Tag: India

India

  • S jaishankar: কুদামকুলামে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র সংক্রান্ত চুক্তি সই ভারত-রাশিয়ার

    S jaishankar: কুদামকুলামে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র সংক্রান্ত চুক্তি সই ভারত-রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে শক্তি উৎপাদনের ইউনিট তৈরি হচ্ছে তামিলনাড়ুর কুদামকুলামে। এই পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে মঙ্গলবার, রাশিয়ায়। ভারত-রাশিয়ার মধ্যের এই চুক্তিতে নয়াদিল্লির তরফে স্বাক্ষর করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S jaishankar)। পাঁচ দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এই সফরেই স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তিটি।

    রাশিয়া সফরে জয়শঙ্কর

    এবার রাশিয়া সফরে গিয়ে জয়শঙ্কর যেমন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তেমনি তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডেনিস মান্টুরোভের সঙ্গেও। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এতে কুদনকুলাম পারমাণবিক প্রজেক্টের ভবিষ্যৎ ইউনিট স্থাপন করা অনায়াস হবে।”

    পুরোদমে উৎপাদন শুরু কবে?

    রাশিয়ান প্রযুক্তির সহায়তায় তামিলনাড়ুতে তৈরি হচ্ছে কুন্দনকুলাম পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র। ২০০২ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজ। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ১০০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০২৭ সাল থেকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।

    বৈঠক শেষে ট্যুইট করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S jaishankar)। তিনি লিখেছেন, “দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ডেনিস মান্টুরোভের সঙ্গে আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য, অর্থনীতি, শক্তি, সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং নিউক্লিয়ার ডোমেইন নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতে যে নয়া সুযোগগুলি সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলির ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। রাশিয়ান ফার ইস্টে সহযোগিতা বাড়াতেও আলোচনা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: পুষ্পবৃষ্টিতে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, অযোধ্যায় বর্ণাঢ্য রোড শো-য়ে হাত নেড়ে অভিবাদন মোদির

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যৌথভাবে স্থলে ও জলে সহযোগিতা আরও বাড়াব। পারমাণবিক শক্তি এবং ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যাল দ্রব্য এবং মেডিক্যাল ডিভাইসের ওপর চুক্তি সইয়ের সাক্ষী আমি।” তিনি জানান, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই দু তরফই চাইছে তাদের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা হোক। ভারত ও ইউরেশিয়ান ইকনোমিক জোনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও মুখোমুখি বৈঠক হবে ওই মাসের মধ্যেই। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S jaishankar) বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি এমন একটা পথ খুঁজে বের করতে যাতে দুই দেশই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ডিল করতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।  

     

  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনে জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব।” বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Polls) হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করে শেখ হাসিনার দল। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক

    হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা নির্ধারণ ও ছিটমহল বিনিময়ের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে।” বিদেশনীতি প্রসঙ্গে ইস্তাহারে (Bangladesh Polls) বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

    ‘যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী’

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামি লিগ সরকার সমগ্র অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিকে নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্ক ফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ নয়, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা নির্দেশিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এই নীতিকে ধারণ করে আওয়ামি লিগের সফল বিদেশনীতির কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্তিশালী ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে।”

    আরও পড়ুুন: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের

    আওয়ামি লিগের ইস্তেহারে মোট ১১টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু স্বার্থেও কিছু ঘোষণা। এই ঘোষণায় খুশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বৃহত্তম সংগঠন ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’। এই পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যেহেতু গত পাঁচ বছরে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি এবং এবারও সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাই এটি মন্দের ভাল। তবে এই প্রতিশ্রুতি যেদিন বাস্তবায়িত হবে, সেদিন (Bangladesh Polls) আমরা আন্তরিকভাবে খুশি হব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের হতাশা! এক ইনিংস ও ৩২ রানে লজ্জার হার ভারতের

    India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের হতাশা! এক ইনিংস ও ৩২ রানে লজ্জার হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনেই শেষ ভারত -দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) প্রথম টেস্ট। অসহায় আত্মসমর্পণ রোহিতদের। টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমে  সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম টেস্টে এক ইনিংস এবং ৩২ রানে হারল ভারত। শেষ হয়ে গেল ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের আশা করেছিল ভারতবাসী। এক লহমায় ভেঙে গেল সেই আশা। বিশ্বকাপ ফাইনালে যেমনভাবে মাথা নীচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন, সেভাবেই হতাশাকে সঙ্গী করে বৃহস্পতিবারও মাঠ ছাড়লেন রোহিতরা।

    ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা

    দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। প্রথম ইনিংসে ভারত তোলে ২৪৫ রান। সেবারে কেএল রাহুলের শতরানের সৌজন্যে খানিকটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছিল ভারতের। জবাবে ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এলগার করেন ১৮৫ রান। অন্যদিকে শেষবেলায় জানসেনের ৮৪ রানের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৪০৮ রানে। ভারতের হয়ে চারটি উইকেট নেন বুমরাহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। যদিও এদিন দিনের সেরা বলেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। একমাত্র বিরাট কোহলি ছাড়া কেউই তেমনভাবে রান করতে পারেননি। বিরাট করেন ৭৬ রান। শুভমান করেন ২৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বার্গার নেন চারটি উইকেট। 

    প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কার্যত আত্মসমর্পণ করে বসল ভারতীয় ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রানের ঘাটতি নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গেল ভারতের ব্যাটিং। সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে তিনদিনের মধ্যে ভারতকে ইনিংস ও ৩২ রানে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাও ১০ জন ক্রিকেটার নিয়ে। চোটের জন্য তাদের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা মাঠেই নামতে পারেননি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ এগিয়ে গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

    হাফিজের মাথার দাম

    হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

    সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

    আরও পড়ুুন: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

    পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ একটা। দুই মুখ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কার রেটিং কত? প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে চাইছে বাংলা? কী বলছেন বাংলার (Lok Sabha Poll 2024) ভোটাররা? সম্প্রতি জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। সেখানেই জানা গিয়েছে, রাহুলের চেয়ে যোজন খানেক এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ৬০ শতাংশ ভোটারও তাঁকেই দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী পদে। কিছুদিন আগেই ফল বেরিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যেই তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। কংগ্রেসের মুখ রক্ষা হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। বিজেপির দাবি, তিন রাজ্যে জয় এসেছে মোদি ম্যাজিকেই।

    অগোছালো বিরোধীরা

    বিজেপির জয়ের গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন ঘরই গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোট। জোট গঠনের পর থেকে চার-চারটি বৈঠক হয়েছে বটে, তবে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীই ঠিক হয়নি। এনিয়েও জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। জোট শরিক তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চাইলেও, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার আবার তাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

    এগিয়ে মোদি

    ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনও ঠিক না (Lok Sabha Poll 2024) হলেও, সি-ভোটারের সমীক্ষকরা তুল্যমূল্য বিচার করছেন মোদি বনাম রাহুলের রেটিং। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে ওই পদে দেখতে চাইছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এই দুজনের মধ্যে কাউকেই পছন্দ করেন না ৪ শতাংশ ভোটার। মতামত দেননি ৫ শতাংশ মানুষ।

    একমাত্র পাঞ্জাবেই মোদির চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন রাহুল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে রাহুলকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিয়েছেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। এখানকার ৬০ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মোদিকে। ছত্তিসগড়ের ৬৭ শতাংশ, কর্নাটকের ৬৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৬ শতাংশ, রাজস্থানে ৬৫ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৫০ শতাংশ, বিহারে ৬৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৫ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন মোদিকেই।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মোদি এবং রাহুলের মধ্যে কাউকেই পছন্দ নয় ছত্তিসগড়ে ১, কর্নাটকে ২, মধ্যপ্রদেশে ৩, রাজস্থানে ২, তেলঙ্গানায় ২, বিহারে ৬, মহারাষ্ট্রে ৬, পঞ্জাবে ১৪, উত্তরপ্রদেশে ৮ এবং পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ ভোটারের। মোদি-রাহুল দ্বৈরথের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ১৩ শতাংশ মানুষ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ১০ শতাংশ মানুষ। আর ৯ শতাংশ মানুষ চাইছেন (Lok Sabha Poll 2024) প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ারের মঞ্চ শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে, কখনওবা অন্য কোনও কারণে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইন্ডি জোটের কোন্দল।

    মমতার প্রস্তাবে জল পাওয়ারের

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার এনসিপি প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব।

    কী বললেন পাওয়ার?

    সচরাচর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁকে প্রজেক্ট করেই নির্বাচনে যায় রাজনৈতিক দলগুলি। কোনও কোনও দল আবার স্ব-দলের সুপ্রিমোকেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায়। ভোটাররাও মূলত তাঁকে দেখেই ভোট দেন সংশ্লিষ্ট পার্টির পক্ষে। এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। মঙ্গলবার যে প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করেনি কংগ্রেস বিরোধী দল। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী করা হয় মোরারজি দেশাইকে। তার আগে মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। বস্তুত, তার পরেই একটি নয়া দল প্রকাশ্যে এল (INDI Alliance)। তাই প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট না করেও নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে।” পাওয়ারের কথায়, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” পাওয়ার-বচনের নির্যাস হল, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন এনসিপি প্রধান।

    প্রসঙ্গত, মমতার প্রস্তাব শুনেই খাড়্গে জানিয়ে (INDI Alliance) দিয়েছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবের পর পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার প্রস্তাবের উল্টো সুর পাওয়ারের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা লেখেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। লোকসভা নির্বাচন হতে পারে মাঝ-এপ্রিলে। ইতিমধ্যেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির।

    প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কি তবে ইন্ডি জোটে শুরু হয়ে গেল মৌষলপর্ব?

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচারের অভিযোগে যাত্রিবাহী একটি বিমানকে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটকে রেখেছিল সে দেশের প্রশাসন। বিমানটি যাচ্ছিল নিকারাগুয়ার উদ্দেশে। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় (Indian Passengers) ছিলেন ৩০৩ জন। রবিবার ফ্রান্সের আদালত জানিয়ে দেয়, ফান্স ছাড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয় আটক করা চাটার্ড বিমানটিকেও। প্রশাসনিক অনুমতি মেলায় সোমবার দুপুরে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ সেটি ছোঁয় মুম্বই বিমানবন্দরের মাটি। যদিও ফ্রান্সে রয়ে গিয়েছেন দুই শিশু সহ মোট ২৭ জন যাত্রী।

    ফ্রান্সে অবতরণ বিমানটির

    ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। জ্বালানি ভরতে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দরে নামে ওই চাটার্ড বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ছিল ১১টি শিশু, যাদের অভিভাবক বিমানটিতে ছিলেন না। ফরাসি প্রশাসনের সন্দেহ হয়, শিশুগুলিকে পাচারের উদ্দেশ্যেই নিকারাগুয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পরেই আটক করা হয় বিমানটিকে (Indian Passengers)। থাকা-খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয় সে দেশের প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি ততক্ষণাৎ জানানো হয় ভারতীয় দূতাবাসে। ঘটনাস্থলে যান দূতাবাসের আধিকারিকরা। প্রথমে জেরা করা হয় বিমান ক্রু-দের। বিমানটির যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে মানব পাচারে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হয়।

    বিমানটি রোমানিয়ার

    জানা গিয়েছে, বিমানটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কাজ করতেন। নিকারাগুয়া হয়ে আমেরিকা বা কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যে বিমানটিকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেটি রোমানিয়ার একটি সংস্থার। বিমানকাণ্ডের মামলা গড়ায় ফরাসি আদালতে। রবিবার আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানটির ভারতীয় যাত্রীরা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। বিমানটিও যেতে পারে ফ্রান্স ছেড়ে। আদালতের রায় মেলার পর দুই নাবালক সহ ২৫ জন যাত্রী ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বাদ দিয়েই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের মাটি ছোঁয় রোমানিয়ার ওই বিমানটি (Indian Passengers)।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিকারাগুয়া ক্রমেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বর্ষে এ পর্যন্ত অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Bound Oil Tanker: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    India Bound Oil Tanker: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের পর এবার রবিবার। ভারত মহাসাগরের পর এবার লোহিত সাগর। রবিবার ভারতের দিকে আসা অপরিশোধিত একটি তেলের ট্যাঙ্কার (India Bound Oil Tanker) লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাল ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। ট্যাঙ্কারটি যখন লোহিত সাগরে ছিল, ঘটনাটি ঘটে তখন। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানিয়েছে আমেরিকা। ‘সাইবাবা’ নামের ওই ট্যাঙ্কারে ২৫ জন ভারতীয় ছিলেন। ড্রোন হানায় অবশ্য হতাহতের কোনও খবর নেই। হামলার পরে পরেই ট্যাঙ্কারে থাকা ভারতীয়রা যোগাযোগ করেন আমেরিকার একটি জাহাজের সঙ্গে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে খবরটি।

    হামলা শনিবারও

    শনিবারই ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের একটি জাহাজ লক্ষ্য করে। সেটিও আসছিল ভারতের দিকে। শনিবারের ঘটনার জন্য আমেরিকা দুষছিল ইরানকে। রবিবারের ঘটনায় আমেরিকার নিশানায় ইয়েমেনের হুথি। মার্কিন সেনার তরফে (India Bound Oil Tanker) জানানো হয়েছে, এদিন দক্ষিণ লোহিত সাগরে টহল দিচ্ছিল আমেরিকার একটি যুদ্ধ জাহাজ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুটি জাহাজ, জানায় আক্রান্ত হয়েছে তারা। এই দুটির মধ্যে নরওয়ের পতাকা লাগানো জাহাজটিতে ছিল রাসায়নিক। আর ভারতের পতাকা লাগানো জাহাজটি ছিল অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার। পরে অবশ্য ভারতীয় নৌবাহিনীর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ট্যাঙ্কারটিতে ভারতের পতাকা লাগানো ছিল না।

    আমেরিকার অভিযোগ

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ আমেরিকার। নেপথ্যে রয়েছে হুথি। আমেরিকার অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তা হুথির বক্তব্যেই স্পষ্ট। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বক্তব্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে তারা রয়েছে হামাসের পক্ষে। তাই ইজরায়েলের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তারা। আমেরিকার দাবি, রবিবারের আগে চারটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা। ড্রোনগুলি ওড়ানো হয়েছিল হুথি অধিকৃত এলাকা থেকে। বাইডেন প্রশসনের অভিযোগ, হুথিদের সাহায্য করছে ইরান। তার জেরেই লোহিত সাগরে বেড়েছে ড্রোন হামলা। মার্কিন অভিযোগের প্রত্যুত্তরে ইরানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা নাকদির হুমকি, আমেরিকা ও তার জোটসঙ্গীরা গাজায় অপরাধ বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে (India Bound Oil Tanker)।

    আরও পড়ুুন: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share