Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Astra Mark 1: ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র’

    Astra Mark 1: ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুখোই-৩০ ও এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমানে বসানোর জন্য ভারত ডায়নামিকস লিমিটেডকে এয়ার-টু-এয়ার ‘অস্ত্র মার্ক-১’ (Astra Mark 1) ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ছাড়পত্র দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই মিসাইল তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি একটি আকাশ-থেকে-আকাশ বিভিআর মিসাইল। জানা গিয়েছে, এই মিসাইলের রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার। অস্ত্র মার্ক-২ বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এর রেঞ্জ হতে চলেছে ৩০০ কিলোমিটার।

    ২৯০০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের অনুমোদন (Astra Mark 1)

    ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) তরফে জানানো হয়েছে, এয়ার মার্শাল আশুতোষ দীক্ষিত হায়দরাবাদ সফরের সময় বিডিএলকে উৎপাদনের ছাড়পত্র প্রদান করেছিলেন। তিনি ডিআরডিও-র পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেছিলেন, যেখানে (Astra Mark 1) এই মিসাইল তৈরি হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ সালে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় পরিষদ ২৯০০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উৎপাদন সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এই মিসাইল সুখোই-৩০ এবং এলসিএ তেজস বিমানে ব্যবহার করা হবে।

    ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য দেশীয় প্রকল্পে সাহায্য বায়ুসেনার (IAF)

    প্রসঙ্গত, অস্ত্র মার্ক-১ (Astra Mark 1) ছাড়াও আকাশ থেকে ভূমি নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সহ তিন থেকে চারটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও বায়ুসেনা (IAF) তরঙ্গ শক্তি মহড়া শুরু করেছে। প্রথম ধাপে ৬ থেকে ১৪ অগাস্ট এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৯ অগাস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।

    আরও পড়ুন: হাসিনার জন্য তৈরি ছিল রাফাল! বাংলাদেশের উপর কড়া নজর কেন্দ্রের

    ১০ দেশ এই মহড়ায় অংশ নেবে। ১৮টি দেশ পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে। ভারতীয় নৌসেনাও মিগ-২৯ বিমান সহ এই মহড়ায় অংশ নেবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Third Aircraft Carrier: তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ শীঘ্রই, হবে আরও ৫-৬টি, বড় ঘোষণা রাজনাথের

    Third Aircraft Carrier: তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ শীঘ্রই, হবে আরও ৫-৬টি, বড় ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা আগ্রাসন থেকে দেশের জলসীমা এবং সর্বোপরি ভারতের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা খোলসা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানালেন, শীঘ্রই তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী (Third Aircraft Carrier) নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া, অদূর ভবিষ্যতে ভারতে আরও ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করা হবে বলেও বড় দাবি করলেন তিনি।

    কী বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজনাথ জানান, খুব শীঘ্রই ভারতের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। এই জাহাজটিও আইএনএস বিক্রান্ত-এর মতো ৪৫ হাজার টনের হবে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এই মুহূর্তে ২টি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি দেশীয় বিক্রান্ত। অন্যটি ২০১৩ সালে রাশিয়া থেকে কেনা আইএনএস বিক্রমাদিত্য। তৃতীয়টির (Third Aircraft Carrier) উৎপাদন শীঘ্রই শুরু হবে। তবে, আমরা এখানেই থেমে থাকতে রাজি নই। আমরা আরও ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করব।’’

    ভারত মহাসাগরে চিনের মোকাবিলা

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ভারত ৫-৬টি আরও বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে ফেলে, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় জলসীমার কাছে চিবনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করা সহজ হবে। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) শক্তি প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। চিনের চেয়ে বেশি না হলেও, তা চিনের সমকক্ষ হয়ে উঠবে (Third Aircraft Carrier)। প্রসঙ্গত, চিনও জানিয়েছে যে, তারা ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমানে, চিনের হাতেও দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি সাবেক সোভিয়েত জমানার লিয়াওনিং। অন্যটি দেশে তৈরি শ্যানডং। সম্প্রতি, ৮০ হাজার টনের ফুজিয়ানের সি-ট্রায়াল (সামুদ্রিক পরীক্ষাপর্ব) শেষ হয়েছে। শীঘ্রই তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

    দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতীয় নৌজাহাজ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার তা সম্পন্ন হলে, চিন একটিকে (বিমানবাহী রণতরী) পাকাপাকিভাবে ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করতে পারে। ফলে, ভারতের হাতেও যদি অন্তত তিনটে বিমানবাহী রণতরী (Third Aircraft Carrier) থাকে, তাহলে চিনা আগ্রাসনের চোখে চোখ রেখে মোকাবিলা সহজ হবে। চিনও অতি-সাহসী হয়ে ওঠার আগে দুবার ভাববে। রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) ঘোষণা অনুযায়ী যদি ভারতের হাতে একবার ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী চলে আসে, তাহলে একটিকে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে মোতায়েন করে রাখা সম্ভব হবে। 

    দুই জলসীমার সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে

    তিনটে বিমানবাহী রণতরীর (Third Aircraft Carrier) দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। বাহিনীর মতে, একসঙ্গে তিনটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থাকলে, দেশের দুই জলসীমা — পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে আরবসাগরে একইসঙ্গে দুটি মোতায়েন করে জলসীমাকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। সেই সময় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে তৃতীয়টিকে বসানো হলেও, সমস্যা হবে না। 

    কী মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা

    তবে বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, একসঙ্গে ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরীকে (Third Aircraft Carrier) মোতায়েন করতে হলে, প্রচুর সংখ্যক জাহাজ ও সহযোগী পরিকাঠামোরও প্রয়োজন। তাঁদের মতে, বিমানবাহী রণতরী হল ‘কোহিনূরে’র মতো। তারা কখনও একা যায় না। একটি বিমানবাহী রণতরীর সুরক্ষায় সর্বদা তাকে ঘিরে থাকে একাধিক ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ও করভেট ও জ্বালানি সববরাহকারী ট্যাঙ্কার প্রভৃতি রণতরীর একটা টিম। জলের নীচে থাকে সাবমেরিন। আকাশে চক্কর কাটতে থাকে অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান। এই সব মিলিয়ে তৈরি হয় একটি বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’ (Carrier Battle Group)। এর জন্য প্রয়োজন বিশাল বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো। রাজনাথের (Rajnath Singh) এই দাবিকে বাস্তব করতে হলে, নৌসেনা (Indian Navy) তথা প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর বিনিয়োগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে, বিশেষ করে মূলধন বরাদ্দ প্রভূত পরিমাণে বাড়াতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: চিন্তিত চিন-পাক! ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল, কী বিশেষত্ব?

    Indian Air Force: চিন্তিত চিন-পাক! ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভারে আরও শক্তিবৃদ্ধি হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ও নৌসেনার। ভারতের হাতে চলে এল দূরপাল্লার আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সুপারসনিক ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল (Rampage Missile)। সদ্য এই মিসাইল ব্যবহারের উদাহরণ রেখেছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। ইরানের টার্গেটে তাক করার সময় এই ব়্যাম্পেজ মিসাইলকে তারা ব্যবহার করেছে। এবার সেই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতেও। 

    এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল…

    র‌্যাম্পেজ মিসাইলটি তৈরি করেছে ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইজরায়েলি মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মার্ক-২ প্রজন্মের ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একদিকে যেমন উচ্চগতি সম্পন্ন, ঠিক তেমনভাবে কাজেও অত্যন্ত পারদর্শী (Rampage Missile)। সামরিক পরিভাষায় একে বলা হয়— ‘হাই-স্পিড লো ড্র্যাগ’। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল— এটি জিপিএস/আইএনএস নেভিগেশন সিস্টেম অনুসরণ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকায় শত্রুর জ্যামারেও এর কোনও ক্ষতি হয় না। ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকে। সর্বোপরি, যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় এটি সমান কার্যকর।

    আরও শক্তিশালী সুখোই-৩০, মিগ-২৯

    বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রে খবর, বাহিনীর প্রধান রুশ-নির্মিত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানে এই অত্যাধুনিক মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বায়ুসেনার মিগ-২৯ ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমানেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। একইভাবে, নৌসেনায় ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানেও এই মিসাইল (Rampage Missile) ফিট করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এর ফলে, এখন থেকে কমিউনিকেশন সেন্টার (সামরিক তথ্যের আদানপ্রদান কেন্দ্র), রেডার স্টেশন, বায়ুসেনা ঘাঁটি সহ শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে অতি সহজেই টার্গেট করতে পারবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি।

    জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয়েছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র

    ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতের পর— অত্যাবশ্যকীয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা প্রদান করেছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তার ওপর ভিত্তি করেই এই র‌্যাম্পেজ মিসাইলগুলি কিনেছে বায়ুসেনা (Indian Air Force) ও নৌসেনার এভিয়েশন বিভাগ। সূত্রের খবর, বর্তমানে ব্যবহৃত ‘স্পাইস-২০০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অধিক দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম র‌্যাম্পেজ (Rampage Missile)। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় স্পাইস-২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।

    ব্রহ্মসের নতুন জুড়িদার…

    সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানগুলির আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু করেছে বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানগুলির অস্ত্রসম্ভার ও বহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ এই যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করে এর জীবনকাল ও ক্ষিপ্রতা এবং মারণক্ষমতা — সব উন্নত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের সেরা ৪০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও। এটিও আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র। এবার তার জুড়ি হিসেবে যোগ দিল র‌্যাম্পেজ (Rampage Missile)। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ভারতেও যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন করা যায়, তার সম্ভাবনাও রয়েছে। 

    নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আন্দামানেও

    অন্যদিকে, র‌্যাম্পেজ মিসাইল (Rampage Missile) কেনার পাশাপাশি ভারত নিজস্ব সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ‘রক্স’ (ক্রিস্টাল মেজ-২) নামের এমনই একটি নতুন-প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: “পাকিস্তানকে সবার আগে ফোনে জানিয়েছিলাম”, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বড় খোলসা মোদির

    PM Narendra Modi: “পাকিস্তানকে সবার আগে ফোনে জানিয়েছিলাম”, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বড় খোলসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ময়দানে ফিরে এল বালাকোটের (Balakot Air Stikre) স্মৃতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে বলেন, “বিশ্বের কাছে প্রকাশের আগেই পাকিস্তানকে ফোনে জানিয়েছি, মারার হলে সামনে থেকেই মারি।” পুলবামায় জঙ্গি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল ভারত। বিশ্বকে জানানোর আগে পাকিস্তানকে নিজেই টেলিফোনে এয়ার স্ট্রাইকের কথা জানিয়েছিলেন মোদি। 

    কী বললেন মোদি (PM Narendra Modi)?

    কর্নাটকের বগলাকোটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) বলেন, “মোদি কাউকে পিছন থেকে মারে না। যদি মারার হয় সামনে থেকে মারে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News) এদিন বলেন আমি নিজেই সেনাবাহিনীকে বলেছিলাম সংবাদমাধ্যমকে জানাতে। গোটা বিষয়টি উপস্থাপন করতে। তার আগে পাকিস্তানকে আমি ফোনে জানাই, গতকাল রাতে যা হয়েছে তা আমরা ঘটিয়েছি। তাদের জানানোর পর আমরা সারা বিশ্বকে স্ট্রাইক (Balakot Air Strike) সম্পর্কে জানিয়েছিলাম।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মোদি কখনই কোনও কিছু লুকোয় না। পিঠ পিছনে হামলা করে না। মোদির যা করার সব সামনে থেকে করে। যারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে তারা সাবধান হয়ে যাক। কারণ এটা নতুন ভারত। ঘরে ঢুকবেও মারবেও।”

    ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি মারা যায়

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বায়ুসেনা (Indian Air Force) পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটের (Balakot Air Strike) জয়েশ-ই-মহম্মদের (Jaish-E-Mohammad) জঙ্গি শিবিরে হামলা চালায়। ২৫০ থেকে ৩০০-র মত জঙ্গি এই হামলায় মারা গিয়েছিল। যদিও পাকিস্তান প্রথমে এই হামলার কথা স্বীকার করেনি। পরে অবশ্য চাপে পড়ে তারা ভারতের হামলার কথা স্বীকার করে। যদিও যত সংখ্যক জঙ্গি সেদিন মারা গিয়েছিল তা আজও স্বীকার করেনি পাকিস্তান। ভারতীয় বায়ুসেনা সেসময় জানিয়েছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের ফলে জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণরত, প্রশিক্ষিত এবং সিনিয়র কামান্ডার র‍্যাঙ্কের অনেক জঙ্গিরা মারা গিয়েছিল। ওই জঙ্গি শিবিরের দায়িত্বে ছিল জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক মাওলানা ইউসুফ আজহার ওরফে ওস্তাদ ঘোরি। সে-ও ওই হামলায় মারা যায়। প্রসঙ্গত এই হামলায় ভারতের ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিমানগুলিকে এস্কর্ট করে ভারতের সুখোই-৩০এমকেআই বিমান। মৌলানা ইউসুফ আজহার ও মাসুদ আজহার ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণকাণ্ডে অভিযুক্ত। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনায় মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে পাকিস্তান যে ভয় পেয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    আরও পড়ুনঃ হাতে অলঙ্কার পরে আর চিকিৎসা নয় ! নয়া নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    উদ্দেশ্য কী ছিল?

    বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (Balakot Air Strike) উদ্দেশ্য ছিল, কোনও সাধারণ মানুষকে ক্ষতি না করে, শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিরে হামলা করা। ভারত এর আগে এত বেশি সংখ্যায় বিমান বিদেশের মাটিতে এয়ার স্ট্রাইকের জন্য ব্যবহার করেনি। সফলভাবে এর স্ট্রাইক করার জন্য বায়ুসেনাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই সময় সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, বালাকোটে ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত ছিল জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। এই এয়ার স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ওই জায়গা ঘিরে ফেলে এবং সাধারণ মানুষ কিংবা সাংবাদিক কাউকেই সেখানে প্রবেশ করার অধিকার দেয়নি। মাসখানেক পরে সব মেরামত করে সেখানে পছন্দের কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে গিয়েছিল পাক সেনা। পরে ওই জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরকে স্কুল ও মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে পাকিস্তান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। আকাশে ডানা মেলল দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mark-1A) । বৃহস্পতিবার, প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে এলসিএ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) হাতে আসা থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে তেজস-এর নতুন সংস্করণ। 

    ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ

    বৃহস্পতিবার, বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর তত্ত্বাবধানে এই উড়ান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সংস্থার আধিকারিকরা সেই খবর সংবাদমাধ্যমকে দেন। জানা গিয়েছে, প্রথমবার আকাশে উড়ে প্রায় ১৫ মিনিট চক্কর কাটে এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A)। বস্তুত, ৮৩টি মার্ক-১এ বিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে বায়ুসেনা। আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    চলতি মাসের শেষেই হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই সম্ভবত এই সংস্করণের প্রথম বিমানটি তুলে দেওয়া হবে বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে। খবর মিলেছে, আগামী ৩১ মার্চ এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সেদিন এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের টুইন-সিটার বা দুই আসন-বিশিষ্ট ভার্সান বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তেমনটা হলে, স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পের জন্য তা হতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) মূলত হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে, বিশ্বের বহু চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজস মার্ক-১এ হতে চলেছে বেশি ক্ষমতাশালী ও উন্নত।

    চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ

    ২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে তেজসের মার্ক-১ সংস্করণ। বর্তমানে, বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে— একটি ১৮ নম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। একবার মার্ক-১এ সংস্করণ (LCA Tejas Mark-1A) অন্তর্ভুক্ত হলে বায়ুসেনার শক্তি ও সংখ্যা— দুটোই অনেকটা বেড়ে যাবে। বাহিনীতে মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হলে তা ‘যুগান্তকারী’ হবে বলে উল্লেখ করেন বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি। 

    আধুনিকীকরণের পথে ভারতীয় বায়ুসেনা

    বর্তমানে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশের বায়ুসেনায় এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ধুঁকতে থাকা মিগ সিরিজের যুদ্ধবিমানগুলিকে অবসরে পাঠানোর পর ভারতীয় বায়ুসেনায় এখন যুদ্ধবিমানের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। দেশীয় চতুর্থ প্রজন্মের উন্নত এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) বিমান সেই ঘাটতি অনায়াসে পূরণ করতে পারবে। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এখন আধুনিকীকরণের পথে। তারা চাইছে দ্রুত ফাইটার ফ্লিটের সংখ্যা বাড়াতে। সেই লক্ষ্য পূরণ  করতে বায়ুসেনার প্রধান ভরসা দেশীয় তেজস মার্ক-১এ।

    তেজসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে…

    ইতিমধ্যেই, বাহিনীতে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলসিএ তেজস। বিভিন্ন দেশ এই বিমান কেনার বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার নতুন এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) যুদ্ধবিমানগুলি সেই আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তেজস-এর বর্তমান সংস্করণের মতো একই (চতুর্থ) প্রজন্মের হলেও তুলনায় মার্ক-১এ তার পূর্বসূরির চেয়ে ঢের বেশি উন্নত, আধুনিক ও শক্তিশালী হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২০২৪-২০২৫ এ ‘গগনযান’(Gaganyaan) অভিযানের আওতায় চার নভোশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন ভাগে তিন দিন কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গগনযানে’ চেপেই এই অভিযান চলবে। তার জন্যই বেঙ্গালুরুতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চার মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রদাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই অভিযান সফল হলে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের। 

    কেমন চলছে প্রশিক্ষণ

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার নভোশ্চরের নাম প্রকাশ করা হয়। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী কী অনুশীলন

    বর্তমানে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। সেকীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সিমুলেটরের মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক প্রশিক্ষণ করছেন তাঁরা। বিশেষ ধরনের যোগও করছেন বলে ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব মরশুমেই যাতায়াত সহজ! চিনকে ঠেকাতে লাদাখে নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    অবতরণের জন্য সতর্কতা

    মিশনের (Gaganyaan) একেবারে শেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে অবতরণ করতে অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরব সাগরে প্রাথমিক ল্যান্ডিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় এজেন্সিগুলো যে কোনও জরুরির পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবে। মিশনটি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, ৪৮টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং সাইট নির্বাচন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha elections 2024: বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Lok Sabha elections 2024: বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান, এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং। প্রসঙ্গত, আরকেএস ভাদৌরিয়া হলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যোগী রাজ্যের কোনও আসন (Lok Sabha elections 2024) থেকেই তিনি ভোটে লড়তে পারেন। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁকে গাজিয়াবাদ আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।

    বায়ুসেনার প্রধান ছিলেন ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার (Lok Sabha elections 2024) যে সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় পাইলটরা প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান চালিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন আরকেএস ভাদৌরিয়া। জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে ভারত যে চুক্তি করেছিল, সেই চুক্তি চূড়ান্ত করতেও তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি বায়ুসেনার প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন।

    কী বললেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান

    বিজেপিতে যোগ (Lok Sabha elections 2024) দিয়ে তিনি বলেন, “ফের দেশ গঠনে আমায় অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আইএএফ-এর চাকরি করেছি। কিন্তু আমার চাকরির সেরা সময় ছিল শেষ ৮ বছর, বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে। সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতায়িত করতে এবং বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং বাহিনীকে স্বনির্ভর করতে, এই সরকার যে সকল কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বাহিনীতে এক নতুন সক্ষমতার জন্ম দিয়েছে। পাশাপাশি, তাদের নতুন করে আত্মবিশ্বাসও জুগিয়েছে।”

    মোট ৪ হাজার ঘণ্টারও বেশি বিমান উড়িয়েছেন

    উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় জন্ম আরকেএস ভাদৌরিয়ার। তাঁর পিতাও কর্মরত ছিলেন বায়ুসেনায়। পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির অত্যন্ত কৃতী ছাত্র হিসেবে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন (Lok Sabha elections 2024) ভাদোরিয়া। মোট চার হাজার ঘণ্টারও বেশি, সব মিলিয়ে ছাব্বিশ রকমের বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কাজ করেছেন দক্ষিণাঞ্চল বা ‘সাদার্ন এয়ার কমান্ড’-এর কর্তা হিসেবেও। এর পরে মস্কোয় ভারতের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IAF Jet Crash: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার পাইলট অভিমন্যু

    IAF Jet Crash: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার পাইলট অভিমন্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার এক জওয়ান (IAF Jet Crash)। দেরাদুনের বাসিন্দা ৩৩ বছরের অভিমন্যু রাই বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। গত মাসে হায়দরাবাদ এয়ারপোর্টের ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে একটি ট্রেনার জেট নিয়ে আকাশে ওড়েন অভিমন্যু। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। অভিমন্যু বুঝতে পারেন যে দুর্ঘটনা আসন্ন। সে সময় বিমানটি একটি গ্রামের উপরে ভেঙে পড়তে পারতো যার ফলে প্রাণ যেত অসংখ্য নিরীহ মানুষের। অভিমন্যুর সামনে বিকল্প ছিল যে লাফ দিয়ে বিমান থেকে নেমে পড়া কিন্তু সেটা হলে বিমান (IAF Jet Crash) ওই গ্রামেই ভেঙে পড়তো। তাই বিমানটিকে অন্যত্র নিয়ে যান অভিমন্যু। কিছুক্ষণের মধ্যেই জেট বিমানটি ভেঙে পড়ে এতে মারা যান তিনি।

    অভিমন্যুর কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বায়ুসেনার আধিকারিকরা

    তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বায়ু সেনার (IAF Jet Crash) আধিকারিকরা, তাঁরা বলছেন, ‘‘নিজের জীবন দিয়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন অভিমন্যু। জানা গিয়েছে, অভিমন্যুর স্ত্রী অক্ষতা রাই তিনিও বায়ুসেনার একজন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। এর পাশাপাশি অভিমুন্য রাইয়ের পুরো পরিবারই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর বাবা বিমান বাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর সে সময় হাজির ছিলেন তাঁর সহকর্মীরা।

    ভিভিআইপি-দের পাইলট ছিলেন অভিমন্যু

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সহ ভিভিআইপিদের বিমান চালানোর জন্য ৯ জন পাইলটের যে টিম ছিল সেখানকারই একজন ছিলেন অভিমন্যু। নিজের ব্যাচমেট ও জুনিয়রদের সঙ্গে অভিমন্যুর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অভিমন্যুর মা বলেন, ‘‘গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার (IAF Jet Crash) দিয়েছিল সে, না হলে সে সহজেই বিমান থেকে বের হয়ে যেতে পারত। নিজের নামকে সার্থক করেছে সে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, অনুপ্রেরণামূলক সিনেমা দেখতেই পছন্দ করতেন অভিমন্যু। ঘটনার আগের দিন রাতেই তিনি ‘শ্যাম বাহাদুর’ ছবিটি দেখেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার (GOa) সমুদ্রের উপর ভেঙে পড়ল ভারতীয় নৌ সেনার মিগ২৯-কে যুদ্ধ বিমানটি (MiG 29K Fighter Jet Crash)। কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন বিমানচালক। জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে ভেঙে পড়ার মুহূর্তে বিমান থেকে বেরতে সক্ষম হয়েছেন সেই পাইলট। দুর্ঘটনার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নৌ সেনা (Indian Navy)।

    আরও পড়ুন: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    নৌ সেনার তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, গোয়ার সমুদ্রের উপর দিয়ে একটি মিগ ২৯-কে নিয়মিত যাত্রা করছিল। তখন বিমানটি নৌ সেনা ঘাঁটিতে ফিরে আসার সময় তাতে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে এটি ভেঙে পড়ে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে গেছে এবং দ্রুত SAR অপারেশনে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাইলটের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। বোর্ড অফ এনকোয়ারি-এর তরফে এই ঘটনার কারণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌ সেনা সূত্রে খবর, বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মিগ২৯-কে একটি অত্যাধুনিক, এয়ার ডমিনেন্স ফাইটার ও সবরকম আবহাওয়াতেই চলতে পারে, এমন একটি যুদ্ধ বিমান। এর সর্বোচ্চ গতি শব্দের গতির দ্বিগুণেরও বেশি। আর এটি ৬৫০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে আজ ফাইটার জেটে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২০ সালে, মিগ২৯-কে আরব সাগরের উপর যাওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়ায় নিশান্ত সিং নামে এক ভারতীয় নৌ সেনার পাইলট মারা যান। এই ঘটনার আগে, ২০১৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ নভেম্বর, দুটি মিগ২৯ ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আবার ২০১৮ সালেও একটি ভারতীয় মিগ২৯-কে মাঝ পথে ভেঙে পড়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indian Air Force: চলতি মাসেই বায়ুসেনার হাতে আসছে এলসিএ তেজসের প্রথম ‘মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমান?

    Indian Air Force: চলতি মাসেই বায়ুসেনার হাতে আসছে এলসিএ তেজসের প্রথম ‘মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই কি ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) হাতে পেতে চলেছে নতুন দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস মার্ক-১এ’ (LCA Tejas Mark-1A) সংস্করণের প্রথম যুদ্ধবিমান? এমন একটা সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বায়ুসেনা সূত্রে। তেমনটা হলে নিঃসন্দেহে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

    প্রথম বিমানটি দুই-আসন বিশিষ্ট

    সম্পূর্ণ দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস-এর উন্নত মার্ক-১এ সংস্করণের যুদ্ধবিমানগুলি উৎপাদন হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কারখানায়। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই এই সংস্করণের প্রথম বিমানটি হস্তান্তর করা হবে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force)। এই বিমানটি মূলত দুই-আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমান হবে। 

    ৩১ মার্চ সম্ভাব্য হস্তান্তর

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ৩১ মার্চ সম্ভবত এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তেমনটা হলে, স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পের জন্য তা হতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) মূলত হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে, বিশ্বের বাকি চতুর্থ প্রজন্ম তথা এই শ্রেণির যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজস মার্ক-১এ হতে চলেছে বেশি ক্ষমতাশালী ও উন্নত।

    আকাশে ওড়ার অপেক্ষা

    এমন ৮৩টি যুদ্ধবিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। শুধু তাই নয়। ৮৩টির পর আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, হ্যালের কারখানায় ইতিমধ্যে নতুন যুদ্ধবিমানের গ্রাউন্ড ট্রায়াল ও ট্যাক্সি-রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার আকাশে ওড়ার পালা। 

    ‘যুগান্তকারী ঘটনা’

    ২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে তেজসের মার্ক-১ সংস্করণ। বর্তমানে, বায়ুসেনায় তেজসের মার্ক-১ যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে— একটি ১৮ নম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। একবার  মার্ক-১এ সংস্করণ (LCA Tejas Mark-1A) অন্তর্ভুক্ত হলে বায়ুসেনার শক্তি ও সংখ্যা— দুটোই অনেকটা বেড়ে যাবে। বাহিনীতে মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তিকে ‘যুগান্তকারী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘‘এখন ৪০টি এলসিএ মার্ক-১ রয়েছে। মার্ক-১এ সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হলে সংখ্যাটা বেড়ে ২২০ হবে। ফলে, ১০টি স্কোয়াড্রন গঠন করা যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share