Tag: India

India

  • Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা এ দেশে অতীতে হয়েছে কি না তা বলা মুশকিল। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং বকেয়া বিল না মেটানোর জন্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশের   ১৩টি রাজ্য। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। পাওয়ার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে বিদ্যুৎ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় সহ মোট ১৩টি রাজ্যের উপর।

    যে সব রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে বকেয়া টাকা শোধ করেনি রাজ্য। তাই সেখানে নেমে আসতে পারে অন্ধকারের ঘনঘটা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়- এই ১৩টি রাজ্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা

    পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (POSOCO) তিনটি পাওয়ার এক্সচেঞ্জকে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছে। ১৩টি রাজ্যের ২৭টি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে অচিরেই এই ১৩টি সংস্থায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। আর তার ফল ভুগতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। ১৩টি রাজ্যের মোট ৫,০৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা POSOCO সারা দেশে বিদ্যুৎ বন্টনের প্রতিটি দিক দেখাশোনা করে। এই প্রথম ভারতে একসঙ্গে এতগুলো রাজ্যের বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল এই সংস্থা। অতীতে কিছু রাজ্যর উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে একসঙ্গে ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা এই প্রথম। ১৩টি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে লেট পেমেন্ট করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে। তাই এই ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     
  • Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে (Abdul Rauf Azhar) রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করল চিন। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতা মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) ভাইকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ভারত ও আমেরিকা। রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারত ও আমেরিকার এই যৌথ প্রস্তাবে বাধ সাধে বেজিং। 

    ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল সে। দাদা মাসুদ আজহারকে ভারতের কারাগার থেকে ছাড়াতেই এই অপহরণের পরিকল্পনা করে রউফ। ২০০১-এর সংসদ হামলা এবং ২০১৬-য় পাকিস্তানের পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার। তালিবান, আল-কায়দা, লস্কর-ই-তইবা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রউফ আজহারের। ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর রউফ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৪৮ বছর বয়সি রউফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের বেশ কয়েকটি রেডকর্নার নোটিশ মুলতুবি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    রাষ্ট্রসঙ্ঘে সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মাসুদ আজহারের ভাইকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার গতিবিধির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিলেও ভেটো প্রদানের ক্ষমতাধারী চিন (China) বাধা দেয়। চিনের আপত্তিতেই আপাতত প্রস্তাবটি মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু সেবারও বাধা দেয় চিন। মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। তাকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাবও পাশ হয়নি।

  • India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet) বিতর্কে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। তার সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। দাগল পাল্টা তোপও। সাফ জানাল, যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘু মানুষকে রক্ষা করতে পারে না, সেই দেশের  কোনও যোগ্যতা নেই ভারতের (india) বিষয়ে কথা বলা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, পাকিস্তান থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে এবং মন্তব্য আসছে, তা আমরা দেখেছি। অন্য দেশ কীভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ করছে, তা নিয়ে লাগাতার সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী কোনও দেশের মন্তব্য যে কতটা অযৌক্তিক, সেটা কারও কাছে অস্পষ্ট নয়। হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান এবং আহমদীয় সহ সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধারাবাহিক হত্যালীলা চালাচ্ছে পাকিস্তান, তা দেখে আসছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। তড়িঘড়ি দল তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। যদিও নূপুরের দাবি, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে নূপুরের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে ইসলামিক দেশগুলি (Islamic countries)। সৌদি আরব, কাতার, ইরান এবং কুয়েতও নিন্দা করে নূপুরের মন্তব্যের। ভারতীয় দূতকে তলব করে কাতার। বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলেরও (Naveen Jindal)। তাঁকে বহিষ্কার করে দল।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    এই আবহে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ট্যুইটারে লেখেন, আমাদের প্রিয় পয়গম্বরের বিরুদ্ধে ভারতের বিজেপি নেতা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। আগেও একাধিকবার বলেছি যে মোদির আমলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলিত হচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্বের নজর দেওয়া উচিত এবং ভারতকে শাস্তি দেওয়া উচিত।

    পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যেরই কড়া জবার দিয়েছে সাউথ ব্লক। বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মের প্রতি ভারত সরকারে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। সেটা পাকিস্তানের মতো নয়। যেখানে ধর্মান্ধদের প্রশংসা করা হয় এবং তাঁদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।

    ঘটনার পরে পরেই অবশ্য ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, হজরত মহম্মদ সম্পর্কে যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির অবস্থান নয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, আমরা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক প্রচার ও ভারতে বৈষম্য বাড়ানোর চেষ্টা করার বদলে সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জনকল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাই।

  • China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমানবিক অস্ত্রসম্ভার (Nuclear Arsenal) বাড়াচ্ছে চিন (China)। এই মুহূর্তে ভারতের (India) প্রতিবেশী এই দেশটির হাতে রয়েছে ৩৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড (warheads)। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৬৫টি। আর ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ১৬০টি। সুইডেনের এক সংস্থার রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে।

    সুইডেনের অস্ত্র ব্যবসা ও নিরস্ত্রীকরণ ট্র্যাকিং ওয়াচডগ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনার পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, সংক্ষেপে সিপ্রি (sipri) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক সমীকরণগুলো পাল্টাতে শুরু করেছে। তাই সামরিক দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশ। তারা জোর দিয়েছে মূলত পারমাণবিক প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলার ওপর।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    সিপ্রি জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চিনের ওয়ারহেড মজুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ওয়ারহেডগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারা বিমানের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে।

    প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এক দশক আগেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মূলত তরল জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থলভাগ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।সমুদ্র ভিত্তিক কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাত্রও ছিল লালফৌজের দেশে। ২০১৭ সাল থাকে বদলাতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে নেমেছে চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তির হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। এর পরই সমরসজ্জা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি করার কথা স্বীকারও করেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। তিনি বলেন, চিন যেভাবে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধে নিজেদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, চিন পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ালেও, তা আত্মরক্ষার জন্য। চিন কোনওদিনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তাঁর এই ‘স্বীকারোক্তি’র পরে পরেই প্রকাশ্যে আসে সিপ্রির প্রতিবেদন।

    আরও পড়ুন : ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

     

  • India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর একটি নতুন হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চিন (China)। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য বেজিংয়ের এই প্রচেষ্টা বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    তিব্বতের লুঞ্জে কাউন্টি থেকে জিনজিয়াং অঞ্চলের কাশগারের মাঝা পর্যন্ত এই নতুন রাস্তাটি ২০৩৫ সালের মধ্যে তৈরি করার কথা ভাবছে বেজিং। মোট ৪৬১,000 কিলোমিটার এই হাইওয়ের যে অংশটি লুঞ্জে কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাবে সেটা অরুণাচল প্রদেশের ভিতরে। তবে চিনের দাবি ওই অঞ্চলটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। চিনেরে এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই রাস্তাটি সিকিম সীমান্তবর্তী কাম্বা কাউন্টির  মধ্য দিয়ে যাবে। যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে। নেপাল সীমান্তের কাছে জি৯৫ সড়ক গির কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    পরিকল্পিত রাস্তাটি তিব্বত, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে বুরাং কাউন্টির খুব কাছ দিয়ে চলে যাবে। নতুন রাস্তার বিশদ বিবরণ এখনও অস্পষ্ট। তবে মনে করা হচ্ছে ওই রাস্তা তৈরি হলে তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ডেপসাং সমভূমি, গালওয়ান উপত্যকা এবং হট স্প্রিংসের কাছাকাছিও যেতে পারে।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও ডেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। ডেপসাং এলাকায় ২০১৩ সাল থেকেই আগ্রাসী চিন। সেখানে ভারতকে টহলদারি করতে দিচ্ছে না লালফৌজ। ডেমচকে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। তবে ডেপসাং ইস্যু নিয়ে সমঝোতা বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাই আপাতত গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবিতেই জোর দিয়েছে ভারত। এই অবস্থায় নতুন রাস্তা আবার সীমান্ত-সমস্যা দূরীকরণে বেজিংয়ের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। 

  • Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির (Dumb Bets) কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইএ (CIA) প্রধান বিল বার্নস (Bill Burns)। বিলের মতে, শ্রীলঙ্কার এই ভুল দেখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সচেতন হওয়া উচিত।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুণতে হয় দ্বীপবাসীদের। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির কারণ যে চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া, তা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রীলঙ্কার দিকে তাকানো উচিত। চিনের কাছে ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। চিন থেকে ঋণ নিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দুর্দশার শিকার হয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। বদলে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। তিনি বলেন, কেবল মধ্য প্রাচ্য কিংবা দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    শ্রীলঙ্কায় পরিকাঠামো সহ নানা খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে চিন। বিপুল পরিমাণ সুদ মেটাতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ শ্রীলঙ্কা। জনসংখ্যা ২২ কোটির কাছাকাছি। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় মোদি সরকারের থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছে ভারতকে। যাতে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলা যায় দ্বীপরাষ্ট্রকে।

     

  • Pm Modi: বিদ্যুৎ বাবদ রাজ্যগুলির কাছে পাওনা কোটি কোটি টাকা, দ্রুত শোধের আর্জি মোদির  

    Pm Modi: বিদ্যুৎ বাবদ রাজ্যগুলির কাছে পাওনা কোটি কোটি টাকা, দ্রুত শোধের আর্জি মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ বণ্টন ক্ষেত্রে ভারতের (India) ক্ষতির পরিমাণ দুই অঙ্কের। অথচ উন্নত দেশগুলিতে (Developed Countries) এর পরিমাণ এক অঙ্কের। শনিবার উজ্জ্বল ভারত, উজ্জ্বল ভবিষ্য পাওয়ার @ ২০৪৭ (Ujjwal Bharat Ujjwal Bhavishya-Power@2047) শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বণ্টন করতে গিয়ে আমাদের প্রচুর পরিমাণ শক্তি নষ্ট হয়। সেই কারণে দেশবাসীর চাহিদা পূরণ করতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন, উৎপাদন করতে হচ্ছে তার চেয়েও ঢের বেশি।

    বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি রাজ্যের কাছে যে কেন্দ্রের মোটা টাকা পাওনা রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন মোদি। বলেন, দেশের বিভিন্ন পাওয়ার সেক্টর ফার্মের কাছে অনেক রাজ্যের দেনা রয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। দেশবাসী এটা জেনে বিস্মিত হবেন যে বিভিন্ন রাজ্যের বকেয়া রয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এই টাকা তাদের শোধ করতে হবে বিভিন্ন শক্তি উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে। বিদ্যুৎ বণ্টন করে যেসব কোম্পানি, বিভিন্ন সরকারি এবং আঞ্চলিক দফতরের কাছে তাদের পাওনার পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আটকে রয়েছে এরিয়ার বাবদ ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের কাছে বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে  পাওয়ার ফার্মগুলো ভর্তুকি বাবদ যে টাকা পায়, সেটাও যথা সময়ে পাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    বিদ্যুৎ বাবদ রাজ্যগুলির যে বকেয়া রয়েছে, সেগুলি দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করছি, যাদের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাঁরা তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করে দিন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, উপভোক্তারা যদি যথা সময়ে সততার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে দেন, তাহলে রাজ্যগুলি কেন বারবার টাকা বকেয়া রাখছে। এদিন ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিমের সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

     

  • Terror Drones: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    Terror Drones: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (pakistan) পাঠানো হচ্ছে ড্রোন। ফিরছে কখনও মাদক (drug), কখনও বা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ড্রোন (drone) আটক করেছে বিএসএফ (bsf) এবং পাঞ্জাব পুলিশ। ড্রোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা বাহিনী জেনেছে, ভারত থেকে পাকিস্তানে ড্রোন পাঠিয়ে কাজ হাসিল করছে দুষ্কৃতীরা।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ (punjab police) বেশ কয়েকটি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করে। প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে তারা জেনেছে, এই ড্রোনগুলিকেই ব্যবহার করা হয় মাদক কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের মাধ্যম হিসেবে। এও জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ড্রোনই ওড়ানো হত অমৃতসর এবং তরণ তারণ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে।

    অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক? অস্ত্রবোঝাই ড্রোন ধ্বংস পুলিশরে

    জানা গিয়েছে, ভারত থেকে পাঠানো ড্রোনে পিস্তল, মাদক এবং গোলাবারুদে ভর্তি করে পাকিস্তানের কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সেগুলি ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ঘটনাটি নজরে পড়ায় পাঞ্জাব পুলিশকে নিয়ে বিএসএফ ওই ড্রোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে। তখনই ফাঁস হয় অবৈধ পাচারচক্র। গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠকে উঠেওছিল বিষয়টি।      

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিএসএফ একটি ড্রোনকে গুলি করে নামায়। ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে উড়ে এসে পাঞ্জাবের অমৃতসরে আসছিল। সেই ড্রোন থেকে মেলে ১০ কেজিরও বেশি হেরোইন। যার বাজারদর প্রায় ৭০ কোটি টাকা। পাঞ্জাব পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বাজেয়াপ্ত করা ড্রোনের যাতায়াতের পথ বিশ্লেষণ এবং তদন্ত করে জানা গিয়েছে, সেটি পাঠানো হয়েছিল ভারত থেকে। সেখানেই ড্রোনটিতে ভরা হয়েছিল ১০ কেজি হেরোইন। পরে সেটিকে ফের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    প্রায় একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল মার্চের প্রথম সপ্তাহে। ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া একটি ফার্মের কাছে গুলি করে ড্রোনটি নামায় বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশ। এই ড্রোনটিও ভারত থেকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। গোলাবারুদ এবং মাদক নিয়ে ভারতে ফিরছিল সেটি।

    আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    পরপর এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক করে দেয় পাঞ্জাব পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু লোক পাকিস্তানের সঙ্গে তলায় তলায় যোগসাজশ রেখে চলছে। তারাই চালাচ্ছে এই চক্র। এর পেছনে বেশ কিছু গ্যাংস্টার এবং পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা রয়েছে। ঘটনায় যোগ রয়েছে দুই দেশেরই স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীরও। ড্রোনের এই অপব্যবহার ঠেকাতে সক্রিয় বিএসএফও। সীমান্তে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম (Anti-Drone system) মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী। বাড়ানো হয়েছে টহলদারি, বসানো হয়েছে নানা নজরদারি সরঞ্জামও।

    বরাবরই ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ। নড়বড়ে প্রশাসন। হাজারো সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) দেশ।

     

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) নির্ঘণ্ট। আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে শাসক বিজেপি (BJP) এবং বিরোধীরা (Opposition)। কে যাবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসে (Raisina Hill)?

    ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদ্ম শিবিরে ঘোরাফেরা করছিল অনেকগুলো নাম। তার পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রার্থী করে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোবিন্দ তখন ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। পদ্ম শিবির এবারও সেরকম কোনও চমক দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। আছেন তেলেঙ্গানার তামিলিসাই সুন্দররাজন, আসামের জগদীশ মুখী, ছত্তিশগড়ের অনুসুইয়া উইকে এবং কেরলের আরিফ মহম্মদ খান। পাশাপাশি ভেসে উঠছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নামও ।

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদীয় রাজনীতির অন্যতম প্রবীণ মুখ কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। তিনি হতে পারেন দু পক্ষেরই বাজি। গুলাম রাজ্যসভা থেকে যেদিন অবসর নেন, সেদিন চোখে জল দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির। আজাদের সঙ্গে কেবল বিজেপি নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক মধুর। তাই কংগ্রেসের পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে ভাবছে পদ্ম নেতৃত্ব। গুলামকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে বিরোধীরাও বিরোধিতা করতে পারবেন না। তাই তাঁকে রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে চমক দিতে পারেন মোদি।

    গুলামের পাশাপাশি কংগ্রেস শিবিরে ভাসছে আরও দুটি নাম। একজন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অন্যজন মীরা কুমার। পাওয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সংসদীয় রাজনীতির সব কিছু তাঁর নখদর্পণে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৈরি করেন এনসিপি। শিবসেনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে তাঁর দল। তাই তিনিও হতে পারেন বিরোধীদের প্রার্থী। পাওয়ার প্রার্থী হলে তৃণমূল কিংবা অখিলেশেরও কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকেও প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। মীরা তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তাই বিজেপির কোনও দলিত প্রার্থীর পাল্টা বাজি হতে পারেন মীরাই।  বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনিও দক্ষ রাজনীতিবিদ। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। পরে আসেন রাজ্যসভায়। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মন্ত্রী ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার। উপরাষ্ট্রপতির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাই তিনিও হতে পারেন বিজেপির বাজি।

    কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খানকেও রাইসিনা হিলসে পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সর্বোপরি, মোদি-নীতির সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব সিদ্ধান্তেই গলা মিলিয়েছেন তিনি। তাঁকে প্রার্থী করা হলে ভোঁতা হয়ে যাবে বিরোধীদের সমস্ত হাতিয়ার।

    তবে শেষ হাসি হাসবেন কে? তা বলবে সময়।

     

  • Prophet Row: পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    Prophet Row: পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদের (prophet Muhammad) মর্যাদা সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনও আপোশ করবে না বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে বিজেপির (BJP) দুই প্রাক্তন নেতার কথায়, তা সম্পূর্ণভাবে বাইরের বিষয়। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।  

    দিনকয়েক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ঘটনার পরে পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তার পরেও দেশে এবং বিদেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অশান্তি। শুক্রবার জুম্মার নমাজের পরে বাংলাদেশের কিছু এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। হামলা চালানো হয় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বাড়িতে। ভারতীয় জিনিসপত্র বয়কট করার পক্ষেও জোরালো দাবি ওঠে। প্রতিবাদ হয় মূলত জমায়েত উলেমা বাংলাদেশ, খিলাফত মজলিস ইসলাম ঐক্যজোটের তরফে।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    ঘটনার জেরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, বিজেপির ওই মুখপাত্রদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পয়গম্বর হজরত মহম্মদের সম্মানের প্রশ্নে আমরা কোনও আপোশ করব না। পয়গম্বরের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা নিন্দাজনক। তবে যাঁরা এটা বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।  

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হাসান মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটা বাইরের বিষয়। এটা ভারতের বিষয়। আমি মনে করি না, এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার আছে। তিনি বলেন, মধ্য প্রাচ্য, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মলদ্বীপের মতো দেশেরও এনিয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাসান মাহমুদ বলেন, উসকানিমূলক মন্তব্যের পরে ভারতে এফআইআর করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তদন্তও চলবে। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নবী মহম্মদ ইস্যুতে চুপ করে থাকার অভিযোগ তুলেছে মুসলিম দেশগুলি।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইসলামিক বিভিন্ন গোষ্ঠী যাতে উৎসাহ না পায়, তাই নূপুর শর্মা ইস্যুতে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে বাংলাদেশ সরকার।

     

LinkedIn
Share