Tag: Iran

Iran

  • Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে (Police Custody) মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। তার জেরে ইরানে (Iran) অব্যাহত প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সে দেশে ফাঁসি দেওয়া হল আরও একজনকে। গত বছর সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে মৃত্যু হয় বছর বাইশের আমিনির। অভিযোগ, ইরানের ড্রেস কোড মানতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। তাতে অংশ নেওয়ায়ই জাভেদ রাউহি নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পৃথিবীতে দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি।

    হিজাব…

    ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এই হিজাব না পরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমিনিকে। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরেই ইরানে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলন দমন করতে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। এদিকে, এদিন আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও চার্জশিটে বলা হয়েছে, ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তাঁরা। যার সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড।

    আরও পড়ুুন: অস্কারের দৌড়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘‘লাপিড যোগ্য জবাব পেলেন’’, বললেন মিঠুন

    প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত তিন মাসে ১৭ জনকে প্রাণদণ্ডের সাজা দেওয়া দিল ইরান (Iran) সরকার। এর মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। এদিন যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সালে মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সইদ ইয়াগুবি। এই তিনজনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় জেল হয়েছে আরও দুজনের।

    শনিবারই মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান সরকার। ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহানাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকেও। হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। ইরানের (Iran) এই সাজা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভোলকের টার্ক। তিনি বলেন, যাঁরা মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের দমন করতে মানুষ খুন করছে খোদ রাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ এই প্রথম প্রতিবাদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করল ইরানের (Iran) প্রশাসন। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান প্রশাসন।

    যুবককের ফাঁসি,আরও ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড

    সেপ্টেম্বর থেকে ইরান অশান্ত। গত কয়েকমাস ধরেই মাশা আমিনি কাণ্ডে উত্তাল ইরান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার জন্য মহসিন শেকারি নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার ফাঁসি দিল ইরান সরকার। সেদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলির দাবি, বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই মহসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরানের আদালতের দাবি, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন ওই ব্যক্তি। সেই জন্যই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মহসিনের বিরুদ্ধে ইরান পুলিশের অভিযোগ– তিনি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, শুধু তাই নয়, এক প্যারামিলিটারি কর্মীকে আহত করেছেন। কিন্তু, মহসিন শেকারিই শেষ বা একমাত্র নন, বরং তাঁকে দিয়েই হয়তো শুরু হল। এহেন ঘটনায় শঙ্কিত ইরানের মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাঁদের মতে, এবার প্রত্যেকদিন হিজাব বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করতে শুরু করবে ইরানের প্রশাসন। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না হলে ইরানের দমননীতি আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অনুমান। ইরান সরকার অন্তত পক্ষে আরও ১০-১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। এর আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি-ইজেই জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে গণ-বিক্ষোভের ঘটনায় যেসব বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেইগুলি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ‘দ্রুত কার্যকর করা হবে’। 

    নতুন করে অশান্তি

    হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশগ্রহণের জন্য মহসিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরে নতুন করে অশান্তি ছড়াল ইরানে। রাজধানী তেহরান-সহ সে দেশের কয়েকটি শহরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ। তেহরানের সাত্তার খান স্ট্রিটে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দেশে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারীদের কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই আন্দোলনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ১২০০ ছাত্রকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দাম পেল ইরানের (Iran) জনতার লড়াই। আমজনতার চাপের মুখে ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল তেহরান সরকার। মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর শুরু হয়েছিল লড়াই। সেই লড়াই চলে টানা তিন মাস। বহু প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে এল সেই আলোর দিন। ভাঙল শৃঙ্খল। 

    হিজাব বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইরানে (Iran) প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। জনতা এতটাই দেশ বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন যে, নিজেদের ফুটবল দলের হারে উল্লাস করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। ফুটবল দলকেও ‘সরকারি পক্ষ’ ভেবে, ইরানের হারে উল্লাস করা নাগরিকদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছিল সেদেশের পুলিশ। কিন্তু এতেও দমে যায়নি প্রতিবাদ। দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার ‘নীতি পুলিশকে’ নিষিদ্ধ করল ইরান সরকার। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা। 

    ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ- কে ইরানের (Iran) কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি জানিয়েছেন, ওই নীতিপুলিশ কোনও দিনই ইরানের কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার অন্তর্গত ছিল না। ইরান সরকার ওই নীতিপুলিশ বাহিনী ‘গস্ত-এ-এরশাদ’কে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন? 

    প্রতিবাদের সূত্রপাত

    প্রসঙ্গত, হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের (Iran) বাসিন্দা বছর ২২-র মাশা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। 

    এখনও পর্যন্ত ইরানি (Iran) সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি। এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে কুর্দিশ তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু। এরপর থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে সেই দেশ। তিন মাসেও এই বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ এসে পড়ল বিশ্বকাপের মঞ্চে। প্রসঙ্গত, আমিনির হিজাব ‘ঠিক ভাবে’ তাঁর মাথায় না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নীতি পুলিশ। পরে দাবি করা হয়, আমিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আমিনির। ইরানের নীতি পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, নীতি পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয় আমিনির। এই আবহে নীতি পুলিশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি আন্দোলকারীদের কাছে বড় জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে একেতেই উত্তাল হয়ে রয়েছে ইরান। তারইমধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তেহরানের এভিন জেলে, সঙ্গে চলল গুলিও। হিজাব না পরায় নীতি পুলিশের হেফাজতে বাইশ বছরের যুবতী মাহশা আমিনীর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে (Protest Against Death Of Masha Amini) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ইরান। এরই মাঝে ইরানের এই ঘটনা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। শনিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে। তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে আচমকা তেহরানের কুখ্যাত এভিন জেল থেকে কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি  আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখা যায়। ইরান (Iran) হিউম্যান রাইটস-এর ট্যুইটারে শেয়ার করা ভিডিও-তে গুলির শব্দও শোনা যায়। আর শোনা যায়, সরকার বিরোধী স্লোগান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের স্লোগানও শোনা যায় জেলের অন্দর থেকে। এভিন জেলের অন্দরের এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    উল্লেখ্য, তেহরানের এভিন জেলে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়। হিজাব বিরোধী বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ওই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে কারাগারের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরানের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে আতঙ্কের পরিবারও। কুখ্যাত এই জেলে ফরাসি-ইরানি শিক্ষাবিদ ফারিবা আদেলখাহ, মার্কিন নাগরিক সাইমাক নামাজি-সহ বন্দি রয়েছেন একাধিক বিদেশিও। সাইমাকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন তাঁকে কিছুদিনের জন্য ছাড়া হলেও ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিনও হিজাব বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নামেন ইরানের মহিলারা।

    স্থানীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছরের মাহশা আমিনীর মৃত্যু ঘিরেই এভিন কারাগারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারাগারের ভিতর থেকে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। তবে এখনও ইরান (Iran)  প্রশাসনের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসে মাহশা আমিনীকে হিজাব ঠিকমতো না পরায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রতিবাদে সামিল হয় ইরানের মহিলারা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর মধ্যেই জেলে এই ধরণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে (Iran)।

  • Iran Hijab-row: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    Iran Hijab-row: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ, সঠিকভাবে হিজাব পরেননি। তাই নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনি (Mahsa Amini)। পুলিশের কাছে থাকার সময়ই তাঁর শরীর খারাপ হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, ইরানের নীতি পুলিশের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের ছবি। এ বিষয়ে ইরানের এক মহিলার পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। মাসি এলিনজাদ নামক সেই মহিলা ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মাশার রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে সে দেশের মহিলারা তাঁদের চুল কেটে দিচ্ছেন, কেউ আবার হিজাব পুড়িয়ে দিচ্ছেন। ভিডিওর নীচে তিনি লিখেছেন, ‘সাত বছর বয়স থেকে আমরা যদি আমাদের চুল ঢেকে না রাখি, তা হলে আমরা স্কুলে যেতে পারব না বা চাকরি পাব না। সরকারের এই লিঙ্গ বৈষম্যমূলক শাসনে আমরা বিরক্ত।’

    মাশা ছিলেন পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তানের মেয়ে। ঘটনার পরে সেখানে প্রবল বিক্ষোভ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের নানা ভিডিওয় দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সরকার-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে পাথর ছুড়েছে । আমিনির মৃত্যুর পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেটপাড়া। একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মহিলাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাপন নিয়ে স্লোগান তুলছেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে অনেকেই তাঁদের হিজাব খুলে ফেলেছেন। এমনকি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুলও কেটে ফেলেছেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হিজাবে। 

    বিক্ষোভ ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে ইরানের পুলিশও। অভিযোগ, ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে পাঁচ জনের। কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাকেজ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গুলিতে মারা যান ২ জন। দিভানদারেহ শহরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে আরও ২ জনের প্রাণ যায়। আরেকজন মারা যান কুর্দিশ অঞ্চলের দেহগোলানে। ইতিমধ্যেই মাশা আমিনির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইয়ের দূত। সরকার সবরকমের সহযোগিতা করবে বলে মাশার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Iran: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ব্রিটিশ কূটনীতিক!

    Iran: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ব্রিটিশ কূটনীতিক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরকে (Uks Deputy Ambassador) গ্রেফতার করল ইরান (Iran)। গুপ্তচর বৃত্তির (spying) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেবল ওই ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডর নন, গ্রেফতার করা হয়েছে আরও কয়েকটি দেশের কূটনীতিককে। ইরানের বিপ্লবী রেভুলেশনারি গার্ড গ্রেফতার করেছে তাঁদের।

    ইরানের বিপ্লবী রেভুলেশনারি গার্ড সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছে। সেই ফুটেজ দেখিয়ে তাদের দাবি, গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে তারা চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরও রয়েছেন। অভিযোগ, এঁরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। ইরান সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডর শাহাদাদ মরুভূমি এলাকায় গিয়েছিলেন। জায়গাটি মধ্য ইরানে অবস্থিত। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবার পরিজনদেরও। তাঁরা সেখানে ভ্রমণকারী হিসেবেই গিয়েছিলেন। তবে সেখানে গিয়ে তাঁরা সেখানকার মাটির নমুনা সংগ্রহ করছিলেন। ইরানের আর একটি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ড্রোন থেকে তোলা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকেছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন হলেন ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডর গিলস হোয়াইটেকার। যিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছদ্মবেশে ইরানের ওই মরুভূমি অঞ্চলে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ব্রাজিলীয় লাস্যময়ী মডেল, জানুন তাঁর আরেক পরিচয়

    ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন অবশ্য জানিয়েছে, জাইলস হোয়াইটেকার নামে ওই ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরকে মধ্য ইরানে আরও কয়েকজন কূটনৈতিকের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হোয়াইটেকার ২০১৮ সাল থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে ডেপুটি হেড অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ইরান সরকার ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করেছে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….

    তবে ব্রিটিশ ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরের গ্রেফতারির খবর স্বীকার করেনি ব্রিটেন। ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রকের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে ডেপুটি অ্যাম্বাসাডরের গ্রেফতারির খবর সর্বৈব মিথ্যা।

     

  • Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ায় চুল ওড়ানো অপরাধ। এই পোস্টার নিয়েই ইরানের (Iran) রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার নাগরিক। হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাশা আমিনি (Mahsa Amini) নামে এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অসন্তোষের আগুন। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা দমনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। 

    টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্‌’-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগুন জ্বলছে। সন্ধের পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকার বিরোধী স্লোগানও উঠছে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    ইরানের আইনে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশিকা মেনে যথাযথভাবে হিজাব পরেননি ২২ বছর বয়সী মাশা। তাই তাঁকে অকালে চলে যেতে হল। এর প্রতিবাদে ইরানের হিজাব আইনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয় নাগরিকেরা। মহিলা ও পুরুষ সকলেই প্রকাশ্যে আইন ভেঙেছেন। মেয়েরা হিজাব উড়িয়েছেন, চুল কেটেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়। দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যাতে সামনে না আসে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ইরানের সরকার।  এ প্রসঙ্গে ইরানের কাছে বিশেষ আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেখানকার সরকারকে স্থানীয়দের বিক্ষোভের (Protest) বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয় বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি’ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তেজনা এড়াতে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তাও দিয়েছেন গুতেরেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share