Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। আকাশে ডানা মেলল দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mark-1A) । বৃহস্পতিবার, প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে এলসিএ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) হাতে আসা থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে তেজস-এর নতুন সংস্করণ। 

    ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ

    বৃহস্পতিবার, বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর তত্ত্বাবধানে এই উড়ান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সংস্থার আধিকারিকরা সেই খবর সংবাদমাধ্যমকে দেন। জানা গিয়েছে, প্রথমবার আকাশে উড়ে প্রায় ১৫ মিনিট চক্কর কাটে এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A)। বস্তুত, ৮৩টি মার্ক-১এ বিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে বায়ুসেনা। আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    চলতি মাসের শেষেই হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই সম্ভবত এই সংস্করণের প্রথম বিমানটি তুলে দেওয়া হবে বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে। খবর মিলেছে, আগামী ৩১ মার্চ এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সেদিন এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের টুইন-সিটার বা দুই আসন-বিশিষ্ট ভার্সান বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তেমনটা হলে, স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পের জন্য তা হতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) মূলত হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে, বিশ্বের বহু চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজস মার্ক-১এ হতে চলেছে বেশি ক্ষমতাশালী ও উন্নত।

    চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ

    ২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে তেজসের মার্ক-১ সংস্করণ। বর্তমানে, বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে— একটি ১৮ নম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। একবার মার্ক-১এ সংস্করণ (LCA Tejas Mark-1A) অন্তর্ভুক্ত হলে বায়ুসেনার শক্তি ও সংখ্যা— দুটোই অনেকটা বেড়ে যাবে। বাহিনীতে মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হলে তা ‘যুগান্তকারী’ হবে বলে উল্লেখ করেন বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি। 

    আধুনিকীকরণের পথে ভারতীয় বায়ুসেনা

    বর্তমানে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশের বায়ুসেনায় এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ধুঁকতে থাকা মিগ সিরিজের যুদ্ধবিমানগুলিকে অবসরে পাঠানোর পর ভারতীয় বায়ুসেনায় এখন যুদ্ধবিমানের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। দেশীয় চতুর্থ প্রজন্মের উন্নত এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) বিমান সেই ঘাটতি অনায়াসে পূরণ করতে পারবে। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এখন আধুনিকীকরণের পথে। তারা চাইছে দ্রুত ফাইটার ফ্লিটের সংখ্যা বাড়াতে। সেই লক্ষ্য পূরণ  করতে বায়ুসেনার প্রধান ভরসা দেশীয় তেজস মার্ক-১এ।

    তেজসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে…

    ইতিমধ্যেই, বাহিনীতে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলসিএ তেজস। বিভিন্ন দেশ এই বিমান কেনার বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার নতুন এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) যুদ্ধবিমানগুলি সেই আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তেজস-এর বর্তমান সংস্করণের মতো একই (চতুর্থ) প্রজন্মের হলেও তুলনায় মার্ক-১এ তার পূর্বসূরির চেয়ে ঢের বেশি উন্নত, আধুনিক ও শক্তিশালী হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২০২৪-২০২৫ এ ‘গগনযান’(Gaganyaan) অভিযানের আওতায় চার নভোশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন ভাগে তিন দিন কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গগনযানে’ চেপেই এই অভিযান চলবে। তার জন্যই বেঙ্গালুরুতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চার মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রদাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই অভিযান সফল হলে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের। 

    কেমন চলছে প্রশিক্ষণ

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার নভোশ্চরের নাম প্রকাশ করা হয়। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী কী অনুশীলন

    বর্তমানে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। সেকীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সিমুলেটরের মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক প্রশিক্ষণ করছেন তাঁরা। বিশেষ ধরনের যোগও করছেন বলে ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব মরশুমেই যাতায়াত সহজ! চিনকে ঠেকাতে লাদাখে নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    অবতরণের জন্য সতর্কতা

    মিশনের (Gaganyaan) একেবারে শেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে অবতরণ করতে অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরব সাগরে প্রাথমিক ল্যান্ডিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় এজেন্সিগুলো যে কোনও জরুরির পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবে। মিশনটি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, ৪৮টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং সাইট নির্বাচন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha elections 2024: বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Lok Sabha elections 2024: বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান, এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং। প্রসঙ্গত, আরকেএস ভাদৌরিয়া হলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যোগী রাজ্যের কোনও আসন (Lok Sabha elections 2024) থেকেই তিনি ভোটে লড়তে পারেন। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁকে গাজিয়াবাদ আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।

    বায়ুসেনার প্রধান ছিলেন ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার (Lok Sabha elections 2024) যে সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় পাইলটরা প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান চালিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন আরকেএস ভাদৌরিয়া। জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে ভারত যে চুক্তি করেছিল, সেই চুক্তি চূড়ান্ত করতেও তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি বায়ুসেনার প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন।

    কী বললেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান

    বিজেপিতে যোগ (Lok Sabha elections 2024) দিয়ে তিনি বলেন, “ফের দেশ গঠনে আমায় অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আইএএফ-এর চাকরি করেছি। কিন্তু আমার চাকরির সেরা সময় ছিল শেষ ৮ বছর, বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে। সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতায়িত করতে এবং বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং বাহিনীকে স্বনির্ভর করতে, এই সরকার যে সকল কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বাহিনীতে এক নতুন সক্ষমতার জন্ম দিয়েছে। পাশাপাশি, তাদের নতুন করে আত্মবিশ্বাসও জুগিয়েছে।”

    মোট ৪ হাজার ঘণ্টারও বেশি বিমান উড়িয়েছেন

    উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় জন্ম আরকেএস ভাদৌরিয়ার। তাঁর পিতাও কর্মরত ছিলেন বায়ুসেনায়। পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির অত্যন্ত কৃতী ছাত্র হিসেবে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন (Lok Sabha elections 2024) ভাদোরিয়া। মোট চার হাজার ঘণ্টারও বেশি, সব মিলিয়ে ছাব্বিশ রকমের বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কাজ করেছেন দক্ষিণাঞ্চল বা ‘সাদার্ন এয়ার কমান্ড’-এর কর্তা হিসেবেও। এর পরে মস্কোয় ভারতের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IAF Jet Crash: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার পাইলট অভিমন্যু

    IAF Jet Crash: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার পাইলট অভিমন্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের জীবনের বিনিময়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন বায়ুসেনার এক জওয়ান (IAF Jet Crash)। দেরাদুনের বাসিন্দা ৩৩ বছরের অভিমন্যু রাই বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। গত মাসে হায়দরাবাদ এয়ারপোর্টের ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে একটি ট্রেনার জেট নিয়ে আকাশে ওড়েন অভিমন্যু। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। অভিমন্যু বুঝতে পারেন যে দুর্ঘটনা আসন্ন। সে সময় বিমানটি একটি গ্রামের উপরে ভেঙে পড়তে পারতো যার ফলে প্রাণ যেত অসংখ্য নিরীহ মানুষের। অভিমন্যুর সামনে বিকল্প ছিল যে লাফ দিয়ে বিমান থেকে নেমে পড়া কিন্তু সেটা হলে বিমান (IAF Jet Crash) ওই গ্রামেই ভেঙে পড়তো। তাই বিমানটিকে অন্যত্র নিয়ে যান অভিমন্যু। কিছুক্ষণের মধ্যেই জেট বিমানটি ভেঙে পড়ে এতে মারা যান তিনি।

    অভিমন্যুর কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বায়ুসেনার আধিকারিকরা

    তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বায়ু সেনার (IAF Jet Crash) আধিকারিকরা, তাঁরা বলছেন, ‘‘নিজের জীবন দিয়ে কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচালেন অভিমন্যু। জানা গিয়েছে, অভিমন্যুর স্ত্রী অক্ষতা রাই তিনিও বায়ুসেনার একজন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। এর পাশাপাশি অভিমুন্য রাইয়ের পুরো পরিবারই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর বাবা বিমান বাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর সে সময় হাজির ছিলেন তাঁর সহকর্মীরা।

    ভিভিআইপি-দের পাইলট ছিলেন অভিমন্যু

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সহ ভিভিআইপিদের বিমান চালানোর জন্য ৯ জন পাইলটের যে টিম ছিল সেখানকারই একজন ছিলেন অভিমন্যু। নিজের ব্যাচমেট ও জুনিয়রদের সঙ্গে অভিমন্যুর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অভিমন্যুর মা বলেন, ‘‘গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার (IAF Jet Crash) দিয়েছিল সে, না হলে সে সহজেই বিমান থেকে বের হয়ে যেতে পারত। নিজের নামকে সার্থক করেছে সে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, অনুপ্রেরণামূলক সিনেমা দেখতেই পছন্দ করতেন অভিমন্যু। ঘটনার আগের দিন রাতেই তিনি ‘শ্যাম বাহাদুর’ ছবিটি দেখেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার (GOa) সমুদ্রের উপর ভেঙে পড়ল ভারতীয় নৌ সেনার মিগ২৯-কে যুদ্ধ বিমানটি (MiG 29K Fighter Jet Crash)। কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন বিমানচালক। জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে ভেঙে পড়ার মুহূর্তে বিমান থেকে বেরতে সক্ষম হয়েছেন সেই পাইলট। দুর্ঘটনার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নৌ সেনা (Indian Navy)।

    আরও পড়ুন: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    নৌ সেনার তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, গোয়ার সমুদ্রের উপর দিয়ে একটি মিগ ২৯-কে নিয়মিত যাত্রা করছিল। তখন বিমানটি নৌ সেনা ঘাঁটিতে ফিরে আসার সময় তাতে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে এটি ভেঙে পড়ে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে গেছে এবং দ্রুত SAR অপারেশনে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাইলটের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। বোর্ড অফ এনকোয়ারি-এর তরফে এই ঘটনার কারণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌ সেনা সূত্রে খবর, বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মিগ২৯-কে একটি অত্যাধুনিক, এয়ার ডমিনেন্স ফাইটার ও সবরকম আবহাওয়াতেই চলতে পারে, এমন একটি যুদ্ধ বিমান। এর সর্বোচ্চ গতি শব্দের গতির দ্বিগুণেরও বেশি। আর এটি ৬৫০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে আজ ফাইটার জেটে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২০ সালে, মিগ২৯-কে আরব সাগরের উপর যাওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়ায় নিশান্ত সিং নামে এক ভারতীয় নৌ সেনার পাইলট মারা যান। এই ঘটনার আগে, ২০১৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ নভেম্বর, দুটি মিগ২৯ ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আবার ২০১৮ সালেও একটি ভারতীয় মিগ২৯-কে মাঝ পথে ভেঙে পড়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indian Air Force: চলতি মাসেই বায়ুসেনার হাতে আসছে এলসিএ তেজসের প্রথম ‘মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমান?

    Indian Air Force: চলতি মাসেই বায়ুসেনার হাতে আসছে এলসিএ তেজসের প্রথম ‘মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই কি ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) হাতে পেতে চলেছে নতুন দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস মার্ক-১এ’ (LCA Tejas Mark-1A) সংস্করণের প্রথম যুদ্ধবিমান? এমন একটা সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বায়ুসেনা সূত্রে। তেমনটা হলে নিঃসন্দেহে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

    প্রথম বিমানটি দুই-আসন বিশিষ্ট

    সম্পূর্ণ দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস-এর উন্নত মার্ক-১এ সংস্করণের যুদ্ধবিমানগুলি উৎপাদন হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কারখানায়। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই এই সংস্করণের প্রথম বিমানটি হস্তান্তর করা হবে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force)। এই বিমানটি মূলত দুই-আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমান হবে। 

    ৩১ মার্চ সম্ভাব্য হস্তান্তর

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ৩১ মার্চ সম্ভবত এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তেমনটা হলে, স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পের জন্য তা হতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) মূলত হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে, বিশ্বের বাকি চতুর্থ প্রজন্ম তথা এই শ্রেণির যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজস মার্ক-১এ হতে চলেছে বেশি ক্ষমতাশালী ও উন্নত।

    আকাশে ওড়ার অপেক্ষা

    এমন ৮৩টি যুদ্ধবিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। শুধু তাই নয়। ৮৩টির পর আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, হ্যালের কারখানায় ইতিমধ্যে নতুন যুদ্ধবিমানের গ্রাউন্ড ট্রায়াল ও ট্যাক্সি-রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার আকাশে ওড়ার পালা। 

    ‘যুগান্তকারী ঘটনা’

    ২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে তেজসের মার্ক-১ সংস্করণ। বর্তমানে, বায়ুসেনায় তেজসের মার্ক-১ যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে— একটি ১৮ নম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। একবার  মার্ক-১এ সংস্করণ (LCA Tejas Mark-1A) অন্তর্ভুক্ত হলে বায়ুসেনার শক্তি ও সংখ্যা— দুটোই অনেকটা বেড়ে যাবে। বাহিনীতে মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তিকে ‘যুগান্তকারী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘‘এখন ৪০টি এলসিএ মার্ক-১ রয়েছে। মার্ক-১এ সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হলে সংখ্যাটা বেড়ে ২২০ হবে। ফলে, ১০টি স্কোয়াড্রন গঠন করা যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অপহৃত জাহাজ উদ্ধারের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার (Bulgeria) প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ। আরব সাগরে টানা ৪০ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। দীর্ঘ তিন মাস ধরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক থাকা জাহাজ ও তার কর্মীদের উদ্ধার করেছে আইএনএস কলকাতা। ওই জাহাজে বুলগেরিয়ার ৭ নাগরিক ছিলেন। তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। 

    মোদিকে ধন্যবাদ 

    বুলগেরিয়ান (Bulgeria) জাহাজটিকে উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান সেখানকার রাষ্ট্রপতি রুমেন রাদেভ। এই সফল অভিযানের জন্য ভারতকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান, বুলগেরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী  মারিয়া গ্যাব্রিয়েলও। তিনি বলেন, “আমি সফল অপারেশনের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছিনতাইকৃত জাহাজ রুয়েন ও তার ক্রু সদস্যরা এখন মুক্ত। এদের মধ্যে ৭ জন বুলগেরিয়ার নাগরিক ছিলেন। ভারতের এই সমর্থন এবং মহান প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ। আমরা ক্রুদের জীবন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    জয়শঙ্করের বার্তা

    বুলগেরিয়ার (Bulgeria) এই অভিনন্দন বার্তার প্রত্যুত্তরে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Dr S Jaishankar) বলেন, “বন্ধুরা এর জন্যই।” সম্প্রতি হুথি আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আরব সাগরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। এই আবহে ওই জলসীমায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবসময় বন্ধু দেশগুলির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই ভারতের নীতি বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IAF Tejas Crash: জয়সলমেরের কাছে ভেঙে পড়ল তেজস প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, সুরক্ষিত পাইলট

    IAF Tejas Crash: জয়সলমেরের কাছে ভেঙে পড়ল তেজস প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, সুরক্ষিত পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণের সময় ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমান (IAF Tejas Crash)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সলমেরের কাছে। সময় মতো বেরিয়ে আসায় সুরক্ষিত রয়েছেন এক পাইলট। তবে, সঠিক সময়ে প্যারাশুট না খোলার কারণে অপর পাইলটের চোট লেগেছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা। 

    ভেঙে পড়ল তেজস-এর (IAF Tejas Crash) প্রশিক্ষণ বিমান

    সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জয়সলমেরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ)’ তেজস-এর ট্রেনার ভার্সান বা প্রশিক্ষণ বিমান (IAF Tejas Crash)। ওই বিমানে ছিলেন পাইলট ও সহকারী পাইলট। জওহর নগরের একটি পরিত্যক্ত এলাকায় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। স্থানীয় মেঘওয়াল হস্টেল ভবনের কাছে মিলেছে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ (Tejas Aircraft)। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ২ পাইলটই বেঁচে রয়েছেন। একজনের চোট-আঘাত লেগেছে বলে খবর। তবে, তিনি কতটা আহত, তা জানা যায়নি।

    কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন

    দুর্ঘটনার (IAF Tejas Crash) খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বায়ুসেনার আধিকারিকরা। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ভারতীয় বায়ুসেনা একটি বিবৃতিতে বলেছে, “বায়ুসেনার একটি তেজস বিমান (Tejas Aircraft) প্রশিক্ষণ চলাকালীন জয়সলমেরে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে।”

    এই প্রথম দুর্ঘটনার কবলে তেজস (IAF Tejas Crash)

    এর আগে, মিগ সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়লেও কোনওদিন তেজসের ক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেনি। ২৩ বছরে এই প্রথম বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তেজস। ভারতীয় বায়ুসেনায় দেশীয় তেজস যুদ্ধবিমানকে (Tejas Aircraft) আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। গত অক্টোবরে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের (IAF Tejas Crash) দু’আসন বিশিষ্ট নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল বায়ুসেনার হাতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের! দুই সীমান্তে উচ্চক্ষমতার রেডার, বিশেষ বন্দুক বসাচ্ছে ভারত

    Indian Air Force: ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের! দুই সীমান্তে উচ্চক্ষমতার রেডার, বিশেষ বন্দুক বসাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে (Pak China Border) নজরদারি বাড়াতে বড় পদক্ষেপ ভারতের। ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে আসতে চলেছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দেশীয় রেডার ও ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লুএস)। পূর্ব ও পশ্চিম—দুই প্রান্তের আকাশসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি করতে উভয় সীমান্তে বসানো হচ্ছে এই অত্যন্ত শক্তিশালী রেডার। একইসঙ্গে খুব স্বল্প দূরত্বে শত্রুপক্ষের ড্রোন থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মোকাবিলায় মোতায়েন করা হচ্ছে সিআইডব্লুএস। 

    মোদির নেতৃত্বে সিসিএস বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সম্প্রতি, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বসেছিল নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই বায়ুসেনার  (Indian Air Force) শক্তিবৃদ্ধি করতে এই দুই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ভারতেই উৎপাদন করবে দেশীয় সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে রেডার কিনতে খরচ হবে ৬০০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ৭০০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হবে ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম।

    উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দেশীয় রেডার

    ভারতে তৈরি হওয়া এই সর্বাধুনিক উচ্চক্ষমতার রেডারগুলি পূর্বে চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এবং পশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হবে। এই রেডারগুলির মূল কাজ হবে উভয় দেশের (চিন-পাকিস্তান) বায়ুসেনার গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখা। যেমন লাদাখ-অরুণাচলে মোতায়েন হওয়া এই রেডারগুলি চিনা বায়ুসেনার কার্যকলাপের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখবে। কাশ্মীর-পাঞ্জাবে মোতায়েন রেডারের মাধ্যমে পাক বায়ুসেনার গতিপ্রকৃতি সঠিকভাবে জানা যাবে।

    কেন প্রয়োজন ছিল এই রেডার?

    কেন এই নতুন অত্যাধুনিক রেডার বসানোর প্রয়োজন ছিল? বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রের দাবি, বর্তমানে মোতায়েন রেডারগুলিও শক্তিশালী। পশ্চিম সীমান্তের পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাট সেক্টর থেকেই পাকিস্তানের ওপর নজরদারি রাখা হয়। কিন্তু, পাক-সীমান্তের জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের অরুণাচল— এই জায়গাগুলির ভৌগলিক অবস্থান অত্যন্ত দুর্গম (Pak China Border)। ঘন পার্বত্য অঞ্চলে মোড়া তার ওপর আবহাওয়া প্রায়ই প্রতিকূল। ফলে, সেখান থেকে পাকিস্তান ও চিনের ওপর নজর রাখতে প্রয়োজন ছিল আরও শক্তিশালী রেডার, যা এই দুর্গম জায়গা থেকেও সমান কার্যকর হয়। যার ফলস্বরূপ, নতুন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রেডারগুলি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    হাতের তালুতে চিনা যুদ্ধবিমানের গতিপ্রকৃতি!

    সম্প্রতি, লাদাখ সেক্টরে ডেমচক অঞ্চলে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চিনা বায়ুসেনা। সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যুত্তরে, ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) দুটি যুদ্ধবিমানকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত কত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, তা পরখ করার জন্যই এই আকাশসীমা-লঙ্ঘন প্রক্রিয়া চালায় চিন। একবার নতুন রেডার প্রতিস্থাপন হয়ে গেলে, চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে বিমান উড়লেই ভারত খবর পেয়ে যাবে। 

    ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেমের গুরুত্ব

    দুই সীমান্তের (Pak China Border) আকাশসীমার সুরক্ষা আরও নিশ্ছিদ্র করতে রেডারের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশীয় ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লুএস) বন্দুক বসাচ্ছে ভারত। এই নতুন প্রজন্মের এয়ার-ডিফেন্স গান সীমান্ত-লাগোয়া সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওপর আকাশপথে হওয়া হামলা প্রতিহত করতে দারুন কার্যকর হবে। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা  (Indian Air Force) যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ বন্দুকের নকশা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানের বড় আধুনিকীকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমানে যেমন যুক্ত হতে চলেছে নতুন রেডার, মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম। তেমনই এতে বাড়ানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা এবং আধুনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্রবহণের ক্ষমতা। 

    ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

    সূত্রের খবর, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) — যৌথভাবে এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হবে দেশের বেসরকারি সংস্থাও। 

    ২ পর্বে হবে আধুনিকীকরণ

    সম্প্রতি, দুদিকের শত্রু থেকে দেশের আকাশকে রক্ষা করতে এবং আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে দ্রুত সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। জানা গিয়েছে, মোট ২ পর্বে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে যুদ্ধবিমানের (Sukhoi-30 MKI) এভিয়োনিক্স ও রেডার সিস্টেম উন্নত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নত করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর

    প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর ফলে, দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র-সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের সিংহভাগে পুরনো সেকেলে রুশ সরঞ্জামকে সরিয়ে দেশীয় সিস্টেম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    দেশীয় রেডার ও ইডব্লু সিস্টেম

    যেমন, সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত রুশ রেডারের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম দেশীয় ‘উত্তম’ রেডার। এর পাল্লাও অনেকটাই বেশি। আধুনিকীকরণের প্রথম পর্যায়ে বিমানে নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লু) সিস্টেম বসানো হবে। এর ফলে, শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অকেজো করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল টার্গেট করতে বসানো হচ্ছে দেশে তৈরি অত্যাধুনিক মানের নতুন ইনফ্রা-রেড ট্র্যাক অ্যান্ড সার্চ সিস্টেম।

    দেশেই তৈরি হচ্ছে আরও সুখোই

    ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) ২৭০-এর বেশি সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা রাশিয়া থেকে কিনেছে ভারত। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯০টি বিমানের আধুনিকীকরণ হবে, যা শুরু হতে চলেছে চলতি বছরেই। পরের ধাপে ধীরে ধীরে সবকটি বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি, ১১ হাজার কোটি টাকায় আরও ১২টি যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি তৈরি হচ্ছে এদেশেই। হ্যাল-এর কারখানায় সেগুলি উৎপাদন হচ্ছে, যাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share