Tag: India

India

  • India Post: শুল্ক-সংঘাতের আবহে কড়া পদক্ষেপ ভারতের, বিধিনিষেধ জারি আমেরিকায় পাঠানো চিঠি-পার্সেলের ক্ষেত্রে

    India Post: শুল্ক-সংঘাতের আবহে কড়া পদক্ষেপ ভারতের, বিধিনিষেধ জারি আমেরিকায় পাঠানো চিঠি-পার্সেলের ক্ষেত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের (USA Mail) জেরে এবার মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করল নরেন্দ্র মোদির ভারত। আমেরিকায় কোনও চিঠি বা পার্সেল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post)। চলতি মাসের শেষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে নয়া এই নিয়ম। কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে ডাক বিভাগ? (India Post)

    ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় পাঠানো সব ডাক পণ্যে তাদের মূল্যের ভিত্তিতে শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই শুল্ক নির্ধারণ করা হবে আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক শক্তি আইনের অধীনে। তাতে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহার সামগ্রী থাকবে শুল্কমুক্ত। গত ৩০ জুলাই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাতে বলা হয়, ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্য পর্যন্ত কোনও সামগ্রী আমেরিকার বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক গুণতে হত না। তবে এবার সেই নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে। শুল্কমুক্ত পরিষেবা স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, ২৯ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় যত ভারতীয় পণ্য ঢুকবে, সবের ওপর ইন্টারন্যাশনাল এমার্জেন্সি ইকনমিক পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় শুল্ক চাপবে। কেবলমাত্র ১০০ মার্কিন ডলার মূল্যের জিনিসপত্রই শুল্কমুক্ত থাকবে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়, আমেরিকার শুল্ক বিভাগ ও সীমান্তরক্ষা বিভাগের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনও ‘যোগ্য পক্ষ’ই শুল্ক আদায় করতে বা তা কমাতে পারবে। কিন্তু এই যোগ্য পক্ষ কারা, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি ওই নির্দেশিকায়। কী প্রক্রিয়ায় শুল্ক নেওয়া হবে, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এ সবের প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করে ভারত।

    ভারতীয় ডাক বিভাগের খবর

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় ডাক বিভাগ ২৯ অগাস্ট থেকে পরিষেবা স্থগিতের কথা জানালেও, সোমবার ২৫ অগাস্টের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও চিঠি বা সামগ্রীর বুকিং হবে না। বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ২৫ অগাস্টের পরে তারা আমেরিকায় আর কোনও পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে না। জানা গিয়েছে, সেই কারণেই ভারতীয় ডাক বিভাগ আমেরিকার জন্য সব রকমের সামগ্রীর বুকিং স্থগিত রাখছে (USA Mail)। সম্প্রতি আমেরিকা শুল্কনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন করেছে। এটি কার্যকর হওয়ার কথা চলতি মাসের শেষের দিক থেকে। এহেন আবহে ভারতও (India Post) আমেরিকার সঙ্গে আপাতত ডাক যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    বুকিং ফি ফেরত

    ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, যেসব উপভোক্তা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পার্সেল পাঠানোর জন্য বুকিং করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কার্যকর হচ্ছে নয়া নিয়ম। ওই সব উপভোক্তার পার্সেল পাঠানো যাবে না বলেই জানিয়েছে ডাক বিভাগ। তবে বুকিং বাবদ তাঁদের যা খরচ হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ডাক বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে। ডাক বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব আমেরিকায় পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে (USA Mail)।

    শুল্ক-সংঘাত

    শুল্ক-সংঘাতের জেরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে ভারত ও আমেরিকার। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে নিয়মিত অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তাই শাস্তিস্বরূপ দু’দফায় ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক তথা ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ, ২৫ অগাস্ট থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা নয়া ওই শুল্ক হার। সেই প্রেক্ষিতেই আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। ভারতীয় ডাক বিভাগের (India Post) তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন নয়া শুল্কনীতির জেরে আপাতত ডাক পরিষেবা বন্ধ থাকলেও, চিঠি, নথি এবং ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহার পাঠানো যাবে আমেরিকায়। ডাক বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগ ও সে দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের তরফে কিছু জানানো হলে, সে ব্যাপারে সকলকে অবহিত করা হবে।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত

    এদিকে, কেবল ভারত নয়, আমেরিকায় ডাক পরিষেবা স্থগিত করেছে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলিও। ব্রিটেনের রয়্যাল মেইলও জানিয়েছে, তারাও ২৫ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় চালান পাঠানো বন্ধ করবে। এই দেরি হওয়ার কারণ হল, নয়া শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পৌঁছনো পার্সেলগুলির জন্য কিছুটা সময় দেওয়া। নর্ডিক লজিস্টিকস কোম্পানি পোস্টনর্ড ও ইতালির ডাক বিভাগ ঘোষণা করেছে, ৩০ অগাস্ট থেকে একই ধরনের (USA Mail) স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। পোস্টইউরোপ (৫১টি ইউরোপীয় সরকারি ডাক সংস্থার সমিতি) জানিয়েছে, যদি ২৯ অগাস্টের মধ্যে কোনও সমাধান সূত্র না মেলে, তবে এর সব সদস্যই সম্ভবত একই পদক্ষেপ করবে (India Post)।

  • S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মার্কিন প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “ওয়াশিংটনের পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্কিত তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন যে জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করছেন অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনিই ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছিলেন, তা ঠিক নয়।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “তাদের মধ্যে একটি ইতিহাস আছে। এবং তারা সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করারও ইতিহাস রাখে। এটা প্রথমবার নয় যে আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখছি। মজার বিষয় হল, যখন আপনি কখনও কখনও সেই সার্টিফিকেটগুলি দেখেন যা কেউ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়, তখন মনে রাখতে হবে, এটাই সেই একই সেনাবাহিনী যারা অ্যাবোটাবাদে গিয়ে আপনি জানেন কাকে খুঁজে পেয়েছিল। আসল বিষয় হল, এই দেশগুলি কেবল সুবিধার রাজনীতি করতে মনোযোগী হয়। তারা বারবার এমনটা করার চেষ্টা করে। এর কিছুটা কৌশলগত হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্য সুবিধা বা হিসেব-নিকেশও থাকতে পারে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। সেখানে তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।  ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তেলের মজুত উন্নয়নের জন্য একটি বড় চুক্তিও ঘোষণা করেছিলেন এবং আরও অনেক কিছু।” তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদে (Pakistan) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। সেখানে ফের একবার “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ অঙ্গীকার” করা হয়েছে (S Jaishankar)।

  • PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তির কথা এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই দেশ শুধুমাত্র পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির (Indian Economy) দিকে এগিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনীতির মন্দা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকেও সেই পরিস্থিতিকে টেনে তুলে আনতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

    নতুনভাবে লেখা হয়েছে ট্যাক্স আইন (PM Modi)

    তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান যে, তাঁর সরকার ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আইনকে নতুনভাবে লিখেছে এবং বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার হয়েছে। এই ইনকাম ট্যাক্স আইনকে (PM Modi) দেশের জনগণের জন্য অতি সরল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই আইন বুঝতে আর কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
    তিনি আরও বলেন যে, যেভাবে সংস্কার চলছে তা আগামী দিনেও চলতে থাকবে। সম্প্রতি তিনি বড় ঘোষণা করেছেন জিএসটি সংস্কারের কথা এবং তা দীপাবলিতেই নয়া উপহার হিসেবে দেশবাসীকে (Indian Economy) দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    জিসটি নিয়ে কী বললেন?

    তিনি বলেন যে, নতুন জিএসটিতে অনেক জটিল বিষয় সরল করা হয়েছে। এই নতুন জিএসটির ফলে অনেক জিনিসের দাম কমবে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প আরও বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। তাঁরা অনেক ভালোভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ২০১৭-র পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি এখন সবচেয়ে কম চলছে এবং ইন্টারেস্ট রেটও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইপিএফও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ২৪ লাখ নয়া ফর্মাল চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন

    তিনি বলেন যে, প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। প্রথমত স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে কথা বলেছিলেন, নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামেও তিনি একই কথা বলেন এবং জানান যে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়েও তিনি বলেন। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের কথা বলেন এবং এর ভিত্তি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’—তাও তিনি জানান।

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিগুলিকে আহ্বান জানান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ক্লিন এনার্জি, ব্যাটারি স্টোরেজ—এই সমস্ত বিষয়গুলিতে এগিয়ে আসার জন্য। বক্তব্যের একেবারে শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে, ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিশ্বের উন্নয়নের সামনের সারিতে থাকার জন্য।

  • S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” ঠিক এই ভাষায়ই পশ্চিমী বিশ্বকে আক্রমণ শানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ইকনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ভারতের রুশ তেল আমদানিকে সঠিক বলেই সমর্থন করেন। তিনি এদিন ফের একবার সাফ জানিয়ে দেন, ভারত (India) কেবলমাত্র তার জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে, এমনকি যদি তা অন্য দেশগুলির প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হয়, তাহলেও।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার তেল পছন্দ না করে, তবে তাদের উচিত নয় ভারত থেকে সেই পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনা, যা রুশ অপরিশোধিত তেল শোধন করে তৈরি হয়।” তিনি জানান, রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের নিজের স্বার্থে, আবার বৈশ্বিক স্বার্থেও। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমরা সেই সিদ্ধান্তই নেব, যা জাতীয় স্বার্থে হবে। ভারতের মতো একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।”

    বিমাতৃসুলভ আচরণ!

    পশ্চিমী দেশগুলির সমালোচনার জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের তেল বাণিজ্যকে আলাদা করে দেখা উচিত নয়। একে তেলের সমস্যা হিসেবে দেখানো হয়, অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চিনের ক্ষেত্রে একই যুক্তি প্রয়োগ করা হয় না। ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” এর পরেই ভারতের অবস্থান নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের উদ্দেশে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যদি পছন্দ না করেন, তবে কিনবেন না। কিন্তু ইউরোপও কেনে, আমেরিকাও কেনে। যদি পছন্দ না হয়, আমাদের কাছ থেকে কিনবেন না (S Jaishankar)।” জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, ২০২২ সালে যখন বৈশ্বিক তেলের দাম দ্রুত বাড়ছিল, তখন অনেক দেশই ভারতের রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে কোনও আপত্তি করেনি। কারণ এতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য হয়েছিল (India)। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “সেই সময় অনেকে বলেছিল, যদি ভারত রাশিয়ান তেল কিনতে চায়, তাহলে কিনুক, কারণ এতে দামের স্থিতিশীলতা আসবে (S Jaishankar)।”

  • Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    Amit Shah: “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন”, ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সমর্থনের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২২ অগাস্ট একটি সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ অভিযোগ করেন, যদি রেড্ডি বস্তারের আদিবাসী নেতৃত্বাধীন মাওবাদবিরোধী (Naxalism) আন্দোলন ‘সলওয়া জুডুমে’র বিরুদ্ধে রায় না দিতেন, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে নির্মূল হয়ে যেত মাওবাদীদের সন্ত্রাস। তিনি বলেন, “সুদর্শন রেড্ডিই মাওবাদীদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি সলওয়া জুডুম বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন। যদি সেই রায় না দেওয়া হত, তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই নকশাল সন্ত্রাসের অবসান হয়ে যেত। তিনি সেই মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, যার ফলেই সলওয়া জুডুমের রায় দেওয়া হয়েছিল।” ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘সলওয়া জুডুম’ সংক্রান্ত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোপ (Amit Shah)

    তাঁর মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নির্বাচনের কারণে কেরালায় কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, “কেরলের মানুষ অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে বামপন্থী দলগুলির চাপে কংগ্রেস এমন একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাচ্ছে, যিনি নকশালবাদের পক্ষে ছিলেন এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন।” প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ পুলিশ অফিসার (SPO) বা সালওয়া জুডুম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেন। তিনি এ-ও নির্দেশ দেন, জুডুম সদস্যদের অবিলম্বে নিরস্ত্র করতে হবে।

    লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা

    ‘নন্দিনী সুন্দর ও অন্যান্য বনাম ছত্তিশগড় রাজ্য’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তখন রাজ্যের লাল-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে সালওয়া জুডুমের সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৎকালীন ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছত্তিশগড় অক্সিলিয়ারি আর্মড পুলিশ ফোর্স আইন পাশ করে (Naxalism)। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মাওবাদীরা ছত্তিশগড়ের ঝিরম ঘাঁটিতে রাজনৈতিক নেতাদের এক কনভয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সলওয়া জুডুম  আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব মহেন্দ্র করমা-সহ দু’ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হন (Amit Shah)।

    আগামী মাসে দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর জমা দেওয়া ২৮টি মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভার মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোট ২৭ জন প্রার্থীর ৪০টি মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। জানা (Naxalism) গিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। আর তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের বি সুদর্শন রেড্ডি (Amit Shah)।

  • Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত চড়া শুল্কের (Trump Tariffs) কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবজেক্ট বিশেষজ্ঞরা, যাঁদের ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁদের মতে, ভারতের সঙ্গে এই শুল্ক-সংঘর্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘কৌশলগত ভুল’ (Strategic Blunder)। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরকে অবিলম্বে এই নীতি সংশোধনের আহ্বানও জানিয়েছেন। কারণ ভারত হল এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ (Trump Tariffs)

    ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের এই “ভারত নীতিতে বদল” নিয়ে কড়া বার্তা আসছে স্বদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই। একে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুতর কৌশলগত সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে, যাতে তারা স্বল্পমেয়াদি ও ভ্রান্ত বক্তৃতার পেছনে না ছুটে, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নিজেদের ভ্রম সংশোধন করতে পারে।

    মার্কিন অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাকস ভারতের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ককে “যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতির সবচেয়ে নির্বোধ কৌশলগত পদক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি আত্মঘাতী এবং ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত। কারণ ভারত হল এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পর্কের দেশগুলির একটি। বৈশ্বিক জোট যখন ইতিমধ্যেই সংকটে রয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হয়নি ভারতের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এমন বিপ্রতীপ আচরণ করা।” কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস সারা বিশ্বের বহু সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন (Trump Tariffs)। ক্রিস্টাল বল ও সাগর এনজেটির ব্রেকিং পয়েন্টস অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতের ওপর এই শুল্ক কোনও কৌশল নয়। এটি নাশকতা।” তাঁর মতে, ভারতের ওপর আরোপিত এই অযৌক্তিক ও বেপরোয়া শুল্ক আমেরিকার অর্থনীতির কোনও উপকারে আসেনি, বরং এটি আরও বেশি করে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের প্রভাব হিসেবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তাঁর মতে, মার্কিন প্রশাসনের এই শুল্কনীতির ফলস্বরূপ কোনও অর্থনৈতিক সুফল আসেনি, যেমনটি ট্রাম্প প্রশাসন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এর ফলে কেবল বিপরীত প্রতিক্রিয়াই তৈরি হয়েছে (Strategic Blunder)।

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর নিকি হ্যালিও

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও। তিনি আমেরিকার শুল্ক নীতির ভারতের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “নয়াদিল্লির সঙ্গে গত ২৫ বছরের অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়া একটি কৌশলগত বিপর্যয় হবে।” হ্যালি বলেন, “ভারত এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি মূল্যবান স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অংশীদার, যা চিনের আধিপত্য মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ওয়াশিংটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে শক্তিশালী কৌশলগত বার্তাও পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে দেখতে হবে। কারণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের জন্য নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Trump Tariffs)।”

    হ্যালির সাফ কথা

    হ্যালি ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশকে শাস্তি দেওয়া হলেও, চিনের মতো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে।” ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন ভণ্ডামিকে ওয়াশিংটনের একটি ‘কৌশলগত বিপর্যয়’ (Strategic Blunder) বলে আখ্যা দিয়েছেন হ্যালি। তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। হ্যালির ভাষায়, “এশিয়ায় চিনের আধিপত্যের পাল্টা ভারসাম্য রক্ষার একমাত্র দেশ হল ভারত।” তাঁর মতে, এটা বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠন ও বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। হ্যালির সতর্কবার্তা (Trump Tariffs), ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসচেতনভাবেও সর্বশেষ শুল্ক-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বকে আরও গভীর হতে দেয়, তাহলে এটি আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি ফাটলের সূচনা করবে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, শক্তির ভারসাম্য চলে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।’ হ্যালির প্রস্তাব, ট্রাম্প প্রশাসনকে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবনতির (Strategic Blunder) সর্পিল ধারা বদলে দিতে হবে। তাঁর সাফ কথা, ‘শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধান হতে পারে না (Trump Tariffs)।’

  • Donald Trump: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর, কেন তাঁকেই বেছে নিলেন ট্রাম্প?

    Donald Trump: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর, কেন তাঁকেই বেছে নিলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দীর্ঘদিনের সহযোগী সার্জিও গোরকে (Sergio Gor) ভারতে আমেরিকার নয়া রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হল। বর্তমানে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল পদে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের ঘোষণা, সার্জিও ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায়। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করবেন। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের সঙ্গে বচসার পর মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক যখন হোয়াইট হাউসের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি সার্জিওকে ‘সাপ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এহেন ‘সাপ’কেই ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হচ্ছে এমন একটা সময়ে, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নজিরবিহীনভাবে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং যার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

    সার্জিওর ভূয়সী প্রশংসা (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্জিওর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, “সার্জিও দারুণ বন্ধু। বহু বছর ধরে উনি আমার পাশে রয়েছেন। আমার হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন। আমার বই প্রকাশ করেছেন, আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করে অনেক কাজ করেছেন। আমেরিকার জনগণের কাছ থেকে আমরা যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা বাস্তবায়নে সার্জিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” প্রশ্ন হল, কেন গোরের মতো ভারত সম্পর্কে খুবই কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজনকে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রদূত করে পাঠালেন ট্রাম্প? ব্লুমবার্গের মতে, গোরের ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা খুবই কম। তবে এটি খুব কম ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রদূতের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্যতার কারণ হয়েছে। কারণ দুই দলের প্রেসিডেন্টরাই প্রায়ই রাজনৈতিক সমর্থক, বন্ধু (Sergio Gor) এবং তহবিল সংগ্রাহকদের এই ধরনের পদে নিয়োগ করে থাকেন। যেমনটা করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি ভারতের রাষ্ট্রদূত করে পাঠিয়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রাক্তন মেয়র এরিক গারসেটিকে। এই গারসেটি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে বাইডেনের দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন (Donald Trump)।

     গোরের নিয়োগে কোন বার্তা?

    পলিটিকো একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গোরের নিয়োগ কোনও দ্বন্দ্ব প্রশমিত করা বা রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) কর্মী অফিসের পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে নয়। “রাষ্ট্রপতি মোদি সরকারকে শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছেন এমন একজন দূত পাঠিয়ে, যিনি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক চাপের মুখে পড়েছে ট্রাম্পের চড়া শুল্ক হার ঘোষণা এবং রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার কারণে আরোপিত শাস্তির ফলে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, “সার্জিও একটি স্পষ্ট বার্তা। এখন আলোচনা সিরিয়াসলি নিতে হবে এবং সব বার্তা সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আসবে।”

    প্রাক্তন হোয়াইট হাউস স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন বলেন, “তাঁর কি ভারতের নীতি–সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর জ্ঞান আছে? নেই। কিন্তু এই লোকটা (Sergio Gor) খুব দ্রুত শিখে নিতে পারে। তাঁর শুধু প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছানোর সুযোগই নেই, বরং তাঁর প্রতি এক বিশেষ আস্থা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) তাঁকে বিশ্বাস করেন। তিনি তাঁর সঙ্গে সরাসরি ও সৎভাবে কাজ করছেন।”

  • Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)

    দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

    অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে

    এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।

    জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

  • India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) ধুয়ে দিল ভারত (India)। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে মহিলাদের যৌন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। এর পরেই ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে তাদের নিজেদেরই মহিলাদের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় অপরাধের রেকর্ড স্মরণ করিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের অন্যদের নীতি শেখানোর কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) লাখ লাখ নারীর ওপর পাক সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ যৌন হিংসা চালিয়েছিল, তা এক লজ্জাজনক ইতিহাস।” রাষ্ট্রসংঘে ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পুন্নোস বলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা আজও অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিচারব্যবস্থাও এই নারীর প্রতি অপরাধগুলিকে বৈধতা দেয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি কতটা বিদ্রূপাত্মক যে যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই এখন ন্যায়বিচারের রক্ষক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামি নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।”

    পুন্নুসের বক্তব্য (India)

    ২০২৪ সালে সাসটেনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে পাকিস্তানে ২৪,০০০-রও বেশি অপহরণ ও কিডন্যাপের ঘটনা, ৫,০০০টি ধর্ষণের ঘটনা এবং ৫০০টি “অপমানজনক” হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু ভুক্তভোগী ছিলেন হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরী, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুন্নুস (India) বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আইনি সহায়তা পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার নৃশংস কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের (Pakistan) কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক হিংসার মোকাবিলায় ভারত দেশীয় পর্যায়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সাহায্যে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অবদান রাখা প্রথম দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে (India) রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপে যৌন শোষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের সার্কেলে যুক্ত হয়েছে ভারত। পুন্নোস মনে করিয়ে দেন, ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম সর্বমহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল এবং এখনও রাষ্ট্রসংঘের মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট পাঠিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই দলগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল বিষয়গুলির (Pakistan) সমাধান করতে অসাধারণভাবে সফল হয়েছে” (India)।

LinkedIn
Share