Tag: India

India

  • Arpita Mukherjee: মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

    Arpita Mukherjee: মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬০০ বর্গফুট জায়গা। সেখানেই মিলেমিশে রয়েছে ভিন্ন প্রজাতির ন’টি সারমেয় (Dogs)। এদের মালিক ও মালকিন এখন ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার। তাই প্রশিক্ষকরাও (Trainer) আসেন না। বাইরে বেরনো হয় না। কেবল একজন এসে নিয়মিত খাবার দিয়ে যান। অগত্যা চিলতে ঘরেই আপাতত দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সাধের কুকুরকুলের।

    টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ১৮ তলার একটি ঘরেই বাস অ-পার কুকুরগুলির। যে ন’টি কুকুর রয়েছে সেগুলির সবই উন্নত প্রজাতির। স্থানীয়দের বক্তব্য, কুকুরগুলির একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগল প্রজাতির কুকুর। দুটি করে ল্যাব্রাডর ও গোল্ডেন রিট্রিভারও রয়েছে।উন্নত প্রজাতির এই কুকুরগুলির মূল্য চার লক্ষ টাকারও বেশি।

    আরও পড়ুন : টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    স্থানীয়রাই জানাচ্ছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যখন ইডির হাতে গ্রেফতার হননি, যখন অর্পিতার ফ্ল্যাটে হদিশ মেলেনি সোনা-টাকার খনির, তখন সুদিন ছিল এই সারমেয়কুলের। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আসতেন প্রশিক্ষকরা। বিভিন্ন কুকুরের আলাদা আলাদা প্রশিক্ষক। রাস্তায় বের হলে হাঁ করে দেখতেন স্থানীয়রা। কুকুর প্রেমীরা এগিয়ে আসতেন দামী কুকুর একবার ছুঁয়ে দেখতে। নানা রঙের ও দামের এই কুকুরগুলি লিফ্টে করে নামত ফি বিকেলে। ট্রেনিং শেষে ফিরত এসি ফ্ল্যাটে। তার পরেই একপ্রস্ত ভূরিভোজ। লেজ নাড়িয়ে মালিক-মালকিনের আদর খাওয়া।

    মালিক-মালকিন গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেমালুম হাওয়া সেসব আদর যত্ন। বদলেছে সারমেয়কুলের দৈনন্দিন রুটিনও। এখন আর প্রশিক্ষকরা আসেন না। তবে খাবার আসে। কুকুরগুলি বর্জ্য কে পরিষ্কার করে, ফ্ল্যাটে এসি চলে কিনা, তা জানেন না স্থানীয়রাও। 

    পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পরেই একটি এনজিও সংস্থার তরফে ইডিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, আপাতত কুকুরগুলিকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হোক। এনজিওর এক কর্তা জানান, তারা আমাদের দেবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু এখনও কিছুই করা হয়নি।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    অতএব, ১৬০০ বর্গফুটের চিলতে ঘরেই মালিক-মালকিনের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে রয়েছে তাঁদের সাধের সারমেয়রা। মাঝে মধ্যে অবশ্য চিৎকার করে। হয়তো মালিক কিংবা মালকিনের খোঁজ করে। অবোলা পশুরা তো আর জানে না মালিক-মালকিন এখন ইডির জালে। যে জাল ছিঁড়ে বেরনো সহজ নয়, বাবা!

     

  • Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) এক ধাক্কায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বর্তমান প্রশাসককে একহাত নিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে শেহবাজ শরিফের সরকারের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে ফের একবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ‘কাপ্তান’। কেন্দ্রের পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর উদ্যোগের তারিফ করেন তিনি। 

    ইমরানের দাবি, আমেরিকার চাপের মুখে ভারত সরকার নতিস্বীকার না করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপ সে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয়। তাঁর কথায় কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে মাথা নোয়ানি তারা। এতে ভারতের সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, “আমার সরকারও একই ধরনের কাজ করছিল। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে এমন বিদেশ নীতি অত্যন্ত জরুরি।” 

    [tw]


    [/tw]

    বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সরকারকে কটাক্ষ করে ইমরানের সংযোজন, “আমার সরকার পাকিস্তানের জনসাধারণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিত। আর বর্তমান সরকার বিদেশি শক্তির সামনে মাথা নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    এই মুহূর্তে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১৭৯.৮৬ টাকায়। ওই দেশে কেরোসিনের দাম (প্রতি লিটারে) ১৫৫.৫৬ টাকা। লাইট স্পিড ডিজেলের দাম (প্রতি লিটারে) ১৪৮.৩১ টাকা।

    [tw]


    [/tw]

    পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে সেদেশের সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম প্রতি লিটার ৩০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)-এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। এর পরেই এই বিশাল মূল্যবৃদ্ধি ফের পাক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানীতে শুরু হওয়া পাকিস্তান ও আইএমএফ আলোচনার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ভর্তুকি। বর্তমান সরকার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্যাকেজের মধ্যে বাকি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেতে আগ্রহী বলে খবর। যদিও মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত না হওয়ায় চুক্তিতে এগোয়নি আইএমএফ।

    এমনকী আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের টাকার দাম বৃহস্পতিবার কমেছে অনেকটাই। প্রায় ঐতিহাসিক রেকর্ডও বলা চলে।  

  • Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভরতা’র (Atmanirbhar Bharat) ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।নেভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইনডিজেনাইজেশন অর্গানাইজেশন (NIIO) সেমিনার ‘স্বাবলম্বন’-এ আবার সেই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশীয় প্রযুক্তিকে সামনে রেখে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপনের জন্য, নৌবাহিনী আগামী বছরে অন্তত ৭৫টি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি এবং পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়ে নৌসেনার এক আধিকারিক জানান, এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হল দেশীয় শিল্পকে তরান্বিত করা। নৌবাহিনী আত্মনির্ভর ভারত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।  গত বছর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরনির্ভরশীল না থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশেই বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা আর তার মধ্যে দিয়ে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। চলতি বছরে ভারত প্রতিরক্ষা আমদানি ২১ শতাংশ কমিয়েছে। রেকর্ড ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার গত আট বছরে শুধু প্রতিরক্ষা বাজেটই বাড়ায়নি, বরং স্থানীয় স্তরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের উপরেও জোড় দিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশীয় প্রযুক্তির সংখ্যা বাড়াতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যে ভারত যখন তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের নৌবাহিনী একটি অভূতপূর্ব উচ্চতায় যাবে। দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারাই দেশের নিরাপত্তা মজবুত করা হবে।” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রচেষ্টা ভারতের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে বলে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

  • Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (President Elections) আগের দিন প্রতিবেশী দেশ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) পাশে থাকার আবেদন জানালেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premadasa)। মঙ্গলবার মোদিকে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পদে যেই জয়ী হোন না কেন, ভারত যেন তাঁর পাশে থাকে।

    চিনা ঋণের (Chinese Debt) ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি, খবরের কাগজ ছাপার নিউজপ্রিন্টও। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। বিক্ষোভ দমন করতে নেওয়া হয় নানা পন্থা। তার পরেও দমানো যায়নি উত্তেজিত জনতাকে।

    [tw]


    [/tw]

    জনগণ গিয়ে দখল নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। এমতাবস্থায় আজ, বুধবার সেদেশে অনুষ্ঠিত হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রনিল বিক্রমসিংহের (Ranil Wickremesinghe) মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন রয়েছে শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তবে শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা।

    আরও পড়ুন : আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে করা এক ট্যুইটবার্তায় এই প্রেমদাসা-ই লেখেন, প্রেসিডেন্ট পদে যিনিই জয়ী হোন না কেন আমার একান্ত অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং ভারতবাসীর কাছে, সেটা হল ভারত যেন শ্রীলঙ্কা মায়ের সঙ্গে থাকে। এই বিপর্যয় থেকে যেন আমার দেশকে তুলে আনে। এদিকে, সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কায় শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। ভোট দিয়েছেন ২২৩ জন সাংসদ। ভোট দেননি দুজন সাংসদ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

     

  • Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য দেশ নয় ভারত (India)। তবে ভারতের মতো একটি ‘মূল্যবান প্রার্থী’র (Worthy Candidate) জন্য  জোরালো সওয়াল করল রাশিয়া (Russia)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ভারত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। মূল্যবান প্রার্থী। তাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন তার।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন : ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এর আগে বক্তৃতা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে কীভাবে আরও বেশি করেন গণতান্ত্রিক করা যায়, মস্কো সে ব্যাপারে সচেষ্ট। তারা চাইছে, এর সদস্য হোক আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ থেকেও। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর শান্তির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন। কূটনৈতিক পথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে। এবং ভারতের অবস্থান তাই থাকবে। প্রসঙ্গত, চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না ভারত। যদিও পরিষদের বাকি চার দেশ চায় অস্থায়ী নয়, ভারত হোক স্থায়ী সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PM Modi: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি 

    PM Modi: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তি। এবার খুব শীঘ্রই আমেরিকা (America), ইউনাইটেড কিংডম (United Kingdom) এবং সিঙ্গাপুরের (Singapore) মতো বিশ্বের আর্থিক প্রাণকেন্দ্রগুলির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারতও (India)। শুক্রবার এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগের ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টারর্স অথরিটির (International Financial Service Centres Authority) প্রধান কার্যালয়ের শিলান্যাস করেন মোদি। সেখানেই ওই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, এটা একবিংশ শতাব্দী। এখন অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং সফট্ওয়্যার ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপক দক্ষতা অর্জন করেছে। তাঁর দাবি, গোটা বিশ্বের রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্টের ৪০ শতাংশই হয় ভারতে। এদিন তিনি ইন্টারন্যাশনাল বুলিয়ন এক্সচেঞ্জেরও উদ্বোধন করেন। এনএসই আইএফএসসি-এসডিএক্সের সংযুক্তিকরণও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ রেকর্ড করেছে।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    মোদির দাবি, গত আট বছরে ভারতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন গতি এসেছে। দেশের দরিদ্রতম ব্যক্তিও যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। আজ যখন দেশের একটা বিরাট অংশ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, তখন সময়ের দাবি হল সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর একযোগে পদক্ষেপ করা। ইদানিং কালে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এজন্য সরকার বিভিন্ন নীতির সংস্কার করেছে। তার জেরেই বেড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। প্রসঙ্গত, এদিনই সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি এই একই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের শেয়ারের মূল্য বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ৭৬-এ। এদিন জিআইএফটি সিটির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নয়া আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বৃদ্ধির সুযোগের ক্ষেত্রে কাজ করবে অনুঘটকের।    

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, জিআইএফটি সিটিতে উদ্বোধন হল ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস সেন্টারর্স অথরিটির। ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল অথরিটি অ্যাক্টের অধীনে তৈরি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

     

  • India-Israel Defence: ভবিষ্যৎ সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ গবেষণা, উৎপাদন করবে ভারত-ইজরায়েল?

    India-Israel Defence: ভবিষ্যৎ সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ গবেষণা, উৎপাদন করবে ভারত-ইজরায়েল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন চুক্তি করল ভারত ও ইজরায়েল। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের সামরিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ও সিস্টেমের সহ-উৎপাদনের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন করা এবং একইসঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার দিকে মনোনিবেশ করা।

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-ইজরায়েল সহযোগিতা (India Israel Defence cooperation) নিয়ে আলোচনা করলেন দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেঞ্জামিন গ্যান্টজ। নয়াদিল্লি সফরে এসে প্রথমদিনই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর বলে ট্যুইট করেন রাজনাথ। তিনি জানান, ‘India-Israel Vision on Defence Cooperation’ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় দুই দেশ।

    [tw]


    [/tw]

    বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক (Balakote Air Strike) থেকে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) চিনা বাহিনীর (PLA) উপর নজরদারি, শত্রুপক্ষকে ধরাশায়ী করার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিতে বরাবরই ইজরায়েলি নির্ভরতা নজরে এসেছে। হেরন টিপি ড্রোন (Heron TP Drone) থেকে শুরু করে ফ্যালকন (Falcon)— শত্রুসেনার ওপর আক্রমণ শানানোর মতো সামরাস্ত্র ইজরায়েলের (Israel) থেকেই কিনেছে ভারত (India)। প্রতিরক্ষার কৌশল (Defence strategy) হোক বা সামরাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির আদানপ্রদান (Defence technology), ইজরায়েলকে সবসময়েই পাশে পেয়েছে ভারত। এবার সামরিক ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সহযোগিতাকেই অন্য মাত্রা দিতে চলেছে দুই দেশ।

    চলতি বছর ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। এই তিন দশকে দুদেশের মধ্যে  দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আদানপ্রদান হয়েছে। ভারত ও ইজরায়েল যৌথভাবে মাঝারি-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার-মিসাইল (MRSAM) বারাক 8 (Barak 8) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করেছে। গত সেপ্টেম্বরে, ভারতীয় বায়ুসেনা এই সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যা ৭০ কিলোমিটার পাল্লা পর্যন্ত শত্রুর যে কোনও যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং আনম্যানড্ এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) যানের মতো বায়বীয় হুমকিকে ছিটকে দিতে সক্ষম।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই বিশেষ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের মন্ত্রী। ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে ৩০ বছরের নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দু’পক্ষ। ভারত ও ইজরায়েল উভয় দেশই সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারি।”

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েলের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রথম নয়। যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপও তৈরি করেছে ভারত-ইজরায়েল। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ও সমরাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা ওই গ্রুপে রয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অন্য দেশে বিক্রিও ওই গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী দিনেও যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি আদানপ্রদান করবে দুই দেশ।

    ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (DDR and D)-এর মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের আধুনিক প্রযুক্তির আদানপ্রদান করবে বলেও স্থির হয়েছে।

  • Wickremesinghe Thanks India: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    Wickremesinghe Thanks India: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কঠিন সময়ে’ দেশের পাশে থাকার জন্য ভারতের প্রশংসা করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। সঙ্কট-বিধ্বস্ত দ্বীপরাষ্ট্রকে সাহায্য করার জন্য কোয়াড (Quad) সদস্যদের একটি কনসর্টিয়াম গঠনের প্রস্তাব দেয় ভারত ও জাপান। তার জন্য দু’দেশকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) ঋণ হিসাবে ৩৫০ কোটি টাকা সাহায্য করে ভারত। এ ছাড়া জ্বালানি তেল কেনার জন্য ঋণ (Credit line) এবং ওষুধ দিয়ে ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় ভারত থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২৫ টন ওষুধ পাঠানো হয়েছে। ভারতের দ্বারা পাঠানো ওষুধের মূল্য প্রায় ২৬ কোটি শ্রীলঙ্কা রুপি। কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশন এক ট্যুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। আইএনএস ঘড়িয়ালে করে মানবিক সহায়তা হিসেবে শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের জন্য ভারত থেকে কেরোসিন পাঠানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে খাদ্যশস্যও সরবরাহ করেছে ভারত।

    [tw]


    [/tw]

    এক ট্যুইট বার্তায় শুক্রবার রনিল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ভারতের অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমণের (NIrmala Sitharaman) কথা হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘এই কঠিন সময়ে ভারত যে ভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার জন্য আমি দেশবাসীর তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। আমি সম্পর্ককে আরও জোরদার করার অপেক্ষায় আছি।’ অন্য একটি ট্যুইটে কোয়াডে বৈদেশিক সহযোগিতার জন্য যে কনসর্টিয়াম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত ও জাপান, তার জন্যও দু’দেশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিক্রমাসিংহে।

    প্রসঙ্গত, টোকিয়োতে কোয়াড সম্মেলনের (QUAD summit) ফাঁকে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেই বৈঠকে সঙ্কট-বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka economic crisis) পাশে থাকার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয় দু’দেশ। চলতি মাসের শুরুতেই ভারত (India), জাপান এবং আমেরিকা-সহ কোয়াড সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতিনিধিরা। তার পর এই সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোয়াড সদস্যরা। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, মূলত ভারতের হস্তক্ষেপেই শ্রীলঙ্কার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্য দেশগুলি।

  • CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কিনলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না ভারতকে ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) সংসদ। এর জন্য নিজেদের আইনে বিশেষ সংশোধনী আনল হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ (India and US strategic relationship)। মার্কিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রো খান্না আইন সংশোধনের প্রস্তাব এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেই কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।”

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ভারত। কিন্তু আমেরিকার ক্যাটসা (CAATSA)আইন অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হল। এদিন ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে আইন সংশোধনের বিল। সায় দিয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরাও। খান্না জানিয়েছেন, “এই বিল পাশ করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলমত নির্বিশেষে সকলে এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন দেখে আমি গর্বিত।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ককাসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন খান্না। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ককাস। সন্ত্রাসদমন, গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা-সহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই তৈরি হয়েছিল এই জোট।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি

    ২০১৮ সালে রাশিয়ার থেকে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত৷ সে সময়, শুধু আপত্তি নয় নিষেধাজ্ঞা জারির ভয়ও দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন ৷ কিন্তু চুক্তি থেকে পিছিয়ে আসেনি ভারত ৷ এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমটি যে কোনও দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে ৷ এর থেকে বেশি দূরে আঘাত হানার ক্ষমতা অন্য কোনও মিসাইলের নেই ৷ এই মিসাইল ভারতের কাছে থাকলে সহজেই চিনকে রোখা যাবে। তাই চিনকে আটকাতে আর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন সংসদ এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

  • Modi PM-CARES: কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদির! বললেন, “২০১৪ সালের আগে দেশ…”

    Modi PM-CARES: কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদির! বললেন, “২০১৪ সালের আগে দেশ…”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আট বছরে ভারত (India) যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আজ বিশ্বে ভারতের গর্ব বেড়েছে। বিশ্ব-ফোরামে ভারতের শক্তি বেড়েছে। পিএম কেয়ার্সের (PM-CARES) সুবিধাপ্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    এদিন তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধী দল কংগ্রেসকেও (congress) নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশটি কেলেঙ্কারি (scam) ও স্বজনপ্রীতির (nepotism) মধ্যে আটকে থাকলেও, এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। মোদি বলেন, আজ যখন আমাদের সরকারের আট বছর পূর্ণ হচ্ছে, দেশের আস্থা, নিজের প্রতি দেশবাসীর আস্থা নজিরবিহীন। দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ছড়াছড়ি এসব যেসব দুষ্টচক্রে দেশ এতদিন আটকে পড়েছিল, এখন তা থেকে বেরিয়ে আসছে। এরপরই তিনি বলেন, গত আট বছরে ভারত যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের অবদানের কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মোদি। বলেন, নেতিবাচকতার সেই পরিবেশেও ভারত তার শক্তির ওপর নির্ভর করেছিল। আমরা আমাদের বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং আমাদের নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ ও ভ্যাকসিন পাঠিয়েছি। এত বড় দেশের সবাইকেও দিয়েছি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    অতিমারী পরিস্থিতিতে যেসব শিশু মা-বাবাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে পড়েছে, সেই শিশুদের আর্থিক সাহায্যের জন্য বিশেষ প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেন, পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন (PM-CARES for Children) প্রকল্পের অধীনে বিশেষ সুবিধা পাবে শিশুরা। এটা তাদের সাহায্য করবে, যারা অতিমারীতে মা-বাবাকে হারিয়েছে। তিনি বলেন, আমি জানি যে করোনা অতিমারী চলাকালীন যাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য পরিস্থিতি কতটা কঠিন। তবে পিএম কেয়ার ফর চিলড্রেন স্কিম এই ধরনের পরিবারের শিশুদের সাহায্য করার একটি প্রচেষ্টা। এর আগে এদিন প্রধানমন্ত্রী স্কুল পড়ুয়া শিশুদের হাতে স্কলারশিপ তুলে দেন।

    প্রসঙ্গত, পিএম কেয়ার্সকে এমন শিশুদের সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যারা কিছু পেশাগত কোর্স বা উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণ খুঁজছেন। সরকার শিশুর দৈনন্দিন প্রয়োজন ও অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক চার হাজার টাকার ব্যবস্থাও করেছে। ২৩ বছরে পৌঁছলে এই শিশুরাই প্রত্যেকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করেও পাবেন। সুস্বাস্থ্যের জন্য তাঁরা পাবেন স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ সুবিধাও।  

     

LinkedIn
Share