Tag: India

India

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্থানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয় দানের প্রসঙ্গে ভারত কানাডা (Canada) কূটনৈতিক বিবাদ চরম আকার ধারন করেছে। এই আবহে প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক মাইকেল রুবিনের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা এদিন বিবৃতি দেন, ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি।’’ পাশাপাশি তাঁকে বলতে শোনা যায়,  ‘‘ভারত কানাডার লড়াই হল পিঁপড়ে ও হাতির লড়াই।’’

    কী বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক

    এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন বলেন, “সত্যি কথা বলতে গেলে এই লড়াইতে ভারতের চেয়ে কানাডার (Canada) বিপদ অনেক বেশি। এখন কানাডা যদি যুদ্ধটা চালিয়ে যায়, তাহলে পিঁপড়ে হাতির সঙ্গে লড়াই করলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটাই হবে।” কানাডার থেকে ভারত যে আমেরিকার বেশি ভাল বন্ধু, সেকথাও এদিন বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক বলেন, “এটা মনে রাখতে হবে যে চিন ইস্যুতে কৌশলগত দিক থেকে কানাডার (Canada) চেয়ে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। সেটা বন্ধ করতে গেলে ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা একেবারেই উচিত হবে না।” পাশাপাশি এদিন জাস্টিন ট্রুডোকেও তুলোধোনা করেন মাইকেল রুবিন। প্রসঙ্গত, সেদেশে ট্রুডো ব্যাপকভাবে জনসমর্থন হারিয়েছেন। সেখানকার সংবাদপত্রগুলির প্রতিবেদনে তা বলাও হয়েছে। এই আবহে সমর্থন ফেরাতে শিখ উগ্রপন্থীদের আশ্রয়দানের অভিযোগও উঠেছে ট্রুডোর বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রুবিন বলেন, ‘‘ওনার প্রধানমন্ত্রীত্ব (ট্রুডো) আর বেশি দিন নেই। উনি চলে যাওয়ার পর আমেরিকার সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক আবার ভাল হবে।’’

    ভারত-কানাডা কূটনৈতিক বিবাদ 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জুন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে হত্যা করা হয় কানাডায় (Canada)। এই ঘটনায় কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের যোগের কথা বলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশ থেকে বহিষ্কারও করে কানাডা। পাল্টা হিসেবে এদেশে থাকা কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে দিল্লি। এ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভারত শেষ পর্যন্ত কানাডার (Canada) ভিসাও বাতিল করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলনে আসছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে কথা আগেই জানিয়েছে চিন। এবার এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে বিবৃতি দিতে শোনা গেল চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে। চিনের দাবি, ভারতের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাদের মতবিরোধ হয়তো রয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক স্থিতিশীল। নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এমনই বিবৃতি দিলেন চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিংকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সামগ্রিক ভাবে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি ২০ (G20) বৈঠকে যোগ দেবেন।’’

    জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

    মঙ্গলবারও চিনা প্রেসিডেন্টের জি ২০ সফরে না আসার প্রসঙ্গ ওঠে হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে। আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান এই প্রসঙ্গ তোলেন। ভারত-চিনের সীমান্ত সংঘাত জি ২০ সম্মেলনে প্রভাব ফেলবে কিনা, সেই উত্তরে সালিভানের মন্তব্য, “বিষয়টি চিনের উপর নির্ভর করছে। যদি চিন (সম্মেলনে) আসতে চায় এবং পণ্ড করার ভূমিকা নিতে চায়, সেই বিকল্পও তাদের হাতেই রয়েছে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের কাজে অখুশি কমিউনিস্ট নেতারা? 

    জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বেইদাইহের একটি সমুদ্রতীরবর্তী রিসর্টে। এই সম্মেলনের সমস্ত কিছুই গোপন থাকে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিউনিস্ট পার্টির একদল প্রাক্তন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে ধমক খেয়েছেন শি জিনপিং। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন সে দেশের প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতারা। তাঁদের বার্তা হল, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতা যদি এই ভাবেই চলতে থাকে, তবে কমিউনিস্ট পার্টি জনসমর্থন হারাতে পারে। যা শাসকের কাছে হুমকির কারণ হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, বহির্বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হয়েছে এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির প্রগতি ময়দানে তৈরি করা হয়েছে ভারত মণ্ডপম (Bharat Mandapam)। ১২৩ একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই সম্মেলন কক্ষ। আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর এখানেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদান করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে আরও প্রায় ২৫ টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। দেশের রাজধানী দিল্লিতে এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত সকল প্রতিনিধিদের ভারত সম্পর্কে নানা অনুভূতির স্বাদ জ্ঞাপক বিষয় দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে জানা গেছে। ভারত মণ্ডপমের প্রত্যেক দেওয়াল এবং কক্ষে ভারতের সংস্কৃতির পরিচয় বাহক নানা বিষয় দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

    ভারত মণ্ডপমে কী কী রয়েছে (Bharat Mandapam)?

    নবনির্মিত ভারত মণ্ডপমে (Bharat Mandapam) ১৮ তম জি ২০ সম্মেলনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লি তাই বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলন কক্ষ ভারত মণ্ডপমের উদ্বোধন করেছিলেন। জি ২০ মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পের উন্মোচন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আনুমানিক প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ হয়েছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্র। এই মণ্ডপ হল বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর কেন্দ্র। এখানে রয়েছে কনভেনশন সেন্টার, অ্যাম্ফিথিয়েটার, ১৬ টি ভাষার দোভাষী কক্ষ, ভিডিও স্ক্রিনিং করার বিশাল দেওয়াল। এছাড়াও রয়েছে অকুপেন্সি সেন্সর সহ লাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডেটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের আধুনিক ব্যবস্থা। ভারতের জি ২০ সভাপতিত্বের সব থেকে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্রে।

    দিল্লির যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত থাকবে

    জি ২০ (Bharat Mandapam) সম্মেলনে আগত প্রতিনিধির সংখ্যা কয়েক হাজার। রাজধানীতে প্রতিনিধিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য, প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে বলে জানা গেছে। ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লির বেশিরভাগ শপিং মল, রেস্তোরা, বাজার, হোটেল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলকলেজ এবং অফিসগুলিকে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকেই চালানোর কথা বলা হয়েছে। কেবল মাত্র দিল্লির বাসিন্দাদের প্রবেশ এবং বহির্গমনে বাধানিষেধ থাকছে না। তবে দিল্লির বাইরের বাসিন্দাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ থাকছে। প্রয়োজনে আগে থেকে পাশ নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। দিল্লির বাস, মেট্রো পরিষেবা চালু থাকলেও তা সীমিত ভাবে চালানোর কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Competition) ভারতের বড়সড় সাফল্য। ৬ সদস্যের ব্রিজ খেলোয়াড়রা ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিলেন। ৩১ বছরের নিচে এই ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০১৮ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী দলের সদস্য শিবনাথ দে সরকার।

    চিনকে হারিয়ে জয়ী ভারতীয় দল (Bridge Competition)

    একটা সময় বলা হত, তাস পাশা সর্বনাশা। কিন্তু এখন আর তা বোধহয় বলা যাবে না। কারণ, এই খেলাকে ভরসা করে ভারতের ঝুলিতে আসছে একের পর এক আন্তর্জাতিক পদক। গত ২৮ শে জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বসেছে বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতা (Bridge Competition)। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছেন। ভারত থেকেও এই প্রতিযোগিতার জন্য বড়সড় দল পাঠানো হয়। সোমবার ফাইনালে ৬ জন বাঙালি খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দল চিনকে ৮ পয়েন্টে হারিয়ে দেয়। এরপরই তাদের গলায় ওঠে ব্রোঞ্জের পদক। এত বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতে খুশি কোচ এবং খেলোয়াড়রা।

    কীভাবে হয়েছিল বাছাই পর্ব (Bridge Competition)?

    গত জুন মাসে এই ছ’ জনের ব্রিজ টিমের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে। ব্রিজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই বাছাই হয়। কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মুম্বই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৬ জনকে বাছাই করা হয়। তাঁরাই এবার মেডেল নিয়ে আসেন। দুই প্রতিযোগী সায়ন্তন কুশারী ও সাগ্নিক রায় বলেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপিয়ান দেশগুলি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন ব্রিজ খেলায় যথেষ্ট পারদর্শী। কিন্তু তার পরেও তাদেরকে পিছনে ফেলে তাঁরা ব্রোঞ্জ জিতে নিয়েছেন। লকডাউনের পর ব্রিজ খেলায় (Bridge Competition) অনেক প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছেন। এই খেলা আরও জনপ্রিয় হয়েছে।

    কী বললেন এই দলের কোচ (Bridge Competition)?

    ২০১৮ য় এশিয়ান গেমসে গোল্ড মেডেলিস্ট ব্রিজ খেলোয়াড় শিবনাথ সরকার বলেন, একটা সময় এই তাস খেলা বা ব্রিজ খেলাকে জুয়া বলে গণ্য করা হত। এটা যে আসলে জুয়া নয়, একটি বুদ্ধিমত্তার খেলা, সেটাই তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন (Bridge Competition)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    Gilgit Baltistan: ট্যুইটারে গিলগিট-বালতিস্তানকে ভারতের অংশ দেখানো হচ্ছে, দাবি বাসিন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গিলগিট-বালতিস্তানকে (Gilgit Baltistan) ভারতের অংশ হিসাবে দেখাচ্ছে ইলন মাস্কের ট্যুইটার। যা নিয়ে রীতিমতো প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এ। পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, যদি ওই অঞ্চলের কোনও নাগরিক ট্যুইটারে লগ-ইন করছেন তখন তাঁর লোকেশন জম্মু ও কাশ্মীর দেখানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছেন গিলগিটের বাসিন্দারা?

    গিলগিটের (Gilgit Baltistan) রহিমবাদের বাসিন্দা জনৈক ইয়াসির হুসেন বলেন, ‘‘আমি গিলগিটের বাসিন্দা, ট্যুইটারে কোনও রকম ট্যুইট দেখা যাচ্ছেনা, উপরন্তু গিলগিটকে ভারতীয় অংশ বিসাবে দেখানো হচ্ছে।’’ তার দাবি, পাকিস্তান সরকারের অবিলম্বে সক্রিয় হওয়া দরকার এবং গোটা বিষয়টি ট্যুইটারকে জানানো উচিত। বালুচিস্তানের অপর এক বাসিন্দা করিম সাহ নিজারিরও একই বক্তব্য। তাঁর মতে, ‘‘যখনই ট্যুইটারে লোকেশন সেট করতে যাচ্ছি তখন পাকিস্তানের কোনও অপশন দেখা যাচ্ছেনা, শুধুই জম্মু ও কাশ্মীর দেখাচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, তিনি আদপে ইয়াসিন ভ্যালির বাসিন্দা হলেও দেখানো হচ্ছে তিনি ভারতের বাসিন্দা। পাকিস্তানের এক প্রযুক্তিবিদের মতে, এটা আসলে টেকনিক্যাল কোনও সমস্যার কারণেই হচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের টেলিকম সংস্থা জানাচ্ছে, এই ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং তেমন কিছুই ধরা পড়েনি।

    চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতে বন্ধ হয় পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারতে বন্ধ হয়েছে পাকিস্তান সরকারের ট্যুইট অ্যাকাউন্ট। এখন কোনও ভারতীয় ব্যক্তি যদি ট্যুইটারে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্ট সার্চ করেন, তাহলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে – ‘অ্যাকাউন্ট উইথহেল্ড’ বার্তাটি।  এর আগে ২০২২ সালের জুলাই ও অক্টোবর মাসে পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত বলা দরকার, ট্যুইটারের গাইডলাইন অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বা সরকারের তরফে কোনও আইনি পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে টুইটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করল ভারত। তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ভারতে ৮৯.৫ মিলিয়ন ডিজিটাল ট্রানজাকশন (Digital Payments) হয়েছে। বিশ্বে যে সেরা ৫ টি দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়েছে ২৯.২ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশনের পরিমাণ ১৭.৬ মিলিয়ন। চার নম্বরে রয়েছে, থাইল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া।

    ডিজিটাল ট্রানজাকশনে জোর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ডিজিটাল স্টার-এর উপর জোর দিয়েছেন। বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ডিজিটাল ট্রানজাকশনে ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। তার একটা বড় কারণ অবশ্যই মোবাইল ইন্টারনেট ডেটার মূল্য অনেকটাই সস্তা। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হচ্ছে। ডিজিটাল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যালু এবং ভলিউম দুটি ক্ষেত্রেই ভারত কিন্তু সমান্তরাল ভাবে উন্নতি করছে দ্রুতগতিতে। যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট ভারতের পেমেন্ট সিস্টেম খুবই মজবুত এবং সহজ ভাবে ব্যবহারযোগ্য।

    ডিজিটাল পেমেন্টের অনুকূল পরিবেশ

    গত ৬ জুন গুগল, টিমাসেক এন্ড বেন এন্ড কোম্পানি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর ইকোনমি ২০২৩ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরই ভারতের ইন্টারনেট ইকোনমি ১ ইউএসডি ট্রিলিয়নে পৌঁছে যাবে। সহজ এবং সুষ্ঠু ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) সুবাদে কনজিউমার এবং মার্চেন্টের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ও বোঝাপড়া গড়ে উঠছে। তার ফলে ভারতে ইন্টারনেট ইকোনোমি আরও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা

    দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমকে আরও মজবুত করে তোলার জন্য গত বছর অক্টোবরে ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও থেকে বলা হয়েছিল, এইসব ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে কোনও প্রান্ত থেকে সহজেই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, পাসবুক প্রিন্ট করা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিটের মতো একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, লোনের জন্য আবেদন, চেক পেমেন্ট বাতিল করার নির্দেশ, ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট সহজেই করা যাবে এই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির মাধ্যমে। এর ফলে উপভোক্তার সময় শুধু বাঁচবে না, আর্থিক দিক থেকেও অনেক সুবিধা মিলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-এর নাম শোনেননি, এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছেন। বিভিন্ন সময় নানা চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)। এই জায়গা ঘিরে আছে অসংখ্য রহস্য এবং অলৌকিক ঘটনা। এই জায়গাকে ঘিরে বিভিন্ন ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। আটলান্টিক মহাসাগরে ৩টি স্থানের কাল্পনিক বিন্দুকে যোগ করে এই ত্রিভুজাকৃতি জায়গাটি গড়ে উঠেছে। এখানে সময় যেন থমকে যায়। বিভিন্ন বড় বড় জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান এই অঞ্চলে একবার এলেই নিমেষের মধ্যে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ পাওয়া যায় না কোনও ভাবেই। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হন পাইলট থেকে জাহাজের নাবিকরা। এখানে কাজ করে না কম্পাস, নিজের তালে ঘুরতে থাকে দিকনির্ণয় যন্ত্রগুলি! ফলে অনায়াসে দিক ভুল করে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান ও জাহাজ। এই জায়গাতে এমন কেন হয়, এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, যা আজও গবেষণার বিষয়। কিন্তু এই আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ছাড়াও আমাদের বাংলারই প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতে আছে এমন এক ট্রায়াঙ্গল, যা বারমুডার থেকে ভিন্ন নয়। এখানেও ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। কেন হয় এবং কীভাবে হয়, তা আজও রহস্য।

    কোন কোন অঞ্চলকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)?

    আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের (Bermuda Triangle) মতো ভারতেও ওড়িশার আমারদা রোড বিমানঘাঁটি, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার পিয়ারডোবার কাছে তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে একটি কাল্পনিক বিন্দু দিয়ে ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে ঘটে গেছে অনেক বিমান দুর্ঘটনা। কিন্তু কেন শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই এমন হয়, সেই যুক্তি হুবহু বারমুডার সাথে মিলে যায়। সেই দিকভ্রষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা, সব যেন এক।  এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে এই অঞ্চলেই। এই অঞ্চলের কিছু বিমান দুর্ঘটনা মানুষকে, বিজ্ঞানকে বার বার ভাবিয়েছে।
    এখানে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৪ সালের ৪ মে, মার্কিন লিবারেট যুদ্ধবিমান এবং হার্ভার্ড দ্য হাভিল্যান্ড-এই বিমান দুটি যখন আমারদা রোড বিমানঘাঁটির কাছে এসে পৌঁছায়, তখন মুখোমুখি মারাত্মক সংঘর্ষ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান দুই বিমানে উপস্থিত মোট চারজন অফিসার। আবার এর ঠিক তিনদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ই মে একই জায়গাতে আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আরেকটি লিবারেটর যুদ্ধবিমান সেখান থেকে টেক অফ করে এবং কুড়ি মিনিটের মধ্যে সেখানে ভেঙে পড়ে। আরও অবাক হতে হয় ওই একই সপ্তাহের মধ্যে ১৩ই মে আমারদা রোড থেকে আরেকটি বিমান টেক অফ করার পরে সেখানে ভেঙে পড়ে। সেটি ছিল একটি হাভিল্যান্ড বিমান। কিন্তু এই দুর্ঘটনাতে কেউ মারা যায়নি।
    এখানেই শেষ নয়, আবার ১৯৪৫ সালের ২৬ শে জুলাই এই অঞ্চলে সব থেকে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। চার ইঞ্জিনের দুটি বোমারু বিমান ব্রিটিশ রয়াল যুদ্ধবিমান B-24  লিবারেটর ওই একই স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জন অফিসারের। সম্প্রতি ২০১৮ সালে আবার ওই অঞ্চলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরেকটি বিমান। সব থেকে অবাক করা বিষয়, তখন আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার। বিমানের কোনও যান্ত্রিক গণ্ডগোলও ছিল না। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যু হয়নি।

    কেন এমন হয় শুধুমাত্র এই অঞ্চলে (Bermuda Triangle)? 

    শেষবার যে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে, সেই বিমান চালক প্রাণে বেঁচে যান এবং তাঁর দেওয়া বর্ণনা শুনে আঁতকে ওঠেন সবাই। বিমান চালকের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর বিমানটি যখন আমারদা বিমানঘাঁটির (Bermuda Triangle) ওপর এসে পৌঁছায়, তখন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে প্লেনটি, যেন কোনও অদৃশ্য শক্তি টেনে নামিয়ে আনছে বিমানটিকে। অথচ তাঁর বিমানে কোনও সমস্যা ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি দেখলেন, বিমানটি একদম মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে। তিনি তৎক্ষণাৎ বিমান থেকে লাফ দেন এবং নিচে পড়ে যান। তাঁর কোনও রকম ক্ষতি না হলেও বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন কেন হয়, এই নিয়ে সবার মধ্যে অনেক বিতর্ক আছে। 
    বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যত দুর্ঘটনা এই আমারদা বিমানঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই। এই বিমানঘাঁটির কাছাকাছি একটি জায়গা আছে ঝাড়খণ্ডের জাদুগোরা ইউরেনিয়াম খনি। সেখানে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবেই হয়তো বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। বিমানের  র‌্যাডার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আবার কেউ কেউ বলেন, আমারদা বিমানঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় আছে বিশাল এক চৌম্বক ক্ষেত্র, যা বিমানকে টেনে নিচে নামিয়ে আনে এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
    কিন্তু এসব যুক্তি এখনও প্রমাণিত নয়, কোনও গবেষণা এখনও এসব প্রমাণ করতে পারেনি। কেউ কেউ মনে করেন, সরকারি গবেষণায় হয়তো এর কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি সরকার থেকে গোপন রাখা হয়েছে। কেননা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই বিষয়ে গবেষণা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাই হোক, এই অঞ্চল আজও রহস্যে ঘেরা। অনেক অজানা বিষয় আছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। হয়তো ভবিষ্যতে রহস্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদান (Sudan Crisis) থেকে ভারতীয়দের (India) উদ্ধার কাজ শুরু হল। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রপ্রসাদ জয়সওয়াল, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। তার পরেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২টি দেশের ৬৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও রয়েছেন।

    দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে (Sudan Crisis) উদ্ধার কাজ…

    সৌদি আরব মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ জন সৌদি নাগরিক নিরাপদে পৌঁছেছেন। কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, কানাডা এবং বুরকিনার ৬৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদানে (Sudan Crisis) যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের আকস্মিকভাবে সরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। সেনাবাহিনী ও আধাসেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। দু পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০০ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের জেরেই সুদানে (Sudan Crisis) শাসন ক্ষমতা হাত বদল হয়েছিল। সেবার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। ডাগলো ছিলেন সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর আরএসএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ ও ডাগলো কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রশি, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানা গিয়েছে, সুদানে বিপন্ন ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে তৎপর প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে সুদানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share