Tag: India

India

  • Turkey Earthquake: বিপদের দিনে বন্ধুর পাশে, তুরস্ক-সিরিয়ায় আরও ত্রাণ পাঠাল ভারত

    Turkey Earthquake: বিপদের দিনে বন্ধুর পাশে, তুরস্ক-সিরিয়ায় আরও ত্রাণ পাঠাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার তুরস্ক- সিরিয়ায় (Turkey Earthquake) আরও ত্রাণ পাঠাল ভারত। প্রাণদায়ী ওষুধ এবং ত্রাণ নিয়ে সে দেশে উড়ে গিয়েছে সি-১৭ মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। এ নিয়ে ভারত থেকে সাত নম্বর বিমান ত্রান নিয়ে গেল সে দেশে। তুরস্কে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৮ হাজার। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে। হাতায়ে একটি স্কুল ভবনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাসপাতাল তৈরি করেছে। এই ৬০ পারা ফিল্ড হাসপাতালের কাজ শুরু করেছে। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল আদর্শ জানান, “শনিবার পর্যন্ত ৩৫০ জন রোগী পেয়েছি এবং রবিবার সকাল থেকে ২০০ রোগী পেয়েছি।”

    এদিকে উদ্ধারকাজের (Turkey Earthquake) জন্য ভারত সরকার চালু করেছে ‘অপারেশন দোস্ত’। তার অধীনেই ভারতের বায়ুসেনা উদ্ধারকারী দল, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠায়। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে তালিকায়।

    ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক 

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক (Turkey Earthquake) এবং সিরিয়া। তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় ছয় হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বড় ভূমিকম্পের পর শতাধিক ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয় সে দেশে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের।

    আরও পড়ুন: ১২৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার তুরস্কের ২ মাসের ‘বিস্ময় শিশু’  

    প্রথমবার রিখটার স্কেলে ৭.৮ কম্পন অনুভূত হয়। তারপর ৭.৬ ও তৃতীয়বার ৬.০। বড় ভূমিকম্পে পর পর তিনবার কেঁপে ওঠে দুই দেশ, তুরস্ক- সিরিয়া। তুরস্ক যে ভূমিকম্পের প্রাণঘাতী আক্রমণের জেরে কার্যত পরিণত হয়েছে মৃত্যুনগরীতে।

    ভূমিকম্পের (Turkey Earthquake) কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা। এই এলাকায় সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে সেখানেও। শুধু তুরস্ক বা সিরিয়াই নয়, প্রবল ভূমিকম্পের কেঁপে উঠেছে পার্শ্ববর্তী লেবানন, ইজরায়েলের মতো দেশও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Border Gavaskar: স্পিন-মন্ত্রেই বশ মানলেন কামিন্সরা! প্রথম দিনে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস

    Border Gavaskar: স্পিন-মন্ত্রেই বশ মানলেন কামিন্সরা! প্রথম দিনে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই স্পিন-মন্ত্রে অস্ট্রেলিয়াকে ঘায়েল করল টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ১৭৭ রানে শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। দিনের শেষে ভারতের রান এক উইকেটে ৭৭। দিনের খেলার মাত্র সাত বল বাকি থাকতে লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। অভিষেক টেস্টে নামা টড মার্ফির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ২০ রানে আউট হন রাহুল। রোহিত অপরাজিত রয়েছেন ৫৬ রানে। 

    শামির ম্যাজিক ডেলিভারি

    এদিন প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। খেলাটা ভালই শুরু করেছিলেন ওয়ার্নাররা। কিন্তু শামির দুরন্ত ডেলিভারিতে দিশেহারা হয়ে যান ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারকে ‘ম্যাজিক ডেলিভারি’তে ক্লিন বোল্ড করেন শামি। অনেকেই বলছেন, শামির এই ডেলিভারি গত একশো বছরের মধ্যে সেরা। মহম্মদ শামির সেই ডেলিভারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ডেভিড ওয়ার্নার ৫ বলে এক রান করে আউট হন। অপর ওপেনার উসমান খাওয়াজাকে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচে ভারতকে এগিয়ে দেন সিরাজ। এরপর শুরু হয় অশ্বিন-জাদেজা ভেলকি।

    অশ্বিনের ভেলকি

    ভারতের মাটিতে পা রেখেই অস্ট্রেলিয়া শিবির বুঝে গিয়েছিল বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) তাদের আসল ‘শত্রু’  রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ই টিম ইন্ডিয়ার সেই অন্যতম সেরা অস্ত্রের প্রতিষেধক হিসেবে স্টিভ স্মিথ-প্যাট কামিন্সরা বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শহরের এক তরুণকে। যাকে অশ্বিন বলে ডাকা হয়। কথা হচ্ছে গুজরাটের মহেশ পিথিয়াকে নিয়ে। কিন্তু আসল-নকলে ফারাক থেকেইন যায়। তাই এদিন অশ্বিনের বিপক্ষে খেলতেই পারলেন না কামিন্সরা। । প্রথমে ক্যারি (৩৬) এবং তারপর অজি অধিনায়ক কামিন্সকে (৬) ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। এদিন ৩ উইকেট নিয়ে টেস্টে ৪৫০ উইকেটের মাইলস্টোন পেরিয়ে গেলেন ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে অ্যালেক্স কেরিকে আউট করে ৮৯ ম্যাচে ৪৫০ উইকেট পূর্ণ করেন অশ্বিন।

    আরও পড়ুন: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    জাদেজার জাদু

    অজি-দের দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাবর্তনের আশা জাগিয়ে তোলেন তাদের দুই তারকা ব‍্যাটার স্টিভ স্মিথ ও লাবুশানে। তাদের মধ্যে একটি ৮২ রানের পার্টনারশিপ হয়। দুজনকেই ছন্দে দেখাচ্ছিল। কিন্তু এরপরই শুরু হয়ে জাদেজা ঝড়। তার বলে লাবুশানে ৪৯ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে স্টাম্পড করেন শ্রীকর ভরত। পরের বলেই রেনেশকে এলবিডব্লিউ করেন তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার। এরপর স্টিভ স্মিথকে কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছিল। অক্ষর প্যাটেলের বলে আক্রমণ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর তার ডিফেন্স ভেদ করে তাকেও বোল্ড করে ৩৭ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান সেই জাদেজা। এদিন ৫ উইকেট নেন জাদেজা।

  • Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earth Quake) বিপর্যস্ত তুরস্ক (Turkey)। বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত (India)। সোমের পর মঙ্গলবারও ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের উদ্ধারকারী দল। প্রবল ঠান্ডায় কার্যত প্রাণ বাজি রেখে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের সাহায্য করতেই ভারত থেকেও গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ডগ স্কোয়াডের (Dog Squad) চারটি সারমেয়। এরা হল জুলি, রোমিও, হানি এবং র‌্যাম্বো। শেষতক পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুরস্কে গিয়ে উদ্ধারকাজে ‘হাত’ও লাগিয়েছে এই চার সারমেয়।

    বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর…

    তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্যও। ল্যাব্রেডর প্রজাতির এই চারটি কুকুর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। গন্ধ শুঁকে জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশের হদিশ দিতে পারে এরা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওই কুকুরগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই দুই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডান্ট গুরুমিন্দর সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স এবং চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ সালে জাপানে তিনবার এবং ২০১৫ সালে নেপালে একবার প্রবল ভূমিকম্প হয়। তখনও ভারতের তরফে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তুরস্কে যাওয়ার আগে প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে কীভাবে কাজ করতে হয়, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গঠিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করতে তারা প্রথম যায় জাপানে, ২০১১ সালে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে। ২০১৪ সালে ভুটানে রিভার রেসকিউ অপারেশনেও যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

    প্রসঙ্গত, সোমবার কাকভোরে আচমকাই কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। প্রথমবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Turkey: সোমের পর মঙ্গলেও ত্রাণ গেল ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে, কী কী পাঠানো হল জানেন?   

    Turkey: সোমের পর মঙ্গলেও ত্রাণ গেল ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে, কী কী পাঠানো হল জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey)। চলছে উদ্ধার কাজ। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বের হচ্ছে একের পর এক লাশ। প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধার কার্য চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। তুরস্কের এহেন বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। সোমবার তুরস্কে রওনা দেয় উদ্ধারকারী দলের প্রথম ব্যাচটি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের ওই ব্যাচটির সঙ্গে ছিল ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধপত্র ও চিকিৎসার সরঞ্জাম। নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডও। সোমের পর মঙ্গলবারও গেল আরও একটি উদ্ধারকারী দল। ভূমিকম্পে আটকে পড়া মানুষ এবং লাশ উদ্ধারে নিয়োজিত সে দেশের উদ্ধারকারীদের সাহায্য করতেই গিয়েছে এই দল। প্রবল এই ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার ৮০০র গন্ডি। এদিন তুরস্কে যে টিম পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ সার্চ ও রেসকিউ দল। দুটি মিলিটারি বিমানে করে তুরস্কে পাঠানো হয়ছে তাদের।

    ভূমিকম্প…

    সোমবার তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলে ৩টি প্রবল ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দার। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকেই। মূলত আগে তাঁদেরই উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক ট্যুইট-বার্তায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি বিমানে করে একটি ৩০ বেডের ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বিমান দুটি আদানায় পৌঁছেও গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের প্রথম বিমানটিতে পাঠানো হয়েছে সার্চ ও রেসকিউ পার্সোনালদের, বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড, ড্রিলিং মেশিন, ত্রাণ সামগ্রী এবং ওষুধ। দ্বিতীয় বিমানটিতে পাঠানো হয়েছে সার্চ ও রেসকিউ ইক্যুইপমেন্ট, নিষ্কাশন সরঞ্জাম এবং গাড়ি।

    ভারতীয় সেনার আগ্রা ভিত্তিক ফিল্ড হসাপাতালের ৪৫ জন সদস্যকেও পাঠানো হয়েছে প্রথম ব্যাচে। এঁরাই গিয়ে স্থাপন করবেন ৩০ শয্যার হাসপাতাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ, জীবনদায়ী ওষু এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে সিরিয়ায়। ভূমিকম্পের জেরে সিরিয়ায়ও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ওষুধ, জীবনদায়ী ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুই কান্নার আওয়াজ। হা-হুতাশ! তুরস্ক, সিরিয়া জুড়ে শুধুই আর্তনাদ। পাথর সরালেই মিলছে একের পর এক দেহ। ঘুমের মধ্যে দিনের শুরুতেই চির-ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই সংখ্যা কিছুই নয়। মৃত্যুসংখ্যা ৩২ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা।

    কোথায় শেষ কেউ জানে না!

    প্রাথমিক ভাবে যা মনে করা হয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে প্রাণহানি। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা-সহ প্রায় ৭০টি দেশ তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের আদানা শহরে পৌঁছেছে ভারতের পাঠানো প্রথম দফার ত্রাণসাহায্য। সেই সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, চিকিৎসা সামগ্রী, ড্রিলিং মেশিন ইত্যাদি। সিরিয়াতেও গিয়েছে ভারতের ত্রাণসাহায্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিরাত সুনেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘তুর্কি ও হিন্দি… দুই ভাষাতেই ‘দোস্ত’ শব্দটি রয়েছে। তুর্কিতে একটা কথা আছে: বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’’

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়

    ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, পাঁচ বার ভূমিকম্প ও আরও ১০০ বার ভূকম্পন-পরবর্তী কম্পনের (আফটার শক) জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হু-র ইউরোপ শাখার জরুরি বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ক্যাথরিন স্মলউডের কথায়, ‘‘আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছেই। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের পরে সব সময়েই এটা ঘটে থাকে। আর ঠিক তা-ই বিপর্যয়ের কয়েক সপ্তাহ পরে মৃত বা জখমের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়।’’ স্মলউড বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের পরে যাঁদের আর ঘরবাড়ি নেই কিংবা ঘরে ফেরার অবস্থা নেই, তাঁরা এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। এতেও বিপদ বাড়ছে। একটা ছোট আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়, শ্বাসজনিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল।’’ অচেনা মুখের ভিড়েই আশ্রয় খুঁজছেন পরিবার-হারিয়ে রাতারাতি একা হয়ে যাওয়া বহু মানুষ। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের দেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের খবর এখনও জানাই যায়নি।

    আরও পড়ুন: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    আরও সঙ্কটে সিরিয়া 

    সিরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। হু-এর আধিকারিক অ্যাডেলেড মার্শাংয়ের বক্তব্য, এই বিপর্যয় সামলানোর জন্য তুরস্কের তা-ও কিছু সামর্থ্য আছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধে এমনিতেই বিপর্যস্ত সিরিয়া। অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়েছে এ দেশে। খাদ্যাভাব, অপুষ্টি তো রয়েইছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। তার উপরে যোগ হল আরও একটি। অ্যাডেলেড জানান, দু’দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। যার মধ্যে রয়েছে অন্তত ১৪ লক্ষ শিশু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Pervez Musharraf Death: দুবাইয়ের হাসপাতালেই প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    Pervez Musharraf Death: দুবাইয়ের হাসপাতালেই প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল আগেও একবার। তবে সেটা ছিল নিছকই গুজব। এবার আর গুজব নয়, নিখাদ সত্য। ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ (Pervez Musharraf Death)। মাস কয়েক ধরে ভর্তি ছিলেন দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট।

    পারভেজ…

    ১৯৪৩ সালের ১১ অগাস্ট অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে (Delhi) জন্ম পারভেজের। পরে পাকিস্তানে চলে যায় তাঁর পরিবার। করাচির সেন্ট প্যাট্রিকস হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিতে যান লাহোরের ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে। কলেজের পাঠ চুকিয়ে পারভেজ যোগ দেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে। পরে হন সেনা প্রধান এবং শেষমেশ দেশের ক্ষমতা দখল। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাকিস্তানের শাসক। ২০১৯ সালে দেশদ্রোহিতার দায়ে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। পরবর্তীকালে অবশ্য বাতিল হয় মৃত্যুদণ্ড।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর দুবাইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি (Pervez Musharraf Death)। কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অন্যতম মাথা ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে পারভেজকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়ই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পাক সেনারা।

    আরও পড়ুুন: মার্কিন সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে শীর্ষে নরেন্দ্র মোদি

    গত বছরের ১০ জুন পারভেজের (Pervez Musharraf Death) পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তিনি এমন রোগে ভুগছেন ও ভোগান্তির এমন স্তরে এসে পৌঁছেছেন যে তাঁর পক্ষে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা আর সম্ভব নয়। তাঁর অর্গ্যান ম্যালফাংশন করছে। ভেন্টিলেশনেও সব সময় কাজ হচ্ছে না। সেই কারণে পারভেজের পরিবারের তরফে শুভাকাঙ্খীদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল এই বলে যে পারভেজ দুরারোগ্য রোগে ভুগলেও, তিনি যেন বাকি জীবনটুকু যন্ত্রণাবিহীনভাবে বেঁচে থাকতে পারেন, তাঁরা যেন সেই প্রার্থনা করেন ভগবানের কাছে। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের এক প্রবীণ নেতা ফাওয়াদ হুসেন ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, মুশারফের মনে সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানই ছিল অগ্রাধিকার। তাঁর চিন্তা ও দর্শন ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করার আগ্রহ দেখিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। বৃহস্পতিবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।এদিন ভারতের তরফে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কিষানগঙ্গা ও রাতলে হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমাদের মনে হয় না দেশের হয়ে কোনও চুক্তিকে ব্যাখ্যা করার অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ওটা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।

    নয়াদিল্লি…

    নয়াদিল্লির তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বব্যাঙ্ক কোর্ট অফ অর্বিট্রেশনে যাওয়ায় ভারত অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ। অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) কমিশনার ২৫ জানুয়ারি নোটিশ জারি করেছে। এই নোটিশে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফে ভারতের দেওয়া নোটিশের এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে কী বলা হয়েছে বা এই চুক্তি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়েও অবগত নন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের ওপর পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও, আটকাতে পারবে না। ২০১৫ সালে ভারতের কিষেনগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের জল কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সিন্ধু জল চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করবে ভারত। ভারতের এই আশ্বাস কানে তোলেনি পাকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। স্কুল অফ লন্ডন ইকনোমিক্সের এই প্রাক্তনীর করা সেই বাজেটকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবার নির্মলার বাজেটের সুখ্যাতি শোনা গেল সুদূর আফগানিস্তানেও। এবং প্রশংসা করল খোদ তালিবান প্রশাসন। বুধবার ভারতের বাজেটের দেদার প্রশংসা করল তালিবানরা। তারা জানাল, বাজেটে ভারত আফগানিস্তানকে সাহায্যের জন্য যে বরাদ্দ করেছে তাতে দু দেশের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। মজবুত হবে দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্কও। কেন্দ্রীয় এই বাজেটে আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই কারণেই নির্মলার পেশ করা বাজেটের স্তুতি শোনা গিয়েছে তালিবানের মুখে।

    বাজেট…

    ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেন নির্মলা সীতারামণ। এটাই ছিল মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথা অনুযায়ী, ওই বছর পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট, পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়। চলতি বাজেটে আফগানিস্তানের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্মলা। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এটা আফগানিস্তানকে দ্বিতীয়বার সাহায্য ভারতের। প্রথমবার সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল গতবারের বাজেটে।

    ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটকে (Union Budget) স্বাগত জানিয়েছেন সোহেল শাহিন। তিনি তালিবানের আলোচনাকারী দলের প্রাক্তন সদস্য। শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ভারতের সাহায্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। এটা দুই দেশের সম্পর্ক ও বিশ্বাসের জায়গাটিকে দৃঢ় করবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে এমন অনেক প্রকল্প চলছিল, যাতে অর্থায়ন করেছিল ভারত। ভারত যদি ফের এগুলি চালু করে, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক হবে মজবুত। অবিশ্বাসের প্রাচীর যাবে ভেঙে।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই কোনও না কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে ভারত। এখনও হাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। দেশটির রাশ তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর আর সম্পূর্ণ করা যায়নি সেই সব প্রকল্প। সম্প্রতি তালিবান জানিয়ে দিয়েছে, ভারত আফগানিস্তানে তাদের অসমাপ্ত অন্তত যে ২০টি প্রকল্প রয়েছে, তা সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC Documentary: ভারতে বিবিসিকে নিষিদ্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    BBC Documentary: ভারতে বিবিসিকে নিষিদ্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সম্প্রতি বিতর্কিত তথ্যচিত্র (BBC Documentary) ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ সম্প্রচার করে বিবিসি। তার পরেই দেশজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। বিবিসি ভারত ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর তৈরি তথ্যচিত্রটি ভারত ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে হিন্দু সেনা সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত ও জনৈক বীরেন্দ্রকুমার সিং। এই আবেদনটিকে জরুরি তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনকারীদের শুক্রবার ফের তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    বিবিসি…

    এদিকে, বিবিসি (BBC Documentary) ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে আরও একটি মামলা। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শুরু করেছে। অন্যদিকে, দেশে বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও পাল্টা আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা।

    ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার ওপর তৈরি ওই তথ্যচিত্রটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখছেন পড়ুয়ারা। এতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রবল সংঘাত তৈরি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ভারতে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। এবার এনিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল ব্রিটিশ সরকার। 

    আরও পড়ুুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বিবিসির ওই তথ্যচিত্র (BBC Documentary) নিয়ে বিবিসির পাশাপাশি চাপ বাড়ছিল ঋষি সুনক সরকারের ওপরও। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিবিসির বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, বিবিসি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম। তারা কী সংবাদ পরিবেশন করবে, সে ব্যাপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমরা এও বলব ভারত আমাদের অত্যন্ত কাছের বন্ধু। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সব চেষ্টাই করবে ব্রিটেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Economy: বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের শিরোপা পাবে ভারত, কবে জানেন?

    Indian Economy: বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের শিরোপা পাবে ভারত, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭-২৮ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের (Indian Economy) শিরোপা পাবে ভারত। অন্তত এমনই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করলেন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পানাগারিয়া (Arvind Panagariya)। ভারত যে দ্রুত উন্নতির শিখরে পৌঁছবে, সে ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী এই খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক পানাগারিয়া। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আগামী পাঁচ বছর ভারত এই জায়গায় থাকবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ২০২৩ সাল চলছে। তাই ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়া উচিত ভারতের। বুধবারই বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তার ঠিক একদিন আগে লোকসভায় ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি গ্রোথ দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশে।

    মেরা ভারত…

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত (Indian Economy) বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই জায়গাটা দীর্ঘদিন দখল করেছিল ইংল্যান্ড। রাজার দেশকে সরিয়ে বর্তমানে ওই জায়গা দখল করেছে মোদির ভারত। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার দৌড়। মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ডস ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক আপডেটে জানিয়েছে, ভারতের গ্রোথ ৬.৮ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে কমে দাঁড়ায় ৬.১ শতাংশে। ২০২৪ সালে এটা ফের গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬.৮ শতাংশে।

    আরও পড়ুুন: শুক্রবার ত্রিপুরায় মেগা-শো বিজেপির, কারা কারা থাকবেন প্রচারে, জানেন?

    গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘ ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস ২০২৩ রিপোর্টে জানিয়েছিল ২০২৪ সালে ভারতের গ্রোথ হতে পারে ৬.৭। তাতে এও বলা হয়েছে, ভারত হল বর্তমান বিশ্বে ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং মেজর ইকনোমির দেশ। পানাগারিয়া বলেন, আমার সেন্স বলছে, ভারত (Indian Economy) বর্তমানে যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এর গ্রোথ রেট হওয়া উচিত ৭ শতাংশেরও বেশি। তিনি বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির যা ছবি তা ২০০৩ সালের মতো। ওই বছর গ্রোথ রেট ছিল প্রায় ৮ শতাংশ। গ্রোথ রেট বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সংস্কারমূলক নানা পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। অর্থনীতির যে দুর্বল দিকগুলি ছিল, কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে সেগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। এসব কারণেই তাঁর আশা, ভারত অচিরেই হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share