্তিশগড়ে গিয়ে হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সংঘের একটি অনুষ্ঠানেও ভারতে বসবাসকারী সবাই হিন্দু বলেও দাবি করেছিলেন আরএসএস প্রধান। ভারতে বসবাসকারী সকলের ডিএনএ এক বলেও মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই বলেও দাবি করেছিলেন সংঘপ্রধান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এমতাবস্থায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা। দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। রণকৌশল স্থির করতে শুক্রবার মুম্বইয়ে বৈঠকে বসেছেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। আরব সাগরের তীরে যখন অস্ত্রে শান দিচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’, সেই সময় বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতার।

    পদ্মের চোখ ধাঁধানো ফল 

    যেহেতু বাংলায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল এঁদের ওপর, তাই তাঁদের সঙ্গেই আলোচনায় বসছেন বিজেপি সভাপতি (JP Nadda)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বাংলার পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম এ রাজ্যে চোখ ধাঁধানো ফল করে পদ্ম শিবির। নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে গেরুয়া নেতৃত্ব জানতে পেরেছিলেন, যে ২৪টি আসনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে তাঁদের, সেখানে ব্যবধান ছিল খুব কম।

    ১২৪ আসন নিয়ে পরিকল্পনা 

    বাংলার এই আসনগুলির পাশাপাশি দেশের ১০০টি কেন্দ্রেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন পদ্ম প্রার্থীরা। এই আসনগুলিকে কীভাবে পদ্মঝুলিতে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় যে ২৪টি আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে, সেই আসনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্মৃতি, ধর্মেন্দ্র, প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে। এই বৈঠকে এঁদের কাছ থেকেই বাংলার আসনগুলির হালহকিকৎ জানতে চাইছেন নাড্ডা (JP Nadda)।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    এদিকে, ভোটার তালিকা যাতে স্বচ্ছভাবে প্রস্তুত করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। নয়া ভোটারদের নাম তালিকায় উঠছে কিনা, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম থাকলে তা বাদ দিতে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। শেষ যেবার বঙ্গ সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, তখনই তিনি এইসব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন বলে পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর। পুরো প্রক্রিয়া যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়, তাই রাজ্যস্তরে সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। জেলাগুলিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভাগুলিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জমানায় ক্রমেই উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। দেশের জিডিপির (GDP) লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এহেন আবহে ফের এল সুখবর। জানা গেল, প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যে কোনও অর্থনীতির তুলনায় দ্রুততম।

    প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি

    বৃহস্পতিবার প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস। সেখানেই জানা গিয়েছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে উদার সরকারি ব্যয়, শক্তিশালী ভোক্তা চাহিদা এবং উচ্চ পরিষেবা খাতের কার্যকলাপের মতো কারণগুলি সাহায্য করেছে ভারতীয় অর্থনীতিকে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল কোর সেক্টরের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ৮ শতাংশে। অথচ তার ঠিক এক মাস আগে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ।

    উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার

    জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২২ ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.১ শতাংশ। সেই তুলনায় এবার বৃদ্ধির হার প্রভাবিত হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ, নির্মাণ খাতে বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৭ শতাংশে।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দেশের আর্থিক প্রগতি চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এখানেই সব চেয়ে বেশি হতে চলেছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি পূর্বাভাস ৭.৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। অর্থনৈতিক নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যা পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার সঙ্গেই মিলে যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার হবে ৬.৫ শতাংশের মতো। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, জানুয়ারি থেকে মার্চের যা জিডিপি, তার তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি থাকবে অনেকটাই বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার ২০২৩-এর জন্য অনুমান করেছিল ৫.৯ শতাংশ। পরে এটি সংশোধন করে জানায় ৬.১ শতাংশ।

    তামাম বিশ্বে বৃদ্ধির নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির দেশ। ভারতের তুলনায় ঢের পিছিয়ে রয়েছে ব্রিটেন। প্রথম ত্রৈমাসিকে সে দেশে বৃদ্ধির হার ০.৪, জার্মানির ০.২। আর এই সময়সীমায় জাপানের বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ক্ষমতায় ফিরছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে একাধিক সমীক্ষা। এবার সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেও জানা গেল এনডিএকে সিংহাসনচ্যুত করা ‘ইন্ডিয়া’র ‘কম্ম’ নয়। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল।

    অঙ্কের হিসেব

    বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী এই জোটের তৃতীয় বৈঠক। সেই সময়ই প্রকাশ্যে এল অঙ্কের হিসেব। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করেই জানা গেল, কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৮.৫ শতাংশ ভোট। উল্টো দিকে ‘ইন্ডিয়া’র (তখন অবশ্য ‘ইন্ডিয়া’ নাম ছিল না) জোট সঙ্গীদের প্রাপ্ত ভোট ছিল শতাংশের হিসেবে ৩৮। সেবার ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছিল ১৫৮টি আসন। এনডিএ পেয়েছিল ২২৪টি আসন। শতাংশের হিসেবে ৫০।

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী সব দলগুলির ভোট ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে পড়লে এনডিএকে জোর লড়াই দেবে ইন্ডিয়া। তাঁদের মতে, ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হলে ভোট কাটাকুটির খেলায় এতদিন বেরিয়ে যেতেন এনডিএ প্রার্থী। এবার লড়াই হবে মুখোমুখি। একদিকে এনডিএ প্রার্থী। অন্যদিকে থাকবেন ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী। সেই কারণেই তাঁরা এনডিএ নয়, এগিয়ে রাখছেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তবে, সেটা ২-৩ শতাংশ আসনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    ইক্যুইটি ব্রোকার আইআইএফএল সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এরকম হতে পারে ১৭টি আসনে। তা হলেও, এনডিএ (BJP) পাবে অন্তত ম্যাজিক ফিগার ২৭২টিরও বেশি আসন। এদের মতে, যদি ২ শতাংশ ভোটও স্যুইং করে ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে যায়, তাহলেও এনডিএ পাবে ২৮৫টির মতো আসন। চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি এনডিএ-র ফল খারাপ হয়, তার একটা প্রভাব অবশ্য পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। আইআইএফএলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস ফিরতে পারে। তবে রাজস্থানের ক্ষমতার রাশ কংগ্রেসের হাত থেকে যেতে পারে বিজেপির হাতে। প্রসঙ্গত, সি-ভোটার এবং ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের সমীক্ষাও বলছে, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জয়ী হবে যথাক্রমে ৩০৬ ও ৩১৮টি আসনে।

    আরও পড়ুুন: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    এদিকে, ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ায় যে ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেখানে আলোচনা হয়েছে ‘কোরাপশনস ম্যাক্সিমাম প্রফিট’ নিয়ে। কারণ এই দলগুলির সম্মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটির বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তাকে আটকে দেওয়াই লক্ষ্য তাদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share