Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে মার্কিন অ্যাপাচে হেলিকপ্টার (Apache Helicopter)। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, আগামী ২১ জুলাই ভারতে এসে পড়বে প্রথম দফার তিনটি ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি দেরি এবং দু-দুবার সময়সীমা পার করার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরের হাতে আসতে চলেছে প্রথম ব্যাচের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অ্যাটাক হেলিকপ্টার (Apache AH-64E Attack Helicopter)। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেসে প্রথমে অবতরণ করবে এই হেলিকপ্টারগুলি। পরে, সেগুলি মোতায়েন করা হবে রাজস্থানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

    ভারতীয় সেনার অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন তৈরি

    ২০২০ সালে ছ’টি ‘অ্যাপাচে’ হেলিকপ্টার কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ভারতের। মোট ৬০ কোটি ডলারের (৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা) বিনিময়ে এই লড়াকু হেলিকপ্টারগুলি কিনছে ভারত। এর জন্য রাজস্থানের যোধপুরে নতুন স্কোয়াড্রনও গঠন করে ভারতীয় সেনা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে স্থলসেনার প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গঠিত হয়। কথা ছিল ২০২৪ সালের মে-জুন মাসেই এই হেলিকপ্টারগুলি (Apache Helicopter) পেয়ে যাবে ভারত। কিন্তু তা হয়নি। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে সেগুলি ভারতকে সরবরাহ করার কথা হয়। তা-ও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। এদিকে, গঠন হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার না পৌঁছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। গত মাসে আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। সেখানেই নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করে ভারত। অবশেষে ওই হেলিকপ্টারগুলি হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা।

    ভারতীয় বায়ুসেনায় রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে (Apache Helicopter)

    বর্তমানে, ধ্রুব এবং চেতকের মতো ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আর্মি এভিয়েশন কোর। এছাড়া, তাদের হাতে রয়েছে, ডরনিয়ার ২২৮, ইউএভি এবং মি-১৭ হেলিকপ্টার। গত বছর অসমের মিসামারিতে দেশীয়ভাবে তৈরি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) প্রচন্ডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এবার আসছে আমেরিকার অ্যাপাচে। বস্তুত, ভারতীয় বায়ুসেনা অনেক আগে থেকেই অ্যাপাচে ব্যবহার করছে। তাদের হাতে ইতিমধ্যেই ২২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের (Apache Helicopter) একটি বহর রয়েছে, যা পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টেই মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া পৃথক একটি চুক্তিতে ওই হেলিকপ্টারগুলি কেনা হয়েছিল।

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে

    অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারগুলি (Apache AH-64E Attack Helicopter) অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নিশানাভেদী প্রযুক্তিতে সজ্জিত। বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। এই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। লেজার-চালিত হেলফায়ার (নরকের আগুন) ক্ষেপণাস্ত্র, ৭০ মিলিমিটার রকেট, ৩০ মিলিমিটার স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে এই কপ্টারে। প্রয়োজনে মিনিটে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যেতে পারে আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার। এই কপ্টারের ডিজিটাল ককপিট রয়েছে। শত্রুপক্ষকে নিশানা করে অ্যাপাচে মিনিটে ১২৮টি গুলি ছুড়তে পারে। এতে হাইড্রো রকেট ছোড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এয়ার-টু-এয়ার স্ট্রিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এতে রয়েছে লং বো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় অ্যাপাচেকে। অ্যাপাচে আসায় এই কোরের ক্ষমতা আরও অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছেন সেনা কর্তারা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘অ্যাপাচের (Apache Helicopter) মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টার যুদ্ধক্ষেত্রে গেমচেঞ্জার প্রমাণিত হতে পারে।’

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে, আরব সাগর অঞ্চলে বড়সড় বিমান মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই মহড়ার জন্য নোটাম (Notice to Airmen) জারি করা হয়েছে। এই মহড়া আজ, ২০ জুন ২০২৫ সকাল ১০:৩০ টায় শুরু হবে এবং শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক বিমান সক্রিয়ভাবে উড়বে। করাচি আকাশসীমা এবং পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এর প্রতিধ্বনি অনুভূত হতে পারে।

    কেন এই মহড়া?

    কেউ সুরক্ষিত নয়। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারত। সংঘর্ষ বিরতি হলেও প্রতিরক্ষা শিথিল করছে না সরকার। বরং নিরাপত্তা আরও মজবুত করতেই বড় সিদ্ধান্ত। যুদ্ধ আবহের মাঝেই ফের বড় অ্যাকশনে নামছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বড়সড় বিমান মহড়া হচ্ছে পাকিস্তানের গা ঘেঁষেই। জানা গিয়েছে, গুজরাটে বায়ুসেনা বড় মাপের মহড়া চালানো হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে। একেবারে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেষেই উড়ছে সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমানগুলি। এই মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটাম জারি করা হয়েছে।

    নোটাম (NOTAM) কী?

    নোটাম (NOTAM) হল একটি নোটিস যা পাইলট, বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক এবং বিমানের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিমান (Indian Air Force) ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। NOTAM এর উদ্দেশ্য হল বিমান ভ্রমণকে নিরাপদ করা। এর মাধ্যমে, বিমানবন্দর, আকাশসীমা বা অন্যান্য বিমান চলাচলের সুবিধাগুলিতে যেকোনো অস্থায়ী পরিবর্তন বা বিপদ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। যখন বায়ুসেনার মহড়া চলবে, তখন ওই আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না অন্য কোনও বিমান। এই তথ্য জানাতেই জারি করা হয়েছে নোটাম। এই তথ্য টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দেওয়া হয় যাতে ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের ফ্লাইট পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারেন। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহ করে বিমানবন্দর অপারেশন বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC) কে দেয়। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর একাধিকবার এমন মহড়া দিয়েছে বায়ুসেনা। কখনও রাজস্থানের সীমান্ত, কখনও জম্মু-কাশ্মীর। এবার গুজরাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বায়ুসেনা।

  • Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মুকুটে যুক্ত হল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আরও এক গর্বের সংযোজন। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্র (Smart Anti Airfield Weapon)। এর ওজন ১২৫ কেজি। ১.৮৫ মিটার লম্বা এই গ্লাইড বোমা, ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের রানওয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম।

    বিমানঘাঁটি অচল করতে বিশেষভাবে নির্মিত

    স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্রের (SAAW) মধ্যে রয়েছে ৮০ কেজির উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়ারহেড, যা রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, বাঙ্কার এবং জ্বালানির ডিপোগুলি অচল করে দিতে পারে। এটি রকেট চালিত নয় বরং গ্লাইড করে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছয়, ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এই স্মার্ট বোমাটিতে ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল (GPS ও NavIC) সংযুক্ত করা হয়েছে, যা লক্ষ্যভ্রান্তি মাত্র সাত মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও ইমেজিং-ইনফ্রারেড সিকার, যার ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিশানার ভুলত্রুটি তিন মিটারের নিচে নেমে আসে।

    ঝুঁকির বাইরে থেকেই আঘাত

    এই বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আক্রমণ চালাতে পারে। এর ফলে যুদ্ধবিমানগুলি শত্রু অঞ্চলের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ না করে বাইরে থেকেই আঘাত হনতে পারে। কম ওজনের কারণে এটি বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা যায়, ওড়ার ক্ষমতাতেও কোনও প্রভাব ফেলে না। ২০১৬ সাল থেকে জাগুয়ার, মিরাজ, মিগ-২৯, এসইউ-৩০, এলসিএ তেজস, হক (Jaguar, Mirage 2000, MiG‑29, Su‑30 MKI, LCA Tejas, Hawk) সহ বিভিন্ন বিমানে এটি সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। এমনকি হ্যাল-এর ভবিষ্যতের ড্রোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে এমন ক্যাটস ওয়ারিয়র (CATS Warrior) প্ল্যাটফর্মের জন্যও এটি উপযুক্ত।

    উৎপাদন ও রফতানি

    ২০১৩ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনা হাতে এর প্রথম সংস্করণ তুলে দেন। চলতি মাসেই স্যাটেলাইট-নির্ভর সংস্করণ কেনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন মিললেই অর্ডার চূড়ান্ত হবে। এই স্মার্ট দেশি বোমা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড। এই অস্ত্র বিদেশে রফতানির কথাও ভাবা হচ্ছে।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

LinkedIn
Share