Tag: India

India

  • ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোহলির শট বাউন্ডারি পেরোতেই উচ্ছ্বসিত উপত্যকা। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতোই আকাশে আতশবাজির রোশনাই বারামুলায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথমবারের মতো, আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর,ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখল উপত্যকাবাসী। ভারত জিততেই বারামুলা শহর উৎসবের সুরে ভরে ওঠে, যা জম্মু এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। এই জয় শুধুমাত্র ভারতের ক্রিকেট দক্ষতার নয়, বরং আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর কাশ্মির উপত্যকায় পরিবর্তিত মনোভাবের প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তান

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা তুঙ্গে। শুরুতে দুবাইয়ের গ্যালারির কিছু অংশ ফাঁকা থাকলেও পরে তা ভরে যায়। ২৯ বছর পরে কোনও আইসিসি (ICC Champions Trophy) টুনার্মেন্ট পাকিস্তানে, অথচ ‘চিরশত্রু’ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ম্যাচটাই করাচি বা লাহোরের বদলে দুবাইয়ে। এতেই শেষ হচ্ছে না দুর্ভোগ। করাচিতে প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারের পরে, রবিবারও রোহিতদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মহম্মদ রিজওয়ানদের। লাহোর থেকে করাচি, ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি। অন্যদিকে ওয়াঘার এপারে খুশির হাওয়া। আট বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওভালে ভারতকে হারিয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের সেই ম্যাচের বদলা নিল ভারত। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই প্রায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করেছিল পাকিস্তান। বিরাট কোহলির শতরানে ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতল ভারত।

    ভারতের জয়েই খুশি উপত্যকা

    বারামুলায় এদিন জয় উদযাপন ছিল এক উজ্জ্বল প্রদর্শন। বিশেষত যুবক-যুবতীদের মধ্যে জাতীয় গর্ব এবং উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যখন আকাশে রঙিন আতশবাজি ফোটে এবং চারপাশে আতশবাজির শব্দ ভেসে আসে, তখন শহরটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। বারামুলার মানুষের জন্য, এই জয় শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দলের মাঠে সাফল্য নয়, বরং এক বৃহত্তর গর্ব এবং ঐক্যের প্রতীক। “এটি এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি,” বলেন এক স্থানীয় যুবক, যার মুখ আলোয় ঝলমল করছে। “ক্রিকেট আমাদের জন্য শুধু খেলা নয়; এটি আমাদের একসাথে নিয়ে আসে।”

    কিং কোহলিতে মুগ্ধ

    এক দিনের ক্রিকেটে ৫১ নম্বর শতরান করে ফেললেন কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ১১১ বলে করা শতরান বুঝিয়ে দিল কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারিতেই শতরান পূর্ণ কোহলির। সেই শতরান করে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আছেন, স্বমহিমাতেই আছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর সারা দেশ রাজকীয় এই ইনিংসকে তাড়িয়ে উপভোগ করে। যে কাশ্মীরকে এতদিন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করা হত। প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় সেই কাশ্মীরে দাঁড়িয়েই বিরাট-রোহিতদের জয় উদযাপন করল উপত্যকাবাসী। এই জয় আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর উপত্যকাবাসীর মনের অবস্থা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিল।

    ক্রিকেটই মেলবন্ধন, পরিবর্তিত কাশ্মীরের ছবি

    ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পেত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই কাশ্মীরে এসেছে পরিবর্তনের জোয়ার। পরিবর্তিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা নয় মেলবন্ধনই প্রাধান্য পায়। তৈরি হয়েছে নয়া রেলপথ। যা জম্মুকে যুক্ত করেছে বারামুলার সঙ্গে। এখন কাশ্মীরে ভারতের পতাকা ওড়ানো অপরাধ নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এখন রোহিত-বিরাটদের হয়েই গলা ফাটায় কাশ্মীর। যার প্রতিফলন ঘটেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) ভারতের জয়ের পর বারামুলার উচ্ছ্বাসে। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের মধ্যে যে নতুন এক সম্প্রদায়ভিত্তিক অনুভূতি গড়ে উঠেছে। এটি মুহূর্তের উৎসব নয়, বরং কাশ্মীরের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের একটি চিহ্ন।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

  • Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Trump Modi) আমেরিকা সফর খুব ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Trump Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এটা আমার পুরো জীবন ধরে করে আসছি, তাই আমার কিছু রেফারেন্স পয়েন্ট আছে এবং তুলনামূলক মূল্যায়নের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বলব, আমার মনে হয়েছে, সফরটি খুব ভালো হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “লোকেরা জানে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন খুব শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তিনি সেই জাতীয়তাবোধকে বিকিরণ করেন।”

    ট্রাম্প-প্রশস্তি

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী। আমার মনে হয় অনেকভাবে জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সম্মান করেন। তাঁরা খুব স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য কাজ করেন, ট্রাম্প স্বীকার করেন যে মোদি ভারতের জন্য কাজ করছেন, মোদিও স্বীকার করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার জন্য কাজ করছেন (Trump Modi)।” জয়শঙ্কর বলেন, “আমি অনুভব করেছিলাম… রসায়নটি (মোদি-ট্রাম্পের) ভালো ছিল। আবারও, ট্রাম্প কিছুটা অস্বাভাবিক, বিশ্বে অনেক অন্যান্য নেতা রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক ইতিহাস নেই। কিন্তু মোদিজির ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। তিনি (ট্রাম্প) ভারতে দুর্দান্ত একটি সফর করেছিলেন, যা তিনি মনে রেখেছিলেন।”

    জয়শঙ্কর এদিন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ওপর একটি ছবির বইয়ের উল্লেখ করেন। বলেন, “তাঁকে জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্প নিজেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছবি বেছে নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ভারত সম্পর্কে।এতে ২০২০ সালে তাঁর সফরের সময় আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের একটি ছবিও ছিল।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে হয় আমেরিকার স্বার্থ সম্পর্কে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তিনি কী চান এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে কী চান। আমাদেরও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরাও আমেরিকার সঙ্গে সুযোগ এবং চাহিদা নিয়ে কথা বলছি (S Jaishankar)। তাই আমি মনে করি, এ নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমি বলতেই পারি, এটি খুব ভালো মনোভাব, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে (Trump Modi)।”

  • Lahore: লাহোরের মাঠে বাজল জনগণমন অধিনায়ক জয় হে! দর্শকদের চিৎকারে বন্ধ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত

    Lahore: লাহোরের মাঠে বাজল জনগণমন অধিনায়ক জয় হে! দর্শকদের চিৎকারে বন্ধ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ছিল লাহোরে (Lahore) অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দু’দলের ক্রিকেটারেরা সেই মতো মাঠে হাজির হয়ে যান। প্রথমে বাজে ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা অপেক্ষা করতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীতের জন্য। তখনই চমক। হঠাৎ করে বাজতে থাকরে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। তা শুনেই চিৎকার শুরু হয়ে যায় লাহোরের মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। পরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত চালানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। তবে লাহোরের মাঠে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজার ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সমাদমাধ্যমে। অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

    উঠছে প্রশ্ন (Lahore)

    এই ঘটনার পর অনেকে প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে, প্রথমত, ভারত তো পাকিস্তানে কোনও ম্যাচই খেলবে না। তাই সেখানকার কোনও মাঠেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত থাকার কথা নয়। তা হলে কীভাবে তা বাজল। এর পিছনে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই বিষয়ে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়। এর আগে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে (Lahore)। গত সপ্তাহের সোমবারই সেই মতো একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে দেখা যায়, লাহোর, করাচির স্টেডিয়ামে বাকি দেশগুলির পতাকা থাকলেও সেখানে নেই ভারতের কোনও পতাকা নেই। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

    বিতর্কের পরে মাঠে আসে ভারতের পতাকা

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আটটি দেশ খেলে। সেই মতো পাকিস্তানের তিনটি মাঠেই আটটি দেশের পতাকা থাকার কথা। ২০২৩ সালে ভারতে যখন এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখনও এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের (Lahore) মাঠে। বিতর্কের পর অবশ্য করাচির স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়। পাকিস্তানের এক ইউটিউবার সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের পতাকার পাশেই রয়েছে ভারতের পতাকা।

  • Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সফরে এসে কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট (Turkish President) রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুসারে সমস্যা সমাধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত (Indias Reaction)। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের চিরস্থায়ী বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন অযাচিত মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

    তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Indias Reaction)

    সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমস্যার সমাধান করা উচিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এবং কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে। অতীতের মতো আজও আমাদের রাষ্ট্র এবং আমাদের জাতি আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে (Indias Reaction )।”

    ভারতের মোক্ষম জবাব

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার পরিবর্তে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হলে ভালো হত।” পাকিস্তানের সংসদ ভারতের প্রতি কাশ্মীরে গণভোট পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করানোর বিষয়ে আর একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সর্বদা তাই থাকবে। তিনি বলেন, এনিয়ে কোনও সন্দেহ বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ এবং কোন কার্যকলাপ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী (Turkish President)। জয়শঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত নয় (Indias Reaction)।

  • ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আাগমী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় রবিবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচ পাকিস্তানের। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচে জয় পেলেও ভারতীয় দল কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে। তাই পাকিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ স্থানে ওঠাই লক্ষ্য ভারতের।

    কে কোন ম্যাচে এগিয়ে

    সাম্প্রতিক সময় আইসিসি (ICC Champions Trophy) ইভেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছে তখনই হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার এগিয়ে পাকিস্তানই। মিনি বিশ্বকাপে এই দুই দল ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে তিনবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই জিতে যায়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়ানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় ভারত পাক। শোয়েব মালিকের শতরানে ভর করে সেই ম্যাচেও জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখে ভারত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারায় ভারত। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।

    চালকের আসনে ভারতই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফলাফল যাই-হোক না কেন গত দেড় দু’দশক ধরে ভারতই পাকিস্তানের উপর কর্তৃত্ব করছে ৷ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দল পাকিস্তানের থেকেও শক্তিশালী ৷ রবিবার দুবাইয়ে রোহতরাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচকে ঘিরে গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে রয়েছে। ২২ গজে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে আমাদের প্রথম চার জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেখানে কোনও বদল হবে না। তার মধ্যে অন্তত একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা খুব বেশি সেঞ্চুরি না করেও বড় স্কোর করেছি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে দলগত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানেও যদি আমাদের ৭-৮ জন সেই ভাবে চেষ্টাটা চালাতে পারে, তবে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’’

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।

    পাকিস্তান দল: মহম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, কামরান গুলাম, সউদ শাকিল, তায়েব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সলমন আলি আঘা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

  • India vs Bangladesh: শামির ৫ উইকেট, গিলের শতরান! বাংলাদেশকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    India vs Bangladesh: শামির ৫ উইকেট, গিলের শতরান! বাংলাদেশকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশ্যামতোই জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) যাত্রা শুরু করল ভারত। বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারায় রোহিতরা। দুরন্ত শতরান উপহার দেন গিল। তবে প্রথমে ম্যাচ যতটা সহজ হবে ভাবা গিয়েছিল তা হল না। তৌহিদ হৃদয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরি আর রোহিতদের বিশ্রী ফিল্ডিংয়ের জন্য। টসে জিতে বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে ৪৯.৪ ওভারে তোলে ২২৮ রান। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান তৌহিদ। ১১৪ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি সেঞ্চুরি করেন। বুমরা-হীন ভারতীয় বোলিংকে এদিন নেতৃত্ব দিলেন শামিই। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ফের আইসিসি টুর্নামেন্টে নিজের জাত চেনালেন মহম্মদ শামি।

    শামির নজির

    এক দিনের বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) সেখান থেকেই শুরু করলেন মহম্মদ শামি। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ফিরে আবার ছন্দে তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় পেসার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে ১৯৭ উইকেট ছিল শামির। ২০০ উইকেটে পৌঁছতে দরকার ছিল ৩ উইকেট। জাকের আলিকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান শামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন শামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনও বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ২০০ উইকেট নিতে করেছিলেন ৫২৪০ বল। আইসিসির এক দিনের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটও শামির দখলে। ৬০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জাহির খান নিয়েছিলেন ৫৯ উইকেট। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে জাহিরকে ছাপিয়ে গেলেন শামি।

    হ্যাটট্রিক হাতছাড়া

    বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ইনিংস শেষ হয়ে যেতে পারত আরও কম রানে। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ডারদের একের পর এক ভুলে সহজেই ২২৮ রানে পৌঁছে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ন’ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে গেল। ক্যাচ ফস্কানো শুরু করেছিলেন অধিনায়ক রোহিত। বাংলাদেশের ইনিংসের নবম ওভারে বল করতে এসেছিলেন অক্ষর। পর পর দু’বলে তানজিদ হাসান এবং মুশফিকুর রহিমকে আউট করেন তিনি। তার পরের বলেই জাকের আলির দেওয়া সহজ ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন রোহিত শর্মা। নিশ্চিত হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় হতাশ হন অক্ষর। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাঠেই হাত জোড় করে অক্ষরের কাছে ক্ষমা চান রোহিত। এদিন ক্যাচ ফস্কান হার্দিকও।

    রোহিতের রেকর্ড

    দরকার ছিল ১২ রান। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান পূর্ণ করতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১২ রান দরকার ছিল রোহিত শর্মার। সেই রান করতে ১৪ বল লাগল তাঁর। ২৬১ ইনিংসে ১১ হাজার রান হল রোহিতের। সচিন তেন্ডুলকর ১১ হাজার রান করতে ২৭৬ ইনিংস নিয়েছিলেন। অর্থাৎ, সচিনের চেয়ে ১৫ ইনিংস কম লেগেছে রোহিতের। এই তালিকায় সকলের উপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে মাত্র ২২২ ইনিংসে ১১ হাজার রান করেছিলেন তিনি। তবে এই ম্যাচে শুভমানের প্রশংসা যতই করা যায়, ততই যেন কম বলে মনে হবে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটে ওয়ানডে ম্যাচে তিনি জোড়া হাফসেঞ্চুরি এবং একটি শতরান করেন। এই ম্যাচেও রানের সেই ধারাবাহিকতা তাঁর ব্যাটে দেখতে পাওয়া গেল। সেঞ্চুরি তো করলেনই, সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার ভার কার্যত একা হাতেই বহন করলেন। শেষপর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন গিল।

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

LinkedIn
Share