Tag: India

India

  • PM Modi: ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা, বললেন মোদি

    PM Modi: ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা (Urban Naxals)। এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন তাঁরা। শুক্রবার গুজরাটের (Gujrat) নর্মদা জেলার একতা নগরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই তিনি নিশানা করেন শহুরে নকশালদের।

    গুজরাটের সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরিতে প্রথম পদক্ষেপ করেছিলেন জওহরলাল নেহরু, ১৯৬১ সালে। এদিন সে  প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, নর্মদা নদীর ওপর এই সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলেন শহুরে নকশালরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষ। যার জেরে বাঁধ তৈরিতে নষ্ট হয়েছে বেশ কয়েকটা দশক। এই শহুরে নকশাল ও উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষের বাধার জেরে বাঁধ উঁচু করতে ঋণ দিতেও অস্বীকার করেছিল বিশ্বব্যাংক। মোদি বলেন, এই ষড়যন্ত্র বুঝতে কিছু সময় লেগেছিল। তবে শেষমেশ জয়ী হয়েছেন গুজরাটের বাসিন্দারা। বলা হয়েছিল, এই বাঁধ পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। আজ সেই একই বাঁধ পরিবেশ রক্ষা করছে। এই শহুরে নকশালদের থেকে সতর্ক থাকতে বলেন মোদি।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    তিনি বলেন, শহুরে নকশালদের মতো গোষ্ঠীর থেকে প্রত্যেকের সতর্ক থাকতে হবে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের ছ হাজারেরও বেশি পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র এবং সাড়ে ছ হাজারের বেশি জঙ্গল সংক্রান্ত ছাড়পত্র পড়ে রয়েছে। সে প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, এই প্রস্তাবগুলিকে তাড়াতাড়ি ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি ঠিকঠাক থাকে। ব্যাকলগ থাকলে কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্রোজেক্ট আটকে যাবে। মোদি বলেন, এটা অর্থনীতি এবং পরিবেশের পক্ষে একটা উইন-উইন পরিস্থিতি। অযথা পরিবেশের দোহাই দিয়ে কোনও প্রকল্প আটকে রাখা ঠিক নয়। জীবনকে সহজ করতে যা করণীয়, তা করা হবে। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি পরিবেশের ছাড়পত্র মিলবে, তত তাড়াতাড়ি হবে উন্নয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FDI: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    FDI: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত আর্থিক সংস্কারের ধারা। মিলতে শুরু করেছে তার সুফলও। তার জেরে ভারতে বাড়ছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (FDI) পরিমাণ। শনিবার কেন্দ্রের তরফে শোনানো হয়েছে এই সুখবর। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি আর্থিকবর্ষে (Fiscal Year) ভারতে (India) প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সংস্কার ও ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশের কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ওই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল সব চেয়ে বেশি, ৮৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে এটাই বেড়ে হতে পারে ১০০ বিলিয়ন।

    ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, তা আসবে বিশ্বের ১০১টি দেশ থেকে। বিনিয়োগ হবে দেশের ৫৭টি সেক্টরে। লগ্নিকারীরা লগ্নি করবেন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৩১টি জায়গায়। ওই মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক সংস্কার ও ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের কারণে চলতি অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি টানাই লক্ষ্য সরকারের। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সরকার মুক্ত ও স্বচ্ছতার নীতি নিয়েছে। বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় রুটের অধীনে ভারতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ ক্ষেত্র খুলে রাখা হয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য।

    আরও পড়ুন :বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারে দুটো রুটে। একটি স্বয়ংক্রিয়, অন্যটি সরকারি। স্বয়ংক্রিয় রুটে বিনিয়োগ করতে হলে বিনিয়োগকারীকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কিংবা সরকারের অনুমতি নিতে হয় না। আর সরকারি রুটে দেশে বিনিয়োগ করতে হলে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে নির্দেশিকা ও নিয়মবিধির মুক্তিকরণ। যার জেরে বিনিয়োগকারী সহজেই এ দেশে ব্যবসা করতে পারে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে খেলনা আমদানি কমেছিল ৭০ শতাংশ। আর রফতানি বেড়েছিল ৬১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • IND vs AUS 1st T20: আজ মোহালিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-২০, জেনে নিন কখন, কোথায় দেখতে পারবেন ম্যাচ

    IND vs AUS 1st T20: আজ মোহালিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-২০, জেনে নিন কখন, কোথায় দেখতে পারবেন ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) আগে আজ, মঙ্গলবার থেকে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে নামছে মেন ইন ব্লু। ভারতঅস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) টি-২০ ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে ১৩টি ম্যাচে জিতেছে ভারত ও ৯টি ম্যাচে জিতেছে অজিরা। অমীমাংসিত ১টি ম্যাচ। এশিয়া কাপের ব্যর্থতা ভুলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে বদ্ধপরিকর রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজে হারিয়ে ভারত সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব।

    ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে ভারতকে খালি হাতে ফিরতে হলেও ফর্ম ফিরে পেয়েছেন বিরাট। রাহুল দ্রাবিড়কে (২৪০৬৪) ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার জন্য বিরাট কোহলির (২৪০০২) আজ প্রয়োজন ৬৩ রান। তাই বিরাটের সামনে আজ রেকর্ড গড়ার হাতছানি। এশিয়া কাপের শেষের ম্যাচগুলিতে ভাল খেলেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলা হয়নি হর্ষল প্যাটেল, জসপ্রীত বুমরার। কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের আগে অজিদের বিরুদ্ধে এই সিরিজে জসপ্রীত ও হর্ষল বাইশ গজে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: এক সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত! কী কী রেকর্ড গড়লেন বিরাট, জানেন?

    ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-২০ ম্যাচ শুরু আজ সন্ধ্যা  ৭টা ৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ৭টা নাগাদ টস হবে।

    ম্যাচটি হবে মোহালিতে।

    ম্যাচ দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসে এবং মোবাইলে ডিজনি প্লাস হটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে। 

    ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: সম্ভাব্য প্লেয়িং ১১

    ভারত (IND): রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জসপ্রীত বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চাহাল, হর্ষাল প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার

    অস্ট্রেলিয়া (AUS): অ্যারন ফিঞ্চ, জশ ইঙ্গলিস, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, ড্যানিয়েল সামস, জোশ হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা, কেন রিচার্ডসন

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঞ্চলিক শক্তিগুলির যোগাযোগ আরও মজবুত হবে যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পূর্ণ পরিবহণের অধিকার (Transit Trade Access) থাকে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তান (Pakistan) ভারতকে স্থলপথে পরিবহণ করতে বাধা দিচ্ছে। তার জেরে ভারত স্থলপথে আফগানিস্তান ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় ব্যবসা করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন মোদি।

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি ইউরেশিয়ান অঞ্চলে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে আরও সহযোগিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বে যে জ্বালানি এবং খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এদিন তাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় ভারতে হবে এসসিও সম্মেলন। তার আগেই উৎপাদনের ওপর ভারত যে জোর দিচ্ছে, তারও উল্লেখ করেন মোদি। ভারত যে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, এদিন বিশ্বনেতাদের সেটাও জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই মোদি বলেন, সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং প্রাণবন্ত, বৈচিত্রপূর্ণ সাপ্লাই চেন সচল রাখতে এসসিওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা জরুরি। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককে দিতে হবে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    এদিন সম্মেলনের বাইরে মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কোনও বাক্য বিনিময় হয়নি। যদিও মোদি দাঁড়িয়েছিলেন শি জিনপিংয়ের ঠিক পাশেই।এসসিও সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রথমেই ভারতেক ধন্যবাদ জানান চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর যেহেতু ভারত হবে আয়োজক দেশ, তাই ভারতের প্রতি চিনের পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দেন শি জিনপিং। এদিন বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে জিনপিং এবং শরিফ দুজনেই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সুর চড়ান। সন্ত্রাসবাদ দমনে যে যৌথভাবে লড়াই করতে হবে, তাও জানিয়ে দেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। ভাষণে শরিফ মোদির পরিবহণের পূর্ণ অধিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যদি আঞ্চলিক শক্তিগুলির সংযোগ থাকে, তাহলে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার চলে আসবে আপনা থেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Modi Putin Meet: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    Modi Putin Meet: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit 2022) যোগ দিতে সমরখন্দে (Samarkhand) গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আগামিকাল, শুক্রবার উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) আলাদা করে বৈঠক করতে চলেছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। ক্রেমলিন সূত্রেই এ খবর জানানো হয়েছে। পরস্পর বন্ধু  এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাণিজ্য এবং ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। একটি বিবৃতি জারি করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি ও খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে দু দেশের মধ্যে।

    স্ট্র্যাটেজিক স্টেবিলিটি, এশিয়া-প্যাশিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) ও জি-২০তে (G-20) দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ান নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি, রাষ্ট্রসংঘ, জি-২০ এবং এসসিও-য় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উষাকভ বলেন, দুই দেশের এই সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিসেম্বরে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করবে। ২০২৩ সালে ভারত নেতৃত্ব দেবে এসসিও-র। ওই বছরই ভারতের সভাপতিত্বে হবে জি-২০ বৈঠকও।

    আরও পড়ুন : বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

    ক্রেমলিনের তরফে এসব বলা হলেও, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও মোদি-পুতিন বৈঠকের (Modi-Putin Meet) ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দুই দেশের এই বৈঠকটি যে গুরুত্বপূর্ণ তা মানছে আন্তর্জাতিক মহলও। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) আবহে রাশিয়া (Russia) থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত (India)। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই রাশিয়া থেকে ওই তেল কিনছে নয়াদিল্লি। ভারত যে জ্বালানির জন্য চড়া দর দিতে অপারগ, সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ, যেখানে মাথা পিছু আয় দু’হাজার মার্কিন ডলার। তাই আমরা চড়া দরে জ্বালানির মূল্য চোকাতে পারব না। তিনি বলেন, এটা আমার বাধ্যবাধকতা এবং নৈতিক কর্তব্য যে যেখানে কমে পাব, সেখান থেকেই জ্বালানি কিনব। তিনি বলেন, ভারতের এই অবস্থানের কথা জানে আমেরিকাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) সাড়ে চারশো কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের (F-16 Fighter) যন্ত্রাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার (US) জো বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। যদিও আমেরিকা কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ, তা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের এহেন মনোভাব কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে মোদি প্রশাসন।

    সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। তবে আসল কারণ অন্য। তা হল, পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায়, যে এই অস্ত্র সাহায্যের কোনও প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে না। তাছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে বজায় থাকবে মিলিটারি ব্যালেন্সও।

    ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। বাইডেন প্রসাসনকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই মহম্মদরে ডেরায় হানা দেয়। তার ঠিক আগের দিন ওই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। সেরকম ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত।

    আরও পড়ুন : তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    পাকিস্তান এবং মার্কিন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, বেশ কয়েকটি কারণে রাওয়ালপিন্ডিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এগুলি হল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে যান, তখন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা। এটা তার পুরস্কার। তৃতীয়ত, লাইন অফ কন্ট্রোলে উত্তেজনা কমাতে বাজওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এটা তার স্বীকৃতিও হতে পারে।

    তবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে সাহায্য করছে না, তারা দিচ্ছে এফ-১৬ মেরামতের সরঞ্জাম। পাক সেনার মিলিটারি আপগ্রেডেশন কিংবা নতুন কোনও অস্ত্রশস্ত্রও দিচ্ছে না বাইডেনের দেশ। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। পাক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ আইন (PMLA) লাগু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তার পরেই এই আইনে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা চার্জশিট পেশ করেছে ৯৯২টি অভিযোগে।

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির চেয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে (FEMA) ইডি এ পর্যন্ত ৮ হাজার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। যে সকল অভিযুক্তের সম্পত্তি এজেন্সি অ্যাটাচ করেছে ইডি, সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ২৩ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। কেবল আর্থিক তছরুপ নয়, ইডি তদন্ত করছে যাঁরা ফেমা (FEMA) এবং ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স অ্যাক্টেও অভিযুক্ত তাঁদের। 

    যদিও আর্থিক তছরুপ কেলেঙ্কারিতে প্রচুর পরিমাণ মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বেও ১৭ বছরের পুরানো একটি আইনে এ পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এসব করতে গিয়ে নানা সময়ে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ইডিকে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইডি আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করেছে নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ মামলা।  সরকারি তরফের অভিযোগ অথবা চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করেছে ইডি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।  ইডি ১ হাজার ৭০০ অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার ইস্যু করেছে। এক লক্ষ কোটির বেশি সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 

    আরও পড়ুন : দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    কুখ্যাত তিনটি আর্থিক কেলেঙ্কারিরও তদন্ত করছে ইডি। এই তিনটি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হলেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। এই তিনজনের ১৯ হাজার কোটিও বেশি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। এর মধ্যে ইডি বিক্রিও করেছে প্রচুর সম্পত্তি। উদ্ধার করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের কনসর্টিয়াম ইডি যে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, তা বিক্রি করে পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা সেঁটেছে ভারতের (India) গায়ে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছে জিডিপি (GDP)-র হারও। এমতাবস্থায় ফের একবার আশার কথা শোনাল মুডি’জ (Moodys)। বিশ্ব অর্থনীতির তুল্যমূল্য বিচার করে এই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা। তারাই জানাল, ভারতের অর্থনীতি টালমাটাল নয়, বরং স্থিতিশীল। অর্থনীতি বৃদ্ধির হারও ক্রমবর্ধমান। 

    করোনা পরিস্থিতিতে হাঁড়ির হাল হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতির। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল করোনা পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভারতও। তবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি যে ক্রমবর্ধমান তা ধরা পড়েছে জিডিপির হারে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপির হার ১৩.৫। ভারতের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যেই ভারত হয়ে বিশ্বের তৃতীয বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। জার্মানি এবং জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। 

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    স্টেটনব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছে আশার খবর। সেখানেও জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থনীতির হাল শক্ত। এবার একই কথা জানাল মুডি’জও। বিশ্ব অর্থনীতির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে নানান সমীক্ষা করে এই সংস্থা। সেই সংস্থারই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির উচ্চ বৃদ্ধিরক সম্ভাবনার কথা। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও যথেষ্ট পোক্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের জোগানও রয়েছে। তাই এখানকার অর্থনীতি ঝুঁকিবিহীন। 

    মুডি’জ-এর বিচারে ভারতের রেটিং ‘বিএএ৩’। মুডি’জ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদের জোগান ভাল থাকায় ভারতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকির। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারত যে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে, রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাও। প্রসঙ্গত, মুডি ভবিষ্যবাণী করেছিল, ভারতে রিয়েল জিডিপি ’২৩ অর্থবর্ষে ৭.৬ শতাংশ থেকে পরের আর্থিক বর্ষে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছবে।

LinkedIn
Share