Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন “রুদ্রাস্ত্র”-এর (Rudrastra)। ৪.৫ কিলোমিটার (সাড়ে চার কিলোমিটার) দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ৩৫৪টি বগি এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, যা এই বিশাল মালবাহী ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে চলে। উত্তরপ্রদেশের গঞ্জ খোয়াজা স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গড়ুয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘণ্টা, যার গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ ট্রেন চালুর (Indian Railways) ফলে রেলের সময় ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ভিডিও পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)

    এই রেকর্ডগড়া ট্রেনের ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “রুদ্রাস্ত্র” — ভারতের দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Rudrastra)।

    বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে

    যদিও “রুদ্রাস্ত্র” ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Indian Railways), তবে বিশ্ব রেকর্ড এখনও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ কোম্পানি BHP-এর দখলে। সেই ট্রেনটির দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ রুদ্রাস্ত্রের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেশি। BHP-র ট্রেনটিতে রয়েছে ৬৮২টি ওয়াগন — যা রুদ্রাস্ত্রের তুলনায় প্রায় ৩২৮টি বেশি।

    রূদ্রাস্ত্র কেন বিশেষ, কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রুদ্রাস্ত্র (Indian Railways) আমাদের ভবিষ্যতের রেল লজিস্টিকস নীতির রূপরেখা দিচ্ছে। পরিবহন খরচ কমানো, সময় বাঁচানো এবং অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।” এই ধরনের দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন ভবিষ্যতে ভারতে আরও চালু হলে, সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমবে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে “রুদ্রাস্ত্র” প্রকল্পকে শুধুমাত্র একটি ট্রেন পরিচালনার ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং একে দেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছে।

  • Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুরক্ষার (Passengers Safety) পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের ধরতে এবার ট্রেনের সব কামরাতেই সিসি ক্যামেরা লাগাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। রবিবার রেলমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। উত্তর রেলের আওতায় থাকা লোকো ইঞ্জিন এবং কামরায় পরীক্ষামূলকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেখানে ইতিবাচক সাড়া মিলতেই এবার রেলের সব জোনের কামরা ও লোকো ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক।

    খতিয়ে দেখলেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)

    শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু ট্রেনের কামরা এবং লোকো ইঞ্জিনগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ খতিয়ে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেলবোর্ডের কর্তারাও। জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক খুব শীঘ্রই ১৫ হাজার লোকো ইঞ্জিন এবং ৭৪ হাজার কোচে সিসি ক্যামেরা লাগাবে। প্রতিটি কোচে থাকবে ৪টি করে সিসি ক্যামেরা। আর লোকোমোটিভে থাকবে ৬টি। রবিবার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। যাত্রীদের সারল্যের সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার সাহায্যে এই ধরনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো যাবে। রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত পরিসর সুরক্ষিত রাখতে ক্যামেরা লাগানো হবে কেবল কামরায় ঢোকার মুখে।

    গম্বুজ সিসিটিভি

    রেল সূত্রে খবর, লোকোমোটিভের ভেতরে, সামনে এবং পিছনের দিকে একটি করে গম্বুজ সিসিটিভি থাকবে। দুটি ডেস্ক মাউন্ট করা মাইক্রোফোনও থাকবে। রেলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ট্রেনের বগিতে দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের সব জোনের কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Indian Railways)।” ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিতে এবং কম আলোয়ও স্পষ্ট ফুটেজ দেখাবে এই উচ্চমানের ক্যামেরাগুলি। রেল সূত্রে খবর, উন্নতমানের ও আধুনিক এসটিকিউসি সার্টিফায়েড সিসি ক্যামেরায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রেলমন্ত্রীর নির্দেশ, এমন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো (Passengers Safety) হোক যা এআই-পাওয়ার্ড এবং ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিবেগেও স্থিতিশীল ভিডিও তুলতে পারে (Indian Railways)।

  • Indian Railways: ৬ হাজারেরও বেশি পদে কর্মী নিয়োগ করছে রেল, আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    Indian Railways: ৬ হাজারেরও বেশি পদে কর্মী নিয়োগ করছে রেল, আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলে (Indian Railways) বহু শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য সম্প্রতি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রেলের বিভিন্ন বিভাগে কাজের সুযোগ পাবেন নতুন কর্মীরা। আবেদন করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই অনলাইনে শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মোট শূন্যপদ সংখ্যা ৬,২৩৮ (Indian Railways)

    নিয়োগ করা হবে টেকনিশিয়ান গ্রেড-১ সিগন্যাল এবং টেকনিশিয়ান গ্রেড-৩ পদে, যেগুলির মোট শূন্যপদ সংখ্যা ৬,২৩৮। এর মধ্যে কলকাতা অঞ্চলে ১,৪৩৪টি পদ শূন্য রয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীরা রেলের মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন (এস অ্যান্ড টি) সহ বিভিন্ন বিভাগের কাজে নিয়োজিত হবেন।

    বয়সসীমা কত (Indian Railways)

    টেকনিশিয়ান গ্রেড-১ সিগন্যাল পদে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৩ বছর পর্যন্ত এবং টেকনিশিয়ান গ্রেড-৩ পদে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য বয়সে ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা (RRB Technician Recruitment 2025)

    পদের প্রকারভেদের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণি পাশ, ব্যাচেলর ডিগ্রি অথবা সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত বিষয়ে উপযুক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত শর্তাবলী উল্লেখ রয়েছে (Indian Railways)।

    আবেদন জমার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই

    আগ্রহীরা রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২৫০ টাকা এবং অসংরক্ষিতদের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ জুলাই। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) মাধ্যমে হবে। এছাড়া, নিয়োগের আগে প্রার্থীদের নথিপত্র যাচাই করা হবে।

    কীভাবে করবেন আবেদন

    প্রথমে RRB-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।

    এরপর হোমপেজে CEN No. 02/2025 – টেকনিশিয়ান নিয়োগ ২০২৫-লিঙ্কে ক্লিক করুন

    এরপর অনলাইনে আবেদন করুন বিকল্পটি নির্বাচন করুন

    লগইন তৈরি করতে নাম, ইমেল, মোবাইল নম্বর লিখুন

    সাইন ইন করুন এবং আবেদনপত্র পূরণ করুন

    নির্ধারিত ফর্ম্যাট অনুসারে আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-আকারের ছবি, স্বাক্ষর এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করুন

    অনলাইনে আবেদন ফি প্রদান করুন

    সাবমিট করুন

  • Indian Railways: রেলের নিয়মে বড় বদল ১ জুলাই থেকে, ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে সংরক্ষিত আসন তালিকা

    Indian Railways: রেলের নিয়মে বড় বদল ১ জুলাই থেকে, ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে সংরক্ষিত আসন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে বড় পরিবর্তন আসছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সংরক্ষিত আসনের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে। এতদিন পর্যন্ত ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে ওই তালিকা টাঙানো হত, কিন্তু আগামী ১ জুলাই থেকে তা ট্রেন ছাড়ার ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যেসব ট্রেন দুপুর ২টার আগে ছাড়বে, সেক্ষেত্রে তালিকাগুলি আগের দিন রাত ৯টায় টাঙানো হবে। জানা গিয়েছে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিষয়ে রেল আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সংগঠিতভাবে সম্পন্ন হয়।

    ১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    এছাড়াও, আরেকটি বড় পরিবর্তন এসেছে। রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ম সমস্ত ধরনের দূরপাল্লার টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে অন্যতম হল একটি রেলওয়ে (Railways) অ্যাপ, যার মাধ্যমে যাত্রীরা একটি মাত্র অ্যাপ থেকেই রেলের সব ধরনের পরিষেবা ও সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।

    অন্যান্য সুবিধা (Indian Railways)

    তাছাড়া, ওয়েটিং লিস্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াতেও বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সমস্ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রেলের অনেক পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, রেল (Railways) আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেগুলিও খুব দ্রুত নিরসন করা হবে। এছাড়াও, আইআরসিটিসি (IRCTC) যাত্রীদের জন্য নতুন কিছু সুবিধা চালু (Indian Railways) করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হল ‘টিকিট ডিপোজিট রিসিট’। যে কোনও পরিস্থিতিতে যেমন ট্রেন তিন ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে চলছে, এসি কাজ করছে না, রুট পরিবর্তন হয়েছে, অথবা ট্রেন দেরিতে পৌঁছেছে- এই সবক্ষেত্রেই টিডিআর ফাইল করা যাবে। এই আবেদন আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা যে কোনও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও করা যাবে এবং যাত্রীরা টাকা ফেরতের দাবি জানাতে পারবেন।

  • Indian Railways: ১ জুলাই থেকে সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনে, অপরিবর্তিত লোকালের টিকিট

    Indian Railways: ১ জুলাই থেকে সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনে, অপরিবর্তিত লোকালের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুলাই থেকে ভারতীয় রেল এসি এবং নন-এসি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রে খুবই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি করতে চলেছে বলে জানিয়েছে (Indian Railways)। রেল সূত্রে খবর, ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটে কোনও ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে না। পাশাপাশি, মাসিক সিজন টিকিটের ক্ষেত্রেও ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল প্রতি কিলোমিটারে আধা পয়সা ভাড়া বাড়াবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, নন-এসি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এসি ক্লাসের টিকিটে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ পয়সা পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় রেল। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের উপর আর্থিক চাপ না ফেলে এই সামান্যতম ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    টিকিটের দাম শেষবার বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি

    রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন (Indian Railways), ট্রেনের টিকিটের দাম শেষবার বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। এবার ভাড়া বৃদ্ধি অত্যন্ত সীমিত, বিশেষ করে ২০১৩ এবং ২০২০ সালের তুলনায়। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই লোকাল ট্রেন এবং মাসিক টিকিটের ভাড়ায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২০ সালে কত বেড়েছিল

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালে সাধারণ দূরপাল্লার (Indian Railways) ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা করে বেড়েছিল। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের (Railways) দ্বিতীয় শ্রেণিতে তা ছিল ২ পয়সা। স্লিপার ক্লাসের ক্ষেত্রে ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা এবং এসি ক্লাসে ৪ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছিল।

    ২০১৩ সালে কত বেড়েছিল (Indian Railways)

    এর আগে, ২০১৩ সালে সাধারণ ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা এবং মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। স্লিপার ক্লাসে সেই বৃদ্ধি ছিল প্রতি কিলোমিটারে ৬ পয়সা। এসি টু টিয়ার বাদে অন্যান্য এসি শ্রেণিতে ভাড়া বাড়ে ১০ পয়সা করে। এসি টু টিয়ারে ভাড়া বৃদ্ধি হয় ৬ পয়সা প্রতি কিলোমিটারে।

  • Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে রেল!  রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) অধীনস্থ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), বিশেষ কয়েকটি রেল প্রকল্পে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে আরভিএনএল। জানা যাচ্ছে, রেল প্রকল্পের জন্য রুশ পারমাণবিক শক্তি (Nuclear Reactor) সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ভারতীয় রেলের। এই রেল প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রসাটোম সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লি বা স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (SMR) নির্মাণ করবে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্পের জন্য এই রিঅ্যাক্টর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন?

    কিন্তু এই ধরনের এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন? আসলে এসএমআর হল একটি উন্নত প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি, যা প্রতিটি ইউনিটে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর অন্যতম বড় সুবিধা হল, এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অনেক উন্নত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেলের মতো বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করার পথে বড় পদক্ষেপ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণভাবে কার্বন-মুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এসএমআর-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে (Indian Railways)।

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্মকর্তা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বা মেগা প্রকল্পগুলিতে জ্বালানির যে বিপুল চাহিদা থাকে, তা পূরণ করতে স্বল্প জায়গার মধ্যে এসএমআর গড়ে তোলা হয়। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মূল লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরমাণু শক্তির মতো বিকল্প শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এসএমআর-এর মতো প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা ঘোষণা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়ানো।

    লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) কার্বনমুক্ত করা

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রসাটোমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে (Nuclear Reactor) পরমাণু শক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে কার্বনমুক্ত করা যায়। এসএমআর একটি অত্যাধুনিক পরমাণু রিঅ্যাকটর, যা প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে কম জায়গার প্রয়োজন হয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।

    পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

    যদিও পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিকরাও ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি, এই চারটি প্রকল্পের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রসাটোম সংস্থা মোট ৮টি রিঅ্যাকটর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।

    রেল বিকাশ নিগমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সংস্থা ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা রেলওয়ে ট্রাকশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি রেললাইনের জন্য এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হবে।” তিনি এও জানান, ট্রেন পরিচালনার জন্য বহু সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে এবং সেইসঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর প্রয়োজন হবে। প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন

    প্রসঙ্গত, এই চারটি প্রকল্পকে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর রেল প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা বলা হয়। এই মিশনের আওতায় ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (SMR) এবং গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই মিশনের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫টি এসএমআর নির্মাণ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত পারমাণবিক শক্তি মিশনে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে৷ এতদিন পর্যন্ত, সেই টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না, তা জানতে ট্রেন ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে চার্ট প্রিপারেশন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত রেলযাত্রীদের (Railways Passenger Chart) ৷ কিন্তু, এবার সেই হয়রানি শেষ হওয়ার পথে৷ আর ৪ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা। ভারতীয় রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, ৪ ঘণ্টা আগে জানানোয় সাধারণ মানুষ বিকল্প ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারতেন না। এবার থেকে রেলযাত্রীদের আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না।

    কেন এই পদক্ষেপ

    দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল যে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হওয়ার কারণে তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে (Indian Railways) সমস্যায় পড়েন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এখন থেকে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে, যা যাত্রীদের জন্য খুবই সহায়ক হতে চলেছে। ভারতীয় রেলের সূত্রে জানা গেছে, এই পরিবর্তনটি (Indian Railways) সুবিধার জন্য করা হয়েছে। যাত্রীরা এখন সহজেই টিকিট কনফর্ম না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারবেন, কারণ তাঁদের হাতে ২৪ ঘণ্টা সময় থাকবে। বিশেষত যাত্রীদের মধ্যে যারা বিশেষ প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ট্রাভেল করেন বা যারা শেষ মুহূর্তে টিকিট বুকিং করেন, তাঁদের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীদের কষ্ট কমাতে এবং যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে

    ট্রেনে (Indian Railways) সংরক্ষিত আসন নিয়ে দালাল বা টাউটদের দৌরাত্ম্য একটি ব্যাপক সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, দালালের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা হয়, যার ফলে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হয়। দালালেরা সাধারণত সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে, যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি আর্থিক বোঝা। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে, যাত্রীদের হাতে আরও সময় থাকবে, যার ফলে দালালদের কার্যকলাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলে মনে করছে রেলমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, এর আগে দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার সময়সীমা বদলেছে রেল। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটার সময়সীমার ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। এর আগে আগাম টিকিট কাটার সময়সীমা শুরু হত ১২০ দিন আগে থেকেই। অর্থাৎ, যাত্রার ১২০ দিন আগে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটা যেত। তবে সেই সময়সীম কমিয়ে এনেছে রেল। এখন থেকে যাত্রার ৬০ দিন আগে পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে।

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

  • Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার! চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই তোলা যাবে টাকা! এটিএম বসল ট্রেনে (Indian Railway)। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে একটি এটিএম বসানো হয়েছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মানমাড় থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে এই ট্রেনটি। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই প্রথম এটিএম বসিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে ট্রেনটিকে। ট্রেনে এটিএম বসানোর এই ভিডিও নিজের এক্স মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    ২৫ মার্চ বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

    রেলকে ভারতের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। ভারতে রেল (Indian Railway) পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে অনেক সময়ই তাড়াহুড়োয় টাকা নিয়ে বেরনো হয় না অনেক যাত্রীর কিংবা দূরপাল্লার ট্রেনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাওয়াকে অনেকে নিরাপদ বলেও মনে করেন অনেকে। এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। এরফলে যাত্রী সুবিধা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ট্রেনে এটিএম (ATM) বসানোর এমন সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৫ মার্চই বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে বসানো হয়েছে এটিএম

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে ট্রেনের (Indian Railway) এই এটিএম বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে শাটার দরজাও বসানো হয়েছে সুরক্ষার জন্য। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু এটিএম পরিষেবাই নয়, যাত্রীরা চেক বই অর্ডার করতে এবং অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পেতেও এই এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন। সম্প্রতি আরও কয়েকটি ট্রেনে এই ধরনের এটিএম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এটিএম এর সুরক্ষার জন্য সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেলের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে যাত্রীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে, বাকি ট্রেনেও এই পরিষেবা (ATM) চালু করা হবে।

  • Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচলিত জ্বালানির ব্যবহারের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নেট জিরো ২০৩০ (Net Zero Goal by 2030) অধীনেই পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উপরে ভরসা বাড়াতে চাইছে ভারতীয় রেল। সে কারণেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় রেল। রেলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশন শক্তির প্রয়োজন হবে। ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এবং আরও ৩ গিগাওয়াট তাপ ও ​​পারমাণবিক শক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে রেল। ট্র্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে রেল।

    পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির জোগাড়

    ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এবং একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (DAE) এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট (Net Zero Goal by 2030) পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ভারতীয় রেল জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ কিনবে। অন্যদিকে, ডিএই এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা করবে।

    এছাড়াও, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থেকে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুতের জোগাড় করা হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাহায্যে জোগাড় করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই আর্থিক বছরেই ব্রডগেজ রুটে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন শেষ করবে বলে জানায় রেল দফতর। রেলের এক কর্তা বলেন, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫% ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেল সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যেখানে ডিএই এবং শক্তি মন্ত্রক শক্তি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করবে। রেলওয়ে জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে, এবং জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও কাজ শুরু করেছে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    অনুমান বর্তমানে ভারতে চলমান ৯০ শতাংশ ট্রেন এখন বিদ্যুত চালিত। বাকি ১০ শতাংশ চলে ডিজেলে। তিন বছর আগেও ৩৭ শতাংশ ট্রেন ছিল ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক নির্ভরতা বাড়ায় ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ট্রেন চালানোর জন্য খরচ আগের থেকে কমেছে। ট্র্যাকশনের জন্য ডিজেলের অধীনে রাজস্ব ব্যয় ২০২৫-২৬ সালে ৯,৫২৮.৫৩ কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ে রেলওয়ের দ্বারা ডিজেলের জন্য ব্যয় করা সর্বনিম্ন খরচ বলে আশা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এবং শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে রেলওয়ের শক্তি চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের শক্তি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রেলওয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান এবং আসন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলির কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখছে।’’

LinkedIn
Share