Tag: India

India

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান (Muslims) সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। এবার তিনি পরিদর্শন করলেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে বৈঠক করেন ইমামের সঙ্গে। ঘটনায় যারপরনাই খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও।

    মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত যান দিল্লির একটি মসজিদে। সেখানে তিনি অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন তিনি দিল্লির যে মসজিদে গিয়েছিলেন, সেটি সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, ভাগবতের সঙ্গে উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ছেলে সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে। একটি পারিবারিক আবহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এটা আনন্দের খবর যে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন।  

    জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। সুপ্রিম কোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক নিরসনের চেষ্টাও। এহেন আবহে ঐক্যের বার্তা দিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তপোক্ত করতে দিন দুই আগে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এই দুই বিতর্কের মাঝেই হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। সেই আবহেই সংঘ প্রধানের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা জেনারেল সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ইলিয়াস সাহেব (ইমাম) তাঁকে (মোহন ভাগবতকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটা সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষের (Fiscal Year) শেষে ভারতে (India) জিডিপি (GDP) বেড়ে হতে পারে ৭.৩ শতাংশ। এস অ্যান্ড পি (S & P) গ্লোবাল রেটিংসের এক প্রজেক্টেই এ খবর উঠে এসেছে। তেলের চড়া দাম, দেশের রফতানি কমে যাওয়া এবং গত কয়েক বছরের মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতির এই হাল। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সহ আরও বেশ কয়েকটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। ইকনোমিক আউটলুক এশিয়া-প্যাসিফিক কিউ-৩ রিপোর্টে এস অ্যান্ড পি বলেছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৩ শতাংশে। তিন মাস আগেও এর পরিমাণ ছিল ৭.৮ শতাংশ। গত অগাস্টের মধ্যে ভারত পণ্য রফতানি করেছিল ৩৩শো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল প্রায় কাছাকাছি। তবে চলতি বছর অগাস্টের মধ্যে বেড়েছে পণ্য আমদানির পরিমাণ। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭৮। মার্কিন ডলারের মূল্যে এর পরিমাণ প্রায় ৬২শো কোটির মতো।

    ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অগাস্ট এই পাঁচ মাসে পণ্য রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি মার্কিন ডলার। রফতানির চেয়ে বেড়েছে আমদানি পরিমাণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি সব চেয়ে বেশি। জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। কনট্রাক্টের চাকরির কারণেও বেড়ছে মু্দ্রাস্ফীতি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে কনজিউমার মুদ্রাস্ফীতি হবে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে এর পরিমাণ হবে ৫.৮ শতাংশ।

     

     

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান (Muslims) সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। এবার তিনি পরিদর্শন করলেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে বৈঠক করেন ইমামের সঙ্গে। ঘটনায় যারপরনাই খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও।

    মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত যান দিল্লির একটি মসজিদে। সেখানে তিনি অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন তিনি দিল্লির যে মসজিদে গিয়েছিলেন, সেটি সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, ভাগবতের সঙ্গে উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ছেলে সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে। একটি পারিবারিক আবহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এটা আনন্দের খবর যে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন।  

    জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। সুপ্রিম কোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক নিরসনের চেষ্টাও। এহেন আবহে ঐক্যের বার্তা দিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তপোক্ত করতে দিন দুই আগে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এই দুই বিতর্কের মাঝেই হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। সেই আবহেই সংঘ প্রধানের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা জেনারেল সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ইলিয়াস সাহেব (ইমাম) তাঁকে (মোহন ভাগবতকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটা সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষের (Fiscal Year) শেষে ভারতে (India) জিডিপি (GDP) বেড়ে হতে পারে ৭.৩ শতাংশ। এস অ্যান্ড পি (S & P) গ্লোবাল রেটিংসের এক প্রজেক্টেই এ খবর উঠে এসেছে। তেলের চড়া দাম, দেশের রফতানি কমে যাওয়া এবং গত কয়েক বছরের মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতির এই হাল। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সহ আরও বেশ কয়েকটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। ইকনোমিক আউটলুক এশিয়া-প্যাসিফিক কিউ-৩ রিপোর্টে এস অ্যান্ড পি বলেছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৩ শতাংশে। তিন মাস আগেও এর পরিমাণ ছিল ৭.৮ শতাংশ। গত অগাস্টের মধ্যে ভারত পণ্য রফতানি করেছিল ৩৩শো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল প্রায় কাছাকাছি। তবে চলতি বছর অগাস্টের মধ্যে বেড়েছে পণ্য আমদানির পরিমাণ। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭৮। মার্কিন ডলারের মূল্যে এর পরিমাণ প্রায় ৬২শো কোটির মতো।

    ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অগাস্ট এই পাঁচ মাসে পণ্য রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি মার্কিন ডলার। রফতানির চেয়ে বেড়েছে আমদানি পরিমাণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি সব চেয়ে বেশি। জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। কনট্রাক্টের চাকরির কারণেও বেড়ছে মু্দ্রাস্ফীতি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে কনজিউমার মুদ্রাস্ফীতি হবে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে এর পরিমাণ হবে ৫.৮ শতাংশ।

     

     

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা আরও একবার সামনে এল। ভারতে নাকি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এমনই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে মিথ্যা অভিযোগে ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

    পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
    ১) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত ও তারা ভীষণভাবে নিরাপদ (minority rights)। 
    ২) তাঁর দেশে ধর্মীয় দিক থেকে সবাই নাকি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। 
    ৩) ভারত নাকি মুসলিম বিরোধী। 
    ৪) ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। 
    ৫) ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ডাহা মিথ্যা বলছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হল জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর। পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা তো দূরঅস্ত, কোনও নিরাপত্তা নেই। তার বড় উদাহরণ, দিন দিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। আর ১৪ শতাংশ হিন্দু। তা কমতে কমতে আজ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশে। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই উল্টো। ১৯৫১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ৮৪.১ শতাংশ হিন্দু বসবাস করতেন। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৮ শতাংশ। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান এবং বাকিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালচ্ছ।  শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির (IFFRAS) তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে মুসলিমদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে হিন্দু, খ্রীষ্টান সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বিশেষ করে মহিলাদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছ। প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছ না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্রমতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করে তামাম ভারত (India)।

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্ব পুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পথের পাথেয়। তবে সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন। শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করাই রীতি। ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয়। তবে মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয় না।

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    মহালয়ার দিন আমরা যে পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে জল এবং পিণ্ড দান করি, তা কেবল তাঁদের উদ্দেশেই নয়, গুরু এবং ঋষির উদ্দেশেও এদিন জলদান করা হয়। দৈনন্দিন চলার পথে যেসব ক্ষুদ্রাণুক্ষুদ্র কীট মরে, যাঁরা নিঃসন্তান, জল দেওয়ার কেউ নেই, মায় বাড়ির চাকর সবার উদ্দেশেই এদিন জলদান করা হয়। আগুনে পুড়ে মরে অনেক পতঙ্গ। তাদের আত্মার উদ্দেশেও জলদান করা হয় এদিন। শাস্ত্রবিদদের মতে, পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তাঁদের আশীর্বাদে জীবদ্দশায় মানুষ দীর্ঘায়ু, ধন সম্পত্তি, জ্ঞান, শান্তি এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share