Tag: India

India

  • India: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত, স্মার্টফোন রফতানিতে ‘ড্রাগন’কে টপকাল ‘হাতি’

    India: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত, স্মার্টফোন রফতানিতে ‘ড্রাগন’কে টপকাল ‘হাতি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত (India)! ভারত প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির (Smartphone Supplier) দিক থেকে চিনকে টপকে এক নম্বরে উঠে এল। অ্যাপলের শুল্ক সংক্রান্ত কারণে উৎপাদন কেন্দ্র নয়াদিল্লিতে সরিয়ে আনার পরেই এটা ঘটেছে।

    ‘ক্যানালিসে’র রিপোর্টে ভারত প্রথম (India)

    গবেষণা সংস্থা ‘ক্যানালিস’ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া স্মার্টফোনের মধ্যে ভারতে নির্মিত ডিভাইসের অংশ ছিল ৪৪ শতাংশ। গত বছর এই একই সময়ে এই হার ছিল ১৩ শতাংশ। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বছরওয়াড়ির ভিত্তিতে ভারতে তৈরি স্মার্টফোনের মোট পরিমাণ ২৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের লেখচিত্র যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন চিনের ছবিটা করুণ। কারণ চিনে তৈরি স্মার্টফোনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির অংশ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্রই ২৫ শতাংশে। অথচ গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। এর ফলে চিন এখন আমেরিকায় স্মার্টফোন রফতানিতে ভিয়েতনামেরও পিছনে পড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় থার্ড হয়েছে চিন।

    চিনের চিৎপটাং হওয়ার কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের এই চিৎপটাং হওয়া এবং ভারতের এই উল্লেখযোগ্য উত্থানের তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। একটি হল আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে চলা শুল্ক-যুদ্ধ। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কের প্রতিশোধ নিয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই এই যুদ্ধে রফতানি কমে গিয়েছিল চিনের। আর একটি কারণ হল ভারতে অ্যাপল আইফোনের উৎপাদন কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এখন অ্যাপল চিনের চেয়ে ভারতে আইফোন উৎপাদনে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। সেটি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রজেক্ট (India)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদেশে রফতানির এক বিশাল পরিকল্পনা চলছে। এই প্রকল্পের ফলে ভারত বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রফতানি করছে। এর মধ্যে নয়া ইতিহাস গড়ে দিল স্মার্টফোন।

    জানা গিয়েছে, স্যামসাং, মোটোরোলাও আমেরিকায় বেশি করে রফতানি করছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টফোন। এতদিন মোটোরোলা চিনা কারখানা থেকে সব চেয়ে বেশি স্মার্টফোন উৎপাদন করে রফতানি করত (Smartphone Supplier) মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি সেই মোটোরোলাও ভারতে বাড়িয়েছে স্মার্টফোনের উৎপাদন (India)।

  • Higher Education Commission: আলাদা ইউজিসি, এআইসিটিই থাকবে না, আসছে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন, জানালেন সুকান্ত

    Higher Education Commission: আলাদা ইউজিসি, এআইসিটিই থাকবে না, আসছে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক একটি উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন (Higher Education Commission) গঠনের লক্ষ্যে বিল খসড়া করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সোমবার লোকসভায় এই তথ্য জানাল (New Bill) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। এদিন শিক্ষা বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানান। তিনি বলেন, “জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০ একটি ‘হালকা কিন্তু কঠোর’ নিয়ন্ত্রক কাঠামোর কথা বলে যার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সততা, স্বচ্ছতা এবং সম্পদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে নিরীক্ষা ও সর্বজনীন প্রকাশনার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসন, সুশাসন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এটি উদ্ভাবন এবং প্রচলিত ধারা ভেঙে নতুন চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করবে।”

    কী বললেন সুকান্ত

    তিনি বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি আরও একটি উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া গঠনের পরিকল্পনা করেছে, যা একটি ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান হবে। এই কমিশনের অধীনে বিভিন্ন স্বাধীন শাখা থাকবে, যেগুলি আলাদা আলাদা কাজ করবে যেমন নিয়ন্ত্রণ, স্বীকৃতি প্রদান, অর্থায়ন এবং অ্যাকাডেমিক মান নির্ধারণ।” সুকান্ত বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মন্ত্রক বর্তমানে একটি উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিলের খসড়া করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”

    প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া

    প্রসঙ্গত, নয়া এই শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া বর্তমানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ এবং জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদের জায়গা নিতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউজিসি নন-টেকনিক্যাল উচ্চশিক্ষার তদারকি করে, এআইসিটিই করে (New Bill) প্রযুক্তিগত শিক্ষার তদারকি এবং এনসিটিই শিক্ষক প্রশিক্ষণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে (Higher Education Commission)।

    উচ্চশিক্ষা কমিশন অব ইন্ডিয়ার ধারণা আগেও একটি খসড়া বিলের মাধ্যমে আলোচিত হয়েছিল।
    ২০১৮ সালে ভারত সরকার একটি খসড়া বিলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিলুপ্ত করে নয়া “হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া” গঠনের প্রস্তাব দেয়। এই বড় ধরনের নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন নিয়ে সরকার অংশীদারদের মতামতও চেয়েছিল। ওই খসড়া আইনটি স্পষ্টভাবে বর্তমানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন বাতিল করার পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল, যাতে ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা যায়। এই খসড়া বিলের মাধ্যমে ভারতের উচ্চশিক্ষাকে পরিচালনার জন্য একটি সম্পূর্ণ নয়া ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল (New Bill)। এই ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে নতুন করে ত্বরান্বিত করা হয় জুলাই ২০২১-এ ধর্মেন্দ্র প্রধান শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর (Higher Education Commission)।

  • Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের (Agra Conversion Gang) সঙ্গে এবার উঠে এল পাক যোগের প্রমাণ। আগ্রার পুলিশ কমিশনার জানান, এই চক্রটির সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) কয়েকজনের যোগাযোগ ছিল। এরাই তরুণ-তরুণীদের প্রভাবিত করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উৎসাহিত করত। গত সপ্তাহেই এই চক্র ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সপ্তাহে ছ’টি রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১০জনকে। তদন্ত শুরু হয়েছিল আগ্রা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই বোনের সন্ধান করতে গিয়ে। এদেরই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করে।

    পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য (Agra Conversion Gang)

    শনিবার আগ্রা পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানান, কখনও কখনও অনলাইন গেমের মাধ্যমে ধর্মান্তরনের উদ্দেশ্যে নিশানা করা হত তরুণদের। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হ্যান্ডলাররা এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করত। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি পরিচালনা করছিল দিল্লির বাসিন্দা আবদুল রহমান। তার আদত নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। তারও পরে দীক্ষিত হয় ইসলাম ধর্মে। এর পরেই সে কাজে লেগে যায় ধর্মান্তকরণ চক্রে। এই চক্রের টার্গেটে পড়া মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি, আলিগড় ও রায়বেরেলি এবং হরিয়ানার ঝাঝ্জর ও রোহতক-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে (Agra Conversion Gang)।

    হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কানে ঢালা হত বিষ

    কমিশনার কুমার বলেন, “মেয়েদের ইসলামি বিশ্বাসসম্পন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো হত। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাদের কানে ঢালা হত বিষ। পাকিস্তানে থাকা তানভির আহমেদ ও সাহিল আদিম নামের দুই হ্যান্ডলার এই কাজে তাদের সাহায্য করত। এরপর ওই মেয়েদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হত। সেখানেও তাদের নিয়মিত মগজধোলাই করা হত। যদি মেয়েদের পরিবার এর প্রতিবাদ করত, তাহলে তাদের মনও পরিবারের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হত।” তিনি বলেন, “এই চক্রের অন্তত তিনজন সদস্য ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানে এবং তারা সেখান থেকে যোগাযোগ করত। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজর এড়াতে সিগন্যাল অ্যাপও ব্যবহার করা হত।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ধর্মান্তরণকারীরা আরও একটি কৌশল ব্যবহার করত। অনলাইন গেম খেলার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলত। কথোপকথন শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলে তাদের প্রভাবিত করা হত। পরে করা হত ধর্মান্তরিত (Agra Conversion Gang)।

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Conflict) নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের তরফে এই প্রথমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

    কীর্তি বর্ধন সিংয়ের বক্তব্য (Operation Sindoor)

    বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চালু করা হয়েছিল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে।” তিনি জানান, ৭ মে চালু হওয়া এই অভিযানের অধীনে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে থাকা ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এর পর পাকিস্তান ভারতীয় সেনা চৌকি ও অসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। যদিও ভারতীয় বাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চরম ক্ষতি করে।” মন্ত্রী জানান, ১০ মে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) ভারতের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। ওই দিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমনের প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি। ভারত কি পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভারত নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে চলেছে। ভারতের এই চেষ্টার ফলে পাকিস্তান-ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দে

    তিনি জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই ঘটনাটিকে কঠোর (Operation Sindoor) ভাষায় নিন্দা করে। তারা দোষীদের জবাবদিহিও চায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) (লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত (India Pakistan Conflict) করেছে।পাকিস্তানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সমস্ত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই বিষয়ে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বৈশ্বিক পার্টনারদের সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” এদিন সরকারের তরফে তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ভারতের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

    বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর

    কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “পাকিস্তান-স্পনসরর্ড সন্ত্রাসবাদীদের একটি বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট (Operation Sindoor) করার চেষ্টা করেছিল।” এদিকে, সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই এই আলোচনা হওয়ার কথা। সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে (India Pakistan Conflict)।

    বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং নিশিকান্ত দুবেও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন (Operation Sindoor)। রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা হবে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার। এতে অংশ নেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য মন্ত্রীরা। রাজ্যসভায়ও এই বিষয়ে আলোচনা হবে ১৬ ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে বিশ্ব

    বিরোধীদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু আদৌ প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকারই কথা। বুধবার চার দিনের ব্রিটেন ও মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফর সেরে তিনি যাতে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, তা মাথায় রেখেই (India Pakistan Conflict) তৈরি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সূচি (Operation Sindoor)। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, ভাষণ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “সংসদে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হলে গোটা দেশের নজর থাকবে তার ওপর। আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মহলও সেই আলোচনার (India Pakistan Conflict) ওপর নজর রাখবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন (Operation Sindoor) প্রধানমন্ত্রী।”

  • Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) এক ভারতীয় ছাত্রের উপর নৃশংস হামলার ঠিক একদিন পরেই মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় রাতে ঘৃণামূলক ও বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি মকরন্দ ভগবত বলেন, “আমাদের এই মন্দির শান্তি, ভক্তি এবং ঐক্যের প্রতীক। সেখানে এ ধরনের চিত্র দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ নয়, আমাদের অস্তিত্ব ও বিশ্বাসের উপর আঘাত (Indians)।”

    পার্কিং-এ বচসা থেকে ভারতীয়কে মারধর (Australia)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) অ্যাডিলেডে পার্কিংকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় এবং সেখানেই ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবক চরমপ্রীত সিং-এর উপর হামলা হয়। চরমপ্রীত নিজেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিলেন, সেই সময় একদল ব্যক্তি এসে বর্ণবিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাঁর মুখে ঘুষি মারে। এই আঘাতে তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। ঘটনার পর পুলিশ ২০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে—সেখানে দেখা যাচ্ছে আক্রমণকারীরা ধাতব বক্সার দিয়ে মারছে এবং ভারতীয়দের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে।

    বর্ণবিদ্বেষী হামলা ২০০৯-১০ থেকেই চলছে

    এ নিয়ে চরমপ্রীত সিং বলেছেন, “সবকিছু বদলানো যায়, কিন্তু গায়ের রং তো পাল্টানো যায় না।” প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর এ ধরনের হামলা নতুন নয়। ২০০৯-১০ সালেও একাধিক ভারতীয় ছাত্রের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা (Indians) হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মেলবোর্ন, সিডনি সহ একাধিক জায়গায় ভারতীয় যুবকদের ট্রেনে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর হামলা যে আজও বন্ধ হয়নি, তা ফের একবার প্রমাণিত হল।

  • Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো উত্থান ভারতীয় পাসপোর্টের (Indian Passport)! গত বছর যেখানে ভারতীয় পাসপোর্টের ক্ষমতা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ধাপ, সেটাই এবার এক লাফে আট ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। ২২ জুলাই প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে (Visa)। গত বছর এটাই ছিল ৮৫তম ধাপে। জানা গিয়েছে, এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় প্রতিটি দেশের পাসপোর্টধারীরা পূর্ববর্তী ভিসা ছাড়াই কতগুলি দেশে যেতে পারেন, তার ভিত্তিতে।

    শুধু পাসপোর্টেই যাওয়া যাবে এই দেশগুলিতে (Indian Passport)

    বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বা ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা পাচ্ছেন ৫৯টি দেশে। ভিসা ছাড়াই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে যেসব দেশে যাওয়া যাবে সেগুলি হল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড। ভিসামুক্ত আরও কয়েকটি দেশ হল ভুটান, ইরান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, কিরিবাস, ম্যাকাও, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউই, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভানুয়াত, অ্যাঙ্গোলা এবং বারবাডোস।

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, মলদ্বীপ, বলিভিয়া, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ, কাতার, সামোয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সেন্ট লুসিয়া, তাঞ্জানিয়া, তিমোর-লেস্তে এবং তুভালু (Indian Passport)। এবার আসা যাক ইটিএ প্রসঙ্গে। ইটিএ হল একটি ডিজিটাল ভ্রমণ পারমিট যা ভারতীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ বা ট্রানজিটের জন্য একটি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই তালিকায় ৫৯তম দেশ হিসেবে রয়েছে সেশেলসের নাম।

    এই র‍্যাঙ্কিং উন্নতি ভারতের বিশ্বমঞ্চে ক্রমবর্ধমান মর্যাদা ও উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে (Visa)। এটি ভারতীয় পর্যটকদের প্রতি বাড়তি আস্থা এবং দেশের স্থিতিশীলতারও ইঙ্গিত দেয়। ভারতের নাগরিকদের জন্য এটি বিশ্ব ঘোরার নতুন দোর খুলে দেয় (Indian Passport)।

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • India Slams Pakistan: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি

    India Slams Pakistan: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে আক্রমণ শানাল ভারত (India Slams Pakistan)। মঙ্গলবার ভারতের তরফে পাকিস্তানকে নিশানা করে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা, সামাজিক ও আর্থিক সূচকে যেখানে ভারত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, সেখানে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ, ধর্মান্ধতা ও ধারাবাহিক ঋণ নিতে নিতে দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছে।

    পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের (India Slams Pakistan)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations) ভারতের রাষ্ট্রদূত পর্বথনেনি হরিশ বলেন, “ভারত একটি মজবুত গণতান্ত্রিক দেশ, যা উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এক স্পষ্ট মডেল তৈরি করেছে। আর সেখানে আমাদের প্রতিবেশী দেশ একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।” তিনি বলেন, “ভারত যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ঋণ চেয়ে বেড়াচ্ছে। ভারত একটি পোক্ত গণতান্ত্রিক, উদীয়মান অর্থনীতি এবং বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ। উল্টোদিকে, পাকিস্তান ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাসবাদে নিমজ্জিত এবং আইএমএফের কাছে ধারাবাহিক ঋণগ্রহীতা একটি দেশ।”

    ভারত দায়িত্বশীল রাষ্ট্র

    হরিশ বলেন, “ভারত একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সব সময়ই অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থেকেছে, বিশেষ করে রাষ্ট্রসংঘে, যাতে বিশ্বে আরও শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন করা যায়।” প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের খোলা বিতর্কে অংশ নিয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। বিতর্কের বিষয় ছিল, বহুপাক্ষিকতা ও শান্তিপূর্ণ বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা (India Slams Pakistan)।

    জঙ্গিবাদের প্রতি ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির প্রসঙ্গও এদিন বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন হরিশ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স একটি মৌলিক নীতির মধ্যে পড়ে, যা স্বীকৃত ও সম্মানিত হওয়া উচিত।” হরিশের দাবি, উল্টোদিকে পাকিস্তান এমন কিছু কাজকর্মে লিপ্ত, যা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে যেসব আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়, সেই সব কাজকর্মে লিপ্ত থেকে কাউন্সিলের একজন সদস্যের জ্ঞান দেওয়া শোভনীয় নয়।”

    এদিনের মঞ্চে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথাও মনে করিয়ে দেন হরিশ। সেখানে (United Nations) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তিনি জানান, এই ঘটনার পর ভারত অপারেশন সিঁদুর চালু করে। এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গিঘাঁটিগুলির ওপর আঘাত হানে। হরিশ বলেন, “এই সামরিক অভিযান ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক এবং উত্তেজনাহীন (India Slams Pakistan)।”

  • India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: চিন সীমান্তের (China) গা ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ করছে ভারত (India)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি, যার নাম দৌলত বেগ ওল্ডি (সংক্ষেপে ডিবিও)। লাদাখে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অস্ত্র, বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। এই আবহে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর অদূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।

    লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এই রাস্তা

    এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের (India)। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখে অবস্থিত গাপসান ক্যাম্প থেকে এই রাস্তাটি সরাসরি ডিবিও পর্যন্ত যাবে। এই রাস্তাটি ১৩০ কিলোমিটার লম্বা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই রাস্তা তৈরি করছে এবং তারা জানিয়েছে, নতুন এই রাস্তাটি লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।

    সহজেই পৌঁছানো যাবে রসদ (China)

    এতদিন পর্যন্ত এই দুর্গম পথে যাতায়াত করতে সময় লাগত প্রায় দুই দিন। পাহাড়ি ভূখণ্ড, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)-তে পৌঁছানো ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। কিন্তু এই নতুন বিকল্প সড়ক তৈরির ফলে সেই দীর্ঘ যাত্রা অনেকটাই সহজ এবং দ্রুততর হয়ে উঠবে। এই পথ ব্যবহার করে এখন মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ডিবিও-তে পৌঁছানো যাবে। এই রাস্তা নির্মাণ শুধু সময় সাশ্রয়েই সাহায্য করবে না, ভারত যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর নজরদারির ক্ষমতা বাড়াতে পারবে—তাও নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। সীমান্তবর্তী এই স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে দ্রুত রসদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সেনা সহায়তা এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাবে। চিনের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, এই রাস্তা কেবল প্রতিরক্ষার দিক থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (India)।

    নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে, বহন করবে আরও বেশি ভার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী যানবাহন ও কামান চলাচলের সুবিধার্থে এই নয়া রাস্তায় নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে, এতদিন যা ৪০ টন ভার বহন করতে পারত, তা এখন ৭০ টন পর্যন্ত বহন করতে পারবে। সিয়াচেন সেনা ক্যাম্পের কাছে নুব্রা উপত্যকার শাসুমা থেকে এই রাস্তাটি শুরু হয়েছে এবং লেহকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম না করেই ডিবিও-র সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

    প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, চরম আবহাওয়াতেও এই রাস্তা কার্যকর থাকবে। জানা গিয়েছে, ১৭ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে বছরে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস কাজ চালানো সম্ভব হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে ‘অক্সিজেন ক্যাফে’।

    দেশের সীমান্তে রাস্তা তৈরি হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে

    এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, সারা দেশে (India) এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ কখনো একভাবে হয় না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, আর সেই কাজ তদারকি করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। লাদাখের এই নতুন সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও তাদের হাতেই।

    আগামী বছরেই তৈরি হয়ে যাবে এই রাস্তা

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে গালওয়ান সংঘর্ষ ঘটে। সেই আবহেই এই নির্মাণকাজ শুরু করে BRO। এই রাস্তা একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বহু সুবিধা মিলবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষত লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন, কবে সম্পূর্ণ হবে এই নতুন সড়ক? প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বিকল্প পথ তৈরির কাজ ধাপে ধাপে শুরু করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না, আর তার বড় কারণ আবহাওয়া। তবুও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এই রাস্তা এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরেই বিকল্প এই পথ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

LinkedIn
Share