Tag: India

India

  • Iran Pakistan: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে স্পিকটি নট ইরানের প্রেসিডেন্ট

    Iran Pakistan: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে স্পিকটি নট ইরানের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেবেছিলেন ইসলামি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় পাশে পাবেন ইব্রাহিম রাইসিকে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সেই চেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। পাক প্রধানমন্ত্রীকে প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুলে নষ্ট করবেন না ভারতের সঙ্গে ইরানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (Iran Pakistan)।

    ব্যর্থ পাকিস্তান (Iran Pakistan)

    বেকারত্ব, দারিদ্র-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের কর্তাদের মূল লক্ষ্যই হল, জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে খেলতে হবে কাশ্মীর তাস। নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান এবং শেহবাজ শরিফ-সহ পাকিস্তানের একাধিক প্রধানমন্ত্রী গদি ধরে রাখতে বারংবার খেলে গিয়েছেন এই কাশ্মীর তাস। বিশ্বের দরবারেও নানা সময় তাঁরা ইস্যু করতে চেয়েছেন কাশ্মীরকে। কখনও মুখ পুড়ছে, কখনও আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে পাক প্রশাসনের কর্তাদের সেই প্রচেষ্টা। সোমবারও ফের একবার অবতারণা হল সেই দৃশ্যের (Iran Pakistan)। তিনদিনের পাকিস্তান সফরে এসেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম।

    নীরব ইরানের প্রেসিডেন্ট

    সোমবার যৌথ সাংবাদিক সম্মলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে ভারতের কাশ্মীরের যোগসূত্রে টেনে আনেন। পরক্ষণেই ইরানের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনি এবং ইরানের নাগরিকরা কাশ্মীর ইস্যুতে সোচ্চার হবেন।” কিন্তু দেখা গেল, এ বিষয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট। কাশ্মীর ইস্যুতে নীরব থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে ইসলামি দেশ ইরানের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা তিনি কোনওভাবেই নষ্ট হতে দেবেন না। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সম্প্রতি প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত ও ইরানের যে বার্তালাপ হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই কাশ্মীর ইস্যুতে নীরব থাকাই শ্রেয় বলে মনে করলেন ইব্রাহিম।

    আরও পড়ুুন: “টাকা ফেরত না দিয়ে “চাকরি চোর” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন”, বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    গত বছর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইরানকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভারত ও ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ইরানের রাজধানী তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ভারত ও ইরানের মধ্যে রয়েছে সহস্রাব্দের দীর্ঘ ইতিহাস। এই সম্পর্ক যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার কারণ ঐতিহাসিক ও সভ্যতার দৃঢ় বন্ধন। তাই ইরানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পিপল টু পিপল বন্ধন অটুট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উচ্চস্তরের আলাপ-আলোচনা চলবে বলেও জানানো হয়েছিল সেই বিবৃতিতে (Iran Pakistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Economy: আগামী বছরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    Indian Economy: আগামী বছরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন অচিরেই ভারতের জায়গা হবে বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) দেশের তালিকার তিন নম্বরে। প্রধানমন্ত্রীর কথা যে নিছক গালগল্প নয়, তার ইঙ্গিত মিলল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কথায়ও। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই জাপানকে হঠিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি জাপানের জিডিপির চেয়ে একলপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে।

    জাপানকে টপকাবে ভারত! (Indian Economy)

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী, আগামী বছরের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৪.৩৩৯৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময় জাপানের জিডিপি দাঁড়াবে ৪.৩১০৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মনে রাখতে হবে, গত বছর জাপানের জিডিপিকে দমিয়ে দিয়েছিল জার্মানি। এবার মোদির ভারত যদি টপকে যায় জাপানকে, তাহলে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পাঁচ নম্বরে চলে আসবে (Indian Economy) জাপান। এখন এই জায়গায় রয়েছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৭ সালের মধ্যে জার্মানিকেও টপকে যাবে ভারত। সেক্ষেত্রে বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ভারতের স্থান হবে তৃতীয়, বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশ আমেরিকা ও চিনের ঠিক পরেই। 

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভবিষ্যদ্বাণী

    ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কও চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী যে নিছক অমূলক নয়, তার প্রমাণ মেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কথায়ও। তারাও জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশের মধ্যে ক্রমাগত চাহিদা বাড়তে থাকায় এবং দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বৃদ্ধির দরুন জিডিপি বাড়বে বলেই আশা আইএমএফের।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ ছিল”, তোপ মোদির

    সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে আইএমএফ জানিয়েছে, ভারত বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এশিয়া অ্যান্ড পেসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “ভারত এমন একটি দেশ যার স্ট্রং গ্রোথ রেট ৬.৮ শতাংশ। এই ভবিষ্যদ্বাণী আমরা ভারতের ’২৪, ’২৫ অর্থবর্ষের জন্য করেছিলাম। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির একটি (Indian Economy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভোটের তিনদিন আগেই পাহাড়ে শিবির বদল! রাজুকে সমর্থনের বার্তা বিনয় তামাংয়ের

    Darjeeling: ভোটের তিনদিন আগেই পাহাড়ে শিবির বদল! রাজুকে সমর্থনের বার্তা বিনয় তামাংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২৬ এপ্রিল দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ভোটগ্রহণ। তার আগে বিজেপিকে (BJP) সমর্থন জানালেন পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং (Binay Tamang)। শেষ পাঁচ মাস তিনি কংগ্রেস দলের সদস্য ছিলেন। এরই মাঝে কংগ্রেস (Congress) দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেন বিনয়। ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে তিনি জানালেন দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে (Raju Bista) তিনি সমর্থন করবেন।

    কী বললেন বিনয় তামাং?

    একটি ভিডিও বার্তা জারি করে বিনয় তামাং বলেছেন, “এখন দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। এই প্রেক্ষিতে আমি সমর্থন করছি বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। পাহাড়ের মানুষের কাছে বলব আপনারাও তাঁকে সমর্থন করুন। যা পরিস্থিতি তাতে দিল্লিতে আবার নরেন্দ্র মোদির সরকার আসবে। এ কথা নিশ্চিত দুবছর পর রাজ্য ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। তাই সব দিক বিবেচনা করে রাজু বিস্তাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা অনেকদিন আগেই খন্ড খন্ড হয়ে গেছে। সোমবার রাতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিনয়। সমর্থকরা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ্রহ জানান। এরপরই বিনয় জানান, “আমি রাজু বিস্তাকে সমর্থন করবো। সংগঠনের নেতারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল তৃণমূল ছাড়া যাকে খুশি সমর্থন করা যেতে পারে।”

    টিকিট না পেয়ে কি কংগ্রেস ত্যাগ?

    প্রসঙ্গত পাহাড়ে আন্দোলন চলাকালীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদস্য ছিলেন বিনায় তামাং। তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তৎকালীন সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন। পাহাড় থেকে বিমলের পলায়ন পর্বের পর উত্থান হয় বিনয় তামাং-এর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে হন জিটিএ প্রধান। তবে তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি তাঁর। মাস পাঁচেক আগে অধীর চৌধুরীর হাত থেকে পতাকা নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। অবশেষে কংগ্রেসের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হল তাঁর। অন্যদিকে বিনয় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল তাঁকে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডের ঘনিষ্ঠ তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মুনীশ তামাংকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। মুনীশকে প্রার্থী করার পরেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন বিনয়। শেষ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করলেন।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    রাজু বিস্তারের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়ল

    কংগ্রেস সূত্রের খবর পাহাড় এবং সমতলের পরিচিত মুখ বিনয়কে প্রার্থী চেয়ে দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠান হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতিতে বদল আসে। হামরো পার্টির অজয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা ভিপি সিং, পবন খেরা এবং গোলাম আহমেদ মীর। মুনীশ গোর্খা পরিসংঘের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পরেই অজয় ইন্ডিয়া জোটের শরিক হয়ে যান। এই পরিস্থিতিতে বিনয় শিবির তখনই কংগ্রেসের থেকে নিজেদের দূরত্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করেছিল। এমনিতেই প্রত্যেকবার পাহাড়ে কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। বিনয় তামাং কংগ্রেস থেকে সরে আসায় কংগ্রেসের ভোট নোটার তুলনায় কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমদিকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ধাক্কা কাটিয়ে রাজু বিস্তা পাহাড়ের রাজনীতির বেশ কয়েকটি মুখকে সঙ্গী করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন বিনয় শিবির রাজু বিস্তারের সমর্থন করায় রাজুর জয়ের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    Sandeshkhali: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বিভিন্ন অভিযোগের সিবিআই তদন্তে মামলার সংখ্যা শতাধিক হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ও আশপাশের অঞ্চলে ত্রাস হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan)। মহিলাদের আন্দোলনের চাপে গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান এবং অনুগামী শিবু-উত্তম সহ আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী। একই সঙ্গে শতাধিক অভিযোগের মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য বেআইনি অর্থ লগ্নী সংস্থা সারদার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রাজ্যজুড়ে ১৯৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু এবার সন্দেশখালিতেই মোট মামলা এখনই শতাধিক। আগামী দিনে আরও মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

    শতাধিক অভিযোগ জমা

    প্রসঙ্গত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের কাছ থেকে সিবিআইকে সরাসরি অভিযোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সিবিআইকে ইমেইল আইডি এবং অ্যাপের মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার এই ইমেইল আইডি ও অ্যাপ থেকে নেওয়া অভিযোগ মিলিয়ে মামলার সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তে এক তদন্তকারী অফিসার বলেছেন, “৫ জানুয়ারি ইডির (ed) অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপরে হামলার ঘটনার পর ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীরা। তখন থেকেই সন্দেশখালীর এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, খুন, খুনের চেষ্টা, মারধর, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো অভিযোগ দায়ের হতে শুরু করে। এমনকী বিভিন্ন গ্রামে শিবির খুলে বসিরহাট জেলা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করা শুরু করেছিল। কিছু অভিযোগের নিষ্পত্তি অবশ্য পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের তরফে তৎক্ষণাৎ করা হয়েছিল।” অন্যদিকে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শাহজাহানের দুই সাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লাকে হেফাজতে নিলেন ইডি আধিকারিকেরা। যেহেতু তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাই তাঁদের ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা ও বিভিন্ন সম্পত্তিগত বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

    আরও পড়ুনঃ এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    সারদা মামলার সঙ্গে যোগ

    প্রসঙ্গত বছর দশেক আগে বেআইনি অর্থ লগ্নী সংস্থা সারদার ২৪০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রাজ্যজুড়ে ১৯৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেখানে শুধু সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্তমানে। তবে এত মামলা একসঙ্গে হলে তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারদার ক্ষেত্রে ১৯৬টি মামলা একজোট করে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ১১ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সারদার পাঁচটি মামলা এখনও চলছে। এই মামলাগুলিতে এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী একজন ডিআইজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে এবং আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।

    লুক আউট নোটিশ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় এবার শেখ শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, “আমাদের আশঙ্কা তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। সিরাজের বিরুদ্ধে জমি দখল করে ভেড়ি বানানো, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন সহ শেখ শাহজাহানকে বিভিন্ন মামলায় সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারীরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিরাজুদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AC Bill: এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    AC Bill: এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্যদেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের অস্বাভাবিক তেজে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে বাংলা। আর এই নাজেহাল করা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই একমাত্র সম্বল এসি (AC-Air Conditioner)। গরমকাল আসতেই এসির উপর নির্ভরতা বেড়েছে অনেক বেশি। কিন্তু সব সময় এসি চালানোয় বেলাগামভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিলও (AC Bill)। তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিদ্যুৎ বিল। কিন্তু কীভাবে কমাবেন বিদ্যুৎ বিল জানেন?

    আয়ত্তে রাখা যাবে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)

    আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই কয়েকটি পদ্ধতি মেনে এসি চালিয়েও আয়ত্তে রাখা যাবে বিদ্যুৎ বিল।

    ১। এসির (air conditioners) সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে ঠান্ডা হাওয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেক্ষণের জন্য এসি চালানোর দরকার পড়বে না।

    ২। সব সময় চেষ্টা করতে হবে এসির তাপমাত্রা যেন কখনই ২০ ডিগ্রির কম না থাকে। তাপমাত্রা বেশির দিকে থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)।

    ৩। এসির ফিল্টারে নোংরা থাকলে হাওয়া আটকে যায়। ফলে এসি চললে ঘর ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অবশ্যই এসির সার্ভিসিং করাতে হবে। 

    ৪। দিনের বেলায় অল্প কিছু সময় চালিয়ে জানলায় পর্দা দিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকবে দীর্ঘক্ষণ। অন্যদিকে রাতে সারারাত এসি না চালিয়ে ঘুমানোর আগে এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে পাখা চালিয়ে ঘুমানো যেতে পারে। তাতে রাতভর ঘর ঠান্ডা থাকবে। আর এসির বিদ্যুৎ বিলও (AC Bill) কম আসবে।

    ৫। সব সময় এসি না চালিয়ে টাইমার সেট করা যেতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট সময় এসি চললে বেশি বিদ্যুৎ বিল আসার আশঙ্কা কমে।

    আরও পড়ুনঃ “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    বারবার এসি অন-অফ নয়

    এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলার পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। মেনে চললেই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)। অনেকেই মনে করেন বারবার এসি অন অফ করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় কিন্তু বারবার এসি অন-অফ করবেন না। বারবার এসি অন অফ করার ফলে এসির কম্প্রেসারের উপর চাপ তৈরি হয়। কম্প্রেসার বারবার ঠান্ডা হয়। তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা (temperature) কমালে ৩ থেকে ৪ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি এসি কখনই ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে রেখে চালাবেন না। পরিবর্তে ২৬ থেকে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে এসি চালান। এর ফলে বিদ্যুতের বিল (AC Bill) এক ধাক্কায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • USA Bans TikTok: ভারতের পর আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক! বিল পাশ মার্কিন সংসদে

    USA Bans TikTok: ভারতের পর আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক! বিল পাশ মার্কিন সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। এবার সেই একই পথে পা বাড়াল আমেরিকাও। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করতে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের সভায় বিল পাশ করল জো বাইডেন সরকার (US Banned TikTok)। রবিবারই পাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত বিলটি। দেশের নিরাপত্তার কারণেই টিকটক ও তার সত্বাধিকারী চিনা সংস্থা বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে হোয়াইট হাউস।

    নিষিদ্ধ হতে চলেছে টিকটক (US Banned TikTok)

    মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে পাশ হওয়ার পরে এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমেরিকায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে টিকটক। তার পর আর টিকটক কিংবা বাইটড্যান্সের সঙ্গে আর ব্যবসায়িক লেনদেনও করতে পারবে না কোনও মার্কিন সংস্থা। এদিন ৩৬০-৫৮ ভোটে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে পাশ হয় হয় বিলটি (US Banned TikTok)। বিলটির বিপক্ষে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই তরুণ প্রজন্মের। রাজনীতির খবরাখবর নিতে ও মতামত ব্যক্ত করতে তাঁরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক দুই দলই বাইডেন প্রশাসনের প্রশংসা করেছে। এই দুই দল এবং মার্কিন আইনপ্রণেতারাও বলছেন, দেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে টিকটক। কারণ চিন তার ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ইউজারের ডেটা ভাগ করতে বাধ্য করতে পারে।

    টিকটকের বক্তব্য

    হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে বিলটি পাশ হতেই আপত্তি জানিয়েছে টিকটক। বিলটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘এত নাগরিকদের মত প্রকাশের অধিকার খর্ব হবে’। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর বার্তাও দিয়েছেন টিকটকের সত্বাধিকারী। চলতি বছরের শেষের দিকে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নানারকমভাবে চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নানা সংবাদপত্রে। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা হতে পারে বলে খবর ছড়ায়। তার পরেই মার্কিন আধিকারিকদের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয় টিকটক ম্যানেজমেন্টকে। শেষমেশ টিকটককে নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয় বাইডেন সরকার।

    আরও পড়ুুন: শতাব্দীর ওপর ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে খবর। ইউরোপিয় ইউনিয়ন কমিশনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অ্যাপ (টিকটক) ইউজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের হামলায় মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার। তার পরেই টিকটককে নিষিদ্ধ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেবল টিকটক নয়, এই ফেজে ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছিল আরও প্রায় এক ডজন চিনা অ্যাপকে (US Banned TikTok)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    Aligarh Muslim University: ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা উপাচার্য পেল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU)। ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ আসনে বসলেন। এএমইউ-এর (Aligarh Muslim University) উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন। আগামী পাঁচ বছর তিনিই এই পদে থাকবেন। শিক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে সই করেন। নিয়োগপত্র পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় এএমইউ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নাইমা খাতুনকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (woman Vice-Chancellor) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাইমা খাতুনকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন।” ভোট চলাকালীন যেহেতু এখন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি রয়েছে, তাই এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও (ECI) অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কমিশন শর্ত আরোপ করে জানিয়েছে, “এই নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রচার হবে না এবং এর থেকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ শতাব্দীর ওপর ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা

    উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা (Naima Khatoon), এখান থেকে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সেই বিভাগেই লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে প্রফেসর হন। এরপর ২০১৪ সালে ওমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দেন। প্রসঙ্গত এর আগে ১৯২০ সালে এএমইউ-তে আচার্য হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন বেগম সুলতান জাহান। সেই সময় তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা আচার্য। আর এবার প্রথম মহিলা উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিয়াচেন (Siachen) ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই বললেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Ministar)। সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সিয়াচেনে পৌঁছে তিনি বেস ক্যাম্পে (Siachen base camp) বীর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধে পুস্তস্তবক অর্পণ করে সাহসী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    কী বললেন রাজনাথ?

    রাজনাথ সিং পৌঁছতেই জওয়ানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ প্রতিধ্বনিতে সিয়াচেন মুখরিত করে তোলেন। এরপর সেখানকার বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মিষ্টিমুখও করেন তিনি। এরপর রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেন কোনও সাধারণ জায়গা নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধ্যাবসার প্রতীক। আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সিয়াচেন। আমাদের রাজধানী দিল্লি, মুম্বই আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, আমাদের প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু, কিন্তু সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী।”

    আরও পড়ুনঃহাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    ৪০ বছর পূর্ণ ‘অপারেশন মেঘদূত’

    জানা গেছে, এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সাথে এদিন সাক্ষাত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিয়াচেনকে রক্ষা করে ‘অপারেশন মেঘদূত’ মিশনের মাধ্যমে। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে ‘অপারেশন মেঘদূত’ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই স্মৃতির উদযাপনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সিয়াচেন পরিদর্শন। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেখানে সৈন্যদের তুষারপাত (snowfall) এবং প্রবল ঝড়ের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে দেশকে রক্ষা করতে টিকে থাকতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আওয়াজ তুলেছেন। দেশ ক্রমেই এগোচ্ছে ডিজিটাল যুগের দিকে। প্রত্যাশিতভাবেই চাহিদা বাড়ছে স্মার্ট ফোনেই (Recruitment News)। হাতের মুঠোয় একটা স্মার্ট ফোন থাকলে বাড়িতে বসেই সেরে ফেলা যাবে দুনিয়ার সব কাজ। এহেন আবহে ভারতে চাহিদা বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের।

    পাঁচ লাখ কর্মী নিয়োগ

    এই চাহিদা সামাল দিতেই মোদির দেশে এই ফোনের উৎপাদন বাড়াতে চাইছে সংস্থা। ভেন্ডরদের দিয়েই বাড়নো হবে উৎপাদন। আশা করা যাচ্ছে, তার জেরে আগামী তিন বছরের মধ্যেই ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। রবিবার সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ভারতে বর্তমানে (Recruitment News) অ্যাপলের কর্মী রয়েছেন দেড় লাখের কাছাকাছি। এঁরা কর্মরত টাটা ইলেকট্রনিক্সের দুটি প্ল্যান্টে। প্রবীণ এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অ্যাপল ভারতে কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।” জানা গিয়েছে, মোটামুটিভাবে আগামী তিন বছরের মধ্যে এ দেশে তারা নিয়োগ করবে পাঁচ লাখ কর্মী। মূলত তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমেই নিয়োগ করা হবে এঁদের।

    কত ফোন উৎপাদন

    মার্কিন এই ফোন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে টাটা ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে। কোম্পানির এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ভারতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি দ্রুত কাজ করতে চাইছে।” যদিও অ্যাপলের তরফে অফিসিয়ালি এনিয়ে মুখ খোলা হয়নি। ক্রমেই ভারতে বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের উৎপাদন। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থা ভারতে উৎপাদন পাঁচ গুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার পরিমাণ প্রায় ৩.৩২ লাখ কোটি।

    আরও পড়ুন: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি অ্যাপল কর্মীদের জন্য বাড়িও বানিয়ে দিতে চলেছে। এ দেশে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এর সিংহভাগই হবে তামিলনাড়ুতে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এর সংখ্যা ৫৮ হাজার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় তৈরি হবে ওই বাড়ি। বাড়ি তৈরির খরচের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার ও অ্যাপল (Recruitment News)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার পেট্রাপোল (Petrapole Border) পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver)। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বনগাঁ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দরে এদিন তৈরি হল এক ইতিহাস। নারীর প্রগতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। 

    মহিলা ট্রাকচালকের পরিচয় (Lady Truck Driver)

    বন্দর সূত্রে খবর, ওই মহিলা ট্রাকচালকের (Lady Truck Driver) নাম অন্নপূর্ণা রানি রাজকুমার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা তিনি। রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ তামিলনাড়ুর ওই মহিলা ছয় চাকার একটি কন্টেনার ট্রাক নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) যান। সেই সময় বন্দরে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি। সাইনি বলেন, “পেট্রাপোল বন্দরের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গেলেন। তাঁর জন্য বন্দরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল।”

    পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং সম্পাদকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “গত ১৯ শে মার্চ পেট্রাপোলে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের সদস্য রেখা রায়কর কুমার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও (Lady Truck Driver) সমানভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাতে যেতে পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে। সেই মতোই রবিবার সকালে প্রথম কোনও মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে পাড়ি দিলেন।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মহিলা চালকদের ট্রাক চলাচলে বিশেষ নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। আগামী দিনে এই পেশাতেও মহিলাদের প্রাধান্য দেখা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ “এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গেছেন”, মমতাকে তোপ দিলীপ ঘোষের

    জানানো হল অভ্যর্থনা

    উল্লেখ্য প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর (Petrapole Border) দিয়ে যে পণ্যবাহী ট্রাক যায়, এত দিন সেই সমস্ত ট্রাকের চালক ছিল পুরুষ। তবে এবার সেই রেকর্ড ভাঙল। এই প্রথম বার কোনও মহিলা ট্রাকচালক পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গেলেন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) হিসেবে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ায় বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সব মিলিয়ে এদিনের এই পদক্ষেপ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করল বলেই মনে করছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share