Tag: Kashmir

Kashmir

  • Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে (Pahalgam Attack) শনিবার গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত (Jammu Kashmir Police) দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে।

    দুই কাশ্মীরি তরুণ ধৃত (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

    ১৪ জন জঙ্গি চিহ্নিত!

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা এখনও সক্রিয়। এই জঙ্গিদের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। পাক জঙ্গিদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে কাশ্মীরের এই জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এদিন উত্তর কাশ্মীরের সেদোরি নালা মুস্তাকবাদ মছিলের জঙ্গলেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ। এদিন যেসব আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল, পাঁচটি একে ৪৭ রাইফেল, আটটি একে ৪৭ ম্যাগাজিন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজিন, একে ৪৭ এর ৬৬০টি কার্তুজ এবং এম৪ বন্দুকের ৫০টি কার্তুজ (Pahalgam Attack)। অন্যদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডে এক সন্দেহভাজন জঙ্গি আটক। বান্দিপোরা থেকে ইজাজ আহমেদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া ছবির সঙ্গে মিল থাকায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারণে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সব মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। এঁদের মধ্যে একজন নেপালি। একজন স্থানীয় মুসলিমও রয়েছেন। তিনি এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুকটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই হামলায় যুক্ত থাকার সন্দেহে চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে এনআইএ। যদিও হামলাকারীদের কেউই শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। সেই কারণেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir Police) বিভিন্ন জেলায় চলছে সেনাবাহিনীর চিরুনি তল্লাশি (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, তাতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তারা আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “ভারত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জন্য দোষীদের যোগ্য জবাব দেবে। এই সপ্তাহের শুরুতে ওখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।”

    হামলার কড়া জবাব (Pahalgam Attack)

    শ্রীমন্ত দাগদুশেঠ গণপতির কাছে প্রার্থনা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “সমগ্র দেশ আশা করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করে। এক নেপালি সহ মোট ২৮জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলিম যুবক। ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই প্রসঙ্গেই এদিন নাড্ডা বলেন, “দেশ যেন দৃঢ়তার সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এবং হামলায় দোষীদের যোগ্য জবাব দেয়।” সেজন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে গণেশজির আশীর্বাদ, তাঁর প্রজ্ঞা এবং শক্তিতে দেশ এই কঠিন সময় পার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দোষীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

    ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ!

    এদিকে, বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি (Pahalgam Attack) বলেন, “হামাস-স্টাইলের হামলা ঘটলে ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। জঙ্গি এবং জিহাদিরা যদি ধর্মহীন হয়, তাহলে তারা ধর্ম জিজ্ঞেস করে মানুষ হত্যা করছে কেন? ১৪০ কোটি ভারতবাসী এই প্রশ্ন সেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের কাছে করতে চায়।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন (BJP), তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যার কথা তারা কল্পনাও করতে পারবে না (Pahalgam Attack)।”

  • Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয়। পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। হামলার পরিকল্পনা করেছিল ‘দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি হাফিজ সৈয়দের নেতৃত্বাধীন ‘লস্কর-ই-তৈবা’র একটি ছায়া সংগঠন। হাতে নয়, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারত যে তাদের ‘জলে’ মারবে, তা বোধহয় কল্পনাও করেননি পাকিস্তানের কর্তাব্যক্তিরা। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁরা যারপরনাই অবাক। প্রশ্ন হল, কেন?

    মুম্বই হামলা (Pahalgam Attack)

    এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। ওই দিন শুরু হয় মুম্বই হামলা, চলে টানা তিন দিন। লস্কর-ই-তৈবার ১০ জন সদস্যের তাণ্ডবে নিহত হন ১৬৬ জন। তখন কেন্দ্রের ক্ষমতায় মনমোহন সিংয়ের সরকার। সেই ঘটনার পরেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি। সিন্ধু জল চুক্তি যে স্থগিত করা যায়, এবং এভাবেও যে পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া যায়, তা স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের মাতব্বররা। যার কারণে আক্ষরিক অর্থেই পেয়ে বসেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের ধারণা হয়েছিল, এবারও ভারত কঠোর কোনও পদক্ষেপ করবে না, কেবল প্রতিবাদ এবং দোষারোপ করেই রণে ভঙ্গ দেবে। পাকিস্তানের অনেকেই ভাবছিল, ১৬৬ জনকে গুলি করে খুন করার পরেও যখন ভারত জোরালো কোনও পদক্ষেপ করেনি, তখন মাত্র ২৭ জন হিন্দু হত্যায় কী আর করতে পারে! তারা বুঝতেই পারেনি, মোদির নীতি আর মনমোহনের নীতিতে আকাশ-পাতাল ফারাক।

    সংসদে হামলা

    মুম্বই হামলার সাত বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিল বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া (Pahalgam Attack) হয়েছিল। সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্বাক্ষরিত হয় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের তরফে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আয়ুব খান। চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা।

    নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন বাজপেয়ী

    ১৯৬০ সালের ৩০ নভেম্বর সংসদে নেহরুর পাকিস্তানকে দেওয়া এই নয়া ‘উপহার’ নিয়ে বিতর্ক হয়। সেই সময় ছত্রিশ বছর বয়সি বলরামপুরের সাংসদ অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁর ভাষণে তথ্য, পরিসংখ্যান এবং যুক্তিজাল বিস্তার করে নেহরু সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেন। সেই সময়ই বাজপেয়ী নেহরুকে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, পাকিস্তানের প্রতি এই উদারতার খেসারত দিতে হবে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। মোদি সরকার চুক্তিটি স্থগিত করায়, নেহরু জমানায় নেওয়া কিছু আত্মঘাতী পদক্ষেপ এখন হয়তো উল্টে যাবে, অন্তত আংশিকভাবে হলেও।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ পদক্ষেপ

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রথম সিদ্ধান্তটি হল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা। এটি মোদির তরফে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৌশলগত পদক্ষেপ (Pahalgam Attack)। পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মোদি সরকারের কূটনৈতিক নীতির একটি মূল স্তম্ভ হিসাবে আইডব্লিউটিকে ব্যবহার করা তাঁর ধারাবাহিক কৌশল। এই প্রথম নয়, বরং এটি মোদির পঞ্চমবারের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত সময়ে আইডব্লিউটি ‘হাতিয়ার’ ব্যবহার (PM Modi)।

    আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ

    প্রশ্ন হল, আগের চারটি তাহলে কখন ছিল? এটা বোঝার জন্য মোদির তিনটি মেয়াদজুড়ে কাজকর্ম পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। তাঁর প্রথম মেয়াদে মোদি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দুবার এই চুক্তির উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সরাসরি আর একবার এটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে ২০২৪ সালের অগাস্ট ও এবার ২০২৫ সালের এপ্রিলে এটি ব্যবহার করা হল (Pahalgam Attack)। বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিনটি মেয়াদে পঞ্চমবারের মতো আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ করলেন। এই পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে তিনবারই বড় ধরনের জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির প্রসঙ্গ উঠেছে। বুধবারের পদক্ষেপটি আইডব্লিউটির ক্ষেত্রে মোদি সরকারের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আগের ঘটনাগুলিতেও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এটি একটি ক্রমবর্ধমান কৌশল, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ আগেরটির চেয়ে এক ধাপ উচ্চতর (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সেক্টরে পাকিস্তানি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “রক্ত এবং জল একই সঙ্গে বইতে পারে না” (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গেল প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের (Pahalgam) হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। বিশ্লেষকদের মতে, এর থেকে পরিষ্কার, এই হামলা আরও বৃহৎ কোনও ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। এককথায় টার্গেটেড কিলিং।

    ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় (Pahalgam Attack)

    প্রসঙ্গত, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বয়ানে উঠে এসেছিল উদ্বেগজনক তথ্য। যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা হয় তাঁরা কোন ধর্মের। প্রাথমিক তদন্তেও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এমন দাবিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিচয় দেখার জন্য হিন্দু পুরুষদের প্যান্টের চেইন খোলা হয়েছিল।

    সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের কোরানের আয়াত অথবা কলেমা পড়তে বাধ্য করেছিল

    একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের (Pahalgam Attack) কোরানের আয়াত অথবা কালমা পাঠ করতে করেছিল। যাঁরা সেটা করতে পেরেছিলেন, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদীরা ভেবেছিল যে তাঁরা মুসলিম। এভাবেই ছাড় পান অসমের এক হিন্দু। অন্যদিকে যাঁরা সেটা করতে পারেননি, সেখানে সন্ত্রাসীরা নিশ্চিত হয়ে যায় যে তাঁরা অমুসলিম এবং তাঁদেরকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, ঘটনার তদন্তে মৃতদেহগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল। তখনই এভাবে মৃতদেহগুলির অবস্থান সামনে আসে। যেখানে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করার জন্য নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে ফেলেছিল জঙ্গিরা।

    হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চেয়েছিল

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সেদিন উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জঙ্গিরা বারবার তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করছিল বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। শুধু তাই নয় হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চাইছিল। একইসঙ্গে কালমা পাঠ করতেও বলছিল জঙ্গিরা। এর পাশাপাশি খৎনা পরীক্ষা করার জন্য তাঁদের নিচের পোশাকও খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল। পর্যটকরা হিন্দু না মুসলিম- এই পরিচয় জানার জন্য এই তিন ধরনের পরীক্ষা করে ইসলামিক জঙ্গিরা। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয় এবং খুব কাছ থেকে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে। মঙ্গলবারই নিহত হন ২৬ জন। যার মধ্যে ২৫ জনকেই হিন্দু হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের প্রত্যেকেই পুরুষ।

    ৭০ জন মাঠ কর্মী নজরদারির মধ্যে

    জানা যাচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার তদন্ত বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তদন্ত করছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ‘র’ সমেত অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তদন্তের জন্য প্রায় দেড় হাজার ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (জঙ্গিদের সয়াহতা প্রদানকারী) একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জড়ো করা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৭০ জন সন্দেহভাজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। যাদেরকে হামলার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীদের দলটিকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছিল ওই কর্মীরাই। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, অতি দ্রুত এই তদন্ত সম্পূর্ণ হবে।

    ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলাকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফাউন্ডেশন (টিআরএফ)-এর সদস্য। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন তার মনোরম দৃশ্য এবং বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামেই পরিচিত। পহেলগাঁও থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পর্যটক স্থান। এই স্থানটি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এখানে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়।

  • Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। শুক্রবারই জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

    বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও নিন্দা জানিয়েছেন

    অন্যদিকে, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Attackers) নিয়ে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সেক্রেটারি রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি আমরা।’’

    আগেই ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প

    প্রসঙ্গত, আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন এবং গভীর সহানুভূতি রয়েছে।’’

    বুধবারই মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প

    গত বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে শোক প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এবিষয়ে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে আছে।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) হামাসের হাত! এই হামাসই (Hamas) প্রথমে আক্রমণ করেছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। সেই হামাস এবং অন্যান্য সংস্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ে জঙ্গি-জাল তৈরি করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই নেটওয়ার্কই বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলেছে। চালাচ্ছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জঙ্গি-জাল অবিলম্বে ছিন্ন করতে না পারলে কিংবা জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে না পারলে, তামাম বিশ্বের পক্ষেই তা হবে সাক্ষাৎ যমদূত স্বরূপ। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বলি হন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। এঁদের মধ্যে আবার দুজন বাদে বাকি ২৬ জনই হিন্দু। জঙ্গি হামলায় একমাত্র যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন বলে। এছাড়া, এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে।

    বিস্ফোরক সব তথ্য (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। তার পরেই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। এই তদন্তেই জানা যায়, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। হামাস একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠন। মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেস্তাইনের গাজায় তাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখান থেকেই ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। পরে প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। বছর দুয়েক আগে যে কায়দায় হামাস হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে, তার সঙ্গে পহেলগাঁওকাণ্ডের যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পাকমদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে হামাসের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের।

    হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইএসআই!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে (Pahalgam Attack) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দুজন কাশ্মীরের। এরা প্রত্যেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সূত্রের খবর, সেখানেই লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আইএসআইয়ের মদতে তরুণদের জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে হামাস (Hamas)। কেন্দ্রের এক সূত্রের দাবি, যুদ্ধ বিরতির শর্ত মেনে ইজরায়েল যে হামাস নেতাদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছিল, পাক সরকারের আমন্ত্রণে তারাই আসে পাকিস্তানে। তার পরেই তাদের রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানেই লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে হামাসের ওই নেতারা।

    জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর

    সূত্রের খবর, পাকিস্তান হামাস জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর করেছে। হামাস জঙ্গিরা পাকভূমে পা দেওয়ার পরে রাওয়ালকোট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তাদের নিয়ে যাওয় হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই শোভাযাত্রায় হামাস নেতাদের ঘোড়ার পীঠে চাপিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। শোভাযাত্রায় যাদের ঘোড়ায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা হল হামাস মুখপাত্র খালিদ কোয়াদ্দৌমি এবং নাজি জাহির। হামাসের দুই শীর্ষ নেতা মুফতি আজম এবং বিলাল আলসাল্লাতকেও পাকিস্তানের তরফে দেওয়া হয়েছিল ওই রাজকীয় অভ্যর্থনা। এই শোভাযাত্রায়ই ছিল লস্কর ও জইশের একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং মাথারাও। সেই শোভাযাত্রা থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্যালেস্তাইনের মতোই কাশ্মীরও একই ধরনের ইসলামিক জেহাদের অংশ (Pahalgam Attack)। ভারত এবং ইজরায়েলকে একই বন্ধনীভুক্ত করে এই দুই দেশের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয় জঙ্গিদের ওই শোভাযাত্রায়।

    কী বলছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে গণহত্যা চালায় হামাস। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে ২২ এপ্রিল। গোয়েন্দাদের মতোই এই দুই হামলার কৌশলের মধ্যে অদ্ভূত মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। রুভেন আজার বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বীকার করতে হবে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিল রয়েছে। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা (Hamas)। তার পরেই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা।” তাঁর মতে, এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ।

    মোদির প্রশংসা

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, এবং জঙ্গিদের ওপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল।” ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।”

    বাংলাদেশেও হামাসের হাত!

    শুধু পাকিস্তান কিংবা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও হামাস নেতারা পা রেখেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার পরে পরেই কয়েকজন হামাস নেতাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছন আইএসআইয়ের কর্তারা। উদ্দেশ্য, হামাসের ভাবধারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ঢাকায় ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসলামিক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম চরমপন্থী ইসলামি হিসেবেই পরিচিত। আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামাসের একটি দল সম্প্রতি বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর পরিদর্শন করে। দলটি পাক সেনার নয়া উদ্বোধন করা পাকিস্তান আর্মি ফেসিলিটিও পরিদর্শন করে। এখানেই রয়েছে পাকিস্তানের যুদ্ধ সিমুলেশন কেন্দ্র।

    পাকিস্তান দাদা!

    হামাস দলটি যে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিল, সেখানেই রয়েছে বাহাওয়ালপুর কোর। রাজস্থান সীমান্তের কাছে হওয়ায় এই সামরিক গঠনটির প্রধান দায়িত্ব হল সীমান্ত রক্ষা ও দ্রুত সেনা মোতায়েন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত বছর জানুয়ারিতে হামাসের মুখপাত্রকে পাক সংসদে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় এক পাকিস্তানি আইনপ্রণেতা ভারত ও ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইন্ডিয়ান মিডল ইস্ট ইউরোপিয়ন করিডরের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখন সেই পরিকল্পনা চাপা পড়েছে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১৫ জন প্যালেস্তাইন বন্দিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে হামাসের (Hamas) মুখপাত্র। পাকিস্তানকে ‘দাদা’ হিসেবেও সম্বোধন করে তিনি।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি তারা সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে কূটনৈতিক দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও শুরু করেছে নয়াদিল্লি (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন অন্তত ২৮ জন পর্যটক (Pahalgam Massacre)। এঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু। বেছে বেছে কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বী পর্যটকদেরই খুন করা হয়েছে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। জঙ্গিদের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ ঘোষণা বলে আখ্যা দিয়েছে ভিএইচপি (VHP)। তারা ভারত সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে।

    ভিএইচপির বক্তব্য (Pahalgam Massacre)

    ভিএইচপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “এই বর্বর ঘটনা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়, এটি পাক-মদতপুষ্ট ইসলামি জিহাদি শক্তির খোলাখুলি যুদ্ধ। নয়ের দশকে উপত্যকায় যে সন্ত্রাসের ছায়া নেমে এসেছিল, এটি তারই ভয়াবহ একটি স্মৃতিচারণ। কাশ্মীরে পুনরায় মাথা তোলার সাহস দেখানো ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে আমাদের মূলোৎপাটিত করতেই হবে।” পহেলগাঁওয়ের এই হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হামলাকারীরা পর্যটকদের প্যান্ট খুলিয়ে, কালমা পাঠ করতে বাধ্য করে এবং তাঁদের আইডি পরীক্ষা করে অমুসলিম নিশ্চিত হওয়া ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যা করে। জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিগত টার্গেটিং স্পষ্ট প্রমাণ করে যে হামলাটির পিছনে ধর্মীয় উসকানি কাজ করেছে।”

    টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড

    তিনি আরও বলেন, “এটি পাক-মদতপুষ্ট জিহাদি ও তাদের স্থানীয় স্লিপার সেলের পরিকল্পিত, টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড। তাদের অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট— উপত্যকা থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করা, নয়ের দশকের ভয়াবহতা ফের সৃষ্টি করা (Pahalgam Massacre)।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতা পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে রাজনৈতিক বক্তব্য ও পাকিস্তানি সামরিক বক্তব্য-সহ একটি ডিস্টার্বিং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি একজন ভারতীয় সংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উদাহরণ দেন। ওই সাংসদ কাশ্মীরে পর্যটন ও জমি কেনাকে ‘সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ওই সাংসদের বক্তব্যের সঙ্গে পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যকে যুক্ত করেছেন। পাক সেনা প্রধান সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘কাশ্মীরই একমাত্র অবশিষ্ট অ্যাজেন্ডা’। জৈনের অভিযোগ, এই যে মতাদর্শগত সমর্থন, এটাই পহেলগাঁওয়ে রক্তপাতের পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি বলেন, “এই পরিবেশ — ক্ষমতার করিডর থেকে পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর পর্যন্ত — এই কাজগুলিকে সম্ভব করছে। এখন দ্বিধাহীনচিত্তে এটিকে ধ্বংস করার সময় এসে গিয়েছে (VHP)।”

    জনরোষ চরম আকার নিতে পারে!

    সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুসলমানদের একাংশ। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনার পর তারা আর মুখ খোলেনি। ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছেন, সে প্রশ্ন তোলেন জৈন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা জাতীয় অস্থিরতা সৃষ্টি করেন, কিন্তু নিরীহ হিন্দু তীর্থযাত্রীদের হত্যার নিন্দা করতে তাঁরা এগিয়ে আসেন না? এই নির্বাচিত ক্ষোভ মেনে নেওয়া যায় না (Pahalgam Massacre)।” সরকার যদি দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনরোষ চরম আকার নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন জৈন। তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, এই ক্ষোভ আরও তীব্র হবে। সরকারের এখন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করার সময় এসেছে।”

    ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বিজেপি ও বজরং দল ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল করা এবং পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো। জৈন বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত যখন ভারতকে বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমাদের মাটিতে ধর্মীয় নির্মূলকরণ আমরা আর কখনও সহ্য করব না।”

    বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের সমস্ত বাজার, স্কুল-কলেজ, পরিবহণ পরিষেবা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উপত্যকার (VHP) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বাণিজ্যিক সংগঠনগুলি সর্বতোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে (Pahalgam Massacre)।

    মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বক্তব্য

    মুতাহিদা মজলিস উলেমার প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যে কেউ যদি একজন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করে, সে আসলে সম্পূর্ণ মানবজাতিকেই হত্যা করে। কাশ্মীরের রক্তাক্ত ইতিহাসে আর একটি হত্যাকাণ্ড। ইসলামে এই ধরনের নৃশংসতা ঘৃণ্য। আমরা জম্মু কাশ্মীরের জনগণের কাছে বন‍্‍ধ পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ করার আবেদন করছি।” পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতিও শোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সকল কাশ্মীরিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় নিহত (VHP) নিরীহ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বন‍্‍ধকে সমর্থন করেন। এটি কেবল কয়েকজনের ওপর আক্রমণ নয় – এটি আমাদের সকলের ওপর আক্রমণ (Pahalgam Massacre)।”

  • Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার পর্যটকদের ভিড়ে মিশেছিল জঙ্গিরা (Pakistan)। পরে স্বমূর্তি ধারণ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এদিন যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হিন্দু। বৈসরন এলাকার এই হত্যালীলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়াবহ অসামরিক হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী।

    হতাশার বহিঃপ্রকাশ! (Pahalgam Attack)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহেলগাঁওয়ে এই হামলা একটি বৃহত্তর ও আরও উদ্বেগজনক ধারার অংশ। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ হওয়ার পরে নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার। এর পরেই কৌশল বদলায় পাকিস্তান। তারা কাশ্মীর থেকে তাদের ফোকাস ঘোরায় শান্ত এবং হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর পার্বত্য জেলাগুলিতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন রাজৌরি, রেয়াসি এবং পুঞ্চের বাসিন্দারা। এই জায়গাগুলিকেই ফোকাস করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এভাবে তারা যেমন একদিকে ভারতের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ভারতের দুর্বলতাও খুঁজতে চেয়েছে। এসব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সুবিধাও নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশের নিরন্তর চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে পাক সেনা। সম্প্রতি জে সেক্টরে তারা এলওসি অতিক্রম করেছিল। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। পাক সেনাদের এহেন কাজকর্ম একাধিক ফ্রন্টে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের একটি পরীক্ষাও বটে।

    পাকিস্তানের মুখে চুনকালি

    উনিশ সালে (Pahalgam Attack) ভূস্বর্গ থেকে লুপ্ত করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের কাশ্মীরের ওপর থেকে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে থাকে। অথচ মোদি সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন থেকে কূটনৈতিক, সামরিক কিংবা বাকযুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঢের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মুখে পড়েছ চুনকালি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ছিল নির্বিকার। ওআইসি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েই খালাস। ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর কাশ্মীরে বয়ে গিয়েছে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। শান্তির ভূস্বর্গে ক্রমেই নামছিল পর্যটকদের ঢল। অর্থনীতি চাঙা হয়েছিল ভূস্বর্গের। অবাধে হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীরের রাশ গিয়েছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে। রাওয়ালপিন্ডি এক সময় যে স্বাভাবিকতার প্রতীকগুলিকে উপহাস করত, সেগুলিই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কাশ্মীরে। তাই স্থানীয় কাশ্মীরিদের খেপিয়ে তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে পাক সেনার।

    পাক সেনার ইন্ধন

    এহেন প্রেক্ষাপটে (Pahalgam Attack) ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ঘোষণা (Pakistan)। তিনি কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের জীবনরেখা’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিয়া আমলের পর থেকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি কোনও পাক রাজনীতিক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি কোনও কৌশলগত সংকেত নয়, বরং পাকিস্তানের গলায় হতাশার সুর স্পষ্ট, যে নিজের চোখের সামনে তার নিজের আদর্শিক পরিচয়ের মূলস্তম্ভকে হাতছাড়া হতে দেখছে। পাক সেনার বক্তব্য যতই জোরালো হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাওয়ালপিন্ডি আর কাশ্মীরের ডিসকোর্স নির্ধারণ করছে না, বরং পরোক্ষে তাদের পরাজয়েরই মোকাবিলা করছে।

    কেন প্ররোচনা?

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একের পর এক সমস্যায় যখন জর্জরিত পাকিস্তান, তখন পাক সেনার এহেন প্ররোচনা (কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক) অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। উপজাতীয় অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান তাদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখছে। বালোচ বিদ্রোহীরা সৈন্যদের আস্ত একটি ট্রেনকে পণবন্দি করেছিল। পড়শি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দৃশ্যতই দেশটি বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশের এই দুঃসময়ে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে মাতল কেন পাকিস্তান? এর (Pahalgam Attack) এক এবং একমাত্র উত্তর হল, দেশে যখনই ভয়ঙ্কর কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানিরা যাতে সরকার কিংবা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে না দেন, তাই ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে তাক করা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা, হামলা চালানো, প্রতিশোধের ঝুঁকি নেওয়া – এসবই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পাক সেনার পুরানো চাল। এদিক থেকে বিচার করলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলাও যুক্তিসঙ্গত হয়ে ওঠে। কারণ ‘ভারত-কার্ড’ খেলে দিয়ে পাক সেনা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আদতে দেশের অভ্যন্তরীণ (Pakistan) সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানোরই চেষ্টা করেছে (Pahalgam Attack)।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী গেলেন সৌদি সফরে। তবে জেড্ডা শহরে এই প্রথম (Kashmir) পা রাখবেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মনমোহন সিংয়ের পর মোদিই সৌদি আরব সফরকারী চতুর্থ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারত প্রধান তেল রফতানিকারী ও ওপেক নেতৃত্বাধীন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে (Saudi Arabia)

    ভারত ও সৌদি আরব বছরের পর বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, শক্তি খাতের সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফল হল কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেশটির পরিবর্তিত অবস্থান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অবস্থান বদলেছে। সৌদি আরব যে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করত, তা মূলত গড়ে উঠেছিল তাদের যৌথ ইসলামিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। তবে যুবরাজের নেতৃত্বে রাষ্ট্রটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (Saudi Arabia)।

    সৌদি বিনিয়োগ

    বছরের পর বছর ধরে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সৌদি আরব এখন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, অন্যদিকে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রিন্স সালমান ভারতের মধ্যে সৌদি বিনিয়োগ আগামী কয়েক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শক্তি জায়ান্ট সৌদি আরামকো দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে (Kashmir)।রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের ভারতের মধ্যে মোট বিনিয়োগ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল (পিআইএফ) রিলায়েন্সের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্জিত শেয়ারও।

    ভারতের আমদানির পরিমাণ

    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সৌদি আরব থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ১১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Saudi Arabia)। সৌদি আরব ভারত, ইউএই এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আইএমইসি (ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর) চালু করেছে। এটি একটি বড় পরিকাঠামোগত উদ্যোগ। এর লক্ষ্যই হল ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। একই সময়ে সৌদি আরব একাধিকবার পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটি যুবরাজ সালমানের বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রিন্স সালমান ভারত সফরের সময় পাকিস্তান সফরে যাননি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার প্রতি তাঁর সচেতন মনোভাব প্রকাশ করে।

    সন্ত্রাসবাদের নিন্দা

    এই সফরে যুবরাজ সালমান এবং মোদি যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Kashmir)। ২০২০ সালে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের দাবি জানায় এবং ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল ক্রেডিট সুবিধা রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এই আর্থিক সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয় (Saudi Arabia)। ২০২৪ সালে সৌদি আরবের গলায় শোনা যায় ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রতিধ্বনি। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কার্যত নয়াদিল্লির অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।

    ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের গভীরতর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক ঠান্ডা আচরণের বিপরীতে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য তুলে ধরে। এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। তাঁর গত ১০ বছরের রাজত্বকালে তিনি তিনবার সৌদি সফরে গিয়েছেন (Kashmir)। তার জেরেই মজবুত হয়েছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক (Saudi Arabia)।

LinkedIn
Share