Tag: Jammu Kashmir

Jammu Kashmir

  • India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে পৌঁছেছে। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) সহ ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে।

    সিমলা চুক্তি কী

    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি (India-Pak Simla Agreement) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি মূলত একটি শান্তিচুক্তি, যার আওতায় নিয়ন্ত্রণরেখার দুই তরফে শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দুই দেশ। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই, হিমাচলপ্রদেশের সিমলায় ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর ভুট্টোর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে গণ্য হয় এই চুক্তি। এর ফলে যুদ্ধ ভুলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার পাশাপাশি, সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি টিকিয়ে রাখতে সম্মত হয় দুই দেশ।

    চুক্তিতে কী ছিল

    ● দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    ● যাবতীয় সংঘাত, মতানৈক্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে মেটাবে দুই দেশ, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

    ● কোনও পক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাবে না, কোনও সংগঠন বা গোষ্ঠী শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করতে চাইলে, তা রুখবে।

    ● প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান, পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমিকতাকে সম্মান জানাবে দুই দেশ। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    ● রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে কেউ কাউকে হুমকি দেবে না, কেউ কারও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার উপর বলপ্রয়োগ করবে না।

    ● ওই চুক্তি মেনে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যে ১৩০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা ভারত দখল করেছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ টুরটুক এবং চালুঙ্কা ধরে রাখে ভারত।

    ● আর এই সিমলা চুক্তির পরই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, যার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত।

    চুক্তির পরবর্তী প্রভাব 

    চুক্তিটি (India-Pak Simla Agreement) একটি কূটনৈতিক কাঠামো তৈরি করলেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরস্থায়ী শান্তি দেখেনি। সিয়াচেন সংঘর্ষ (১৯৮৪), কারগিল যুদ্ধ (১৯৯৯) এবং নিয়মিত সীমান্ত উত্তেজনা প্রমাণ করে যে, সিমলা চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত আজও সিমলা চুক্তিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। পাকিস্তান কখনো কখনো কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায়, যা এই চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি করে।

    চুক্তির স্থগিতকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    পাকিস্তানের তরফ থেকে সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে একটি বড় ধাক্কা। এটি একদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে থাকা একটি ঐতিহাসিক চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও চুক্তিটি অনেক সময়েই উপেক্ষিত হয়েছে, তবু এটি দুই দেশের সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গণ্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ ও উপযোগিতা নিয়ে ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে।

  • Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রতিবাদে পাক সরকারকে প্রচারমাধ্যমও বয়কট করল নয়াদিল্লি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে আর দেখা যাবে না পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল। অ্যাকাউন্টটি ব্লক করার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে কোনও দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে।

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশ

    পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। বৃহস্পতিবার থেকে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ করেছে ওই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে নারকীয় হত্যালীলা (Pahalgam Terror Attack) চলেছে, তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এর পাশাপাশি বাতিল হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না।

    পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক আঘাত

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রত্যাঘাতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিকভাবে আঘাত এনেছে নয়াদিল্লি। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তও। আর এইসবের পর পাকিস্তানের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকসেসও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিককে সাদ আহমেদ ওয়ারিচকে তলব করেছে ভারত। পার্সোনা নন গ্রাটা অর্থাৎ তিনি অবাঞ্ছিত বলে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি গ্রাহক রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রহণযোগ্য ও অবাঞ্চিত ঘোষিত হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি অবাঞ্চিত বলে ঘোষিত হলেই ওই দেশ থেকে ‘প্রত্যাহারযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবে। দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মরত সাপোর্ট স্টাফদেরও সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিক্রম মিশ্রি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১ মে ২০২৫ থেকে দুই দেশের হাই কমিশনের মোট জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে। ভারতের এই পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই পাকিস্তানের প্রতি একটি শক্ত বার্তা, যে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের বিরুদ্ধে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না।

     

     

     

     

     

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের (Arab World) বিভিন্ন দেশ। মঙ্গলবারই দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই দুপুরে পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গি হামলায় এক নেপালি-সহ মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

    কুয়েতের প্রতিক্রিয়া (Pahalgam Terror Attack)

    কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স, সাবাহ খালেদ আল হামাদ আল সাবাহ পহেলগাঁওয়ে মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য বুধবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন আহতদের। সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রকও এই হামলার নিন্দা করে জারি করেছে বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, “সব ধরনের হিংসা, চরমপন্থা এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেটে পরিণত করার ক্ষেত্রে সৌদি আরব তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করে।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ভুক্তভোগীদের পরিবার ও ভারত প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে।”

    সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া

    প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যেখানে নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যে কোনও কারণেই হোক না কেন, কোনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম বা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং সকল ধরণের সহিংস চরমপন্থা মানবতার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে রয়েছে (Pahalgam Terror Attack)।”

    জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে সকল ধরণের হিংসা ও সন্ত্রাসবাদকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাখ্যান করছে (Arab World)।” সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ভারত সরকার ও জনগণের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে (Pahalgam Terror Attack)।

  • Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন অন্তত ২৮ জন পর্যটক (Pahalgam Massacre)। এঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু। বেছে বেছে কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বী পর্যটকদেরই খুন করা হয়েছে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। জঙ্গিদের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ ঘোষণা বলে আখ্যা দিয়েছে ভিএইচপি (VHP)। তারা ভারত সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে।

    ভিএইচপির বক্তব্য (Pahalgam Massacre)

    ভিএইচপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “এই বর্বর ঘটনা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়, এটি পাক-মদতপুষ্ট ইসলামি জিহাদি শক্তির খোলাখুলি যুদ্ধ। নয়ের দশকে উপত্যকায় যে সন্ত্রাসের ছায়া নেমে এসেছিল, এটি তারই ভয়াবহ একটি স্মৃতিচারণ। কাশ্মীরে পুনরায় মাথা তোলার সাহস দেখানো ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে আমাদের মূলোৎপাটিত করতেই হবে।” পহেলগাঁওয়ের এই হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হামলাকারীরা পর্যটকদের প্যান্ট খুলিয়ে, কালমা পাঠ করতে বাধ্য করে এবং তাঁদের আইডি পরীক্ষা করে অমুসলিম নিশ্চিত হওয়া ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যা করে। জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিগত টার্গেটিং স্পষ্ট প্রমাণ করে যে হামলাটির পিছনে ধর্মীয় উসকানি কাজ করেছে।”

    টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড

    তিনি আরও বলেন, “এটি পাক-মদতপুষ্ট জিহাদি ও তাদের স্থানীয় স্লিপার সেলের পরিকল্পিত, টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড। তাদের অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট— উপত্যকা থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করা, নয়ের দশকের ভয়াবহতা ফের সৃষ্টি করা (Pahalgam Massacre)।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতা পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে রাজনৈতিক বক্তব্য ও পাকিস্তানি সামরিক বক্তব্য-সহ একটি ডিস্টার্বিং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি একজন ভারতীয় সংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উদাহরণ দেন। ওই সাংসদ কাশ্মীরে পর্যটন ও জমি কেনাকে ‘সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ওই সাংসদের বক্তব্যের সঙ্গে পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যকে যুক্ত করেছেন। পাক সেনা প্রধান সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘কাশ্মীরই একমাত্র অবশিষ্ট অ্যাজেন্ডা’। জৈনের অভিযোগ, এই যে মতাদর্শগত সমর্থন, এটাই পহেলগাঁওয়ে রক্তপাতের পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি বলেন, “এই পরিবেশ — ক্ষমতার করিডর থেকে পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর পর্যন্ত — এই কাজগুলিকে সম্ভব করছে। এখন দ্বিধাহীনচিত্তে এটিকে ধ্বংস করার সময় এসে গিয়েছে (VHP)।”

    জনরোষ চরম আকার নিতে পারে!

    সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুসলমানদের একাংশ। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনার পর তারা আর মুখ খোলেনি। ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছেন, সে প্রশ্ন তোলেন জৈন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা জাতীয় অস্থিরতা সৃষ্টি করেন, কিন্তু নিরীহ হিন্দু তীর্থযাত্রীদের হত্যার নিন্দা করতে তাঁরা এগিয়ে আসেন না? এই নির্বাচিত ক্ষোভ মেনে নেওয়া যায় না (Pahalgam Massacre)।” সরকার যদি দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনরোষ চরম আকার নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন জৈন। তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, এই ক্ষোভ আরও তীব্র হবে। সরকারের এখন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করার সময় এসেছে।”

    ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বিজেপি ও বজরং দল ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল করা এবং পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো। জৈন বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত যখন ভারতকে বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমাদের মাটিতে ধর্মীয় নির্মূলকরণ আমরা আর কখনও সহ্য করব না।”

    বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের সমস্ত বাজার, স্কুল-কলেজ, পরিবহণ পরিষেবা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উপত্যকার (VHP) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বাণিজ্যিক সংগঠনগুলি সর্বতোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে (Pahalgam Massacre)।

    মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বক্তব্য

    মুতাহিদা মজলিস উলেমার প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যে কেউ যদি একজন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করে, সে আসলে সম্পূর্ণ মানবজাতিকেই হত্যা করে। কাশ্মীরের রক্তাক্ত ইতিহাসে আর একটি হত্যাকাণ্ড। ইসলামে এই ধরনের নৃশংসতা ঘৃণ্য। আমরা জম্মু কাশ্মীরের জনগণের কাছে বন‍্‍ধ পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ করার আবেদন করছি।” পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতিও শোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সকল কাশ্মীরিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় নিহত (VHP) নিরীহ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বন‍্‍ধকে সমর্থন করেন। এটি কেবল কয়েকজনের ওপর আক্রমণ নয় – এটি আমাদের সকলের ওপর আক্রমণ (Pahalgam Massacre)।”

  • Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার পর্যটকদের ভিড়ে মিশেছিল জঙ্গিরা (Pakistan)। পরে স্বমূর্তি ধারণ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এদিন যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হিন্দু। বৈসরন এলাকার এই হত্যালীলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়াবহ অসামরিক হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী।

    হতাশার বহিঃপ্রকাশ! (Pahalgam Attack)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহেলগাঁওয়ে এই হামলা একটি বৃহত্তর ও আরও উদ্বেগজনক ধারার অংশ। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ হওয়ার পরে নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার। এর পরেই কৌশল বদলায় পাকিস্তান। তারা কাশ্মীর থেকে তাদের ফোকাস ঘোরায় শান্ত এবং হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর পার্বত্য জেলাগুলিতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন রাজৌরি, রেয়াসি এবং পুঞ্চের বাসিন্দারা। এই জায়গাগুলিকেই ফোকাস করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এভাবে তারা যেমন একদিকে ভারতের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ভারতের দুর্বলতাও খুঁজতে চেয়েছে। এসব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সুবিধাও নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশের নিরন্তর চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে পাক সেনা। সম্প্রতি জে সেক্টরে তারা এলওসি অতিক্রম করেছিল। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। পাক সেনাদের এহেন কাজকর্ম একাধিক ফ্রন্টে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের একটি পরীক্ষাও বটে।

    পাকিস্তানের মুখে চুনকালি

    উনিশ সালে (Pahalgam Attack) ভূস্বর্গ থেকে লুপ্ত করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের কাশ্মীরের ওপর থেকে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে থাকে। অথচ মোদি সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন থেকে কূটনৈতিক, সামরিক কিংবা বাকযুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঢের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মুখে পড়েছ চুনকালি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ছিল নির্বিকার। ওআইসি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েই খালাস। ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর কাশ্মীরে বয়ে গিয়েছে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। শান্তির ভূস্বর্গে ক্রমেই নামছিল পর্যটকদের ঢল। অর্থনীতি চাঙা হয়েছিল ভূস্বর্গের। অবাধে হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীরের রাশ গিয়েছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে। রাওয়ালপিন্ডি এক সময় যে স্বাভাবিকতার প্রতীকগুলিকে উপহাস করত, সেগুলিই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কাশ্মীরে। তাই স্থানীয় কাশ্মীরিদের খেপিয়ে তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে পাক সেনার।

    পাক সেনার ইন্ধন

    এহেন প্রেক্ষাপটে (Pahalgam Attack) ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ঘোষণা (Pakistan)। তিনি কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের জীবনরেখা’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিয়া আমলের পর থেকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি কোনও পাক রাজনীতিক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি কোনও কৌশলগত সংকেত নয়, বরং পাকিস্তানের গলায় হতাশার সুর স্পষ্ট, যে নিজের চোখের সামনে তার নিজের আদর্শিক পরিচয়ের মূলস্তম্ভকে হাতছাড়া হতে দেখছে। পাক সেনার বক্তব্য যতই জোরালো হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাওয়ালপিন্ডি আর কাশ্মীরের ডিসকোর্স নির্ধারণ করছে না, বরং পরোক্ষে তাদের পরাজয়েরই মোকাবিলা করছে।

    কেন প্ররোচনা?

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একের পর এক সমস্যায় যখন জর্জরিত পাকিস্তান, তখন পাক সেনার এহেন প্ররোচনা (কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক) অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। উপজাতীয় অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান তাদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখছে। বালোচ বিদ্রোহীরা সৈন্যদের আস্ত একটি ট্রেনকে পণবন্দি করেছিল। পড়শি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দৃশ্যতই দেশটি বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশের এই দুঃসময়ে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে মাতল কেন পাকিস্তান? এর (Pahalgam Attack) এক এবং একমাত্র উত্তর হল, দেশে যখনই ভয়ঙ্কর কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানিরা যাতে সরকার কিংবা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে না দেন, তাই ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে তাক করা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা, হামলা চালানো, প্রতিশোধের ঝুঁকি নেওয়া – এসবই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পাক সেনার পুরানো চাল। এদিক থেকে বিচার করলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলাও যুক্তিসঙ্গত হয়ে ওঠে। কারণ ‘ভারত-কার্ড’ খেলে দিয়ে পাক সেনা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আদতে দেশের অভ্যন্তরীণ (Pakistan) সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানোরই চেষ্টা করেছে (Pahalgam Attack)।

  • Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলাকে জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছে আরএসএস (RSS)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) এক বিবৃতিতে এই হামলায় প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

    কী বলছেন আরএসএস কর্তা (Dattatreya Hosabale)

    হোসাবলে তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার এই জঘন্য কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হৃদয়বিদারক। আমরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং এই হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এটি আমাদের জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর একটি আক্রমণ। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে তাদের মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এই সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা করতে হবে।” হোসাবলে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য পায় সরকারের উচিত তা নিশ্চিত করা। এই হামলার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিও যেন দেওয়া হয়।”

    ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’

    পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় জঙ্গিরা পর্যটকদের নিশানা করে, সেই বৈসরন উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। ফি বছর কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন ভূস্বর্গে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি (Dattatreya Hosabale) প্রক্সি গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল ৪ থেকে ৬ জন। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরি। বাকিরা পাকিস্তানের নাগরিক।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলাকে জঘন্য কাণ্ড বলে নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই হামলার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “পাকিস্তানিরা যেন তাদের সন্তানদের (RSS) হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে চরম পার্থক্য রয়েছে, তা শেখান (Dattatreya Hosabale)।”

  • Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের উপর ছোট্ট সবুজ স্বপ্নিল উপত্যকা বৈসরনে তখন প্রায় জনা চল্লিশেক পর্যটকের ভিড়৷ হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল সশস্ত্র জঙ্গিরা ৷ তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র৷ সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে তাঁদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে নাম জিজ্ঞাসা হয় করা হয় পর্যটকদের। বলা হয় ‘কালমা’ পড়তে। না পড়তে পারলেই নিশ্চিত করা হয় হিন্দুত্ব। চলে গুলি। এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক৷ আহতদের কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন ৷ কেউ বা আতঙ্কে কথাই বলতে পারছেন না! কারও রক্তে ভেজা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের উপর ৷ মঙ্গলবার এমনই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) জেলার বৈসরন উপত্যকা ৷

    নিশানায় হিন্দু পর্যটকরা

    কাশ্মীরের (Kashmir Terrorist Attack) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। বৈসরণে যে পৈশাচিক হামলা চালায় জঙ্গিরা, প্রতক্ষদর্শীদের মুখে তার বিবরণ শুনে মানুষ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। বৈসরণে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালায়, সেখানে নাম শুনে, পরিচয় পত্র দেখে তবেই পর্যটকদের (Kashmir Tourist) মারা হয়েছে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। নাম জিজ্ঞেস করে, যাঁরা মুসলিম নন, সেই সমস্ত পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তাই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক তরুণীকে। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তবেই গুলি করার কথা বলে জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে যেখানে এক তরুণী হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলা হলে ওই তরুণীকে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মৃতদেহ পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। জঙ্গিরা নাম জিজ্ঞাসা করে, পরিচয় পত্র দেখে ইচ্ছে করে তাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে দেয় বলে জানান ওই তরুণী।

    ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো

    ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Pahalgam Terror Attack) এক মহিলা বলেন, “আমরা ভেলপুরি খাচ্ছিলাম, তখনই ওরা এসে আমার স্বামীকে গুলি করে। একজন বলে উঠল, ‘এটা মুসলিম নয়’ – তারপরই ওকে গুলি করে মেরে ফেলল।” এক প্রতক্ষ্যদর্শীর কথায়, সন্ত্রাসীরা মানুষের ধর্ম নিশ্চিত করতে তাদের ‘কালমা’ পড়তে বলে – ইসলাম ধর্মে কালমা হলো ইমানের ঘোষণা। যারা এটি পড়তে পারেননি, তাদের অমুসলিম মনে করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গিরা লোকজনকে বিবস্ত্র করে ‘খৎনা’ আছে কি না তা পরীক্ষা করে, এবং যাদের মধ্যে খৎনা পাওয়া যায়নি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তাই প্রথমে তাদের বোঝা যায়নি, বলেও জানান পর্যটকরা। কাশ্মীরে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩ জন-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রাণ গিয়েছে হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন ।

    ‘মোদিকে গিয়ে বোলো

    ফিরে এল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)-এর স্মৃতি। ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি সমগ্র কাশ্মীরে (Kashmir) যে পাঁচ হাজার হিন্দু পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। এখানে দেখা যায় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেহাদিদের হিংস্র স্লোগান “কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরি মুসলমানদের, এখানে থাকতে হলে আজাদিকে সমর্থন করো, নইলে কাশ্মীর হবে হিন্দু পুরুষহীন, শুধু হিন্দু মহিলারা থাকবেন।” এদিনও যেন তাই হল। জম্মু-কাশ্মীরে কর্নাটক থেকে সপরিবারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাও। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে পল্লবী বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’ পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদিকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) গিয়ে বোলো।’’

  • Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরী পণ্ডিতোঁ, কাশ্মীর ছোড়ো”  ভূস্বর্গ কাশ্মীরে সন্ত্রাসের একটাই ধর্ম, সন্ত্রাসীদের একটাই ধর্ম। ইসলামিক সন্ত্রাসীদের একটাই স্বর “জেহাদি হও, না হয় মরো, নইলে কাশ্মীর ছাড়ো।” কখনও এলোপাথাড়ি গুলি, কখনও গ্রেনেড, আবার কখনও গাড়িবোমা! শুধু পহেলগাঁও নয়, গত ২৫ বছরে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। মঙ্গলবার ফের এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack)। যেখানে সবুজে ঘেরা বৈসরণ উপত্যকায় সাধারণ পর্যটকদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বেছে বেছে নিশানা করা হল নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    গত সিকি শতকে বারবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ

    কাশ্মীর (Jammu Kashmir) উপত্যকায় বারবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু তথা অমুসলিমরা। সাধারণ মানুষ, তীর্থযাত্রী, নিরাপত্তা কর্মী, শ্রমিক—সবাইকে একত্রে ক্ষতবিক্ষত করেছে ইসলামিক জঙ্গিরা। গত দুই দশকের নৃশংস হামলাগুলো প্রমাণ করে, এই সহিংসতার প্রকৃতি নিছক নিষ্ঠুরতা, ভয় দেখানো, আতঙ্ক সৃষ্টি।

    শিখদের উপর হামলা

    ২০০০ সালের ২১ মার্চ, অনন্তনাগের ছত্তিসিংপোড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘু শিখদের উপর। মারা যান ৩৬ জন মানুষ। ওই বছরের অগাস্টে নুনওয়ান বেসক্যাম্পের কাছে হামলা হয়। ঘটনায় ২৪ জন অমরনাথ তীর্থযাত্রী সহ মোট ৩২ জন মারা যান।

    বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলা

    ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) রাজ্য বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান ৩৬ জন, যার মধ্যে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী এবং নিরীহ সাধারণ নাগরিক। রাজনৈতিক পরিকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দুকে লক্ষ্য করে এই হামলা ছিল নজিরবিহীন। ওই বছরই অনন্তনাগের শেশনাগ বেসক্যাম্পে ফের অমরনাথ যাত্রীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবার প্রাণ হারান ১৩জন।

    অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা

    এর ঠিক এক বছর পরে, ২০০২ সালে, চন্দনওয়ারি বেস ক্যাম্পে অমরনাথ যাত্রার সময় এক জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১১ জন তীর্থযাত্রী। ধর্মীয় আস্থার জায়গাকেও রেহাই দেয়নি জঙ্গিরা। ২০০২ সালেরই ২৩ নভেম্বর, দক্ষিণ কাশ্মীরের লোয়ার মুন্ডায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ১৯ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন নিরাপত্তা কর্মী, ৩ জন নারী ও ২ জন শিশু।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা

    ২০০৩ সালের মার্চ মাসে পুলওয়ামার নন্দিমার্গ গ্রামে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বর্বর হামলায় নিহত হন ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ২ জন শিশু ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের উপত্যকা ছাড়ার প্রক্রিয়াকে আরও গতি দেয়।

    পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে হামলা

    ২০০৫ সালের ১৩ জুন পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বিস্ফোরিত হলে প্রাণ যায় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ২ জন স্কুল পড়ুয়া ও ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন ১০০-র বেশি মানুষ।

    পর্যটক বোঝাই বাসে হামলা

    ২০০৬ সালের ২৬ মে, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জাকুরার বাটাপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীবাদীরা একটি পর্যটক বোঝাই বাসে গ্রেনেড ছুড়লে চার জন পর্যটক নিহত এবং ছ’জন আহত হয়েছিলেন। নিহতেরা ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে, সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরেরই ১১ জুলাই শ্রীনগরেরই লালচকে পর্যটক বোঝাই বাসে ফের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক জন। সে দিন শ্রীনগরের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি হামলায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৬ সালেরই জুনে কুলগামে ৯ জন বিহারী ও নেপালি শ্রমিককে হত্যা করে জঙ্গিরা, স্পষ্ট করে দেয়, এই সন্ত্রাস কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সমাজ-অর্থনীতিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা।

    মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ

    ২০১৭ সালের ১০ জুলাই, কুলগামে ফের অমরনাথ যাত্রার বাসে হামলা হয়। নিহত হন ৮ জন তীর্থযাত্রী। দক্ষিণ কাশ্মীরের বোয়েতাং অঞ্চলে ঘটে এই ঘটনা। বছর গড়ালেও হুমকি কাটেনি। বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা খুন হয়েছেন হামেশাই। অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী বা অন্যান্য ধর্মস্থানে আগত পুণ্যার্থীরাও বার বার হামলার শিকার হয়েছেন। প্রায় দু’দশকের ব্যবধানে কাশ্মীর উপত্যকার ফের মঙ্গলবার এত বড় হামলার (Pahalgam Terror Attack) শিকার হলেন পর্যটকেরা। এই ধারাবাহিক হামলাগুলোর দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়, সন্ত্রাসবাদের কোনও মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ। ধর্মের নামে যারা হত্যা চালায়, তারা মানবতা থেকেই বিচ্যুত। তারা কাশ্মীরের ভালো চায় না। কাশ্মীরীদের রুজি-রুটি পর্যটন সেখানেই ধাক্কা দিল জঙ্গিরা। আসলে সন্ত্রাসের লক্ষ্যই হল জন্নত-এ-কাশ্মীরকে জাহান্নামে পরিণত করা।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

LinkedIn
Share