Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশ। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যদিও ওই জঙ্গিদের এখনও ধরা যায়নি। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাজে তারা সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ।

    কুলগামে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গির বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    জঙ্গিদের দুই সহযোগী কুলগামে লুকিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হামলায় অভিযুক্তদের সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কুলগামে শনিবার সকালে যার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নাম জাকির আহমেদ গনি। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি যোগ না-থাকলেও নেপথ্যে থেকে কাজ করেছিল এই জাকির। হামলার পরিকল্পনায় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়েছে।

    পুলওয়ামায় ভাঙা হল আহসান আল হক শেখের বাড়ি

    পুলওয়ামায় (Pahalgam Attack) আহসান আল হক শেখ নামের আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভাঙা হয়েছে শনিবার সকালে। জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার মুরান গ্রামে সে থাকত। বুলডোজার দিয়ে শুক্রবার রাতে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে।

    নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা পাকিস্তানের, রাতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, পাল্টা জবাব দিল ভারতও

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাতেও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলি চালাল পাকিস্তান (Pahalgam Attack)। বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে খবর। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। শনিবার সকালেই এনিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২৫ এবং ২৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। একই ভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরাও। কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।’’

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন একের পর এক পর্যটক ৷ একবার দেখে মনে হতে পারে বৈসরণের ঘন সবুজ প্রান্তরে কেউ যেন লাল রং ঢেলে দিয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত সইফুল্লা।

    পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সইফুল্লার সঙ্গে পাক যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে রয়েছে লস্কর নেতা সইফুল্লা। তাঁর পরিকল্পনা মাফিক লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ এর পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। পাক সেনায় যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে সইফুল্লার। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাটেলিয়নে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে আহ্বান করেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সইফুল্লাকে ডাকা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা

    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারত বিদ্বেষী বক্তৃতা করেন। এ ছাড়াও, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দিতে শোনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।

    পাকিস্তানের হাত ধরেই টিআরএফ-এর উত্থান

    টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সে সময় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

    টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?

    টিআরএফ (TRF) হল প্রথম সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দ ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ী কাজ করে। সূত্রের খবর, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবল পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান। টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।

    নিহতদের পরিবারের পাশে শাহ, মোদির বৈঠক, ট্রাম্পের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লি বিমানবন্দরে তিন জনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বুধবার সকালে তিনি জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

    চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ

    পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়। জঙ্গিরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই ভারতে আসে তারা। এমনকি এলাকা পরিদর্শনও করে যায়।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রামবান জেলার ধর্মকুন্ড গ্রামে রাতভর বৃষ্টির জেরে হড়পা বান (Heavy Rain) নামে। এর জেরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জন। হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি। একইসঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা এলাকা।

    নজর রাখছে কেন্দ্র

    পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রও, একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘রাতভর প্রবল শিলাবৃষ্টি, একাধিক ভূমিধসের কারণে রামবান অঞ্চলের (Heavy Rain) আশেপাশের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত কয়েকটি পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছে। আর্থিক এবং অন্যান্য সকল ধরণের ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমরা সকলে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’’

    বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে

    একটানা ভারী বৃষ্টির (Jammu and Kashmir) জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে। ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘর-বাড়ি। প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে একাধিক পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী গাড়িগুলির যাতায়াতও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে শত শত গাড়ি ইতিমধ্যে আটকে পড়েছে রাস্তায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    পুলিশের বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    অন্যদিকে ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর। এর ফলে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যার কারণে দশটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ২৫-৩০ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ধর্মকুন্ডের পুলিশের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের সামনে। তারা জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। এরপরেই দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৯০-১০০ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদেরকে বর্তমানে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে, দুর্যোগের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে (Jammu and Kashmir)। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একজন নিখোঁজও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, আজই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, আজই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীর সফর করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর এই সফর ৩ দিন চলবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়া জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করার কথাও রয়েছে তাঁর।

    উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন শাহ (Amit Shah)

    সূত্রের খবর, আজই অর্থাৎ রবিবার জম্মুতে লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা আধিকারিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পরে এমনই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir)। গত মাসেই জম্মুর কাঠুয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয়। চারজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এই আবহে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক

    সূত্রের খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি কাঠুয়া সহ একাধিক পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলেছে জঙ্গি দমন অভিযান। এই আবহে শাহের (Amit Shah) সফর নিয়ে আবদুল্লা বলেন, ‘‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’’

    নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন

    জানা যাচ্ছে, অমিত শাহের জম্মু-কাশ্মীর সফরে তিনি নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন। এরপর ৭ এপ্রিল রাতেই শ্রীনগর সফর করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করবেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। শাহের সফর ঘিরে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ভিকে বিরদি এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেন।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আস্থা জড়িয়ে রয়েছে কুপওয়াড়ার শারদা মন্দিরের সঙ্গে। ৩৬ বছর পরে কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার শারদা মাতার (Maa Sharda) মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল। এ এক ঐতিহাসিক জয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে উপেক্ষা, আক্রমণ এবং দশকের পর দশক ধরে সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দুদেরকে দমন করার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন হয় শারদা পীঠে। এই সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্ভগৃহে এই সময়ে প্রার্থনা চলে। অনেকে বলছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনার জবাব অবশেষে দেওয়া গেল।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ কুপওয়াড়ার শারদা পীঠ (Maa Sharda)?

    ঠিক ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার এই মন্দির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে সেই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে শারদা পীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হত কুপওয়ারার টিটওয়াল গ্রাম থেকেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় টিটওয়ালের শারদা মন্দির (Maa Sharda) ও গুরুদ্বার। দেশভাগের পর থেকেই ওই এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল পন্ডিত সমাজ। অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে হয় মন্দির উদ্বোধন। এবার হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন মন্দির

    প্রসঙ্গত, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় অবস্থান করছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদা পীঠ ও শারদা (Maa Sharda) বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার (Jammu and Kashmir) থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে হামলা করে ভেঙে দেয় বিদেশী আক্রমণকারীরা। ঐতিহাসিকরা জানাচ্ছেন, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা শারদী পীঠকে। পরবর্তীকালে ১৯ শতকে মহারাজা গুলাব সিং মন্দিরকে আবার সংস্কার করেন। একদা এই মন্দির ছিল জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। জানা যায়, এর গ্রন্থাগার ছিল খুবই বিশ্ব বিখ্যাত।

    ১৯৪৮ সালে পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই মন্দিরে

    এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা এখানে আসতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানেই সতীর ডান হাত পড়েছিল। তবে ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তাঁদের তীর্থস্থলে।প্রসঙ্গত, সারদা পীঠে ভারতীয় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ২০০৪ সাল থেকেই সরব ‘সেভ সারদা কমিটি’।

    ২০২৩ সালে কুপওয়াড়ার মন্দির উদ্বোধন করে কী বলেছিলেন শাহ

    ২০২৩ সালে মন্দির উদ্বোধনের পরে অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, ‘‘৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’ কর্তারপুরের ধাঁচেই সীমান্তের ও-পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থার দাবিও উঠেছে বারবার।কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর  এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

  • Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়া জেলায় (Kathua district) জঙ্গিদমন অভিযানে (anti-terrorist action) তিন পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani militant) নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিন পুলিশ কর্মীরও। এছাড়া পুলিশের একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার-সহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় স্থানীয় তরুণেরাও। তারা অস্ত্রসহ সংঘর্ষে রসদ সরবরাহ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করে।

    গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে আশ্রয়

    কাঠুয়ার ঘতি যুথানা এলাকার জাখোলা গ্রামে গত রবিবার থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর (Jammu Kashmir Encounter) লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর জঙ্গিরা গত শনিবার সেখানে ঢুকে পড়ে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নেয় তারা। জঙ্গলের ভিতরে থাকা গ্রামের মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীকে খবর দিলে বড় আকারে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার আগে জঙ্গিরা গ্রামবাসীদের কাছে আশ্রয় চেয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গ্রাম সানিয়ালের কাছের এক জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় এক দম্পতি প্রথম সশস্ত্র জঙ্গিদের দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ-ছয় জন জঙ্গির একটি দল ওই জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছিল। তাদের দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে। তার পরি শুরু হয় অভিযান।

    পাঁচ দিন ধরে অভিযান

    গত পাঁচ দিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir Encounter) পুলিশের ডিআইজি নলিন প্রভাতের নেতৃত্বে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী হিরানগর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের এই দলটি একেবারে নতুন বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার হীরানগর সেক্টরে জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার ওই হীরানগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাজবাগের ঘতি যুথানার জাখোল গ্রামে নতুন করে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। তাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, রবিবার যাঁরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন, তাঁরাই বৃহস্পতিবার আবার হামলা চালিয়েছেন।

    পাক জঙ্গিদের খোঁজে শুক্রবারও অভিযান

     হীরানগর এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, এনএসজি। শুক্রবার সকাল (Kathua Gunfight) থেকে ফের অভিযান শুরু হবে বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে জইশ-ই মহম্মদ পরিচালিত একটি সংগঠন সংঘর্ষে তাদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর নিহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন সিলেকশন গ্রেড কনস্টেবল এবং বাকি দু’জন সীমান্তের এসডিপিও-র নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

LinkedIn
Share