Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • Terrorists Attack: বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ জওয়ান

    Terrorists Attack: বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের মুখে আতঙ্ক ছড়াতে ভূস্বর্গে এলোপাথাড়ি গুলি জঙ্গিদের (Terrorists Attack)। শনিবার রাত বারোটা নাগাদ কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় বায়ুসেনার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক জওয়ান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চার জওয়ান। এদিন সুরানকোটের ওপর দিয়ে যখন বায়ুসেনার কনভয় যাচ্ছিল, তখন আচমকাই গুলি বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা।

    জখম ৫ (Terrorists Attack)

    জখম হন পাঁচ জওয়ান। উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় একজনের। জঙ্গিরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করায় হকচকিয়ে যান বায়ুসেনার জওয়ানরা। ঘটনার প্রাথমিক অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বায়ুসেনা। দু’পক্ষে চলছে তুমুল গুলির লড়াই (Terrorists Attack)। এরই পাশাপাশি শুরু হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। সূত্রের খবর, এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের স্থানীয় ইউনিট। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।  জঙ্গি হামলার যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে বায়ুসেনার কনভয়ে থাকা একটি গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে অন্তত এক ডজন গুলির দাগ রয়েছে। গাড়িটিতে আগুনও ধরে যায়।

    কী বলছে বায়ুসেনা?

    বায়ুসেনার তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, “সাহসিতার এলকায় তাদের কনভয়ে যে হামলা হয়েছে, তা নিরাপদেই ছিল। জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সাহসিতার এলাকায় আচমকাই ভারতীয় বায়ুসেনার একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কনভয় নিরাপদেই রয়েছে। বিস্তারিত জানতে চলছে তদন্ত।”

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অরবিন্দর, কেন জানেন?

    চলতি বছর এই অঞ্চলে এটাই প্রথম বড় ধরনের কোনও হামলা চালাল জঙ্গিরা। গত বছরও ধারাবাহিকভাবে সেনার ওপর হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। জঙ্গিদের কাছে একে অ্যাসল্ট রাইফেল ছিল। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে জঙ্গিরা। রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্তও জঙ্গিদের নাগাল পাওয়া যায়নি। ঘটনায় গ্রেফতারও করা যায়নি কোনও জঙ্গিকে।

    ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ। আগের চেয়ে এখন উপত্যকায় বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লোকসভার নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এহেন আবহে সেনার ওপর হামলা চালিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা (Terrorists Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সত্যিই বৈচিত্র্যময় দেশ। এদিকে যখন ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাংলায় নাজেহাল পরিস্থিতি, ঠিক তখনই  দেশের উত্তরের চেহারাটা একদম বিপরীত। টানা বৃষ্টি চলছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir weather)। সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরে সোমবার কাশ্মীরের (kashmir) সোনমার্গে নেমেছে বরফধস। বরফে ঢেকে রয়েছে গুলমার্গও। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির (Heavy rainfall) কারণে জম্মু এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে নেমেছে ধস। ধসের কারণে সোমবার বন্ধ হয়ে যায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় বিপাকে বহু মানুষ। এক কথায় ভূ-স্বর্গের চিত্র ধ্বংসপুরীর চেহারা নিয়েছে।

    সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল (Jammu and Kashmir weather)

    বেশ কিছু দিন ধরেই পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। কোথাও ভারী, কোথাও আবার হালকা তুষারপাত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ধসও (landslides) নেমেছে। তুষারপাতের মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে। যার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাশ্মীর উপত্যকা (Jammu and Kashmir weather) এবং রিয়াসি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    জলমগ্ন বহু এলাকা

    সিলু কুপওয়ারায় পোহরু নালা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এই নালা উপচে পড়ায় সিলু কুপওয়ারার (Jammu and Kashmir weather) বহু গ্রামে জল ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে কুপওয়ারা হাইওয়ের (kupwara national highway) একাংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর জলস্তর বাড়তে থাকায় ৩৩৬টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ২ মহিলা সহ ৭ মাওবাদী

    ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই শয়ে শয়ে কাশ্মীরির

    কাশ্মীরি ভূমিধস, তুষারধসে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফলে সর্বস্ব খুইয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ফলে বর্তমানে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে (Relife camp)। জানা যাচ্ছে, জম্মু কাশ্মীরের দোদা, রিয়াসি, কিশতওয়াড় এবং রামবান জেলায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হড়পা বানে (Harpa Ban) ভেসে গিয়ে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে উপত্যকার বিপর্যয় ১২ জন শিশু সহ মোট ২২ জনের প্রাণ কেড়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    RSS: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাথর ছোড়া, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ, সেসব এখন অতীত। কাশ্মীরে ভারতীয়ত্ববোধ জাগরণের জন্য অনবরত কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার (RSS)। আরএসএস-এর শাখা সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতী’র উদ্যোগে চলে ‘একল বিদ্যালয়’গুলির কাজ। কাশ্মীরের মুসলিম শিশুদের পড়ানো হচ্ছে কোরানের আয়াত, তাদের শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম। এছাড়া, ভারতীয় হিসেবে তাদের কর্তব্যও বোঝানো হচ্ছে। পাঠদান চলছে ভারতীয়ত্ববোধের এবং কাশ্মীরিয়ত-র। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সূত্রে জানা গিয়েছে, এরকম একল বিদ্যালয় ১,২৫০টি চলছে উপত্যকায়। এই স্কুলগুলি সেই সমস্ত জায়গাতেই অবস্থান করছে যেখানে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস রয়েছে।

    ২ বছরে স্কুল বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

    জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের দশটি জেলাতে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ। যার মধ্যে কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলাতেই এমন স্কুলের সংখ্যা ১৮০টি। প্রসঙ্গত, এই জেলায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে একল বিদ্যালয়ের কাজ হঠাৎই ৫৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। গত দু’বছরে একল বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০০ থেকে ১,২৫০ হয়েছে।

    কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে

    স্কুলগুলি গড়ে উঠেছে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। তাদেরকে দেখাশোনা করে মুসলিম শিক্ষকরা। একজন করে অভিযান প্রমুখও রয়েছে স্কুলগুলিতে। যে সমস্ত গ্রামে ‘একল বিদ্যালয়’ রয়েছে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির মধ্যে বেশ কিছু জায়গাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে।

    কী বলছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা?

    কাশ্মীরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা চাই না, আমাদের ছেলেরা পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখাক অথবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যুক্ত হোক। আমরা এটাও চাই না, আমাদের ছেলেরা মাদকাসক্ত হোক।’’ বিগত পাঁচ বছরে বারমুল্লা জেলাতে একজন একল বিদ্যালয়ের (RSS) ছাত্রও স্কুল ছেড়ে যায়নি অথবা টাকার জন্য পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখায়নি। এমন কথাই জানাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা আরও বলছেন, ‘‘একল বিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে, তারা প্রত্যেকেই গর্বিত হিন্দুস্তানি-মুসলমান। আমরা তাদেরকে কোরান পড়াই।’’

    পরিবর্তন হচ্ছে কাশ্মীরের সমাজের

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারত-বিকশিত জম্মু কাশ্মীর’ অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এই ভিড়ই জানান দিচ্ছে যে কাশ্মীরের সমাজ কত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, এ কথা বলেন একল বিদ্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক। একল বিদ্যালয়ে চার ধরনের প্রমুখ বানানো হয়েছে। ‘অঞ্চল অভিযান প্রমুখ’, ‘পরীক্ষণ প্রমুখ’, ‘মূল্যায়ণ প্রমুখ’ ও ‘জাগরণ প্রমুখ’। আরও চমকপ্রদ তথ্য হল, একল বিদ্যালয়ে যাঁরা পাঠদান করেন তাঁদের ৭০ শতাংশই হলেন মহিলা। জানা গিয়েছে, একল বিদ্যালয়ের কাজ চালানোর জন্য দেশের ভিতরের বিভিন্ন বিশিষ্টজন এখনও পর্যন্ত ১২৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হল ৪৪ কোটি টাকা। কাশ্মীরে মোট ৪৮০টি গ্রামে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রেল মানচিত্রে জুড়ল কাশ্মীর ও জম্মু, দেশের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: রেল মানচিত্রে জুড়ল কাশ্মীর ও জম্মু, দেশের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের দীর্ঘতম রেলপথ-সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। হিমালয়ের পীর পঞ্জাল পর্বতশ্রেণির ভিতরের সুড়ঙ্গ দিয়ে ছুটবে ট্রেন। শ্রীনগর-উধমপুর-বারামুলা রেলপথের মাধ্যমের জুড়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবারই এই প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী জানিয়েছে রেল?

    রেলের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) মঙ্গলবার জম্মুতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দু’টি বিদ্যুৎচালিত ট্রেনকে একযোগে ‘ফ্ল্যাগ অফ’ (পতাকা নাড়িয়ে যাত্রার উদ্বোধন) করেছেন। একটি শ্রীনগর থেকে সাঙ্গলদান পর্যন্ত নীচের দিকে এবং অন্যটি সাঙ্গলদান থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত উপরের দিক থেকে।’’ রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন ৪৮.১ কিলোমিটার দীর্ঘ বানিহাল-খারি-সাম্বার-সাঙ্গলদান অংশেরও উদ্বোধন করেন। প্রসঙ্গত, এর মধ্যেই রয়েছে দেশের দীর্ঘতম রেল-সুড়ঙ্গ, যা ১২.৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রসঙ্গত, এনডিএ জমানায় ২০০২ সালেই জাতীয় প্রকল্পের মর্যাদা পায় এই প্রকল্পটি। মোট দৈর্ঘ্য ২৭২ কিলোমিটার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তাঁর বক্তব্যে বলেন,‘‘ সারা দেশ জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। আগের সরকার জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের জন্য কিছুই করেনি, তাঁদের বঞ্চিত করে রেখেছিল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিমান বন্দর নির্মাণ এবং আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। জম্মু-কাশ্মীরও এর বাইরে নয়।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও বলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী রেলপথের স্বপ্ন অচিরেই পূরণ হবে। আজ এই স্বপ্ন ৪৮.১ কিমি রেলপথের উদ্বোধন দিয়ে শুরু হল।’’

    মোদির গ্যারান্টি

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “মোদির গ্যারান্টি চলতেই থাকবে। দেশে উন্নতি হতে থাকবে। যেভাবে কংগ্রেস কাশ্মীরকে নিয়ে রাজনীতি করেছিল, তা থেকে কাশ্মীরবাসীকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিকশিত ভারতের টার্গেট বজায় রাখতে কাশ্মীরকে সঙ্গে নিয়েই চলবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গত ১০ বছরে যে হারে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, তা নজির সৃষ্টি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: পিছিয়ে জম্মু-কাশ্মীরও! লোকসভা ভোটে বাংলায় সর্বাধিক বাহিনী চাইল কমিশন

    Election Commission: পিছিয়ে জম্মু-কাশ্মীরও! লোকসভা ভোটে বাংলায় সর্বাধিক বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে (Loksabha Vote) সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ইতিমধ্যে এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠিও পাঠিয়েছে কমিশন। লোকসভা ভোটে বাংলায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের বেড়ে চলা রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে এভাবেই সিলমোহর দিল কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কমিশনের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি।

    জম্মু ও কাশ্মীরের চেয়েও বাংলায় বেশি বাহিনী চাইল কমিশন

    কমিশনের (Election Commission) এদিনের সিদ্ধান্তে দেখা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের চেয়েও বেশি বাহিনী চাওয়া হয়েছে বাংলার জন্য। অর্থাৎ বাংলায় শান্তিতে ভোট করানো যে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং তা আরও একবার বোঝা গেল কমিশনের সিদ্ধান্তে (Loksabha Vote)। উপত্যকায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোর জন্য ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের জন্য কমিশন চেয়েছে ২৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিহার এবং ছত্তিসগড়ের জন্য যথাক্রমে ২৯৫ ও ৩৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।

    লোকসভার সঙ্গেই চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট

    ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা এবং সিকিমে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার জন্য ২৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের জন্য যথাক্রমে ৭৫ ও ১৭ কোম্পানি বাহিনী (Loksabha Vote), ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের জন্য ২৫০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন (Election Commission)। মণিপুরের জন্য কমিশন চেয়েছে ২০০ কোম্পানি। গুজরাটে ভোট করাতে ২০০ কোম্পানি বাহিনীই চাওয়া হয়েছে।

    যত দফায় ভোট হোক, ৯২০ কোম্পানি বাহিনী সবসময়ই মোতায়েন থাকবে রাজ্যে

    কমিশনের তরফ থেকে কেন্দ্রকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে দেশ জুড়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন করাতে অন্তত ৩ হাজার ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি বাহিনী থাকছে। এখনও পর্যন্ত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়নি। ফলে এ রাজ্যে কত দফায় ভোট হবে, তা এখনও অজানা। কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, যত দফাতেই ভোট হোক না কেন, সব দফাতেই ওই ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন (Loksabha Vote) থাকবে। গোটা ভোট পর্ব মিটলেই রাজ্য ছাড়বে তারা।

    কী বলছে বিজেপি?

    কমিশনের(Election Commission) এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় অন্য রাজ্যের তুলনায় বেশি বাহিনী লাগবে। কারণ বাংলা চালায় তৃণমূল। সেখানে আইনশৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। গত বিধানসভা ভোট মিটতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পর আমরা ভোট পরবর্তী হিংসা দেখেছি। রাজ্যের মানুষ যাতে সুষ্ঠু ভাবে নিজের ভোট (Loksabha Vote) নিজে দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বেশি বেশি বাহিনী প্রয়োজন।’’ বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় কী ঘটেছে গোটা দেশ দেখেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনও দেখেছে। তবে এই বাহিনী শুধু মোতায়েন করলেই হবে না, বাহিনী যেন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে উপত্যকার মানুষজনকে কিছু বিশেষ এবং বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকাও। এমনকী সেখানকার জমি পর্যন্ত কিনতে পারেতেন না অন্য রাজ্যের মানুষজন। এক কথায়, ভারতের অভ্যন্তরে জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে উঠেছিল আলাদা একটি রাষ্ট্র। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেসব আর কিছু থাকল না। আসুন দেখে নিই, কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পরিস্থিতি কী দাঁড়াল।

    ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে ও পরে…

    ১) উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র

    সংবিধানে ৩৭০ নম্বর ধারা (Article 370) অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের অন্য কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার ছিল না ভারত সরকারের। কিন্তু বর্তমানে উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করাতে আর কোনও বাধাই রইল না।

    ২) জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকা, এখন আর তা রইল না

    ৩৭০ ধারা (Article 370) যখন লাগু ছিল, তখন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কোনও আইন প্রণয়ন করতে পারত না ভারতের সংসদ। আইন প্রণয়ন করতে হলে সে রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালের পর কোনও আলাদা পতাকা নেই উপত্যকায়। ভারতের সংসদ এখন জম্মু ও কাশ্মীরে আইন প্রণয়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।

    ৩) উপত্য়কায় জমি কিনতে পারতেন না ভারতের অন্য রাজ্যের লোকজন, এখন তা বাতিল

    ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের লোক জম্মু-কাশ্মীরের জমিও কিনতে পারতেন না। তার কারণ, স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কেউ কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন না, এমন নিয়ম সেখানে জারি করা ছিল। ধারা ৩৫-এ অনুযায়ী বলা হয়, যে সে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কে, তা স্থির করতে পারবে একমাত্র জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা। বর্তমানে দেশের যে কোনও নাগরিক জমি কিনতে পারেন উপত্যকায়।

    ৪) জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদনও করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা, এখন তা কার্যকর নয়

    জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের মানুষ। সে রাজ্যের কোনও মহিলা স্থায়ী বাসিন্দা ভারতের অন্য অংশের মানুষকে বিয়ে করলে তিনি সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতেন। বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদন করতে পারেন সবাই।

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল ভারতের সংবিধান সভা। কিন্তু ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভাকেই ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেখানে লেখা ছিল অস্থায়ী সংস্থান অর্থাৎ তা সামরিক হিসেবেই গণ্য করা হয়। ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয় যে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে ওই বিশেষ মর্যাদা যে কোনও সময় তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই এই বিশেষ মর্যাদাকে প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেন। সরকারের তরফে তখন জানানো হয় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অস্থায়ী একটি ব্যবস্থা। এরপর মামলা এবং যার চূড়ান্ত পরিণতি এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবার জঙ্গিদের গতিবিধি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে! সাধারণভাবে জিপিএস সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় কোনও বস্তুর অবস্থান এবং গতিবিধি। এবার এই সিস্টেমকে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, তাও আবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের ক্ষেত্রে। জামিনে মুক্তি পাওয়া এক জঙ্গির গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য তার পায়ে পরানো হল ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet)। 

    কী এই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’?

    আদতে ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) হল অনেকটা নুপূরের মতো। পায়ের গোড়ালিতে তা পরিয়ে দেওয়া হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় ওই ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছে? কী তার গতিবিধি রয়েছে? ইত্যাদি। কোনও ব্যক্তি যদি এটা খুলে ফেলতে চায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সংকেত চলে আসে পুলিশের কাছে। যে স্থানে সে এটা খুলছে, সেই অবস্থানও জানতে পারে পুলিশ। জামিনে মুক্তি পাওয়া গুলাম মহম্মদ ভাটের পায়ে শনিবারই জিপিএস পরিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আগামী দিনে এই যন্ত্রের আরও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ভূ-স্বর্গের প্রশাসন। ভারতে এই যন্ত্র প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে জামিনে মুক্ত আসামিদের কিংবা গৃহবন্দীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে জিপিএস সিস্টেম (GPS Anklet) ব্যবহার করা হয়।

    গুলাম মহম্মদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, জঙ্গি গুলাম মহম্মদ ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের আড়াই লাখ টাকা তহবিল দেওয়ার। সেই টাকা দিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয় গুলাম মহম্মদকে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্রের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, গুলাম মহম্মদ সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের। ওই সংগঠনের নির্দেশেই সে সন্ত্রাসবাদকে ফান্ডিং করত বলে অভিযোগ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসের এনআইএ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর গুলাম মহম্মদ জামিনের আবেদন করে। সেই মামলার শুনানি মুলতবি থাকাকালীন সে অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি চায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে শনিবার তাকে মুক্তি দেওয়ার সময়ই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পায়ে।

    কী বলছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন?

    জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সম্প্রতি এনআইএ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইউএপিএ আইনে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তাবলী আরোপ করার। মুক্তির পরেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর কড়া নজর রাখা উচিত বলে পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। তারপর এনআইএ আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তের পায়ে জিপিএস পরানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জঙ্গি দমনে নতুন প্রযুক্তির (GPS Anklet) ব্যবহার দেখা গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: শ্রীনগরে তিরঙ্গা যাত্রা, নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা

    Jammu And Kashmir: শ্রীনগরে তিরঙ্গা যাত্রা, নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাধিক মানুষকে হাঁটতে দেখা গেল শ্রীনগরের (Jammu And Kashmir) তিরঙ্গা যাত্রায়। যার নেতৃত্বে থাকলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। রবিবার উপত্যকার এই তিরঙ্গা যাত্রা নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মন্তব্য, ‘‘আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত তিরঙ্গাকে সম্মান করা এবং তার মর্যাদা রক্ষা করা।’’ উপত্যকার এই তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করেছিল প্রশাসন (Jammu And Kashmir)। একইরকম ভাবে জম্মু প্রদেশেও তিরঙ্গা যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে। পিরপাঞ্জাল এবং চেনাব উপত্যকাতেও দেখা গিয়েছে তিরঙ্গা যাত্রা। যেখানে শতাধিক মানুষ কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হাঁটেন কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত। তিরঙ্গা যাত্রার ধ্বনি ছিল ‘ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা’। 

    কী বললেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর?

    রবিবারের এই তিরঙ্গা যাত্রার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের (Jammu And Kashmir) একাধিক আধিকারিক, নিরাপত্তা আধিকারিকবৃন্দ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া বেশ বড় সংখ্যায় ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকরাও অংশ নিয়েছিলেন এই যাত্রায়। গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেককে স্বাধীনতা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক আধিকারিক বা নিরাপত্তা আধিকারিকদের নয় বা শুধুমাত্র শ্রীনগরের (Jammu And Kashmir) বাসিন্দাদের নয়, বড় সংখ্যার উপত্যকার সমস্ত মানুষকে আমি স্বাধীনতা দিবসের এই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি মনে করি আমাদের তিরঙ্গার মর্যাদা রক্ষা করা সকলের কর্তব্য।’’ তিনি মনে করান যে গত বছরেও একই রকম তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর ক্রমশই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে।’’ এই যাত্রায় জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কোটেশ্বর সিং লাল চৌকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    সিআরপিএফ-এর বাইক র‍্যালি 

    অন্যদিকে জম্মু কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) সিআরপিএফও একটি বাইক র‍্যালির আয়োজন করে। লাল চৌক থেকে নিশাত গার্ডেন পর্যন্ত সম্পন্ন হয় বাইক র‍্যালি। মধ্য কাশ্মীর, দক্ষিণ কাশ্মীর, উত্তর কাশ্মীরের একাধিক অংশে দেখা গিয়েছে স্বাধীনতা উৎসবের উদযাপন। বড় সংখ্যায় জনপ্রতিনিধিরা এবং সাধারণ নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন তিরঙ্গা যাত্রায়। ধ্বনি ওঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দেমাতরম’, ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ এই সমস্ত কিছু। পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলাতেও এদিন সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা উৎসবের অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, বারবার জঙ্গিহানার সাক্ষী থেকেছে এই অঞ্চল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: গত ২৪ ঘণ্টায় সেনা এনকাউন্টারে জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: গত ২৪ ঘণ্টায় সেনা এনকাউন্টারে জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক এনকাউন্টার চলছে, জম্মু-কাশ্মীরে (Indian Army)। জঙ্গি খতমে গত ২৪ ঘণ্টায় বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার সকালেও এক জঙ্গি নিকেশের খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তখনই গুলি করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইতে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও এক জঙ্গি। 

    কী বলছে ভারতীয় সেনা?

    সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর মিলেছে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে দুই জঙ্গি। এরপরেই শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। ভারতীয় সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ পুলিশ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়।  বর্তমানে ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জম্মুর প্রতিরক্ষা জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট সুনীল বার্তওয়াল জানিয়েছেন, রাত দুটো নাগাদ ২ জঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালিয়ে জবাব দিতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী (Indian Army)। গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায় এবং দ্বিতীয় জঙ্গিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

    স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার ছক

    সূত্রের খবর,স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। সে কারণেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বারংবার। তবে ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কোনও ঘাটতি রাখা হচ্ছে না এবং নিরাপত্তা অনেক ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এনিয়ে  দ্বিতীয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। রবিবারও নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা এবং তখনই ভারতীয় সেনার (Indian Army) নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় সেনা। সেখানেও এক জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। এবং ২ থেকে ৩ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ফের পাকিস্তানে পালিয়েছে। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share