Tag: India

India

  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের (India) নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। যিনি এই কথাগুলি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সভায় আমজনতাকে ওই আশ্বাস দেন সুকান্ত। বাসন্তীর ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুনও। ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়কও বলেন, সঠিক ভোটার কার্ড ও আধারকার্ড যদি থাকে, আপনাকে কেউ তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। তিনিও বলেন, ভুল প্রচার হচ্ছে।

    সিএএ…

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সিএএ (CAA) নিয়ে আম আদমির ভয় কাটাতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। সেই কারণে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেছে নেন বাসন্তীর সভাকেই। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস হল, যাঁরা ভারতের নাগরিক, তাঁদের কেউ তাড়াবে না। সে তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন।ওই সভায় সুকান্ত বলেন, সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। সহ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। বিজেপির বাংলার সভাপতি হিসেবে আমি কথা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই যে ভারতবাসীর প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন সুকান্ত। বলেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছনো থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, সব কিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদিই ভারতবাসীর আসল বন্ধু।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সুকান্ত বলেন, সিএএ (CAA) নিয়ে এখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরই দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। সিএএ লাগু হলেও, যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক, তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে না। এদিনের সভায় ‘মহাগুরু’ মিঠুনও বলেন, আপনাদের কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপনাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না। মুসলমানেরাও যে বিজেপির পাশে রয়েছেন, এদিন সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনেরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিততে পারত না বিজেপি। উত্তর প্রদেশেও মুসলমানেরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    SIMI: সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন যারা ভারতে (India) ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    সিমি…

    এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, সিমি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক ইসলামি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের যে লক্ষ্য, তা আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। বিশেষত, তাদের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ২০০১ সালেই এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিমিকে (SIMI)। কারণ ওই সংগঠন আইনবিরুদ্ধ নানা কার্যকলাপ করছিল। এ দেশে তাদের ৩৬টিরও বেশি শাখা সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে তারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৬টিরও বেশি ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে এদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিমি। এই ফ্রন্ট অর্গানাইজেশনগুলো নানাভাবে সিমিকে সাহায্য করছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ সংগ্রহ, পুস্তিকার মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, ক্যাডারদের সংগঠিত করা ইত্যাদি। সিমি বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্মও করছিল। এই সব কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকি স্বরূপ।

    আরও পড়ুুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    বুধবার কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টেই সিমির (SIMI) এক প্রাক্তন সদস্য পিটিশন দাখিল করেছিল। ২০১৯ সালে ইউএপিএ ধারায় সিমিকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা হয় ওই পিটিশন। এদিন কেন্দ্রের তরফে দাখিল করা হলফনামায় এও বলা হয়েছে, সিমিকে (SIMI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংগঠনের নামে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এর প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তারা। এই সব সংগঠন মুসলিম তরুণদের মনে জেহাদির ধারণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে তার সবই করবে ভারত (India)। শনিবার চেন্নাইয়ের তুঘলকের ৫৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ফের চিনকে (China) এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারি চলার সময়ও চিন যে বারংবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর সীমান্তে বিশাল বাহিনী এনে আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। জয়শঙ্কর বলেন, মনে করুন, কোভিড অতিমারির সময় ২০২০ সালের মে মাসেও এ রকমই হয়েছে। আমরাও যোগ্য এবং কঠিন জবাব দিয়েছিলাম। এবং এর কৃতিত্ব বিদেশমন্ত্রী দিলেন সেনাবাহিনীকে। তিনি বলেন, কঠিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে চরম আবহাওয়ার মধ্যেও আমাদের বাহিনী সীমান্ত রক্ষা করেছে।

    সংঘর্ষ…

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষ হয় চিন ও ভারতীয় সেনার। ২০২২ সালের শেষের দিকেও অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে চিনা ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করে ভারতীয় সেনা। তার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের কেউ নিহত না হলেও, জখম হন বেশ কয়েকজন। পরে ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে বাঙ্কারে ফিরে যায় লালফৌজ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২০ ডিসেম্বর চুশুল-মলডো সীমান্তে চিনের দিকে ১৭তম বার বৈঠকে বসেন চিন ও ভারতের সেনা কর্তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এমন এক দেশ, যে কোনও দেশকে আঘাত করে না। তবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যা দরকার, তার সবটাই করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষেত্রে ইতিহাসের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানও এই দেশের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। ভারতের নামে যে মহাসাগর, তার কেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় উপদ্বীপ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ভারত মহাসাগরের ভৌগলিক গুরুত্ব আজ আরও বেশি। সেই কারণে গোটা দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত যত বেশি অংশগ্রহণ করবে, তত তার গুরুত্ব বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    Sri Lanka: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান। মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং পরিবহণ মন্ত্রী বন্দুলা গুণবর্ধনে বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট (President) বিক্রমসিংহে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন রাজকোষের তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য বরাদ্দ করা আনুমানিক ব্যয় পাঁচ শতাংশ কমাতে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার জেরে দেশটিতে তীব্র হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।

    অর্থনীতির হাঁড়ির হাল…

    ১৯৪৮ সালের গ্রেট ব্রিটেনের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে এই প্রথম শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির এমন হাঁড়ির হাল হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে আন্তর্জাতিক ঋণ খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। জনরোষের চাপে পড়ে বদল হয় সরকার। প্রেসিডেন্ট হন বিক্রমসিংহে। তার পরেও দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের খুব একটা উন্নতি হয়নি। এমতাবস্থায় দেশকে বাঁচাতে সহায় হতে পারে একমাত্র আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। সেকথা স্বীকারও করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার দুপুরে প্রেসিডেন্টের অফিসে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে। আমি জানি দেশবাসী কী চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন।

    আরও পড়ুুন: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। জীবনযাত্রার মান এক লপ্তে গিয়েছে অনেকখানি বেড়ে। মূদ্রাস্ফীতির কারণেই এটা হয়েছে। তিনি বলেন, সেই কারণেই বদলে যাচ্ছে দেশবাসীর জীবনযাত্রার ধরন। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট বলেন, নানা কারণে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়েছে। যা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়ে এখন আর আলোচনা করার কোনও প্রয়োজন নেই। এর পরেই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সামনে এখন একমাত্র অপশন খোলা রয়েছে, সেটি হল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সাহায্য। অন্যথায় আমরা দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারব না। তিনি বলেন, নানা কারণে আমাদের এখন প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছে। আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করছি। ঋণদাতা দেশগুলির মধ্যে জাপানও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপান ছাড়াও চিন এবং ভারত থেকেও আমরা ঋণ নিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ! যে ভারতের (India) বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদারি করতে মুখিয়ে রয়েছে চিন (China), করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভারতের ওষুধের দিকেই হা-পিত্যেশ করে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। হ্যাঁ, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের (Generic Medicine) চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে। চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সে দেশে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক জাল ওষুধ। চিনের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ক্রেতাদের।

    করোনার ঢেউ…

    সম্প্রতি চিনে ফের আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। এক সময় চিনেই প্রথম মিলেছিল মারণ এই ভাইরাসের দেখা। সেখানে থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তামাম বিশ্বে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ব্যতিক্রম কেবল চিন। অথচ করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং। নেওয়া হয়েছিল জিরো টলারেন্স নীতিও। তার পরেও রোখা যায়নি করোনার বাড়বাড়ন্ত। জানা গিয়েছে, চিনে ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় চিনের ভরসা ভারতের জেনেরিক ড্রাগ। রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিডকে রেজিস্টার অফ ড্রাগের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ কোম্পানির কোটেশন চড়া। যেহেতু প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ কম, তাই চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের জেনেরিক ভার্সানের (Generic Medicine) দাম গিয়েছে চড়ে।

    আরও পড়ুুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে…অন্তত ভারতে উৎপন্ন চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ-প্রাইমোভির, প্যাক্সিসটা, মলনুনাট এবং মলনাট্রিস বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাইমোভির এবং প্যাক্সিসটা দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক ভার্সান। বাকি দুটি মলনিপিরেভির জেনেরিক ভার্সান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চারটি ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তবে চিনে এটির প্রয়োগ বৈধ নয়। বেজিং মেমরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হি জিয়াওবিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানকার সোর্স বিশ্বস্ত, যার কোভিড ওষুধে গ্যারান্টিযুক্ত ফল হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু অবৈধ গোষ্ঠী এই ওষুধগুলির বিপুল চাহিদাকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা জাল ওষুধ তৈরি করছে। এতে রোগীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এদিক, ভারত চিনকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইচ্ছে করলে সে দেশের নাগরিকদের জন্য ওষুধের দাম কমাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India China: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    India China: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সেনা মোতায়েন করলেও, যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারত (India) জবাব দিতে প্রস্তুত। আজ, বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande)। তবে তিনি এও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা প্রধান বলেন, সীমান্ত সমস্যার ৭টির মধ্যে ৫টি আমরা আলোচনার (India China) টেবিলে মিটিয়ে নিতে পেরেছি। বাকি সমস্যাগুলি মেটাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনা।

    লালফৌজ…

    গত ডিসেম্বরেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে লালফৌজ। সীমান্তেই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতীয় সেনার। দু পক্ষের কয়েকজন জখম হন। পরে ভারতীয় সেনার হাতে মার খেয়ে নিজেদের বাঙ্কারের দিকে পিঠটান দেয় চিনা সেনা। এই আবহে সেনা প্রধানের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এদিন সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনা প্রধান। সেখানে চিন (India China) সীমান্তের প্রসঙ্গ ওঠে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, চিন অরুণাচল সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চিনকে জবাব দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না ভারতীয় সেনাদের। সেনা প্রধান বলেন, চিন সেনা মোতায়েন করেছে, তবে বিপুল সংখ্যায় নয়। তিনি বলেন, সীমান্তের দিকে নজর রয়েছে ভারতীয় সেনার।

    আরও পড়ুুন: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্ত্র বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। তবে জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তিনি বলেন, উপত্যকায় শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। মনোজ পাণ্ডে জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফিরেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নমূলক কাজের সুফল মিলেছে। পদাতিক বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সেনা প্রধান। প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুদ্ধ বিমানের পাইলট পদে নিয়োগ করা হয়েছে মহিলাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mohan Bhagwat: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: আমরা একবার এই দেশ   শাসন করেছি, আবার শাসন করব। মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, ভারতে (India) মুসলমানরা নির্ভয়ে থাকতে পারেন। তবে তাঁদের অবশ্যই আধিপত্যের ভাবনা ছাড়তে হবে।

    ভাগবত উবাচ…

    আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা একটি  উচ্চ জাতি। এক সময় আমরা এই দেশ শাসন করেছিলাম। আবারও শাসন করব। কেবল আমাদের অনুসৃত পথই ঠিক। বাকি সবারটা ভুল। আমরা আলাদা। তাই আমরা তা চালিয়ে যাব। আমরা এক সঙ্গে থাকতে পারি না। মুসলমানদের এই ধারণা ছেড়ে বেরতে হবে। তিনি বলেন, এই ভূমিতে যাঁরা বাস করেন সে তিনি হিন্দুই হোন বা কমিউনিস্ট, তাঁদের অবশ্যই এই যুক্তি ত্যাগ করতে হবে।

    সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ইতিহাস লেখার আগে থেকেই ভারত অখণ্ড। এই ভারতই ভাগ হয়েছিল তখন, যখন কোটি কোটি হিন্দু ভুলে গিয়েছিলেন তিনি হিন্দু। এর পরেই মোহন ভাগবত বলেন, হিন্দু আমাদের পরিচয়। আমাদের জাতীয়তাবাদ। আমাদের সভ্যতার বৈশিষ্ট্য। এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যার কারণে আমরা প্রত্যেককেই আমাদের বলে ভাবতে পারি। তিনি বলেন, আমরা কখনওই বলি না, আমাদেরটাই (অনুসৃত পথ) সত্য, আর তোমাদেরটা মিথ্যে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    ভাগবত বলেন, তোমরা তোমাদের পথে ঠিক আছ। আমি আমার পথে ঠিক আছি। চলো, এক সঙ্গে এগনো যাক। এটাই হল হিন্দুত্ব। এর পরেই মোহন ভাগবত বলেন, সহজ সরল সত্যটা হল কী জানেন, এই হিন্দুস্তান হিন্দুস্তানই থাকবে। তবে ভারতে যে মুসলমানরা বসবাস করছেন, তাঁদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, ইসলামের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, হিন্দু সমাজ গত হাজার বছর ধরে যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। আগে বিদেশি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আর এখন বিদেশি প্রভাব এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তিনি বলেন, এসবের কারণেই হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। ভাগবত বলেন, সংঘ প্রথাগত রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে। তবে, জনগণের এই উদ্বেগ স্বয়ংসেবকদের কাছে পৌঁছে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গতির সীমা নেই গ্যাস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)! এক সময় যে হাতে গর্জে উঠত একে সাতচল্লিশ, এখন সেই হাতেই উঠেছে লাঠি। না, লাঠি চালানো শিখছেন না তিনি। আসলে লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতেই পারছেন না গ্যাংস্টার। তার কারণ, পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছে পায়ের দুটি আঙুল। তার জেরে আপাতত লাঠিই ভরসা এই ডনের।

    মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ…

    এক সময় মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও তাঁর। ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হন তিনি। কড়া প্রহরায় করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তাঁর পায়ের দুটি আঙুল। বছর দুই আগে দাউদের প্রাক্তন সহযোগী এজাজ লাকদাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গ্যাংগ্রিন হয়েছে দাউদের পায়ে। যদিও দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। ছোটা শাকিলের দাবি অবশ্য পরে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধানে করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় দাউদের (Dawood Ibrahim)। তখনই গ্যাংগ্রিন আটকাতে বাদ দেওয়া হয় পায়ের আঙুল। তার পরেই দাউদ কার্যত হয়ে পড়েন অথর্ব। যদিও মানসিকভাবে তিনি এখনও সক্রিয় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    ডন যে বিষম বেকায়দায়, তা জানা গিয়েছে আরও একটি খবরে। ফি বার ঘটা করে ডনের জন্মদিন পালন করা হলেও, এবার তা হয়েছে নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ২৬ ডিসেম্বর ডনের জন্মদিন। এক সময় তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকতেন পাকিস্তানের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের অনেক তারকাও। করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে হত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন করাচি, লাহোর এবং পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অথচ এবার? জানা গিয়েছে, এবার তেমন অনুষ্ঠান হয়নি। পাকিস্তানে থাকা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ায় দাউদ (Dawood Ibrahim) তাঁর অনেক ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের হাতে। শাকিল রয়েছেন অপারেশনাল বিষয়গুলির দায়িত্বে। আর আনিস দেখাশোনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছাড়ুন। না হলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করব। সম্প্রতি এই মর্মে বিজেপি এবং আরএসএস (RSS) নেতাদের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-খালসা (LEK)। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কয়কজনকে এই হুমকি দিয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রামপুরের সাংসদ বিজেপির ঘনশ্যাম লোধি ওই খুনের হুমকি পেয়েছেন। তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছে লস্কর-ই-খালসার খালিস্থানি সন্দীপ সিং। নতুন বছরের পাঁচ তারিখে তাঁকে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    বিজেপির ওই সাংসদ…

    বিজেপির ওই সাংসদ জানান, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করে বলা হয়েছে, বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করা হবে। শুধু তাঁকেই নয়, এই মেসেজের মাধ্যমেই বিজেপি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং সেনাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি মেসেজ পাওয়ার পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির ওই সাংসদ। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়েছে পুলিশ। চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বার্তা-প্রেরককে। যে মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর ফোনে মেসেজ এসেছে, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন রামপুরের সাংসদ। নম্বরটি হল, +৯১ ৭৬০৯৮৭৫৩০৬। তিনি এও জানান, খালিস্থানি ওই জঙ্গিটি তাঁকে পাঁচবার মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি পাঁচবার কলও করেছিল।

    আরও পড়ুুন: কুলগামে শিক্ষিকা খুনে অভিযুক্ত আরবাজ মীর! ‘বিশেষ সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    ওই একই জঙ্গি গোষ্ঠীর (LEK) কাছ থেকে হুমকি-বার্তা পেয়েছেন তাজিন্দর সিং তিওয়ানা। তিনি মুম্বইয়ে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা। তিনিও মেসেজ পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। যে তাজিন্দরের ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছে, সে নিজেকে খালিস্তানি সন্দীপ সিং বলে পরিচয় দিয়েছে। সে যে লস্কর-ই-খালসার মুখপাত্র, তাও জানিয়েছে। মেসেজে সন্দীপ লিখেছে, তাজিন্দর বিজেপি না ছাড়লে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করার শপথ নিয়েছে সন্দীপ। ওই জঙ্গি তাঁকে হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ এবং খালিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। সে আরও জানিয়েছে, তারা গোটা দেশের বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করেছে।

    একই মেসেজ পেয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপি সমর্থক বীর সিং সাইনিও। বুধবার তাঁকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেও বলা হয়েছে, শীঘ্রই বিজেপি ছাড়ুন। নাহলে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন করা হবে। আমরা বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকেও টার্গেট করেছি। এই মেসেজর নীচেও লেখা, খালিস্তান (LEK) জিন্দাবাদ। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে ওই মেসেজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share