Tag: Karnataka

Karnataka

  • Distorted Kashmir Map: বেলগাভির কংগ্রেস বৈঠকে ভারত-ভূখণ্ডের বিকৃত মানচিত্র, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির 

    Distorted Kashmir Map: বেলগাভির কংগ্রেস বৈঠকে ভারত-ভূখণ্ডের বিকৃত মানচিত্র, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় অধিবেশনে চোখে পড়ল ভারতের বিকৃত মানচিত্র (Distorted Kashmir Map)। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের বেলগাভিতে কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির দু’দিনের বৈঠক শুরুর ঠিক আগে এমনই অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে কর্নাটকের বেলগাভিতে ভারতের মানচিত্র আঁকা যে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে, তাতে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ এবং ‘আকসাই চিন’ অনুপস্থিত।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কর্নাটক বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের অংশ’ এবং আকসাই চিনকে ‘চিনের অংশ’ দেখিয়ে কংগ্রেস ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীর দাবি, বিশেষ জনগোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের অংশ’ দেখিয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ১০০ বছর আগে, ১৯২৪ সালের ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধীর সভাপতিত্বে বেলগাভিতে কংগ্রেসের অধিবেশন বসেছিল। সেটিই ছিল গান্ধীর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের একমাত্র অধিবেশন। লোকসভা ভোটে হার এবং তার পরে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজতে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের বেলগাভিকে বেছে নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধীরা। আর সেখানেই এমন বিতর্ক।

    বিজেপি এই ঘটনাকে “লজ্জাজনক” আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, কংগ্রেস মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের সঙ্গে আঁতাত করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। বিজেপি নেতারা এও বলেন যে, কংগ্রেসের এমন কাজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীর অসন্মান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maoist Leader: কর্নাটকের জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিক্রম, ২০ বছর ধরে চলছিল খোঁজ

    Maoist Leader: কর্নাটকের জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিক্রম, ২০ বছর ধরে চলছিল খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়া। দিনের পর দিন তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। ২০ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল কর্নাটক পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মিলল সাফল্য। সোমবার কর্নাটকের (Karnataka) উদুপির কাছে কাবিনেল জঙ্গলে রাজ্যের মাওবাদী (Maoist Leader) দমন বাহিনীর (এএনএফ) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বিক্রমের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoist Leader)

    জানা গিয়েছে, উদুপি পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে, ৫ জন মাওবাদী (Maoist Leader) হেবরি তালুকের কাছে এক দোকানে জিনিসপত্র কিনছিলেন। তাদের আচরণ দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পুলিশে জানানো হয়। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় অ্যান্টি নকশাল ফোর্সের সঙ্গে। এর পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে কাবিনেল জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় নিহত ওই মাওবাদী বিক্রম গৌড়া। এতদিন তাঁর খোঁজে ছিল পুলিশ। যদিও প্রথমদিকে পুলিশ জানতে পারেনি বিক্রমই ওই জঙ্গলে লুকিয়েছিলেন। হামলার পর দেহ উদ্ধার হতেই পুলিশ তাঁকে সনাক্ত করে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, “রাজ্যে মাওবাদী (Maoist Leader) আন্দোলনের মুখ ছিলেন বিক্রম। কয়েক দশক ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মাওবাদীর অন্যতম মাথা ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরতে অভিযানে যেতেই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মাওবাদীরা। বাহিনীর পাল্টা জবাবে নিহত হন বিক্রম। মাওবাদী নেতা নিহত হলেও তাঁর সঙ্গীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজ চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত (Karnataka Lokayukta)। রবিবার, ১৮ নভেম্বর রাজ্যের ঠিকাদারদের অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি ডি. কেম্পান্না এবং সহ-সভাপতি আর অম্বিকাপথীর দায়ের করা ৪০ শতাংশ কমিশন (BJP) মামলায় আগের বাসবরাজ বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিল লোকায়ুক্ত। গত বছরই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ডি. কেম্পান্না এবং আর অম্বিকাপথী।

    কী বলছে বিজেপি? (Karnataka Lokayukta)

    সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা আর অশোক বলেন, “অভিযোগকারীরা কখনওই ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। অথচ  ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রই প্রয়োগ করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “লোকায়ুক্ত কখনওই ঠিকাদারদের দেওয়া ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ পায়নি। কেম্পান্না এবং অম্বিকাপথী কংগ্রেস পার্টির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু লোকায়ুক্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কারণ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি।” অশোক আরও বলেন (Karnataka Lokayukta), “বর্তমান কংগ্রেস সরকার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি এবং ভোটারদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছে।” তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, “শাসক কংগ্রেস ভবিষ্যতে পরাজিত হবে এবং তাদের নেতারা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হবেন।”

    লোকায়ুক্তের বক্তব্য

    লোকায়ুক্তও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও মুখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “ক্লিন চিট দেওয়া মানে কোনও অন্যায় হয়নি, এমন নয়।” তিনি বলেন, “বিজেপি দাবি করেছে যে তারা ক্লিন চিট পেয়েছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও ভুল হয়নি। আদালতে একটি মামলা খারিজ হওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। একটি উপায় হল পেশ হওয়া প্রমাণ অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম নয়। আমি নিজে নির্দেশটি পড়িনি, তবে আমি এটি খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই বলে যে, যদি তাদের কাছে ওই মামলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তারা আদালতে যেতে পারে। শাহের এই মন্তব্যের আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি হল ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দুর্নীতির ওই টাকা অন্যান্য দলের বিধায়কদের কিনে নিতে ব্যবহার করা (BJP) হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শাহ (Karnataka Lokayukta)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার উপনির্বাচনে অশান্তি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দেশের হিংসার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার (Mamata Banerjee) সেখানকার আইন-শৃঙ্খলাকে একদম পকেটে ভরে নিয়েছে এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে তোষণ করার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামী দিনে তা বাংলাদেশ হতে চলেছে।’’ 

    নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী

    একইসঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, সিদ্ধারামাইয়াকেও তিনি তোপ দাগেন এবং বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।’’ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে বিজেপি। এভাবেই কংগ্রেসের সরকারকে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়েই তাঁকে তোপ দাগেন গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কর্নাটক সরকার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছে। কংগ্রেস সরকার সে রাজ্যের টেন্ডারেও তোষণের রাজনীতি করছে। শুধু মুসলিম হওয়ার জন্য যদি রিজার্ভেশন দেওয়া হয়, তাহলে তার থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে!’’

    সুইৎজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ হবে বোরখা, কী বলছেন গিরিরাজ (Giriraj Singh)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডে বোরখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ২০২৫ সালের সালের ১ জানুয়ারি থেকে সে দেশে নিষিদ্ধ হবে বোরখা। এ নিয়ে গিরিরাজ বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিবর্তনের যুগ চলছে। নারী সশক্তিকরণের যুগ চলছে।’’ অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেস-শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা দিকে। বিরোধী দলগুলো কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাব এবং আইন মেনে চলার প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে কর্নাটক সরকারের কিছু মন্ত্রী বিশেষ কিছু ঠিকাদারদের স্বার্থের কথা ভেবে কাজ করে। তাদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার চাবি কাঠি।

    বিবিএমপি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ক্যাম

    সম্প্রতি কংগ্রেস সরকার পরিচালিত বিবিএমপি-এর (ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিক) সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) নিয়ে এক বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি-কোরাপশন ফোরামের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা এন আর রমেশ এই  অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, কর্নাটক সরকার একটি ঠিকাদারকে ২৫ বছরের জন্য বর্জ্য নিষ্কাশনের চুক্তি প্রদান করেছে। আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল। যা প্রোকিওরমেন্ট এবং টেন্ডারিং আইনের লঙ্ঘন। এই অভিযোগের সঙ্গে ১,৫৭০ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। ওই নথিতে কংগ্রেস সরকারের ৩৩ জন মন্ত্রীকে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পাবলিক ফান্ড চুরির অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। রমেশ দাবি করেছেন যে, এই চুক্তি রাম্মি ইনসা স্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এই চুক্তি ২৫ বছরের মধ্যে ৪০,০০০ কোটি পর্যন্ত সরকারি অর্থের অপব্যবহারের কারণ হতে পারে। এটা কর্ণাটকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ দুর্নীতির ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও অন্যান্য মন্ত্রীদের থেকে জবাবদিহি চাইছে। সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা।

    জমি দুর্নীতি

    কর্নাটক কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতারা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেছেন এবং নির্বাচিত কিছু ব্যক্তির হাতে সরকারি জমি বিক্রি করেছেন। এসব সম্পত্তি বেচে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত লাভ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জমির অবহেলা করে প্রাইভেট ডেভেলপারদের কাছে তা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এসব লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

    নির্মাণ চুক্তি ও পরিকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা

    কংগ্রেস সরকারকে বিভিন্ন নির্মাণ ও পরিকাঠামোগত প্রকল্পে অব্যবস্থাপনার জন্যও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সরকার অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করে এবং প্রকল্পগুলির জন্য টেন্ডার ছাড়া ঠিকাদারি কাজ দিয়েছে। যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে, ঠিকাদাররা এই প্রকল্পগুলির খরচ বাড়িয়ে প্রকল্পের মান কমিয়েছে, এবং তাদের দুর্নীতির ফলস্বরূপ সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।

    শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দুর্নীতির ছায়া

    কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র স্কলারশিপ এবং পেশাদারি প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এরকম  ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার এবং স্কলারশিপের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও উঠেছে।

    স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি

    কর্নাটকের স্বাস্থ্য খাতও দুর্নীতির আকরভূমি। সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়া এবং নিন্মমানের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যন্ত উচ্চমূল্যে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    কৃষি ক্ষেত্রে বিতর্ক

    কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ এবং সহায়তা প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু রাজনৈতিক সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করছে। এছাড়া, কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ও সাহায্য নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    তদন্তের দাবি

    কর্নাটকে এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এন আর রমেশের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। বিজেপি প্রতিনিধি দলের যুক্তি, যদি এসব অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত না করা হয়, তাহলে তা রাজ্যের অর্থনীতি এবং জনগণের আস্থার জন্য বিপজ্জনক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে (Karnataka) ৫৩টি পুরাতত্ত্ব বিভাগের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৩টি দখল করেছে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। ইতিমধ্যে সরকারের রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে ওই সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের নামে রেকর্ড এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে এএসআই-এর সমীক্ষার অধীনে থাকা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভকে কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হোল? সিদ্ধারামাইয়া, ডিকে শিবকুমার এবং রাহুল গান্ধীরা কি তাহলে এএসআইকে অন্ধকারে রেখে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলেন?

    রেকর্ড করার সময় মন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন (Karnataka)!

    এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে রয়েছে গোল গুম্বাজ, ইব্রাহিম রৌজা, বড় কামান, বিদারের দুর্গ এবং কালাবুরাগী এবং অন্যান্য আরও অনেক। এই ৫৩টি স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে ৪৩টি কর্ণাটকের বিজয়পুরায়। বাকিগুলির মধ্যে ৬টি হাম্পিতে এবং ৪টি বেঙ্গালুরু সার্কেলে রয়েছে। ডেকান ক্রনিকলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০০৫ সালে ৪৩টি কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভকে নিজস্ব হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই সময় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা) প্রধান সচিব ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন। আবার তিনি বিজয়পুরায় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি কমিশনারের পদেও ছিলেন। এই চেয়ারম্যান বলেন, “প্রমাণিত প্রামাণ্য তথ্য পেশ করার পর রাজস্ব বিভাগ একটি সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তির মালিক হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড এবং সরকারের শংসাপত্রও পেয়েও গিয়েছে।”

    ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

    জানা গিয়েছে একবার কোনও সম্পত্তি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এর অন্তর্গত হয়ে গেলে, তারপর ডি-নোটিফাই করা যায় না। সেই সঙ্গে অন্য পক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা যায় না। আই নিয়ম প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান অবশেষ (AMASR) আইন এবং ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একজন এএসআই (Karnataka) কর্মকর্তা বলেন, “এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির একটি যৌথ সমীক্ষার কাজ ২০১২ সাল থেকে চলছে। ওয়াকফ বোর্ড সেই সময়ে তাদের দাবিগুলি প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এখন ৪৩টি জায়গাকে বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Board) দখল করে ফেলেছে।

    আরও পড়ুনঃ রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার আহ্বান শাহের, ঝাড়খণ্ডে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির

    কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে!

    আবার ডেকান ক্রনিকল আরও বলেছে, “বিজয়াপুরার (Karnataka) ৪৩টি স্মৃতিস্তম্ভ ক্ষতি হয়েছে, তাই প্লাস্টার ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভে ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্লুরোসেন্ট লাইট ও টয়লেট যুক্ত করা হচ্ছে। তবে এলাকার বেশ কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে। ফলে এই স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে পর্যটকদের প্রবাহের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।” এখন এএসআই-এর অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে গেল, সেটাই এক বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ED: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    ED: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) জালে পড়ে জেল ঘুরে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার জালে পড়ে গারদে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। এবার কী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়ার পালা? উঠছে প্রশ্ন। কারণ সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের (মানি লন্ডারিং) মামলা দায়ের করতে চলেছে ইডি।

    মামলা দায়ের করতে চলেছে ইডি (ED)

    গত ১৬ অগাস্ট কর্নাটকের গভর্নর থাওয়ারচাঁদ গেহলট মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা) সাইট বরাদ্দ কেলেঙ্কারির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিচারের জন্য অনুমোদন দেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। সূত্রের খবর, আজ, সোমবার কিংবা মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কর্নাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশে দায়ের হয়েছে এফআইআর। ইডির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পিএমএলএতে মামলা দায়ের হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ফর্মালিটিজ পূরণ করার পর দায়ের হবে মামলা।” ইডি মামলা দায়ের করলে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি অ্যাটাচও করা হতে পারে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হতে পারে। এদিকে সিবিআইকে দেওয়া সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার।

    কেজরি, সোরেন…

    ইডির (ED) জালে পড়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান কেজরি। তার পরেই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনও। জামিনে বন্দিদশা ঘুঁচেছে তাঁরও। ফিরেই ফের দখল করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক লোকায়ুক্ত পুলিশ সম্প্রতি সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী বিএম পার্বতী, তাঁর ভগ্নিপতি মল্লিকার্জুন স্বামী ও পূর্বতন জমির মালিক দেবরাজুকে দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। অভিযোগগুলি ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে ১৪টি মুডা আবাসন প্লট বরাদ্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণার দায়ের করা (Karnataka CM) অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত (ED)।

    সিদ্দারামাইয়ার জেলযাত্রা কী স্রেফ সময়ের অপেক্ষা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠগড়ায় উঠতে চলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। জমি কেলেঙ্কারি (Land Scam Case) মামলায় বিচার শুরু হবে তাঁর। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিন সমাজকর্মী প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা।

    কেলেঙ্কারির জেরে কাঠগড়ায় কারা? (Siddaramaiah)

    জমি বণ্টন কেলেঙ্কারির অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনকেও। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি বেআইনিভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    জাল নথিপত্র পেশ!

    স্নেহময়ীর দাবি, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন মুডার দফতরে। প্রাইম লোকেশনে বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বতীকেও। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যপালের নির্দেশ অনুযায়ী, আমি এখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর ধারা ১৭ এবং ২১৮-এর ধারার অধীনে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদনের অনুরোধের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অনুলিপি সংযুক্ত করছি (Siddaramaiah)।”

    আরও পড়ুন: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যপাল বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। পদ্ম-সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সরে দাঁড়ানো উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।” তিনি বলেন, “কর্নাটকের মাননীয় রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। জমি কেলেঙ্কারিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। এটা একটা সিগনিফিকেন্ট ডেভেলপমেন্ট। অভিযোগটাও খুব সিরিয়াস।” তিনি বলেন, “নৈতিক কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত সিদ্দারামাইয়ার।” রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন (Land Scam Case) বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্রও (Siddaramaiah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslim Appeasement: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    Muslim Appeasement: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ জমানায় সংখ্যালঘু তোষণের (Muslim Appeasement) রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশ। বছরের পর বছর অশান্তির আগুনে পুড়েছে ভূস্বর্গ। দেশের যত্রতত্র ঘটেছে বিস্ফোরণ। তাতে কখনও প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা, কখনও আবার জঙ্গিবাদের বলি হয়েছেন নিতান্তই নিরীহ মানুষ। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেস সরকার দলিতদের বাধ্য করেছে পেটে খিল দিয়ে পড়ে থাকতে। এই যেমনটা চলছে কর্নাটকে (Karnataka), কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া সরকারের জমানায়। কর্নাটকে কংগ্রেসের এই বিপজ্জনক খেলার জেরে হাঁড়ির হাল হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির অর্থনীতির। তার পরেও সম্বিত ফেরে কই সরকারের! দিব্যি চলছে ভোটসর্বস্ব রাজনীতির খেল!

    সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)

    ২০২৩ সালের মে মাসে কর্নাটকের কুর্সিতে বসে কংগ্রেস। তার পর থেকেই রাজ্যে চলছে সংখ্যালঘু তোষণ। উদাহরণ? যেমন দেখুন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে তৈরি হয়েছে হাজার কোটি টাকার অ্যাকশান প্ল্যান। মাইনরিটি বাজেটারি অ্যালোকেশন বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের ৪১৬টি ওয়াকফ সম্পত্তি বাঁচাতে গড়া হবে সুরক্ষা দেওয়াল। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩১.৮৪ কোটি টাকা। মেঙ্গালুরুতে নয়া হজ ভবন গড়তে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাঁতিদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে হয়েছে লোনের ব্যবস্থা। সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী যাতে বিভিন্ন ধরনের সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাকটিভিজিজ করেন, সেজন্য তাদের উৎসাহ দেওয়া হবে। এজন্য বরাদ্দ করা হবে ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে খরচের জন্য বরাদ্দ করা ৩৯৩ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    খয়রাতির রাজনীতি

    খয়রাতির এই রাজনীতি চলছে যখন কর্নাটকে কৃষকরা প্রাণপাত করছেন জীবন সংগ্রামে। রাজ্যের সর্বত্রই কান পাতলে শোনা যায় বঞ্চনার ক্ষোভে ভারী বাতাসের শব্দ। রাজ্যবাসীর উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করার কথা, তা দিয়ে ‘রেউড়ি’ রাজনীতি করার অভিযোগে সরব কর্নাটকের বিরোধীরা। তার পরেও দিব্যি চলছে সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)। চাকরিতে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ শতাংশ পদ। এই সংখ্যালঘুদের ফেলা হয়েছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ক্যাটেগরিতে। প্রশ্ন হল, খয়রাতির টাকা আসছে কোথা থেকে? জানা গিয়েছে, বাংলার তৃণমূল পরিচালিত সরকারের মতো কর্নাটকেও কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দেওয়া এক খাতের বরাদ্দ ব্যয় করছে অন্য খাতে। ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতেই করা হচ্ছে এই রেউড়ি সংস্কৃতির রাজনীতি।

    ভাঁড়ে মা ভবানী দশা অর্থনীতির

    সস্তার এই রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যে দশা ভাঁড়ে মা ভবানীর। এক সময় যে রাজ্য ছিল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে পূর্ণ, সেই রাজ্যই আজ দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক ধ্বংসের কিনারে। সিদ্দারামাইয়ার আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাসবরাজ বোম্বাই। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। তখনও রাজ্যের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেনি। বরং সারপ্লাস ছিল। তাঁর বাজেটে প্রস্তাবিত রাজস্ব সারপ্লাস ছিল ৪০২ কোটি টাকা। যেখানে এতদিন রাজস্ব ঘাটতি বাজেট পেশ হত, সেখানেই বোম্বাই পেশ করলেন সারপ্লাস বাজেট। ওই বছরই মে মাসে কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। খয়রাতির রাজনীতি (Muslim Appeasement) করতে গিয়ে রাজ্যকে দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখানোর জোগাড় করে দিয়েছেন তিনি।

    ‘রেউড়ি পলিটিক্স’

    অর্থনীতিবিদদের মতে, কর্নাটকের অর্থনীতির এই হাঁড়ির হালের নেপথ্যে রয়েছে সস্তার রাজনীতি, খয়রাতির রাজনীতি। যাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আখ্যা দিয়েছেন ‘রেউড়ি পলিটিক্স’। রেউড়ি রাজনীতি হল খয়রাতির রাজনীতি। এই হেটো রাজনীতিতে জনতাকে নিখরচায় দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহার। এই সব উপহার পেয়ে আমজনতা ভুলে যায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য-চাকরির দৈন্যদশার কথা। ক্ষমতা অটুট (Karnataka) থাকে রেউড়ি রাজনীতির কারবারিদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কর্নাটকে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে লক্ষ্য করে তাদের মনোরঞ্জনে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের। টান পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। সরকারের বেপরোয়া ব্যয়ের প্রবণতা ফাঁকা করে দিয়েছে কর্নাটকের রাজকোষাগার।

    ট্যাডিশন আজও চলছে

    তার পরেও চলছে খয়রাতির রাজনীতি। যে রাজনীতি করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় টিকে ছিল কংগ্রেস, যে রাজনীতি করতে গিয়ে বুদ্ধ-অশোকের দেশে মাথা তুলেছে জঙ্গিবাদ, সেই রাজনীতির ট্যাডিশন আজও চলছে। এবং কেবল কংগ্রেস নয়, বাংলার তৃণমূল সরকারও একই কায়দায় ক্ষমতায় টিকে রয়েছে টানা তিনটে মেয়াদ। কর্নাটক কিংবা বাংলা – রাজ্যের উন্নয়ন জলে, কোষাগারের নেই নেই দশা, তার পরেও দিব্যি চলছে রেউড়ি রাজনীতি। ‘করে’ খাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। বঞ্চিত হচ্ছেন আমআদমি (Karnataka)। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছেন। আড়ে বহরে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের (Muslim Appeasement) দৌরাত্ম্য!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lithium: ১৬০০ টন লিথিয়ামের সন্ধান মিলল কর্নাটকে, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং

    Lithium: ১৬০০ টন লিথিয়ামের সন্ধান মিলল কর্নাটকে, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১৬০০ টন লিথিয়ামের (Lithium) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কর্নাটকে। অ্যাটমিক মিনারেল ডিরেক্টরেট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এএমডি)-এর পারমাণবিক শক্তি বিভাগের একটি ইউনিট, এই রাজ্যের মান্ডা এবং ইয়াদগিরি জেলায় বিরাট মাত্রায় খনিজ লিথিয়ামের উপস্থিতি আবিষ্কার করেছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) রাজ্যসভায় লিথিয়াম সম্পর্কে এই তথ্য জানিয়েছেন। লিথিয়াম এমন ধাতু, বিশ্বব্যাপী যার চাহিদা এই মুহূর্তে সর্বাধিক। সেই প্রেক্ষিতে এই আবিষ্কার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।  

    ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Lithium)?

    এএমডি পারমাণবিক শক্তি বিভাগের একটি ইউনিট প্রাথমিক ভাবে সমীক্ষা করেছে। এরপর সংস্থার তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। আর তাতেই ভূ-গর্ভের নিচে থাকা এই প্রাকৃতিক খনিজ লিথিয়াম (Lithium)-এর বিপুল পরিমাণে থাকার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই কথা জানিয়ে বলেছেন, “কর্নাটকের মান্ডা এবং ইয়াদগিরি জেলায় লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এএমডি সক্রিয়ভাবে ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলা সহ ভারতের অন্যান্য অংশেও লিথিয়ামের সম্ভাব্য উপস্থিতির অনুসন্ধানের কাজ করছিল। রাজস্থান, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের প্রধান অভ্র সমৃদ্ধ অঞ্চল এবং ওড়িশা, ছত্তিশগড়, কর্নাটকের আগ্নেয়শিলা যুক্ত অঞ্চলে লিথিয়াম খনিজ দ্রব্যের সন্ধান চালানো হচ্ছিল। তাতেই মিলেছে সাফল্য।” এর আগে, এএমডি হিমাচল প্রদেশে একটি প্রাথমিক সমীক্ষা করে হামিরপুর জেলার মাসানবলে ভূ-পৃষ্ঠের নিচে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতিকে শনাক্ত করেছে। তিনি আরও বলেছেন, “ছোট মডুলার পরমাণু চুল্লি নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ। ভারত এবং রুশ সরকার ক্ষুদ্র মডুলার চুল্লির ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবে। একই ভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সম্প্রসারণে দুই দেশ পরস্পরের কাছে বদ্ধপরিকর থাকবে।”

    আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত হল নিট-ইউজির সংশোধিত ফলাফল, মেধা তালিকার প্রথমে বাংলার পড়ুয়াও

    ১৮১৭ সালে আবিষ্কার হয়েছিল লিথিয়াম

    লিথিয়াম খনিজ উপাদানটি প্রথম ১৮১৭ সালে জোহান অগাস্ট আরফভেডসন আবিষ্কার করেছিলেন। লিথিয়াম (Lithium) শব্দটি গ্রীক ভাষায় লিথোস থেকে এসেছে, যার অর্থ পাথর। সর্বনিম্ন ঘনত্বের ধাতু, লিথিয়াম। জলের সঙ্গে জোরালোভাবে বিক্রিয়া করে এই ধাতু এবং প্রকৃতিতে অত্যন্ত বিষাক্ত। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে লিথিয়াম ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের রিচার্জেবল ব্যাটারিতে। এ ছাড়া হার্ট পেসমেকার, খেলনা, ঘড়ি ইত্যাদিতে নন-রিচার্জেবল ব্যাটারি হিসেবে লিথিয়াম ব্যবহৃত হয়। লিথিয়ামকে অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে সংকর ধাতু হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share