Tag: India

India

  • Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নীতির কারণেই গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে একথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতে (India) প্রতিনিধি সীমা পূজানি। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তোলে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের দাবি, নয়াদিল্লির কারণেই তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই ইস্যুতে জবাবের অধিকার প্রয়োগ করে এদিন কড়া জবাব দেন সীমা পূজানি। তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানে কোনও সংখ্যালঘু (Minority Rights) মানুষ মুক্তভাবে তাঁর ধর্মাচরণ করতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, পাকিস্তানের নীতির জন্যই তামাম বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সীমা বলেন, গত এক দশকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৮ হাজারের বেশি অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    সংখ্যালঘুর অধিকার (Minority Rights)…

    সীমা বলেন, বর্তমান সময়ে পাক নাগরিকরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেদিকে আদৌ নজর নেই পাক সরকারের। উল্টে সব সময় ভারতকে নিয়েই পড়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতকে নিয়ে কতটা আবিষ্ট হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, আসলে বর্তমান সময়ে নিজেদের অগ্রাধিকার বোঝার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে ইসলামাবাদ। তিনি বলেন, পাক নেতৃত্বকে আমার উপদেশ, এই সব ভিত্তিহীন প্রচার বাদ দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের সুখ-দুঃখ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    কিছু দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রতিনিধি (Minority Rights)। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন। এদিন এ প্রসঙ্গে সীমা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের অযাচিত মন্তব্য আমরা অগ্রাহ্য করছি। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং চিরকালই থাকবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান বেআইনিভাবে ভারতের এলাকা দখল করে রেখেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় নাম না করে ভারতকে আক্রমণ করেন হিনা। আমাদের প্রতিবেশী (Minority Rights) দেশে বিপুল পরিমাণে প্রথা বহির্ভূত অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এর জেরই গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পরমাণু অস্ত্রের দিকে বারবার ঝুঁকেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • China Plus One: চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা পাচ্ছে ভারত! জানেন কী এই নীতি?

    China Plus One: চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা পাচ্ছে ভারত! জানেন কী এই নীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে চিন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে বহু সংস্থা। এসব কোম্পানির বিনিয়োগ টানতে সমর্থ হচ্ছে ভারত। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারত এবং ভিয়েতনামকে বেছে নিচ্ছে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোম্পানি। রফতানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে দেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা ভোগ করছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশ্ব বাজারে চায়না প্লাস ওয়ান হওয়ার দৌড়ে ক্রমাগত এগিয়েও চলেছে  ভারত। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সুফল পাচ্ছে দেশ।

    বিকল্প ভারত

     সম্প্রতি ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে অতিক্রম করেছে।  “ভারত বিশাল পরিবর্তনের সামনে” তা বলেছেন ইনফোসিস কর্তা নন্দন নিলেকানি। তাঁর দাবি, ভারত দ্রুত হাজার হাজার স্টার্টআপ, কয়েক বিলিয়ন স্মার্টফোন এবং ডেটা রেটকে তুলে ধরতে পারে। সাপ্লাই-চেইন বিশ্লেষকরা বলছেন, “চিন-প্লাস-ওয়ান” নীতির জন্য বিভিন্ন সংস্থা চিনের পরিবর্তে ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইছে। অনেক দেশ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথাও বলেছেন। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে খুব শীঘ্রই বড় বাজি ধরবে ভারত, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মর্গ্যান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ভারত এই দশকে বিশ্ব সম্প্রসারণের পঞ্চমাংশ চালাবে। ভারত বার্ষিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে $400 বিলিয়নেরও বেশি উপার্জন করতে পারে। দেখা গিয়েছে, ভারতের সেনসেক্স সূচক গত ত্রৈমাসিকে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    আরও পড়ুুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    শুরুটা করেছিল আমেরিকা। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি ৩৪০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্কারোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর থেকেই বাড়তি শুল্কবোঝা এড়াতে চিন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে ভিয়েতনামে। তারপর রয়েছে ভারত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো। ভারতের উন্নয়নের প্রচেষ্টায় আস্থা রেখে এর আগে ২০১৮ সালেই দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কারখানা খোলে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। এখন ভারতে আইফোন-১৪ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যাপল ইনকর্পোরেশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন (Armed Struggle) ভারতে (India) অহিংস আন্দোলনের সাফল্যের ভিত্তি ভূমি রচনা করেছিল। বুধবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অহিংস আন্দোলনের ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। আমি বলছি না যে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অহিংস আন্দোলনের কোনও ভূমিকা নেই। অবশ্যই এই আন্দোলনের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

    অমিত বচন…

    তিনি বলেন, কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণাটা ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন, আলাদা আলাদা আদর্শে বিশ্বাসীরা নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আসলে সকলের মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। অমিত শাহ বলেন, দেশ প্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। সশস্ত্র আন্দোলন এবং বিপ্লবীরা কখনও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্ব পাননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের একটা নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে তার একটা অবদান রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সশস্ত্র আন্দোলন গুরুত্বহীন ছিল।

    আরও পড়ুুন: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    অমিত শাহের (Amit Shah) মতে, স্বাধীনতার যুদ্ধে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন অবশ্যই বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্য বিপ্লবীরা গুরুত্বহীন। তাঁর অভিযোগ, আমাদের এমনভাবে ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, বোঝানো হয়েছে, যাতে অনেকের অবদান উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেস নিজেদের অবদানকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাতে চেয়েছে বলে মনে করেন শাহ। তাই এই যুদ্ধে আরও যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁরা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। এদিন শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন সম্পর্কে যাঁদের বলার কথা ছিল, তাঁরা পুরো গল্প বলেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা বলেননি যে ভগৎ সিংকে যেদিন ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেদিন লাহোর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত মানুষ এতই আঘাত পেয়েছিলেন যে তাঁরা সেদিন বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান। অপরদিকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বুধবার ৯ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দলই পৌঁছাতে পারবে ফাইনালে।

     ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই ধুকছিল। নিউজিল্যান্ড প্রথম দল যে সেমিফাইনালে সবার আগেই পৌঁছাতে পেরেছিল। নেট রানরেটের নিরিখে গ্রুপেরও টপার হয়েছেন নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে উঠে গিয়েছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের নিরিখে পিছিয়ে থাকায় এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।২০১৬ সালে সেমিফাইনালে আটকে গেলেও নিউজিল্যান্ড ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলেছিল যদিও ম্যাচে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। 

     

    এবারের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ও ২.১১৩ নেট রানরেট ছিল কিউইদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে টেবিলের তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট ছিল -০.৩০৪। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান দল প্রথম ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে হারায় প্রথম থেকে টুর্নামেন্ট থেকে পিছিয়ে পড়ছিল। পরবর্তীতেও বিরাট সুযোগ হারিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ান দল।কারণ গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচে নেট রানরেট বাড়ানোর দুর্দান্ত সুযোগ ছিল অজিদের সামনে। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও আয়ারল্যান্ডকে ১৩৭ রান তুলতে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪২ রানে হারানোয় নেট রানরেট তেমন বাড়েনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে   বিরাট ব্যবধানে জিতলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা থাকত কিন্তু মাত্র ৪ রানে আফগানিস্তানকে হারানোয় সেমিফাইনালে পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রানরেট নিয়ে +০.৫৪৭ সহজেই সেমিফাইনালে পৌছে গিয়েছে।

    অপরদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজ সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ষষ্ঠবার সেমিফাইনালে উঠল পাকিস্তান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর মাত্র ২ বার সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। এবার গ্রুপ থেকে ছিটকে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য জয়ের ফলে পাকিস্তানের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ আসে। আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগে সদ্ব্যবহার করেছেন বাবররা।

    নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যে দল জিতত, সেই দলই সেমিফাইনালের টিকিট পেত। সেই পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে উঠে গিয়েছে পাকিস্তান। 

     

    আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে মাত্র ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের সুবাদে সহজেই সেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোতে পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই জিতে যান বাবররা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিবের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আম্পায়ার তাঁকে লেগ বিফোর দেন।সাকিব রিভিউও নেন। রিপ্লে-তে ধরা পড়ে ব্যাট ক্রিজে লাগার আগে ব্যাটে বল লেগেছে। তৃতীয় আম্পায়ারও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। প্রথম বলেই সাকিব ফিরে যায়। বাংলাদেশের টিমে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে আর তেমন উল্লেখযোগ্য রান নেই।
    শুধু ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন। তবে পাকিস্তানেরও কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। অধিনায়ক বাবর আজম ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। তবে সকলের সৌজন্যে ১৮.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান। ফাইনালে পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিয়ার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের অপেক্ষায় রইল ক্রিকেট প্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Maruti Suzuki:যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাজার কয়েক হাজার গাড়ি থেকে তুলে নিল জনপ্রিয় এই কোম্পানি

    Maruti Suzuki:যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাজার কয়েক হাজার গাড়ি থেকে তুলে নিল জনপ্রিয় এই কোম্পানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সবচেয়ে বড়ো গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি মারুতি সুজুকি(Maruti Suzuki) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় ৯ হাজারের বেশি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই এই গাড়িগুলি  বাজারে ছেড়েছিল মারুতি।
    সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই গাড়িগুলির পিছনের ব্রেক অ্যাসেম্বলি পিনের সম্ভাব্য ত্রুটি সংশোধন করতে এই গাড়িগুলিকে রিকল করা হয়েছে।

    এই গাড়িগুলোর পিছনের চাকায় ব্রেকে ত্রুটি রয়েছে। পিছনের ব্রেকের অ্যাসেম্বলি পিনটি সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি চালানোর সময় আওয়াজ হচ্ছে। এটি এই এসেম্বলিতে ত্রুটির কারণেই হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্রেকের কার্যক্ষমতা খুব দ্রুত কমে যেতে পারে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোম্পানি বিনামূল্যে  সন্দেহভাজন যানবাহনগুলিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেই মডেলগুলি ফেরত যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানির জনপ্রিয় মডেল  ওয়াগনার (WagonR), সেলেরিও (Celerio) এবং ইগনিস (Ignis) রয়েছে। কোম্পানির তরফ থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে যে, সেই অনুযায়ী ৯৯২৫ ইউনিট গাড়ি ফেরত নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে টাটা এয়ারবাস C-295 বিমান নির্মান কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মারুতি সুজুকির এমডি হিসাশি তাকুচি উপস্থিত ছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, ভারতে ভবিষ্যতে বিশাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশের যে কোন কোম্পানি ভারতে প্রবেশ করলে বিপুল মুনাফা লাভ করবে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের ডাক ভারতকে নতুন দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। দু মাস আগেই গুজরাটে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হল। ভারত জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে সুজুকির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

    [tw]


    [/tw]

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, এই দিবসটি প্রথম পালিত হয় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা জোনাস এডওয়ার্ড সল্কের জন্মবার্ষিকী স্মরণে।  জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক( ২৮ অক্টোবর ১৯১৪ -২৩ জুন ১৯৯৫) ছিলেন একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল গবেষক এবং ভাইরাসবিদ। যিনি পোলিও বা পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে একটি প্রথম  প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিলেন।
    পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এটি একব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এই ভাইরাস  শিশুসহ কিশোরদের বেশি সংক্রমিত করে। 

    [tw]


    [/tw] 

    পোলিও রোগের লক্ষণ-

    রোগীর প্রথম দিন সামান্য সর্দি, কাশি এবং জ্বর হলেও, দিন দুই পরে থেকে মাথা ব্যাথার সাথে সাথে  ঘাড় শক্ত হতে শুরু করে। এমনকি রোগীর হাত অথবা পা অবশ হয়ে যায়।রোগী দাঁড়াতে পারে না, দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়।রোগীর  আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশ দুর্বল হয় এবং পরে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
    ধীরে ধীরে এক বা একাধিক অঙ্গ অবশ হয়ে  যেতে শুরু করে আক্রান্ত অঙ্গের মাংসপেশী শিথিল হয়ে যায়, অনেক সময় চর্মসার হয়ে পরে । শ্বাস প্রশ্বাসের পেশী অবশ হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে রোগী মারাও যেতে পারে।
    তবে সবচেয়ে মারাত্মক এই যে শতকরা ৯৫ ভাগ পোলিও আক্রান্ত রোগীর শরীরে তেমন কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

    পোলিও ভ্যাকসিন ভারতে চালু করা হয়েছিল সম্প্রসারিত প্রোগ্রাম (ইপিআই, 1978) এবং ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম (ইউআইপি, 1985) এর সহায়তায় 1995 সালের অনেক আগে।
    কিন্তু জাতীয় টিকা দিবস, যা সাধারণত পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত,তা শ্রীমতী ইন্দিরা  এবং রাজীব গান্ধীর  আমলে ভারতে 1995 সালে চালু হয়েছিল। 

    [tw]


    [/tw] 

    সবচেয়ে সাফল্যের খবর হল  জানুয়ারি ২০১১ থেকে ভারতে আর কোনো পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি; ফলশ্রুতিতে ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে ভারতকে WHO এর পোলিও আক্রান্ত দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের মার্চে ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালের পর মাত্র তিনটি দেশে পোলিও মহামারী দেখা গেছে: নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ভারতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত না হলেই স্বার্থক হবে আজকের বিশ্ব পোলিও দিবস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবার্নে বিরাট দীপাবলী পালন করছে ভারতীয়রা। ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা সাক্ষী রইল মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। কোহলীর চওড়া ব্যাটে ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল রোহিতরা।

    গত কয়েক বছর ধরেই বিরাটকে সইতে হয়েছে অবজ্ঞা, অপমান, উপেক্ষার জ্বালা। হাত থেকে গিয়েছে জাতীয় দলের নেতৃত্ব । এমনকি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথাও শুনতে হয়েছে। ‘ফুরিয়ে গিয়েছেন,’ ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছেন’ শব্দ বন্ধনী আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে তাঁকে। এর আগে এশিয়া কাপেই নিজের ফর্মের ঝলক দেখিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ব্যাটে রান পেয়েছিলেন দুবাইয়ে।

    তবে এই তাঁর মহারাজকীয় প্রত্যাবর্তনের জন্য আরও বড় মঞ্চ তৈরি রেখেছিলেন। যে বিশ্বকাপ থেকে লজ্জার বিদায়ে ক্যাপ্টেন হিসাবে এক বছর আগে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্বকাপ প্ল্যাটফর্মেই অতিমানবীয় ইনিংস খেললেন বিরাট। সম্মোহিতের মত এতে আত্মসমর্পণ করে ছাড়া যাতে উপায় ছিল না পাকিস্তানের।

    [tw]


    [/tw]

    কোহলি যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারত তখন অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রবিবার ১৬০ স্কোরকেও এক সময় টিম ইন্ডিয়ার কাছে পাহাড়-প্রমাণ ঠেকাচ্ছিল। দ্রুত একের পর এক উইকেট খুঁইয়ে ইনিংসের শুরুতেই ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হতে চলেছিল।

    ভারতের টপ অর্ডার কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যার চাপ পড়ে টিমের মিডল অর্ডারে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায় ভারত টপ অর্ডার । কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব আউট হয়ে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডারকে বাঁচাতে সাত-তাড়াতাড়ি নামানো হয় অক্ষর প্যাটেলকে। তিনিও দ্রুত রান আউট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ৩১ রানে দাঁড়ায়। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৪৫ জোটে। সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরানো অকল্পনীয় মনে হচ্ছিল।

    তবে লক্ষ্য কঠিন হলেও তবে অসম্ভব ছিল না। কেন না, ক্রিজে বিরাট-হার্দিক জুটি। ব্যাটে-বলে টাইম করতে গোটা ইনিংস জুড়েই হার্দিক সমস্যায় পড়লেও  ৩৭ বলে ৪০ রানের দাঁত কামড়ে থাকা হার্দিকের সঙ্গেই কোহলি পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে তুললেন ১১৩ রান। হঠাৎ যে ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, সেই ম্যাচেই পাল্টা লড়াই জমিয়ে দেন দুজনে।

    [tw]


    [/tw]

    শেষ ওভার যেন কমেডি অফ এরর। রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ । বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে আক্রমণে আনেন বাবর। হার্দিক পান্ডিয়া বরাবর স্ট্রাইক করতে সমস্যায় পড়ছিলেন। তিনি শেষ ওভারের প্ৰথম বলেই হাঁকাতে গিয়ে সোজা ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন। বিরাট ও হার্দিকের জুটি ভাঙ্গে। পরের দুই বলে উঠল মাত্র ৩ রান। তবে চতুর্থ বলেই নাটকীয় ঘটনা। হাই ফুলটসে কোহলি মাঠের বাইরে বল পাঠানোর পরে আম্পায়ার উচ্চতার জন্য নো দেন। ফ্রি-হিটে কোহলি বোল্ড হলেও দৌঁড়ে তিন রান নেন বিরাট। শেষ ২ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পড দীনেশ কার্তিক।শেষ বলে ২ রান। ক্রিজে অশ্বিন। অশ্বিন মিড অফের উপর দিয়ে খেলে সিঙ্গল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এই মুহূর্তের আগে অবধি ভারতীয় সমর্থকদের যেন হৃদযন্ত্র খুলে বসতে হয়েছিল। জয় নিশ্চিত হতেই বিরাট নিজের আবেগকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন বিরাট । উইকেটের মধ্যে মারেন ঘুসি।হেলমেট খুলে বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যে ভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আশা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে।

    আজীবনের চেজ মাস্টার বিরাট পুনরায় ফর্ম ফেরায় ইনিংস জুড়ে আরও কিছু রেকর্ডের অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অনেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে। এ দেশে ঠাঁই হবে, নাকি স্বদেশে ফিরে যেতে হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় কাঁটা এরা। অসমে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত।

    হিমন্তের শর্ত (Himanta Biswa Sarma)

    শনিবার তাদের অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গুচ্ছ শর্ত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “মিয়া সম্প্রদায়কে অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গেলে কিছু সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” পরিবার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে দুই সন্তানের মধ্যে। বহুবিবাহ না করা, নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? 

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “মিয়ারা অসমের আদি বাসিন্দা কিনা, সেটা ভিন্ন বিষয়। আমরা বলতে চাই, তারা যদি অসমের আদি বাসিন্দা হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এজন্য তাদের ত্যাগ করতে হবে বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহের অনুশীলন। উৎসাহ দিতে হবে নারী শিক্ষায়। আমি সব সময় বলি, মিয়াদের অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের দু’-তিনজন করে স্ত্রী থাকতে পারে না। এটা অহমিয়া সংস্কৃতি নয়। বৈষ্ণব মঠের জমি দখল করে কীভাবে কেউ অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার দাবি জানায়?”

    আরও পড়ুুন: “আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত”, সেনাদের সঙ্গে হোলি খেলে বললেন রাজনাথ

    মিয়াদের ছেলেমেয়েরা সচরাচর সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা না করে মাদ্রাসা বোর্ডে শিক্ষা গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিয়াদের মাদ্রাসা বোর্ডে পড়াশোনা করার বদলে সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা করা উচিত। ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো প্রয়োজন। মিয়ারা মহিলাদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে জোর দিক।” পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারও মহিলাদের পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    প্রসঙ্গত, অসমের মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অহমিয়াভাষী। বাকিরা সবাই মিয়া। রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই নির্ণায়ক শক্তি মিয়ারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) এহেন মন্তব্যের প্রভাব বিজেপির ঝুলিতে পড়ে কিনা, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারকে সামনে রেখে, ভারত বিরোধী আবেগ তৈরি করে মলদ্বীপে (Maldives) ক্ষমতায় এসেছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর ভারত বিদ্বেষের খেসারত প্রতিদিন দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। যা এই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এবার মুইজ্জুর ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে সেখানকার শিশু থেকে তরুণ প্রজন্ম। মলদ্বীপে (India Maldives Relation) এখন শিক্ষক-সংকট। মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে দলে দলে মলদ্বীপ ছাড়ছেন সেখানকার ভারতীয় শিক্ষকরা। বিষয়টি সেই দেশের সংসদেও তুলেছে মলদ্বীপের বিরোধী দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুইজ্জু সরকার।

    কেন এই শিক্ষক সংকট

    মূলত বেজিংকে খুশি করতেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি অবলম্বন করেছে চীনপন্থী মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকার। আর যার ফল এখন ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। মুইজ্জুর ঘৃণা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন একাধিক শিক্ষক। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষক সেই দেশে যান শিশুদের পড়াতে। বলা যেতে পারে ভারতীয় শিক্ষকরাই সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালান। কিন্তু, মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে, তাঁর ভারত বিরোধী প্রচারের কারণে, দলে দলে ভারতীয় শিক্ষকরা মলদ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে, গভীর শিক্ষা সংকট তৈরি হয়েছে মলদ্বীপে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    দেশেই প্রশ্নের মুখে মুইজ্জু সরকার

    সংসদে ভারতীয় (India Maldives Relation) শিক্ষকদের মলদ্বীপ ছাড়ার প্রসঙ্গ তুলে মুইজ্জু সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ওই পার্টির (এমডিএম) সাংসদ মহম্মদ শহিদ প্রশ্ন করেন, “ইন্ডিয়া আউট প্রচারের কারণে বহু শিক্ষক দেশ ছেড়েছেন। এর ফলে দেশে শিক্ষকের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই গুরুতর সমস্যা মোকাবিলায় সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?” এই প্রশ্নের মুখে সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুইজ্জু সরকার। শিক্ষকের ঘাতটি আছে বলে মেনে নিলেও, মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু শিক্ষা সংকটের দাবি মানেননি। তিনি বলেন, “ভারতীয় শিক্ষকরা অনেক সময়ই মলদ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এতে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিশুদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও আমাদের দেশে এমনটা ঘটেছে। গত ৩০ বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারত থেকে এই ছোট্ট দ্বীপে অনেক সময় শিক্ষকরা এসে এক মাস থেকে আবার চলে যান। দেশে কোনো ধরনের শিক্ষা সংকট তৈরি হয়নি।” তবে মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী যতই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন সমস্যা রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। হয়তো সেই কারণেই চিনের হাত ধরলেও ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’বলতে বাধ্য হয়েছেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share