Tag: India

India

  • India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি (India GDP Growth) পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে। কারণ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬.৭ শতাংশে। অন্তত এমনই আশার বাণী শোনানো হয়েছে জেপি মর্গানের (JP Morgan) একটি প্রতিবেদনে।  

    জিডিপি বৃদ্ধির গতি ধীর (India GDP Growth)

    ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ৫.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির। বাজারের পূর্বাভাসের চেয়েও অনেকটাই কম। জিডিপি বৃদ্ধির এই মন্দা সাইক্লিক্যাল ফ্যাক্টর দ্বারা চালিত। প্রত্যাশার তুলনায় ভোক্তা ব্যয়, বিনিয়োগ এবং রফতানিতে দুর্বল পারফরম্যান্সই এ জন্য দায়ী (India GDP Growth)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই ধীরগতি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অর্থনীতি ধীর গতি হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছিল।

    নেমেছে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডও

    কোর গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড নেমে এসেছে ৫.৩ শতাংশে। এর মধ্যে অবশ্য কৃষি, সরকারি প্রশাসন এবং ভর্তুকি বাদ রয়েছে। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডের এই পতন গত সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব চেয়ে কম। মানিটারি জিডিপি বৃদ্ধিও (India GDP Growth) ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাও ডিসেম্বর ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত চেয়ে সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স। আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সম্ভাব্য কারণগুলোর উল্লেখ করে জেপি মর্গানের (JP Morgan) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির গড় প্রায় ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলে আমরা আশা করছি। এটা পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৬.৪ শতাংশে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “বিরোধী দল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে”, কংগ্রেসকে তোপ গিরিরাজের

    প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, একটি স্থিতিশীল সরকারি পুঁজি ব্যয় পরিকল্পনা, গ্রামীণ ভোগব্যয়ের অব্যাহত বৃদ্ধি এবং পরিষেবা রফতানির জন্য আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে আরও অনুকূল বৈশ্বিক পরিবেশ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে (India GDP Growth)। তবে, প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তাও। বলা হয়েছে, শহুরে ভোগব্যয় এবং পণ্যের রফতানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

    পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    এনআইএ কী জানাল?

    এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে – ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

    জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

    সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (Arunachal Frontier Highway)। এই হাইওয়ে নির্মাণের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এই হাইওয়েটি ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজ্যের ১২টি জেলাকে সংযোগ করবে। হাইওয়েটি তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধার্য হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    বদলাবে অরুণাচলের ভোল (Arunachal Frontier Highway)

    নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে বদলে যাবে অরুণাচল প্রদেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই রাস্তা তৈরি করছে ভারত। জানা গিয়েছে, এই হাইওয়েটি ভারত-তিব্বত-চিন-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর নির্মিত হচ্ছে। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) তৈরি হচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।

    কোথায় শুরু, শেষই বা কোথায়

    জানা গিয়েছে, হাইওয়েটি বমডিলা থেকে শুরু হবে এবং নাফ্রা, হুরি এবং মোনিগং শহরগুলির মধ্য দিয়ে যাবে। এই এলাকাগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বা ম্যাকমোহন লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) শেষ হবে ভারতের-মায়ানমার সীমান্তের কাছে, বিজয়নগরে গিয়ে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র তথা ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্পের প্রধান সুবাস চন্দ্র লুনিয়া বলেন, “অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের জন্য কেন্দ্র ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এটি ১ হাজার ৬৮৩টি গ্রামকে সংযুক্ত করবে। ম্যাকমোহন লাইনের সমান্তরালে নির্মিত জাতীয় সড়কটি (Arunachal Frontier Highway) নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের মধ্যে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    তিনি জানান, অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার ন্যাশনাল হাইওয়ে-৯১৩ (Arunachal Frontier Highway)-এর ১৯৮ কিমি (তাতো-তুতিং) অংশ নির্মাণের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের পরে বিভিন্ন রাজ্যে বিআরও-এর কাজের জন্য সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ঢের বেশি। লুনিয়া বলেন, “সিয়াং, আপার সিয়াং, ওয়েস্ট সিয়াং এবং শি-য়োমি জেলার পাশাপাশি অসমের ধেমাজি জেলার চারটি সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সড়ক পরিকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলছে।” তিনি বলেন, “ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্প প্রতিষ্ঠার দিন থেকে আজ পর্যন্ত ১৭টি রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৪৯৬ কিলোমিটার (Arunachal Frontier Highway)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে হয়ে গেল ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ওই জোটে যোগ দিয়েছিলেন জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল (TMC)। ছাব্বিশে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। বাম এবং বিজেপির পাশাপাশি এ রাজ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের ঘোষিত শত্রু।

    দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। তাছাড়া, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনও ক্যারিশ্মা দেখাতে না পারায় রাহুল গান্ধীর দলকে আর ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের ছোট কোনও নেতাও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল

    সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ইন্ডি জোটের নেতাদের নিজের বাসভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে সংসদে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে, সেই কৌশল স্থির করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই এবং ডিএমকে-সহ ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কেবল তৃণমূল।

    সোমের পর আজ, বুধবারও ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এদিন দুপুর ১টায় নিজেদের সংসদীয় দলের আলাদা বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।  মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হবে ঘাসফুল শিবির।  এ নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে এদিন (TMC) সংসদ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “বিজেপি, আদানির বিরুদ্ধে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই ঐক্যের বিরোধিতা করতে হবে। ঐক্যের বিরোধিতার যে দাদন, সেটা তৃণমূল নিয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির রইলেও, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মমতা। হেমন্তর দল ইন্ডি জোটের শরিক। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের বৈঠকে হাজির না হয়ে হেমন্তের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তিনি ইন্ডি জোটেই আছেন। তবে তাঁকে বসানো হোক চালকের আসনে।

    একটা আঞ্চলিক দলের হাতে কি ইন্ডি জোটের স্টিয়ারিং তুলে দেবে কংগ্রেস? উঠছে প্রশ্ন (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শীর্ষস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে অসামান্য জয়ের পরেই চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে এল ভারত। অস্ট্রেলিয়া নেমে গেল দ্বিতীয় স্থানে। পারথ টেস্ট (Perth Test) ভারত জিততেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) পয়েন্ট টেবলেও হল বড় বদল হল।

    পয়েন্ট তালিকায় কে কোথায়?

    প্রসঙ্গত, বিগত ১৫টি টেস্টের মধ্যে (Perth Test) নটি টেস্ট জিতেছে ভারত। পাঁচটিতে হেরেছে, একটি হয়েছে ড্র। এই মুহূর্তে ভারতের পয়েন্ট ১১০। অন্যদিকে পয়েন্টের শতাংশ হল ৬১.১১। প্রসঙ্গত, পয়েন্ট শতাংশের ওপর নির্ভর করেই স্থির হয় কোন দুটি দল ফাইনাল খেলবে। নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষে যে দুই দল থাকবে, তারাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে। বিগত দুইবারই ফাইনাল খেলেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ১৩টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছে ও চারটিতে হেরেছে। একটি টেস্ট ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৯০ এবং পয়েন্টের শতাংশ ৫৭.৬৯। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় স্থানে (Perth Test) থাকা অস্ট্রেলিয়ার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আরও তিনটি দল। তিন নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টের শতাংশ হল ৫৫.৫৬। চার নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে তাদের পয়েন্টের শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৪.৫৫। পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টের শতাংশ ৫৪.১৭।

    সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম দুই স্থানে থাকলেও ফাইনাল খেলবে নাকি এই দুই দল, সে নিয়ে নিশ্চিতভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তার কারণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ভারতের পয়েন্ট শতাংশ সত্তরেরও বেশি ছিল। পরপর তিনটি টেস্টে হারে ভারত। এরপর টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্টের শতাংশ ৬০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এখনও চার টেস্ট বাকি (Perth Test) রয়েছে। এই সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: দুর্দান্ত কামব্যাক টিম ইন্ডিয়ার! পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানে হারাল ভারত

    India: দুর্দান্ত কামব্যাক টিম ইন্ডিয়ার! পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে চুনকাম হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে দূর্দান্ত কামব্যাক করল টিম ইন্ডিয়া (India)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথে প্রথম ইনিংসে ব্যাপক ভরাডুবি হয় ভারতের। মাত্র দেড়শো রানে শেষ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। এরপর ভারতের বোলারদের সামনে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াও। ১০৪ রানেই শেষ হয় অজিদের ইনিংস। বুমরা সিরাজদের বোলিংয়ে আগুন ঝরে। এরপরে দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখা যায় ভারতীয় ব্যাটারদের। যশস্বী-বিরাটরা রানের পাহাড় গড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ডিক্লেয়ার দেয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৫৩৪ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা রেখে। প্রথম টেস্টে খেলেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চোটে বাদ পড়েছেন ক্রিকেটার শুভমন গিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথের মাঠে নামতে হয় ভারতকে, যেখানে অসিরা কোনও দিন হারেনি। পরিস্থিতি পুরোটাই ছিল ভারতের বিপক্ষে। এই আবহে চাপ বাড়ছিল গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলির ওপরে। তবে চার দিন পরে হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়লেন ভারতের ক্রিকেটাররা।

    পারথ টেস্ট ভারত (India) জেতে ২৯৫ রানে

    দ্বিতীয় ইনিংসে ফের একবার বুমরা-সিরাজদের বোলিংয়ের সামনে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। চা-পানের বিরতি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেট খুইয়ে তোলে ২২৭ রান। এরপরে ২৩৮ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। পারথ টেস্ট ভারত (India) জেতে ২৯৫ রানে। বুমরা-সিরাজ প্রত্যেকেই তিনটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন সুন্দর নেন দুটি উইকেট। হর্ষিত রানা ও নীতীশ রেড্ডি একটি করে উইকেট নেন।

    ভরসা হয়ে উঠছেন যশস্বী

    ভারতীয় (India) ব্যাটিং লাইনআপে ইতিমধ্যে ভরসা হয়ে উঠছেন তরুণ ওপেনার যশস্বী। দেশ-বিদেশের সব পিচে সমানভাবে স্বচ্ছন্দ তিনি। পারথের দ্রুতগতির পিচে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) জোরে বোলারদের সামলে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার পরিচয় দিলেন যশস্বী। ১৬১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। ২৯৭ বলের ইনিংসে ১৫টি চার এবং ৩টি ছয় রয়েছে। সুইং বলের মোকাবিলা করলেন ব্যাক ফুটে খেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হল ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের (India Russia Relation) গাঁটছড়া। সমুদ্রপথে এবার নয়া করিডর (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) ব্যবহার শুরু করল দুই দেশ। এতদিন রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করতে বা সেদেশে পণ্য রফতানি করতে হলে ভারতকে পার হতে হত সুয়েজ খাল। এই খাল সদা ব্যস্ত। ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এড়াতে নতুন ‘বাইপাস’ ব্যবহার শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এতে লাভ হচ্ছে দু’দিক থেকে। একদিকে, যেমন এড়ানো যাবে জ্যাম, তেমনি অন্যদিকে ফাঁকায় ফাঁকায় অল্প সময়েই পৌছে যাওয়া যাবে পুতিনের দেশে। তাতে কমবে পরিবহণ খরচ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া এই বাইপাস চালু হওয়ায় আরও পোক্ত হবে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। ভারতীয় অর্থনীতিতে এটি হয়ে থাকবে একটি মাইলফলক।

    ‘সাগর মন্থন’ (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)

    গত ১৮ নভেম্বর ‘সাগর মন্থন’ সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ পরিবহণ এবং জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর পুরোপুরিভাবে চালু হয়েছে। এই বাইপাস ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পণ্য পরিবহণও। সুয়েজ খাল ধরে ইউরোপে বাণিজ্য করতে যেতে জাহাজগুলির সময় লাগে ৪০ দিন। এরই বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল নয়া এই সামুদ্রিক করিডর। এর ফলে রাশিয়া যাতায়াতে কমবে সময়, বাঁচবে খরচ। এতদিন ধরে ভারত ইউরোপের সঙ্গে জলপথে যে বাণিজ্য করত, তা হত সুয়েজ খাল ধরে (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)। এই পথে বাণিজ্য করতে গেলে পাড়ি দিতে হয় ৮ হাজার ৬৭৫ নটিক্যাল মাইল। 

    কমবে সময়, অর্থ খরচ

    সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মিশরের হাতে। তাই এ পথে বাণিজ্য করতে হলে মোটা টাকা ফি দিতে হয় মিশরকে। এর পরিমাণ নেহাত কম নয়, জাহাজপিছু প্রায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর ব্যবহার করলে আর এই কড়ি গুণতে হবে না। শুধু তাই নয়, নয়া সামুদ্রিক করিডর ধরে যদি কোনও জাহাজ রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে পৌঁছতে চায়, তার সময় লাগবে ১৬ থেকে ২০ দিন। চেন্নাই থেকে এই বন্দরের দূরত্ব ৫ হাজার ৬৪৭ নটিক্যাল মাইল। তাই স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগবে কম। রাশিয়ার শহর (India Russia Relation) ভ্লাদিভস্তকের কৌশলগত গুরুত্ব বিস্তর। এখানেই রয়েছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর থেকে চিনের দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। এই পথেই যাতায়াতের কালে পার হতে হবে জাপান সাগর, দক্ষিণ চিন সাগর, মলাক্কা প্রণালী, বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান ও নিকোবরের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক এলাকা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।

    অনায়াস যোগাযোগ

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকাও। সেসব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। এবং সেই জীবাশ্ম জ্বালানি আসছে নয়া আবিষ্কৃত সামুদ্রিক করিডর বেয়ে। রাশিয়া থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও আসছে এই সমুদ্রপথে। আবার ভারত থেকে রাশিয়ায় চলে যাচ্ছে চা, বস্ত্র, ফার্মা, মেশিনের যন্ত্রপাতি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী। এই সামুদ্রিক করিডর চালু হওয়ার সুবিধা অনেক। ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গেও যোগাযোগ হবে অনায়াস। ফলে এই দুই জায়গা থেকেও সিভিএমসির মাধ্যমে অনায়াসেই রফতানি সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া যাবে রাশিয়া-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

    রেয়াত করতে হবে না কাউকেই

    এহ বাহ্য। মিশরের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আবার ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক অম্লমধুর। তাই অদূর ভবিষ্যতে যদি চিনের কথায় মিশর ভারতের জন্য সুয়েজ খালের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন আর বিপাকে পড়তে হবে না ভারতকে। কারণ বিকল্প রুট তার খোলাই রয়েছে। তাই সুয়েজ-নির্ভরতা কমালে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। সেক্ষেত্রে আর মিশর কিংবা চিন কাউকেই আর রেয়াত করে চলতে হবে না ভারতকে। নয়া আবিষ্কৃত করিডর দিয়ে ভারত বাণিজ্য করবে নিজের শর্তেই। এসব বিষয় মাথায় রেখেই দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প পথের সন্ধান (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) করে চলেছিল নয়াদিল্লি। শেষমেশ মিলল বিকল্প রুটের সন্ধান। এই পথে বাণিজ্য করলে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। ভারতের পাশাপাশি গতি আসবে রুশ অর্থনীতিতেও।

    আরও পড়ুন: ‘‘এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন’’, অধিবেশন শুরুর আগে তোপ মোদির, নিশানায় কারা?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনওয়াল বলেন, “এই সামুদ্রিক করিডরের মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন করে সংজ্ঞায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে (India Russia Relation) পশ্চিমের আধিপত্য এবং ঐতিহ্যগত সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরতা কমাতে পেরেছি আমরা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • India-Australia Refueling Pact: মাঝ-আকাশেই ভারতের বিমানে জ্বালানি ভরবে অস্ট্রেলিয়া, স্বাক্ষরিত নয়া চুক্তি

    India-Australia Refueling Pact: মাঝ-আকাশেই ভারতের বিমানে জ্বালানি ভরবে অস্ট্রেলিয়া, স্বাক্ষরিত নয়া চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-আকাশেই এক বিমান থেকে অন্য বিমান জ্বালানি সরবরাহ করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India-Australia Refueling Pact)। বাইশ গজে দুজনের মধ্যে লড়াই যতই কঠিন হোক না কেন আসলে দুই দেশই একে অপরের ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্বের মর্যাদা রেখেই ভারত অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এক নয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। সেই চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্স বা ব়্যাফ, উড়ান চলাকালীন মাঝ-আকাশেই এক বিমান থেকে অন্য বিমান জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে।

    নয়া চুক্তি এক মাইলফলক

    সম্প্রতি আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে আলাদা করে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অস্ট্রেলিয়ার (India-Australia Refueling Pact) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট কনরয়। লাওসে আয়োজিত ওই বৈঠকে নয়া চুক্তি সম্পাদনের কথা ঘোষণা করেন রাজনাথ ও কনরয়। সংশ্লিষ্ট চুক্তির আওতায় ব়্যাফের এয়ার-টু-এয়ার জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান, কেসি ৩০এ-র মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর বিমানে জ্বালানি ভরা যাবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তাদের মতে, এই চুক্তি ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সমারিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক তৈরি করল।

    সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি উড়ান চলাকালীনই মাঝ-আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে যে কোনও যুদ্ধবিমানের কার্যক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, সেই বিমানকে আর জ্বালানি ভরার জন্য মাটিতে নামতে হয় না। ফলে তার উড়ানের পরিসর বিস্তৃত হয়ে যায়। এই চুক্তি অনুযায়ী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর পি-৮১ নেপচুন নজরদারি বিমানে জ্বালানি ভরতে পারবে কেসি-৩০এ। গত ১৯ নভেম্বর নয়া দিল্লিতে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত বায়ু সেনা আধিকারিকদের বৈঠকেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন এয়ার ভাইস-মার্শাল হার্ভে রেনল্ডস। তিনি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

    নয়া চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ

    ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া (India-Australia Refueling Pact) এই দুই দেশই কোয়াডের সদস্য। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দুই রাষ্ট্রশক্তি যৌথভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছে। এমনকী, বিভিন্ন সময় যৌথ মহড়া-সহ অন্য়ান্য কর্মসূচিও পালন করেছে।  ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নয়া চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Trumps Cabinet: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    Trumps Cabinet: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Cabinet)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা নিয়েই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই প্রস্তুতি-পর্বই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের বুকে।

    ট্রাম্প প্রশাসনে কারা (Trumps Cabinet)

    তাঁর মন্ত্রিসভায় যাঁরা জায়গা পাবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিলিয়নিয়র, আগ্রাসী বক্তা, ইন্দো-মার্কিন এবং কিছু ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিত্ব। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, পাকিস্তান হয়ত আমেরিকার বিদেশ নীতির অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। তবে ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডির নীতিনির্ধারকরা এ খবরে অবাক হয়েছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা জায়গা পাচ্ছেন সেদিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন তাঁরা। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তান মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতার ভারত এবং ইসলামাবাদ সম্পর্কিত বিবৃতিগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প প্রশাসনে জায়গা পাচ্ছেন মার্কো রুবিও, জন রেটক্লিফ এবং মাইক ওয়াল্টজ। এই তিনজনই চিন বিরোধী কঠোর অবস্থানে অনড়। এঁরা বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করেন। এই চিন আবার পাকিস্তানের ‘সব মরশুমের বন্ধু’। ফলে, পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে একটি কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।

    গুরুত্বপূর্ণ পদ

    ট্রাম্প ইতিমধ্যেই (Trumps Cabinet) তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান এবং বিদেশ ও প্রতিরক্ষা সচিবদের নিয়োগ করেছেন। এই পদগুলি পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ববাসীর কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এবার দেখে নেওয়া যাক, ট্রাম্প প্রশাসনে যাঁরা ঠাঁই পাবেন, পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁরা কীরূপ মনোভাব পোষণ করেন।

    মাইক ওয়াল্টজ

    মাইক ওয়াল্টজকে দেখা যেতে পারে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে। পাকিস্তান সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিনি পরিচিত। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়াল্টজ মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য। সফর করেছেন আফগানিস্তান ও পশ্চিম এশিয়া। পাকিস্তান যাতে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাই পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলেছেন তিনি।

    তুলসী গ্যাবার্ড

    ট্রাম্প তুলসী গ্যাবার্ডকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক পদে মনোনীত করেছেন। এই পদে যিনি বসেন, তিনি পরিচালনা করেন ১৮টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এবং সিআইএ-ও। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্যাবার্ডের মনোনয়ন পাকিস্তানের পক্ষে স্বস্তিদায়ক নাও হতে পারে। গ্যাবার্ড প্রাক্তন ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিতে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের হয়ে গলাও ফাটিয়েছেন। তুলসী ভারত-প্রেমী হিসেবেই পরিচিত। সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে তিনি বরাবর ভারতের পাশে থেকেছেন। ইসলামাবাদকে তার মাটি থেকে জঙ্গি হুমকির মোকাবিলা করার জন্য বলেছিলেন তুলসী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। তার আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভয়াবহ আক্রমণ করেছিল জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতেই এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। পাকিস্তান কীভাবে আল-কায়দার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাও জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যা নিয়ে ‘মানহানিকর প্রচার’, কানাডাকে কড়া জবাব ভারতের

    মার্কো রুবিও 

    সেনেটর মার্কো রুবিও বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞ। তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিদেশমন্ত্রীর পদে মনোনীত হয়েছেন। প্রেসিডেন্টের প্রধান বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দেশের শীর্ষ কূটনীতিকও হয়েছিলেন। তিনি নেতৃত্ব দেবেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের। বৈঠক ও বিশ্ব ব্যাপী নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। এই রুবিও জুলাই মাসে মার্কিন সেনেটে একটি পাকিস্তানবিরোধী এবং ভারতপন্থী বিল প্রস্তাব করেছিলেন (Trumps Cabinet)। চিনের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাড়তি প্রভাব মোকাবিলায় ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট দুটি দেশের প্রতিরক্ষা জোটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত হয়েছিল। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগে সহযোগিতার সঙ্গে এটি এও সুপারিশ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আমেরিকান নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করুক। আমেরিকার উচিত প্রযুক্তিগত স্থানান্তরের দিক থেকে ভারতকে ইউএস চুক্তি সহযোগী এবং ন্যাটো দেশগুলির মতোই বিবেচনা করা (Trumps Cabinet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Slams Trudeau Govt: নিজ্জর হত্যা নিয়ে ‘মানহানিকর প্রচার’, কানাডাকে কড়া জবাব ভারতের

    India Slams Trudeau Govt: নিজ্জর হত্যা নিয়ে ‘মানহানিকর প্রচার’, কানাডাকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার ট্রুডো সরকারকে ফের একহাত নিল ভারত! দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এমনিতেই তলানিতে। এমতাবস্থায় বুধবার কানাডার একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘উদ্ভট’ উল্লেখ করে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (India Slams Trudeau Govt)।

    কানাডিয়ান সংবাদপত্রে অভিযোগ (India Slams Trudeau Govt)

    ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার (Nijjar Killing) ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জয়সওয়াল এই অভিযোগকে ‘মানহানিকর প্রচার’ বলে অভিহিত করেছেন। কানাডার এক সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে, অজ্ঞাত কানাডীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন।

    মুখের মতো জবাব ভারতের

    এরই প্রেক্ষিতে জয়সওয়াল বলেন, “কানাডার একটি সরকারি সূত্র থেকে সংবাদপত্রে দেওয়া এমন উদ্ভট বিবৃতিগুলি যথাযথ অবজ্ঞার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এ ধরনের মানহানিকর প্রচার কেবল আমাদের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে।” গত জুনে (India Slams Trudeau Govt) ভ্যাঙ্কুভারে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি তথা কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ, নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত ছিল।

    আরও পড়ুন: “গালওয়ানের মতো ঘটনা এড়ানো উচিত”, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বললেন রাজনাথ

    তিনি দাবি করেন, এই বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য গোয়েন্দা সহযোগীদের, যার মধ্যে আমেরিকাও রয়েছে, শেয়ার করা হয়েছিল। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কানাডা ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা এবং অন্যান্য কূটনীতিকদের নাম উল্লেখ করে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে। এরই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভারত তাঁদের ফিরিয়ে আনে। কানাডিয়ান চার্জ দ্যা’ফেয়ার্স স্টুয়ার্ট হুইলার-সহ পাঁচ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নয়াদিল্লি।

    নিজ্জর, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্সের মূল পরিকল্পনাকারী, দিল্লির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিদের একজন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্জাবে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যাও। নিজ্জরকে (Nijjar Killing) ধরতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে বলে ঘোষণাও করেছিল (India Slams Trudeau Govt) জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share