Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান ভারতের (India) হাতে তুলে দিয়েছে ফ্রান্স (France)। এমনটাই জানালেন ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল লেন্যাঁ (Emmanuel Lenain)। 

    যদিও বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রের মতে, এর মধ্যে ভারতে এসেছে ৩৫টি। বাকি একটি রাফাল বর্তমানে ফ্রান্সেই রয়েছে। তার ওপর ভারতের দাবি মতো ১৩টি বাড়তি প্রযুক্তিগত উন্নতি সংযোগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই যে বিমানটি এখনও ফ্রান্সে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আদতে সেটিই ছিল ফ্রান্সের তরফে হস্তান্তর করা প্রথম রাফাল বিমান— যার কোডনেম দেওয়া হয়েছে ‘আরবি০০৮’ (RB-008)। 

    ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়ার (Air Chief Marshal RKS Bhadauria) সম্মানে এটির এমন নামাঙ্কন করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে রাফাল কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে দরাদরি ও চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন বায়ুসেনা উপ-প্রধান ভাদৌরিয়া। তার জন্যই তাঁকে এভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ ব্যাচে তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আসে। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, ফ্রান্সে থাকা শেষ রাফালে ‘ইন্ডিয়া স্পেসিফিক এনহ্যান্সমেন্ট’-গুলোর পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন ভারতে থাকা বাকি ৩৫টি যুদ্ধবিমানে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্য এক সূত্রের দাবি, ভারতের রাফালে যে ১৩টি নতুন প্রযুক্তিগত আধুনীকিকরণ যুক্ত করা হয়েছে, তা ফ্রান্সের ব্যবহৃত রাফালেও নেই। এই প্রযুক্তিগুলো শুধুমাত্র ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত রাফালগুলোর জন্যই নির্ধারিত। 

    ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি দাসো রাফাল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান (Dassault Rafale Multirole Fighter Aircraft) সরাসরি একেবারে তৈরি অবস্থায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) জানিয়েছিলেন, বায়ুসেনার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টার-গভার্নমেন্টাল এগ্রিমেন্টের (Inter-Govermental Agreement) মাধ্যমে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

  • Agnipath Syllabus: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    Agnipath Syllabus: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। এই নিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে সেনাকর্মী, বায়ুসেনা কর্মী ও নৌসেনা কর্মী নিয়োগ করা হবে।  প্রকল্পের আওতায় তরুণ-তরুণীদের ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুসারে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সীদের বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। অষ্টম শ্রেণী বা দশম বা দ্বাদশ ঊত্তীর্ণ প্রার্থীরা সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বার্ষিক বেতন ৪.৭৬ লক্ষ টাকা থেকে ৬.৯২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আয়ের ৩০ শতাংশ সেবা নিধিতে জমানো যাবে। সমপরিমাণ টাকা দেবে সরকারও। চার বছরের মেয়াদ শেষে কাজের ভিত্তিতে ২৫ শতাংশকে দেওয়া হবে সেনার স্থায়ী কমিশন পদে চাকরি।

    ভারতীয় সেনা (Indian Army), বায়ুসেনা (Indian Air Force) এবং নৌসেনায় (Indian Navy) চাকরির জন্যে এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রার্থী। ইতিমধ্যেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বিভাগের এই তিন দফতর। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    যারা এখন অনলাইনে আবেদন করবেন, তাঁদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপ অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু করবে ভারতীয় সেনা। প্রথম ব্যাচের কমবাইন্ড প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৬ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষেই ট্রেনিং শেষ করে কাজে যোগ দেবে প্রথম ব্যাচ। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

    অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে নৌসেনাও। চলতি মাসের ১৫-৩০ তারিখের মধ্যেই খুলে যাবে অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো। লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই বছরেই ৩ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ২৪ জুন থেকেই অগ্নিবীর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। বায়ুসেনায় আবেদন প্রক্রিয়া চলেছে ৫ জুলাই অবধি। ২৪-৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন পরীক্ষা নেবে ভারতীয়  বায়ুসেনা। ডিসেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এবার পরীক্ষার পাঠক্রম (Syllabus) প্রকাশ করল ভারতীয় বায়ুসেনা। https://agnipathvayu.cdac.in/AV/img/upcoming/AGNIVEER_VAYU.pdf -এই লিঙ্কে গিয়ে ডাউনলোড করতে পারবেন পিডিএফ (PDF)। 

    কী পদ্ধতিতে নেওয়া হবে পরীক্ষা?

    বিজ্ঞান এবং আরও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেবে বায়ুসেনা।

    কোন পদের জন্যে আবেদন করছেন তার ওপর নির্ভর করবে পাঠক্রম। 

    দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি, অঙ্ক এবং ভৌত বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হবে পরীক্ষা।

    যারা বিজ্ঞানের ছাত্র নন, তাঁদের জন্যে ইংরেজি, রিজনিং এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন করা হবে।

    প্রতি প্রশ্নে ১ নম্বর করে থাকবে।

    ভুল প্রশ্ন প্রতি ১/৪ নম্বর করে কাটা হবে।

    কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিলে কোনও নম্বর কাটা হবে না।

    যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ডাকা হবে।

    পাঠক্রমের পিডিএফটি কী করে ডাউনলোড করবেন? 

    প্রথমে agnipathvayu.cdac.in – এই লিঙ্কে যান। 

    নীচের ‘নোটিফিকেশন’ বাটনটিতে যান। 

    এরপর ‘সিলেবাস’ বলে লিঙ্কটিতে যান।

    তারপর ডাউনিলোড করুন। 

    একটি প্রিন্টআউট নিজের কাছে রাখুন।

     

     

     

  • IAF MiG-21 Crash: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    IAF MiG-21 Crash: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিগ-২১ (MiG-21 Aircraft)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের (Rajasthan) বারমের জেলায় (Barmer District) প্রশিক্ষণের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। সেই মুহূর্তে তাতে দুজন পাইলট (Pilot) ছিলেন। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা। আকাশেই আগুন লেগে যায় বিমানটিতে।  

    বায়ুসেনা বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়েছে, “বায়ুসেনার একটি বা দুই আসন-বিশিষ্ট মিগ-২১ ট্রেনার যুদ্ধবিমান রাজস্থানের উতারলাই বিমান ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণের জন্য উড়ছিল। রাত ৯টা ১০ নাগাদ বিমানটি বারমেরের কাছে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুজন পাইলটেরই মৃত্যু হয়েছে। বায়ুসেনা গভীরভাবে অনুতপ্ত। শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কোর্ট অফ ইনকোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    [tw]


    [/tw]

    [tw]”      


    [/tw]

    দুর্ঘটনার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর (ACM VR Chaudhury) সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “রাজস্থানের বারমেরের কাছে বায়ুসেনার মিগ-২১ প্রশিক্ষক বিমানের দুর্ঘটনার কারণে দুই যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য আমি গভীরভাবে মর্মাহত। দেশের জন্য তাঁদের সেবা কখনই ভোলার নয়। শোকের এই মুহূর্তে আমি শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট শোকরপ্রকাশ করে বলেছেন, “বারমেরে আইএএফ মিগ-২১ প্রশিক্ষক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং কর্তব্যরত অবস্থায় দুই আইএএফ পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। তাঁরা যেন এই ক্ষতি সহ্য করে শক্ত থাকেন। আমরা তাঁদের পাশে আছি। তাঁদের সঙ্গে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য পাশে থাকব।”

    আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল, এখনও নিখোঁজ ১২

    ১৯৬০ সালে প্রথম ভারতে আসে রাশিয়ার তৈরি এই যুদ্ধবিমান। তারপর থেকে প্রায় ২০০টি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমানটি। প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট মার্চে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে ৪২ জন সেনা কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বায়ুসেনায় দুর্ঘটনাই ২৯টি।

     

     

  • India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা। জুনের শেষ সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার(LAC) খুব কাছে চলে আসে চিনা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রাডারে তা ধরা পড়তেই সতর্কতা জারি হয় সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিয়েও চিনকে সতর্ক করেছে ভারত।

    সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ভারতীয় সেনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সরাসরি আকাশসীমা লঙ্ঘনের এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গেছে। এমনিতে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় চিনা বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সক্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মহড়া চলাকালীন বিমানবাহিনীর তরফে বেশ কিছু সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও ভারত চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাদ দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।  তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করেছে দুপক্ষের আধিকারিকেরা। যদিও তার পর থেকে চিনের তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানো হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এই চিনা সক্রিয়তার কথা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফেরানো হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। তবে, আগ্রাসনের চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

  • AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্ত্রেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিয়েছেন। আমেরিকা হোক কিংবা ফ্রান্স, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এতদিন  উন্নত দেশগুলির উপর ভরসা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে এবার আর বিদেশ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম না কিনে,যৌথভাবে দেশের মাটিতেই তা তৈরি করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া না দিলেও এখন এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। বিশ্বখ্যাত সংস্থা জেনারেল ইঞ্জিন (GE) ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক দেশের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের (5th Generation) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (Advanced Medium Combat Aircraft) বা AMCA. 

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    ‘সুপার ক্রুজ’ ক্ষমতাসম্পন্ন  AMCA তৈরির সঙ্গে, ভারত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (Stealth Aricraft) আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে থাকবে ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স এ ধরনের ফাইটার জেট তৈরি করেছে। AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত ফ্রান্সের সাফ্রাঁ (Safran) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে আসরে নামে আমেরিকা।  AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত প্রথম আমেরিকার সাহায্য চায় কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্থগিত রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পুনরায় সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। শুধু তাই নয় এবার একেবারে সর্বাধুনিক ইঞ্জিন দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। 

    সূত্রের খবর, AMCA-র যে প্রোটোটাইপ ভারত নির্মাণ করছে, তাতে ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ (F414-INS6) ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এই মডেলটি ৯৮ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2)- মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (MCA) জন্য ৯৯টা ইঞ্জিনের বরাত জিই-কে দিয়েছে। ইতিমধ্য়ে ১২টি চলে এসেছে। যেগুলি তেজস মার্ক ২ প্রোটোটাইপে শুক্ত করা হবে। এখন আমেরিকা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত চাইলে এই ইঞ্জিনের সর্বাধুনিক মডেল এফ৪১৪-জিই-৪০০ (F414-GE-400) মডেলটি নিতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই মডেলটি ১১৬ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা AMCA-র জন্য আদর্শ। ভারতের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন দিয়ে AMCA-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে। পরবর্তী ৫টি স্কোয়াড্রনকে নতুন ১১০-১২০ কিলোনিউটন শ্রেণির ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের যৌথভাবে এই নতুন ইঞ্জিন তৈরি করার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের Safran এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rolls Royce এবং GE এই তিন সংস্থার মধ্যে যে কোনও কেউ AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরি করবে।  ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং একটি ভারতীয় সংস্থারও এই কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকা দাবি করে, রপ্তানিযোগ্য প্রযুক্তি ভারতের জন্য কী কাজে লাগবে তা- আগে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। এখন এ প্রসঙ্গ স্বচ্ছ ধারণা পেতেই চুক্তিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

  • Agnipath Recruitment: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    Agnipath Recruitment: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath Scheme) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। শুক্রবার থেকে সেনার এই দুই বিভাগে সেনা ও নাবিক পদে আবেদনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Online Registration) শুরু হয়েছে।

    প্রথমবার দুটি ব্যাচে ৪০ হাজার অগ্নিবীর (Agniveer) নিয়োগ করবে ভারতীয় সেনা বাহিনী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের প্রথম ব্যাচে ২৫ হাজার এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় ব্যাচে আরও ১৫ হাজার।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    যারা এখন অনলাইনে আবেদন করবেন, তাঁদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপ অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু করবে ভারতীয় সেনা। প্রথম ব্যাচের কমবাইন্ড প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৬ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষেই ট্রেনিং শেষ করে কাজে যোগ দেবে প্রথম ব্যাচ। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

    শুক্রবার থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে নৌসেনাও। চলতি মাসের ১৫-৩০ তারিখের মধ্যেই খুলে যাবে অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো। লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই বছরেই ৩ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ২৪ জুন থেকেই অগ্নিবীর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। বায়ুসেনায় আবেদন করা যাবে ৫ জুলাই অবধি। ২৪-৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন পরীক্ষা নেবে ভারতীয় বায়ুসেনা। ডিসেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রশিক্ষণের মেয়াদ সহ চার বছরের চাকরিতে সেনাদের নিয়োগ করা হবে। এই অগ্নিবীরদের আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে নিয়োগ করা হবে এবং প্রার্থীরা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে যেখানেই নির্দেশ দেওয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কিমের অধীনে নথিভুক্ত অগ্নিবীররা কোনও ধরনের পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না। 

    বেতন ১ম বছর – মাসিক ৩০,০০০ টাকা, ২য় বছর – মাসিক ৩৩,০০০ টাকা, ৩য় বছর – মাসিক ৩৬,৫০০ টাকা, ৪র্থ বছর – মাসিক ৪০,০০০ টাকা। চার বছর শেষে করবিহীন এককালীন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।  

     

  • Agnipath scheme: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    Agnipath scheme: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনা নিয়োগে আবেদন পাঠিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ প্রার্থী৷ এর থেকেই বোঝা যায় দেশের যুবসমাজ অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে কতটা আগ্রহী। এমনটাই জানালেন ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force) প্রধান ভিআর চৌধুরি (VR Chaudhari)৷ তিনি বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা পরিচালিত অগ্নিপথ প্রকল্পের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ অতীতে ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫২৮ জন আবেদন করেছিলেন ৷ সেই সংখ্যা ছাপিয়ে এবার ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৯৯ জনের আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছে ৷ এর থেকেই বোঝা যায় যতই বিরোধিতা হোক না কেন দেশের তরুণরা অগ্নিপথে আগ্রহী।” 

    দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই ভারতীয় বায়ু সেনা অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের বিস্তারিত প্রকাশ করেছিল ৷ বায়ু সেনায় এই প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত জওয়ানদের ‘ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫০’ অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে ৷ বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, চার বছরের মেয়াদ শেষে অগ্নিবীররা সমাজে ফিরে যাবেন ৷ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রকাশিত এই বিস্তারিত বিবৃতিতে প্রার্থীদের বয়সসীমা, ফিজিক্যাল ফিটনেস, মেডিক্যাল পরীক্ষা, চাকরির শর্ত, ট্রেনিং এবং মূল্যায়ন সম্বন্ধে জানানো ছিল ৷ অগ্নিবীররা বছরে ৩০ দিন ছুটি পাবেন ৷ চাকরির শুরুতেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাবেন তাঁরা ৷ প্রতি বছরে বেতন বৃদ্ধিও হবে ৷

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    বায়ুসেনা প্রধান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নিয়েগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কী করে সব কাজ ঠিকমতো করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের। সোমবারও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Defence Minister Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধীরা। সংসদের বাদল অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথাও বলা হয়। এর মধ্যে বায়ুসেনা প্রধানের এই অভিমত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৮ অক্টোবর বায়ুসেনা দিবস (Air Force Day) নিয়েও এদিন কথা বলেন এয়ার চিফ মার্শাল। তিনি জানান এবছর চণ্ডিগড়ে (Chandigarh) এয়ার ফোর্স ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে। সে নিয়েও প্রস্তুতি চলছে।

  • MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়মের-কাণ্ডের জেরে মিগ-২১ (single-engine MiG-21) পুরোপুরি বাতিল করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকরাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখন রয়েছে ভারতের কাছে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি স্কোয়াড্রনে কম-বেশি ১৬টি বিমান থাকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে একটি, শ্রীনগরের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনের (Srinagar 51 squadron) বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে পাঠানো হবে অন্য স্কোয়াড্রনের মিগ যুদ্ধবিমান এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলিকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই অবসরের সঙ্গে গত ২৮ জুলাই বাড়মেরে মিগ দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। নতুন ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এবার মিগ ২১কে বিদায় নিতে হবে। এটাই ভারতের দীর্ঘদিনের ফাইটার প্লেন। এর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এগুলিকে এবার বিদায় নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে? 

    ১৯৬৩ সালে এয়ার ফোর্স প্রথম সিঙ্গল ইঞ্জিন মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান হাতে পেয়েছিল। গত ছয় দশক জুড়ে এই বিমান ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, গত তিন দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১। দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ভারতীয় বায়ু সেনা মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমান। কয়েক বছর আগেই মিগ২১-কে অবসরে পাঠিয়ে পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনাকে তেজস যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০১৯ সালের একটি আলোচনাসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া মিগ-২১-এর অবসর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার বায়ুসেনার দাবি মেনে মিগ-২১কে বিদায় জানাতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, প্রাক্তন অ্য়াসিস্ট্যান্ট চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত সুনীল নানোদকার জানিয়েছেন, আকাশপথে পাহারার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফাইটার প্লেনও প্রয়োজন। তাই দ্রুত বিকল্প যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করতে হবে।

  • Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় সেনা। লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে (Shyok River) পড়ে গেল জওয়ান বোঝাই গাড়ি। অন্তত সাতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখের তুরতুক (turtuk) সেক্টরে ঘটেছে ঘটনাটি। জখম হয়েছেন একাধিক সেনাকর্মী। বায়ুসেনার (IAF) নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।  

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জন জওয়ানকে নিয়ে পার্টাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়িটি। প্রায় ৯ কিমি চলার পর থয়েসের কাছে গাড়িটি পিছলে রাস্তা থেকে ৫০-৬০ ফুট  নীচে নদীতে পড়ে যায়।

    [tw]


    [/tw]

    দ্রুত উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের হরিয়ানার পাঁচকুলা জেলার চণ্ডীমন্দির এলাকার আর্মি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সাত জন জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে বায়ুসেনাকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি    

    ঘটনার পরেই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, “লাদাখের বাস দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের হারালাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যা সাহায্য প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করব।”

    [tw]


    [/tw]

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। তিনি লেখেন, “লাদাখের দুর্ঘটনার কথা জেনে মর্মাহত। আমাদের বীর সেনারা প্রাণ হারালেন। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: জম্মু টানেলে ধস উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

  • IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন চিনকে (China) বিমানযুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারবে ভারত (India)। WDMMA-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর স্থানে উঠে এল ভারত। এতদিন পর্যন্ত চিন ছিল এই স্থানে। ভারতের থেকে পিছিয়ে চার নম্বরে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে চিন। এখন ভারতের আগে শুধু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও রাশিয়া (Russia)।

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) সম্প্রতি ২০২২-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ্যে এনেছে। World Air Power Index-এর সেই তালিকায়  তৃতীয় স্থান অধিকার করল ভারতীয় বায়ুসেনা আর চতুর্থ স্থানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স (PLAAF)। শুধু চিন নয়, প্রতিযোগিতার বিচারে একযোগে জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স, ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স, ফ্রেঞ্চ এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। 

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) ৯৮টি দেশের ১২৪টি এয়ার ফোর্সের দক্ষতা সম্পর্কে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার মধ্যে নৌসেনা, সেনা ও বায়ুসেনার মোট ৪৭,৮৪০টি যুদ্ধ বিমানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।  যুদ্ধবিমানগুলির দুর্বলতা কোথায় তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    প্রতিটি বিমানবাহিনীর True Value Rating-এর মধ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রতিটি দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান আছে শুধু তা দেখা হয় না, বিমানগুলির আধুনিকীকরণ, লজিস্টিক সহায়তা, আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপরও জোর দেওয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে বিমানবাহিনীর সামরিক ক্ষমতা নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় সেরকম কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    প্রথমে আমেরিকা, তার পর রাশিয়া ও তার পরেই চিন থাকে। ভারত ছিল চতুর্থ স্থানে। এবার চিনকে পিছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। চিনের প্রাপ্ত রেটিং ৬৩.৮, ভারতের রেটিং ৬৯.৪। আমেরিকা ও রাশিয়ার রেটিং যথাক্রমে ২৪২.৯ আর ১১৪.২। দেশের বায়ুসেনার এই সাফল্যে খুশি সেনা আধিকারিকেরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিমানবাহিনীর এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 

LinkedIn
Share