Tag: jagannath temple

jagannath temple

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ধামের অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। কথিত আছে চারটি গেট চারটি প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের এই চার দুয়ার হল- ‘সিংহ দুয়ার’,’অশ্ব দুয়ার’,’ব্যাঘ্র দুয়ার’ ও ‘হস্তি দুয়ার’। 

    আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চার দুয়ারের তাৎপর্য – (Significance Of Entrance Gates) 

    ১) পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার-  এই গেটটি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশের প্রধান দরজা। পৃথিবীতে গুণ প্রচারের জন্য সিংহকে ভগবানের একটি বিশেষ অবতার বলে মনে হয়। আর সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হওয়ার কারণে মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটটিই সিংহ দুয়ার নামে পরিচিত। এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষ লাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।  
    ২) পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার-  বাঘ হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু ও বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। 
    ৩) উত্তর দুয়ার বা হস্তি দুয়ার- হাতিটিকে সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদে ভরে ওঠে ভক্তের ঘর। জানা গিয়েছে  হস্তি দুয়ারের প্রতি পাশে একটি করে হাতির বিশাল মূর্তি ছিল, যা মুঘল আক্রমণের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে, এই হস্তি দুয়ার মেরামত করে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এই দরজা দিয়ে মূলত ঋষি ও বিশেষ ভক্তরা প্রবেশ ও প্রস্থান করেন। 
    ৪) দক্ষিণ দুয়ার বা অশ্ব দুয়ার- জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে সম্রাটরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিতে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতেন। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে কামের অনুভূতি কেটে যায়। এখানে একাধিক দেবতার প্রতীক রয়েছে। লোকনাথ, ঈশানেশ্বর, পরশুনাথ, ধবলেশ্বর, লক্ষ্মী নৃসিংহ ও তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে এই দরজায়।

    আরও পড়ুন: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরে একসময় চারটি প্রবেশদ্বারই খোলা থাকত। তবে নিয়ম বদলায় কোভিড অতিমারি শুরু হলে। কারন তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিমারির সময় থেকেই মন্দিরের তিনটি দরজা বন্ধ করে দেয়। খোলা ছিল একটি মাত্র দরজা। সেই একটি মাত্র দুয়ার দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু কভিড পরবর্তী সময়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এতদিন পর্যন্ত সেই নিয়মই বহাল ছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন ভক্তরা। তবে সম্প্রতি নতুন সরকার আশায় মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Charan Majhi: কথা রাখলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করা যাবে চার দ্বার দিয়েই

    Mohan Charan Majhi: কথা রাখলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করা যাবে চার দ্বার দিয়েই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বৃহস্পতিবার থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) চারটি প্রবেশপথই ভক্তদের জন্য খুলে দেব আমরা।” বুধবার কথাগুলি বলেছিলেন ওড়িশার নয়া মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)। এদিনই দুপুরে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। তার পরেই বসে যান মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এখানেই গৃহীত হয় এমনতর সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্তের জেরে উপকৃত হবেন জগন্নাথ দর্শনে আসা ভক্তরা।

    খুলে গেল চার প্রবেশপথ

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মতোই বৃহস্পতিবার সকালে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের চারটি দ্বারই। তার পরেই সাধারণ পুণ্যার্থীর মতোই মন্দিরে প্রবেশ করে পুজো দেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। তাঁর সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেভি সিং দেও এবং প্রভাবতী পারিদা। মন্দিরের চারটি দ্বারই পুণ্যার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বিজেপি সরকারকে ধন্যবাদ জানান পুরী বেড়াতে আসা পর্যটকরাও।   

    মন্দির রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ তহবিল

    এদিকে, দ্বাদশ শতকে তৈরি প্রাচীন এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ তহবিল গড়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরীর সাংসদ বিজেপির সম্বিত পাত্র, বালাসোরের সাংসদ প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গী এবং বিজেপি সরকারের অন্য মন্ত্রী ও নেতারা। জগন্নাথ মন্দিরে রয়েছে চারটি প্রবেশদ্বার। এতদিন পর্যন্ত দেবদর্শন করতে হলে ভক্তদের প্রবেশ করতে হত মন্দিরের সিংহ দুয়ার দিয়ে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই মন্দিরের সবকটি দরজা দিয়েই ঢুকে জগন্নাথ দর্শন করতে পারছেন  পুণ্যার্থীরা।

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই হয়েছে ওড়িশা বিধানসভার নির্বাচনও। এই নির্বাচনের আগে পদ্ম-পার্টির তরফে প্রকাশিত ইস্তাহারে বিজেপি জানিয়েছিল, রাজ্যের ক্ষমতায় এলে পুরীর মন্দিরের চারটি দ্বারই উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য। এদিনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইস্তাহারে দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করল ওড়িশার বিজেপি সরকার (Mohan Charan Majhi)।

    আর পড়ুন: কুয়েতে মৃত ভারতীয়দের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

    ওড়িশার নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য সূর্যবংশী সুরাজ বলেন, “নির্বাচন চলার সময়ই আমরা বলেছিলাম যে মন্দিরের (Jagannath Temple) চারটি প্রবেশদ্বারই খুলে দেব। সেই মতো আজ খুলে দেওয়া হল চারটি প্রবেশদ্বারই। মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন পবিত্র মুহূর্তে।” তিনি বলেন, “গতকাল শপথ নেওয়ার পরে আজকেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে মন্দিরের গেটগুলি খুলে দেওয়া হল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রথযাত্রা। সেজে উঠছে পুরী। কিন্তু রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় (Puri Chandan Yatra) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন বহু ভক্ত। বুধবার রাতে ওড়িশার (Odisha) পুরীতে চন্দন যাত্রা উপলক্ষে  জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০ জনেরও বেশি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আতশবাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। ঘটনার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে জখমদের নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা।   

    কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা? (Puri Chandan Yatra) 

    জগন্নাথদেবের চন্দন যাত্রা উপলক্ষে পুরীর নরেন্দ্র পুষ্করিণী এলাকায় কয়েক’শ পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। আসলে এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য পুরীতে রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। তাই এই উৎসবে অনেকে সেখানে বাজি পুড়িয়ে আনন্দ করছিলেন। সেই সমস্ত বাজি ওখানেই জড়ো রাখা ছিল। আর তার থেকেই বাধে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে লাগে বাজির স্তূপে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। একের পর এক বাজি ফাটতে শুরু করে। 

    যেখানে বাজি রাখা ছিল, তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তারা অগ্নিদ্বগ্ধ হন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে সরোবরে ঝাঁপ দেন। জানা গিয়েছে হটাৎ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। সকলেই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।  

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

    এই ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার খরচ ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মেটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    অন্যদিকে এ ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার প্রার্থনা ভগবানের আশীর্বাদে যেন আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri: নতুন বছরের ভিড় সামলাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলল রাত ১টায়

    Puri: নতুন বছরের ভিড় সামলাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলল রাত ১টায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে। প্রভুকে দর্শন করতে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন মন্দিরে। এত বেশি ভিড় হয় যে ভক্তদের গর্ভগৃহে পৌঁছানো মাঝে মধ্যে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এবার সেই সমস্যারই সুরাহা হতে চলেছে। ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে অনায়াসেই জগন্নাথদেবের দর্শন মিলবে পুরীতে। চালু হচ্ছে হেরিটেজ করিডর। অন্যদিকে ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা ৩১ ডিসেম্বরই খুলে গেল রাত ১ টায় এবং খোলা থাকবে ১ জানুয়ারি রাত ১১ টা পর্যন্ত।

    নয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভিড় সামাল দিতে নবীন পট্টনায়েকের সরকার নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। এবার থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নের ১,১৯০ জন কর্মী। নবীন পট্টনায়ক সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের জন্য এবার থেকে স্পেশাল ব্যাটালিয়ন ফোর্সের নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হবে। দর্শনার্থীরা আরও সহজে জগন্নাথধামে প্রবেশ করতে পারবেন। আরও মজবুত হবে নিরাপত্তা। ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ওড়িশা সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, পুরীর মন্দিরে হেরিটেজ করিডর নির্মাণ হওয়ার পর দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। ৯৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথ মন্দিরের চতুর্দিকে মেঘনাদ পচেরি ঘিরে একটি পাঁচিল নির্মাণ করা হচ্ছে। ৭৫ মিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই করিডর। যানবাহন চলাচলের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ লাগানো হচ্ছে। হাফপ্যান্ট পরে মন্দিরে প্রবেশ আগেই বন্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি বাতানুকূল সেডও তৈরি হচ্ছে যেখানে আরামদায়কভাবে লাইনে দাঁড়াতে পারবেন পুণার্থীরা (Puri)।

    হেরিটেজ করিডরের উদ্বোধন ১৭ জানুয়ারি

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেবলমাত্র সিংহদুয়ার দিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেন ভক্তরা। ভিড় বেশি হওয়াতে ভক্তদের খুবই কষ্ট হয়। গর্ভগৃহের কাছে পৌঁছনো তো দূর, ভিতরে মিনিট খানেকও সময় পান না দর্শনের জন্য। জানা গিয়েছে প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শ্রীমন্দিরের বাকি তিন দিকের গেট। এই নিয়েও পুণার্থীরা (Puri) অনুযোগ জানাতেন এতদিন। তবে হেরিটেজ করিডর উদ্বোধন হলে ভিড় ঠেলে জগন্নাথদেবের দর্শন অনেকটাই সহজ হবে। ১৭ জানুয়ারি এই করিডরের উদ্বোধন হওয়ার কথা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: পুরীতে পুণ্যার্থীদের জন্য এসি করিডর, লাইনে দাঁড়ানো ভক্তদের পুড়তে হবে না কাঠফাটা রোদে

    Jagannath Temple: পুরীতে পুণ্যার্থীদের জন্য এসি করিডর, লাইনে দাঁড়ানো ভক্তদের পুড়তে হবে না কাঠফাটা রোদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাতানুকূল লাইনে দাঁড়িয়েই প্রবেশ করা যাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple)। ভক্তরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন তাই মন্দির কর্তৃপক্ষের এই বিশেষ সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল যে কোনওভাবেই হাফপ্যান্ট অথবা ছেঁড়াফাটা জিন্স পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না।

    হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান পুরী

    হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল পুরী। ভগবান জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের বহু ভক্তই হাজির হন মন্দিরে। তাই ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত লাগুক তা কখনোই চায়না মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের মন্দির (Jagannath Temple) দর্শনে যতটা সম্ভব কষ্ট লাঘব করারও চেষ্টা করা হয়। এবার থেকে আর কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দিরে প্রবেশের লাইনে দাঁড়াতে হবেনা ভক্তদের। ভিজতেও হবে না বৃষ্টিতে। এসির হাওয়ায় ভক্তরা লাইনে দাঁড়ালে বয়স্ক ভক্তদের বিশেষ সুবিধা হবে। আবার গরমে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। জানা গিয়েছে, সাধারণত সিংহদ্বার দিয়েই জগন্নাথ ধামে প্রবেশ করেন ভক্তরা।

    ৮৫ মিটারের এসি করিডর

    গ্রান্ড রোডের ওপর মরিচকোট স্কোয়ার থেকে ওই সিংহদ্বার পর্যন্তই এই এসি করিডর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষ। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর বাতানুকুল এই করিডর হতে চলেছে ৮৫ মিটারের।  এ বিষয়ে পুরীর অতিরিক্ত জেলাশাসক ভবাতারানা শাহ বলেন, “রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। তাঁদের জন্যই একটি করিডর নির্মাণ করা হবে। মরিচকোচ স্কোয়্যার থেকে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) পর্যন্ত বাতানুকূল করিডর নির্মাণ করা হবে। এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এটি নির্মিত হবে।” পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ বরাবরই অবশ্য ভক্তদের কথা মাথায় রাখে। এর আগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বয়স্ক মানুষদের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থাও করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। লাইনের ভক্তদের জন্য জলের বোতলের ব্যবস্থাও করে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: বিকেল পর্যন্ত অভুক্ত রইলেন প্রভু জগন্নাথদেব! পুরীর মন্দিরে কেন এমন ঘটল?

    Jagannath Temple: বিকেল পর্যন্ত অভুক্ত রইলেন প্রভু জগন্নাথদেব! পুরীর মন্দিরে কেন এমন ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেল হলেও অভুক্ত রইলেন পুরীর ভগবান জগন্নাথদেব (Jagannath Temple )। এই ঘটনায় জগন্নাথ ভক্তদের মধ্যে তীব্র শোরগোল। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা! কেন প্রভু জগন্নাথকে ভোগ নিবেদন করা হল না? এই প্রশ্নই বার বার উঠছে ভক্তদের মধ্যে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ এক সেবায়েত জোর করে মন্দিরে (Jagannath Temple) ঢুকে পড়লে এই বিপত্তি ঘটে। মন্দিরে যে সেবায়েতের প্রবেশাধিকার নেই, তিনি ঢুকে পড়লে মন্দিরের ভিতরে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আর এই গোলমালের ঘটনায় প্রভু জগন্নাথকে মধ্যাহ্ন ভোগ নিবেদন বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেওয়া হয়নি প্রভুর জন্য নৈবেদ্য। ফলে অনেকটা সময় না খেয়ে থাকতে হয় প্রভু জগন্নাথকে।

    দৈনিক ভোগ নিবেদনের সময়সূচি হিসাবে জানা গেছে, প্রভু জগন্নাথকে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ প্রাতঃরাশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রভু বলরাম এবং মা শুভদ্রাকেও তা নিবেদন করা হয়। কিন্তু গত শুক্রবার দুপুর হয়ে বিকাল ৫ টা বেজে গেলেও দেওয়া হল না ভোগ।

    মন্দিরের সেবায়েতের বক্তব্য

    মন্দিরের (Jagannath Temple) সেবায়েত দেবব্রত মাহাপাত্র বলেন, ২০১৭ সালে অন্য জাতির মহিলাকে বিয়ে করার জন্য মন্দির কমিটি এক সেবায়েতকে (সিংহরি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মন্দিরের ভিতরে যে কোনও রকম পূজা-আচার এবং রীতি পালন করতে পারবেন না এই নিষিদ্ধ সেবায়ত। মন্দির কমিটি জারি করে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু গত শুক্রবার জোর করে সিংহরি সেবায়েত মন্দিরে ঢুকে পড়েন। আর এই ঘটনায় মন্দির কক্ষে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। ফলে পূজা-অর্চনার কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সাময়িক ভাবে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভগবান জগন্নাথকে বেশ সময় অভুক্ত থাকতে হয়।

    অবশেষে কখন করলেন প্রাতঃরাশ

    মন্দিরের (Jagannath Temple) মধ্যে অবশেষে সমস্যা মিটলে আনুমানিক দুপুর ২ বেজে ২০ মিনিটে মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিষ্কার করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫ টায় জগন্নাথদেব প্রাতঃরাশ নৈবেদ্য অর্পণ করা হয়।

    নিষিদ্ধ সেবায়েতের বক্তব্য

    নিষিদ্ধ সেবায়েত বলেন, “আমি নির্দোষ, ২০২২ সালেও আমি এই মন্দিরে (Jagannath Temple) প্রবেশ করেছিলাম। জগন্নাথ ধামের বিশেষ কর্তব্য পালন করি আমি। কিন্তু মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয়।”

    পরিস্থিতি সামাল দিতে, শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আধিকারিকরা মধ্যস্থতা করেন জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের সংগঠনের সঙ্গে। এরপর বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হয় বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা ও গয়না লুট! তদন্তে পুলিশ

    Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা ও গয়না লুট! তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) প্রণামী বাক্স থেকে চুরি গেল টাকা ও মূল্যবান গয়না। জগন্নাথ মন্দিরের চুরি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রণামী বাক্স থেকে এই টাকা লুট হয়েছে।  স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবি, মন্দিরের দক্ষিণ দ্বারে রাখা ছিল একটি প্রণামী বাক্স। সেটি ভেঙেই লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে কত টাকা খোয়া গিয়েছে তা জানা যায়নি।

    খালি প্রণামী বাক্স পড়ে থাকতে দেখেন সেবায়েতরা

    শুক্রবার নৃসিংহ মন্দিরের (Jagannath Temple) পিছন থেকে খালি প্রণামী বাক্স পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পরই চুরির বিষয়টি সামনে আসে। একটি সূত্রের দাবি, বিষয়টি শুক্রবার সকালে প্রথমে দেখেন সেবায়েতদের। এদিন পুজোর সময় নৃসিংহ মন্দিরে প্রবেশ করেই হাঁ হয়ে যান সেবায়েতদের। তাঁরা দেখেন প্রণামী বাক্স খালি এবং তা ভাঙা। তখনই বোঝা যায় যে প্রণামীর টাকা এবং গয়না চুরি গিয়েছে। ঘটনা সামনে আসতেই ছুটে আসেন সকল সেবায়েত, পুলিশ কর্মী এবং জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কমিটির সদস্যরা।

    তদন্ত করছে পুলিশ

    জানা গিয়েছে ভাঙা ওই প্রণামী বাক্সটি (Jagannath Temple) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে নবীন পট্টনায়েকের পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে গোটা ঘটনার। মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাটো। মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে কোনও ভক্ত সেই প্রাঙ্গণে থাকতে পারেন না, মন্দিরের ভিতরে ছবি তোলাও নিষিদ্ধ। ড্রোনের মাধ্যমে চলে সর্বক্ষণের নজরদারি। তারপরেও কীভাবে এই চুরি হল সেটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। পুলিশের একাংশ বলছে, দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যদিও মন্দির কমিটি (Jagannath Temple) এখনও কোনও লিখিত অভিযোগা দায়ের করেনি বলেই জানা গিয়েছে। কত পরিমাণ টাকার সম্পত্তি চুরি গিয়েছে তার কোনও সঠিক হিসেব প্রকাশ্যে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, ভাল পরিমাণেই ক্ষতিই হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।

    মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?

    দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।

    ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple:  হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    Puri Jagannath Temple:  হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকেই মন্দির-উপযোগী পোশাক পরছেন না। সমুদ্র সৈকতের পোশাক পরেই চলে আসছেন মন্দিরে। এমনটাই দাবি পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের।  তাই নতুন পোশাকবিধি আনতে চলেছেন তাঁরা। কোন ধরনের পোশাক পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    কেন চালু পোশাকবিধি

    সেবায়েতদের জন্য আগেই পোশাকবিধি চালু হয়েছিল। এবার ভক্তদের জন্যও পোশাকবিধি (Dress code) চালু করল জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই বিধি অনুসারে আর টর্ন জিন্স, বারমুডা, স্লিভলেস পোশাক পরে মন্দিরে (jagannath temple) প্রবেশ করা যাবে না। মন্দিরে প্রবেশের জন্য পরতে হবে সভ্য পোশাক। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট পরে সমুদ্র সৈকতে ঘোরা যায়, কিন্তু মন্দিরে ওই পোশাক পরে আসা যায় না, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    কবে থেকে পোশাকবিধি

    সোমবার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নীতি আয়োগ সাব-কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই অশালীন পোশাক পরে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে ভক্তদের জন্য পোশাক বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) প্রধান রঞ্জন কুমার দাস বলেন, “মন্দিরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। দুর্ভাগ্যবশত, অনেককে অন্যের ধর্মের ভাবাবেগের তোয়াক্কা না করেই মন্দিরে প্রবেশ করেন।” তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকেই দর্শনার্থীদের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কড়া ভাবে সেই নিয়ম যাতে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করবেন কর্তৃপক্ষ। 

    আরও পড়ুন: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    কেমন পোশাক পরতে হবে

    রঞ্জন বলেছেন, ‘‘মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আজকাল অনেকেই মন্দিরে আসছেন ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা না ভেবেই। হাফ প্যান্ট, হাতাকাটা জামা পরে অনেককে মন্দিরে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। যেন তাঁরা সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মন্দির দেবস্থান, কোনও বিনোদনের জায়গা নয়।’’ জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের জন্য কী ধরনের পোশাক পরতে হবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান। তিনি জানান, শাড়ি, সালোয়ার কামিজের মতো শালীন পোশাক পরেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। কেবল ১২ বছরের নীচে শিশুরা হাফ প্যান্ট পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির,  খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির, খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা-গরু পাচার (Cattle-Coal smuggling scam) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকরভাবে নাম জড়াচ্ছে পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) এক দয়িতাপতির (Daitapati)। তিনি নাকি তৃণমূলী মহলে ‘সেটিং গুরু’ (TMC Setting Guru) নামে পরিচিত। অতীতে সিবিআই-ইডি-আয়করের (ED-CBI-Income Tax) নোটিস এলেই তৃণমূলের (TMC) অনেক নেতাই এই সেটিং গুরুর কাছে হাজির হতেন। তিনি নাকি তাঁর ভক্তকূলের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় কাজ করেন এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। বলাই বাহুল্য কিঞ্চিত দক্ষিণার মাধ্যমে।

    কিন্তু সেই সেটিং গুরুর যাবতীয় কারবার নাকি এখন আর কাজ করছে না। তৃণমূলের অন্দরের চর্চা, সম্প্রতি যে কজন বড় মাথা সিবিআই, ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরাও সেটিং গুরু দয়িতাপতির শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এবার অগ্রিম দক্ষিণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃণমূলের লোকজন এখন সেই সেটিং গুরুর চ্যালা চামুণ্ডাদের খুঁজতে শুরু করেছেন। এমনই একজন বিপদ বুঝে পূরী পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাত মাসে তিন বার দুবাই যাত্রা অভিষেকের, ফিসফিসানি দলের অন্দরেই

    কে এই সেটিং গুরু?

    তৃণমূলের অন্দরের খবর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দয়িতাপতির ওড়িশার চেয়েও কলকাতায় ভক্ত সংখ্যা বেশি। তিনি কলকাতায় এলে ডেরা বাঁধেন গড়িয়াহাটের কাছে। সেখানেই তৃণমূলের হেভিওয়েটরা তাঁর কাছে ভিড় করেন। কারণ, কালীঘাট চত্বরে বছরে দু-তিনবার মহাযজ্ঞ করে থাকেন তিনি। ফলে সর্বোচ্চস্তরে এক ফোনেই নানা কাজ করিয়ে দেওয়া নাকি তাঁর বাঁ হাতের খেলা। তৃণমূলের বহু নেতাকে টিকিট দেওয়া, কাউন্সিলারকে চেয়ারম্যান বানানো, বিধায়ককে মন্ত্রী বানানোর হাতযশ তাঁর রয়েছে। সেই সূত্রেই সেটিং গুরুর কাছে ভিড়ও হয়।

    এবারও ইডি-সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়া ভারী নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। দক্ষিণ শহরতলির কোনও এক কাঞ্জিলালের কাছে দক্ষিণাও পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি সিবিআই-ইডি ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে বলেও সেটিং গুরু দাবি করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এবার ইডি-সিবিআই বেশি সক্রিয়। অন্যান্যবার সিবিআই জেরার জন্য ডেকে গ্রেফতার করত। এবার রীতিমতো বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে ভারী নেতাদের গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও কিছু নেতা ও পুলিশ কর্তা সেই তালিকায় আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    কিন্তু সেটিং গুরুর কাছে দক্ষিণা পৌঁছে যাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা না কমায় তৃণমূল নেতারা কাঞ্জিলালের সন্ধান শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি রাজ্য ছেড়ে শ্রীক্ষেত্রের উদ্দেশে পালিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আফসোসের শেষ নেই। এই খবর সিবিআই-ইডির কাছেও পৌঁছেছে। ফলে সেটিং গুরুর কারবার নিয়ে নজরদারিও শুরু করেছে তারা।   

LinkedIn
Share