Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে, আরব সাগর অঞ্চলে বড়সড় বিমান মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই মহড়ার জন্য নোটাম (Notice to Airmen) জারি করা হয়েছে। এই মহড়া আজ, ২০ জুন ২০২৫ সকাল ১০:৩০ টায় শুরু হবে এবং শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক বিমান সক্রিয়ভাবে উড়বে। করাচি আকাশসীমা এবং পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এর প্রতিধ্বনি অনুভূত হতে পারে।

    কেন এই মহড়া?

    কেউ সুরক্ষিত নয়। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারত। সংঘর্ষ বিরতি হলেও প্রতিরক্ষা শিথিল করছে না সরকার। বরং নিরাপত্তা আরও মজবুত করতেই বড় সিদ্ধান্ত। যুদ্ধ আবহের মাঝেই ফের বড় অ্যাকশনে নামছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বড়সড় বিমান মহড়া হচ্ছে পাকিস্তানের গা ঘেঁষেই। জানা গিয়েছে, গুজরাটে বায়ুসেনা বড় মাপের মহড়া চালানো হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে। একেবারে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেষেই উড়ছে সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমানগুলি। এই মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটাম জারি করা হয়েছে।

    নোটাম (NOTAM) কী?

    নোটাম (NOTAM) হল একটি নোটিস যা পাইলট, বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক এবং বিমানের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিমান (Indian Air Force) ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। NOTAM এর উদ্দেশ্য হল বিমান ভ্রমণকে নিরাপদ করা। এর মাধ্যমে, বিমানবন্দর, আকাশসীমা বা অন্যান্য বিমান চলাচলের সুবিধাগুলিতে যেকোনো অস্থায়ী পরিবর্তন বা বিপদ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। যখন বায়ুসেনার মহড়া চলবে, তখন ওই আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না অন্য কোনও বিমান। এই তথ্য জানাতেই জারি করা হয়েছে নোটাম। এই তথ্য টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দেওয়া হয় যাতে ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের ফ্লাইট পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারেন। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহ করে বিমানবন্দর অপারেশন বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC) কে দেয়। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর একাধিকবার এমন মহড়া দিয়েছে বায়ুসেনা। কখনও রাজস্থানের সীমান্ত, কখনও জম্মু-কাশ্মীর। এবার গুজরাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বায়ুসেনা।

  • Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মুকুটে যুক্ত হল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আরও এক গর্বের সংযোজন। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্র (Smart Anti Airfield Weapon)। এর ওজন ১২৫ কেজি। ১.৮৫ মিটার লম্বা এই গ্লাইড বোমা, ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের রানওয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম।

    বিমানঘাঁটি অচল করতে বিশেষভাবে নির্মিত

    স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্রের (SAAW) মধ্যে রয়েছে ৮০ কেজির উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়ারহেড, যা রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, বাঙ্কার এবং জ্বালানির ডিপোগুলি অচল করে দিতে পারে। এটি রকেট চালিত নয় বরং গ্লাইড করে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছয়, ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এই স্মার্ট বোমাটিতে ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল (GPS ও NavIC) সংযুক্ত করা হয়েছে, যা লক্ষ্যভ্রান্তি মাত্র সাত মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও ইমেজিং-ইনফ্রারেড সিকার, যার ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিশানার ভুলত্রুটি তিন মিটারের নিচে নেমে আসে।

    ঝুঁকির বাইরে থেকেই আঘাত

    এই বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আক্রমণ চালাতে পারে। এর ফলে যুদ্ধবিমানগুলি শত্রু অঞ্চলের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ না করে বাইরে থেকেই আঘাত হনতে পারে। কম ওজনের কারণে এটি বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা যায়, ওড়ার ক্ষমতাতেও কোনও প্রভাব ফেলে না। ২০১৬ সাল থেকে জাগুয়ার, মিরাজ, মিগ-২৯, এসইউ-৩০, এলসিএ তেজস, হক (Jaguar, Mirage 2000, MiG‑29, Su‑30 MKI, LCA Tejas, Hawk) সহ বিভিন্ন বিমানে এটি সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। এমনকি হ্যাল-এর ভবিষ্যতের ড্রোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে এমন ক্যাটস ওয়ারিয়র (CATS Warrior) প্ল্যাটফর্মের জন্যও এটি উপযুক্ত।

    উৎপাদন ও রফতানি

    ২০১৩ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনা হাতে এর প্রথম সংস্করণ তুলে দেন। চলতি মাসেই স্যাটেলাইট-নির্ভর সংস্করণ কেনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন মিললেই অর্ডার চূড়ান্ত হবে। এই স্মার্ট দেশি বোমা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড। এই অস্ত্র বিদেশে রফতানির কথাও ভাবা হচ্ছে।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share