Tag: India

India

  • IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার (Wheat export ban) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আরজি জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund), সংক্ষেপে আইএমএফ (IMF)।

    সম্প্রতি, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) একটি বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (Kristalina Georgieva) বলেন, আমি জানি ভারতের প্রায় ১৩৫ কোটি লোককে খাওয়ানো প্রয়োজন। তাপপ্রবাহের জেরে সে দেশে যে কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে, তাও জানি। তা সত্ত্বেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি ভারতকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাব। কারণ যত বেশি দেশ রফতানি বিধিনিষেধের দিকে পদক্ষেপ করবে, তা দেখাদেখি অন্যরাও তা করবে। এতে আমরা সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হব।

    আরও পড়ুন : গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ১৩ মে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন জি-৭ (G-7) দেশগুলির কৃষিমন্ত্রীরা। ভারত বিশ্বে অন্যতম বড় গম রফতানিকারী দেশ। তাই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই বিপাকে পড়ে পশ্চিমের দেশগুলি। জার্মানির কৃষিমন্ত্রী সেম ওজদেমির বলেন, যদি সবাই রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বা বাজার বন্ধ করতে শুরু করে, তাহলে সঙ্কট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে জি-২০ (G-20) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। জানা গিয়েছে, জুনে জার্মানিতে হবে জি-৭ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেখানে ভারতকে জি-২০-র দায়িত্ব নেওয়ার সুপারিশ করতে পারে পশ্চিমের দেশগুলি।

    যদিও, ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য বিপণন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইটারে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের এক শতাংশেরও কম গম রফতানি করে ভারত। আমাদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করবে না। আমরা দুর্বল দেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছি। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাহত জোগান, ভারত থেকে গম কিনবে মিশর

    অবশ্য গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে চিন (China)। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে প্রতিবেশী দেশটি বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। আজ পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (World Food Crisis) মুখে পড়ে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তখন প্রশ্ন উঠত কি? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না? 

     

  • Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তিন দিনে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। এই সফরের শেষ দিনে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনা হয়েছে আরও একাধিক বিষয়ে।

    দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হলেও, বকলমে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে নিষেধ করেছেন একাধিকবার। তাতে কান না দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলেছে সাউথ ব্লক। এমন আবহে মোদির ইউরোপ সফর গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

    তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফান্সে পা রাখেন মোদি। বুধবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসে প্যালেসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছেন বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আদতে কোনও পক্ষেরই জয় হবে না বলেও মাক্রঁরকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদি। যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের জেরে আসলে গরিব দেশগুলির ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির ফ্রান্স ছাড়ার পরেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়ার্ত্রার তরফে। তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিনয় বলেন, দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও মাক্রঁ জোর দিয়েছেন বলেও জানান বিদেশ সচিব।     

     

     

  • Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympic Games) যাতে ভারতে (India) আসে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। মূলত আমেদাবাদ (Ahmedabad) কেই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসের জন্য। ভারতের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। শুধুমাত্র সমর্থনই করেনি, অলিম্পিক ডিং ও গেমস আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তারা জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (International Olympic Committee) ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতকে দেয়, তাহলে তা আয়োজনে রাশিয়া বড় সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) ফলে রাশিয়াকে বহু দেশ বয়কট করেছে। খেলার জগতেও রাশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত। ফলস্বরূপ,  রাশিয়া ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। বুধবার ভারত সফরে এসে রুশ ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ মাতিস্তিন (Oleg Matytsin) বলেছেন, “ভারতকে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে সহায়তা করতে পারলে রুশ বিশেষজ্ঞরা খুব খুশি হবেন।“  তিনি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এর সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা ( Narinder Batra) ২০২১ সালের থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনিই প্রস্তাবে জানিয়েছেন, আমেদাবাদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। গুজরাটের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এখনও পর্যন্ত কিছুই ঠিক না হলেও গুজরাটের অ্যাডভোকেট জেনারেল কামাল ত্রিবেদী (Kamal Trivedi) হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা এখন থেকেই ২০৩৬ অলিম্পিক্সের আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে এবং অলিম্পিক কমিটি ২০২৫ সালে সাইট পরিদর্শন করতে আসবে। 

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    ভারতে এসে নারিন্দার বাত্রার সঙ্গে দেখা করে ওলেগ বলেন, “যদি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নে আরও একটি বড় দিক উঠে আসবে। আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য ও নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত, এবং আমরা অনেক বার এমনটা করেছি। ফলে যদি ভারতে অলিম্পিক্স হওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, তাহলে রুশ বিশেষজ্ঞরা ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি হবে।“

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যেই অলিম্পিক্স-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। এমন সময়েই নিজেদের ক্রীড়াক্ষেত্রকে ঠিক রাখতেই ভারতকে খেলার জগতে সাহায্য করতে রাশিয়া আগ্রহী হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

  • LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়াকে (Malaysia) লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft) বা এলসিএ (LCA) বিক্রির বরাতের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি (New Delhi) পিছনে ফেলে দিয়েছে চিন (China) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।

    জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যবহৃত রুশ সুখোই এসইউ ৩০ (Sukhoi Su-30) যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসপত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতের এই বরাতের মধ্যে। ভারত তার তেজস এলসিএ-র (Tejas LCA) জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে মালয়েশিয়া সরকারকে। জানিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে এটি মালয়েশিয়ার এসইউ ৩০ জেট বিমানের সমতুল্য হতে পারে তেজস।

    আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চুক্তির জন্য অন্য দুই প্রতিযোগী দেশ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ভারত। কারণ তাদের সুখোই ফাইটারগুলিতে কাজ করতে রাশিয়ান নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার ১৮টি এসইউ ৩০ এমকেএম ফাইটার রয়েছে। এগুলি মূলত এমকেআই সংস্করণের মতো। যা ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্যাকেজ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের সরকারের আলোচনার শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    আরও পড়ুন : “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে রাশিয়ার (Russia) ওপর জারি হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে প্রভাবিত হয়েছে মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী ১৮টি নতুন লাইট ফাইটার জেটের সন্ধান করছে। তাই ভারতীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তার স্বল্প অধিগ্রহণ খরচ এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত রেটিং দিয়ে চিন ও কোরিয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।

    সাউথব্লক একটি আধুনিক এইএসএ রাডার সহ তেজস এমকেওয়ানএ (Tejas Mark 1A) সংস্করণটির প্রস্তাবও দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বর্ষীয়ান কয়েকজন সদস্যের একটি দল ভারত সফর করে গিয়েছে। অর্ডার ধরতে ভারত মালয়েশিয়ায় এলসিএ বহরের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভারতীয় এলসিএ-র দাম ইউনিট প্রতি ৪২ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

  • I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    I2U2 Summit: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্ব-রাজনীতি। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণও। তাই তৈরি হচ্ছে নয়া গোষ্ঠী। এমনই একটি গোষ্ঠীর চার সদস্য রাষ্ট্র হল ভারত (India), আমেরিকা (US), ইসরায়েল (Israel) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE)। নয়া এই গোষ্ঠীর নাম আই২ইউ২ (I2U2)। এই গোষ্ঠীর প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক হতে চলেছে জুলাই মাসে। যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনাই প্রাধান্য পাবে ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তা আরও গতি পেয়েছে। এই আবহেই গড়ে উঠেছে নয়া জোট আই২ইউ২। আই২ বলতে ইন্ডিয়া ও ইসরায়েলকে বোঝাচ্ছে। আর ইউ২ বলতে বোঝানো হচ্ছে ইউএই এবং ইউএস-কে।

    বৈঠকের কথা স্বীকার করছে হোয়াইট হাউস-ও। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনের।

    আরও পড়ুন : প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত

    গত বছর অক্টোবর মাসে ভারত, আমেরিকা, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তখন এই চার দেশের জোটকে বলা হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন। তবে এবার আই২ইউ২ নামের এই নয়া গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই।  

    এদিকে, ১৩ থেকে তিন দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার কথা। এই সময় ইসরায়েল  ছাড়াও বাইডেন যাবেন সৌদি আরব সফরে। এই সময়ই হতে পারে আই২ইউ২-র ভার্চুয়াল সম্মেলন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার জেরে বিশ্বজুড়ে দর বেড়েছে জ্বালানির। এমতাবস্থায় সৌদি আরব সফরে গিয়ে বাইডেন সে দেশকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলতে পারেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।   

     

  • What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ভারতের ঐতিহ্য। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন জটিল এবং দুরারোগ্য অসুখেও আয়ুর্বেদ কাজ করে। ভারতে এসে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে এবার থেকে বিদেশিরা বিশেষ সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন ভিসা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই ভারত চালু করতে চলেছে আয়ুষ ভিসা। সম্প্রতি গান্ধীনগরে তিন দিনের জন্য চলা গ্লোবাল আয়ুষ ইনভেস্টমেন্ট এবং ইনোভেসন সামিট (Global AYUSH Investment and Innovation Summit)-এর উদ্বোধন করতে এসে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,”নতুন এই ভিসার বিষয়ে এগোচ্ছে ভারত।” ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য এটি একটি অভিনব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    AYUSH কাকে বলা হয়?
    ভারতের প্রাচীন পাঁচটি চিকিৎসা পদ্ধতিকে একসঙ্গে আয়ুষ বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ,যোগাসন, নেচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি।

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এই আয়ুষ নিয়ে দেশের তো বটেই বিদেশের মানুষের মধ্যেও আকর্ষণও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই বিদ্যাচর্চার জন্য এবং এগুলির সাহায্য নিতে এখন বহু মানুষ ভারতে আসছেন। আর সেই কারণেই এই ভিসার কথা ভাবা হয়েছে সরকারের তরফে। কোভিড-কালে এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান মোদী। এই সময়ে ‘আয়ুষের কাড়হা’ এবং অন্যান্য অনুরূপ পণ্যগুলি মানুষকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। দেশ থেকে হলুদ রপ্তানিও করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক বছর বহু মানুষ কেরলে যান এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে। এগুলি ভারতের নিজস্ব বিদ্যা। এগুলিকে ঠিক করে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা গেলে দেশের উপকার হবে, সুনাম বাড়বে, বিদ্যাগুলি বহু মানুষের কাজে লাগবে এবং এগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে চর্চা বাড়বে। এদিন তাঁর ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, যে আয়ুষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সীমাহীন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আয়ুষ ওষুধ, পুষ্টিপরিপূরক এবং প্রসাধনী উৎপাদনে একটি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। এবার আমরা একটি বিশেষ আয়ুষ হলমার্ক তৈরি করার পথে রয়েছি। এই হলমার্কটি ভারতে তৈরি সর্বোচ্চ মানের আয়ুষ পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।’ঔষধি গাছের চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের সহজেই বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবিধা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদী। এর জন্য, সরকার আয়ুষ ই-মার্কেটপ্লেসের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।

  • India US Relation: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    India US Relation: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে (Pentagon) কোনও বিশেষ এককর্টের (Escort) সাহায্য ছাড়াই এবার প্রবেশ করতে পারবে ভারত (India)। দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা বিশ্বাস ও সহযোগিতার কারণেই এই সম্মানজনক অধিকার দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। অবশ্য কেবল ভারতের ডিফেন্স অ্যাটাশেই (Defence Attache) আমেরিকার (America) দেওয়া এই বিশেষ অধিকার ভোগ করতে পারবেন।

    স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বর্ষে দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করে ভারত। ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে পালিত হয় ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। তার পরে পরেই আমেরিকার কাছে ভারত পেল মার্কিন সামরিক শক্তির আঁতুড়ঘর পেন্টাগনে আন এসকর্টেড প্রবেশাধিকার। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানান মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ এক আধিকারিক ফ্র্যাঙ্ক কেন্ডিল। কেন্ডিল মার্কিন বায়ুসেনার সেক্রেটারি। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন :আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    পেন্টাগন হল মার্কিন সেনার হেড কোয়ার্টার। বছরভর চব্বিশ ঘণ্টাই এলাকাটি দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া থাকে। উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অধিকার না পেলে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না কোনও মার্কিন নাগরিকও। সেখানেই এবার থেকে এই অধিকার পেতে চলেছেন ভারতের ডিফেন্স অ্যাটাশে। কেন্ডিল বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আন এসকর্টেডভাবে পেন্টাগনে প্রবেশাধিকার কোনও বড় ঘটনা নয়, তাহলে জেনে নিন আমিই আন-এসকর্টেড হয়ে পেন্টাগনে প্রবেশ করতে পারি না। তিনি বলেন, ভারত এমন একটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমরা আরও যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে পারি। অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতের সঙ্গে আমরা এটা বারংবার করতে পারি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মজবুত। একে আরও শক্তপোক্ত করতে আগ্রহী আমরা। তিনি বলেন, আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাতে এই অঞ্চল তো বটেই, গোটা বিশ্বেই আমরা একটি সুসংহত শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারি।

    আরও পড়ুন : ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

     

  • Sri Lanka: ভারতকে ধন্যবাদ , মোদি-বন্দনা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    Sri Lanka: ভারতকে ধন্যবাদ , মোদি-বন্দনা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। অসময়ে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Modi) ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার নতুন দেশনেতা রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। গত বৃহস্পতিবার টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে শ্রীলঙ্কার ২৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিক্রমসিঙ্ঘে। শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা বিক্রমসিঙ্ঘে এর আগেও পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিক্রমসিঙ্ঘে  শপথ নেওয়ার পর কলম্বোতে ভারতের হাইকমিশনের এক ট্যুইটে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে।

    শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই বিক্রমসিঙ্ঘে ভারতীয় হাইকমিশনার গোপাল বাগলের সঙ্গে দেখা করেন। বিক্রমসিঙ্ঘে তাঁকে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে তিনি আগ্রহী। বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আমি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদিকে।” বাগলেও তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশা করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসারে গঠিত শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও (MEA) শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু এখনই এমন কোনও বার্তা কলম্বোকে দিতে চায় না নয়াদিল্লি যাতে মনে হয়, সে দেশের সরকারের সমস্ত পদক্ষেপে ভারতের রাজনৈতিক সিলমোহর রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ছ’মাসে শ্রীলঙ্কায় ভারতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও ভূমিকা বহুল পরিমাণে বেড়েছে।  ভারত ঋণজর্জর শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার দিয়েছে, প্রভূত জ্বালানি এবং ওষুধ সরবরাহ করেছে।

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টালমাটালের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সি বিক্রমসিঙ্ঘে। দেশের ঋণ জর্জরিত অর্থনীতিকে (Economic Crisis) স্থিতিশীল করতে ও রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য। নয়া প্রধানমন্ত্রী পেয়েও অবশ্য খুশি নন শ্রীলঙ্কাবাসী। তাঁদের একাংশ এখনও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে অনড়। তিনি না সরলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

  • Wheat Export Ban: গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    Wheat Export Ban: গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপ্রত্যাশিত! 

    গম রফতানি বন্ধ (Wheat Export Ban) নিয়ে ভারতের (India) সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাল চিন (China)। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে গম রফতানি বন্ধ (Wheat export ban) করে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটির এই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করেছে ড্রাগনের দেশ।

    ভারত গম রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই বিবৃতি জারি করে জার্মানি। বলা হয়, ভারতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে জি-৭ (G-7) রাষ্ট্রগুলি। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে চিন বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। তবে পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (world food crisis) মুখে পড়ে গম (wheat) রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তাহলে কি প্রশ্ন উঠত না? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের (Global Times) একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না?  

    গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan valley) সংঘর্ষের জেরে ভারত-চিনের সম্পর্কে (India China relation) ফাটল ধরেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ফাটল ক্রমেই হয়েছে চওড়া। যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে। কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনার পরেও মেরামত হয়নি সম্পর্কের ফাটল। এই আবহে ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে ড্রাগনের দেশের। আবার পাকিস্তানের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিন। যা নিঃসন্দেহে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাউথ ব্লকের। সব মিলিয়ে ভারতকে নিরন্তর কোণঠাসা করার ছক কষে চলেছে কমিউনিস্ট শাসিত দেশটি। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের হয়ে গলা ফাটাল চিনা সরকার।  

    মার্চ ও এপ্রিলে দাবদাহের কারণে দেশে গমের ফলন কম হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই বেড়েছে দাম। দেশবাসীর চাহিদা পূরণে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। স্বভাবতই রুষ্ট হয়েছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলি। নিন্দা করা হয়েছে ভারতের সিদ্ধান্তকে। এহেন আবহে ভারতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলিকে একহাত নিলে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে ধন্যবাদ , মোদি-বন্দনা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখে

  • Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার জন্য কংগ্রেস (Congress) ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার (Constitutional Rights) কেড়ে নিয়েছিল। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেশে জরুরি অবস্থার ৪৭ বর্ষপূর্তি। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই কারণেই এদিন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদিন সকালে একট ট্যুইটবার্তায় শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। তিনি বলেন, কংগ্রেস শাসন বর্বরতার দিক থেকে বিদেশি শাসনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি সেই দেশপ্রেমিকদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, যাঁরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বৈরাচারী মানসিকতাকে পরাস্ত করতে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরার জয়কে অবৈধ ঘোষণার পরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় দেশ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ ছাড়াও বহু মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা জারির এই সিদ্ধান্তকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অন্ধকারময় সময় বলে বিবেচনা করা হয়। ১৮ মাস পরে প্রত্যাহার করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে হেরে যায় কংগ্রেস।

    দিনটিকে অন্ধকারময় চ্যাপ্টার বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ৪৭ বছর আগে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত একটি অন্ধকারময় অধ্যায়। এটা কখনওই ভোলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, বিজেপি সেই সব বীরদের স্মরণ করে, যাঁরা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ২৫ জুন দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে একটি কালো দিন। ক্ষমতার জন্য শাসক নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছিলেন।গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন। দুর্বল করেছিলেন বিচার বিভাগকেও।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের ভয়াবহ অন্ধকার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়।

     

     

LinkedIn
Share