Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ছিন্নভিন্ন হয়েছে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবার। পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে এবার মন্তব্য জইশ কামান্ডারের। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। মঞ্চের দুই দিকে বন্দুকধারী রক্ষী ছিল কঠিন পাহারায়। মাইক নিয়ে হাত উঁচু করে জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলছে, “গত ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ডেরায় হামলা চালিয়েছিল সেই সময় সেই সময় জইশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যদের টুকরো টুকরো করে নিঃশেষ করা হয়েছিল। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু।” এই মন্তব্যে ফের একবার ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা হয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশের কুকর্ম আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    কী বলল জইশ কমান্ডার (Muhammad Masood Azhar)?

    পাকিস্তানের স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলে, “ভারতের হামলায় মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্য মারা পড়েছে।” জইশের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই কমান্ডারকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা দেশের সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে কাবুল, কান্দাহার, দিল্লির সঙ্গে লড়াই করছি। মাসুদ আজাহারের পরিবার সদস্য এবং পুত্রকে বোমায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে।” ভারতের সেনাবাহিনী যে ভাবে অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) সুপরিণতি দিয়েছে তাতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জয়ই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত বিরোধীরা ঘরেবাইরে জঙ্গিদের মন্তব্যে আরও কোনঠাসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর

    পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর হল বাহাওয়ালপুর। জইশ-ই-মহম্মদের (Muhammad Masood Azhar) সদর দফতর মারকাজ সুবহান আল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে ১০০ কিমি গভীরে অবস্থিত এই জঙ্গি ডেরা। আর এখানেই ভারতীয় সেনা ব্যাপক আঘাত করেছিল। এটা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই আস্তানায় মাসুদের পরিবারের আত্মীয়রা থাকত। ধ্বংসের পর উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে পাকজঙ্গি ঘাঁটির অবস্থা কতটা করুণ। সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    ১৫ একর জমির উপর নির্মিত

    মাসুদ ইলিয়াসের মন্তব্য ছিল পাকিস্তানের জন্য দারুণ ধাক্কা। সে নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজনের শিশু। যদিও প্রথমে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিল। পরে অবশ্য মাসুদ নিজেই স্বীকারোক্তি করে। তবে এই জঙ্গি ডেরাটি মোট ১৫ একর জমির উপর নির্মিত। এখানে কট্টর ধর্মীয় জিহাদ এবং মৌলবাদের শিক্ষা প্রদানের কাজ চলত।

    ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল

    ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখপাত্র হিসেবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটিও ছিল। আগেও বারবার ভারতের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।” জঙ্গিদের (Muhammad Masood Azhar) প্রতি পাকসেনা বাহিনী কতটা সহমর্মী তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল যখন মৃত জঙ্গিদের জানাজায় তাঁদের স্পষ্ট উপস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছিল।

    মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

    ভারতের কাছে মাসুদ আজাহার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে মাসুদ। ভারতে লাগাতার হামলার ছক করে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মাসুদ আজাহার। তার হামলা করা ষড়যন্ত্রগুলির মধ্যে হল- ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই জঙ্গি। আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার পাকিস্তানের এই জঙ্গিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই জেহাদি সংগঠনের সহযোগিতা নেয় এবং তাদের লালনপালন করে থাকে। তবে অপারেশন সিঁদুরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যে ব্যাপক ভাবে আঘাত করেছে তাও আরও একবার স্পষ্ট হয়।

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিমানের ঘাটতি নিয়ে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান বারবার আশঙ্কার কথা তুলছেন, ঠিক সেই সময় দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ৬২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত ৯৭টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই বিমানগুনি তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি যেমন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তেমনই প্রকল্পটি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকেও আরও শক্তিশালী করবে।

    ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ বিমান পাবে বায়ুসেনা

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল। এই অর্ডার আসত, এমন সম্ভাবনা ছিলই। এখন কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ায় তা নিশ্চিত হল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক

    জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বরাতের তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের ব্যবহারের হার আরও অনকটাই বৃদ্ধি পাবে। নতুন তেজস বিমানগুলিতে দেশীয় উপকরণের ব্যবহার হবে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    পুরনো মিগের জায়গা নেবে তেজস

    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) শেষ মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলি অবসর নেবে। নতুন বিমানগুলি পুরনো মিগ-এর জায়গা পূরণ করবে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    সুশান্ত দাস

     

    ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন এফ-৩৫ প্রস্তাব ভূপতিত করল ভারত। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের খবর, নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের এফ-৩৫ লাগবে না। ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিত ভারতের, কেন? রইল ১০ কারণ

    ভারত-আমেরিকার রসায়নে বদল…

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে, ভারতকে ‘এফ-৩৫’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় পাঁচ মাস পর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করল ভারত। এই চার মাসে অবশ্য দুই দেশের কূটনৈতিক রসায়নে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পাক-ভূমে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই ভারতকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। যার সর্বশেষ সংযোজন হল বাণিজ্য-শুল্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও দর-কষাকষির মাঝেই ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করা এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করা।

    ট্রাম্পের উস্কানিকে আমল দিচ্ছে না ভারত

    তবে, ট্রাম্পের এই শুল্ক-উস্কানি নীতিকে বেশি আমল দিতে নারাজ ভারত। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা বা পাল্টা-শুল্ক চাপানোর পথে হাঁটবে না। স্রেফ জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। ভারতের শীর্ষ কর্তাদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সোনা ও যোগাযোগ সরঞ্জাম নিয়ে যেমন আলোচনা চলছিল, তেমনই চলবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনকে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এখন আমেরিকার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করবে না।

    ট্রাম্পের ট্যারিফ-যুদ্ধের জের?

    ভারতের এই ঘোষণার সময় তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২৯ জুলাই ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, এও জানান, ভারত যদি এর পরেও রাশিয়া থেকে তেল বা অস্ত্র কিনতে থাকে, তাহলে, নয়াদিল্লির ওপর জরিমানা থেকে শুরু করে নিষেধাজ্ঞাও চাপতে পারে। যদিও, জরিমানার অঙ্ক বা ঠিক কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা, তা খোলসা করেননি ট্রাম্প। ঠিক পরেই এফ-৩৫ না নেওয়ার কথা আমেরিকাকে জানায় ভারত। ফলে, ‘দুইয়ে-দুইয়ে চার’ করার কাজ শুরু হয়ে যায়।

    প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়া চুক্তি নয়

    যদিও, ভারত এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত জানিয়েছে, বিদেশ থেকে শুধু কেনার চেয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চায় তারা। যা মার্কিন এফ-৩৫-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অন্যদিকে, ভারত দেশে যৌথ অংশিদারিত্বে উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে। ফলে, আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধবিমান চুক্তি করে লাভ নেই ভারতের। একইসঙ্গে, ভারত এও জানিয়েছে, বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিগুলি আছে, তাতে কোনও হেরফের হবে না। সেগুলি থাকছে। তবে, ঠিক সময়ে সরঞ্জাম না পাওয়া নিয়ে উষ্মা গোপন রাখেননি নয়াদিল্লির কর্তারা। আমেরিকার থেকে ৬টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনেছে ভারত। চুক্তি হয়েছিল ২০২০ সালে। দেওয়ার কথা ২০২৪ সালে। ১৫ মাস দেরিতে ভারতে এসেছে সেই কপ্টার। তাও, ৬টা নয়, এসেছে তিনটে ইউনিট।

    জ্বলছেন ট্রাম্প, হাসছেন পুতিন!

    এদিকে, ভারত এফ-৩৫-কে প্রত্যাখ্যান করায় ভ্লাদিমির পুতিনের মুখে চওড়া হাসি। ভারতের দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান অ্যামকা পেতে এখনও ১০ বছর। এই সময়ে আপৎকালীন ভিত্তিতে তিন স্কোয়াড্রন (৫৪-৬০টি) বিদেশি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। সেক্ষেত্রে ভারতের হাতে দুটো বিকল্প ছিল। মার্কিন এই-৩৫ ও রুশ সু-৫৭। এফ-৩৫-কে পত্রপাঠ বিদায় করার পর ভারতের হাতে একটিই বিকল্প— সুখোই-৫৭ কেনা। আমেরিকা যেখানে এফ-৩৫-এর প্রযুক্তি একেবারেই হস্তান্তর করতে রাজি নয়, সেখানে রাশিয়া বিমানের সোর্স কোড সহ পুরো প্রযুক্তি হস্তান্তর, এমনকি ভারতে যৌথ উৎপাদনেও রাজি। ফলে, ভারতের কাছে এই প্রস্তাব লুফে নেওয়ার মতো। বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তখন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। সেই সময় যদি সু-৫৭ চুক্তি সম্পন্ন হয়, তা হবে ‘আইসিং অন দ্য কেক’। আর সেই কারণেই তো ট্রাম্পের এত জ্বালা!

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

LinkedIn
Share