Tag: Karnataka

Karnataka

  • Mudhol hounds: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ‘আত্মনির্ভরতা’! দেশীয় সারমেয় মুধল হাউন্ডে ভরসা, জানেন এর বৈশিষ্ট্য

    Mudhol hounds: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ‘আত্মনির্ভরতা’! দেশীয় সারমেয় মুধল হাউন্ডে ভরসা, জানেন এর বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (SPG) তে অন্তর্ভূক্ত করা হল দেশি জাতের মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) কুকুর। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া (Make In India) প্রকল্পের ছবি ধরা পড়ল তাঁর নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও। সাধারণ ভাবে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার কাজে জার্মান শেফার্ড ব্যবহার করা হয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের অভিমত জার্মান শেফার্ডের থেকে অনেক পারদর্শী মুধল হাউন্ড। জার্মান শেফার্ডের যে কাজ করতে ৯০ সেকেন্ড সময় লাগে, সেই কাজ মাত্র ৪০ সেকেন্ডে করতে পারে এই দেশি জাতের কুকুরটি।

    এর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই প্রজাতির কুকুরের প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিভিন্ন প্রজাতির কুকুরের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ পোষ্যের ক্ষেত্রেও দেশীয় প্রজাতির দিকে নজর দেওয়াটা দরকার। মুধল হাউন্ড আর হিমাচলি হাউন্ড বেশ ভাল জাতের কুকুর বলে দাবি করেছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতেও এই প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার কথা। এবার তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে সেই মুধল হাউন্ড। সূত্রের খবর, বাগালকোট থেকে দুটি পুরুষ সারমেয় শাবক SPG-তে আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    একসময় বিরোধীদের মুধল প্রজাতির কুকুরের থেকে জাতীয়তাবাদের শিক্ষা নিতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কর্নাটক, গুজরাটের ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির দেখভালে সেই মুধল হাউন্ডই। আত্মনির্ভর ভারতই যদি মন্ত্র হয়, তবে পোষ্যের ক্ষেত্রেও ভারতীয় প্রজাতির কথা ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ভিআইপিদের মধ্যে এখন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এসপিজি। 

    মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) প্রজাতির কুকুরের আদি বাসস্থান দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের বাগালকোট (Bagalkot)। কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় করওয়ানি নামেও ডাকা হয় এই শিকারি কুকুরকে। শিকারের সহজাত ক্ষমতাই এই প্রজাতির কুকুরকে অন্য দেশি কুকুরের থেকে আলাদা করেছে। মুধল হাউন্ড (Mudhol Hound) প্রজাতির কুকুর খুব অনুগত। এদের শক্ত চোয়ালে একবার শিকার ধরা পড়ে গেলে, তার নিস্তার পাওয়া কার্যত অসম্ভব।

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha)  নেতাকে খুনের ঘটনায় শোকাহত কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। নিহত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাসভরাজ বোম্মাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তার মধ্যে মূল ছিল ‘জনোৎসব কনভেনশন’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।  

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে  মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আজ নিহত বিজেপি যুবকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। উত্তেজনা না ছড়িয়ে তদন্তে সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।”

     

  • Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) কুপিয়ে খুন করা হল বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) এক নেতাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রবীণ নেত্তারু ( Praveen Nettaru) ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে, বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রবীণ একটি পোল্ট্রির দোকানের মালিক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে হাজির হয় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে তারা চড়াও হয় বিজেপির ওই যুব নেতার উপরে। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঙ্গালুরু ও উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    জেলা পুলিশ সুপার রুশিকেশ সোনানা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পাঁচটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটি দলকে যথাক্রমে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি মনে হচ্ছে কেরলের। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সীমান্তগুলিতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই।  দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার এবং শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি।  ট্যুইটারে শোক বার্তায় তিনি বিজেপি নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই জঘন্য খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। 

    স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। যদিও এটি রাজনৈতিক খুন নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে প্রবীণকে মারা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

  • Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে টাকা আত্মসাতের অনেক ঘটনাই আপনারা শুনেছেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে পুরোহিতরাও টাকা আত্মসাৎ করেছে ,তাও আবার মন্দিরের নামে! হ্যাঁ, এমনই অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের (Karnataka) কালাবুরাগিতে (Kalaburagi)। কালাবুরাগির দেবলাঙ্গানাপুর মন্দিরের (Devalaganapur temple) নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ‘ডোনেশন’ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুরোহিতের নামে।  অভিযোগ সামনে আসতেই  তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুরোহিতরা পলাতক। 

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    উত্তর কর্ণাটকের গঙ্গাপুর নদীর পাশে থাকা এই দত্তাত্রেয় (Sri Dattatreya) মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়। শুধুমাত্র এই রাজ্যই নয়, পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা থেকেও অনেক ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পুরোহিতরা এরকম ৮ টি ওয়েবসাইট বানিয়েছে। গত ৪ বছর ধরে ভুয়ো ওয়েবসাইটের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তারা মানুষের থেকে ‘ডোনেশন’ এর নামে নিয়েছে। আর ওই সমস্ত টাকা তারা পরে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছে। আরও জানা যায়, এক একটি পুজোর জন্য পুরোহিতরা ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করত।

    আরও পড়ুন: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরটি রাজ্যের মুজুরাই(Muzurai) দফতর ও কালাবুরাগি ডেপুটি কমিশনার যশওয়ান্ত গুরুকরের(Yashwant Gurukar) আওতায় রয়েছে। তিনি এই মন্দিরের টাকার অডিট করতে গিয়ে এই বিষয়ে জানতে পারেন ও পুরোহিতদের অপকীর্তির পর্দা ফাঁস করেন। তারপরেই থানায় এই পুরোহিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, প্রায় ২০০০ জন ভক্তের টাকা এই ভুয়ো ওয়াবসাইটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে পুরোহিতরা। পুলিশের আরও সন্দেহ যে,  হয়ত মন্দিরের ডোনেশন বক্স থেকেও টাকা সরিয়েছে পুরোহিতরা। এব্যাপারে প্রমাণও মিলেছে।  সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখা গেছে, যেদিনই ডোনেশন বক্সের টাকা গোনা হত সেদিনই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ঢাকা থাকত। অন্যদিকে কালাবুরাগির ডেপুটি কমিশনার (deputy commissioner) যশওয়ান্ত গুরুকর  অভিযুক্ত পুরোহিতদের থেকে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আরও  তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে আরও তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

  • Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। শুক্রবারই শুরু হয় গণনা। হয়েছে ক্রস ভোটিংও (Cross Voting)। এদিকে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay Highcourt)।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৪১ জন আগেই জয়ী হয়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিরই রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে ৮টি। বাকি আসনগুলি রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে। রাজ্যসভা থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কপিল সিব্বল , পি চিদাম্বরম প্রমুখ। নির্বাচন ঘিরে চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers)। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি (Videography) করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিকে, ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্নাটকে। এ রাজ্যের জনতা দল সেকুলারের দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এদিন যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

    ভোট শুরু হয় সকাল ৯টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। এদিন ভোট হয়েছে চারটি রাজ্যে। বাকি ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী আগেই জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে শাসক ও বিরোধীর ভোটের অঙ্কে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছেন। তাই ক্রস ভোটিং হওয়ারই ছিল। হয়েছেও তাই।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    যে ১৬টি আসনে এদিন ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানে রয়েছে ৪টি আসন। সেখানে দুটি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। যদিও তাদের প্রার্থীর সংখ্যা তিন। এই তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের প্রয়োজন আরও ১৫ জনের সমর্থন। কর্নাটকের চার আসনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হরিয়ানায় আসন দুটি। যদিও লড়ছেন তিন জন। মহারাষ্ট্রে আসন ছটি হলেও, প্রার্থী রয়েছেন সাতজন।

     

  • Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিজাব (Hijab row) বিতর্ক! সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ফিরিয়ে দেওয়া হল কয়েকজন ছাত্রীকে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়ম মানতে হবে সবাইকে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া।

    সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গেলে সবাইকেই পোশাকবিধি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিজাব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আদালত রায় দিয়েছে। সবাইকেই আদালত ও সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া এটি অনুসরণ করছে। সিন্ডিকেটের রেজোলিউশনও হল যে আদালতের রায় অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন : গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায় বলেন, যেসব মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমের ভিতরে  হিজাব পরার জন্য চাপ দেয়, তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের মাথার স্কার্ফ ছাড়াই ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।

    দিন দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তাদের ঢুকতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। অভিযোগ, পোশাকবিধির আড়ালে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্য জানিয়ে দেন, নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    প্রসঙ্গত চলতি বছর ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সব আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, সেগুলিও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেও লাভ হয়নি। যার অর্থ, আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না ছাত্রীরা।

     

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই কর্নাটকের (Karnataka) মাঙ্গালুরুর উপ্পিনাংগাদির গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজে পোশাকবিধি না মেনে হিজাব (Hijab Row) পরে ক্লাস করায় ৬ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফের একই অপরাধে চলতি সপ্তাহেই ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড (Suspend) করল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী 

    পুত্তুরের বিধায়ক সঞ্জীবা মাতান্দুর (Sanjeeva Matandoor) এবিষয়ে বলেন, “ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের কলেজ পোশাকবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিয়ম ভেঙে হিজাব পরে ক্লাসে আসবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।”    

    প্রাক্তন মন্ত্রী ইউটি খাদের (UT Khader) বলেন, “যারা হিজাবের পক্ষে সওয়াল করছেন তারা ভারতে যে স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাতে খুশি থাকুন। যারা সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তাদের বিরক্ত করবেন না।” মাতান্দুর আরও বলেন, “কলেজ সব ধর্মের মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনও দায়িত্বহীন ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    গত মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, “হিজাব ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। তাই কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকলে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের।” এরপরেই কর্নাটকের কয়েক জন পড়ুয়া হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটির জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানায় তারা। তবে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

    এদিনের ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। নেটমাধ্যমে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা জশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুতালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে!

    এই হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি জশপাল এবং প্রমোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। এবিষয়ে জশপাল বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে গোলমাল বাধাতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই।’’

  • Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে মূর্তি ভাঙচুর (idol smashed)। কর্নাটকের (Karnataka) হাসান জেলার আরাসিকেরে জেলার একটি মন্দিরের (temple) ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরাসিকেরে শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মালেকাল্লু তিরুপতি (Tirupati) পাহাড়ের ওপর রয়েছে ওই মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটি এলাকাবাসীর কাছে চিক্কা তিরুপতি (Mini Tirupati) নামে পরিচিত। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার।

    আরও পড়ুন : কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    পুলিশ জানিয়েছে, চার দুষ্কৃতী মূর্তিটি ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠার জন্য সবে তৈরি হয়েছিল মূর্তিটি। রড-সহ বেশ কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার আর শ্রীনিবাস গোয়াদা। পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকশো জনতা ভিড় করে মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙেছে, তা জানা না গেলেও, এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার মন্দির চত্বরে আসা দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে। আপত্তি করা হলেও তারা শোনেনি। পরে তারা সেখানে ধূমপান করে। মন্দিরে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়েও দেয়। তার পরেই ভেঙে ফেলা হয় মূর্তিগুলো।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কে (Temple Mosque controversy) সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) আমলে দেশের একাধিক মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এরকমভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৮০০ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তারা এই মসজিদগুলিকে অবৈধ তকমা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের এক বিগ্রহের মূর্তি ভাঙায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কয়েকটি প্যান্ডেলে গিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। এ দেশের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি পুজো প্যান্ডেলেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় দুর্গা মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কর্নাটকের ওই মন্দিরেও।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    Karnataka Hijab Row: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হিজাব-বিতর্ক (Hijab Row)। একাধিকবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৬ ছাত্রীকে দু’দিনের জন্যে সাসপেন্ড করল কর্নাটকের প্রথম সারির একটি সরকারি কলেজ। উপ্পিনাংগাদির এক কলেজে নিয়ম ভেঙে ‘কলেজ ইউনিফর্ম’-এর বদলে হিজাব (Hijab) পরে আসায় সাসপেন্ড করা হল ওই ছাত্রীদের। এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল তাঁদের বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। 

    মাঙ্গালুরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনস্থ ওই কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগেই কলেজ চত্বরে ‘ইউনিফর্ম’ পরাকে আবশ্যিক বলে নির্দেশিকা জারি করে মাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, হিজাব খুলে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    ছাত্রীরা হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে। তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা মেনেই ক্লাস করতে হবে। কিন্তু এরপরেও হিজাব পরেই ক্লাস করতে থাকেন ওই ছয় ছাত্রী। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ওই কলেজেরই এক শিক্ষকের বক্তব্য, “হিজাব পরে ওই ছাত্রীরা ক্লাস করছিল। কিছু ছেলে এবিষয়ে অভিযোগ জানায়। অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই ছাত্রীদের ২ দিনের জন্যে সাসপেন্ড করেন, যাতে সমস্যা আরও বেড়ে না যায়। সোমবার থেকে ক্লাস করতে পারবে ওই ছাত্রীরা। আমরা ওই ছাত্রীদের জন্যে পুনর্পঠনের এর ব্যবস্থা করব।”

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে (Hijab row) কেঁপে উঠেছিল কর্নাটক। হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে মুসলিম শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এভাবে হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনে বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় বলে আদেশ দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। যেকোনও রকম অশান্তিকে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

     

  • VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (vhp) ও বজরং দল (Bajrang dal)। এদিন সকালে রীতি মেনে মালালির ওই মসজিদে ‘তম্বুলা প্রশ্নম’ (Thamboola prasnam) পরিবেশিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মসজিদ (mosque) সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেখানে একটি মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মিলেছে। তার পরেই এদিন আচার পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো পরিবেশিত হয় তম্বুলা প্রশ্নম।

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। পুজোপাঠ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল প্রমুখ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেদিনই ভরত জানিয়েছিলেন, ২৫ মে মসজিদ চত্বরে বিশেষ তম্বুলা প্রশ্নম পালন করা হবে। তার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অশান্তি এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার মধ্যেই তম্বুলা প্রশ্নম পালন করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। মসজিদটি এক সময় মন্দির ছিল কিনা, তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে হিন্দত্ববাদী একটি সংগঠন। তম্বুলা প্রশ্নম আচার পালনের পর হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা অষ্টমঙ্গলা প্রশ্নম করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি মন্দিরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের নেতারা এবং আরও কিছু হিন্দু সংগঠন আদালতে গিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে মন্দিরের মতো কাঠামোগুলি যথাযথ তদন্ত না করে ভেঙে ফেলা না হয়। সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সমীক্ষা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ভিএইচপি নেতারা প্রাপ্ত নথিগুলি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠোমোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট। প্রশাসন জমির নথি খতিয়ে দেখছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে।

     

LinkedIn
Share