Tag: India

India

  • G20: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    G20: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র সভাপতিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে ভারত (India)। এটা একটা বিরাট সুযোগ। বুধবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ (বুধবার) সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন। এই অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এর আগে মিট করেছিলাম ১৫ অগাস্টের আগে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হয়েছে ১৫ অগাস্ট। আমরা আজাদি কী অমৃতকাল পালন করতে যাচ্ছি। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময় মিট করতে চলেছি যখন ভারত সুযোগ পেয়েছে জি ২০-র সভাপতিত্ব করার।  

    প্রধানমন্ত্রী উবাচ…

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সময় ভারত বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে পা রেখেছে, যে সময় ভারতের প্রতি বিশ্বের আশা-আকাঙ্খা বেড়ে চলেছে এবং যে সময় বিশ্বের নানা প্লাটফর্মে ভারতের অংশ গ্রহণ বাড়ছে, এমন একটা সময়ে জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব পাওয়া ভারতের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। মোদি বলেন, জি ২০ সম্মেলন কেবল একটি কূটনৈতিক ইভেন্ট নয়। কিন্তু বিশ্বের কাছে ভারতের ক্ষমতা তুলে ধরার একটা বড় সুযোগও। তিনি বলেন, এত বড় একটা দেশ, গণতন্ত্রের (Democracy) মাতৃস্বরূপ, এত বৈচিত্র্য, এত ক্ষমতা, এটা বিশ্বের কাছেও ভারতকে জানার একটা সুযোগ। আবার ভারতের কাছেও এটা নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

    আরও পড়ুন: পুতিনকে দেওয়া মোদির বার্তাই হয়ে উঠল জি ২০-র মূল সুর!

    আরও পড়ুন: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Income Tax Slab: নয়া বাজেটে পরিবর্তন হতে পারে আয়কর স্ল্যাবের!

    Income Tax Slab: নয়া বাজেটে পরিবর্তন হতে পারে আয়কর স্ল্যাবের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে দেশ। অতিমারির এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়েছিল গোটা বিশ্বেই। তার পর থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে তামাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতও (India) ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এহেন আবহে নতুন বছরের গোড়ার দিকে পেশ হবে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বাজেটে আয়করের স্ল্যাবের (Income Tax Slab) পরিবর্তন হতে পারে। ট্যাক্স এক্সপার্টদের মতে, এটা হতে পারে বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ হারে কর প্রদান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে।

    বাজেট…

    যাঁরা বাজেট নিয়ে চর্চা করেন, তাঁদেরই একজন জানান, বর্তমানে কর দেওয়ার যে স্ল্যাব রয়েছে, সেই স্ল্যাব মেনেই কর দেন আয়কর দাতারা। বর্তমানে আয়করের যে স্ল্যাব রয়েছে, তার উচ্চতম স্ল্যাব হল ভারতীয় মুদ্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সারচার্জ এবং সেসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শতাংশের হিসেবে এটি দাঁড়ায় ৪২.৭৪৪। এই যে স্ল্যাবটি রয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে এটি পরিবর্তিত হয়নি। তাই যাঁরা উচ্চতম হারে কর প্রদান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে ছাড় দিয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতেই বাজেটে এটা করা হতে পারে। কারণ আমরা জানি, ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে বাজার চাঙা হয়। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ ট্যাক্স রেট (Income Tax Slab) বাড়িয়ে ভারতীয় মুদ্রায় করা হতে পারে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ স্ল্যাব রেট (সারচার্জ ও সেস ধরে) হ্রাস পেতে পারে ৩৫.৬২ শতাংশ।

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বছর বাজেট হতে পারে নিম্নরূপ।

    বার্ষিক ২০ লাখের বেশি আয়ের কর ছাড়ের পরিমাণ কমানো উচিত ৩০ থেকে ২৫ শতাংশ। যাঁদের আয় ১০ থেকে ২০ থেকে লাখের মধ্যে তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড় হওয়া উচিত ৩০ থেকে ২০ শতাংশ। নয়া কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা, তাঁদের স্ল্যাব কমানো উচিত ৩০ থেকে ২০ শতাংশ। নয়া কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় ২০ লক্ষ টাকার ওপরে, তাঁদের স্ল্যাব (Income Tax Slab) কমানো উচিত ৩০ থেকে ২৫ শতাংশ।

     

     

  • Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম নৌ দিবসের (Navy Day) অনুষ্ঠান হবে দিল্লির বাইরে, বিশাখাপত্তনমে। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রতি বছরই দিনটি পালিত হয় মর্যাদার সঙ্গে। এবারও হবে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pak War) অপারেশন ট্রাইডেন্টের সাফল্য স্মরণ করে ফি বছর দিনটি পালিত হয়।

    নৌ দিবস…

    নৌ দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নৌ দিবস উপলক্ষে নৌ ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সমৃদ্ধ নৌবাহিনীর ইতিহাসের কারণে আমরা, ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত। তিনি আরও লিখেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রাণপণে আমাদের দেশকে রক্ষা করছে। চ্যালেঞ্জের সময় একে আলাদা করে চেনা যায়। ট্যুইটারে যে মেসেজ শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তার অডিও মেসেজও দিয়েছেন তিনি।

    নৌ দিবস (Navy Day) উপলক্ষে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেছেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় রাজনাথ লেখেন, সব নৌ ব্যক্তিত্বকে নৌ দিবসের শুভেচ্ছা। দেশ রক্ষার ব্যাপারে ভারতীয় নৌবাহিনী সর্বদা সামনের সারিতে। নৌবাহিনীর সাহস, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বে দেশ গর্বিত।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    বিশাখাপত্তনমে সম্মানীয় অতিথি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও অন্যান্য অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবেন নৌবাহিনীর প্রধান। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিনস, এয়ারক্রাফ্ট এবং পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের নৌ প্রধানরা ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এই ইভেন্ট প্রদর্শিত হবে সানসেট সেরিমনি হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে নৌবাহিনী সম্পর্কে আরও বেশি করে আগ্রহী হন, তাঁরা যাতে নৌবাহিনীর ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হন, তাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। দেশ রক্ষায় নৌবাহিনীর অবদান স্মরণ করিয়ে দেওয়াও এই অনুষ্ঠানের আরও একটি উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সামরিক ঘাঁটি, সেতু! চিনের নির্মাণ নিয়ে সতর্ক দিল্লি

    India China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সামরিক ঘাঁটি, সেতু! চিনের নির্মাণ নিয়ে সতর্ক দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চিন। উপগ্রহ চিত্রে এই ছবি ধরা পড়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে এই সেনা ঘাঁটি রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে রয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক যান রাখার জায়গা, বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র। 

    নয়া সেতু

    প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশকে জুড়ে চিনা ফৌজের নির্মীয়মাণ সেতুর ছবি আগেই সামনে এসেছিল। এর পাশ দিয়েই তৈরি হয়েছে আরও একটি সেতু। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লাদাখে জবরদখল করা জমিতে ওই সেতু বানাতে পারলে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণপ্রাপ্তে কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে চিনা সেনা। লাদাখের দুর্গম এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভারী ক্রেন-সহ নানা সরঞ্জাম মজুত করেছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। প্যাংগং হ্রদের উত্তরপ্রান্তে চিনা সেনার একটি হাসপাতালের অদূরে তৈরি সেতুটি জুড়েছে দক্ষিণ তীরের একটি অংশকে। দক্ষিণ তীরের ওই অংশেই ২০২০-২১ সালে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় এবং চিনা সেনা। ভবিষ্যতে ফের এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লাগোয়া বিস্তীর্ণ অংশে ওই সেতুর মাধ্যমে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পাঠাতে পারবে পিএলএ। কারণ, সেতু তৈরি হয়ে গেলে প্যাংগংয়ের ওই দুই প্রান্তে চিনা সেনাশিবিরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে ৫০ কিলোমিটার।

    সামরিক চুক্তি

    গালওয়ান সংঘর্ষের পরে বারবার সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার দাবি করেছে চিন। কিন্তু সেই কথা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি মার্কিন সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিবাদ কমাতে উদ্যোগ দেখাত চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছিল। সেই বিষয়টি পছন্দ হয়নি জিনপিংয়ের। সেই জন্য বারবার মার্কিন আধিকারিকদের বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তাঁরা যেন হস্তক্ষেপ না করেন। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে খুবই আগ্রহী বেজিং।” আদতে বেজিং সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কতটা আগ্রহী তা নিয়ে সন্দিহান দিল্লিও। সেই জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে দিল্লি।

  • China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    China: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) মহাসাগরে ফের চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজ (Spy Ship)! এর আগে একবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ভারত। সেই সময়ও ভারত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫-কে। দিন কয়েকের মধ্যেই ভারত ফের অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে। সেই কারণে বঙ্গোপসাগরকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। তার আগেই ভারত মহাসাগরে ফের হাজির চিনা গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫। বারবার একই গুপ্তচর জাহাজ পাঠানোয় চিন্তা বাড়চ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করার কথা অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    নৌবাহিনীর দাবি…

    ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি, চিনা (China) গুপ্তচর জাহাজটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুন্দ প্রণালীতে রয়েছে সেটি। চলতি বছরের অগাস্টে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে যে চিনা গুপ্তচর জাহাজটি নোঙর করেছিল, এটা সেটাই। জানা গিয়েছে, এই জাহাজটির ওজন ২০ হাজার টন। এতে রয়েছে একটি বড় অ্যান্টেনা, অত্যাধুনিক সেন্সর এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। জাহাজটিতে ৪০০রও বেশি নাবিক রয়েছেন। চিনের এই জাহাজটি ইউয়ান ওয়াং শ্রেণির চারটি জাহাজের মধ্যে একটি। এই জাহাজ উপগ্রহ এবং আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারদর্শী।

    ভারত সরকারের দাবি, অত্যাধুনিক অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। এই পাল্লার মধ্যে চলে আসবে পাকিস্তান এবং চিন (China)। অনুমান, অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চিনে। তাই কাছ থেকে অগ্নি ৫ এর ক্ষমতা ‘চাক্ষুষ’ করতে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে জাহাজটি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    যদিও গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ। তাদের দাবি, জাহাজটি গবেষণামূলক কাজের জন্য রাখা হয়েছে। তবে তাতে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ভারত। তাই অগ্নি ৫ পরীক্ষার নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়েও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, চিনের (China) পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌশক্তি গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্ব বৃহৎ। এই নৌ-বাহিনীর অধীনে রয়েছে ৩৫৫টি যুদ্ধ জাহাজ।

     

        দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর ভারতে (India) হবে জি-২০ সম্মেলন (G 20 Summit)। এবার আয়োজক দেশ ভারত। এই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার যে সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meet) হচ্ছে, তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ দেশের প্রায় চল্লিশটি রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের। সর্ব দলীয় এই বৈঠক ডেকেছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বৈঠক হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও।

    জি ২০…

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। গোটা দেশে বছরভর দুশোরও বেশি বৈঠক করবে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদও। চলতি বছর ডিসেম্বরেই শুরু হবে বৈঠক। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে। দেশের বিভিন্ন অংশেই বৈঠক হবে জি ২০-র।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    সোমবার দিল্লিতে যে সর্বদলীয় বৈঠক হতে চলেছে, তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দিল্লির ওই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আয়োজক দেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়, তখন একে প্রতিটি ভারতীয়ের গর্বের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর ধরে জি ২০র (G20) সভাপতিত্ব করবে ভারত। এটা যে ভারতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ, তা আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ – জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। এদের মোকাবিলা করতে বিশ্বকে সহযোগিতা করতে হবে।

    জি ২০…

    গত মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনেই আগামী জি ২০ সম্মেলনের দায়িত্ব পায় ভারত (India)। আগামী বছর হবে ওই সম্মেলন। বালির ওই সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওই যুদ্ধ শুরু হয়। এখনও থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বালির জি ২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সদস্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জি ২০ (G20) প্রেসিডেন্সি। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের এই যুগ, যুদ্ধের নয়।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা অনেক বড় বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এগুলি হল, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে এগুলির মোকাবিলা করা যাবে না। এর সমাধান করতে হবে একযোগে কাজ করে। তাঁর এদিনের এই মন্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলা কথার প্রতিধ্বনি।  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সেপ্টেম্বরে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন খাদ্য, রাসায়নিক সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে অরাজনৈতিকরণের লক্ষ্যে এগোবে ভারত। ভারত এটা করবে কারণ তাতে বিশ্বে কমবে উত্তেজনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে হয়, যাঁদের প্রয়োজন সব চেয়ে বেশি, তাঁদের সমস্যার সমাধানই আগে করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়বস্তুগুলি নিয়ে কেবল জি ২০ (G20) সদস্য দেশগুলির সঙ্গেই আলোচনা করা হবে, তা নয়। যাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না, তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলব। গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা করব তাদের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতের (India) স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) দেখা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে। মঙ্গলবার রুচিরা দেখা করেন গুতেরাসের সঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি আলোচনা করেন কীভাবে সফল করা যাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ডিসেম্বরের সভা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবে ভারত। অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, আজ, রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি। তাঁর সঙ্গে প্রোগ্রাম এবং কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে হবে বৈঠক। তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।

    ভারতের অবস্থান…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেবার আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রসংঘে শান্তি রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা। গত বছর অগাস্টের পর এবার ডিসেম্বরে ফের সভাপতিত্ব করার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। যে পনেরটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তারা প্রত্যেকই সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ আসে অ্যালফাবেটিক্যালি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে রুচিরা কম্বোজের (Ruchira Kamboj) বৈঠকে জি-২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণে বৈশ্বিক নানা বিষয় তুলে ধরার একটা সুযোগ মিলবে এই জি-২০তে। প্রসঙ্গত, এই জি-২০ শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতবারই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে কিংবা মেয়ে। বিদেশে গিয়েছে চাকরি করতে। মাস গেলে রোজগার করছেন রাশি রাশি ডলার। তার একটা অংশ তাঁরা পাঠাচ্ছেন দেশে বাবা-মা কিংবা সংসারে। পৃথিবীর সব দেশেই এই চল রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে এই প্রবাসীরা (Indian Expats) ভারতে (India) যে টাকা পাঠাবেন, তার সম্মিলিত পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) তরফেই এ খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্ক…

    কারণ ভারতই সেই দেশ, যে দেশের প্রবাসীরা তাঁদের দেশে পাঠিয়েছেন সব চেয়ে বেশি ডলার। বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বেশি। যার জেরেই প্রবাসীদের মাধ্যমে চলতি বছরে দেশে ঢুকেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। কেবল ভারতে এত ডলার ঢুকলেও, তা অন্যান্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ঢের বেশি। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, চলতি বছর সাউথ এশিয়ান দেশগুলিতে পাঠানো মার্কিন ডলারের পরিমাণ ১৬৩ বিলিয়ন। বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য, এই প্রথম কোনও একটি দেশ এককভাবে প্রবাসীদের মাধ্যমে এক বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলবে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হলেও, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। প্রবাসীরা (Indian Expats) যে ডলার দেশে পাঠান, তা উন্নত করে ওই পরিবারের অর্থনীতিকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বস্তুত, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কাছে এই আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়ের ফলে তাঁদের সংসারে দূর হয় দারিদ্র, খাবারে বৃদ্ধি পায় পুষ্টির মান। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ফলে খাবারে পুষ্টির মান বাড়ায় জন্মের সময় শিশুর ওজনও বাড়ে। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ এ দেশে অর্থাভাবে স্কুলছুটের হার ক্রমবর্ধমান। আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একদিকে যেমন তাঁদের মজুরি বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে আমেরিকায় বেড়েছে লেবার মার্কেটও। কেবল আমেরিকা নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও বেড়েছে লেবার মার্কেট। গলফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়েই বেড়েছে দেশে ডলার পাঠানোর হার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপো রেট (Repo rate) বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার বাড়ানো হয়েছে এই রেট। রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার একথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানান, এর ফলে রেপো রেট বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশে।

    ইএমআই…

    রেপো রেট বাড়ায় গাড়ি বা গৃহঋণে ইএমআই আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও। শক্তিকান্ত দাস জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির বিষয়ে সায় দিয়েছেন মানিটারি পলিসি কমিটির ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছেন। এর পরেই বাড়ানো হয় রেপো রেট। এনিয়ে পঞ্চমবার সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    নানা কারণে সারা বিশ্বে বাড়ছে আর্থিক অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গিয়ে রেপো রেট বাড়াল ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (RBI)। আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার জেরে বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫.৯ শতাংশে। এবার ফের একপ্রস্ত বাড়ল রেপো রেট। এর আগে মে মাসে রিজার্ভ ব্যঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েছিল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। পরে জুনে ফের তা বাড়ে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও রেপো রেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে। এর ফলে বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি, যা আরবিআইয়ের (RBI) বেঞ্চমার্ক ঋণের হার নির্ধারণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়, গত অক্টোবর মাসে তা ৬.৭ শতাংশে পৌঁছায়। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরবিআইয়ের কমফর্ট লেভেল থেকে ৬ শতাংশের ওপর রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share