Tag: India

India

  • Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। তাই ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, রেগুলেটরি অনুমোদন এবং লজিস্টিক সমন্বয় (Economic Corridors)। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অশান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যা করা এই মুহূর্তে একপ্রকার অসম্ভব। তাই কঠিন হয়ে উঠছে (Northeast India) আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ।

    ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা (Economic Corridors)

    ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা “চিকেনস নেক” নামে পরিচিত, এই সংকীর্ণ ভূখণ্ডটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রধান পথ। এর ফলে এই অঞ্চলে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। অঞ্চলটি নানা দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিবহুল এবং সংবেদনশীল। তবে, নয়া দুটি প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর— হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক করিডর ও ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর (B3) করিডর— এই অঞ্চলের সংযোগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই দুটি করিডরের কাজ বাস্তবায়িত হলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে যাতায়াতের সময়, কমবে খরচ, বাড়বে অর্থনতৈক সুযোগ। আরও একটা লাভ হবে। সেটি হল ঐতিহ্যবাহী শিলিগুড়ি রুটের চাপ কমা।

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর একটি উচ্চকাঙ্খী প্রকল্প। এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের মাধ্যমে মেঘালয় এবং বৃহত্তর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সড়ক ও রেল সংযোগকে আরও শক্তিশালী করা। পশ্চিমবঙ্গের হিলি এবং মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চলের মহেন্দ্রগঞ্জ—উভয়ই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে, যা এই করিডরকে একটি কৌশলগত (Economic Corridors) আন্তঃসীমান্ত রুটে পরিণত করেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “এই ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর ভ্রমণের সময় এবং খরচ ২৫-৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।” বর্তমানে, কলকাতা থেকে মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অসমের বরাক ভ্যালিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করতে হয় চিকেনস নেক। এই রুটে যাতায়াত সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। এই করিডর চালু হলে ভ্রমণের দূরত্ব একধাক্কায় কমে যাবে ৬০০-৭০০ কিলোমিটার। এতে লাভবান হবেন ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা উভয়েই। কারণ পরিবহণ খরচ কমলে প্রত্যাশিতভাবেই কমে যাবে পণ্যের দরও (Northeast India)।

    এনএইচআইডিসিএল

    ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যেই সড়ক সংযোগ বিশ্লেষণের কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্যও শেয়ার করেছে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, করিডরের পরিকল্পনা এখনও বাতিল হয়নি। এছাড়াও, ভারতীয় রেলওয়ে হিলি থেকে মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ি এবং গাইবান্ধার মধ্যে দিয়ে একটি আন্তঃসীমান্ত রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ফাইনাল লোকেশন সার্ভে অনুমোদন করেছে। যদিও এর বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে, তবুও এই পদক্ষেপ করিডর সম্ভাবনা বাস্তবায়নের দিকে ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত (Economic Corridors) দেয়।

    ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক

    তবে, এই দুই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্ভর করবে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের আগে, এই করিডর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই দুই করিডর রূপায়ণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। জানা গিয়েছে, এই করিডর একটি প্রধান অর্থনৈতিক ধমনী হিসেবে কাজ করবে, যা মেঘালয়, বরাক ভ্যালি, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের ব্যবসায়ীদের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আরও দক্ষ বাণিজ্যে সক্ষম করবে। পণ্য দ্রুত চলাচলের মাধ্যমে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সুযোগ বাড়বে নয়া কর্মসংস্থানের (Northeast India)।

    ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর

    দ্বিতীয় প্রস্তাবিত করিডর হল—ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর—এটি একটি কৌশলগত উদ্যোগ যা অসম ও মেঘালয়ের মাধ্যমে ভুটানকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। এই করিডরের উদ্দেশ্য হল বাণিজ্য ও পরিবহণকে আরও অনায়াস করা এবং ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। বড়োল্যান্ড, অসমের জোগিঘোপা এবং মেঘালয়ের ফুলবাড়ি এই বি-থ্রি করিডরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করবে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ফুলবাড়ির অবস্থান এই করিডরের সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। কারণ এটি জলপথে পণ্য পরিবহণের সুযোগ দেয়। এর ফলে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ে পরিবহণ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার

    ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা এই করিডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভুটান আমদানি ও রফতানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। উন্নত পরিকাঠামো এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিময়কে আরও বৃদ্ধি করবে। উন্নত সংযোগ ভুটানের জলবিদ্যুৎ, কৃষিপণ্য ও হস্তশিল্পের মতো রফতানিগুলিকে উপকৃত করবে। এর পাশাপাশি ভারতকে ভুটানের বাজারে আরও ভালো প্রবেশাধিকার দেবে (Economic Corridors)। এছাড়াও, ঐতিহাসিকভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রভাবিত বড়োল্যান্ড, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য নেটওয়ার্কে (Northeast India) একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। এই করিডর পরিকাঠামো, লজিস্টিক এবং শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, যা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে।

    বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকার

    এই করিডর বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকারের সম্পূরক হিসেবেও কাজ করবে। দু’বছর আগে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। এই চুক্তির ফলে কলকাতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি কমিয়েছে। বি-থ্রি করিডরের মাধ্যমে, ভারত বাংলাদেশের জলপথগুলিকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যকে আরও মসৃণ ও সাশ্রয়ী করে তুলবে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃজাতীয় অর্থনৈতিক করিডর এবং ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর ভারতের পূর্বাঞ্চলের জন্য, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। বর্তমানে, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৯৫ শতাংশ রফতানি শিলিগুড়ি করিডরের মাধ্যমে সড়কপথে পরিবহণ করা হয়। বাকি ৫ শতাংশ নির্ভর করে রেলের ওপর (Economic Corridors)। এই সংকীর্ণ করিডরের ওপর অত্যধিক নির্ভরতা লজিস্টিক বাধা তৈরি করে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। প্রস্তাবিত করিডরগুলি বিকল্প বাণিজ্য ও পরিবহণ (Northeast India) রুট দেওয়ার মাধ্যমে চিকেনস নেকের বোঝা কমাতে সাহায্য করবে।

    সীমান্ত শেয়ার

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি চিন, মায়ানমার, ভুটান ও বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে। দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, বিশেষ করে তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র মাধ্যমে, ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। প্রস্তাবিত করিডরের মূল অংশীদার বাংলাদেশ এবং ভুটান, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে চিনা বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমানভাবে প্রত্যক্ষ করেছে। উন্নত যোগাযোগ এবং পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা বেজিংয়ের উপস্থিতির ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং এই অঞ্চলে নয়াদিল্লির নেতৃত্ব পুনর্নিশ্চিত করবে।

    কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস

    এই প্রকল্পগুলি কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস করার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। শিলিগুড়ি করিডরে কোনও বিঘ্ন ঘটলে—প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অথবা নিরাপত্তা হুমকির কারণে—এই নতুন করিডরগুলি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। সর্বোপরি, এই করিডরগুলির দ্বারা প্রদত্ত বর্ধিত অ্যাক্সেসযোগ্যতা অনিশ্চিত আশপাশের এলাকায় কোনও নিরাপত্তা হুমকির (Northeast India) ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দ্রুত একত্রিত করার অনুমতিও দেবে (Economic Corridors)।

  • Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সীমান্ত অঞ্চলে দুটি নতুন কাউন্টি (এক অর্থে জেলা) প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে চিন। এর একটা অংশ আবার ভারতের লাদাখে পড়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সংসদে সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গুরুতর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে (Illegal Chinese Occupation)।

    কী বললেন কীর্তি বর্ধন (Illegal Chinese Occupation)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর চিনের অবৈধ দখলদারি ভারত সরকার কখনওই মেনে নেয়নি। নতুন কাউন্টি তৈরি করা ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না। কারণ এই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। এটি চিনের অবৈধ ও জবরদস্তিমূলক দখলদারিকে বৈধতা দেবে না।’’ চিনের এই ঘোষণার জেরে চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এটি ইতিমধ্যেই একটি সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দেয় যে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অনড় এবং কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।

    দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠা

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আর একটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিদেশমন্ত্রককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তারা কি চিন কর্তৃক হোতান প্রিফেকচারে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অবগত, যেখানে লাদাখের ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কৌশলগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। চিনের শি জিনপিং সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত কোনও প্রতিক্রিয়া সহ এই কাউন্টিগুলি তৈরির বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল (Illegal Chinese Occupation)।

    বিদেশমন্ত্রকের উত্তর

    এসব প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই কাউন্টিগুলি নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারতের দায়ের করা প্রতিবাদ এবং চিনা সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার বিশদ বিবরণও চাওয়া হয়েছিল। আকসাই চিন অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত কাজকর্মের মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কোনও কৌশল প্রণয়ন করেছে কিনা, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চিনের হোতান প্রিফেকচারে দুটি তথাকথিত নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চিনা পক্ষের ঘোষণা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এক্তিয়ারের কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সরকার এও জানে যে চিন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল ও বিশেষ মনোযোগ দেয়, যাতে এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহজতর হয় এবং ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।”

    সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি

    জানা গিয়েছে, গত দশকে সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) একাই আগের দশকের (India) তুলনায় তিন গুণ বেশি ব্যয় করেছে। মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সড়ক সংস্থা একাই গত দশকের তুলনায় তিনগুণ বেশি খরচ করেছে। কীর্তি বর্ধন বলেন, সড়ক যোগাযোগের দৈর্ঘ, সেতু ও টানেলের সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নত সরবরাহ দিতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নতির দিকে নজর দিচ্ছে। এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সহজ করা হচ্ছে। এর ফলে কৌশলগত ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনগুলিও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে (Illegal Chinese Occupation)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী বলেন, “সরকার ভারতের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব উন্নয়নের ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে চিন। তবে তার পদ্ধতি এখনও স্থির করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তীর্থযাত্রা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে যে গঠনমূলক বিনিময় হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা সফরে গিয়ে এক মার্কিন পডকাস্টারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে (India)। তাঁর সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে দিন কয়েক আগে। তার পরেই ফের প্রকাশ্যে এল চিনের ‘দখলদারি’র খবর (Illegal Chinese Occupation)।

  • Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচগুলি রফতানি করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। বগি পাঠানো হচ্ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরবে। এই সব ঘটনা বিশ্বব্যাপী দেশের রেলওয়ের (Indian Railways) ক্রমবর্ধমান উন্নতির প্রতিফলন ঘটায়।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মন্ত্রীর দাবি (Indian Railways)

    সোমবার রাজ্যসভায় তিনি (Metro Coaches) জানান, ভারত ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইতালির মতো একাধিক ইউরোপীয় দেশকে প্রপালশন সিস্টেম এবং বগি বা আন্ডারফ্রেমের মতো অন্যান্য রেল সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। রেলওয়ে বাজেটের ওপর আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, “আজ, আমাদের দেশ থেকে মেট্রো কোচ অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ এবং কোচের নীচের যান্ত্রিক কাঠামো, যাকে বগি বা আন্ডারফ্রেম বলা হয়, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রোপালশন সিস্টেম এখন ফ্রান্স, মেক্সিকো, রোমানিয়া, স্পেন, জার্মানি এবং ইতালিতে রফতানি করা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    চাহিদা লোকোমোটিভেরও!

    তিনি বলেন, “ভারতে তৈরি লোকোমোটিভ এবং যাত্রিবাহী কোচগুলি মোজাম্বিক, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই বিহারের মারহাওড়া কারখানা ১০০টিরও বেশি লোকোমোটিভ রফতানি করবে। এছাড়াও, তামিলনাড়ু থেকে (Indian Railways) চাকা রফতানি করা হবে।” অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে যে কারখানার কথা ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা গতি লাভ করে। তিনি বলেন, “ভারতীয় রেল কেবল সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিষেবা দিচ্ছে না, বরং বিশ্বব্যাপী একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ও তৈরি করছে।”

    ভারত রেল যাত্রীদের আরও বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ট্রেনে প্রতি কিলোমিটার ভ্রমণের খরচ পড়ে ১.৩৮ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাত্র ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ভর্তুকি দেওয়া হয় ৪৭ শতাংশ। তিনি জানান (Metro Coaches), ভারতীয় রেল ২০২০ সাল থেকে ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধি করেনি (Indian Railways)।

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ৬৭টি জঙ্গি সংগঠন (Terrorist Organisations) ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। এই সংগঠনগুলি হয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নয়তো ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। সেই কারণে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-র আওতায় ওই জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    ইউএপিএ-র ধারা ৩৫ (Terrorist Organisations)

    জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় ৪৫টি সংগঠনকে ইউএপিএ-র ধারা ৩৫-এর অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এদের এই আইনটির প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ২২টি সংগঠনকে ইউএপিএর ধারা ৩(১) অনুযায়ী বেআইনি সংস্থা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেসব সংগঠন ও সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির অনেকগুলিই ভারতে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সহিংস কার্যকলাপে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে। সেই তালিকায় হল প্রকাশিত। এই প্রক্রিয়া ভারতের জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থা দমনের চেষ্টার একটি অঙ্গ। ইউএপিএ-র আওতায় যে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত সদস্যদের গ্রেফতার করাও অন্তর্ভুক্ত।

    জঙ্গি সংগঠনের তালিকা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সংগঠনগুলিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলি হল – বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন, লস্কর-ই-তৈবা বা পাসবান-এ-আহলে হাদিস বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ বা তাহরিক-ই-ফুরকান বা পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF) এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, হরকত-উল-মুজাহিদিন বা হরকত-উল-আনসার বা হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি বা আনসার-উল-উম্মাহ, হিজবুল মুজাহিদিন বা হিজবুল মুজাহিদিন পীর পাঞ্জাল রেজিমেন্ট, আল-উমর-মুজাহিদিন, জম্মু ও কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (ULFA), অসমের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বডোল্যান্ড (NDFB), পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF), পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক (PREPAK), কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (MPLF), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI), দিনদার আনজুমান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-পিপলস ওয়ার এবং এর সমস্ত শাখা, মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (MCC), এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি। তালিকায় (Terrorist Organisations) রয়েছে আল বদর, জামিয়াত-উল-মুজাহিদিন, আল-কায়েদা বা ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (AQIS) এবং এর সমস্ত রূপ, দুখতারান-ই-মিলাত (DEM); তামিলনাড়ু মুক্তি বাহিনী (TNLA); তামিল ন্যাশনাল (MHA) রিট্রিভাল ট্রুপস (TNRT); অখিল ভারতীয় নেপালি একতা সমাজ (ABNES); এবং ২০০৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও দমন (নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন) নির্দেশের তফসিলে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি, যা ১৯৪৭ সালের রাষ্ট্রসংঘ (নিরাপত্তা পরিষদ) আইন অনুসারে তৈরি এবং সময়ে সময়ে সংশোধিত হয়েছে; তেমনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এবং এর সমস্ত সংগঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (GNLA) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; ইসলামিক স্টেট বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও লেভান্ত বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও সিরিয়া বা দাইশ এবং এর সমস্ত রূপ; ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স এবং এর সমস্ত রূপ; তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (TuM); জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জামাত-উল-মুজাহিদিন ভারত বা জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দুস্তান এবং এর সমস্ত রূপ; জম্মু ও কাশ্মীর গজনবি ফোর্স (JKGF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি;
    এবং হিজব-উত-তাহরির (HuT) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি।

    অবৈধ সংগঠন

    অবৈধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গোষ্ঠীগুলি হল, শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলন, ভারত (SIMI), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (ULFA), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (NLFT), হ্নিউত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (HNLC), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) (Terrorist Organisations), ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF), জম্মু ও কাশ্মীর জামাত-এ-ইসলামি, জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক গোষ্ঠী), শিখস ফর জাস্টিস (SFJ), জম্মু ও কাশ্মীর ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম পার্টি, মুসলিম লিগ জম্মু ও কাশ্মীর (মাসরাত আলম গোষ্ঠী), তেহরিক-ই-হুরিয়ত, জম্মু ও কাশ্মীর, মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (ভাট গোষ্ঠী), মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (সুমজি গোষ্ঠী), জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ফ্রিডম লিগ।

    আরও অবৈধ সংগঠন

    এছাড়াও, সাতটি মৈতেই চরমপন্থী সংগঠনকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল, পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এবং এর রাজনৈতিক শাখা, রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (RPF), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক (PREPAK) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP) এবং এর সশস্ত্র শাখা, যা ‘রেড আর্মি’ নামে পরিচিত, কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), কোঅর্ডিনেশন কমিটি (CorCom), অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক (ASUK)। এছাড়াও, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং এর সহযোগী, অধিভুক্ত বা শাখাগুলিকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল: রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস লিগের চারটি গোষ্ঠী, যথা জেকেপিএল (মুখতার আহমদ ওয়াজা), জেকেপিএল (বশির আহমেদ টোটা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান (MHA) ওরফে সোপোরি) এবং জেকেপিএল (আজিজ শেখ), যা ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ ১৯৬৭ ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যা সরকারকে বিভিন্ন সংগঠন জঙ্গি গোষ্ঠী বা অবৈধ সংস্থা (Terrorist Organisations) হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষমতা দেয়, যাতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আইনটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর এটি আরও কঠোর করা হয়েছে।

    একটি সংগঠনকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার অর্থ হল ভারতের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তাদের আর্থিক সম্পদ ফ্রিজ করা, সদস্যদের তহবিল সংগ্রহ বা নিয়োগ প্রতিরোধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। ভারত সরকার নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে সক্রিয় জঙ্গি, বিদ্রোহী এবং চরমপন্থী (MHA) গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মোকাবিলা করা যায় (Terrorist Organisations)।

  • Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের (Indian Origin Ministers)। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন মার্ক কার্ন। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বছর চল্লিশের অনিতা আনন্দ ও বছর ছত্রিশের কমল খেরা। কমল হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনিতা হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত।

    নয়া মন্ত্রিসভায় দিল্লির কমল (Canada)

    কমলের জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি চলে যান কানাডায়। টরেন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কমলা। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে কমল লিখেছেন, “নার্স হিসেবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তা-ই করে যাব। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।”

    রাজনীতিতে আসার আগে টরেন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। অতিমারির সময় তিনি ফের তুলে নেন স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব (Canada)। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। ট্রুডো মন্ত্রিসভায় কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এবার তিনি স্বাধীনভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব।

    অনিতার জন্মই কানাডায়

    কার্নের মন্ত্রিসভার আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিতার জন্মই কানাডায়। ১৯৮৫ সালে তাঁর পরিবার চলে যান কানাডায়। নোভা স্কটিয়ায় জন্মেছিলেন অনিতা। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিই। পেশায় আইনজীবী অনিতা নয়া মন্ত্রিসভায় সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অনিতা লিখেছেন, “নয়া মন্ত্রক পেয়ে আমি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভালো করা যাবে না।” বরং (Indian Origin Ministers) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা ও কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি (Canada)।

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলি (Holi 2025) ভারতের এক প্রাণবন্ত উৎসব। পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন এই উৎসবে মেতে ওঠেন তেমনই অনেক মন্দির এই উৎসবকে আধ্যাত্মিক রীতিনীতি, ভজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। মথুরা হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান। এর পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও (Indian Temples) ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। জেনে নেওয়া যাক, ভারত বিখ্যাত কতগুলি মন্দিরের হোলি উদযাপনের কথা।

    ১. শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, মথুরা (Holi 2025)

    ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাতে ধুমধাম করে হোলি উৎসব পালন করা হয়। কৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তিমূলক ভজন, ধর্মীয় রীতি এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র নগরকে মাতিয়ে রাখে এই সময়ে।

    ২. দ্বারকা ইস্কন মন্দির, দিল্লি (Holi 2025)

    দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হিসেবে পরিচয় রয়েছে দ্বারকা ইস্কনের। ভক্তি ও আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এখানে হোলি উদযাপন করা হয়। এই উৎসব গুলি হল- ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশে ভজন ও কীর্তন। আরতি এবং হোলির তাৎপর্য নিয়ে ধর্মী আলোচনাও হয় এখানে। এছাড়া, মন্দির প্রাঙ্গণে আবির খেলাও হয়।

    ৩. দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা

    দ্বারকার রাজা হিসেবে পরিচিত রয়েছেন হিন্দু ধর্মের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরে ভজন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি বিশাল আরতির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী হোলি উদযাপন করা হয়।প্রতি বছরই চলে এই উৎসব। ভক্তরা কীর্তন করেন। একইসঙ্গে শ্রী কৃষ্ণের ঐশ্বরিক লীলার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করেন।

    ৪. রাধা রমণ মন্দির, বৃন্দাবন

    বৃন্দাবনের এই মন্দির ভারত বিখ্যাত (Holi 2025)। কৃষ্ণ মূর্তির জন্য বিখ্যাত এই মন্দির। এখানে হোলি উদযাপন করা হয় ভক্তি ও শান্তির সঙ্গে। রঙ খেলার পরিবর্তে ভক্তরা ফুলের হোলি খেলেন এখানে, সুমধুর কীর্তন এবং কৃষ্ণ লীলায় অংশগ্রহণ করেন প্রত্যেকে। শান্তিপূর্ণ হলেও উৎসব মুখরিত করে রাখে চারপাশ।

    ৫. গোবিন্দ দেব জি মন্দির, জয়পুর

    রাজস্থানের জয়পুরের এই বৃহৎ মন্দিরটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি আড়ম্বরের সঙ্গে হোলি (Holi 2025) উদযাপন করে। মন্দিরকে রঙিনভাবে সাজানো হয়। শ্রী কৃষ্ণের জীবনের উপর ভিত্তি করে লোকনাট্য পরিবেশন করেন ভক্তরা। একইসঙ্গে ভক্তিমূলক গান ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আবির খেলা হয়।

    ৬. শ্রীনাথজি মন্দির, নাথদ্বারা

    শ্রীনাথজি মন্দিরের হোলি (Holi 2025) উদযাপন অত্যন্ত ধুমধাম করে হয়। রাধারমণ মন্দিরের মতো এখানেও রঙের পরিবর্তে ফুল দিয়ে হোলি খেলা হয়। এর পাশপাশি ছাড়ি হোলি, যেখানে পুরোহিতরা সুন্দরভাবে সজ্জিত লাঠি ব্যবহার করে রীতি পালন করেন। হোলির দিনে অন্নকূট উৎসব পালিত হয়, যা হোলির অংশ হিসেবে ভগবান কৃষ্ণকে নিবেদিত একটি বৃহৎ ভোজ।

    ৭. জগন্নাথ মন্দির, পুরী

    ওড়িশায় হোলি বাংলার মতোই দোল পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে দেবতাদের সুন্দরভাবে সজ্জিত রথে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের মানুষজন রঙ দিয়ে হোলি খেলেন ও ভজন গেয়ে ভক্তি প্রদর্শন করেন।

  • Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি (Holi 2025)। রঙের এই উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠেন। সঙ্গে থাকে নানা রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। হোলি উৎসবের উদযাপন শুধুমাত্র রঙের উৎসব নয় বরং  এটি প্রেম ও ঐক্যেরও প্রতীক বলেও মানা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয় দোল। বাকি দেশে এর নাম হোলি। তবে দেশের বাইরেও হোলি উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ভারত (India) ছাড়াও যে দেশগুলিতে হোলি উৎসব (Holi 2025) সাড়ম্বরে পালিত হয়, সে নিয়েই আজকের আলোচনা।

    ১. নেপাল

    ভারতের প্রতিবেশী দেশ হল নেপাল। হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই দেশটির। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দেশেই বিবাহ হয়েছিল রামচন্দ্রের। নেপালে হোলির পরিচয় ফাগু পূর্ণিমা নামে। নেপাল জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়। কাঠমাণ্ডু এবং পোখরার মতো শহরে, মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে রঙ নিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে। গানের তালে তালে নাচ এবং উৎসবের পরিবেশে চলে হোলি উদযাপন। রঙ মেশানো জলের বেলুন এবং রঙিন আবির নিয়ে হোলি উৎসবে (Holi 2025) মেতে ওঠেন নেপালের বাসিন্দারা।

    ২. মরিশাস

    মরিশাসেও প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। মূলত উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের বাসিন্দারাই এখানে বসতি গড়েছিলেন। এই দেশেও ধুমধাম করে চলে উৎসবের পালন। ভজন-কীর্তন, হোলিকা দহন এবং রঙ খেলায় মেতে ওঠেন মরিশাসের হিন্দুরা (Holi 2025)। হিন্দু প্রধান মরিশাসে হোলির গুরুত্ব এতটাই যে এই দিনটিকে সরকার জাতীয় ছুটি বলে ঘোষণা করেছে।

    ৩. ফিজি

    ফিজিতেও বিরাট সংখ্যায় প্রবাসী ভারতীয়রা থাকেন। মূলত উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা প্রবাসী ভারতীয়রাই থাকেন এখানে। ফিজিতে হোলি একটি জাতীয় উৎসব। এখানে ঐতিহ্যবাহী গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় হোলি। তবে কেবল ভারতীয় সম্প্রদায়ই নয়, স্থানীয় ফিজিয়ান জনগোষ্ঠীও হোলিতে অংশগ্রহণ করে।

    ৪. পাকিস্তান

    দেশভাগের পরে ইসলামিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পাকিস্তান। তারপরে আজও এই দেশ থেকে হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসে। তবে এসব ভীতিকে উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য অঞ্চলে অনেক হিন্দুরা হোলি উদযাপন করেন। হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিতে জমকালো হোলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানুষজন রঙিন আবির নিয়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই উদযাপন আরও বেশি জনপ্রিয়তা।

    ৫. বাংলাদেশ

    সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এখানকার হিন্দুরা হোলিতে মেতে ওঠেন অত্যন্ত সাড়ম্বরে। তবে চলতি বছরে ইউনূস জমানায় হোলি কতটা শান্তিপূর্ণ হবে হোলি, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরে, হিন্দুরা সাড়ম্বরে পালন করে হোলি। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও হোলি উদযাপিত হয়। এটি দোল পূর্ণিমা বা বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত, এখানে মানুষজন রঙ নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিশেষ পুজোয় আয়োজন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিতে হোম-যজ্ঞ করা হয়।

    ৬. ইন্দোনেশিয়া

    এই দেশে হোলি নয় বরং ‘প্রোহিয়ন’ নামে পালন হয় হোলি উৎসব। ইন্দোনেশিয়ার মানুষজন রঙ নিয়ে নাচে। নাচ-গানের মাধ্যে দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

    ৭. আফ্রিকা মহাদেশ

    ইন্দোনেশিয়ার পর হোলি খেলার তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। এই দেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত মরিশাস, মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোকেরা সব থেকে বেশি হোলি খেলায় যোগ দেন।

    ৮. আমেরিকা

    আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরেও হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাচের দলগুলি এদিন নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে হোলি উদযাপন করা হয়।

    ৯. ইউরোপ মহাদেশ

    ইউরোপের বেশ কিছু দেশে পালন করা হয় হোলি। বিশেষ করে ব্রিটেনে হোলি খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা হোলিতে অংশ নেন।

    ১০. ফাগওয়া

    সাদা পোশাক পরে এই দেশের মানুষজন আনন্দে মেতে ওঠেন হোলি উৎসবে। এই উৎসব বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে এবং এটি ওই দেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

    ঐতিহ্যবাহী গান এবং নাচের মাধ্যমে উদযাপিত এই হোলি। হোলিকা দহনের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণও করা হয় এই দেশে।

    ১২. গায়ানা

    এই দেশের হিন্দু মন্দিরগুলিতে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। এই উৎসবে সকল জাতি ও ধর্মের মানুষ সামিল হন।

LinkedIn
Share