Tag: India

India

  • Nuclear Bomb: ভারতের পারমাণবিক শক্তি ১৯৬৮তে ভয় ধরিয়েছিল আমেরিকাকেও?

    Nuclear Bomb: ভারতের পারমাণবিক শক্তি ১৯৬৮তে ভয় ধরিয়েছিল আমেরিকাকেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৬৮ সালের জুন মাস। কানাডিয়ান নিউক্লিয়র ইনসপেক্টরদের একটি দল এসেছিলেন মুম্বইয়ের ট্রম্বেতে, কানাডা (Canada)-ইন্ডিয়া রিয়েক্টর পরিদর্শনে। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভারত নিউক্লিয়র ডিভাইস (Nuclear Device) উন্নত করতে দ্রুত এগোচ্ছে। আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়ে উঠছে। অস্ত্র (Nuclear Bomb) দৌড়ে শামিল হওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছে এই দেশ। সম্প্রতি এমনই এক নথি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। পরে কানাডার ওই প্রতিনিধি দল মার্কিন কূটনীতিকদের বলেছিলেন, প্লুটোনিয়াম গ্রেড অস্ত্র বানানোর জন্য তারা (ভারত) কম বিকিরণ করে এমন জ্বালানি ব্যবহার করছে। ওই প্রতিনিধি দল এও জানিয়েছিল, ভারত যদি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করে, তাহলে যে রিয়েক্টরে কাজ হবে, সেটি বছরে ১২ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারবে।

    ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম…

    এ সংক্রান্ত নথিটি সংরক্ষিত রয়েছে ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভে। এটা দেখেই ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পেরেছিল আমেরিকা। ভারত প্রথম নিউক্লিয়ার পরীক্ষা করে ১৯৭৪ সালের মে মাসে। তার ঢের আগেই তার শক্তি সম্পর্কে একটা ধারণা করে ফেলেছিল ওয়াশিংটন। এই গোপন নথি থেকে জানা যায়, ভারতের সর্বোচ্চ নিউক্লিয়ার অফিসাররা তখনই আমেরিকাকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। ১৯৭০ সালের নভেম্বরে মার্কিন ডিমার্চে ভারত সরকারের কাছে বলেছিল, উৎপাদিত প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করতে হবে মার্কিন-ভারতীয় চুক্তি অনুসারে। পিসফুল নিউক্লিয়ার এক্সপ্লোশান ডিভাইসগুলি এই ধরনের চুক্তির সঙ্গে বেমানান হবে। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই ধরনের ব্যবহারে সব চেয়ে বেশি আপত্তি জানাব।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কুখ্যাত জঙ্গির দোতলা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

    তক্ষণাৎ জবাব দিয়েছিল ভারতও। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা নিউক্লিয়ার অস্ত্র ডেভেলপ করতে চায় না। তারা দেখছে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করে কী কী সুফল ঘরে তোলা যায়। তারা এও জানিয়েছিল, এ সবই হচ্ছে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে। এবং এজন্য যা ডেভেলপমেন্ট করা প্রয়োজন, ভারত তা করবে। এবং ভারত যে নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি শান্তির জন্যই ব্যবহার করছে, তার উল্লেখ রয়েছে ওই নথিতেও। সেখানে বলা হয়েছে, একজন (ভারত) নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্ট করে চলেছে শান্তির উদ্দেশ্যে, মিলিটারি উদ্দেশ্যে নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে হয়েছিল জি ২০ (G20) সম্মেলন। এই সম্মেলনে সবাই হাজির থাকলেও, ছিলেন না রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর ছড়ায়, অসুস্থ থাকায় ওই সম্মলনে গরহাজির ছিলেন তিনি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অনুপস্থিত থাকলেও, ভারতে (India) যে জি ২০ সম্মেলন হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন পুতিন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে পুতিনের নিজের ওপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নিজেই এ খবর জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতে জি ২০ সম্মলন শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে। শেষ হবে তার পরের দিন।

    শ্বেতলানা লুকাস বলেন…

    পুতিনের মুখপাত্র শ্বেতলানা লুকাস বলেন, আমি আশা করি, অবশ্যই (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) যাবেন। তবে এটা একান্তভাবেই স্থির করবেন তিনি স্বয়ং। আগামী সম্মেলন এখনও এক বছর দেরি। তাই আমি এখনই এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমার মনে হয়, তাঁর যাওয়ার সমস্ত রকম সম্ভাবনা রয়েছে। লুকাস বলেন, জি ২০ সম্মেলন নিয়ে কোনও ইভেন্ট এড়াবে না রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত না থাকলেও, সে দেশের তরফে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতকে নিয়ে কৌতুহলী বিশ্ব’, জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন মোদি

    জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রতিটি ইভেন্টেই রাশিয়া যোগ দেবে বলেও জানান পুতিনের মুখপাত্র। লুকাস বলেন, আমরা একটিও ইভেন্ট মিস করব না। সেটা ওয়ার্কি গ্রুপের বৈঠক হোক কিংবা সেমিনার অথবা কনফারেন্স। তিনি বলেন, এটার রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে তার পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া, মতামত ব্যক্ত করা এবং অন্যান্য দেশ কী তুলে ধরছে, তা খুঁটিয়ে দেখা।

    এদিকে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ভারত-রাশিয়ার যে বাৎসরিক সম্মেলন হয়, এবার তা হচ্ছে না। ফি বার এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এবার দু তরফেই শিডিউলের সমস্যার জেরে হচ্ছে না ওই সম্মেলন। সূত্রের খবর, নিউক্লিয়ার হুমকির জেরে হচ্ছে না মোদি-পুতিন বৈঠক। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দুই দেশের দুই প্রধান মুখোমুখি হতে পারছেন না স্রেফ শিডিউলের সমস্যার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব বর্তেছে ভারতের (India) ওপর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এই জি ২০-র সম্মেলন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই উপলক্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে নানান অনুষ্ঠান। তামাম বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দেবেন ওই সম্মেলনে। পাঁচটি সেক্টরে বৈঠক রাখা হয়েছে। জি ২০ বৈঠকে এই সেক্টরগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

    কবে, কোথায়…

    গোটা দেশের সঙ্গে এই বাংলায়ও হবে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন স্তরের চারটি বৈঠক হবে। জানুয়ারির ৯-১১ বৈঠক হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে ওই বৈঠক হবে। এর পরের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসের ৮-৯ তালিখে বৈঠকে বসবে এনগেজমেন্ট গ্রুপ। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে। এর পরের মাসে বাংলায় কোনও বৈঠক নেই। বৈঠক রয়েছে তার পরের মাসে। এপ্রিলের ৩-৫ তারিখে বৈঠক হবে শিলিগুড়িতে। এই বৈঠকটিও হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। এ রাজ্যে এর পরের বৈঠকটি হবে জুলাইয়ে। ওই মাসের ১৭-১৮ তারিখে ফের হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতায়। জুলাই মাসের ১৯ তারিখে আরও একটি বৈঠক হবে কলকাতায়। এটি মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং। উল্লেখ্য, জি ২০ (G20) সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যেই রয়েছে এগুলি।

    আরও পড়ুন: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    জি২০ সফল করতে দিন কয়েক আগে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বদলীয় এই বৈঠকটি হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজু জনতা দল সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিভিন্ন দলের প্রধানরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    Ram Temple: ‘রামমন্দির নির্মাণ বন্ধ করে অযোধ্যায় বাবরি গড়ুন’, ভারতকে বলল পাকিস্তান, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফয়সালা হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। অযোধ্যায় রামের (Lord Ram) জন্মস্থানেই গড়ে উঠছে রামমন্দির (Ram Temple)। এক সময় ওই জায়গায় ছিল বাবরি মসজিস। সেই মসজিদ কমিটিকে অযোধ্যারই অন্যত্র জমি দেওয়া হয়েছে। রামের জন্মভূমিতে যেমন রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে, বাবরি মসজিদ কমিটিকে যেখানে জমি দেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে সেখানেও। এমতাবস্থায় আমরা পেরিয়ে এলাম আরও একটা ৬ ডিসেম্বর। এদিনই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ভারতকে বলেছে, রামমন্দির গড়া বন্ধ রাখতে। ওই জায়গায় তৈরি হোক বাবরি মসজিদ। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোকে ভাল চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি। ভারতে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, ইসলামাবাদকে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    বাবরি মসজিদ…

    ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার পূর্তি দিবস। এদিনই ভারতকে মন্দির নির্মাণ বন্ধ রেখে ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ গড়ে তুলতে বলেছে পাকিস্তান। ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যে স্বধর্ম পালন করেন ইসলামাবাদকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কেবল তাই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় যে মন্দির এবং গুরুদ্বার ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে, সেকথাও শাহবাজ শরিফের সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরন্তর হুমকির মুখে পড়ছেন, সেকথাও বারংবার জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানে যাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভাল থাকেন, সেই বিষয়টি যেন পাক সরকার নিশ্চিত করে, এমন অনুরোধও করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিকে, জোরকদমে চলছে রামমন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ। মন্দির গড়ছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে চলছে মন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের নকসা ঘিরে উদ্যোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ধরনের পাথর এসে পৌঁছেছে রাম মন্দির নির্মাণর জন্য। মন্দিরের ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, ইতিমধ্যেই রামমন্দিরের গর্ভগৃহটি বিশেষ জ্যামিতিক আকারে তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, গর্ভগৃহটি এমনভাবে নির্মিত হবে যে প্রতি রামনবমীতে দুপুরে সূর্যের আলো এসে সরাসরি পড়বে রামলালার ওপরে। এও জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর থেকে বিশেষ বেলে পাথর নিয়ে এসে ওই গর্ভগৃহ তৈরি হবে। ৪.৭৫ কিউবিক ফুটের ওই বেলেপাথর দিয়েই তৈরি হবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মন্দিরের (Ram Temple) দরজা খুলে যাবে ভক্তদের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G20: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    G20: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র সভাপতিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে ভারত (India)। এটা একটা বিরাট সুযোগ। বুধবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ (বুধবার) সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন। এই অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এর আগে মিট করেছিলাম ১৫ অগাস্টের আগে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হয়েছে ১৫ অগাস্ট। আমরা আজাদি কী অমৃতকাল পালন করতে যাচ্ছি। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময় মিট করতে চলেছি যখন ভারত সুযোগ পেয়েছে জি ২০-র সভাপতিত্ব করার।  

    প্রধানমন্ত্রী উবাচ…

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সময় ভারত বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে পা রেখেছে, যে সময় ভারতের প্রতি বিশ্বের আশা-আকাঙ্খা বেড়ে চলেছে এবং যে সময় বিশ্বের নানা প্লাটফর্মে ভারতের অংশ গ্রহণ বাড়ছে, এমন একটা সময়ে জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব পাওয়া ভারতের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। মোদি বলেন, জি ২০ সম্মেলন কেবল একটি কূটনৈতিক ইভেন্ট নয়। কিন্তু বিশ্বের কাছে ভারতের ক্ষমতা তুলে ধরার একটা বড় সুযোগও। তিনি বলেন, এত বড় একটা দেশ, গণতন্ত্রের (Democracy) মাতৃস্বরূপ, এত বৈচিত্র্য, এত ক্ষমতা, এটা বিশ্বের কাছেও ভারতকে জানার একটা সুযোগ। আবার ভারতের কাছেও এটা নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

    আরও পড়ুন: পুতিনকে দেওয়া মোদির বার্তাই হয়ে উঠল জি ২০-র মূল সুর!

    আরও পড়ুন: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Income Tax Slab: নয়া বাজেটে পরিবর্তন হতে পারে আয়কর স্ল্যাবের!

    Income Tax Slab: নয়া বাজেটে পরিবর্তন হতে পারে আয়কর স্ল্যাবের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে দেশ। অতিমারির এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়েছিল গোটা বিশ্বেই। তার পর থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে তামাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতও (India) ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এহেন আবহে নতুন বছরের গোড়ার দিকে পেশ হবে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বাজেটে আয়করের স্ল্যাবের (Income Tax Slab) পরিবর্তন হতে পারে। ট্যাক্স এক্সপার্টদের মতে, এটা হতে পারে বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ হারে কর প্রদান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে।

    বাজেট…

    যাঁরা বাজেট নিয়ে চর্চা করেন, তাঁদেরই একজন জানান, বর্তমানে কর দেওয়ার যে স্ল্যাব রয়েছে, সেই স্ল্যাব মেনেই কর দেন আয়কর দাতারা। বর্তমানে আয়করের যে স্ল্যাব রয়েছে, তার উচ্চতম স্ল্যাব হল ভারতীয় মুদ্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সারচার্জ এবং সেসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শতাংশের হিসেবে এটি দাঁড়ায় ৪২.৭৪৪। এই যে স্ল্যাবটি রয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে এটি পরিবর্তিত হয়নি। তাই যাঁরা উচ্চতম হারে কর প্রদান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে ছাড় দিয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতেই বাজেটে এটা করা হতে পারে। কারণ আমরা জানি, ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে বাজার চাঙা হয়। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ ট্যাক্স রেট (Income Tax Slab) বাড়িয়ে ভারতীয় মুদ্রায় করা হতে পারে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ স্ল্যাব রেট (সারচার্জ ও সেস ধরে) হ্রাস পেতে পারে ৩৫.৬২ শতাংশ।

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বছর বাজেট হতে পারে নিম্নরূপ।

    বার্ষিক ২০ লাখের বেশি আয়ের কর ছাড়ের পরিমাণ কমানো উচিত ৩০ থেকে ২৫ শতাংশ। যাঁদের আয় ১০ থেকে ২০ থেকে লাখের মধ্যে তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড় হওয়া উচিত ৩০ থেকে ২০ শতাংশ। নয়া কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা, তাঁদের স্ল্যাব কমানো উচিত ৩০ থেকে ২০ শতাংশ। নয়া কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় ২০ লক্ষ টাকার ওপরে, তাঁদের স্ল্যাব (Income Tax Slab) কমানো উচিত ৩০ থেকে ২৫ শতাংশ।

     

     

  • Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম নৌ দিবসের (Navy Day) অনুষ্ঠান হবে দিল্লির বাইরে, বিশাখাপত্তনমে। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রতি বছরই দিনটি পালিত হয় মর্যাদার সঙ্গে। এবারও হবে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pak War) অপারেশন ট্রাইডেন্টের সাফল্য স্মরণ করে ফি বছর দিনটি পালিত হয়।

    নৌ দিবস…

    নৌ দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নৌ দিবস উপলক্ষে নৌ ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সমৃদ্ধ নৌবাহিনীর ইতিহাসের কারণে আমরা, ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত। তিনি আরও লিখেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রাণপণে আমাদের দেশকে রক্ষা করছে। চ্যালেঞ্জের সময় একে আলাদা করে চেনা যায়। ট্যুইটারে যে মেসেজ শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তার অডিও মেসেজও দিয়েছেন তিনি।

    নৌ দিবস (Navy Day) উপলক্ষে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেছেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় রাজনাথ লেখেন, সব নৌ ব্যক্তিত্বকে নৌ দিবসের শুভেচ্ছা। দেশ রক্ষার ব্যাপারে ভারতীয় নৌবাহিনী সর্বদা সামনের সারিতে। নৌবাহিনীর সাহস, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বে দেশ গর্বিত।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    বিশাখাপত্তনমে সম্মানীয় অতিথি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও অন্যান্য অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবেন নৌবাহিনীর প্রধান। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিনস, এয়ারক্রাফ্ট এবং পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের নৌ প্রধানরা ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এই ইভেন্ট প্রদর্শিত হবে সানসেট সেরিমনি হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে নৌবাহিনী সম্পর্কে আরও বেশি করে আগ্রহী হন, তাঁরা যাতে নৌবাহিনীর ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হন, তাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। দেশ রক্ষায় নৌবাহিনীর অবদান স্মরণ করিয়ে দেওয়াও এই অনুষ্ঠানের আরও একটি উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সামরিক ঘাঁটি, সেতু! চিনের নির্মাণ নিয়ে সতর্ক দিল্লি

    India China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সামরিক ঘাঁটি, সেতু! চিনের নির্মাণ নিয়ে সতর্ক দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চিন। উপগ্রহ চিত্রে এই ছবি ধরা পড়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে এই সেনা ঘাঁটি রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে রয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক যান রাখার জায়গা, বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র। 

    নয়া সেতু

    প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশকে জুড়ে চিনা ফৌজের নির্মীয়মাণ সেতুর ছবি আগেই সামনে এসেছিল। এর পাশ দিয়েই তৈরি হয়েছে আরও একটি সেতু। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লাদাখে জবরদখল করা জমিতে ওই সেতু বানাতে পারলে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণপ্রাপ্তে কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে চিনা সেনা। লাদাখের দুর্গম এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভারী ক্রেন-সহ নানা সরঞ্জাম মজুত করেছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। প্যাংগং হ্রদের উত্তরপ্রান্তে চিনা সেনার একটি হাসপাতালের অদূরে তৈরি সেতুটি জুড়েছে দক্ষিণ তীরের একটি অংশকে। দক্ষিণ তীরের ওই অংশেই ২০২০-২১ সালে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় এবং চিনা সেনা। ভবিষ্যতে ফের এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লাগোয়া বিস্তীর্ণ অংশে ওই সেতুর মাধ্যমে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পাঠাতে পারবে পিএলএ। কারণ, সেতু তৈরি হয়ে গেলে প্যাংগংয়ের ওই দুই প্রান্তে চিনা সেনাশিবিরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে ৫০ কিলোমিটার।

    সামরিক চুক্তি

    গালওয়ান সংঘর্ষের পরে বারবার সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার দাবি করেছে চিন। কিন্তু সেই কথা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি মার্কিন সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিবাদ কমাতে উদ্যোগ দেখাত চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছিল। সেই বিষয়টি পছন্দ হয়নি জিনপিংয়ের। সেই জন্য বারবার মার্কিন আধিকারিকদের বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তাঁরা যেন হস্তক্ষেপ না করেন। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে খুবই আগ্রহী বেজিং।” আদতে বেজিং সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কতটা আগ্রহী তা নিয়ে সন্দিহান দিল্লিও। সেই জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে দিল্লি।

  • China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) মহাসাগরে ফের চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজ (Spy Ship)! এর আগে একবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ভারত। সেই সময়ও ভারত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫-কে। দিন কয়েকের মধ্যেই ভারত ফের অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে। সেই কারণে বঙ্গোপসাগরকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। তার আগেই ভারত মহাসাগরে ফের হাজির চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫। বারবার একই গুপ্তচর জাহাজ পাঠানোয় চিন্তা বাড়চ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করার কথা অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    নৌবাহিনীর দাবি…

    ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি, চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুন্দ প্রণালীতে রয়েছে সেটি। চলতি বছরের অগাস্টে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে যে চিনা গুপ্তচর জাহাজটি নোঙর করেছিল, এটা সেটাই। জানা গিয়েছে, এই জাহাজটির ওজন ২০ হাজার টন। এতে রয়েছে একটি বড় অ্যান্টেনা, অত্যাধুনিক সেন্সর এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। জাহাজটিতে ৪০০রও বেশি নাবিক রয়েছেন। চিনের এই জাহাজটি ইউয়ান ওয়াং শ্রেণির চারটি জাহাজের মধ্যে একটি। এই জাহাজ উপগ্রহ এবং আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারদর্শী।

    ভারত সরকারের দাবি, অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। এই পাল্লার মধ্যে চলে আসবে পাকিস্তান এবং চিন (China)। অনুমান, অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চিনে। তাই কাছ থেকে অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা ‘চাক্ষুষ’ করতে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে জাহাজটি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    যদিও গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ। তাদের দাবি, জাহাজটি গবেষণামূলক কাজের জন্য রাখা হয়েছে। তবে তাতে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ভারত। তাই অগ্নি ৫ পরীক্ষার নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়েও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, চিনের (China) পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌশক্তি গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্ব বৃহৎ। এই নৌ-বাহিনীর অধীনে রয়েছে ৩৫৫টি যুদ্ধ জাহাজ।

     

        দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর ভারতে (India) হবে জি-২০ সম্মেলন (G 20 Summit)। এবার আয়োজক দেশ ভারত। এই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার যে সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meet) হচ্ছে, তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ দেশের প্রায় চল্লিশটি রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের। সর্ব দলীয় এই বৈঠক ডেকেছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বৈঠক হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও।

    জি ২০…

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। গোটা দেশে বছরভর দুশোরও বেশি বৈঠক করবে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদও। চলতি বছর ডিসেম্বরেই শুরু হবে বৈঠক। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে। দেশের বিভিন্ন অংশেই বৈঠক হবে জি ২০-র।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    সোমবার দিল্লিতে যে সর্বদলীয় বৈঠক হতে চলেছে, তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দিল্লির ওই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আয়োজক দেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়, তখন একে প্রতিটি ভারতীয়ের গর্বের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share