Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian Railways: ১ জুলাই থেকে সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনে, অপরিবর্তিত লোকালের টিকিট

    Indian Railways: ১ জুলাই থেকে সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনে, অপরিবর্তিত লোকালের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুলাই থেকে ভারতীয় রেল এসি এবং নন-এসি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রে খুবই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি করতে চলেছে বলে জানিয়েছে (Indian Railways)। রেল সূত্রে খবর, ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটে কোনও ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে না। পাশাপাশি, মাসিক সিজন টিকিটের ক্ষেত্রেও ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল প্রতি কিলোমিটারে আধা পয়সা ভাড়া বাড়াবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, নন-এসি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এসি ক্লাসের টিকিটে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ পয়সা পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় রেল। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের উপর আর্থিক চাপ না ফেলে এই সামান্যতম ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    টিকিটের দাম শেষবার বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি

    রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন (Indian Railways), ট্রেনের টিকিটের দাম শেষবার বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। এবার ভাড়া বৃদ্ধি অত্যন্ত সীমিত, বিশেষ করে ২০১৩ এবং ২০২০ সালের তুলনায়। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই লোকাল ট্রেন এবং মাসিক টিকিটের ভাড়ায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২০ সালে কত বেড়েছিল

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালে সাধারণ দূরপাল্লার (Indian Railways) ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা করে বেড়েছিল। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের (Railways) দ্বিতীয় শ্রেণিতে তা ছিল ২ পয়সা। স্লিপার ক্লাসের ক্ষেত্রে ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা এবং এসি ক্লাসে ৪ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছিল।

    ২০১৩ সালে কত বেড়েছিল (Indian Railways)

    এর আগে, ২০১৩ সালে সাধারণ ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা এবং মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। স্লিপার ক্লাসে সেই বৃদ্ধি ছিল প্রতি কিলোমিটারে ৬ পয়সা। এসি টু টিয়ার বাদে অন্যান্য এসি শ্রেণিতে ভাড়া বাড়ে ১০ পয়সা করে। এসি টু টিয়ারে ভাড়া বৃদ্ধি হয় ৬ পয়সা প্রতি কিলোমিটারে।

  • Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে রেল!  রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) অধীনস্থ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), বিশেষ কয়েকটি রেল প্রকল্পে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে আরভিএনএল। জানা যাচ্ছে, রেল প্রকল্পের জন্য রুশ পারমাণবিক শক্তি (Nuclear Reactor) সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ভারতীয় রেলের। এই রেল প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রসাটোম সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লি বা স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (SMR) নির্মাণ করবে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্পের জন্য এই রিঅ্যাক্টর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন?

    কিন্তু এই ধরনের এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন? আসলে এসএমআর হল একটি উন্নত প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি, যা প্রতিটি ইউনিটে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর অন্যতম বড় সুবিধা হল, এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অনেক উন্নত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেলের মতো বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করার পথে বড় পদক্ষেপ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণভাবে কার্বন-মুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এসএমআর-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে (Indian Railways)।

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্মকর্তা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বা মেগা প্রকল্পগুলিতে জ্বালানির যে বিপুল চাহিদা থাকে, তা পূরণ করতে স্বল্প জায়গার মধ্যে এসএমআর গড়ে তোলা হয়। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মূল লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরমাণু শক্তির মতো বিকল্প শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এসএমআর-এর মতো প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা ঘোষণা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়ানো।

    লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) কার্বনমুক্ত করা

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রসাটোমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে (Nuclear Reactor) পরমাণু শক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে কার্বনমুক্ত করা যায়। এসএমআর একটি অত্যাধুনিক পরমাণু রিঅ্যাকটর, যা প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে কম জায়গার প্রয়োজন হয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।

    পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

    যদিও পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিকরাও ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি, এই চারটি প্রকল্পের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রসাটোম সংস্থা মোট ৮টি রিঅ্যাকটর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।

    রেল বিকাশ নিগমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সংস্থা ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা রেলওয়ে ট্রাকশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি রেললাইনের জন্য এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হবে।” তিনি এও জানান, ট্রেন পরিচালনার জন্য বহু সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে এবং সেইসঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর প্রয়োজন হবে। প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন

    প্রসঙ্গত, এই চারটি প্রকল্পকে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর রেল প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা বলা হয়। এই মিশনের আওতায় ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (SMR) এবং গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই মিশনের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫টি এসএমআর নির্মাণ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত পারমাণবিক শক্তি মিশনে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে৷ এতদিন পর্যন্ত, সেই টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না, তা জানতে ট্রেন ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে চার্ট প্রিপারেশন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত রেলযাত্রীদের (Railways Passenger Chart) ৷ কিন্তু, এবার সেই হয়রানি শেষ হওয়ার পথে৷ আর ৪ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা। ভারতীয় রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, ৪ ঘণ্টা আগে জানানোয় সাধারণ মানুষ বিকল্প ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারতেন না। এবার থেকে রেলযাত্রীদের আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না।

    কেন এই পদক্ষেপ

    দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল যে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হওয়ার কারণে তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে (Indian Railways) সমস্যায় পড়েন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এখন থেকে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে, যা যাত্রীদের জন্য খুবই সহায়ক হতে চলেছে। ভারতীয় রেলের সূত্রে জানা গেছে, এই পরিবর্তনটি (Indian Railways) সুবিধার জন্য করা হয়েছে। যাত্রীরা এখন সহজেই টিকিট কনফর্ম না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারবেন, কারণ তাঁদের হাতে ২৪ ঘণ্টা সময় থাকবে। বিশেষত যাত্রীদের মধ্যে যারা বিশেষ প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ট্রাভেল করেন বা যারা শেষ মুহূর্তে টিকিট বুকিং করেন, তাঁদের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীদের কষ্ট কমাতে এবং যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে

    ট্রেনে (Indian Railways) সংরক্ষিত আসন নিয়ে দালাল বা টাউটদের দৌরাত্ম্য একটি ব্যাপক সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, দালালের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা হয়, যার ফলে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হয়। দালালেরা সাধারণত সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে, যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি আর্থিক বোঝা। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে, যাত্রীদের হাতে আরও সময় থাকবে, যার ফলে দালালদের কার্যকলাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলে মনে করছে রেলমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, এর আগে দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার সময়সীমা বদলেছে রেল। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটার সময়সীমার ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। এর আগে আগাম টিকিট কাটার সময়সীমা শুরু হত ১২০ দিন আগে থেকেই। অর্থাৎ, যাত্রার ১২০ দিন আগে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটা যেত। তবে সেই সময়সীম কমিয়ে এনেছে রেল। এখন থেকে যাত্রার ৬০ দিন আগে পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে।

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

  • Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার! চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই তোলা যাবে টাকা! এটিএম বসল ট্রেনে (Indian Railway)। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে একটি এটিএম বসানো হয়েছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মানমাড় থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে এই ট্রেনটি। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই প্রথম এটিএম বসিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে ট্রেনটিকে। ট্রেনে এটিএম বসানোর এই ভিডিও নিজের এক্স মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    ২৫ মার্চ বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

    রেলকে ভারতের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। ভারতে রেল (Indian Railway) পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে অনেক সময়ই তাড়াহুড়োয় টাকা নিয়ে বেরনো হয় না অনেক যাত্রীর কিংবা দূরপাল্লার ট্রেনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাওয়াকে অনেকে নিরাপদ বলেও মনে করেন অনেকে। এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। এরফলে যাত্রী সুবিধা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ট্রেনে এটিএম (ATM) বসানোর এমন সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৫ মার্চই বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে বসানো হয়েছে এটিএম

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে ট্রেনের (Indian Railway) এই এটিএম বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে শাটার দরজাও বসানো হয়েছে সুরক্ষার জন্য। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু এটিএম পরিষেবাই নয়, যাত্রীরা চেক বই অর্ডার করতে এবং অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পেতেও এই এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন। সম্প্রতি আরও কয়েকটি ট্রেনে এই ধরনের এটিএম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এটিএম এর সুরক্ষার জন্য সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেলের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে যাত্রীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে, বাকি ট্রেনেও এই পরিষেবা (ATM) চালু করা হবে।

  • Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচলিত জ্বালানির ব্যবহারের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নেট জিরো ২০৩০ (Net Zero Goal by 2030) অধীনেই পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উপরে ভরসা বাড়াতে চাইছে ভারতীয় রেল। সে কারণেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় রেল। রেলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশন শক্তির প্রয়োজন হবে। ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এবং আরও ৩ গিগাওয়াট তাপ ও ​​পারমাণবিক শক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে রেল। ট্র্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে রেল।

    পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির জোগাড়

    ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এবং একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (DAE) এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট (Net Zero Goal by 2030) পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ভারতীয় রেল জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ কিনবে। অন্যদিকে, ডিএই এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা করবে।

    এছাড়াও, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থেকে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুতের জোগাড় করা হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাহায্যে জোগাড় করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই আর্থিক বছরেই ব্রডগেজ রুটে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন শেষ করবে বলে জানায় রেল দফতর। রেলের এক কর্তা বলেন, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫% ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেল সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যেখানে ডিএই এবং শক্তি মন্ত্রক শক্তি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করবে। রেলওয়ে জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে, এবং জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও কাজ শুরু করেছে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    অনুমান বর্তমানে ভারতে চলমান ৯০ শতাংশ ট্রেন এখন বিদ্যুত চালিত। বাকি ১০ শতাংশ চলে ডিজেলে। তিন বছর আগেও ৩৭ শতাংশ ট্রেন ছিল ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক নির্ভরতা বাড়ায় ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ট্রেন চালানোর জন্য খরচ আগের থেকে কমেছে। ট্র্যাকশনের জন্য ডিজেলের অধীনে রাজস্ব ব্যয় ২০২৫-২৬ সালে ৯,৫২৮.৫৩ কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ে রেলওয়ের দ্বারা ডিজেলের জন্য ব্যয় করা সর্বনিম্ন খরচ বলে আশা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এবং শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে রেলওয়ের শক্তি চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের শক্তি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রেলওয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান এবং আসন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলির কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখছে।’’

  • Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচগুলি রফতানি করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। বগি পাঠানো হচ্ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরবে। এই সব ঘটনা বিশ্বব্যাপী দেশের রেলওয়ের (Indian Railways) ক্রমবর্ধমান উন্নতির প্রতিফলন ঘটায়।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মন্ত্রীর দাবি (Indian Railways)

    সোমবার রাজ্যসভায় তিনি (Metro Coaches) জানান, ভারত ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইতালির মতো একাধিক ইউরোপীয় দেশকে প্রপালশন সিস্টেম এবং বগি বা আন্ডারফ্রেমের মতো অন্যান্য রেল সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। রেলওয়ে বাজেটের ওপর আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, “আজ, আমাদের দেশ থেকে মেট্রো কোচ অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ এবং কোচের নীচের যান্ত্রিক কাঠামো, যাকে বগি বা আন্ডারফ্রেম বলা হয়, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রোপালশন সিস্টেম এখন ফ্রান্স, মেক্সিকো, রোমানিয়া, স্পেন, জার্মানি এবং ইতালিতে রফতানি করা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    চাহিদা লোকোমোটিভেরও!

    তিনি বলেন, “ভারতে তৈরি লোকোমোটিভ এবং যাত্রিবাহী কোচগুলি মোজাম্বিক, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই বিহারের মারহাওড়া কারখানা ১০০টিরও বেশি লোকোমোটিভ রফতানি করবে। এছাড়াও, তামিলনাড়ু থেকে (Indian Railways) চাকা রফতানি করা হবে।” অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে যে কারখানার কথা ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা গতি লাভ করে। তিনি বলেন, “ভারতীয় রেল কেবল সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিষেবা দিচ্ছে না, বরং বিশ্বব্যাপী একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ও তৈরি করছে।”

    ভারত রেল যাত্রীদের আরও বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ট্রেনে প্রতি কিলোমিটার ভ্রমণের খরচ পড়ে ১.৩৮ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাত্র ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ভর্তুকি দেওয়া হয় ৪৭ শতাংশ। তিনি জানান (Metro Coaches), ভারতীয় রেল ২০২০ সাল থেকে ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধি করেনি (Indian Railways)।

  • Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটে! দিল্লি থেকে জয়পুর বা বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছতে লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা। ভারতের প্রথম ‘হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’ (Hyperloop Test Track) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সহায়তায় এই ট্র্যাক বানিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)।

    দ্রুত হাইপারলুপ তৈরির চেষ্টা

    রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে তা ৪২২ মিটার লম্বা। এই ট্র্যাক দিয়ে গেলে কমপক্ষে ৩৫০ কিলোমিটার পথ ৩০ মিনিট বা তার কমে অতিক্রম করা সম্ভব। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, হাইপারলুপ দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুর (দুরত্ব মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার) যেতে মাত্র আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে এই প্রজেক্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দু-দফায় ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে আইআইটি মাদ্রাজকে। আরও এক দফায় এই টাকা দিতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আসলে খুব দ্রুত এই হাইপারলুপ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে চাইছে তাঁরা।

    হাইপারলুপ ট্রেন কী

    হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্য়াধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।

  • Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়কাল থেকেই ভারতীয় যাত্রীদের (Indian railway) মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পছন্দ করছেন। যে কারণে, রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসছে তৃতীয় শ্রেণির এসি থেকেই। প্রসঙ্গত, ট্রেনকে এদেশের লাইফ লাইন বলা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন এবং মধ্যবিত্তের সবচেয়ে সুবিধা জনক যাত্রা ট্রেনেই সম্ভব হয়। এই সময়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে সাধারণ স্লিপার শ্রেণিগুলোই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করত এবং ভারতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসত স্লিপার ক্লাসগুলো থেকে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান (Indian railway)

    ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১.৪ শতাংশ মাত্র পছন্দ করতেন থার্ড এসি (Indian railway)। সংখ্যার বিচারে যা ছিল ১১ কোটি। এরপরে ২০২০ তে এল করোনা অতিমারি। লকডাউনের আবহে থার্ড এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২৪-২৫ সালে ১৯ শতাংশ যাত্রী তাঁরা ভ্রমণ করার জন্য পছন্দ করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় শ্রেণি কামরা। এই সংখ্যা ২৬ কোটি। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে এসি থ্রি-টিয়ার থেকে ভারতীয় রেলের আয় হয়েছিল ১২,৩৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ সালে সেই আয় বেড়েছে ৩০ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।

    কেন এত চাহিদা বাড়ছে?

    কিন্তু কেন এসি তৃতীয় শ্রেণিতে (Indian railway) এত চাহিদা বাড়ছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে সেখানে এসি বিহীন বা সাধারণ স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করা একেবারেই আরামদায়ক হচ্ছে না। কারণ ভারতে গ্রীষ্মকাল খুব দীর্ঘ হয়। এই কারণেই জনগণ এসিকে বেছে নিচ্ছেন।

    অন্যদিকে, আরও বেশ কিছু কারণে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্লিপার কোচের সঙ্গে থার্ড এসি কোচের ভাড়ার ফারাক খুব বেশি নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট সাশ্রয়ী। এর ফলে আরামদায়ক জার্নির জন্য অনেকেই এসি থ্রি-টিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন।

    একই সঙ্গে স্লিপার ক্লাসে (Railways) অনেক ঘটনার সামনে আসে। চুরি নিরাপত্তার অভাব- এমন অনেক কিছুই অভিযোগ দায়ের হয়। যেগুলি সাধারণত স্লিপার এবং জেনারেল ক্লাসেই হয়। কিন্তু এসিতে সে জাতীয় কিছু হয় না এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও থাকে। সেখানে কোনও অবাঞ্ছিত যাত্রীদের প্রবেশও হয় না।

  • Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের রেল বাজেটে (Budget 2025) উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিপুল বরাদ্দ দেখেই বোঝা যায় যে ঠিক কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতকে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন, বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে ভারতের। তাই কূটনৈতিক দিক থেকেও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত চিন সীমান্তে (Budget 2025) যোগাযোগ বাড়ানো বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক আবহে অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক (Budget 2025)

    প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী (Budget 2025) অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, রেল বাজেটে জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন উঠে আছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রসঙ্গ। তখনই রেলমন্ত্রী জানান যে, ভৌগোলিক দিক থেকে দুর্গম অঞ্চল হল উত্তর-পূর্ব ভারত। এই সমস্ত জায়গাগুলিতে প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব ততই আমরা শেষ করার প্রয়াস রেখেছি। অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ২০১৪ সালের পর থেকে ১,৮২৪ কিলোমিটার রেলপথ (Railway Project) সম্প্রসারণ হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে যতটা রেলপথ তাঁরা পেতেছেন সেটি শ্রীলঙ্কার মোট রেল নেটওয়ার্কের থেকে অনেকটাই বেশি। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতে ২০১৪ সালের পর থেকে ৪৭৮টি নতুন ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ১,১৮৯ কিলোমিটার রেলপথে কবচ লাগানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং উত্তর-পূর্ব রেলপথের (নির্মাণ) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার চৌধুরী। এই সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে আসছে আরও ২০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন, ১০০টি অমৃত ভারত ট্রেন এবং ৫০টি নমোভারত ট্রেন।

    মোদি জমানায় বরাদ্দ বেড়েছে পাঁচগুণ

    ওই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির থাকা দুইজন জেনারেল ম্যানেজার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান যে, উত্তর-পূর্ব ভারতে ৯২টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলিকে অমৃত ভারত স্টেশনে (Budget 2025) রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে, মিজোরামে একাধিক রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে সেগুলি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের উন্নয়নের (Budget 2025) জন্য বরাদ্দ করা হত ২,১০০ কোটি টাকা। কিন্তু মোদি জমানায় ২০২৫-২৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা অর্থাৎ উত্তর-পূর্বের জন্য রেল বাজেট পাঁচ গুণ বেড়েছে।

LinkedIn
Share