Tag: India

India

  • S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়ে আসেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ।

    প্রসঙ্গ: ২৬/১১ 

    বিদেশমন্ত্রীর মতে, স্বাধীনতার সময় থেকেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ভারত। এর মদত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ২৬/১১র মুম্বই হামলার ঘটনার কথা। ওই দিন মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল লক্সর-ই-তৈবা। সেটাকেই এদেশে সন্ত্রাসবাদের ‘পিভটাল মোমেন্ট’ বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ শুরু হয়েছিল সেই মুহূর্তে, যখন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তখন পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিল রেইডাররা।… আজ এ দেশে যা বদল হয়েছে, আমার মনে, হয় এর পটভূমিতে রয়েছে ২৬/১১-র মুম্বই হামলা।”

    প্রসঙ্গ: সীমান্তপারের সন্ত্রাস

    জয়শঙ্কর বলেন, “কেউ যদি নিরন্তর সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দিয়ে যায়, তাহলে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার দায় বর্তায় আমাদের ওপর।” তিনি বলেন, “২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদ দেখার আগে পর্যন্ত অনেকেই সন্ত্রাসবাদ রুখতে কী করা উচিত, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাই এখন আমাদের প্রথমেই যেটি করতে হবে, সেটি হল আমাদের প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমি জানি, সেই লোকগুলিকে যাঁরা বলেছিলেন, আমাদের একটা স্মার্ট স্ট্র্যাটেজি ছিল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায়। আমার মনে হয় না এর কোনও অর্থ হয়। আমার মনে হয় না যে এর কোনও কৌশলগত দিক আছে।” তার পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি লাগাতার সীমান্তপার সন্ত্রাসে মদত দেয়, তাহলে আপনাকে যোগ্য জবাব অবশ্যই দিতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

    গান্ধীনগরের লাভাড রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি (S Jaishankar) বলেছিলেন, “ভারতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা।” তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অন্যদের নিরাপত্তায় অবদান রাখতেও লড়তে হবে আমাদের। এটা হতে পারে আমাদের সব চেয়ে কাছের কোনও প্রতিবেশী দেশ কিংবা যাদের কাছে অর্থনৈতিক বা শক্তিগত সমর্থন পাই, তাদের প্রতি। অথবা এটা গ্লোবাল সাউথের মতো কোনও বৃহত্তর সম্পর্কের জন্য হতে পারে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wrestling Federation of India: মানা হয়নি নিয়ম, সাসপেন্ড ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নয়া কমিটি

    Wrestling Federation of India: মানা হয়নি নিয়ম, সাসপেন্ড ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নয়া কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম না মানায় ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নতুন কমিটিকে (Wrestling Federation of India) সাসপেন্ড করা হল। রবিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক সাসপেন্ড করেছে সদ্যনিযুক্ত কমিটিকে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া কমিটি নিয়ম মানেনি ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের। তাই করা হচ্ছে সাসপেন্ড। প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগেই নির্বাচন হয় ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনে। নয়া সভাপতি হন সঞ্জয় সিংহ। বিভিন্ন পদেও বহাল করা হয় নতুন সদস্যদের।

    কুস্তি ফেডারেশনের নিজস্ব সংবিধান

    ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নিজস্ব সংবিধান রয়েছে। এই সংবিধান অনুযায়ী, যুব কিংবা সিনিয়র স্তরের কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করার আগে এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক করতে হয়। তার পরেই প্রকাশ করা হয় ক্রীড়া সূচি। প্রতিটি প্রতিযোগিতার আগে প্রস্তুতির জন্য অন্তত ১৫ দিন সময় দিতে হয় কুস্তিগিরদের। অভিযোগ, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের এই সব নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৫ ও অনূর্ধ্ব ২০ স্তরের প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সভাপতি (Wrestling Federation of India)। তার জেরেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে নয়া কমিটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই কমিটিকে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ওই প্রতিযোগিতা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন সঞ্জয়।

    নয়া সভাপতি ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ!

    দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই এই নির্বাচনে জিতে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছিলেন সঞ্জয়। তিনি বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ। এই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দেন অলিম্পিক্স পদক জয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। ঘটনার প্রতিবাদে সংসদের সামনের রাস্তা ‘কর্তব্য পথে’ পদ্মশ্রীর পদক ফেলে দিয়ে আসেন কুস্তিগীর বজরং। পরে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম, আমার মেয়ে ও বোনেদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করছি। এখনও ওদের ন্যায়বিচার দিতে পারিনি। তাই আমার মনে হয় এই সম্মানের যোগ্য আমি নই। নিজের সম্মান ফেরাতে এসেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তাই তাঁকে যে চিঠি লিখেছি, তার ওপরেই পদকটা রেখে এসেছি।”

    আরও পড়ুুন: আচার্যের অনুমতি নেই, নেই ভিসি-ও, প্রথা ভেঙে সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Gujarat High Court: “গোহত্যা হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না”, মন্তব্য গুজরাট হাইকোর্টের

    Gujarat High Court: “গোহত্যা হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না”, মন্তব্য গুজরাট হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এ দেশে গরুকে ভগবান বলে পুজো করা হয়। তাই গোহত্যা হলে কিংবা গরুর ওপর কোনও অত্যাচার হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। বয়স হলে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় গরুকে। তার জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে বলে একটি মামলা দায়ের হয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে।

    প্রাণীহত্যা অপরাধ

    ওই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রী ও বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাস্তাঘাটে মৃত গরু পড়ে থাকা ঠিক নয়। দিন কয়েক খেড়া জেলার এই দৃশ্যের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের মন্তব্য, “এজন্য ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না। মানুষের আরামের জন্য প্রাণীহত্যা অপরাধ। বা যেখানে সেখানে তাদের দেহ পড়ে থাকাও ঠিক নয়।”

    অকেজো গরুর করুণ হাল 

    উত্তরপ্রদেশ সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ। কোথাও আবার গোহত্যা নিষিদ্ধ হলেও, গোমাংস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা নেই। এসব কারণেই বাড়ছে গরুর সংখ্যা। বয়স কম থাকার সময় কদর থাকলেও, বয়স বাড়লেই আর গরুর যত্নআত্তি করেন না তার মালিকরা। ছেড়ে দেন রাস্তাঘাটে। তাই অকেজো গরুর হাল হয় করুণ। অকেজো এই গরুদের রাখতে গোয়াল রয়েছে গুজরাটে (Gujarat High Court)। তবে সেখানেও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। আদালতে একথা জানিয়েছে সরকারও। কেন গবাদি পশুদের নিয়ে ঠিকঠাক ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, এদিন সে প্রশ্নও তোলে আদালত।

    আরও পড়ুন: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানিও চলছে। রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করা গবাদি পশুদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গবাদি পশুর আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এই কারণেও সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত (Gujarat High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Foreign Exchange: বড়দিনের আগে বড় খবর! ফের বাড়ল ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার

    India Foreign Exchange: বড়দিনের আগে বড় খবর! ফের বাড়ল ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগে বড় খবর! ফের বাড়ল ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (India Foreign Exchange)। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ৯.১১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ৬১৫.৯৭ বিলিয়ন ডলার।

    বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার

    এর আগের সপ্তাহেই (যেটি শেষ হয়েছে ৮ ডিসেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ৬০৬.৮৬ বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছিল ৬১৫.৯৭ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, গত বছর থেকে বিশ্বব্যাপী নানা ঘটনার প্রভাবের আবহেও অটুট ছিল ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার। প্রসঙ্গত, ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের মধ্যে রয়েছে কারেন্সি অ্যাসেটস, সোনার মজুত, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার দেশের জমা রাশির পরিমাণ।

    ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটস

    দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের (India Foreign Exchange) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটস। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে এই অ্যাসেট ৮.৩৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ৫৪৫.০৪ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, ডলারের নিরিখে ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটের মধ্যে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যমাণও হিসেবে ধরা হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য। সেই তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, মজুত সোনার মূল্য ৪৪৬ মিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ৪৭.৫৭৭ বিলিয়ন ডলার। বেড়েছে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসও। ১৩৫ মিলিয়ন ডলার বেড়ে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের পরিমাণ হয়েছে ১৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলার। সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারেও। এখানে মজুতের পরিমাণ ১৮১ মিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ৫.০২ বিলিয়ন ডলার।

    আরও পড়ুুন: শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন, শো-কজ খেলেন তৃণমূল চেয়ারম্যান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে যে দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য ক্রমেই স্ফীত হচ্ছে, তা প্রমাণ হয়েছে বারংবার। ২০১৪ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০ নম্বরে। বর্তমানে ওই তালিকায় ভারতের স্থান পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ব্রিটেনের দখলে ছিল। সম্প্রতি ব্রিটেনকে সরিয়ে জায়গাটি দখল করে মোদির ভারত। দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে অচিরেই, দিন কয়েক আগে সেই ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেছিলেন, অচিরেই ভারত পরিণত হবে বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির দেশে (Indias Foreign Exchange)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটি রাজ্যে জিতে কোনওরকমে মুখরক্ষা করেছে কংগ্রেস। এহেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেই (Mallikarjun Kharge) হচ্ছেন ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বছর আশির খাড়্গে উত্তরপ্রদেশের তফশিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত কোনও আসনে প্রার্থী হতে পারেন।

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। খাড়্গে অবশ্য বলছেন, “আগে জয়ী হওয়া যাক। পরে ভাবা যাবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।” মমতা ও কেজরির এই প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডি জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    নেপথ্যে কোন পার্টি-গণিত?

    পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটিতে জিতেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতিকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আঁক কষেই। খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তর প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশই দলিত। তাই খাড়্গে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে কেবল উত্তর প্রদেশ নয়, বদলে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের পার্টি-গণিতই। কারণ এই দলিত ভোটারদের সমর্থনেই ২০০৭ সালে তৃতীয়বারের জন্য উত্তর প্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন বিএসপির মায়াবতী। ইন্ডি জোটের ভোট ম্যানেজারদের হিসেব, এই ভোটের সঙ্গে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোট যোগ হলে, গোটা দেশেই ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস। যার জেরে আদতে উপকৃত হবে ইন্ডি জোট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    এহ বাহ্য। খাড়্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একমাত্র শিখ মনমোহন সিংহ। খাড়্গেকে দাঁড় করিয়ে সংখ্যালঘু ভোটও ইন্ডি জোটের ঝুলিতে নিয়ে আসতে চাইছেন ভোট ম্যানেজাররা। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সোনিয়ার জেতা রায়বেরিলি কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হতে পারে খাড়্গেকে। এই কেন্দ্রে তফশিলি ভোট রয়েছে ১৫ শতাংশ। মুসলিম ভোট ২৫ শতাংশ। এর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট এক বাক্সে পড়লে খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে খাড়্গে জিতলেও, ইন্ডি জোটের কী হাল হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে করাচির একটি হাসপাতালে। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ খবর মিললেও, পাকিস্তান সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, করাচির হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মাছি গলারও জো নেই। হাসপাতালের যে অংশে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে ধারেকাছেও ঘেঁসতে দেওয়া হচ্ছে না।

    মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী!

    মুম্বইয়ের এক পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ আটের দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাইয়ে যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী দাউদ বলেই শোনা যায়। ওই হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অপরাধ জগতে দাউদের (Dawood Ibrahim) হাতেখড়ি সাতের দশকে। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাউদের নাম উঠতে থাকে সামনের সারিতে। আগে কাজ করতেন হাজি মাস্তানের দলে। সেখান থেকেই ক্রমশ প্রভাব বাড়িয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন। লোকজন তাঁর দলকে ‘ডি-কোম্পানি’ বলে ডাকতে শুরু করে। এই কোম্পানিরই মালিক হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বত্রাস এই জঙ্গি।

    আল কায়েদার সঙ্গে যোগ!

    পাকিস্তানে বসেই এই অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও বিশ্বমানের এই জঙ্গির যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রও চালান তিনি। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের সহকারী ডিরেক্টর জেনারেলের পদে বসানো হয়েছে দাউদকে। জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর ব্যবস্থায় দাউদের অবদানের জন্য এই পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    বছর পঁয়ষট্টির দাউদের অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি কী সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অনেকের মতে, বিষ খাওয়ানো হয়েছে বিশ্বমানের এই জঙ্গিকে। তবে পাক সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপার কিছু জানানো হয়নি। দাউদের অসুস্থতার খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। পাক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দাউদকে (Dawood Ibrahim) তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ বিষ প্রয়োগ করেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Russia: যুদ্ধের আবহে পাততাড়ি গুটিয়েছে বহু সংস্থা, ব্যবসা করুক ভারত, চাইছে ‘বন্ধু’ রাশিয়া

    Russia: যুদ্ধের আবহে পাততাড়ি গুটিয়েছে বহু সংস্থা, ব্যবসা করুক ভারত, চাইছে ‘বন্ধু’ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ এই যুদ্ধের জেরে রাশিয়া (Russia) থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান বিভিন্ন কোম্পানি। এমতাবস্থায় রাশিয়া চাইছে, ওই জায়গাগুলিতে ব্যবসা করুক ভারত। সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্ডিয়ান ইকনোমিক ফোরামের পূর্ণ সুযোগ নিক নয়াদিল্লি।

    শূন্যস্থানে বসুক মোদির দেশ

    ইউরোপের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করুক মোদির দেশ। সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্ডিয়ান ইকনোমিক ফোরামের কর্তা অ্যালেক্সি ভালকোভ বলেন, “যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতির কিছু উপযুক্ত জায়গা তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ও মার্কিন কোম্পানিগুলি ব্যবসা গোটানোয় এই শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ওই দেশগুলির সরকারের চাপেই যুদ্ধের আবহে পাততাড়ি গুটিয়েছে তারা। অনেক রাশিয়ান কোম্পানি এই ব্যবসাগুলির রাশ হাতে নিতে প্রস্তুত। আগ্রহ দেখিয়েছে কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনও।”

    কোন কোন ক্ষেত্রে সুযোগ

    তিনি জানান, এ দেশে এমন অনেক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, যেগুলি ভারতের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানিগুলিকে ব্যবসা করতে আগ্রহী করে তুলবে। অটোমেটিভ, ট্রান্সপোর্টেশন, টেক্সটাইল কিংবা লাইট ইন্ডাস্ট্রিজগুলি ওই জায়গাগুলির ভাল ব্যবসা করতে পারবে।  সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্ডিয়ান ইকনোমিক ফোরামের ইভেন্ট হবে আগামী (Russia) বছরের জুনের ৫ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে। তিনি বলেন, “বিশেষ কোনও ব্যবসার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করাটা ঠিক হবে না। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের যে ব্যবসা চলছে, সেগুলি সহযোগিতার ভিত্তিতে। আমরা ফ্রেশ এবং এক্সাইটিং ডেভেলপমেন্ট দেখতে পাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, ললিতকে পালাতে সাহায্য করেছিল সে-ই?

    ভলকোভ বলেন, “এই ফোরামে দু তরফে আলোচনার সুযোগ মিলবে। পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই এই সুযোগ মিলবে। এই ফোরামে যে কেবল রাশিয়ায় ব্যবসা করার সুযোগ মিলবে তা-ই নয়, গোটা বিশ্বের দ্বারই উন্মুক্ত হয়ে যাবে। কারণ ভৌগোলিকভাবে সেন্ট পিটার্সবার্গ তিনটি দেশের মাঝখানে অবস্থিত।” মুম্বইয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের কাউন্সেল জেনারেল অ্যালেক্সি সুরোভৎসেব বলেন, “আমরা কেবল লক্ষ্য রাখছি ব্যবসায়িক কাজকর্মের নীতিগুলির ওপর। সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্ডিয়ান ইকনোমিক ফোরাম একটা উন্মুক্ত মঞ্চ। এখানে যারা অংশ নেবে, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকবে। প্রয়োজনে এই অংশগ্রহণের খবর গোপনও রাখা হবে (Russia)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ছিনতাই হওয়া সোমালিয়াগামী একটি জাহাজকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। জানা গিয়েছে, এমভি রুয়েন নামে একটি জাহাজ শনিবার ভোরে যাচ্ছিল সোমালিয়া উপকূলের দিকে। সেই সময় আরব সাগরে টহল দিচ্ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানরা।

    ছিনতাইয়ের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা?

    সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাওয়া জাহাজটি থেকে একটি সংকেত পান ভারতীয় নৌসেনার জওয়ানরা। এর পরেই রুয়েনকে ধাওয়া করে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহলদারি জলযানটি। নৌসেনার কাছ থেকে খবর পেয়ে আকাশপথে রুয়েনের ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি পেট্রোল বিমান। আর ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে ঘিরে রেখেছেন নৌসেনার (Indian Navy) জওয়ানরা। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, রুয়েন নামের ওই জাহাজটিতে রয়েছেন ১৮ জন ক্রু-মেম্বার। এই জাহাজটি থেকেই একটি মে-ডে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। জাহাজটিতে অপরিচিত ৬জন উঠে পড়েছে। তিনি জানান, জওয়ানদের তৎপরতায় ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এমভি রুয়েন।

    লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়েছিল জাহাজ

    আরব সাগরের এই ঘটনার মাসখানেক আগেও ছিনতাই হয়েছিল আস্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজ। তবে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল লোহিত সাগরে। ভারতে আসার পথে ছিনতাই করা হয়েছিল জাহাজটিকে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইয়েমেনের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হুজির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল ইজরায়েল। যেহেতু সেই সময় ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ হচ্ছিল এবং ইয়েমেন ছিল হামাসের পাশে, তাই তেল আভিভের অভিযোগের আঙুল ছিল ইয়েমেনের দিকে। ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ইরানের মদত ছিল বলেও অভিযোগ ইজরায়েলের। ছিনতাই হওয়া জাহাজটিতে ২৫ জন বিদেশি ক্রু-মেম্বার ছিলেন। সেই জাহাজটির হদিশ মেলেনি এখনও। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জাহাজ ছিনতাই। এবার অবশ্য ভারতীয় নৌবাহনীর জওয়ানদের চেষ্টায় অভিষ্ট পূরণ হয়নি ছিনতাইকারীদের।

    আরও পড়ুুন: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    আরব সাগরের এই ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে ইউকে মেরিন ট্রেড অপারেশসন। তারা জানিয়েছে, আরব সাগর দিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়ার কাছে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন (Indian Navy) করতে হবে। এই এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব সম্প্রতি বেড়েছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সন্দেহজনক কোনও ঘটনা ঘটলেই দ্রুত তা রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মাথায় নয়া তাজ। তৈরি হয়ে গেল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। স্বাভাবিকভাই এই করিডর চালু হয়ে গেলে আয় বাড়বে ভারতীয় রেলের। পণ্য পরিবহণ করে সব চেয়ে বেশি আয় করে ভারতীয় রেল। তবে লাইনে জটের জেরে মালগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছায় দেরিতে। এতে ক্ষতি হয় দু’তরফেই। একদিকে যেমন ট্রিপ কমে যায় গাড়ির, তেমনি অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাঁরা, যাঁরা পণ্য আমদানি-রফতানি করেন। তার জেরে পণ্য পরিবহণ বাবদ আয় কমে গিয়েছে রেলের। সেই কারণেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। সেই কাজই শেষ হয়েছে।

    দুই করিডর

    রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, দুটি করিডর তৈরি হবে। একটি ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর, অন্যটি ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডর। এই দুই করিডর ক্রস করবে একটি জায়গায়। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গে সন্নাগর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি হল ইস্টার্ন করিডর। আর উত্তরপ্রদেশের রেওয়ারি থেকে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বিমানবন্দর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি ওয়েস্টার্ন করিডর। রেওয়ারি থেকে দাদরি পর্যন্তও ট্রেন নিয়ে যাওয়া যাবে এই করিডরের মাধ্যমে। কাজ শেষ হয়েছে এই ইস্টার্ন করিডরের। এই করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৩৩৭ কিমি। ওয়েস্টার্ন করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৫০৬ কিমি। রেল সূত্রে খবর, এই করিডরের কাজ শেষ হয়েছে ৭৮ শতাংশ।

    গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল

    এর পাশাপাশি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের বিকাশেও নয়া নীতি নির্ধারণ করেছে রেলমন্ত্রক। এর ফলে রেলের মাধ্যমে রেলের পাশাপাশি সড়ক এবং জলপথেও পণ্য নিয়ে যাওয়া যাবে এক স্থান থেকে অন্যত্র। ইতিমধ্যেই ১৫টি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে উঠেছে। গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে তুলতে আরও ৯৬টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    জানা গিয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ও গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের লক্ষ্যই হল লজিস্টিক সেক্টরে ভারতে গ্লোবাল লিডার হিসেবে গড়ে তোলা। এতে একই সঙ্গে বৃদ্ধি এবং বিকাশ হবে ভারতীয় অর্থনীতির। এর পাশাপাশি (Indian Railways) বাড়বে কাজের সুযোগও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগও বাড়বে। উৎপাদন, কৃষি এবং খনির মতো ক্ষেতেই মূলত বাড়বে বিনিয়োগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • T-20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ! নিউ-ইয়র্কে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    T-20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ! নিউ-ইয়র্কে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ হতে চলেছে নিউ ইয়র্কে। আমেরিকার শেষ জনগণনা অনুযায়ী নিউইয়র্কেই সব থেকে বেশি ভারতীয় বসবাস করেন। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়ের সংখ্যা ৭ লাখ ১১ হাজারের বেশি। পাশাপাশি, প্রায় এক লাখ পাকিস্তানি বসবাস করেন। তাই নিউ ইয়র্কেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ভারত-পাক ম্যাচের জন্য নয়া স্টেডিয়াম

    আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) যৌথ ভাবে আয়োজন করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কের শহরতলির পপ-আপ স্টেডিয়ামে হবে বসবে ধুন্ধুমার ক্রিকেট যুদ্ধের আসর। ফের বাইশ গজে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। এর জন্য ৩৪ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট অস্থায়ী স্টেডিয়ামে তৈরি করা হবে। নিউ ইয়র্কে স্টেডিয়াম নেই, তা নয়। তবে ক্রিকেটের উপযোগী স্টেডিয়াম নেই সেখানে। রয়েছে আরও একটি সমস্যা। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় দর্শকাসনের স্টেডিয়ামও নেই। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য নতুন স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা।

    আরও পড়ুন: আর কেউ পরতে পারবেন না ধোনির জার্সি! মাহির ৭ নম্বর জার্সি সংরক্ষণ বিসিসিআই-এর

    ভারতীয় সময় দেখে হতে পারে খেলা

    বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটে ভেন্যু বাছাই করা হয়েছে— ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রডওয়ার্ড পার্ক, টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম এবং ম্যানহাটনের ডাউনটাউন থেকে ২৫ মাইল দূরের লং আইল্যান্ডের আইজেনওয়ার পার্ক। দিল্লি এবং নিউইয়র্কের সময়ের ব্যবধান সাড়ে দশ ঘণ্টা। ভারতের টেলিভিশন দর্শকদের কথা বিবেচনা করে ভারতীয় দলের ম্যাচগুলি সেই সময় মতো হবে। উল্লেখ্য টি-২০ বিশ্বকাপ হবে ৪-৩০ জুন। আইসিসির তরফে এখনও গ্রুপবিন্যাস করা হয়নি। ২০১৩ সালের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানকে প্রতিটি আইসিসি ট্রফিতেই এক গ্রুপে রাখা হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হচ্ছে না। টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল কোথায় হবে, তা এখনও চূড়ান্ত না হলেও অনুমান করা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে চূড়ান্ত লড়াই হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share