Tag: India

India

  • ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ফলবে বরবটি (Cowpea Seeds Germinate)! অন্তত এমনই আশা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের। আশার কারণ, অঙ্কুরিত হয়েছে বরবটির বীজ। দিন কয়েকের মধ্যে গজাবে নতুন পাতাও। তাতেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে প্রাণের সন্ধান চলছে বহু দিন ধরেই। মহাকাশে কীভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারে, তার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাও চলছে। সেই চেষ্টায়ই মিলল সাফল্য। অঙ্কুরোদ্গম হল বরবটির বীজে।

    মহাকাশে বরবটির বীজ (ISRO)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি সি-৬০ রকেটে করে স্পেডেক্স মহাকাশযানের সঙ্গে আটটি বরবটির বীজ মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই বীজই অঙ্কুরিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ইসরো জানিয়েছে, বরবটির বীজ অঙ্কুরিত হতে চার দিন সময় লাগে। সেই হিসেবে শনিবার অঙ্কুর বেরিয়েছে ওই বীজগুলির। শীঘ্রই কচি পাতাও ফুটবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্থার এই সাফল্য তাঁদের কমপ্যাক্ট রিসার্চ মডিউল ফর অরবাইটাল প্ল্যান্ট স্টাডিজ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের আশা, এর ফলে মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে।

    ইসরোর সাফল্য

    জানা গিয়েছে, বরবটির বীজ (ISRO) পাঠানোর পর থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। হাই রেজলিউশন সম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নজরদারির জন্য। অক্সিজেনের মাত্রা, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এবং তাপমাত্রার ওঠাপড়ার হিসেব রাখতেও পেলোডে বসানো হয়েছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাতেই দেখা গিয়েছে বীজের অঙ্কুরোদ্গম। 

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ইসরোর এই সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বাইরে অন্যত্র উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি যেমন সহায়ক হবে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের ক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও এই গবেষণা ফলদায়ক হয়ে উঠবে। মহাকাশ অভিযানে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ভারত যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ইসরো। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Cowpea Seeds Germinate) মহাকাশ যান পাঠিয়ে তামাম বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ইসরো (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Singer Abhijeet Bhattacharya)। ফের খবরের হেডলাইন তিনি। কারণ, মহাত্মা গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের জনক’ বলেছেন তিনি। গায়কের এহেন মন্তব্যে বেজায় ক্ষিপ্ত (Mahatma Gandhi Remark) আইনজীবী অসীম সারোডে। গান্ধীকে নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইতে হবে বলিউডের গায়ককে। এই দাবি জানিয়েই বাঙালি গায়ককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অসীম।

    কী বললেন সঙ্গীত শিল্পী? (Singer Abhijeet Bhattacharya)

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলার এই সঙ্গীত শিল্পী বলেন, “সুরকার আরডি বর্মন মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক, তেমনই আরডি বর্মন ছিলেন সঙ্গীত জগতের জনক।” এর পরেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বাঙালি গায়ক। বলেন, “মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জনক ছিলেন, ভারতের নয়। ভারতবর্ষের অস্তিত্ব তো ছিলই, পাকিস্তান পরে তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভুল করেই ভারতে গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়। পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য তিনিই দায়ী।”

    আইনীজীব সারোডে

    এতেই চটেছেন আইনীজীব সারোডে। লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে, ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পুণের এই আইনজীবী। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি দেশের সম্মানকে চ্যালেঞ্জ করা। মহাত্মা গান্ধী একজন জাতির জনক। তাঁর প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্য সহ্য করা হবে না।” পুণের ওই আইনজীবী বলেন, “যদি অভিজিৎ এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বাধ্য হব।” তাঁর দাবি, এমন মন্তব্য দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অভিজিতের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন সঙ্গীত জগতেরও অনেকে। গান্ধীজি সম্পর্কে এহেন মন্তব্য দেশের ঐতিহ্যকে ছোট করার সমান। বিশেষত, জাতির জনক সম্পর্কে এমন আপত্তিকর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবি গায়ক সমাজের। প্রসঙ্গত, অভিজিতের এহেন মন্তব্য একেবারেই নতুন নয়। নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর কাপুর সহ অনেক বলিউড (Mahatma Gandhi Remark) তারকার বিরুদ্ধে আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Crop Insurance Schemes: জানুন প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার এ টু জেড

    Crop Insurance Schemes: জানুন প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার এ টু জেড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত কৃষিনির্ভর দেশ। এ দেশের একটা বড় অংশের মানুষই কৃষির ওপর নির্ভর করে দিন গুজরান করেন। ফি বার বাম্পার ফলনের আশা করলেও, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ বর্তমানে কৃষি পরিণত হয়েছে একটি অনিশ্চিত পেশায়। সেই কারণে বহু কৃষক পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় বরাদ্দ (Crop Insurance Schemes)

    কৃষক (PMFBY) যাতে কৃষিতেই মনোনিবেশ করেন, তিনি যাতে পেশা পরিবর্তন না করেন, তা-ই ভারত সরকার তার ২০২৫ সালের নীতিগত সিদ্ধান্তে ফসল বীমা (Crop Insurance Schemes) প্রকল্পগুলিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে। কৃষিক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ যুক্ত থাকায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার জন্য ৬৯,৫১৫.৭১ কোটি টাকা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রকল্পগুলির জন্য অতিরিক্ত ৮২৪.৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে ইয়েস-টেক (ফসলের সঠিক ফলন অনুমানের জন্য রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি) এবং উইন্ডস (স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন এবং বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র)-ও।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। ২০১৬ সালে মূলত তাঁরই উদ্যোগে চালু হয় প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা। এটি একটি ফসল বীমা প্রকল্প যা খাদ্যশস্য, ডাল, তৈলবীজ এবং উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল-সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের জন্য বীমা কভারেজ দেয়। এই বীমা প্রকল্পের মূল মন্ত্রই হল ‘এক দেশ, এক ফসল, এক প্রিমিয়াম’। এর লক্ষ্য হল, ফসল বীমার প্রবেশযোগ্যতা বাড়ানো এবং বিশেষত গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কাছে এর প্রসার ঘটানো।

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা প্রকল্পের সুবিধাগুলি কী?

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলের রোগ এবং পোকামাকড়ের সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলায় একাধিক সুবিধা দেয়। এগুলি হল, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আর্থিক সুরক্ষা: যদি অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়, তাহলে কৃষকদের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এটি পুনরায় চাষের ব্যয় বা আয়ের ক্ষতি পূরণে সহায়তা দেয়।

    ঋণের প্রতি কম সংবেদনশীলতা: এটি কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ার পর যে আর্থিক চাপের মুখোমুখি হতে হয় তা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ সুদে ঋণের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে, তারা বীমা ক্ষতিপূরণের সুবিধা নিতে পারে, যা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আরও সাশ্রয়ী উপায় প্রদান করে।

    বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা: যখন কৃষকরা জানেন যে তাঁদের আর্থিক সুরক্ষা রয়েছে, তখন তাঁরা নতুন প্রযুক্তিতে, যেমন জিপিএস এবং দূরবর্তী মনিটরিং, বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী হয় যাতে তারা অবিচ্ছিন্ন কভারেজ পেতে পারে বা তাদের ফসল বৈচিত্র্যময় করতে পারে। এই সুরক্ষার অনুভূতি উদ্ভাবন ও উন্নত কৃষি অনুশীলনকে উৎসাহিত করে, যা শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর কৃষি উৎপাদনশীলতায় অবদান (Crop Insurance Schemes) রাখে।

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি উন্নত সহনশীলতা: বীমা প্রকল্পগুলির সঙ্গে প্রায়ই অতিরিক্ত সুবিধা থাকে, যেমন আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ। গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবার মতো অ্যাগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল উপদেষ্টা পরিষেবা কৃষকদের অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি এবং লোকসান মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে, যা পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতির প্রতি সহনশীলতা বাড়ায়।

    সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে সাশ্রয়িতা: ভারত সরকার ফসল বীমার প্রিমিয়ামের ওপর ভর্তুকি দেয়। এটি কৃষকদের আরও সাশ্রয়ী করে তোলে। এই ভর্তুকিগুলি বিশেষত ছোট কৃষকদের আর্থিক বোঝা কমাতে সাহায্য করে। এই ভর্তুকি না পেলে ওই কৃষকরা সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    কীভাবে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করবেন?

    ভারত সরকার কৃষকদের জন্য অনলাইনে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় (PMFBY) নাম নথিভুক্ত করা সহজ করে তুলেছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, খাসরা কাগজ (যদি কৃষক জমির মালিক হন), প্রধান, সরপঞ্চ, গ্রাম প্রধান, পাটওয়ারি ইত্যাদির কাছ থেকে একটি লিখিত চিঠি এবং অন্যান্য উপযুক্ত নথি। এগুলি দিলেই এই কল্যাণকারী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে।

    কৃষকরা কীভাবে নিজেরাই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন?

    https://pmfby.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে হোমপেজে ‘নিবন্ধন’ (Register) বিকল্পটি নির্বাচন করে নাম নথিভুক্ত প্রক্রিয়া শুরু করুন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে সঠিক ব্যক্তিগত ও সরকারি তথ্য, যেমন আপনার নাম, যোগাযোগের বিবরণ এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি তথ্য পূরণ করুন। এই প্রক্রিয়ার সময় আধার নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের জন্য, আপনার নিবন্ধিত নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। ওটিপি দিয়ে এই পর্যায়টি সম্পূর্ণ করুন।

    রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জমা দেওয়ার পরে, এটি পর্যালোচনা করা হবে। আপনার আবেদন অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান হয়েছে কিনা তা আপনাকে জানাতে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে (Crop Insurance Schemes)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bangladesh Crisis: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    Bangladesh Crisis: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)? এক সময় যাঁরা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, তাঁরাই ক্রমে তাঁর পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণে স্বদেশেই ক্রমে জনপ্রিয়তা হাচ্ছাচ্ছেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ইউনূস।

    ইউনূসের সঙ্গে দূরত্ব (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাংলাদেশকে তীব্র অস্থিরতা ও ইসলামিকরণের দিকে নিয়ে গিয়েছেন ইউনূস। এই পর্বে তাঁর পাশে ছিলেন বাংলাদেশের এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ। এখন তাঁরাও ইউনূসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে দেখেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন ইউনূস। এজন্য তাঁকে তিরস্কার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও এ বিষয়ে তাঁর মতামত পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

    নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে

    যদিও সংখ্যায় কম, বাংলাদেশের তরুণদের একটি অংশ এখনই ইউনূস শাসনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। সেটা হয়তো বিরাট কিছু নয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে এটাই কাল হতে পারে ইউনূসের পক্ষে। ছাত্র আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরানোর যে ছক কষা হয়েছিল, তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। হাসিনার অপসারণ এবং ইউনূসকে (Muhammad Yunus) বসানোর পর অনেকেই ভেবেছিলেন দেশ চলবে স্বাভাবিকভাবে। তাঁদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জামাতে ইসলামির মতো সংগঠন, যা আদতে পাকিস্তানের অধীনে কাজ করে, এই সুযোগে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে লেগে পড়ে কোমর কষে।

    ডামাডোলের বাজারে চাকরির অবস্থাও করুণ

    অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ যাঁরা এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছে, তারা সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ করছেন। ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) চাকরির অবস্থাও করুণ। সন্ত্রাসের আবহে ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। এটাই ক্ষোভের সঞ্চার করছে তরুণ মনে। জীবন এবং জীবিকা বিপন্ন হওয়ায় ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরাই ফুঁসছেন ক্ষোভে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই ব্যুমেরাং হতে পারে ইউনূস প্রশাসনের। বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে তাঁর দলের সমর্থন কুড়িয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিএনপি আশা করেছিল, ইউনূসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার দ্রুত সাধারণ নির্বাচন করবে। কিন্তু কোথায় কি! গদি আঁকড়েই বসে রয়েছেন ইউনূস। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে এ বছরের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। ইউনূসের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে বিএনপির ক্যাডারদের মধ্যেও।

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, আমলা-পুলিশ-বিচারপতিদেরও হেনস্থা করা হয়েছে নানাভাবে

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর

    রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে, ইউনূস আমজনতার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, পরিস্থিতি ততই খারাপ হবে। সাধারণ নির্বাচনের পরে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের একটা বিরাট সমস্যার (Bangladesh Crisis) সম্মুখীন হতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে শুধু আইনশৃঙ্খলাই পুনর্বহাল করতে হবে না, পোক্ত করতে হবে অর্থনীতির ভিতও। ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে এগোচ্ছে এবং ঢাকা ক্রমেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে, তাতে আন্তর্জাতিক স্তরে আরওই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ইউনূস প্রশাসন। সেক্ষেত্রে তাঁর বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

    ইউনূস অন্যতম খারাপ নেতা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ইউনূসকে সে দেশের অন্যতম খারাপ নেতা বললেও ভুল বলা হবে না। তাঁর শাসনেই বেড়েছে হিংসার ঘটনা, মাথা তুলেছে উগ্রপন্থীরা, জাতীয় নীতি পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসবাদে। ভারতের বদলে ইউনূস সরকার ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। অর্থনীতিবিদ ইউনূসকে যথন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসানো হয়, তখন (Bangladesh Crisis) সবাই আশা করেছিলেন, দেশের ত্রুটি সংশোধন করে মজবুত করবেন দেশীয় অর্থনীতির ভিত। অথচ হল, ঠিক তার উল্টোটা। নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও ইউনূস বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে। মাত্র কয়েক মাস আগেও যে দেশটিকে বিশ্বের প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তা এখন শুধুই অতীত।

    ব্যর্থতা ঢাকতে ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা?

    ব্যর্থতা ঢাকতে ইউনূস আপাতত ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা নিয়েছেন। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ তিনি পাকিস্তানকে প্রক্সি হিসাবে তাঁর দেশ শাসন করতে দিয়েছেন। প্যারিস-ভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বলেছে যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা চালানো এবং সংগঠিত করা হয়েছে, তা র‌্যাডিকালাইজড ভারত-বিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা। ইউনূস এগুলি (Bangladesh Crisis) প্রতিহত করতে প্রায় কিছুই করেননি। ইউনূস বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। তাঁর সাক্ষাৎকারগুলিতে স্পষ্ট হয় তাঁর ভারত-বিরোধী মনোভাব।

    অথচ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে নয়াদিল্লি অনেক পদক্ষেপ করেছে। ভারতীয় হাইকমিশন এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইস্যু করে। অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভারতে আসছেন। এগুলির দিকে না দৃষ্টি দিয়ে ইউনূস আসলে যে আচরণ করছেন, তা অকৃতজ্ঞের মতো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূস একটি বিপজ্জনক খেলা খেলছেন, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর নিজের দেশকে (Bangladesh Crisis) চরম মূল্য দিতে বাধ্য করবে। খেসারত দিতে হবে স্বয়ং ইউনূসকেও (Muhammad Yunus)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল (India  Maldives Relation)। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মলদ্বীপের সরকার ফেলতে ভারতের কাছে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছিল সেখানকার বিরোধী দল ‘মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি’ (MDP)। যদিও ভারত সেই ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

    মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

    ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ষড়যন্ত্র হয়। মুইজ্জুকে ‘ইমপিচ’ (পদ থেকে সরানো) করার জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। নয়াদিল্লির কাছ থেকে নাকি ৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) চাওয়া হয়। মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পনা ছিল পার্লামেন্টের ৪০ জন সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার। এই তালিকায় ছিলেন মুইজ্জুর নিজের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্যও। যদিও শেষ পর্যন্ত মুইজ্জুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ ভোট জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় বিরোধী শিবির। 

    ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দফায় দফায় ভারতের ‘র’ (RAW) এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক হয় মলদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের। মাসখানেক এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। কারণ পার্লামেন্টে যথেষ্ট পরিমাণ সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি বিরোধী শিবির। তবে এই ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের মদত ছিল কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, দুই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) কর্মকর্তা তাদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। যদিও এই বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    ভিত্তিহীন দাবি

    যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। তিনি বলেন, “মুইজ্জুর বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। এই ধরনের পরিকল্পনার কথা আমার জানা নেই। ভারত কখনও এই ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না। কারণ তারা মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।’’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) ক্ষমতায় আসেন চিন-প্রেমী মইজ্জু। তারপর থেকে তিনি ভারতের ওপর মলদ্বীপের নির্ভরতা কমিয়ে ফেলার বিষয়ে সচেষ্ট হন। মলদ্বীপের বুক থেকে তিনি ৮৫ জন ভারতীয় সৈনিককে সরিয়ে নিতে দিল্লিকে বার্তা দেন। এই বিষয়টিও দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষার জন্য ভারতের সঙ্গে ২০১৯ সালের একটি চুক্তি বাতিল করে মলদ্বীপ। চিনপন্থী মুইজ্জুকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় দু-দেশের মধ্যে। এরপর গত বছর লাক্ষাদ্বীপে ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের আপত্তিকর মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়ে যায় তলানিতে। যদিও গত বছরের শেষ দিকে ভারতের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন মুইজ্জু। দিল্লি সফরেও আসেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই ফের ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) গ্রহণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। ব্যতিক্রম হল না এবারও। প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ অর্থ প্রবাহের জন্য আবারও প্রথম স্থান দখল করল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এর পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    রেমিট্যান্স কী? (Global Remittance Chart)

    প্রশ্ন হল, রেমিট্যান্স কী? বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের দ্বারা স্বদেশে ফেরত পাঠানো অর্থকে রেমিট্যান্স বলা হয়। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিবারের জন্য একটি লাইফলাইনের মতো কাজ করে। এই অর্থপ্রবাহ শুধু পরিবারের আয় বৃদ্ধি করে না, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। ভারত থেকে কর্মসূত্রে যাঁরা বিদেশে যান এবং সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন, তাঁরাই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের হাত ধরে দেশে আসে বিদেশি মুদ্রা। তার জেরে উন্নত হয় দেশের অর্থনীতি। ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়স্বজন, নিকটজনেদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন সেখানে কর্মরতরা। নিজেরা যখন দেশে ফেরেন, সঙ্গে নিয়ে আসেন বিদেশে অর্জিত অর্থ। তাতেই ভরে ওঠে দেশের মুদ্রা ভান্ডারের একটা অংশ।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের নিরিখে অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মোদির ভারত। ২০২২ সালেও ওই তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারত। এর অর্থ হল, ওই বছর বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে দেশে যত টাকা এসেছে, তা অন্য কোনও দেশের ভান্ডারে যায়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২০২২ সালের বিশ্ব মাইগ্রেশন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিদেশে কর্মরত ভারতীয়রা ২০২২ সালে ভারতে (India) যে অর্থ পাঠিয়েছেন, তার পরিমাণ ১১ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। এটাই বিশ্বে সর্বোচ্চ। রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকায় ওই বছর শীর্ষে ছিল ভারত। তার ঠিক পরেই রয়েছে মেক্সিকো, চিন, ফিলিপিন্স এবং ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    শীর্ষে ভারত

    রেমিট্যান্সের (Global Remittance Chart) অঙ্ক ১০ হাজার কোটির গণ্ডি প্রথম ছুঁয়েছে ভারতই। বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। গত ১২ বছরে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালের মতো ২০২৪-এও ভারত রয়েছে রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকার শীর্ষে। প্রবাসী ভারতীয়দের রেকর্ড ভাঙা রেমিট্যান্সের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে মেক্সিকো ও চিন। গত বছর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিপিন্স, ফ্রান্স, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, গুয়াতেমালা এবং জার্মানি। চিনের রেমিট্যান্স প্রবণতা একটি চমকপ্রদ দৃষ্টিভঙ্গী দেয়। ২০০০-এর দশকের শেষভাগে চিন ও ভারতের রেমিট্যান্স ছিল সমান সমান। ২০২৪ সালে ড্রাগনের দেশের শেয়ার কমে গিয়ে ৫.৩ শতাংশে নেমে এসেছে — যা দু’দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

    চিনের পতনের কারণ

    বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, চিনের এই পতনের জন্য দায়ী সে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা। এর জেরেই কম দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের গতি ধীর হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই কমেছে রেমিট্যান্স বাবদ রোজগার। অন্যদিকে, ভারতের রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) শেয়ার ২০০০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। অতিমারীর পরবর্তী বছরগুলিতে এই শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতের রেমিটেন্সের পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও বাংলাদেশের (৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সম্মিলিত বার্ষিক বাজেটের প্রায় সমান। এটি দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মেক্সিকোর রেমিটেন্সের প্রায় দ্বিগুণ। তার রোজগার ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তার আয় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স। পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তার রোজগার ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পাঁচ বছর ধরে সবার ওপরে 

    ২০২০ সাল বাদ দিলে গত পাঁচ বছর ধরে ভারত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়ে আসছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে ভারতে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশ বলে মনে করা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালে ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। ভারত এত বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে যে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রেমিট্যান্স ভারতের ২০২৪ সালের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা বাজেটকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পরিমাণ ছিল ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

    গত ১০ বছরে ভারতের মোট রেমিট্যান্স ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়েছে। বছর বছর এর পরিমাণ বাড়ছে। তাই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত ভারত’, মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বনেতারা

    PM Modi: ‘বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত ভারত’, মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বনেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (PM Modi) জমানায় ভারত (India) একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তামাম বিশ্বের। বৈশ্বিক নেতারা, অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়িক টাইকুনরা সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

    মোদি স্তুতি (PM Modi)

    ২০২৪ সালে, ভারতের বৈশ্বিক মঞ্চে উত্থান দেশের অসাধারণ উন্নয়নকে তুলে ধরেছিল। বিশ্ব ক্রমশই ভারতকে একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবক, এবং স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। বছরের পর বছর ধরে, বৈশ্বিক নেতাদের বিবৃতি এই প্রশংসার ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ফার্স্ট সোলারের সিইও মার্ক উইডমার ২০২১ সালে বলেছিলেন,  ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের উচিত ভারত যা করছে, তা অনুসরণ করা।’’

    জেপি মর্গানের সিইও জেমি ডিমন ২০১৭ সালে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় খুব গ্রহণযোগ্য। তিনি উন্মুক্তমনা এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান। ২০২৩ সালে হাসান আল্লাম হোল্ডিংসের সিইও হাসান আল্লাম প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের বেসরকারি খাত অত্যন্ত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, বিশেষত পরিকাঠামো, প্রযুক্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে।”

    কী বললেন বিশ্ব নেতারা?

    সুজুকি মোটর্সের প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি প্রধানমন্ত্রী মোদির শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদির শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং অবিচল সমর্থনের জন্য উৎপাদন শিল্পে ভারতের গাড়ি বাজার ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। এর ফলে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজারে পরিণত হয়েছে।”

    গিটহাবের সিইও থমাস ডোহমকে বলেন, “যখন (PM Modi) আমি তখনকার ভারত এবং আজকের ভারতের তুলনা করি, একটি অবিশ্বাস্য উদ্দীপনা দেখতে পাই, জিনিসপত্র এগোচ্ছে এবং পরিবর্তিত হচ্ছে। তখন মেট্রো ছিল না, আর এখন আমাদের কাছে একাধিক লাইন রয়েছে। বিমানবন্দর অসাধারণ, আধুনিক এবং পরিচ্ছন্ন। আমি মনে করি, এটি সফটওয়্যার শিল্পে ঘটে চলা পরিবর্তনের প্রতিফলনও। ভারতে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক সফটওয়্যার ডেভেলপার রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং বলেন, “ভারত বিশ্বের সেরা কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের আবাসস্থল। এটি একটি বিশাল সুযোগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি নতুন শিল্প, একটি নতুন উৎপাদন শিল্প যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাই আমি ভারতে (India) গভীরভাবে অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী, যাতে এটি সম্ভব করা যায় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) লেখচিত্র। ভারতীয় অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৬.৫-৬.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এটি সামান্য বেশি অর্থাৎ ৬.৭-৭.৩ শতাংশ হতে পারে। রবিবার এমনই জানিয়েছে ডেলয়েট (Deloitte)।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদ? (Indian Economy)

    ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। কারণ নির্বাচনের অনিশ্চয়তা, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত এবং ভূরাজনৈতিক ঘটনাগুলি দেশীয় চাহিদা এবং রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ভারত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ভোক্তা প্রবণতা, পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, উচ্চ-মূল্যের উৎপাদন রফতানির ক্রমবর্ধমান অংশ এবং মূলধন বাজারের উন্নতি।”

    পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সরকারের লাগাতার মনোযোগ পরিকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন, এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর কেন্দ্রীভূত, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করবে। রুমকি বলেন, “আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী রয়েছি এবং আশা করছি এই আর্থিক বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে এটি সামান্য বেশি, অর্থাৎ ৬.৭ থেকে ৭.৩ শতাংশ হতে পারে।” সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বর্তমান অর্থবর্ষের (Indian Economy) জন্য তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬.৬ শতাংশ করেছে। এটি জুন মাসে প্রদত্ত ৭.২ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ডেলয়েটের মতে, ভারতের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রমাণ উচ্চ-মূল্যের খাতে যেমন ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন রফতানি প্রবৃদ্ধি। এদিকে, গত দেড়-দু’মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগকারীর অর্থপ্রবাহ হ্রাস সত্ত্বেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, যা খুচরো ও দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে সম্ভব হয়েছে। রুমকির পূর্বাভাস, “এই প্রবণতাগুলির অনেকটাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যেখানে গ্রামীণ ও শহর উভয় চাহিদা দ্বারা চালিত অভ্যন্তরীণ ভোগ ভারতের অর্থনৈতিক (Deloitte) প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (Indian Economy)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার নিরিখে এতদিন চিন বিশ্ববাজারে সব থেকে এগিয়ে ছিল। ২০২৪ সাল শেষে তেলের চাহিদার ভিত্তিতে চিনকে ছাড়়িয়ে গেল ভারত (India Beats China)। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস অনুসারে, এই প্রবণতাটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটা জ্বালানি বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

    তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত (India Beats China)

    এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের ম্যাক্রো এবং তেল (Oil) চাহিদা গবেষণার গ্লোবাল হেড কাং উ বলেন, “এই অঞ্চলে ভবিষ্যতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশকে তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত।” এসএন্ডপি গ্লোবাল ডেটা প্রকাশ করেছে। সেই ডেটা অনুযায়ী, ভারতে (India Beats China) তেলের চাহিদা ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে প্রতিদিন ১৮০,০০০ ব্যারেল (বছরের ৩.২ শতাংশ) বেড়েছে। চিনের প্রতিদিন ১৪৮,০০০ ব্যারেলের বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে (বছরে ০.৯ শতাংশ)। ২০২৫ এর দিকে তাকিয়ে, ভারতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধি ৩.২ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে, যা চিনের ১.৭ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালে ভারতে পরিশোধন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান কী বললেন?

    নীতিনির্ধারক এবং শোধনাকারীরা অপরিশোধিত আমদানির উত্স সম্প্রসারিত করে কয়েকটি তেল সরবরাহকারীর (India Beats China) ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা বাড়িয়ে তুলছে। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান অভিষেক রঞ্জন বলেন, “সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আনতে সাহায্য করবে। কিন্তু, বেশি ভলিউমের বৃদ্ধি সামগ্রিক অপরিশোধিত বাজারের ওপর নির্ভর করবে”। ভারত বর্তমানে তার অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে, যা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শেল অয়েল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন পর্যন্ত অনুসন্ধানের সুযোগ আরও প্রসারিত করা। এই মাসের শুরুতে, রাজ্যসভা ১৯৪৮ সালের অয়েল ফিল্ডস (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন সংশোধন করে একটি বিল পাস করেছে, তেল এবং গ্যাস ছাড়াও শেল তেল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ প্রসারিত করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ। ভারত এখনও পিছিয়ে ১১৬ রানে। হাতে রয়েছে আর এক উইকেট। খেলার বাকি আর দু’‌দিন। ম্যাচে ফলাফলের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। তবে বৃষ্টি শনিবার মেলবোর্নে খেলায় দু’‌বার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। চায়ের বিরতির আগে একবার বৃষ্টি হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। আবার তার পর খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ফের বৃষ্টি ও মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়। তৃতীয় দিন আর খেলা হয়নি। মেলবোর্নে শনিবার নীতীশ রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দরের লড়াই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছে নীতীশের লড়াকু শতরান।  অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান। 

    নীতীশের রেকর্ড

    বক্সিং ডে টেস্টে শতরান হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির সঙ্গে একই তালিকায় নাম লেখালেন নীতীশ রেড্ডি (Nitish Reddy)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার দুরন্ত অপরাজিত শতরান হাঁকান অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ অলরাউন্ডার। ২১ বছর ২১৪ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন নীতীশ। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে শুধুমাত্র মেলবোর্নেই শতরান হাঁকানো পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। এর আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে বক্সিং ডে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

    আবেগতাড়িত নীতীশের বাবা বাবা 

    ছেলের সেঞ্চুরি হাঁকানোর মুহূর্তে গ্যালারিতে ছিলেন নীতীশের (Nitish Reddy) বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি।  নীতীশের বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি বলেন, ”আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ স্পেশাল একট দিন। সারাজীবন এই দিনটা আমরা মনে রাখব। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ও রান করে এসেছে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বড় রান পেল। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই মহম্মদ সিরাজকে। ও যখন ৯৯ রানে ব্যাটিং করছে, তখন সিরাজ স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিল। ও সুন্দরভাবে ওভারটা কাটিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ওকে।”

    আপাতত প্রথম ইনিংসে ভারত এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচালেও ম্য়াচ বাঁচানোর সম্ভাবনা কিন্তু এখনও ক্ষীণ বলা যায়। কারণ প্রথম ইনিংসে হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনের সকালে আর কত রান যোগ করতে পারেন নীতীশ বোর্ডে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা, সিরাজ, আকাশ দীপরা কত দ্রুত উইকেট তুলতে পারেন, তারই অপেক্ষায় ভারতীয় সমর্থকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share