Tag: India

India

  • India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি (India Pakistan Tension) উত্থাপন করে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শনিবার তার জবাব দিল ভারত (UN Meet)। রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, ইসলামাবাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। তারা অযথা ভারতের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা বন্ধ করুক। কারণ পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদই এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের হিমবাহ বিষয়ক এক সম্মেলনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান নিজেই। আমরা অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই চেষ্টায়, যেখানে তারা এই ফোরামকে অপব্যবহার করে এমন বিষয় উত্থাপন করেছে যেগুলি এই ফোরামের আওতার মধ্যে পড়ে না। আমরা এই ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করি।”

    ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত (India Pakistan Tension)

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদেকে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগ করে আসছে। হিমবাহ সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার এই সিদ্ধান্তকে জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং ইন্দাস নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিকে একতরফাভাবে ও অবৈধভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক (India Pakistan Tension)। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষের জীবনকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জল বন্ধ করে রাখা উচিত নয় এবং পাকিস্তান তা কখনওই তা হতে দেবে না।”

    কী বললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?

    এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “ইন্দাস জলচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পরিস্থিতির মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, যা এই চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলোর পুনর্মূল্যায়নকে জরুরি করে তোলে – এটি এমন একটি সত্য যা অস্বীকারযোগ্য নয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের হুমকি। তিনি বলেন, “তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবিরাম সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদ এই চুক্তির বিধান অনুযায়ী একে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করছে। পাকিস্তান নিজেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ভারতের ওপর এর দোষ চাপানো থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ফোরামকে অপব্যবহার করার এবং এমন বিষয় উত্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমরা স্তম্ভিত, যেগুলি এই ফোরামের আওতাভুক্ত (UN Meet) নয়। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই (India Pakistan Tension)।”

  • DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    DIGIPIN: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে আরও এক ধাপ, এবার চালু হচ্ছে ডিজিপিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ একের পর এক ধাপ এগিয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে (DIGIPIN)। এবার ভারতীয় ডাক বিভাগও চালু করে দিল দুটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। একটি হল ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ এবং অন্যটি হল ‘নো ইয়োর পিনকোড’ (Postal Department)। যোগাযোগ মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ দেশের ঠিকানা ব্যবস্থাপনা এবং ভূ-স্থানিক অবস্থান ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ২০২২ সালের জাতীয় ভূস্থানিক নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল ভারতকে ভূ-স্থানিক খাতে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

    ডিজিপিন কী? (DIGIPIN)

    প্রশ্ন হল ডিজিপিন কী? ডিজিপিন হল ডাক বিভাগের একটি প্রকল্প, যা তাদের ‘অ্যাড্রেস অ্যাজ এ সার্ভিস’ দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ। এই পরিষেবার লক্ষ্য হল ঠিকানা সংক্রান্ত ডেটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবহারকারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে। জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগ দেশের জন্য একটি উপযুক্ত এবং জিওকোডেড ঠিকানা কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, ঠিকানা শনাক্তকরণ সহজ করা এবং নগর-কেন্দ্রিক সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার কার্যকর ডেলিভারি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি ভারতীয় ডাক বিভাগ, আইআইটি হায়দরাবাদ, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন করা হয়েছে।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২ এর অধীনে ঠিকানা সংক্রান্ত থিম্যাটিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচিত ও গৃহীত ডিজিপিন এখন সমস্ত মন্ত্রক, রাজ্য সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের কাজকর্মে সংযুক্তির জন্য ও ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ। ডিজিপিন হল একটি ওপেন সোর্স, ইন্টার অপারেবল, জিও-কোডেড, গ্রিড-ভিত্তিক ডিজিটাল ঠিকানা ব্যবস্থা। এটি একটি জায়গার অবস্থান নির্ণয়কে অনায়াস করে তোলে (Postal Department)। কারণ এটি ভারত-ভূখণ্ডকে ৪×৪ মিটার আকারের নির্দিষ্ট ইউনিটে ভাগ করে এবং প্রতিটি গ্রিডের জন্য একটি অনন্য ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড নির্ধারণ করে, যা দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি স্থায়ী ডিজিটাল ঠিকানা, যা রাস্তাঘাট, পাড়া বা স্থানের নাম পরিবর্তিত হলেও পরিবর্তন হবে না (DIGIPIN)। এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে উপকারী হবে এমন জায়গাগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ধারণে, যেগুলো অগঠিত, বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে বা যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক ঠিকানা নেই—যেমন গ্রামীণ এলাকা, বনাঞ্চল ও মহাসাগর।

    লাস্ট-মাইল ডেলিভারি

    এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সঠিকভাবে লাস্ট-মাইল ডেলিভারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যেসব এলাকা সাধারণভাবে ঠিকানা ছাড়াই থাকে এবং খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডিজিপিন একটি ফিজিক্যাল লোকেশনের জন্য একটি ডিজিটাল উপস্থাপন দেয় এবং সেই সঙ্গে একটি স্থিতিশীল অবস্থান শনাক্তকরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এটি বর্তমান ব্যবস্থাকে আরও নির্ভুল এবং স্থায়িত্ব দেয়। কোনও জায়গার জন্য ডিজিপিন জানতে হলে ‘নো ইয়োর ডিজিপিন’ পোর্টালে যেতে হয়, যা একটি নির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক ব্যবহার করে একটি ১০-অক্ষরের পিন তৈরি করে। এই পোর্টালটি কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে না (Postal Department)। ফলে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। ডিজিপিন বিভিন্ন খাতে সঠিক পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে এবং জরুরি পরিষেবা দেওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। যেহেতু এটি একটি ওপেন-সোর্স প্রযুক্তি, তাই ডিজিপিনের সমস্ত কারিগরি ডকুমেন্টেশন ও সোর্স কোড জিটহাবে পাওয়া যায় (DIGIPIN)।

    আপনার পিনকোড জানুন

    ১৯৭২ সাল থেকে ব্যবহৃত ৬ সংখ্যার পিনকোড ব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে, ডাক বিভাগ সারা দেশে একটি জাতীয় জিও-ফেন্সিং কাজকর্ম পরিচালনা করে। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত পিনকোড সীমানা ভৌগোলিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই কারণেই ‘নো ইওর পিন কোড’ নামক একটি পোর্টাল চালু করে, যা গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-ভিত্তিক অবস্থান নির্ধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট অবস্থানের সঠিক পিনকোড শনাক্ত করতে পারে। এই পোর্টালে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামতও দিতে পারেন, যাতে ডেটাসেটটি নিয়মিতভাবে উন্নত করা যায়। দেশের সমস্ত জিও-ফেন্স করা পিনকোড সীমানার (Postal Department) ডেটা ওপেন গভর্নমেন্ট ডেটা প্ল্যাটফর্মে ‘অল ইন্ডিয়া পিন কোড বাউন্ডারি জিও-ইসন’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে (DIGIPIN)।

    জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতি ২০২২

    এই নীতিটি ভারত সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু করে। এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল ভূ-স্থানিক তথ্যের প্রবেশাধিকার উদার ও গণতান্ত্রিক করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং প্রশাসন, ব্যবসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যাপক (Postal Department) ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া। এই নীতির উদ্দেশ্য হল, সরকারি অর্থে প্রস্তুত করা ভূ-স্থানিক তথ্যভান্ডার সকলের জন্য সহজলভ্য করা (DIGIPIN)।

     

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথায় মোদি সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। এর পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল। শশীকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে দেগে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল (Operation Sindoor)।

    বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি দল (Shashi Tharoor)

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। তারই একটিতে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী। বর্তমানে পানামা সিটিতে রয়েছেন শশী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় মোদি সরকারের গুণগান। তিনি বলেন, “চার দশক ধরে একের পর এক হামলা সয়েছি আমরা। শোক, যন্ত্রণা, আঘাত, ক্ষয়ক্ষতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক আর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দরবার করা যায়, কাঁহাতকই বা সাহায্য চাওয়া যায়!” ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “সব প্রমাণ ছিল আমাদের কাছে। এক জঙ্গিকে আমরা জীবিতও ধরে ফেলি। আজমল কাসভকে ধরতে গিয়ে আত্মবলি দেন এক পুলিশকর্মী। ওর পরিচয়, বাড়ি, ঠিকানা, পাকিস্তানের গ্রামের নাম পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে হ্যান্ডলার প্রতি মিনিটে যে নির্দেশ দিচ্ছিল, তার রেকর্ডিং ছিল (Operation Sindoor) পশ্চিমি সংস্থাগুলির কাছেও।” তিনি বলেন, “কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল? একজনকেও কি দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত জোগানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছে।”

    শশীর গলায় মোদি-স্তুতি

    শশী বলেন, “সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জঙ্গিরা বুঝতে পেরেছে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি হামলার পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত, যা আগে কখনও করিনি আমরা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের আঘাত করি। আর এবার একেবারে পাকিস্তানের বুকে আঘাত হেনেছি। ন’জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির, জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন (Shashi Tharoor) সিঁদুর চালাতেই হত। ২৬ জন মহিলার কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, তাঁদের স্বামীদের ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। আমরা ওঁদের কান্না শুনেছি। আর তাই আমাদের মেয়েদের মাথার সিঁদুরের (Operation Sindoor) লাল রংয়ের সঙ্গে হত্যাকারী, হামলাকারীদের রক্তের লাল রং মিলিয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নিই (Shashi Tharoor)।”

  • Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম অনুরোধটি এসেছিল ৭ মে সন্ধ্যায়। সেদিন পাকিস্তানের (Pakistan) ডিজিএমও আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ভারতের কাছে। পাকিস্তানের এই অনুরোধ আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) অধীন যখন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি। কারণ ইসলামাবাদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ ছিল নয়াদিল্লির। এরও কারণ রয়েছে। সেটি হল, শান্তির আহ্বানের পাশাপাশি ভারতীয় সামরিক পরিকাঠোমাগুলির ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান।

    সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব (Operation Sindoor)

    এর পরে দুই দেশের সংঘর্ষ চলে আরও তিনদিন। ১০ মে ফের বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে যুযুধান দুই দেশের ডিজিএমও স্তরের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানেই সমঝোতায় পৌঁছয় দুই দেশ। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তজনা কমানো। এর আগে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও তার ভারতীয় সমকক্ষের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানান। কারণ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলির ওপর নির্ভুল আঘাত হেনেছিল।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সূত্রের খবর, এই অপারেশনে নিহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে যেমন জঙ্গিরা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের সহযোগী এবং পাক সেনাকর্মীরাও। এর মধ্যে ২০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছে বাহাওয়ালপুরে (Operation Sindoor)। এটি জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহাওয়ালপুরে নিহতদের অনেকেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    পাক সশস্ত্র বাহিনীরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, ৩৫ থেকে ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ১১ জন সেনা নিহত ও ৭৮ জন জখম হওয়ার কথা কবুল করেছে। ১০ মে প্রতিশোধমূলক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক বিমানঘাঁটিতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে (Operation Sindoor)।

  • Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে ভারতীয় সেনার কাজের ধরন বদল করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এত দিন সীমান্তে সংঘাতের আবহে আলাদা ভাবেই কাজ করত ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী – স্থল, নৌ এবং বিমান। এবার থেকে (India Pakistan Tensions) তারা একই কমান্ডারের নেতৃত্বে (Unified Command) এক সঙ্গে কাজ করবে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ২৭ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষেই। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলে বিলটি পরিণত হয় আইনে। আইন কার্যকর হয় চলতি বছরের ১০ মে। এবার জারি হল বিজ্ঞপ্তি।

    জারি বিজ্ঞপ্তি (Unified Command)

    বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই এই নয়া নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করলেও, তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না। জানা গিয়েছে, এতদিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন হত অত্যন্ত ধীর গতিতে। নয়া নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবেন নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না (Unified Command)।

    ডিফেন্স স্টাফের প্রধানের বক্তব্য

    এদিকে, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান রবিবার অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তর ও পশ্চিম সমরাঙ্গণে যুদ্ধ প্রস্তুতির কৌশলগত পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই দুই কমান্ডের আলাদা আলাদা সফর করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সময়মতো দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের সামগ্রিক সমন্বয় ও দক্ষতার প্রশংসা করেন জেনারেল চৌহান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি সকল স্তরের জওয়ানদের সাহস, দৃঢ়সংকল্প, নিখুঁততা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন (Unified Command)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    জেনারেল চৌহান জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ফরমেশনগুলিকে “অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের” স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৭ মে সকালের দিকে ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানা হয় ভারতের তরফে। পরবর্তী কালে পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাগুলিকেও জবাব দেওয়া হয় কঠোরভাবে (India Pakistan Tensions)। ১০ মে তারিখে সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয় বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উধমপুরে, প্রতিরক্ষা প্রধানকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় – যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শত্রুর জঙ্গি-সমর্থিত সম্পদ ধ্বংস করা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজেদের সামরিক কাঠামো ও অসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।”

    এতদিন কী হত জানেন?

    প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তে কোনও সংঘর্ষ হলে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত তিন বাহিনী। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগত। নয়া নিয়ম চালু হওয়ায় এখন একই কমান্ডারের নেতৃত্বে অপারেশন হলে, অপারেশনের গতি অনেকটাই বাড়বে। এতে অপারেশনের সময় তিন বাহিনীর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। এড়ানো যাবে বিভ্রান্তিও (Unified Command)। জানা গিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম ও উত্তর কমান্ড। সূত্রের খবর, শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ডে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এটি দেশের অন্যান্য সীমান্তেও কার্যকর করা হবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চালায় অপারেশন সিঁদুর। তাতে ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারতের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শাহবাজ শরিফের দেশ। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা পাক সেনার ওই হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে। দিন তিনেকের ওই সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। যদিও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব ভারতকে আগে দেয় পাকিস্তানই (India Pakistan Tensions)। এখনও সংঘর্ষ বহাল রয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় সেনার নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসেবেই দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Unified Command)।

  • Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পুশ-ব্যাকে (Operation Push Back) ব্যাপক সাফল্য মিলল শনিবার। এদিন রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতের করা অপারেশন পুশ-ব্যাকের অংশ। এই পুশ-ব্যাক অপারেশন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিলেট, মেহেরপুর এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে। রবিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাদের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এই অনুপ্রবেশকারীরা হরিয়ানায় বসবাস করছিল।

    অপারেশন পুশ-ব্যাক (Operation Push Back)

    আটক করার পর এই ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিএসএফ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ১২১ জনকে। এরা সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে কাজ করছিল তারা। বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, “শনিবার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়াই। তবে বিএসএফ রাত ২টো থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সীমান্তের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে মোট ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।”

    বিজিবির বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বিএসএফ তাদের সীমান্তের অংশে থাকা আলো বন্ধ করে দেয় এবং এই মানুষগুলিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাদের আটক করার পর তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করি। জানতে পারি, বাংলাদেশি। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।” বিজিবির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের বিভিন্ন পাথর খনি এবং ইটভাটায় কাজ করছিল। এর আগেও বিএসএফ ২০২৫ সালের ১৪ মে ১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বিজিবি জানিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত একইভাবে বাংলাদেশের ১১টি জেলার সীমান্ত দিয়ে মোট ৬৬৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ফেনি এবং ঝিনাইদহ। অপারেশন পুশ-ব্যাকের আওতায় এখনও পর্যন্ত ফেরত পাঠানো হয়েছে মোট ৭৪২ জন অভিবাসীকে।

    প্রোটোকলে সমস্যা

    প্রসঙ্গত, দশকের (Operation Push Back) পর দশক ধরে ভারত প্রোটোকল অনুসরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যয় হচ্ছিল প্রচুর সময়। ফলে পুশ-ব্যাক করতে সময় লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি প্রায়ই তাদের দেশের নাগরিকদের স্বীকৃতি দিত না। ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফোকর দিয়ে এজেন্ট ও দালালদের সাহায্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। যদিও তাদের ফেরত পাঠাতে গেলেই দেখা দিত যত সমস্যা।

    ভারতে ২ কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি

    ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ২ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন এক অঘোষিত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Operation Push Back)। লোকমুখে এটাই হল অপারেশন পুশব্যাক। এই অপারেশনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দেশছাড়া করা হচ্ছে। অপারেশন পুশ-ব্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়েছে অপারেশন পুশ-ব্যাক।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব না। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত (Operation Push Back) ছিল, কাউকে গ্রেফতার করে তাকে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আগেও আমরা প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৫০০ বিদেশিকে গ্রেফতার করতাম। তাদের জেলে পাঠানো হত এবং পরে আদালতে পেশ করা হত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের দেশের ভেতরে আনা হবে না, বরং ঠেলে (push back) দেওয়া হবে। এই ‘পুশব্যাক’ একটি নতুন ধারা। প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ভারতে ঢোকে। এই পুশব্যাক পদ্ধতির কারণে এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমবে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে এতটাই সাফল্য এসেছে যে এখন অনেক বাংলাদেশিই স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে (Operation Push Back)।

  • Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।” ফ্রান্সে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

    বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান (Shamik Bhattacharya)

    বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্যের কথা আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলকে বিদেশে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। পদ্ম সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ইউরোপে গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক সেই দলের সদস্য। ফ্রান্সে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মঙ্গলবার প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতেও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে)২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।”

    এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শমীককে। সে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের সব রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে এখানে এসেছি একটাই বার্তা দিতে। তা হল, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে আসিনি। তাই আমি কিছু প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছি।”

    শমীক বলেন, “পাকিস্তান এমন একটা দেশ, যারা কোনওদিনই শুধরাবে না। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করতে হবে।” তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, তা বিশ্বকে জানানো আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করেছে (Pakistan)। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিয়েছে (Shamik Bhattacharya)।”

LinkedIn
Share