Tag: India

India

  • PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সয়েছেন দীর্ঘ জেল যন্ত্রণা। বিদেশে কারাবাসের যে যন্ত্রণা তা ভাষায় বলে বোঝানো যায় না কাউকে। শেষমেশ মিলল মুক্তি। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন যে আট কর্মীকে বন্দি করেছিল কাতার, তাঁদের দেওয়া হয়েছে মুক্তি।

    “ভারত মাতা কি জয়”

    দেশে ফিরে তাঁরাই সমস্বরে বললেন, “ভারত মাতা কি জয়।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নামেও জয়ধ্বনি দেন তাঁরা। সোমবার ভোরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘কাতারে আটক আট ভারতীয় নাগরিক, যাঁরা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কাজ করছিলেন, তাঁদের মুক্তিকে ভারত সরকার স্বাগত জানায়। এঁদের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছেন। এই নাগরিকদের মুক্তি ও দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তের আমরা প্রশংসা করি।’

    কূটনৈতিক সাফল্য মোদির

    গত ডিসেম্বরে কাতারি আদালত আল দাহরা গ্লোবাল মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই আট ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড রদ করে। পরিবর্তে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কাতারে ধৃত নৌবাহিনীর এই (PM Modi) কর্মীরা হলেন, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাসিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের আদালত এঁদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলে, ভারত সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়। তার পরেই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দেওয়া হয় কারাদণ্ড। শেষমেশ মেলে মুক্তি। আটজন ছাড়া পেলেও, ভারতে ফিরেছেন সাতজন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর এক কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ ছাড়া আমাদের এখানে এসে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। ভারত সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” অন্য এক মুক্তি পাওয়া প্রাক্তন নৌবাহিনীর আধিকারিক বলেন, “আমি স্বস্তি বোধ করছি। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে আমি যারপরনাই খুশি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি (PM Modi) হস্তক্ষেপ না করলে, মুক্তি মিলত না। কৃতজ্ঞতা জানাই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে। মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর আর এক প্রাক্তন কর্তা বলেন, ভারতে ফিরতে আমাদের প্রায় আঠারো মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়া এটা সম্ভব হত না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Indo Pak Border: সীমান্তে ফের মিলল চিনে তৈরি ড্রোন, তারপর…

    Indo Pak Border: সীমান্তে ফের মিলল চিনে তৈরি ড্রোন, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে (Indo Pak Border) মিলল চিনা ড্রোন। তবে সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিএসএফ এই ড্রোনটি খুঁজে পেয়েছে। পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার ছান্না কালান গ্রামের একটি খেতে মিলেছে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ। বিএসএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফের টহলদারি দলটি খেতে ড্রোনটিকে পড়ে থাকতে দেখে। প্রোটোকল মেনে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ করে বিএসএফের ক্যুইক রেসপন্স টিম। ড্রোনটিকে কোয়াডকপ্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিএসএফ (Indo Pak Border)। ড্রোনটি ডিজেআই ম্যাভিক ৩ ক্লাসিকের। এই ধরনের ড্রোন চিনে তৈরি হয়।

    ব্যাপক তল্লাশি

    বিএসএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, যে এলাকায় ড্রোনটি পড়েছিল, সেই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ বিএসএফের টহলদারি ভ্যানটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ছোট্ট ড্রোনের হদিশ পায়। সেটি পড়েছিল খেতে। উদ্ধার করার পরেই জানা যায়, ড্রোনটি কোন গোত্রের, তৈরিই বা হয়েছিল কোথায়। ড্রোনটির গতিবিধি সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করছে বিএসএফ। গত শুক্রবারই চিনে তৈরি একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছিল পঞ্জাবেরই গুরুদাসপুরে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে।

    ড্রোনের মাধ্যমে পাচার

    পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তান থেকে পাঠানো ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে বিএসএফ। এই ড্রোনের মাধ্যমে কখনও মাদক, কখনও আবার অস্ত্র পাচার করছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা দুষ্কতীরা।

    আরও পড়ুুন: সুবক্তা, দলের একনিষ্ঠ সৈনিক শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি

    জানা গিয়েছে, পঞ্জাব লাগোয়া পাকিস্তান সীমান্ত থেকে গত এক বছরে একশোরও বেশি ড্রোন উদ্ধার করেছে বিএসএফ। উদ্ধার করা হয়েছে ৫০০ কেজিরও বেশি মাদক। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর তারা সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গুলি করে নামিয়েছে ১০৭টি ড্রোনকে। ৪৪৫ কেজি হেরোইন, ২৩টি অস্ত্র ও ৫০৫ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে বিএসএফ (Indo Pak Border)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • FDI: মোটা অঙ্কের লগ্নি আসছে দেশে, কতজনের চাকরি হবে জানেন?

    FDI: মোটা অঙ্কের লগ্নি আসছে দেশে, কতজনের চাকরি হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের লগ্নি (Investment) আসতে চলেছে দেশে। ইউরোপিয়ান দেশগুলির একটি ছোট্ট গোষ্ঠী ভারতের সঙ্গে ব্যবসা চালাতে চুক্তি করবে শীঘ্রই। এই চুক্তির পরেই আগামী পনের বছরে এ দেশে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করবে ওই গোষ্ঠী। তার (FDI) জেরে ভারতে প্রায় দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত এই দেশগুলি হল নরওয়ে, আইসল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড এবং লাইচেনস্টাইন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের।

    এফডিআই

    জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেই লগ্নি করা হবে পুরানো এবং নয়া ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টে। ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে (FDI) এই বিনিয়োগ করবে সরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। এই লগ্নির মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের ওই চার দেশ। ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে কিছু কৃষি প্রজেক্টের বাজারজাতকরণ হবে অনায়াস।

    নির্বাচনের আগেই স্বাক্ষরিত হবে চুক্তি!

    ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাও ওই চার দেশে সহজে ব্যবসা (Investment) করতে পারবে। জানা গিয়েছে, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের অধীনে এটাই হবে প্রথম চুক্তি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সুইস অর্থমন্ত্রী গাই পার্মেলিন। তিনি জানান, এপ্রিলে ভারতে সাধারণ নির্বাচনের আগেই স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে চুক্তি।

    আরও পড়ুুন: “সংবিধানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে এই লোকসভা”, বললেন মোদি

    বিশাল অঙ্কের লগ্নি যে ভারতে আসছে, কিছু দিন আগেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন দেশের আইটি এবং টেকনোলজি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেছিলেন, “আশা করি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত এফডিআইয়ের মাধ্যমে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি হবে। ভারতে বিনিয়োগ আসবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও। ভারতে তারা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছে।”

    জানা গিয়েছে, চিনের বিকল্প হিসেবে অনেক দেশই আপাতত লগ্নির জন্য বেছে নিচ্ছে ভারতকে। এর প্রধান কারণ হল, ভারত ক্রমেই চিনের শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে। ভারতের বিশাল বাজারও স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে লগ্নিকারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • India vs England: নেই কোহলি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিন টেস্টে বাংলার আকাশ দীপ

    India vs England: নেই কোহলি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিন টেস্টে বাংলার আকাশ দীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট স্কোয়াডে ঢুকে পড়লেন বাংলার আরও এক পেসার। তিনি আকাশ দীপ। তাঁর আগে এই স্কোয়াডে ঠাঁই হয়েছিল মুকেশ কুমারের। ইংল্যান্ড সিরিজের (India vs England) শেষ তিনটি টেস্টের স্কোয়াডে বাংলার পেসারের ঠাঁই হলেও, জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ারের। বাদ পড়েছেন আবেশ খানও। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আকাশ।

    আকাশ দীপ

    ভারতীয়-এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন আকাশ। সেই কারণেই তাঁর কপালে শিকে ছিঁড়েছে বলে ধারণা ক্রীড়া মহলের একাংশের। এই সিরিজে থাকছেন না বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত (India vs England) কারণেই বাকি সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি টেস্টের মতো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচেও মাঠে নামছেন না কোহলি। দ্বিতীয় টেস্টের পরেই পিঠ ও কুঁচকির সমস্যার কথা শ্রেয়স জানিয়েছিলেন ম্যানেজমেন্টকে। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকেও।

    এক নজরে টিম ইন্ডিয়া 

    চোট পাওয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও লোকেশ রাহুল। তবে সিরিজের শেষ তিনটি স্কোয়াডে ঠাঁই হয়েছে তাঁদের। অবশ্য শর্তও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম ফিট সার্টিফিকেট দিলে তবেই মাঠে নামতে পারবেন তাঁরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে রয়েছেন রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জসপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জসওয়াল, শুভমান গিল, লোকেশ রাহুল, রজত পাতিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল, কেএস ভরত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন, সমন্বয় বৈঠকে বসছে আরএসএস-বিজেপি

    বাংলার ছেলে আকাশ সুযোগ পাওয়ায় খুশি বাংলার ক্রীড়াপ্রেমীরা। ৯টি লাল বলের ম্যাচে আকাশ নিয়েছেন ১০৩টি উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে উঠে আসা অন্যতম বড় নাম তিনি। আকাশ ভারতীয় দলের ভবিষ্যতের তারকা বলেও মনে করছেন সিংহভাগ ক্রীড়াপ্রেমী। এতদিন আবেশকে ব্যাকআপ পেসার হিসেবে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। তাঁকে এবার ছেড়ে দিতে চান তাঁরা। তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে আকাশকে। জানা গিয়েছে, আকাশের পেস ও বল মুভ করতে পারার ক্ষমতার জন্য দলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে (India vs England)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আরাবুল ‘কারাবুলে’র (আগেও কারাবাস ভোগ করায় আরাবুলকে এই নামেই চেনেন স্থানীয়দের একটা বড় অংশ)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের তাজা নেতা আরাবুল ইসলামকে। পরে পাঠানো হয় গারদে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। 

    আরাবুলের নামে খুনের অভিযোগ

    শুক্রবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয় আরাবুলকে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশি হেফাজতে। গত বছর জুন মাসে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময় খুন হন জনৈক মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। তিনি আইএসএফের সদস্য ছিলেন। ১৫ জুন ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। মৃত আইএসএফ কর্মীর বাবা কুতুবউদ্দিন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আরাবুলের (Arabul Islam) নামে দায়ের হয় এফআইআর। আরাবুলের ছেলে হাকিমুল এবং আরও ২০ জনের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ কর্মী খুনে অভিযুক্ত আরাবুলকে। মাসখানেক আগে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসে। তার পরেই গ্রেফতার হন আরাবুল। পুলিশ জানিয়েছে, জুন মাসে খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোয় গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুলকে।

    লজ্জা ঢাকতে সাদা কাপড়!

    এদিন সাদা কাপড়ে মুখ ঢেকে আদালতে ঢোকেন আরাবুল। বিরোধীদের একাংশের মতে, লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে আরাবুল তৃণমূলের ঝান্ডা নয়, মুখ লুকিয়েছেন সাদা কাপড়ের আড়ালে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কাশীপুর থানায় তলব করা হয় আরাবুলকে। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। আদালতে তোলা হলে ঠাঁই হয় জেলে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হাজার বার বলব জয় শ্রীরাম’’, ধর্মান্ধদের কড়া জবাব মহম্মদ শামির

    তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ থাকা সত্ত্বেও মমতার পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করল আরাবুলকে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সন্দেশখালির শেখ জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও ঘণ্টাখানেক ধরে তালা খোলা হয়নি জাহাঙ্গিরের বাড়ির ফটকের। তার পর আচমকাই বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী (যারা জাহাঙ্গিরের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত) হামলা চালায় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পর থেকে বেপাত্তা জাহাঙ্গির। আরাবুলের (Arabul Islam) গ্রেফতারির খবর পেয়ে আদৌ তিনি আর প্রকাশ্যে আসেন কিনা, আপাতত সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • MS Swaminathan: ভারতরত্ন পাচ্ছেন ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক এমএস স্বামীনাথন, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    MS Swaminathan: ভারতরত্ন পাচ্ছেন ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক এমএস স্বামীনাথন, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন সবুজ বিপ্লবের জনক এম স্বামীনাথন (MS Swaminathan)। শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও এবং চৌধুরী চরণ সিংহকেও দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক নাগরিক সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমাদের দেশের কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের কল্যাণের ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদানের জন্য ডক্টর স্বামীনাথনজিকে যে ভারতরত্ন প্রদান করছে ভারত সরকার, তা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কঠিন সময় কৃষিক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে উনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডক্টর স্বামীনাথনের দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে শুধু যে ভারতের কৃষিক্ষেত্রের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, তা-ই নয়। তিনি দেশের খাদ্যসুরক্ষা ও সমৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে গিয়েছেন। তাঁকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমি সব সময় ওঁর চিন্তাভাবনা এবং পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি।”

    কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারতকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ও ভারতীয় কৃষির আধুনিকীকরণের জন্য চমৎকার প্রচেষ্টা করেছেন।” তিনি বলেন, “স্বামীনাথনের অন্তর্দৃষ্টিকে আমি মূল্য দিতাম।” গত সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি (MS Swaminathan)। দেশে দুর্ভিক্ষ রুখতে ও কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষের দিকে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করে ভারত সরকার। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন স্বামীনাথন। উন্নত বীজ এবং জলসেচের মাধ্যমে পশ্চিম ভারত, মূলত পঞ্জাবে কৃষিক্ষেত্রের আমূল সংস্কার সাধন করা হয়। খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্র নির্ভরতা যে অনেকাংশে কমানো গিয়েছিল, তা স্বীকার করেন সকলেই।

    ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন স্বামীনাথন। সেই সময় ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা দফতরের সচিবও ছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০১৩ সালে পর পর দুবার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে তাঁকে দেওয়া হয় রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথ প্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল (MS Swaminathan)।”

    আরও পড়ুুন: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lokpal: ভারতের পরবর্তী লোকপাল হতে চলেছেন খানউইলকার, তিনি কে জানেন?

    Lokpal: ভারতের পরবর্তী লোকপাল হতে চলেছেন খানউইলকার, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী লোকপাল (Lokpal) হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম খানউইলকার। লোকপাল নির্বাচনের জন্য বুধবার উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই বৈঠকেই খানউইলকারের নামে শিলমোহর পড়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি রোধের জন্য তৈরি এই চেয়ারে ২০২২ সালের পর থেকে পূর্ণ সময়ের জন্য কেউ বসেননি।

    গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন খানউইলকার

    ২০২২ সালের ২৯ জুলাই অবসর নিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানউইলকার (Lokpal)। সেই সময় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা সংক্রান্ত ঘটনায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়ার বিরোধিতা করে দাখিল করা পিটিশন খারিজও করে দিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি হিসেবে প্রথমে বম্বে হাইকোর্টের দায়িত্ব সামলেছেন খানউইলকার। পরে হন হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও। ২০১৬ সালে হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

    লোকপাল বিল 

    নয়াদিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা ও নয়া সংসদ ভবন তৈরির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী ও পরিবেশবিদ। সেই মামলা যে বেঞ্চে ছিল, সেই বেঞ্চেরও নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিচারপতি খানউইলকার। সেই বেঞ্চের নির্দেশেই কেটে যায় সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরির শেষ আইনি বাধা। শবরীমালা মামলার বেঞ্চেও ছিলেন তিনি (Lokpal)। ২০১৩ সালে পাশ হয় লোকপাল বিল। ভারতের প্রথম লোকপাল হন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পিনাকিচন্দ্র ঘোষ।

    আরও পড়ুুন: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    ২০২২ সালের ২৪ জুন বিচারপতি খানউইলকার সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ ও জাকিয়া জাফরির পিটিশন খারিজ করে দেন। পিটিশনে মেরিটের অভাব রয়েছে বলে সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালতের রায়ের পরের দিনই আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন তিস্তা শেতলবাদ।

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার ঠিক আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছিলেন খানউইলকারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পিএমএলএর কড়া ধারাগুলিতে সম্মতি দিয়েছিল সেই বেঞ্চ। তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা, গ্রেফতার করার ক্ষমতা, সম্পত্তি অ্যাটাচ করার মতো ক্ষমতা দেওয়ার ধারা নিয়ে মামলা ছিল সেটা (Lokpal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: মার্চের ৪ তারিখে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, বাজবে ভোটের ঘণ্টা!

    Lok Sabha Elections 2024: মার্চের ৪ তারিখে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, বাজবে ভোটের ঘণ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে (Lok Sabha Elections 2024) মার্চের ৪ তারিখেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এই বেঞ্চ যে আসবে, সে খবর প্রকাশিত হয়েছিল মাধ্যমে। তবে ঠিক কবে ওই বেঞ্চের সদস্যরা বাংলায় পা রাখবেন, তা জানা গিয়েছিল না। সূত্রের খবর, মার্চের ৪ তারিখেই রাজ্যে আসছেন তাঁরা। পরবর্তী দু’দিন রাজ্যে নির্বাচন-প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন ওই বেঞ্চের সদস্যরা। 

    ফুল বেঞ্চের কর্মসূচি

    সূত্রের খবর, ৪ মার্চ, সন্ধ্য়ায় কলকাতায় পৌঁছবে ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ন’টায় হবে সর্বদলীয় বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবেন রাজীব কুমার ও অন্য আধিকারিকরা। এই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ কমিশনের অন্য সদস্যরাও। এর পর সাড়ে এগারোটা নাগাদ (Lok Sabha Elections 2024) জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা। এর পর, দুপুর থেকে শুরু হবে ইলেকশন অফিসার, এসপি, সিপি, ডিভিশনাল কমিশনার এবং আইজিদের সঙ্গে বৈঠক। 

    পরের দিন, অর্থাৎ ৬ তারিখ সিইও, সকাল ৯টায় পুলিশের নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁদের। এর পর বেলা ১১টা থেকে এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলবে কমিশনের ফুল বেঞ্চের। দুপুর ২টো থেকে মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এর পর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক সেরে সন্ধ্যার বিমানে দিল্লি রওনা দেবেন ফুল বেঞ্চের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে কমিশন। 

    বাংলার দায়িত্বে বিশেষ আধিকারিক!

    নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে বাংলায়। ভোটারদের হুমকি দেওয়া, মারধর, ভোট লুটপাট হয় বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। এমতাবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে বাংলার দিকে নির্বাচন কমিশন বিশেষ নজর দিচ্ছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। বাংলার দায়িত্বে থাকছেন বিশেষ নির্বাচনী আধিকারিক। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার নীতেশ কুমার ব্যাসকে। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (Lok Sabha Elections 2024) এ রাজ্যে আসার আগে তিনি আসতে পারেন বাংলা সফরে। জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতেও পারেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিরোধী ইন্ডি জোট শিবিরের ছবিটা খানিকটা হতোদ্যম সৈনিকের মতো, ছন্নছাড়া। এহেন আবহে গতবারের চেয়েও এবার আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফিরতে চাইছে বিজেপি। তাদের স্লোগানও হল, ‘আব কী বার, চারশো পার’। বিজেপিকে কীভাবে বিরোধীরা মাত দেয়, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-প্রেমই কাল হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের (Maldives)। অবশ্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার একথা বলেনি। তবে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে মলদ্বীপ। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এই একই কারণে পথে বসেছিল ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট!

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জু সরকারের অতিরিক্ত চিনা প্রেমই কারণ হতে পারে সে দেশের দুর্দশার। আইএমএফ (IMF) জানিয়ে দিয়েছে, যেভাবে মলদ্বীপ সরকার বিদেশ থেকে ঋণের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, তাতে দেশটিতে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট। গত নভেম্বর মাসে ভারতপন্থী মহম্মদ সোলিকে সরিয়ে মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হন চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পরেই ভারত নয়, মুইজ্জুর চিন-প্রীতি বেআব্রু হয়ে পড়ে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    ক্ষমতায় আশার পর প্রথা মেনে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে যান পরম মিত্র দেশ ভারত দর্শনে। পরে অন্য কোনও দেশে। দীর্ঘ দিনের সেই প্রথা ভেঙে ক্ষমতায় এসেই মুইজ্জু চলে যান চিন সফরে। সম্প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিনি মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। দ্বীপরাষ্ট্র প্রধানের সরকারের এহেন দুই আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। ফলশ্রুতি হিসেবে, পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে তলানিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মুইজ্জু সরকার গঠনের পর (Maldives) উন্নয়নের স্বার্থে মলদ্বীপকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিনের জিনপিং সরকার। জানা গিয়েছে, চিনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিয়েছে মুইজ্জু সরকার। চিন থেকে মুইজ্জু সরকার কত অর্থ নিয়েছে, তা জানায়নি আইএমএফ। তবে বিদেশি ঋণ নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের যে জরুরি নীতি সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমফের তরফে জানানো হয়েছে, উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন ছাড়াই মলদ্বীপের সামগ্রিক রাজস্বে ঘাটতি এবং ঋণ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে।

    মলদ্বীপ বিদেশি ও সামগ্রিক ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১ সালের হিসেবে চিনের কাছ থেকে ঋণ বাবদ মলদ্বীপের নেওয়া ৩০০ কোটি ডলারের ৪২ শতাংশ মেটানো বাকি ছিল। এমতাবস্থায় ফের আশঙ্কার কথা শোনা গেল আইএমএফের মুখে (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ফের আসছে কেন্দ্রের ক্ষমতায়। ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর আগে দেশ-বিদেশের একাধিক সংস্থার সমীক্ষাতেও জানা গিয়েছিল, তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রে তৃতীয়বার বিজেপির ক্ষমতায় ফেরাটা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা বিভিন্ন সময় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাঁর সেই দাবিতেই এবার শিলমোহর দিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’ও।

    আরও বেশি আসন

    গত দু’বারের চেয়েও এবার (Lok Sabha Elections 2024) আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গিয়ে সে ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন তিনি। তার পরেই প্রচারের সুর বেঁধে নেয় পদ্মশিবির। জন্ম হয় নয়া স্লোগানের – ‘আব কি বার, চারশো পার’। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৪০০ না হলেও, কিছু আসন কম পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষা

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, যদি এখনই লোকসভা নির্বাচন হয়, তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৩৩৫টি আসন। যদিও সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। জানা গিয়েছে, দেশের সব লোকসভা কেন্দ্রের ৩৫ হাজার ৮০১ জন ভোটারের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। তাতেই জানা গিয়েছে এনডিএর জয়জয়কারের খবর।

    উল্টো দিকের ছবিটা বড় করুণ। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। সেই জোটের কোন্দলের জেরে প্রায়ই খবরের শিরোনামে চলে আসে ইন্ডি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই ইন্ডি জোট সব মিলিয়ে ১৬৬টি আসন। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে যে শক্তির প্রয়োজন, সেই শক্তি থাকবে না বিরোধী শিবিরের। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পেতে পারে ৩০৪টি আসন।

    আরও পড়ুুন: অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত ৪, আহত ২৫০, জারি কারফিউ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩০৩টি কেন্দ্রের রাশ। পদ্ম শিবিরের জয়রথের চাকা যখন গড়গড়িয়ে চলবে, তখন কংগ্রেস হাঁটবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অন্তত সমীক্ষার ফলের ইঙ্গিত তেমনই। জানা গিয়েছে, এবার কংগ্রেস পেতে পারে ৭১টি আসন, গতবারের চেয়ে ১৯টি আসন বেশি। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণ, ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ এবং দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার, সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ওপরই ভরসা রাখছেন দেশের সিংহভাগ মানুষ (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share