Tag: India

India

  • Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক। তার জেরে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি জোরালো হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুসলমান অধ্যুষিত এই দেশে মাথাচাড়া দিতে পারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেড়ে যেতে পারে মাদক পাচারের মতো ঘটনাও।

    একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ডেরা 

    মলদ্বীপে ইরাক এবং সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের ডেরা রয়েছে। ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা। এই অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের অন্যতম বড় আখড়াও এই দ্বীপরাষ্ট্র। গোয়েন্দাদের দাবি, মলদ্বীপের নির্জন দ্বীপগুলিতে মাদক কারবার চলে রমরমিয়ে। দ্বীপরাষ্ট্রের জেলগুলিতে বসে ব-কলমে এগুলি চালায় গ্যাংস্টারেরা। ভারত মহাসাগরের বুকের এই দ্বীপরাষ্ট্রে (Maldives) ইসলামিক মৌলবাদের রমরমা। এই মৌলবাদীরাই ফান্ডিং করছে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে।

    ফান্ডিং করছে চিন, পাকিস্তান

    দেশের শাসনের রাশ যাতে ভারতের মতো মিত্র দেশপন্থী কোনও নেতার হাতে চলে না যায়, তাই এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নানাভাবে প্রলোভিত করছে চিনা সরকার এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা এখানে আখড়া গড়ে চালাচ্ছে গ্লোবাল কার্যকলাপ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে ঘটে ২৬/১১-র ঘটনা। তার ঠিক দু’ বছর পরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তখনই তিনি মলদ্বীপ সরকারকে লস্করকে ঠাঁই না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কয়েক বছর সেসব বন্ধ থাকার পর মলদ্বীপে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী।

    আরও পড়ুুন: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত‘কে নিশানা পদ্মের

    সূত্রের খবর, মলদ্বীপের কুর্সিতে চিনপন্থী মুইজ্জু বসতেই বাড়তি ইন্ধন পায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। তারপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে রমরমা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হাত ধরাধরি করে চলে। আইএসআইএস-কে-র অন্যতম মাথা উমর নাসির ভাট গ্রেফতার হয়েছিল ২০২১ সালে। গোয়েন্দাদের জেরায় এই জঙ্গি নেতা কবুল করেছিল, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ ভিত্তিক মুসলমান আমিরদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এদের মাধ্যমে সে সন্ত্রাসবাদী প্রচার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলত। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গি নাসির মলদ্বীপের সেনাবাহিনীতে চাকরি নিতে গিয়েছিল স্রেফ মলদ্বীপ ভিত্তিক আইএসআইএসের চাঁইকে মেটিরিয়াল সরবরাহ করবে বলে। তবে ধরা পড়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন আর সফল হয়নি নাসিরের (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য মুইজ্জু মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীর। তার জেরে গদি টলোমলো মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (India Maldives Row)। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্রে।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    মলদ্বীপের সাংসদ তথা পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতা আলি আজিম ওই দাবি জানিয়েছেন। মোদির অপমান সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে প্রশ্ন করতে বলছেন মলদ্বীপের আর এক সাংসদ মিকালী নাসিম। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘটনার জেরে মলদ্বীপ সফর বাতিল করেন ভারতীয়রা।

    অশনি সঙ্কেত দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় ভারতীয় পর্যটকদের তরফে। যেহেতু মলদ্বীপের সিংহভাগ পর্যটকই ভারতীয় এবং তারা মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অশনি সঙ্কেত দেখেন সে দেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ। তাঁরাও ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। ভারতের কাছে (India Maldives Row) ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারাও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু সরকার। তা সত্ত্বেও কমেনি ক্ষোভের আঁচ। তার পর থেকে মলদ্বীপে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি। আজিম বলেন, “মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে যা করতে হয়, করব। তাঁকে অপসারণের জন্য আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনব।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা চাই দেশের বিদেশনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। কোনও প্রতিবেশী দেশকে কোণঠাসা করার চেষ্টা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুুন: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা চিনপন্থী মুইজ্জুকে দুষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষত মেরামতের ডাক দিয়েছেন মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ফয়াজ ইসমাইলও। মুইজ্জুর বিরুদ্ধে মলদ্বীপ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ দিদি। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাও। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন মলদ্বীপের দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও। ওই মন্ত্রীদের মন্তব্য ঘৃণার্হ্য বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরে পরে ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু (India Maldives Row)। তবে ভারত বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় ভারত-দর্শন হয়নি মুইজ্জুর। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মলদ্বীপের জুনিয়র তিন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে এসে ঠেকেছে।

    উদাসীন ভারত

    অথচ ভারত মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। এহেন এক দেশের শাসকের ভারত সফর নিয়ে নয়াদিল্লির ‘শৈত্য’ বুঝিয়ে দেয়, চিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় মুইজ্জুর প্রতি ভারত উদাসীন। সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটি ছবির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে সরকার। তার পরেও অবশ্য মলদ্বীপের প্রতি ভারতের ক্ষোভের আঁচ স্তিমিত হয়নি এতটুকুও। যার প্রমাণ,  অতি সম্প্রতি মলদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলের ১৪ হাজার টিকিট বাতিল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা।

    জানুন কারণ

    কী কারণে মলদ্বীপের (India Maldives Row) নয়া শাসকের প্রতি এই শৈত্য প্রদর্শন ভারতের? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ তিনটি। প্রথম কারণটি হল, মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় বসেই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় সেনাদের দেশে ফিরে যেতে বলে মুইজ্জু সরকার। দ্বিতীয় কারণটি হল, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে মুইজ্জু লাগাতার ভারত-বিরোধী প্রচার করে চলেছিলেন। সর্বোপরি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই মুইজ্জু প্রথা ভেঙে ভারতের পরিবর্তে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর পূর্বসূরিরা প্রথমে ভারত সফর করতেন। পরে যেতেন অন্যত্র।

    আরও পড়ুুন: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    এই তিন কারণে নয়াদিল্লি বুঝে যায়, ভারতের প্রতি মুইজ্জু সরকারের মনোভাব কী। তাই তুরস্ক এবং আরব আমিরশাহি সফর সেরে মুইজ্জু যখন ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেন, তখন আর বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি। অগত্যা চিন সফরের সিদ্ধান্ত নেন মুইজ্জু। এই সফরের মধ্যেই মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য তাঁর তিন মন্ত্রীর। যার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন হাজার হাজার ভারতীয়। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয় (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে মলদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করায় হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক বয়কট করতে শুরু করেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে (India Maldives Row)। বিমান-হোটেলের টিকিট বাতিল করতে থাকেন শ’য়ে শ’য়ে ভারতীয় পর্যটক। নিত্যদিন সেই সংখ্যার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। যার জেরে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্করভাবে মার খাবে বলে ইঙ্গিত পেয়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    চিনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ

    ঠেলায় পড়ে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ জানালেন আরও বেশি করে পর্যটক পাঠানোর। বর্তমানে পাঁচ দিনের চিন সফরে রয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই পর্যটক-ভিক্ষে করেছেন মুইজ্জু। কেবল তাই নয়, মলদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চিনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেন মুইজ্জু। মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের একটি বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা (India Maldives Row) দেন মুইজ্জু। তিনি বলেন, “প্রাক অতিমারি পর্বে চিন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই।” এর পরেই মলদ্বীপে আরও বেশি করে চিনা পর্যটকরা যাতে যান, সেই আবদার করেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। 

    বিপাকে মলদ্বীপ সরকার

    সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ, এর পরেই মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কয়েকটি ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এর পরেই আক্ষরিক অর্থে মলদ্বীপ বয়কটের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও দেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    আরও পড়ুুন: বছরে মিলবে ১২ হাজার টাকা! মহিলা কৃষকদের নগদ বৃদ্ধির ভাবনা কেন্দ্রের

    ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে মুইজ্জু সরকার। বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন মলদ্বীপেরই দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ও মহম্মদ নাসির। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সাতটি আলাদা আলাদা মামলায় তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এমনই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।

    গ্লোবাল টেররিস্ট

    মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে দেগে দেয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়ও রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজের নাম। তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও সে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ (Hafiz Saeed)।

    হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ

    গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। তবে যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তাই হাফিজকে যে ভারত তার জিম্মায় পাবে না, তা এক প্রকার জানাই ছিল। সম্প্রতি সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রকও। মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সঈদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগ ছিল হাফিজের। হাফিজের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী যে হাফিজ, ভারত একাধিকবার তার স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেও হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি পাক সরকার। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পাকিস্তান তাকে নাশকতায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। হাফিজের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশও জানিয়েছিল ভারত। সেসবে অবশ্য বিশেষ কাজ হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে হাফিজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাফিজ বাইরে থাকলে প্রাণহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে জেলে। যেখানে কারাদণ্ড ভোগ করার নামে বহাল তবিয়তে রয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি (Hafiz Saeed)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি।” মলদ্বীপকাণ্ডে (India Maldives row) এবার জানিয়ে দিল কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চিন। ভারত বিরোধিতা করার জন্য মলদ্বীপকে চিনের তরফে কোনও উসকানিও দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিল বেজিং।

    ঘটনার নেপথ্যে চিনা উসকানি?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। যেহেতু মলদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত, তাই অনেকের ধারণা চিনের তরফে উসকানি পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এই ঘটনায় (India Maldives row) সোমবার দায় ঝেড়ে ফেলল ড্রাগনের দেশ। কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল একদলীয় চিনের সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’। সেই গ্লোবাল টাইমসেই এদিন বলা হয়েছে, আমরা মলদ্বীপকে সমান স্তরের সহযোগী ভাবি এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।

    চিন সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    বর্তমানে চিন সফরে গিয়েছেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের যাতে আর অবনতি না হয়, সেই কারণেই বেজিং ভারতকে বার্তা দিল বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। কারণ, মলদ্বীপে শিক্ষা-সহ নানা ধরনের উন্নতিতে দ্বীপরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-বিরোধী নানা পদক্ষেপ করেছেন মলদ্বীপের চিনপন্থী এই শাসক। এহেন আবহে সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরালও হয়।

    আরও পড়ুুন: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত কোর কমিটির বৈঠকে

    অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কিছু ছবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় ওই তিন জুনিয়র মন্ত্রীকে। মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করতে থাকেন ভারতীয় পর্যটকরা। চাপে পড়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। মুইজ্জুর বিরোধীরা তড়িঘড়ি জানিয়ে দেন, মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্য তাঁদেরই, মলদ্বীপের সাধারণ মানুষের নয়। এমতাবস্থায় মলদ্বীপকাণ্ড নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলল চিনের শি জিনপিং সরকার। জানিয়ে দিল, “ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আমরা শ্রদ্ধা করি। ভারতের সঙ্গ ছাড়তে চিন কখনওই বলেনি মলদ্বীপকে (India Maldives row)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    India Maldives Row: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর। তার জেরে উত্তাল ভারত। ফি বছর দলে দলে পর্যটক ভারত থেকে বেড়াতে যান মলদ্বীপে। এবার সেই মলদ্বীপ ভ্রমণই বাতিল করছেন সিংহভাগ ভারতীয় (India Maldives Row) পর্যটক। যার জেরে মার খাবে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা।

    মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    অনলাইন ফোরামস এবং ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্মেও ক্ষোভ ওগরানো হচ্ছে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে। মলদ্বীপের তরফে যতক্ষণ না পর্যন্ত অফিসিয়ালি ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বীপকে বয়কট করতে অনলাইনে অনুরোধও করছেন অনেকেই। লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রেক্ষিতে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী আবদুল্লা মাহজুম মাজিদ। তাঁর দাবি, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয়দের নজর ঘোরাতেই ভারতের (India Maldives Row) প্রধানমন্ত্রী লাক্ষাদ্বীপের ছবি দিয়েছেন। তিনি এও বলেন, “লাক্ষাদ্বীপকে ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে ভারত। বিচ ট্যুরিজমের সাম্রাজ্যে মলদ্বীপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে ভারত।” 

    ‘আমি আত্মনির্ভর’

    এর পরেই দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করেছেন। বিমানের টিকিট বাতিল এবং হোটেল-রেস্তরাঁর বুকিং বাতিলের স্ক্রিনশটও ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (India Maldives Row)। অক্ষিত সিংহ নামে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, “দুঃখিত মলদ্বীপ। আমার নিজস্ব লাক্ষাদ্বীপ রয়েছে। আমি আত্মনির্ভর।” প্রসঙ্গত, ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মোদির প্রতিই অবমাননাকর মন্তব্য করায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    স্পোর্টস ফিজিওথেরাপিস্ট ফলক জোশীপুরা ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিনটি কাটাতে চেয়েছিলেন মলদ্বীপে। কথা ছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি হবে অমেয় কুদা রাহ রিসর্টে। মলদ্বীপের মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে মলদ্বীপ ট্রিপ বাতিল করে দিয়েছেন ওই ফিজিওথেরাপিস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমার জন্মদিন ২ ফেব্রুয়ারি। মলদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে ফাইনাল কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল।

    মলদ্বীপের এক ডেপুটি মন্ত্রীর মন্তব্যের কথা জানতে পেরে আমি মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করেছি।” চলচ্চিত্র নির্মাতা রুশিক রাওলও বাতিল করেছেন মলদ্বীপ ভ্রমণ। তিন সপ্তাহ ধরে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মলদ্বীপের পালম রিট্রিটে থাকার কথা ভাবছিলেন রাওল। মন্ত্রীর মন্তব্যকে জাতিবাদ বলে দেগে দিয়েছেন রাওল। তিনিও জানিয়েছেন, মলদ্বীপের মন্ত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিলের প্রাথমিক কারণ (India Maldives Row)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডবল সেঞ্চুরি পার আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জয়ী (Bangladesh Elections 2024) হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল। হাসিনার জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে হাসিনাকে জানান ভার্মা।

    হাসিনা-ভার্মা বৈঠক

    বস্তুত ভার্মাই প্রথম দূত, যিনি হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আওয়ামি লীগ সরকারের নয়া ইনিংসে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভার্মা। দুই দেশই তাদের জাতীয় উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেও আলোচনা হয়েছে হাসিনা-ভার্মা বৈঠকে। ভারত যে সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, বৈঠকে তাও জানান ভার্মা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, বাংলাদেশ যাতে স্থায়ী, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সেজন্য সাহায্যের হাত (Bangladesh Elections 2024) বাড়াবে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে ভারত পাশে ছিল, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বন্ধুত্ব, তাও অটুট থাকবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন ভার্মা।

    বিপুল ভোটে জয়ী হাসিনা 

    রবিবারই হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশের নাগরিকরা। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি বাদে সে দেশের সব রাজনৈতিক দলই। বহু নির্দল প্রার্থীও ছিলেন নির্বাচনী ময়দানে। গোপালগঞ্জ-৩ কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন আওয়ামি লীগ সুপ্রিমো হাসিনা। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ৯৬২টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ আতিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৯৯৯টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুর মোল্লার ঝুলিতে পড়েছে মোটে ৪২৫টি ভোট।  

    আরও পড়ুুন: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    এনিয়ে হাসিনা সংসদে গেলেন পাঁচ বার। হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। রবিবার ভোটগ্রহণ শেষেই শুরু হয় গণনা। প্রথম থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হাসিনার দলের প্রার্থীরা। গণনা শেষে দেখা যায় ২২৩টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে আওয়ামি লীগ। ফল বের হওয়ার ঢের আগেই হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনার ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করেন। কোনও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যাতে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা মারপিটে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারেও সর্তক করে দিয়েছিলেন (Bangladesh Elections 2024) হাসিনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    India Maldives Row: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল সাসপেন্ড করলেই হবে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে। সোমবার ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের (India Maldives Row) রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে সাফ জানিয়ে দিল ভারত।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    এদিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তলব করা হয় ভারতে নিযুক্ত মলদ্বীপের হাইকমিশনারকে। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের করা মন্তব্যের প্রভাব পড়েছে ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এর জন্য দায়ী মলদ্বীপই। এই সম্পর্ক মেরামত করার দায় মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজুর। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও বলা হয়, জুনিয়র ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করলেই হবে না, তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে।

    এঁরা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধি!

    সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল (India Maldives Row) হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের ওই মন্ত্রীরা এরকমই কয়েকটি ছবিতে মোদিকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এরই প্রেক্ষিতেই সাসপেন্ড করা হয় তিন মন্ত্রীকে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজনই মহিলা। এঁরা মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    আরও পড়ুুন: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতপন্থী। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজু চিনপন্থী। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ইব্রাহিমকে হারিয়েই ক্ষমতায় আসেন চিনপন্থী শাসক হিসেবে পরিচিত মুইজু। তাই মুইজু ক্ষমতায় আসার পর যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি ঘটবে, তার একটা ইঙ্গিত ছিলই। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মুইজু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কিছু দিনের মধ্যেই চিন সফরে যাচ্ছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ফান্ড নিয়ে দরবার করবেন। তার আগে মন্ত্রীদের দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এহেন কুরুচিকর মন্তব্য করানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিদেশের নেতা এবং পদস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়, সে সম্পর্কে মলদ্বীপ সরকার সচেতন। এই জাতীয় মন্তব্য ব্যক্তিগত এবং তা মলদ্বীপ সরকারের (India Maldives Row) দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share