Tag: India

India

  • Draupadi Murmu: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    Draupadi Murmu: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) নারীর ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) উজ্জ্বল উদাহরণ রাষ্ট্রপতি (President) পদে দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) লড়াই। অন্তত বিষয়টিকে এভাবেই দেখছেন দ্রৌপদীর শহর রায়রংপুরের বাসিন্দারা। দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতেই গর্ব আর আত্মবিশ্বাসে ফেটে পড়ছেন ওড়িশার এই শহরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, দ্রৌপদী প্রমাণ করেছেন মেয়েরা চাইলে কীই না করতে পারেন!

    পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA Presidential candidate) বাজি দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার এক প্রান্তিক গাঁয়ের মেয়ে দ্রৌপদী বসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি পদে। বৃহস্পতিবার হবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তাই বুধবার থেকেই প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন রায়রংপুরবাসী। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয় ঘোষণা হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে উৎসব।

    আরও পড়ুন : ঘরের মেয়ে হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি, উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর গাঁয়ে

    রায়রংপুরেই থাকেন দ্রৌপদীর কাকিমা সরস্বতী। তিনি বলেন, আমাদের সময় লোকজন বলতেন পড়াশোনা করে তোমরা কী করবে?  লোকজন তাঁকে (দ্রৌপদী) বলতেন ওই-ই কী করবে? তবে দ্রৌপদী দেখিয়ে দিয়েছে সে কী করতে পারে! সরস্বতী বলেন, সারা জীবন ধরে লড়াই করেছে দ্রৌপদী। তার এই নিরবিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের ফল পেতে চলেছে সে। সে মাটির মেয়ে। সরল প্রকৃতির। আমরা একই সঙ্গে আনন্দিত, আবার দুঃখিতও। দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতির কাকিমা বলেন, আমার মনে হয় কী জানেন দ্রৌপদী জীবনে যা কিছু পেয়েছে, তা সবই তার কঠোর পরিশ্রম ও কঠিন  লড়াইয়ের ফল।

    আরও পড়ুন : রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    গ্রামে যাওয়ার সময় ফি বার পরিবারের বাচ্চাদের জন্য চকোলেট নিয়ে যান দ্রৌপদী। সরস্বতী বলেন, আমাদের দ্রৌপদী প্রমাণ করে দিয়েছেন মেয়েরা চাইলে সব পারে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা নিয়েই থাকত। আমি তার কাকিমা ঠিকই, তবে বয়সে তার চেয়ে ছোট। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তিনি বলেন, দ্রৌপদীর জীবন থেকে সকলের এই শিক্ষা নেওয়া উচিত, যে মেয়েরা কোনও অংশেই পুরুষদের চেয়ে কম নয়, চাইলে সবই পারে।

    দ্রৌপদীর আর এক আত্মীয় বলেন, দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় আমরা খুব খুশি। সে মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণাস্বরূপ। সে সব সময় আমাদের খোঁজখবর রাখে। গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহ দেয়। রাজ্যপাল থাকাকালীনও সে প্রায়ই গ্রামে আসত।

    দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শালীনি মুর্মু বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু আমাদের গাঁয়ের মেয়ে। তিনি আমাদের গ্রামের সব ছাত্রছাত্রীর অনুপ্রেরণা স্বরূপ।

         

  • Indo china Border Talk: ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে, বিবৃতি দিয়ে জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক 

    Indo china Border Talk: ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে, বিবৃতি দিয়ে জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) চিনের (China) দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে। মিলিটারি এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) তরফে। রবিবারই হয়েছে ভারত ও চিনের কোর কমান্ডার স্তরের ১৬তম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে চুশুল (Chushul) সীমান্তে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাত এড়াতেই হয়েছে আলোচনা।

    ১৭ জুলাইয়ের এই বৈঠকের আগে আরও ১৫ বার বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনা। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হল ১৬তম বৈঠকটি। ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। এর পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত বরাবর প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান ভারতীয় আকাশ সীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই এদিন ফের হল দুই দেশের এই সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক।

    আরও পড়ুন : মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যার সমাধান করতেই চলতি বছরের ১১ মার্চ দুই দেশের বৈঠক হয়েছিল। সেই আলোচনাও হয়েছিল ইতিবাচক। এবারও আলোচনা হয়েছে খোলামেলা পরিবেশে। দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখতে দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে দু দেশই নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারেও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। বকেয়া সমস্যা সমাধানেও জারি থাকবে আলোচনা। সমস্যা সমাধানে দু দেশই দ্রুত গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবও আনবে বাকি থাকা ইস্যুগুলি নিয়েও।

    আরও পড়ুন : সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

  • Presidential Election: চলছে নির্বাচন, জানুন রাইসিনা হিলের দৌড়ে অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে কে?

    Presidential Election: চলছে নির্বাচন, জানুন রাইসিনা হিলের দৌড়ে অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election)। সংসদ ভবন সহ সারা দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল ১০ টা থেকে। চলবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। ২১ জুলাই ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার কথা। আগামী ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নতুন রাষ্ট্রপতি। রাইসিনা হিলস (Raisina-Hills)-এর দৌড়ে রয়েছেন বিজেপি তথা এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) এবং বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। ভারতের সংবিধানের ৫৪ ও ৫৫ ধারায় পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের জনগন সরাসরি ভোট দেন না। তাদের হয়ে ভোট দেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। কে রাষ্ট্রপতি হবেন তা স্থির হয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধায়ক এবং সাংসদদের সম্মিলিত ভোটে।  

    আরও পড়ুন: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিশেষ পদ্ধতিতে সংসদ ও বিধানসভার সদস্যদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার প্রতিনিধি সংখ্যা এক নয়। প্রথমে সর্বশেষ জনগণনার ভিত্তিতে রাজ্যের জনসংখ্যাকে বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। সেই ভাগফলকে আবার ১০০০ দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলের সংখ্যাই হবে সেই রাজ্যের বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যের মূল্য। কিন্তু ভাগশেষ যদি ৫০০ বা তার বেশি থাকে তবে ভাগফলের সঙ্গে ১ যোগ করে প্রত্যেক সদস্যের সংখ্যা ১ বাড়াতে হবে । এরপর কেন্দ্রীয় সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটসংখ্যা নির্ধারিত হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের মূল্য প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে প্রতি বিধায়কের ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে — ২০৮ । এর সবচেয়ে কম মূল্য হচ্ছে সিকিমে —মাত্র ৭ । পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বিধায়কের ভোটের মূল্য ১৫১। পশ্চিমবঙ্গে বিধায়ক সংখ্যা ২৯৪ ও এই হিসাবে রাজ্যের মোট ভোটের মূল্য ৪৪,৩৯৪। 

    আরও পড়ুন: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    চলতি বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪ হাজার ৮০৯ জন ভোটার রয়েছে। তাদের ভোটের মূল্য ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৩১। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫,৪৩,২১৬ টি ভোট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সহযোগী জেডিইউ, এআইডিএমকে, আপনা দল, এলডেপি, এনপি, নিষাদ পার্টি, এনপিএফ, এমএনএফ, এআইএনআর কংগ্রেসের মত ২০টি দল। এনডিএর দখলে রয়েছে ৫,৩৫,০০০টি ভোট। তবে দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের জন্য আরও ১৩ শতংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরে, নবীন পট্টনায়ক, হেমন্ত সোরেন  সরাসরি বিজেপির সঙ্গে না থাকলেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানাবেন বলে আগে থেকেই ঘোষণা করেছেন। তাই লড়াইয়ে কয়েককদম এগিয়েই রয়েছেন দ্রৌপদী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি। তাদের হাতে রয়েছে মাত্র ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৯২টি ভোট। এনডিএর হাতে যেখানে ৪৮ শতাংশ নিশ্চত ভোট রয়েছে বিরোধীদের হাতে তা নেই।

  • Presidential Election: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    Presidential Election: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential election)। লোকসভা (Parliament) এবং রাজ্যসভায় সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান প্রক্রিয়া। এনডিএ’র (NDA) পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu), অন্যদিকে বিরোধী শিবির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha)। আজ লড়াই দু’জনের মধ্যে। কে যাবেন রাইসিনা হিলসে? সোমবারের নির্বাচনে দেশের প্রায় ৪৮০০ জন সাংসদ-বিধায়ক নিজেদের ভোট দেবেন। লোকসভার ৫৪৩ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন। তবে রাজ্যসভার ২৪৫ জন সদস্যের মধ্যে ২৩৩ জন ভোটদানের অধিকারী। কিন্তু এবার জন্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের তকমা হারানোয় চারটি আসন খালি রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার ২২৯ জন ভোট দেবেন।

    [tw]


    [/tw]

    সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তৈরি করা হয়েছে বুথ। এদিন সকালে বুথে নিজের ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একে একে ভোট দিচ্ছেন রাজনীতির রথী-মহারথীরা। এখনও পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তামিলনাড়ুতে বিধানসভায় ভোট দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্তালিন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। উল্লেখ্য, বিধায়কদের ভোট মূল্যে সবার আগে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের নাম। প্রতি বিধায়কের ভোট মূল্য এ রাজ্যে ২০৮। তামিলনাড়ু ভোট মূল্যে দ্বিতীয়। এ রাজ্যের বিধায়কদের ভোট মূল্য ১৭৬।

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয় না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন না। তাদের হয়ে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। সাংসদ, বিধায়কদের ব্যালটে ভোট দিতে হয়। জানাতে হয় প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দও। বেগুনি রঙের কালির পেন দিয়ে ভোট দিতে হবে সাংসদ, বিধায়কদের। তবে সাংসদদের জন্য থাকবে সবুজ ব্যালট পেপার, বিধায়কদের জন্য গোলাপি রঙের।

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক— একনজরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন

     

  • Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) প্রক্রিয়া। সোমবার দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বনাম যশবন্ত সিন্‌হার (Yashwant Sinha)  লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দেবেন। দ্রৌপদী এনডিএ-র প্রতিনিধি। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের হিসাব অনুযায়ী, তিনি মোট ভোটের অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন। 

    বিধানসভায়  আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।  শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪। জেলাওয়াড়ি কয়েকটি ভাগ করে বিধায়কদের ভোট-পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েক জন মন্ত্রীকে। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় সুখেন্দু শেখর রায়কে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। 

    বিরোধী দল বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। বিজেপির তরফে রবিবারই তাঁদের নিউটাউনের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখান থেকেই এদিন সকালে বাসে করে বিধানসভায় আসেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা। তাঁদের প্রত্যেকের গলাতেই ছিল হলুদ রঙের উত্তরীয়। জানা গেল এগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী জনজাতির প্রতিনিধি। তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাপড়ের উত্তরীয় গলায় পড়ে বিধানসভায় এসেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, আদিবাসী রীতি-নীতিকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা এই পোশাক পরে এসেছেন। তাঁদের কথায়,  দেশ প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে। তাই এই সাজ। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বিধানসভার বাইরে ভোটের লম্বা লাইনে হাজির তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরাও। ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্ররা। কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ক্রস ভোটিং হবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির অনেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্‌হা ভোট দেবেন। ফিরহাদের ক্রস ভোটিং মন্তব্যের জবাব দেন বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যা-ই বলুন আমরা আমাদের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুকেই দেব।’’ অগ্নিমিত্রার মতে,তৃণমূলের অনেকে বরং দ্রৌপদীকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জনাতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

  • Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পড়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। মালদ্বীপ থেকে আশ্রয়ের আশায় তিনি উড়ে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে (Singapore)। সেখান থেকে আশ্রয় চেয়েছিলেন ভারতে (India)। তবে বছর তিয়াত্তরের এই রাজনীতিবিদকে সটান না বলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই গোতাবায়ার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, তা জানা যায়নি।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে দেখা দেয় আকাল। তার পরেই আছড়ে পড়ে জনরোষ। ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সেখান থেকে উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। তবে সেখানে তাঁর স্থায়ী ঠাঁই জোটেনি। সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়াকে। তবে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত সফরের জন্য সে দেশে গোতাবায়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় চাওয়ার জন্য কোনও আর্জি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও করা হয়নি। সিঙ্গাপুরের তরফে তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    স্ত্রী এবং দুজন মিলিটারি সিকিউরিটি অফিসারকে নিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। ভায়া মালদ্বীপ হয়ে তিনি আপাতত রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার এক পক্ষকাল থাকার অনুমতি মিলেছে। সিঙ্গাপুর সরকার আর তা বাড়াতে চাইছেন না। ওই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ভারত সরকারের কাছেও। তবে তাঁকে মুখের ওপর না বলে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাবাসীর বিপক্ষে যাক এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সাউথ ব্লক। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালত। প্রাক্তন তিন আধিকারিক, যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর, তাঁদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    চলতি মাসের ২০ তারিখে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দ্বীপরাষ্ট্রে। তিনিই রাজাপক্ষের কার্যকালের  মেয়াদ শেষ করবেন। এই সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। সেই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য সাংসদদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

     

  • Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতি (Nation) এগোচ্ছে। প্রগতির সেই ছবি সর্বত্র দেখাও যাচ্ছে। এই ভাষায়ই ভারতের প্রগতির জয়গান করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শ্রী সত্য সাই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সিলেন্সের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন ভাগবত।

    এদিনের সভায় আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের প্রগতির চিহ্ন সর্বত্র। অতীতের শিক্ষার সঙ্গে অধ্যাধুনিক শিক্ষার মেলবন্ধনেই এটা হয়েছে। ১০-১২ বছর আগে কেউ যদি বলত, ভারত সমৃদ্ধির পথে এগোবে, তাহলেও কেউই এটা সিরিয়াসলি নিতেন না। ভাগবত মনে করিয়ে দেন, এটা এখনই শুরু হয়নি। শুরু হয়েছিল ১৮৫৭ সালে, যাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেন, এই যে উৎকর্ষ আমরা পেয়েছি, সেটা পেয়েছি আধ্যাত্মিকতা দিয়ে। কারণ বিজ্ঞান সৃষ্টি উৎস ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আরএসএস সংঘচালকের মতে, যে বিজ্ঞান আছে, তাতে বহির্বিশ্বের পাঠ সম্পর্কে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই সর্বত্রই দ্বন্দ্বের ছাপ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    এদিনের অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, যদি আপনার ভাষা আলাদা হয়, তাহলে দ্বন্দ্ব। আপনার প্রার্থনার পথ যদি ভিন্ন হয়, দ্বন্দ্ব তাহলেও। আর দেশ যদি আলাদা হলে তো কথাই নেই, বিবাদ সেখানেও। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশেরও দ্বন্দ্ব রয়েছে, দ্বন্দ্ব রয়েছে বিজ্ঞানের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতারও। গত হাজার বছর ধরে এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই আবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই বলেই মনে করেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে এর উৎস। তিনি বলেন, মন, বুদ্ধি এবং শরীরের সংযোগ ফ্যাক্টর হল আত্মা। আত্মার সহায়তায় কাজ করে এই ত্রয়ী। অনুরূপভাবে, ভগবান মানুষ এবং তাঁর আগ্রহ, সমাজ এবং তার আগ্রহ, সৃষ্টি এবং তার আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। তিনি বলেন, সবাইকে ভালোবাসুন, সবার সেবা করুন। এই শব্দবন্ধটির মধ্যে লুকোনো দর্শনটি হল, সবই এক। সংঘচালক বলেন, এই যে বৈচিত্র, তা একদিন শেষ হয়ে যাবে। প্রকৃতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির উৎস রয়ে যাবে। সেটি অক্ষয়, অমর।

     

    বেঁচে থাকাটাই যে জীবনের সব নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভাগবত। বলেন, স্রেফ খাওয়াদাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি করাই মানুষের কাজ নয়, এগুলি পশুও করে। যোগ্যতমের উদ্বর্তনের তত্ত্ব কেবল জঙ্গলেই প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যদের রক্ষা করাই মনুষ্যত্বের লক্ষণ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর, ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন সহ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।

     

  • Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ডাকে ভারতে এসেছিলেন পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা। সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে সেই তথ্য তুলে দিয়েছেন সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইকে। খোদ পাক সাংবাদিকের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তবে হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, তা দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীকার আদিস সি আগরওয়াল।

    ট্যুইটবার্তায় আদিস বলেন, জঙ্গিবাদের ওপর এক আলোচনাসভায় হামিদ ওই পাক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই আলোচনা সভায় যে হামিদ গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সচিব জয়রাম রমেশ। তবে নুসরতকে যে হামিদই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেছেন তিনি। অথচ নুসরত মির্জাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হামিদ আনসারি। জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতেই এখন তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, নানা তথ্য দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনেল কাউন্সিল অফ জুরিস্টের সভাপতি আদিস। তিনি আবার অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানও। আদিস জানান, তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সত্য উদ্ঘাটন করতে চান।

    আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    আদিস বলেন, ২০১০ সালের ১১ ও ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ জুরিস্টস অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হয়েছিল ওই আলোচনা সভা। সভায় ছিলেন হামিদ। যদিও নুসরত ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। ছিলেন না অনুষ্ঠানেও। এমনকী, এই অনুষ্ঠানের উল্লেখ পরবর্তীকালে কেরননি মির্জা।

    আদিস বলেন, আমি ওই আলোচনাসভার আহ্বায়ক ছিলাম। যখন আলোচনাসভা আয়োজিত হচ্ছিল, তখন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল হামিদ আনসারিকে। হামিদের সচিবালয় থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদিস আরও বলেন, উপরাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন অশোক দেওয়ান। তিনি আমাকে জানান নুসরতকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি স্বয়ং। যাই হোক, আমরা উপরাষ্ট্রপতির সেই অনুরোধ রাখতে পারিনি। কারণ ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কোনও মিডিয়া কিংবা বিচারক এবং আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

    আদিস বলেন, এরপর যখন দেওয়ান বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেটি ছিল সভার আগের দিন। দেওয়ান আমাকে জানান, মির্জাকে আমন্ত্রণ না পাঠানোয় উপরাষ্ট্রপতি খুশি হননি, অপমানিত বোধ করেছেন। আগে তিনি ঘণ্টাখানেক সভায় থাকবেন বললেও, এখন তিনি জানিয়েছেন, কুড়ি মিনিট থাকবেন।

    আরও পড়ুন :কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি

    আদিস বলেন, অনুষ্ঠানের দিন ঘড়ির কাঁটায় কুড়ি মিনিট হতেই সভাস্থল ছাড়েন হামিদ। যদিও কংগ্রেসের কিছু নেতা এনিয়ে সত্য গোপন করতে চাইছেন। তাঁরা এটা প্রমাণ করতে চাইছেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সহ জীবনীকার বলেই এসব বলছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বলছেন, মোদি ভক্ত হওয়ায় আদিস এসব বলছেন। ওঁদের দাবি, আসলে আমিই না কি নুসরতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এখন দায় চাপাচ্ছি হামিদের ওপর।

    আদিসের মতে, সত্য ধামাচাপা দিতেই এসব করা হচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতেই এসব বর্ম ব্যবহার করছেন হামিদ। আদিস বলেন, আসল ঘটনা হল আমি যে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলাম, তাতে হামিদ এবং মির্জা একসঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু, এই দুজন যে কনফারেন্সে একসঙ্গে ছিলেন, তা ছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এগেইনস্ট টেররিজম।

    আদিস জানান, এই সভার আয়োজক ছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। আলোচনা সভা হয়েছিল নয়াদিল্লির ওবেরয় হোটেলে। হামিদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি, ফারুক আবদুল্লা সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতা। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, হামিদ এবং রমেশ সত্য গোপন করতে চাইছেন। আনসারিকে ক্লিনচিট দিতেই এটা করা হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছে করেই জুরিস্ট কনফারেন্সের নাম নিচ্ছেন।

    আদিস জানান, ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন হামিদ ও নুসরত। ওই অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই ছিলেন। তা থেকে স্পষ্ট মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনুমোদন করেছিলেন হামিদ। এ থেকেও প্রমাণ হয় এক মঞ্চে ছিলেন হামিদ এবং মির্জা। তাই নুসরত যা বলছেন, তা ঠিকই বলছেন।

  • India China Talks:  সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

    India China Talks: সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হল ভারত (India) চিন (China) কমান্ডার স্তরের (Commander Level) ১৬তম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে চুশুল (Chushul) সীমান্তে। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাত এড়াতেই চলছে আলোচনা। ভারতের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেরই ১১ মার্চ ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরের ১৫তম বৈঠকটি হয়েছিল।

    ১৭ জুলাইয়ের এই বৈঠকের আগে আরও ১৫ বার বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনারা। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর এদিন ফের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি পুরোপুরি। এই আবহেই এদিন হয়েছে ফের বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে দুই দেশই সীমান্ত এলাকায় দেশের অভ্যন্তরে স্থায়ী নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সমস্যা এড়াতে সেনার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও চলবে আলাপ আলোচনা।   

    আরও পড়ুন : মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত বরাবর প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই দুই দেশের এই সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভূরাজনৈতিক মহল। তামাম বিশ্বে ভূরাজনৈতিক চিত্র বদলে যাওয়ায় ভারতের পাশে দাঁড়াতে চিন যে আগ্রহী, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার তার ইঙ্গিত দিয়েছে বেজিং। ভারত যখন গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ভারতের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল ড্রাগনের দেশ। এই আবহে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

     

  • Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের (central government) ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযান। আগামী মাসে তিনদিনের জন্য সারা দেশে ২০ কোটিরও বেশি বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে। আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের (Azadi Ka Amrit Mahotsav) অঙ্গ হিসাবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah ) এই প্রচার কর্মসূচির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পদাধিকারীদের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করেন। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১৩ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত তিরঙ্গা পতাকা ওড়ানো হবে। বিভিন্ন সংগঠনও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত। এমনটাই বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

    বিবৃতি অনুযায়ী, এদিন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ ভারত মাতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার প্রচারে অংশ নেবেন। এটি মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের একটি নতুন বোধ জাগিয়ে তুলবে। বিবৃতি অনুসারে অমিত শাহ বলেন, ২২ শে জুলাই থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটের হোমপেজে জাতীয় পতাকা থাকবে। এছাড়া নাগরিকদের প্রতি তাঁর আর্জি সবাই যেন তাঁদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে তেরঙ্গা প্রদর্শন করেন। এমনকি তেরঙ্গার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথাও বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আপনার আধার কার্ড দিয়ে অন্য কেউ সিম তোলেনি তো? আজই জেনে নিন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যভাবে আজাদি কি অমৃত মহোৎসবকে পালন করতে চাইছেন। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের বিষয়। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচার দেশপ্রেমের চেতনাকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ‘প্রভাত ফেরি’। তাই রাজনৈতিক দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সমবায়গুলিকে নিজেদের অঞ্চলে প্রভাত ফেরির আয়োজন করতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যখন শিশু, বৃদ্ধ, যুবক এবং কিশোররা একসঙ্গে ভারত মাতার গান গাইবে এবং তেরঙ্গা হাতে নিয়ে ‘প্রভাত ফেরি’ তে অংশ নেবে, তখন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিজে থেকেই সফল হয়ে যাবে।

     

LinkedIn
Share