Tag: Jammu Kashmir

Jammu Kashmir

  • Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির প্রস্তুতি উপলক্ষে এবার শোভাযাত্রা বের হল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) । এদিন পুঞ্চে তিরঙ্গা (Tiranga) পতাকা নিয়ে ওই শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় স্থানীয় একটি স্কুলের পড়ুয়ারা। এদিকে, বান্দিপোরার একটি স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) গাইল পড়ুয়ারা।

    রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি। এদিন ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশীদার হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি। 


    ckquote class=”twitter-tweet”>

    #AzadiKaAmritMahatosav

    Some glimpses of preparatory activities in various schools of the District as a part of #HarGharTiranga Campaign and #IndependenceDay2022 Celebrations.@diprjk @OfficeOfLGJandK @HMOIndia @dcbandipora @ddnewsSrinagar pic.twitter.com/aGHpktvZRz

    — Information & PR, Bandipora (@dicbandipora) August 4, 2022

    [

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভূস্বর্গের কয়েকটি স্কুল। এদিন জম্মুর পুঞ্চে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা হাতে শোভাযাত্রা করে স্কুলের পড়ুয়ারা। আজ, ৫ অগাস্ট। ঠিক তিন বছর আগে এই দিনেই ভূস্বর্গ থেকে রদ করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। সেই দিনেই স্কুল পড়ুয়াদের এই মিছিল দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশবাসীর। এদিন জাতীয় সঙ্গীত গাইল বান্দিপোরার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা।

    ৩৭০ ধারা রদের পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গে নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। এক সময় যে উপত্যকা নিত্য হত রক্তস্নাত, সেখানে এখন বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া প্রকৃতই শান্তি ফিরেছে। সেই কারণেই স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি উপলক্ষে এই দিনটিকেই ওই স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে বাজতে চলেছে নির্বাচনের (Election) ঘণ্টা? অন্তত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের (Nityanand Rai) বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলল। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন জম্মু-কাশ্মীরেও ভোট করানোর পক্ষপাতী বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। এর পাশাপাশি রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কমিশনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই উপত্যকায় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করেছে। আগে এই রাজ্যের বিধানসভা আসন ছিল ১০৭টি। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪টি। এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য দুটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি উপজাতিদের জন্যও এবার নটি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোট করানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজও। কিছুদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হতে পারে চলতি বছরের শেষের দিকে।তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে উপত্যকায় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    সরকারের তরফে চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা বলা হলেও, তা সম্ভব নয় বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশনের একাংশ। তাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সংশোধিত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ভোট ঘোষণা করা হয়। তবে ওই সময় জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল ঠান্ডার কাল। ঠান্ডার এই পর্ব চলতে থাকে ৪০ দিন। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় চিল্লাই কলন। তাই ঠান্ডার এই পর্ব শেষ না হলে ভূস্বর্গে ভোট করানো সম্ভব নয় বলেই মনে করেন নির্বাচন কমিশনের ওই আধিকারিকরা। তবে তীব্র ঠান্ডার ওই পর্ব শেষ হলে নতুন বছরের গোড়ার দিকে ভোট করানো হতে পারে বলেই মনে করেন তাঁরা।

     

  • Kashmir killing: এখনও হয়নি বিয়ের অ্যালবাম! ছবিটাই সঙ্গী ছিল নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    Kashmir killing: এখনও হয়নি বিয়ের অ্যালবাম! ছবিটাই সঙ্গী ছিল নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও আসেনি বিয়ের অ্যালবাম। সবে তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হল স্বামী। এখন শুধু স্বামীর ছবিটাই সঙ্গী কাশ্মীরে নিহত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমারের সদ্যবিধবা স্ত্রীর।

    সবে তিন মাস হল বিয়ে হয়েছিল। তার মধ্যেই সব শেষ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেন ২৯ বছরের বিজয়। রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা বিজয় কুমার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই Elaqahi Dehati Bank-এর ম্যানেজার হিসাবে কুলগাম শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহ-মালিকানাধীন ব্যাঙ্কের কোকারনাগ শাখায় কর্মরত ছিলেন। উপত্যকায় প্রতিদিন অশান্তি বাড়ছে। আতঙ্কের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অন্যত্র চাকরির চেষ্টাও করছিলেন। আগামী মাসের ১০-১৫ তারিখ নাগাদ রাজস্থানের বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের লিখন তখনও জানা ছিল না।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    বিজয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার। বাবা ওম প্রকাশ বেনিওয়াল স্কুলশিক্ষক। তিনি জানান, রাজস্থান বা তার আশেপাশে অন্য জেলায় ব্যাঙ্কে চাকরির খোঁজ করছিল বিজয়। তিনি বলেন, “বিজয় চলে আসতে চাইছিল। আমরাও ফিরে আসতে বলছিলাম। সম্প্রতি এখানকার একটি স্কুলে চাকরি নিশ্চিত হয়েছিল। জুলাইয়ের ১০-১৫ তারিখ ফেরার কথা বলেছিল। তা-আর হল না।” শুক্রবার বিজয়ের দেহ আসে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। বিজয়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। 

    সাম্প্রতিককালে, বারবার জঙ্গিদের হাতে নিহত হতে হয়েছে কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের (Hindus Targeted in Kashmir)। তাই বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। সরকার ওখানকার পরিবেশ ঠিক করুক দাবি বিজয়ের বাবা বেনিওয়ালের। তিনি বলেন, “সকালে খেতে বসেছিলাম। তখনই খবরটা আসে। টিভি খবরে প্রথম ঘটনার কথা শুনি। বিশ্বাস করতে পারিনি। থানায় গিয়ে এ বিষয়ে নিশ্চিত হই। এই তো বিয়ে হল ছেলেটার। এখনও অ্যালবামই আসেনি।” গলা ধরে আসে সদ্য সন্তানহারা বাবার।

  • Yasin Malik: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    Yasin Malik: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (jklf) প্রধান ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে পাতিয়ালার এনআইএ-র (nia) বিশেষ আদালত। সন্ত্রাসবাদে অর্থ (terror funding) সাহায্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলেন (separatist movement) মদত জোগানোর দায়ে চলতি মাসের ১৯ তারিখে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ইয়াসিন মালিককে। বুধবার শোনানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। বিশেষ এনআইএ বিচারক প্রবীণ সিংয়ের আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। এই প্রবীণ সিং-ই বছর ছাপান্নর ইয়াসিনকে পাকাপাকিভাবে গারদে পাঠালেন। ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় বিচারক কী কী মন্তব্য করেছিলেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    আরও পড়ুন : যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

    বিচারক প্রবীণ সিং বলেন, দোষী ব্যক্তি ১৯৯৪ সালে বন্দুক ছেড়ে দিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তার আগে সংঘটিত হিংসার জন্য কখনওই সে কোনও অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। এখনও সে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। দোষী ব্যক্তি গান্ধীর অহিংস নীতি অনুসরণ করছে বলে আদালতে দাবি করেছে। বিচারক বলেন, সে মাহাত্মা গান্ধীর নাম মুখে আনতে পারে না। কারণ চৌরিচৌরার ঘটনার পর গান্ধীজি সহিংস আন্দোলনের পথ ছেড়ে অহিংস আন্দোলেনের রাস্তায় হাঁটেন। ইয়াসিন সে পথে হাঁটেনি। বিচারকের মতে, ইয়াসিনের সংঘটিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির। তিনি বলেন, সংঘটিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির ছিল। ভারতের ধারণার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করার এবং ভারত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে জোরপূর্বক আলাদা করার উদ্দেশ্যও তার ছিল।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    বিচারক বলেন, ইয়াসিনের অপরাধের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এগুলি সংঘটিত হয়েছিল বিদেশি শক্তি ও মনোনীত সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যে। সব শেষে সিদ্ধান্তে আসেন বিচারক। বলেন, অপরাধ সংঘটনের পদ্ধতি ও ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের কারণে এগুলি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এদিন আদালত মালিককে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে। এদিন মালিকের সাজার খবরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভূস্বর্গের একাংশে। নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথরও। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তারও।   

     

  • Yasin Malik: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    Yasin Malik: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) যে দণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত, তাতে বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়েও শাস্তি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসার রবি খান্নার (Ravi Khanna) স্ত্রী নির্মলা খান্না (Nirmala Khanna)।

    বুধবার দিল্লির এনআইএ (NIA) আদালত ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (life sentence) নির্দেশ দেওয়ার পর প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসার রবি খান্নার স্ত্রী জানান, তিনি মনে করেছিলেন ইয়াসিন মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু যাবজ্জীবনে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তিনি একেবারেই খুশি নন। তিনি মনে করেন, তাঁর স্বামী হত্যা করার একমাত্র শাস্তি হতে পারে ফাঁসি।

    জঙ্গিদের অর্থ সাহায্যের (Terror Funding Case) অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইয়াসিন মালিককে।  তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। আদালত ইয়াসিনকে দুটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। মামলার রায় ঘোষণার পরই মুখ খোলেন বায়ুসেনার প্রয়াত অফিসারের স্ত্রী। নির্মলা বলেন, “আমি এত বছর ধরে অপেক্ষা করে রয়েছি। রক্তের বদলে রক্ত, মৃত্যুর বদলে মৃত্যু। কিন্তু আদালত ইয়াসিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল। ওর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া উচিত ছিল।”

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালের ২৫ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) এর নেতৃত্বে হত্যা করা হয় বায়ুসেনা অফিসার রবি খান্নাকে। আদালত ও ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্মলা এদিন বলেন, “যাঁরা সাজা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং ন্যায়-নীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তবে আমি খুশি হতাম ইয়াসিন মৃত্যুদণ্ড পেলে।” ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ড প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান নির্মলা। 

    আরও পড়ুন: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্মলা বলেন, “আগের সরকার আমার স্বামীকে শহিদ তকমা দেয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁরা ইয়াসিন মালিককে মহাত্মা গান্ধীর মতো করে মান-সম্মান দিয়ে রেখেছিল। গত ৩২ বছর ধরে ইয়াসিন মুক্ত হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। যা আমাকে খুব কষ্ট দিত।” বলেও অভিযোগ করেন নির্মলা খান্না। ইয়াসিন মালিক আসলে পাকিস্তানেরই চর, তাই তার সাজাতে পাক সরকার খুব দুঃখ পাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন নির্মলা। 

  • Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    Yasin Malik: ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। সন্ত্রাসবাদে (terrorism) অর্থ দিয়ে সাহায্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে (separatist movement) মদত দেওয়ার দায়ে তাকে ওই সাজা দিয়েছে পাতিয়ালার বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। ১৯ মে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মালিককে। সাজা ঘোষণা হয় বুধবার। ইয়াসিনের কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনে কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    ভূস্বর্গে অশান্তির সূত্রপাত নয়ের দশকে। একের পর এক জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর (Kashmir)। চরম অত্যাচার করে, নৃশংসভাবে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় কাশ্মীর জুড়ে। তার পরেই প্রাণ বাঁচাতে উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোকজন। শিখ সহ উপত্যকায় অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।

    অশান্ত কাশ্মীরকে শান্ত করতে কোমর কষে নামে নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে (2019 General elections) দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মতো কাশ্মীর থেকে লুপ্ত হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পরেই ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে অশান্ত কাশ্মীর।

    কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি টানতে বিজেপি সরকারের উদ্যোগে সাফল্যও মেলে। উপত্যকায় বন্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া (stone pelting)। হ্রাস পায় জঙ্গি কার্যকলাপও (terrorist activities)। গত বছর বিচ্ছিন্নবাদী নেতা আশরাফ সেহরাই এবং সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যু হয়। তার পর বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলনে ভাঁটা পড়ে। আরও এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে ঠাঁই হওয়ায়, উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে অক্সিজেন জোগানোর আর কেউ রইল না বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    এদিন মালিককে যখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, তখন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কাশ্মীরের মইসুমা এলাকায়, যেখানে ইয়াসিনের পৈত্রিক ভিটে। সাজা ঘোষণার সময় কিছুক্ষণের জন্য এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। প্রতিবেশী মহিলারা মালিকের বাড়িতে জড়ো হন। প্রতিবাদ স্বরূপ মুখ ঢেকে ফেলেন স্কার্ফ দিয়ে। কাশ্মীরি গান গেয়ে শোক প্রকাশও করতে দেখা যায় তাঁদের। 

     

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে শান্তি বজায় রাখতে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। তার পরেই আঁটসাঁট করা হয়েছে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    এদিন মালিককে যখন সাজা দেওয়া হচ্ছিল, তখনই উপত্যকায় বৈঠকে বসেন জম্মু-কাশ্মীর (jammu  kashmir) প্রশাসনের শীর্ষকতার্রা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং সেনাবাহিনীর (Indian Army) কর্তারা।

    উপত্যকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলার সমস্যা পর্যালোচনা করতেই ওই বৈঠক হয়। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। মালিকের সাজার আঁচে যাতে উপত্যকায় অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য কাশ্মীরের একাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    এদিন শ্রীনগরের (srinagar) একটি বড় অংশের ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন‍্‍ধ পালন করেন। তবে এর বাইরে গোটা উপত্যকা মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই ছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানীর ভিতরে ও বাইরে এদিন যথারীতি চলেছে সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন।

    মালিকের সাজা ঘোষণার সময় তার পৈত্রিক ভিটে মাইসুমা এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন। আজাদির পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের একটি দলের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা যায় তাদের। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এই ঘটনায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মাইসুমা ও তার আশপাশ এলাকায় লোকজনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য পুলিশ ও সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    এদিকে, মালিকের সাজা ঘোষণায় জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (Gupkar) এবং জাতীয় বাম দলগুলির সহযোগীদের মতে, মালিককে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দুর্ভাগ্যজনক। শান্তি উদ্যোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশনের (PAGD) প্রধান মুখপাত্র এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারগামি বলেন, এনআইএ আদালত রায় দিয়েছে, কিন্তু ন্যায়বিচার করেনি। বিজেপি এবং কর্পোরেট মিডিয়া যে জয়জয়কার প্রদর্শন করছে, তার উল্টোটা প্রমাণিত হতে বাধ্য।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিনকে আটকে কাশ্মীরের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না…ট্যুইট আফ্রিদির

    মালিকের সাজার নিন্দা করেছে মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের (Hurriyat conference) জোটও। তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (ইয়াসিন মালিকের দল) ১৯৯৪ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

    অবশ্য এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে না, বিশেষ করে মালিকের দ্বারা নির্যাতিতদের। দলের নেতা নির্মল সিং এবং কাবিন্দর গুপ্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, জেকেএলএফের (JKLF) নেতাকর্মীরা যাঁদের আত্মীয়দের খুন করেছিল, তাঁরা আশা করেছিলেন যে আদলত মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেবে।  

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের মদত এবং অর্থসাহায্য মামলায় (Terror funding) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। এই ঘটনার আঁচ পড়ল ভারত-পাক  ক্রিকেট বৃত্তেও। ইয়াসিন মালিককে নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (Afridi) এবং ভারতের অমিত মিশ্র (Amit Mishra)।

    ঘটনার সূত্রপাত আফ্রিদির একটি ট্যুইট থেকে। আফ্রিদি ট্যুইটে লেখেন “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মতামতকে চেপে রাখতে চেষ্টা করে ভারত। ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আটকে রাখা যাবে না।” এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরি নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    এই ট্যুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় লেগস্পিনার অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, “ইয়াসিন মালিক আদালতে নিজেই সব দোষ স্বীকার করেছেন। সবকিছু তোমার বয়সের (Shahid Afridi Age) মতো বিভ্রান্তিকর নয়।” প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের জন্মদিনেই আফ্রিদি জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৪৪ বছর। কিন্তু আইসিসির রেকর্ড অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির বয়স ৪১ বছর। আবার তাঁর আত্মজীবনী অনুযায়ী, আফ্রিদির বয়স ৪৬ বছর। সেই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। অমিতের ট্যুইটে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক। 

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (Terror activities), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against nation), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF)  নেতা ইয়াসিনের। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, ইয়াসিন তা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। গত ১০ মে আদালতে দোষ কবুল করেছিলেন ইয়াসিন নিজেই। 

  • Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম সীমান্তাঞ্চল বাদ দিয়ে জম্মুর লোকালয়ে আসছেন মোদী। জম্মু থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সাম্বা জেলার পালি গ্রামে তাঁর সভা করার কথা। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও নৌসেরা সেক্টরে  সেনা ছাউনিতে দীপাবলি পালন করেন মোদী। তবে, এই প্রথম সেনা ছাউনির বাইরে কাশ্মীরিদের মাঝে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    তাঁর এই সফরের ঠিক দু’দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। মোদীর সফর বন্ধ করা বা  হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্যই জঙ্গিরা ক্রমাগত জম্মুতে হামলার ছক কষছিল বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই মতো জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে এক জন সিআইএসএফ কর্মী নিহত এবং আরও চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।

    সুঞ্জোয়ান এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে সেনা জম্মু শহরের সুঞ্জোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাহিনীর প্রত্যুত্তরে খতম হয়েছে ২ জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও স্যাট ফোন।

    জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছেন।  দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলেছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ ইউসুফ দার ওরফে কান্ত্রু সহ ৪ জঙ্গি। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায় বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বদগাম জেলার সীমানায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রামে প্রায় এক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। ইউসুফের সঙ্গেই গুলিতে মারা পড়েছে আরও তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনায় একজন অফিসার সহ চার সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

    বিজয় বলেন, ‘‘ইউসুফের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে খুনের অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।’’ এর মধ্যে রয়েছে গত মার্চে বদগামে এসপিও (স্পেশাল পুলিশ অফিসার) মহম্মদ ইশফাক দার এবং তাঁর ভাই ওমরকে খুনের ঘটনা। গত মাসেই মহম্মদ সামির মোল্লা নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান এবং তাগামুল মহিদিন নামে বদগামের এক গ্রামবাসীকেও ইউসুফ খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল ওই লস্কর কমান্ডারের নাম। 

LinkedIn
Share