Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক হতে চলেছে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজ। ঐতিহাসিক এই কারণে যে, এবছর কুচকাওয়াজে অনেক কিছু প্রথমবার ঘটতে চলেছে। দেশবাসী এমন কিছু প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন এবছর দিল্লির কুচকাওয়াজে, যা আগে কখনও কেউ দেখেননি।

    মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন

    এবছর ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন। তবে, এ বছর দিল্লির কর্তব্য পথের কুচকাওয়াজে মহিলা অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে মহিলা সশক্তিকরণের (Women Empowerment) প্রদর্শন— অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। সর্বত্র নারী ক্ষমতায়নকেই তুলে ধরা হবে। সে কথাই জানালেন ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল সুমিত মেহতা। তিনি বলেন, ‘‘এবছরের কুচকাওয়াজ নারী-কেন্দ্রিক। থিম হল— ‘বিকশিত ভারত’ এবং ‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারত’।’’ 

    ইতিহাস হতে চলেছে কুচকাওয়াজে

    তিনি জানান, ইতিহাস ঘটতে চলেছে এবারের কুচকাওয়াজে। প্রথমবার, মহিলাদের একটি ট্রাই-সার্ভিস কন্টিনজেন্ট কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। অর্থাৎ, সামরিক বাহিনীর তিন বাহু— স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার সম্মিলিত ১৪৮ জন মহিলা অফিসার ও জওয়ানকে নিয়ে তৈরি ওই কন্টিনজেন্ট কর্তব্যপথ দিয়ে মার্চ-পাস্ট করবে। কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন মিলিটারি পুলিশের ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। এই মার্চ-পাস্টের মধ্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নকে (Women Empowerment) তুলে ধরা হবে। এবছর কর্তব্য পথের মার্চ-পাস্টে দেখা যাবে ‘অগ্নি-কন্যা’-দেরও। তিন বাহিনীতে নিযুক্ত ‘অগ্নি-কন্যা’-রা সমন্বয়ে প্যারেডে অংশ নেবেন।

    সেনা ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। ছবি-সংগৃহীত।

    মেকানাইজড কলামের নেতৃত্বে মহিলা

    শুধু এই একটিই প্রথম নয়। এবারের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024) প্রথমবার সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা মেকানাইজড কলামে চেপে কর্তব্য পথ ধরে এগিয়ে যাবেন। মেকানাইজড কলাম সাধারণত দেশীয় সামরাস্ত্র বিশ্বের সামনে মেলে ধরার একটি পন্থা। আর্টিলারির দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার— পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার ও স্বাতী ক্ষেপণাস্ত্র অনুসন্থানকারী রেডার— এই দুটিতেই ৪ মহিলা অফিসার নেতৃত্বে থাকবেন। 

    সেনার মেকানাইজড রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা। ছবি-সংগৃহীত।

    এর পাশাপাশি, আরও চার মেকানাইজড কলাম— দেশীয় ড্রোন জ্যামিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মনিটরিং সিস্টেম, কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সদের সর্বত্র ব্রিজিং সিস্টেম এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের নেতৃত্বেও থাকবেন মহিলা অফিসাররা। ফলত, এর মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়েনের (Women Empowerment) আরেকটি উদাহরণ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত-এর নীতিও প্রস্ফুটিত হবে। গত বছরের এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর মাসে আর্টি-রেজিমেন্টে মহিলা অফিসারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রেজিমেন্টে ১০ মহিলা অফিসার রয়েছেন।

    আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট

    শুধু সামরিক নয়, দেশের আধা-সামরিক বাহিনীও মহিলা ক্ষমতায়েনে সামিল হবে। এবছর প্রথম বিএসএফ, সিআরপিএফ সহ দেশের বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট প্রত্যক্ষ করবেন মানুষ। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ক্ষেত্রে অন্যতম সফল সংস্থা হচ্ছে ডিআরডিও। এই সংস্থার ট্যাবলোর ফোকাস হতে চলেছে নারী ক্ষমতায়েন। ডিআরডিও-র ট্যাবলোকে নেতৃত্ব দেবেন অন্যতম প্রতিথযশা বিজ্ঞানী সুনীতা দেবী জেনা। তিনি হবেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। ট্যাবলোয় থাকবে— ম্যান-পোর্টবল ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল, অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, নেভাল শর্ট রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, হেলিনা ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মিসাইল, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, তেজস বিমান, উত্তর রেডার, শক্তি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সহ সাইবার সিকিউরিটি ও কমান্ড-কন্ট্রোল সিস্টেম।

    রাজ্যের ট্যাবলোতেও ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন

    শুধু দেশের সামরিক বাহিনীতে নয়, অসামরিক ক্ষেত্রেও নারী ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) উদাহরণ প্রথমবার বৃহৎ আকারে মেলে ধরা হবে এবছরের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024)। যে কারণে, বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোতে মহিলা সশক্তিকরণের ছাপ স্পষ্ট থাকবে। মণিপুরের ট্যাবলোয়ে দেখা যাবে পদ্মের ডাঁটি থেকে চরকায় সুতো তৈরি করছেন মহিলারা। মধ্যপ্রদেশ তুলে ধরবে দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদীকে। রাজস্থান তুলে ধরবে সেরাজ্যের মহিলাদের হস্তশিল্প। আবার হরিয়ানার ট্যাবলোয় দেখা যাবে মহিলারা কেমন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধা নিচ্ছেন।

    নতুন প্রজন্মের সাঁজোয়া গাড়ির প্রদর্শন

    এখানেই শেষ নয়। আরও ‘প্রথমে’র চমক আছে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজে। এবছর আত্মনির্ভর ভারতকে মাথায় রেখে দেশে তৈরি একাধিক আধুনিক ও নতুন ঘরানার স্থলযুদ্ধজান ও সাঁজোয়া গাড়ি ২৬ তারিখ প্রদর্শিত হবে কর্তব্য পথে। এই তালিকায় রয়েছে— নতুন প্রজন্মের টেরেইন ভেহিকল, লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিকল, স্পেশাল মোবিলিটি ভেহিকল এবং ক্যুইক রিয়্যাকশন ভেহিকল এবং ভেহিকল-মাউন্টেড ইন্ডিয়ান মর্টার সিস্টেম। এই সবকিছুই প্রথমবার প্রদর্শিত হতে চলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসে। 

    কুচকাওয়াজে ১৫টি বিমানের চালক মহিলা

    এছাড়া, আত্মনির্ভর ভারতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় নাগ মিসাইল সিস্টেম, বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ির পাশাপাশি সেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব-রুদ্র এবং লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচণ্ড— এই দুটিই কর্তব্য পথের ওপর দিয়ে উড়ে যাবে। সেনার পাশাপাশি, বায়ুসেনাও জোরকদমে অংশ নিচ্ছে এবারের কুচকাওয়াজে। জানা গিয়েছে, তেজস, রাফাল, সুখোই-৩০ সহ বায়ুসেনার ২৯টি যুদ্ধবিমান, ৭টি পণ্যবাহী বিমান, ৯টি হেলিকপ্টার এবং একটি হেরিটেজ বিমান এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৫টি বিমানের পাইলট হিসেবে থাকবেন মহিলা অফিসাররা। 

    ছাব্বিশের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা অফিসাররা। ছবি সংগৃহীত।

    ফরাসি ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বেও মহিলা

    এবারের কুচকাওয়াজের (Republic Day 2024) অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ফরাসি বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও ফরাসি বিমানবাহিনীর ফ্লাই-বাই। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। সেই প্রেক্ষিতে, এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে ফরাসি বিশেষ বাহিনী ও বায়ুসেনা। জানা গিয়েছে, ৯৫ সদস্য বিশিষ্ট ফরাসি ফরেন লিজিয়ন (ফরাসি ভাষায় লেজিওঁ এত্রঁজ্যের ফ্রঁসেজ) কোরের একটি কনটিনজেন্ট ছাব্বিশের মার্চপাস্টে অংশ নেবে। এটি হল ফ্রান্সের অত্যন্ত সম্মানীয় ইউনিট। ওই দলে থাকবেন ৬ জন করে ভারতীয় ও নেপালি বংশোদ্ভূত জওয়ান। এছাড়া, এঁদের সঙ্গে হাঁটবেন ৩৫ জন ফরাসি সামরিক ব্যান্ডের সদস্যও। ঠিক সেই সময় মাথার ওপর দিয়ে ফ্লাই-বাই করবে ফরাসি বায়ুসেনার এয়ারবাস-৩৩০ মাল্টি রোল-ট্যাঙ্কার সাপোর্ট ও এক জোড়া রাফাল। ওই ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বে থাকবে ট্যাঙ্কারটি, যার পাইলট হচ্ছেন এক মহিলা (Women Empowerment)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manisha Padhi: নারী শক্তির জয়! দেশের প্রথম মহিলা ‘এইদ দ্য কঁ’ হলেন বায়ুসেনার মনীষা পাধি

    Manisha Padhi: নারী শক্তির জয়! দেশের প্রথম মহিলা ‘এইদ দ্য কঁ’ হলেন বায়ুসেনার মনীষা পাধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নারী শক্তির জয়গান। দেশের প্রথম মহিলা ‘এইদ দ্য কঁ’ (Aide-De-Camp) বা সংক্ষেপে (ADC) হিসেব নিযুক্ত হলেন মনীষা পাধি (Manisha Padhi)। ভারতীয় বায়ুসেনায় স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত মনীষা। মিজোরামের গভর্নর হরিবাবু কুম্ভপতি-র ‘এইদ দ্য কঁ’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে এই কৃতিত্বের আধিকারী হলেন পাধি। 

    ‘এইদ দ্য কঁ’ কী

    ‘এইদ দ্য কঁ’ একটি বিশেষ সম্মান। রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ঠিক পাশে সেনা পোশাকে সজ্জিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এঁরা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধানদের সাহায্য করতে ৩ জন করে ‘এইদ দ্য কঁ’ থাকেন। রাষ্ট্রপতির ‘এইদ দ্য কঁ’-র সংখ্যা পাঁচ জন। এঁদের মধ্যে তিন জনকে নিয়োগ করা হয় সেনাবাহিনী থেকে, এক জন বায়ুসেনা এবং এক জন নৌবাহিনী থেকে। এ ছাড়া রাজ্যপালের দু’জন করে ‘এইদ দ্য কঁ’ থাকে। ষাটের দশকে ফরাসি সেনাবাহিনীতে সেনা অফিসারের সহায়ক হিসাবে নিয়োগ করা হত ‘এইদ দ্য কঁ’। পরে রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রেট ব্রিটেনেও এই রীতি চালু হয়। ভারতেও এই নিয়ম চালু রয়েছে স্বাধীনতার আগে থেকে। তবে ২০২৩ সালে এসে ভারত পেল তাদের প্রথম মহিলা ‘এইদ দ্য কঁ’।

    দুরন্ত মনীষা 

    ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বেরহামপুরের বাসিন্দা মনীষা। জন্ম ১৯৯৬ সালের ২৪ জুলাই। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেই বড় হয়েছেন তিনি। মা ছিলেন গৃহবধূ। বাবা নৌ বাহিনীর কর্তা। ভুবনেশ্বরের সিভি রমন কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে মনীষা মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। ছোট থেকেই বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত মনীষা পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। ভারতীয় বায়ুসেনার ২০১৫ সালের ব্যাচের একজন স্কোয়াড্রন লিডার মনীষা। তিনি পুনের বিদার এবং ভাতিন্ডায় এয়ারফোর্স স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার মনীষাকে এডিসি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। মিজোরামের রাজভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল তাঁকে এই বিশেষ সাম্মানিক ব্যাজ পরিয়ে দেন। 

    আরও পড়ুুন: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    নারী শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপরেই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির উপর দেওয়া হয় জোর। বর্তমানে দেশে সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে মহিলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মনিষাকে তাঁর নতুন পদে স্বাগত জানিয়ে মিজোরামের রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘মনীষার এইদ দ্য কঁ পদে নিয়োগ ভারতে মহিলাদের অগ্রগতির প্রমাণ। ভারতীয় নারীদের এই অগ্রগতিকে আমাদের উদ্‌যাপন করা উচিত।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C-295 Airlifter: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?

    C-295 Airlifter: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতে পৌঁছল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার (C-295 Airlifter)। এধরনের ৫৬টি বিমান কিনছে ভারত। এর ফলে, এক ধাক্কায় ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ধার ও ভার অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এবার চিন-সীমান্তের মতো দুর্গম জায়গায় অতি সহজেই অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা। 

    চিন-সীমান্তে নিমেষেই পৌঁছে যাবে বাহিনী, অস্ত্র-রসদ

    দীর্ঘদিন ধরেই বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এবার ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) চলে আসায় অবশেষে বায়ুসেনার সেই সমস্যা আর থাকবে না। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

    ভদোদরায় পৌঁছল ‘সি-২৯৫’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, বুধবার গুজরাটের ভদোদরার বায়ুসেনাঘাঁটিতে স্পেন থেকে প্রথম বিমানটি এসে পৌঁছেছে। বাহরিন থেকে বিমানটি চালিয়ে নিয়ে এসেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন পিএস নেগি। গত ১৩ তারিখ, স্পেনের সেভিয়া শহরে একটি অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এবং স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ পট্টনায়েকের উপস্থিতিতে প্রথম ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) বিমানটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিয়েছিল বিমান নির্মাতা সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’। বায়ুসেনার (Indian Air Force) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির কাছে হিন্ডন বায়ুসেনাঘাঁটিতে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানটিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন।

    ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ কিনেছে বায়ুসেনা

    জানা গিয়েছে, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়।

    ‘সি-২৯৫’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্য

    বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার (C-295 Airlifter)। টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ বিমানের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অবশেষে ভারতের হাতে এল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার। এই বিমানকে বলা হচ্ছে ‘মুশকিল আসান’। কিন্তু, কেন? কী আছে এই বিমানে? কী এর বিশেষত্ব? পড়ুন বিস্তারিত।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ‘সি-২৯৫’ মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট (C-295 Aircraft) এল ভারতের হাতে। বুধবার, স্পেনের সেভিয়া শহরে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরির হাতে এই বিমানের প্রতীকী চাবি তুলে দেন এয়ারবাসের কর্মকর্তারা। এই বিমানের উৎপাদন হয়েছে স্পেনে। তৈরি করেছে এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস।

    ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি এয়ারবাসের সঙ্গে

    বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই মোতাবেক, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’  (C-295 Aircraft) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। 

    ৫৬টির মধ্যে ৪০টি বিমান তৈরি হবে ভারতেই

    চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, যেখানে টাটার সঙ্গে যৌথ অংশিদারীতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। 

    এদেশে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া প্রথম সামরিক বিমান

    চুক্তিতে বলা হয়েছিল, স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকে চার বছরের মধ্যে ১৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমান ভারতের হাতে একেবারে তৈরি অবস্থায় তুলে দেবে এয়ারবাস। এদিন চুক্তির ঠিক ২ বছরের মাথায় প্রথম বিমানটি ভারতের হাতে তুলে দিল এয়ারবাস। ২০২৫ সালের অগাস্টের মধ্যে ১৬ নম্বর বিমানটি ভারতের হাতে চলে আসবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন এয়ারবাসের কর্তারা। ২০২৬ সাল থেকে ভাদোদরায় টাটাদের সঙ্গে যৌথভাবে শুরু হবে উৎপাদন, যা শেষ হওয়ার কথা ২০৩১ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ। তেমনটা হলে, তা হবে ভারতের মাটিতে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া দেশের প্রথম সামরিক বিমান।

    কেন এই বিমান নিয়ে এত মাতামাতি? কী এর বিশেষত্ব?

    জানা যাচ্ছে, ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসবে প্রথম বিমানটি। বর্তমানে, স্পেনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) পাইলটরা। প্রথম স্কোয়াড্রন থাকবে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি প্রায় ৯ টন ওজন বহন করতে পারে। এদের গতি ঘণ্টায় ৪৮০ কিলোমিটার। মোট ৭১ জন সেনাকর্মী বা ৪৫ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপারকে বইতে পারবে এই বিমান। আকাশ থেকে বাহিনী বা রসদ নামানোর জন্য রিয়ার ব়্যাম্প রয়েছে এই বিমানে।

    এই বিমানে দুটি শক্তিশালী প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন রয়েছে যাতে ভর করে এই বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার।

    টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে এর অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমানের।

    কেন একে ‘মুশকিল আসান’ বিমান বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

    বলা বাহুল্য, এই বিমান হাতে আসায় আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। কারণ, অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এখন ভারতের হাতে ‘মুশকিল আসান’ বিমান (C-295 Aircraft) চলে আসায় এবার থেকে সেই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান দ্বৈত সীমান্তের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই করে আসছে মোদি সরকার। সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস যুদ্ধবিমানের আরও ১০০টি নতুন ‘মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) সংস্করণ কেনার বিষয়ে উদ্যোগী হলো বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে একটি প্রস্তাব বায়ুসেনার তরফে কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, হয়ত তা কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেয়েও যাবে। সব ঠিকঠাক চললে, খুব শীঘ্রই এই বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে বরাত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    বায়ুসেনায় ৩০০টির ওপর তেজস

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ‘তেজস মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) যুদ্ধবিমানের আধুনিক সংস্করণের ১০০টি ইউনিট কেনা হবে। খুব দ্রুত এর জন্য বরাত দেওয়া হবে হ্যাল-কে। জানা গিয়েছে, এই ১০০টি বিমান হাতে আসতে প্রায় ১৫ বছর লাগবে। সেটা হওয়ার পর বায়ুসেনার হাতে ৪০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১, ১৮০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ এবং অন্তত ১২০টি তেজস মার্ক-২ (বর্তমানে পরীক্ষার স্তরে) যুদ্ধবিমান থাকবে। 

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বায়ুসেনা প্রধান

    বুধবার, বায়ুসেনার (Indian Air Force) সদর দফতরে এলসিএ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরি। সেখানেই বায়ুসেনার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, হ্যাল, ডিআরডিও এবং এডিএ-র শীর্ষ পদাধিকারীরা। সেখানেই এই ১০০টি যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। মৌখিকভাবে, হ্যালকে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আপাতত, অপেক্ষা সরকারি সিলমোহরের। 

    দেশের গর্ব এলসিএ তেজস

    চতুর্থ প্রজন্মের ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’ গোত্রের তেজস সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামও ভারতীয় সংস্থাগুলি তৈরি। ছ’দশকের পুরনো রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের পরিবর্ত হিসেবে তেজস ব্যবহার করতে শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনায় এলসিএ তেজস মার্ক-১ যুদ্ধিবিমানের অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রথম স্কোয়াড্রনটি ছিল বায়ুসেনার ৪৫ স্কোয়াড্রন, পোশাকী নাম ‘ফ্লাইং ড্যাগার্স’। তেজস ব্যবহারের আগে, এই স্কোয়াড্রন মিগ-২১ বাইসন ব্যবহার করতো। 

    চলছে আধুনিকীকরণ

    পরবর্তীকালে, ২০২১ সালের গোড়ায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৮৩টি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের উন্নত সংস্করণ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। এখন সেগুলির উৎপাদন চলছে সংস্থার বেঙ্গালুরুর কারখানায়। হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই শুরু হবে এই বিমানগুলোর ডেলিভারি প্রক্রিয়া। তার আগেই, বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে আরও ১০০টি আধুনিক সংস্করণের যুদ্ধবিমানের বরাত পেতে চলেছে হ্যাল। উৎপাদনের পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করার প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলছে। তেজসকে সম্প্রতি ‘অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যান্‌ড অ্যারো রেডার’ (এএসইএ), মিড এয়ার ফুয়েলিংয়ে সজ্জিত করার কাজও সম্পূর্ণ করে ফেলেছে হ্যাল। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya) থেকে সফল উড়ান এবং অবতরণ পরীক্ষা হয়েছে তেজসের। 

    শক্তিশালী ‘অস্ত্র’-এ সজ্জিত তেজস

    শুধু তাই নয়, তেজস-এর (LCA Tejas Mk-1A) মারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরীক্ষাও চলছে ক্রমাগত। বুধবারই ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় তেজস যুদ্ধবিমান থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয় স্বদেশীয় ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের। গোয়ায় ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চলে। ‘অস্ত্র’  হলো ১০০ কিলোমিটার পাল্লার মাক ৪.৫ (শব্দের চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি গতি) বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। এক কথায়, বিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র মূলত আকাশপথে হামলাকারী শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে ইতিমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে এই মিসাইল। বুধবারের পরীক্ষা সফল হওয়ায়, শীঘ্রই তেজসেও এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হবে। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরও উন্নত ও অধিক ১৬০ কিমি পাল্লার সংস্করণ নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ারম্যান রিক্রুটমেন্ট র‍্যালির (Recruitment Rally) আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। র‍্যালি হবে সেপ্টেম্বরের ১২ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। নিয়োগ হবে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড পদে। আবেদন করতে পারবেন জেনারেল ও ফার্মাসিস্টরা। আগ্রহী প্রার্থীদের অসম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হতে হবে।

    বায়ুসেনার বিজ্ঞপ্তি

    বায়ুসেনার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে ন্যূনতম দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে। অথবা দু বছরের বৃত্তিমূলক কোর্স সহ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে দ্বাদশ শ্রেণি। ফার্মেসিতে যাঁরা ডিপ্লোমা বা বিএসসি পাশ করেছেন, তাঁরাও এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    পরীক্ষা পদ্ধতি

    নিয়োগের জন্য প্রথমে হবে (Recruitment Rally) শারীরিক পরীক্ষা। এতে পাশ করলে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। সেখানে অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে (Indian Air Force)। উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। পরীক্ষা হবে ৪৫ মিনিটের। প্রশ্ন হবে ইংরেজি ও হিন্দিতে। সেপ্টেম্বরের ১২ ও ১৫ তারিখে হবে প্রথম দু দফার পরীক্ষ। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন এই র‍্যালিতে। পরের দফার পরীক্ষা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে দিচ্ছে আমেরিকা!

    এই দফায় আবেদন করবেন তাঁরাই, যাঁরা ১৯৯৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেছেন। যাঁরা ১৮ তারিখের পরীক্ষায় অংশ নেবেন, উপরিউক্ত যোগ্যতা ছাড়াও তাঁদের থাকতে হবে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসির ওপর ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা। পশ্চিমবঙ্গের পলতা রেলস্টেশনের কাছে ব্যারাকপুর এয়ারফোর্স স্টেশনে হবে র‍্যালি। শুরু হবে সকাল ছ’টা থেকে।

    আবেদন করার আগে ভাল করে পড়ে নিতে হবে বায়ুসেনার (Recruitment Rally) তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি। এ জন্য ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে- Indian Air Force Recruitment 2023। Indian Air Force Recruitment এ ক্লিক করেও জেনে নেওয়া যাবে বিশদে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম উড়লো চিন-পাকিস্তানের। কারণ, স্বাধীনতা দিবসের আগেই কাশ্মীরে ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) মোতায়েন করলো ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রন। সেখান থেকেই চিন ও পাকিস্তান — দুদিকই সামলানো সম্ভব হবে। জানা যাচ্ছে, এই ঘাঁটি এমন জায়গায় অবস্থিত, যেখান থেকে একসঙ্গে পাকিস্তান লাগোয়া কাশ্মীর এবং উল্টোদিকে চিন লাগোয়া লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে নৌসেনার স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন কলকাতায়

    সরে গেল মিগ-২১, এলো মিগ-২৯

    রুশ-নির্মিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সম্প্রতি, তা শেষ হয়েছে। এবার সেই ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ বিমানগুলোকে (Upgraded MiG-29 Fighters) চিন-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হলো। ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এতদিন শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন থাকতো মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। ২০১৯ সালে বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার সময় এই বিমানে করেই অভিযান চালিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই সময় পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ডগফাইট (মাঝ-আকাশে দুই যুদ্ধবিমানের লড়াই) হয়েছিল অভিনন্দনের মিগ-২১ বিমানের। তাতে মিগ-২১ বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অভিনন্দনকে আটক করা হয়েছিল। এর পর থেকেই, মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলোকে সরিয়ে তার জায়গায় অন্য আরও শক্তিশালী বিমান মোতায়েন করার ভাবনাচিন্তা চলছিল। এবার তা রূপায়িত করা হলো। 

    শ্রীনগর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক

    জানা যাচ্ছে, শ্রীনগরে মোতায়েন বায়ুসেনার ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’-এর হাতে এতদিন ছিল বায়ুসেনার (Indian Air Force) বহু যুগের সঙ্গী মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের দায়িত্বভার। এবার তারাই এই উন্নীত ও আধুনিকীকরণ হওয়া মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের দায়িত্ব নেবে। ইতিমধ্যেই, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে চলে এসেছে নতুন বিমানগুলো। এই যুদ্ধবিমানের পাইলট তথা ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’ (যার অর্থ ত্রিশূল)-এর স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,  শ্রীনগর কাশ্মীর উপত্যকার কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উচ্চতা সমতল ভূমি থেকে অনেক বেশি। মিগ-২৯ (Upgraded MiG-29 Fighters)  হাতে চলে আসার ফলে এখান থেকে পাকিস্তান ও চিন দুই সীমান্ত এলাকায় সহজে মোকাবিলা সম্ভব। আগে, এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন ছিল জলন্ধর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এবার তাদের মোতায়েন করা হলো শ্রীনগরে। যা, কৌশলগতভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক।

    আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মিগ-২৯

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আধুনিকীকরণের পর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধবিমানটি এখন আরও বেশি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অস্ত্রবহনে সক্ষম। এটি এখন দূরপাল্লার এয়ার টু এয়ার (আকাশ থেকে আকাশ) এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড (আকাশ থেকে ভূমি) ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। এখন এতে রয়েছে বিভিআর মিসাইল, যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে যুক্ত করা হয়েছে জ্যমার, যা শত্রু বিমানের যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো করে দিতে পারে। আধুনিকীকরণের পর একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ মিগ-২৯। রাতের অন্ধকারেও দুর্দান্তভাবে কাজ করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানগুলো। পাশাপাশি, আধুনিকীকরণের পর যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরতে পারে। যার ফলে, এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষা করতে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিল ভারত। সম্প্রতি, পাক-সীমান্ত লাগোয়া জম্মু কাশ্মীরের আকাশে দেখা গিয়েছে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) মহড়া। 

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর ও লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলিকে অবগত করাতেই নাকি এই বিশেষ মহড়া চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলেছেন, উপত্যকায় উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলসিএ-র একটি ফ্লিটকে ফরোয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পর্বতাঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই বিশেষ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশ্য তেজসকে এই অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা।

    মিগ-২১ বাইসন আউট, তেজস ইন!

    বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তের সুরক্ষার দায়িত্ব ছিল মিগ-২১ বাইসনের হাতে। এখন, ধীরে ধীরে রুশ নির্মিত এই যুদ্ধবিমানকে পাকাপাকিভাবে অবসরে পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। তার জায়গায় তেজস যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করাই লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকট ভবিষ্যতে, পাক সীমান্তের আকাশসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তেজস ও রাফাল। রাফালের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় রয়েছে। মূলত, ভারত-পাক সীমান্তের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব ভাগ করে নেবে তেজস (Tejas Fighter Jet)।

    তেজসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোই লক্ষ্য

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) ওপর ধীরে ধীরে আস্থা ও নির্ভরতা বাড়াতে উদ্যোগী মোদি সরকার। প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে তেজস-এর ধার-ভার ও অস্ত্রবহনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরনো, ধুঁকতে থাকা মিগ যুদ্ধবিমানকে একেবারে সরিয়ে নতুন প্রযুক্তির তেজসকে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে, জম্মু কাশ্মীরের মতো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, সময় থাকতে থাকতে সেই কৌশল শিখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

    চিন-পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বনাম ভারতের তেজস

    ইতিমধ্যে তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) দুটি স্কোয়াড্রনকে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স ও ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই দুটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলি মার্ক-১ শ্রেণিভুক্ত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের তৈরি বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সমর্থ ও কার্যকরী। পাকিস্তান ও চিনের তৈরী জেএফ-১৭ বিমানের থেকে অনেকটাই ভালো মানের। আগামী দিনে এই লাইট ওয়েট যুদ্ধবিমানে আরও উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা যেতে পারে। সেই নিয়ে ডিআরডিও বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন বলেই সূত্রের খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ শ্রেণির বিমান বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এগুলি আরও অন্নত। মার্ক-২ শ্রেণির তেজস নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা) নিয়েও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পরশু অর্থাৎ, ১৩ তারিখ ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৪ জুলাই, ফরাসি জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল দিবস’-এর (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রঁর পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখবেন তিনি, যাতে অংশ নিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। 

    মোদির সফরেই রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি?

    ঠিক তার তিনদিন আগে, বড় খবর এল কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে। সোমবারই জানা গিয়েছিল, এবারের সফরে বড় সামরিক মউ হতে চলেছে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে। ওই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও দুটি ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মোদির এই সফরে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন তৈরির (Safran Jet Engine) করার বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে পারে। আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    তেজস মার্ক-২ এর জন্য এফ-৪১৪ ইঞ্জিন চুক্তি সম্পন্ন

    দীর্ঘদিন ধরেই, ভবিষ্যতের দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নতমানের বিদেশি জেট ইঞ্জিন জোগাড় করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। সম্প্রতি, সদ্য মার্কিন সফরের মধ্যেই এরকমই একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কর্তারা। চুক্তি মোতাবেক, মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশেই তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি হতে চলা তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    অ্যমকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    তবে, তেজস-এর পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে ভারতে। এই যুদ্ধবিমান হল অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে অ্যামকা। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে, নৌসেনার জন্য আরেকটি অধিক-শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান যার নাম রাখা হয়েছে টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার বা সংক্ষেপে টিইডিবিএফ (Jet Engine For AMCA)। ভারত চাইছে এই দুই যুদ্ধবিমানে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিনের চেয়েও আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করতে। সেই তালিকায় দুটি ইঞ্জিন বাছাই করা হয়েছিল। একটি ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন ও দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ডের রোলস-রয়েস। এখন কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, রোলস-রয়েসকে টপকে ফরাসি সাফরানকেই (Safran Jet Engine) হয়ত বাছতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফরান-এর তৈরি ইঞ্জিনটি (Jet Engine For AMCA) ১১০ কেএন (কিলো নিউটন) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা ভারী যুদ্ধবিমানকে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় গতি ও ক্ষমতা দিতে পারবে। তবে, এই ইঞ্জিনকে বাছার এটাই একমাত্র কারণ নয়। জানা যাচ্ছে, ফরাসি সংস্থাটি ভারতকে কোনও গোপনীয়তা ছাড়া ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ইঞ্জিন দিতে রাজি। সম্প্রতি, সাফরানকে এই মর্মে অনুমতি দিয়েছে মাক্রঁ সরকার। যার পরই, সাফরানের তরফে, ভারতকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

    ভারতে তৈরি হবে সাফরানের নতুন ইঞ্জিন

    সূত্রের খবর, ফরাসি সংস্থার থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করা অত্যন্ত কঠিন। জানা যাচ্ছে, ভারতের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ইঞ্জিন (Safran Jet Engine) ছাড়াও তৈরি করার যাবতীয় নতুন উপাদান, নতুন পরিকাঠামো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে যন্ত্রপাতির পূর্ণ ভান্ডার। সর্বোপরি, গোটাটাই তৈরি হবে ভারতে। যা নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য। এক কথায়, এই নতুন ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগ নিয়ে বাজারে আসবে। 

    ভারতে বড় বিনিয়োগে রাজি সাফরান

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অ্যামকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন (Jet Engine For AMCA) ব্যবহার করতে উৎসাহী ভারত। এর পাশাপাশি, সাফরান বর্তমানে ১২৫ কেএন ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে, সেই ইঞ্জিনও ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই, হায়দরাবাদে সাফরানের একটি কারখানা গড়ে উঠছে। সেখানে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবিমানে ব্যবহৃত লিপ ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এছাড়াও, ভারতে গ্যাস টার্বাইন তৈরির একটি কারখানা গড়ছে সাফরান। 

    যদিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিআরডিও প্রধান সমীর ভি কামাত সম্প্রতি প্যারিসের সাফরানের কারখানায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্যারিস এয়ার শো-তেও হাজির ছিলেন তিনি। এই প্রস্তাবটি বিষয়টি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আলোচনার অধীনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চুক্তি হওয়ার পর, এই ইঞ্জিনকে হাতে পেতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটা দেশ। ভেঙে পড়া বিমানবন্দর ও তার খানাখন্দে ভরা রানওয়ে। নেই কোনও নেভিগেশন ব্যবস্থা। এমনকী, নেই রানওয়ের ল্যান্ডিং-লাইটও। ভরসা বলতে একমাত্র পাইলটদের নাইট-ভিশন গগলস্। তাই দিয়েই নিরাপদে ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) দৈত্যকায় বিমান। কিছুক্ষণ পর আবার একই কায়দায় ১২১ জনকে নিয়ে আকাশে উড়ল সে। ঠিক এইভাবে একেবারে হলিউড ফিল্মি কায়দায় গতকাল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানে (Sudan) আটকে পড়া ১২১ ভারতীয়কে নিয়ে বিমান উড়িয়ে সাহসী উদ্ধারকার্য চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা। এমন উদ্ধারকার্য যা দুর্ধর্ষ সামরিক অভিযানের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    সুদানে গৃহযুদ্ধ থামার নাম নেই। সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। সেই দেশে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। তাদের উদ্ধার করতেই “অপারেশন কাবেরী” (Operation Kaveri) শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার (Indian Navy) তরফে যৌথ উদ্যোগে সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: কলাইকুন্ডায় শেষ হল ভারত ও মার্কিন বায়ুসেনার যৌথ সামরিক মহড়া, কতটা প্রাপ্তি হল?

    গত এক সপ্তাহ ধরে একাধিক অভিযানে প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয়কে সেদেশ থেকে উদ্ধার করে এনেছে ভারতীয় নৌ ও বায়ুসেনা। তেমনই একটি উদ্ধারাভিযান বায়ুসেনা চালায় শুক্রবার রাতে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, সি-১৩০জে হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট (C-130J Hercules Transport) পণ্যবাহী বিমানে উদ্ধারকাজ চালানো হয় সুদানের রাজধানী খারতুম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ওয়াদি সাইদনা বিমানবন্দরে। 

    বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সুদানের দুই বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে বহু ভারতীয়ের পক্ষেই পোর্ট সুদানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যই ওই ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের আটজন গড়ুড় কমান্ডো। 

    বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করা ও ভারতীয়দের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, ওই এয়ারস্ট্রিপটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কোনও নেভিগেশনের ব্যবস্থা যেমন নেই। তেমনই জ্বালানি ভরা বা ল্যান্ডিং লাইটটুকুও নেই। রাতের অন্ধকারে বিনা আলোয় রানওয়েতে সুরক্ষিতভাবে অবতরণের জন্য বায়ুসেনার পাইলটরা নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেন। বিমানে উপস্থিত ক্রু-রাও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল বা ইনফ্রা-রেড সেন্সর ব্যবহার করেন। 

    বায়ুসেনার তরফে এই অপারেশনের বিষয়ে আরও জানানো হয়, অবতরণের পর বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আটকে পড়া ১২১ জন ভারতীয়কে সুরক্ষিতভাবে বিমানে তোলেন কমান্ডোরা। তাদের সামগ্রীও বিমানে তুলে দেন। আবার নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেই বিমানকে টেক-অফ করিয়ে সেখান থেকে উড়ে সৌদি আরবের জেড্ডার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এই গোটা অপারেশনের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।

    উদ্ধারের এই খবর ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বায়ুসেনা পাইলটদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সব মহল। যে অদম্য সাহস এবং দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা, তাকে কুর্নিশ।

LinkedIn
Share