Tag: India

India

  • India’s Economic Growth: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি টানছে ভারত-চিন! রিপোর্ট আইএমএফের

    India’s Economic Growth: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি টানছে ভারত-চিন! রিপোর্ট আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন (India’s Economic Growth) দ্রুত গতিতে বাড়ছে, এমনটাই জানাল ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফাণ্ড। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সংকটে আর্থিক ঋণ দেয় এই সংস্থা। আইএমএফের মতে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের এই উন্নয়নে (India’s Economic Growth) সর্বাধিক ভূমিকা রয়েছে ভারত ও চিনের। আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটির সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে এই অঞ্চলে উন্নয়নের বৃদ্ধি ছিল ৩.৮ শতাংশ, চলতি বছরে তা হয়েছে ৪.৬ শতাংশ। বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে ৭০ শতাংশ ভূমিকা এই অঞ্চলের রয়েছে বলে জানিয়েছে এই সংস্থা। মোদি জমানায় ভারত যে ক্রমশ বিশ্বের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিচ্ছে, তা আইএমএফের এই রিপোর্টেই বোঝা যাচ্ছে, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রে রয়েছে মোদি সরকার। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের (India’s Economic Growth) জন্য একাধিক নীতি গ্রহণ করেছে এই সরকার। জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র-দূরীকরণের বিভিন্ন প্রকল্পে। তারই ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে দেওলিয়া হয়ে যাওয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের প্রসঙ্গও

    রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এশিয়া মহাদেশে উন্নয়ন প্রত্যাশা মতোই বাড়ছে, এবং এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ভারত ও চিন। রিপোর্টে উঠে এসেছে, বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কের দেওলিয়া হওয়ার প্রসঙ্গও। চলতি বছরের মার্চ মাসে দেওয়ালিয়া হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। আমানতকারীরা নিজেদের গচ্ছিত অর্থ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিশ্বের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ প্রজেক্টগুলোতে ঋণও দিত এই সংস্থা।  মার্চের ১০ তারিখে সিলিকন ভ্যালি দেওলিয়া হয়ে যাওয়ার পরে বেশ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কও বন্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রিপাবলিক ব্যাঙ্ক। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাকে এর জন্য দায়ী করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।  

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Maa Kali) পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন (Ukraine)। ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমিন ঝোপার একটি ট্যুইট করে দুঃখ প্রকাশ করেন। বিতর্কিত ট্যুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ঝোপার। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক ট্যুইটে হিন্দু দেবী কালীকে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছিল। সেই ট্যুইটের জন্য আমরা দুঃখিত। ইউক্রেন এবং এ দেশের জনগণ অনন্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করে এবং আমাদের প্রতি ভারতের (India) সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সেই বিতর্কিত ছবিটি ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি… 

    সম্প্রতি ট্যুইটারে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দুটি ছবির কোলাজ। কোলাজের একদিকে ধোঁয়ার মতো পাক খাওয়া মেঘ। অন্য দিকে মেঘের মধ্যে থেকে মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি। ওই ছবিতে মা কালীর বেশ মেরিলিন মনরোর মতো। গলায় মুণ্ডমালা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই ভারতে শুরু হয় বিতর্ক। মা কালীর ওই ছবি পোস্ট করা হয়েছিল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। এহেন আবহে ভারতীয় নেটিজেনরা, বিশেষকরে সনাতনী হিন্দুরা দাবি তুলেছিলেন, ইউক্রেনকে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সাহায্য না করে ভারত। এর পরে পরেই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

    এ প্রসঙ্গে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, ভারতের থেকে সাহায্য চাইতে সম্প্রতি দিল্লিতে এসেছিলেন ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। সেই মুখোশের পিছন থেকে ইউক্রেন সরকারের বাস্তব রূপটা বেরিয়ে এসেছে। একটি প্ররোচনামূলক পোস্টারে মা কালীর (Maa Kali) ক্যারিকেচার পোস্ট করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্ত হিন্দুর ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এর পরে পরেই ক্ষমা চেয়ে নিল ইউক্রেন (Ukraine)।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্শাল আর্ট। শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে, ক্যারাটে এবং কুংফু। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই, এই বৈদেশিক যুদ্ধকলা তথা মার্শাল আর্টের (Martial Art) উৎপত্তি বলতে গেলে আমাদের ভারতেই। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভারতীয় মার্শাল আর্ট কালারিপায়াত্তু নামে পরিচিত, যা সবথেকে প্রাচীন মার্শাল আর্টের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। আসলে ইতিহাস তাই-ই বলছে। 

    কী এই কালারিপায়াত্তু?

    কালারিপায়াত্তু হল এক প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধকলা, যা মনে করা হয় আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন একটি মার্শাল আর্ট (Martial Art)। এই কালারিপায়াত্তুর উৎপত্তি ভারতের কেরল থেকে। জানা যায়, আজ থেকে প্রায় কয়েক হাজার বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মগুরু বোধিধর্মন ধর্মপ্রচারের লক্ষ্যে দক্ষিণ ভারতে এসে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সেখানে ঘটে বিপত্তি। সেই স্থানের মানুষজন সন্দেহের বশে বোধিধর্মনকে আক্রমণ করে। সেই সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্যই তিনি যুদ্ধ কৌশলের মাধ্যমে একাই লড়াই করেন অত মানুষের বিরুদ্ধে। এই অভিনব যুদ্ধকৌশল ও আত্মরক্ষার পদ্ধতি দেখে মানুষ অবাক হয়ে যান এবং তাঁর কাছে থেকে এই যুদ্ধকলা শিখতে চান। রাজি হয়ে বোধিধর্মন তাঁদের এই যুদ্ধকলা শেখানও। এর পর থেকেই এই যুদ্ধকলা কালারিপায়াত্তু নামে আজও বিখ্যাত হয়ে আছে।  

    ভারতীয় পুরাণ ও মার্শাল আর্ট

    শুধুমাত্র বোধিধর্মনকেই যে এই মার্শাল আর্টের (Martial Art) প্রবক্তা বলা যেতে পারে, এমনটা নয়। ভারতীয় নানা পুরাণে এইরকম যুদ্ধকলার নিদর্শন পাওয়া গেছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ভগবান শিব হলেন যুদ্ধের দেবতা। আর এই সমস্ত যুদ্ধকলা তাঁরই সৃষ্ট, এমনটাই মানা হয়। বিপদকালে যুদ্ধের জন্য শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং মন ও শরীরকে সুস্থ রাখতে এগুলি চর্চা করা হত। ঋষি জামদগ্নের পুত্র পরশুরাম কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ভগবান শিবকে প্রসন্ন করেন এবং  ভগবান শিব তাঁকে এই সমস্ত যুদ্ধকলা শেখান। পরশুরাম ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। তিনিই ভারতীয় ঋষিদের এই যুদ্ধবিদ্যা শিখিয়েছিলেন। আত্মরক্ষার এই কৌশলের বর্তমান নিদর্শন কালারিপায়াত্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah) জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও মননে একজন ভারতীয় হিন্দুস্থানি। অত্যন্ত বিদগ্ধ বক্তা, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক এবং কট্টর জেহাদিদের বিশেষ সমালোচক ছিলেন তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah)। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর এবং মৃত্যু ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। পৈতৃক বাসস্থান ছিল অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে। মুসলমান পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম। পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে ডিগ্রি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। ৭৩ বছরের অতিহাবিত করার পর মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

    জীবনাদর্শ

    ভারতীয় সংস্কৃতির একক সূত্রকে অনুভব করতেন তিনি (Tarek Fatah) এবং এই সংস্কৃতি ভারতকে বিশ্বের সঙ্গে এবং বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধতে পারে বলে বিশ্বাস করতেন। ভারতের ধর্মীয় বিভাজন এবং জেহাদি ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন। ইসলামি শরিয়াবিধি শাসনের ছিলেন তীব্র বিরোধী। পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিকাঠামো, উন্নয়ন এবং সামজিক প্রগতিশীলতা নিয়ে গভীর চিন্তার রেখাপাত ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা এবং বক্তৃতায়। আর এজন্য পাকিস্তানের জেহাদি কট্টরপন্থীরা বেশ কয়েকবার হামলা চালায় তাঁর উপর।

    সাংবাদিকতা ও রাজনীতি

    ১৯৭০ সালে ‘করাচি সান’ পত্রিকায় বিশেষ লেখালেখির কাজ শুরু করেন। পরে পাকিস্তানের টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষ তদন্তমূলক সংবাদ প্রকাশনার কাজ শুরু করেন। তাঁর (Tarek Fatah) বিতর্কিত সরকার বিরোধী মনোভাব সম্পর্কে লেখালেখির জন্য জিয়া-উল-হক পাক সরকার তাঁর লেখালেখি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁর উপর বিশেষ নিষেধজ্ঞা জারি করে। এরপর ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে প্রথমে সৌদি আরব এবং পরে কানাডায় চলে যান। সেখানে গিয়ে ২০০৬ সালে NDP ছেড়ে রাজনৈতিক দল Liberal Party Of Canada’s Leadership-এ যোগদান করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টরন্টো রেডিও স্টেশন ‘CFRB নিউজ টক ১০১০’ তে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টরন্টো সান নিউজ নেটওয়ার্কে সম্প্রসারণের কাজ করতেন। ২০১৮ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি (Tarek Fatah) ‘হোয়াট দ্য ফাতেহ’ নামে নিউ দিল্লি টাইমস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত বক্তৃতা রাখতেন। তাঁর বক্তব্য এবং বিষয়ের বিশ্লেষণ কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে এবং মানবতার পক্ষে থাকত।

    প্রগতিশীল চিন্তাবিদ এবং লেখক 

    পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণের পিছনে যে সংকীর্ণ দ্বিজাতিতত্ত্ব সক্রিয় ছিল, সেই বিষয়কে তাঁর (Tarek Fatah) সময় দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতেন। দেশ বিভাজন এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বিষয়কে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেন। ভারতের কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর ভাবনা ছিল খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক জঙ্গিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নাশকাতামূলক কাজে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করতেন। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “চেজিং এ মিরাজ: দ্য ট্রাজিক ইলিউজন অফ অ্যান ইসলামিক স্টেট” ২০০৮ এবং “দ্য জিউ ইজ নট মাই এনিমি: অ্যান লেভিং দ্য মিথস দ্যাট ফুয়েল মুসলিম অ্যান্টি-সেমিজম” ২০১০। শুধু তাই লেখার সাহিত্যগুণে বার্ষিক হেলেন, স্যান ভাইন কানাডিয়ান সাহিত্য পুরস্কারের মতো বিশেষ সম্মান পান ফাতেহ সাহেব।

    মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া

    পাঞ্জাবের সিংহ, হিন্দুস্থানের পুত্র, কানাডাপ্রেমী এবং সত্যের জন্য বিশিষ্ট বক্তা বলে মৃত্যুর পর সম্মাজ্ঞাপক শব্দ নিবেদন করেন তাঁর কন্যা। তারেক ফাতেহের (Tarek Fatah)  মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক এবং অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন। সাহিত্য রচনা এবং সংবাদ মাধ্যমে তাঁর অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ব্যক্তিত্বের ভাবনা দিয়ে সমাজের কাছে প্রয়োজনীয় বিষয় উপস্থাপন করতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    Mobile Messenger Apps: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক! ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের। জঙ্গিদের চ্যাট চলছিল। পাকিস্তান থেকে বার্তা গ্রহণ করে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল দেশের নানা প্রান্তে। সন্ত্রাসের জাল বিছানোর জন্য যে মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ গুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে এবার ব্লক করে দিল সরকার। দেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে  ১৪টি মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ (Mobile Messenger Apps) ব্লক করল কেন্দ্র।

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি কী কী?

    নিষিদ্ধ অ্যাপগুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী নিজেদের কাজকর্ম চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিজেদের সমর্থক এবং মদতদাতাদের সঙ্গে এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। এমনকী ওই মেসেজিং অ্যাপ মারফত পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের কাছে নির্দেশ আসত বলে গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর। যে ১৪টি মোবাইল অ্যাপ কেন্দ্র সরকার নিষিদ্ধ করেছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, ক্রিপভাইজার (Crypviser), এনিগমা (Enigma), সেফসুইস (Safeswiss), উইকরমি (Wickrme), মিডিয়াফায়ার (Mediafire), ব্রায়ার (Briar), বিচ্যাট (BChat), ন্যান্ড বক্স (Nandbox), কনিয়ন (Conion), আইএমও (IMO), এলিমেন্ট (Element), সেকেন্ড লাইন (Second Line), জঙ্গি (Zangi) এবং থ্রিমা (Threema)।

    অ্যাপগুলির খোঁজ মিলল কী করে?

    কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত একাধিক জঙ্গির মোবাইলে এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। বস্তুত, গত কয়েক মাসে কাশ্মীরে যত জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে, তাদের প্রতিটি মোবাইলেই এই অ্যাপগুলি মিলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং ভারতীয় আইন মেনে চলে না এমন মোবাইল অ্যাপগুলির (Mobile Messenger Apps) তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন (Information Technology Act) ৬৯এ (69A) ধারায় অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে

    অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই

    এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলির মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনের নেতারা তাদের সমর্থক ও সদস্যদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছিল। কেন্দ্রের ইন্টেলিজেন্সের কাছে খবর, এই অ্যাপ সংস্থাগুলির ভারতে কোনও প্রতিনিধি নেই। কোনও অফিসও নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অনেক চেষ্টা করেও এই অ্যাপ কোম্পানিগুলির কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কোথা থেকে চলছে সংস্থাগুলি, তারও হদিশ পাচ্ছে না। বন্ধ করা অ্যাপগুলির সার্ভারও কোনও একটি জায়গায় নির্দিষ্ট নয়। বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে হদিশ পাওয়া মুশকিল। একই সঙ্গে এতটাই ভাল এনক্রিপশন যে, কী ধরনের মেসেজ আদানপ্রদান হচ্ছে, তা উদ্ধার করাও কঠিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan: জারি ‘অপারেশন কাবেরী’, সুদান থেকে উদ্ধার ১৭০০ ভারতীয়, অপেক্ষায় আরও

    Sudan: জারি ‘অপারেশন কাবেরী’, সুদান থেকে উদ্ধার ১৭০০ ভারতীয়, অপেক্ষায় আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সুদান (Sudan)। সেনা ও আধাসেনার লড়াইয়ের জেরে বিপন্ন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ‘অপারেশন কাবেরী’ (Operation Kaveri) শুরু করেছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুদান থেকে মুম্বই পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকদের দ্বিতীয় দলটি। ভারতীয় বায়ুসেনার মালবাহী বিমানে সৌদির রাজধানী জেড্ডা থেকে মুম্বই ফিরলেন ২৪৬ জন ভারতীয়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ট্যুইট-বার্তায় বলেন, অপারেশন কাবেরীর আর একটি উড়ান মুম্বইয়ে এসে পৌঁছেছে। আরও ২৪৬ জন ভারতীয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছেন।

    সুদানে (Sudan) অপারেশন কাবেরী…

    প্রসঙ্গত, বুধবার সুদান থেকে ভারতে ফেরে প্রথম দলটি। এই দলে ছিলেন ৩৬০ ভারতীয়। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অপারেশন কাবেরীর অধীনে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতির মধ্যে সব ভারতীয় নাগরিককে সুদান (Sudan) থেকে উদ্ধার করতে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং সামরিক মালবাহী বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। বিদেশ সচিব বিনয় কাওয়াত্রা বলেন, বাকিদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সুদানের ৩ হাজার ৪০০ ভারতীয়ের মধ্যে যাঁরা এখনও ওই দেশে আটকে রয়েছেন, তাঁদেরও যাতে দ্রুত সরিয়ে আনা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে পড়েছে অপারেশন কাবেরী। এদিন আরও প্রায় ২ হাজার ভারতীয়কে বিভিন্ন এলাকা থেকে সরিয়ে পোর্ট সুদান কিংবা জেড্ডায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুদানে (Sudan) আটকে পড়া ভারতীয়দের সে দেশ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সৌদি আরব সাহায্য করায় সৌদি কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে, শ্রীলঙ্কা সহ বেশ কয়েকটি দেশ সুদান থেকে তাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য চেয়েছে ভারতের।

    আরও পড়ুুন: উত্তরবঙ্গে ১২-ঘণ্টা বন্‌ধ বিজেপির! পদ্ম কর্মী-সমর্থকদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলল পুলিশ

    মঙ্গলবার থেকে সুদানে শুরু হয়েছে ৭২ ঘণ্টার সংঘর্ষ বিরতি। বিদেশসচিব বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, প্রত্যেক ভারতীয়কে যত দ্রুত সম্ভব ঝুঁকির পরিবেশ থেকে সরিয়ে আনা। তিনি জানান, সুদানের ছবিটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত খার্তুমে ভারতের দূতাবাসে অনলাইন বা সরাসরি ৩ হাজার ৪০০ নাগরিক যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ১৭০০ জনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mobile Network: ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ হয়ে উঠছে 5G, এর সর্বোচ্চ স্পিড জানলে চমকে উঠবেন!

    Mobile Network: ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ হয়ে উঠছে 5G, এর সর্বোচ্চ স্পিড জানলে চমকে উঠবেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মানুষের হাতের মুঠোয় দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা। ইতিমধ্যে বাজারে এসে পৌঁছেছে 5G। দ্রুত গতি, বিশাল নির্ভরযোগ্যতা এবং নগণ্য লেটেন্সি সহ এই 5G পরিষেবা পৃথিবীকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চলেছে। 2G, 3G ছাড়িয়ে আমরা যখন 4G জমানায় আছি, তখন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে আসতে চলেছে 5G। ভারতের কিছু নেটওয়ার্ক (Mobile Network) পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ইতিমধ্যে 5G নিয়ে এসেছে। যেগুলি সফলভাবে চলছে, তারা হল Airtel, JIO ।

    প্রথমে জানা দরকার 5G কী?

    এখানে G শব্দের অর্থ জেনারেশন (Generation)। 5G নেটওয়ার্কের স্পিড 4G নেটওয়ার্কের (Mobile Network) স্পিডের থেকে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। এই ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে বহু ডিভাইসকে যোগ করা যাবে। অনেক দ্রুত গতিতে বড় বড় ফাইল ও ভিডিও ট্রান্সফার করা যাবে, ডাউনলোড করা যাবে খুব দ্রুত। এর মূল লক্ষ্য হল আল্ট্রা লো লেটেন্সি ও মাল্টি-জিবিপিএস ডেটার গতি সরবরাহ করা। 5G টেকনোলজি পাঁচটি প্রযুক্তি থেকে গঠিত হয়-মিলিমিটার ওয়েভ, স্পিড সেল, ম্যাক্সিমাম মিমো, বিমফর্মিং, ফুল ডুপ্লেক্স।

    কোন দেশ প্রথম 5G পরিষেবা  চালু করে?

    ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে 5G নেটওয়ার্ক (Mobile Network) শুরু হয়েছিল। এখনও পৃথিবীর সব দেশে 5G নেটওয়ার্ক উপলব্ধ নয়। বর্তমানে কিছু দেশে 5G নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেমন সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া, জাপান, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়া, ভারত ইত্যাদি।

    ভারতে 5G পরিষেবা

    ২০২২ এর অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে 5G পরিষেবা (Mobile Network) চালু করা হয়। ভারতে প্রথম এয়ারটেল ও জিও কোম্পানি এই পরিষেবা প্রদান করে। জিও কোম্পানি প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে দিল্লি, বারাণসী, কলকাতা এবং মুম্বইতে তাদের পরিষেবা শুরু  করেছিল। বর্তমানে প্রায় সমগ্র ভারতে এই পরিষেবা এখন উপলব্ধ। 

    5G পরিষেবা নিতে গেলে কী কী প্রয়োজন?

    5G পরিষেবা নিতে গেলে প্রথমে দেখতে হবে আপনি যে ফোনটি ব্যবহার করেন, সেটি 5G সাপোর্ট করে কি না। যদি করে তাহলে আপনার পুরনো 4G সিমটিকেই 5G তে পরিবর্তন করে নিতে পারেন কোনও রকম নম্বর না বদলে। আপনি যে কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন, সেই কোম্পানির নিজস্ব অ্যাপ থেকেই আপনি 5G পরিষেবা (Mobile Network) চালু করতে পারেন।

    5G নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ স্পিড কেমন?

    বর্তমানে এখন যাঁরা এই পরিষেবা ব্যবহার করছে তাঁদের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্পিড ৭০০ MBPS এর কাছাকাছি, যা সাধারণ মানুষের কাছে চমকে দেওয়ার মতো একটি স্পিড। ভবিষ্যতে আরও অনেক আপডেট আসতে চলেছে এই 5G পরিষেবায়। তাই আশা করাই যায়, আরও উন্নতি লাভ করবে এই পরিষেবা। আস্তে আস্তে সমগ্র ভারতবর্ষ হয়ে উঠবে 5G (Mobile Network)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manoj Pande: সাইবার যুদ্ধে চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে নতুন ইউনিট গঠন ভারতীয় সেনার

    Manoj Pande: সাইবার যুদ্ধে চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে নতুন ইউনিট গঠন ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাহিনীর একটি নয়া ইউনিট খুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। মোদি জমানায় ভারতকে হাতে মারতে না পেরে সাইবার ওয়ারফেয়ারে টক্কর দিতে চাইছে চিন (China) ও পাকিস্তান (Pakistan)। এমতাবস্থায় এই দুই শত্রু দেশের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ছিল নয়া ইউনিটের। সেই ইউনিটই খুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় আর্মি কমান্ডারর্স কনফারেন্স। উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande)। সেই কনফারন্সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে নয়া ইউনিট খোলার ব্যাপারে।

    কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের প্রয়োজন…

    সরকারি সূত্রে খবর, কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যাতে ভেঙে না পড়ে, সেজন্য ভারতীয় সেনায় কমান্ড সাইবার অপারেশনস অ্যান্ড সাপোর্ট উইংস খোলা হচ্ছে। ওই সূত্র জানায়, বর্তমানে সেনায় সাইবার স্পেশ দিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যুদ্ধক্ষেত্রেও এর প্রয়োজন রয়েছে। স্পেশালিস্ট ইউনিটের ওপর আলোকপাত এবং প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ওই সূত্র জানিয়েছে, আমাদের শত্রু দেশগুলি সাইবার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে এই ইউনিট খোলা খুবই প্রয়োজন। ভারতীয় সেনা দ্রুত নেট নির্ভর হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই সব ক্ষেত্রেই আমাদের কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে হবে। এই সূত্রই জানিয়েছে, এই নয়া ইউনিট ভারতীয় সেনার সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    এই কনফারেন্সে ভারতীয় সেনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে (Manoj Pande) দেখা হয়। অপারেশনাল প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখা হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা হয় এই কনফারেন্সে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও চিহ্নিত করেছেন সেনার শীর্ষ কর্তারা। সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বাহিনীর কল্যাণ সাধনেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমান্ড সাইবার অপারেশসন অ্যান্ড সাপোর্ট উইংস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাহিনীর পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাহিনীর জওয়ানদের কল্যাণেও নানা (Manoj Pande) আলোচনা হয়। যেসব সন্তান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তাঁদের সেনা জওয়ান বাবা যদি শহিদ হন, তবে তাঁদের প্রাপ্য দ্বিগুণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে পারে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ। পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের সেনার। দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি (India China Meet)। লাদাখের পাশাপাশি ডোকলাম ও অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ভারত-চিন বৈঠকের (India China Meet) লক্ষ্য…

    চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজনাথ এবং সাংফু। রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুরও। পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ এবং ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকার ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রামের নামও বদলে দিয়েছে চিন। এসবের পরেও প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা করেছে ভারত। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। এমতাবস্থায় ফের হচ্ছে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। লক্ষ্য সেই সম্পর্কের বরফ গলানো।

    আরও পড়ুুন: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    সাংহাই কো-অপারেশন কর্পোরেশনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত (India China Meet), চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। এ বছর বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। বৈঠকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে যোগ দেবে বেলারুস ও ইরান। সূত্রের খবর, সাংহাই কো-অপারেশন বৈঠকে যোগ দিতে যে সব দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আসছেন, তাদের সকলের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাজনাথ। বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশনের অধীনস্থ দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মিলিত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন।

    জানা গিয়েছে, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলবেন রাজনাথ (India China Meet)। অরুণাচল প্রদেশেও চিনা সেনার সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়েও কথা বলতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৪ এপ্রিল হল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার বিশেষ দিন। এই দিনটির মূল বিষয় হল পরিস্রুত এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং স্বচ্ছ গ্রামীণ সমাজ গঠন করা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এই দিনই সাংবিধানকে সংশোধন করে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান (Panchayati Raj Institutions (PRI)) স্থাপন করা হয়। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে স্থানীয়স্তরের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।

    পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান কী?

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) প্রতিষ্ঠান হল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের দ্বারাই সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থার তিনটি স্তর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এটি গত ২৭ বছর ধরে গ্রামীণ স্তরে সরকারের পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে।

    পঞ্চায়েতি রাজের ইতিহাস

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চ্‌’ শব্দের মানে হল ‘পাঁচ’ এবং ‘ইয়েত’ শব্দের অর্থ হল ‘বিধান’। ঋগ্বেদে বলা হয় স্থানীয় বা আঞ্চলিক সভা, সমিতি এবং বিধা। গণতান্ত্রিক পরিসরে এই শব্দের বিশেষ ব্যবহার ছিল। ভারতের মৌর্য যুগের রাজাদের সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর সময়পর্বে রাজ্যে ছিল স্বায়ত্তশাসন। সেই সঙ্গে এটি ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মৌর্য যুগের পরে গুপ্ত যুগেও শাসন ব্যবস্থা একই রকম ছিল। গ্রামীণস্তরে ছিল গ্রামপতি এবং জেলাস্তরে ছিল বিষয়পতি নামযুক্ত বিশেষ পদ। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে গ্রামীণ পঞ্চায়েতের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১৮৭০ সাল থেকেই আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশ হয় মেয়ো রেজলিউশন। নগর নিগম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিশেষ নিয়ম চালু করে ব্রিটিশ সরকার। আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ চালু হয় ১৯৫৯ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমল থেকে। কিন্তু সেই সময় এর সাংবিধানিক মান্যতা ছিল না। ১৯৯৩ সালে ৭৩ সংবিধান সংশোধন আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক মান্যতা লাভ করে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। এই সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এই পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিশেষ স্তরযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যা হল গ্রাম, ব্লক এবং জেলা।

    কেন এই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ৭৩ তম সংশোধন?

    এই সংশোধনের দুটি ধারা রয়েছে। সাংবিধানিক দুটি স্তর হল ধারা-৯ যা ‘দ্য পঞ্চায়েত’ এবং ধারা ৯-এ যা ‘দ্য মিউনিসিপ্যাল’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে গণতন্ত্রের বুনিয়াদি ধাঁচা হল গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি বা পৌরসভা। এই গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি স্থানীয় এলাকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম, তার উপরে রয়েছে ব্লক, তালুক, মণ্ডল এবং তার উপরে জেলাস্তর ২০ লাখ আবাদী পর্যন্ত; (Article 243B)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ত্রিস্তর ব্যবস্থার (Panchayati Raj) সকল আসনে ভোটে জয়ী হয়ে আসতে হয়। 

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) দিবস হল তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা গ্রামীণ ক্ষেত্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হল একটি এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের যোজনাগুলি বাস্তবায়িত করে থাকে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজন বুঝে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে খুব সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। তাই ২৪শে এপ্রিল দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষের কাছাকাছি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ মাধ্যম হল এই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। 

    এই বছরের থিম 

    এই বছর এক সপ্তাহ ধরে দিনটি (Panchayati Raj) পালন করা হবে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যকর পরিমণ্ডল, পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা, এবং পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ সবুজ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে সারা দেশ ব্যাপী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share